মৃন্ময়ী

Humayun Ahmed (Chronological List) #160

by Humayun Ahmed

Books contents are arriving very soon. Keep watching this Marketplace for your desire books and enrich your collection.

Genres: Fiction, Novels, Romance, Drama

112 pages, Hardcover

Published February 1, 2001

About the author

Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Reviews

[Aishu Rehman · Rating 3 out of 5]

প্রথমে ভেবেছিলাম আজহার সাহেব মৃন্ময়ীর বাবাকে কাফনের কাপড় উপহার দিয়ে মৃত্যুর কথা মনে করিয়ে ধার্মিক হতে বলছেন। কিন্তু এখন অন্য কিছু ইঙ্গিত করছেন তিনি। এটা একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়।

আমাদের সমাজের মেয়েরা অনেক কিছুই বলতে পারে না। আসলে আমরা কেউই পারি না আমাদের মনের কথা বুঝতে। সরি বলতে। মানুষ প্রজাতিটাই ভিন্ন। সে ভেতরে এক রকম। বাইরে আরেক রকম। তাদের বোঝা অনেক কঠিন। যার মনে যত কথা, তাঁর মন বোঝা তত কঠিন। এই গল্পে মৃন্ময়ীও একই রকম। আমি গল্পের সব চরিত্রকে বুঝবার চেষ্টা করেছি। হাল্কা পেরেছিও। শুধু এই প্রধান চরিত্রটিকেই বুঝতে পারলাম না। আরেকটা মজার জিনিস কি জানেন? এই বুঝতে না পারাটাই হুমায়ুনীয় স্টাইল। উনি পাঠককে গল্প শোনান। গল্প বোঝান না।

[Juiena Shabnam (জুইয়েনা শবনম) · Rating 4 out of 5]

মৃন্ময়ী স্বাধীনচেতা এবং অসম্ভব বুদ্ধিমতি এক মেয়ে।তার বাবা মইনু মিয়া অসম্ভব চতুর একজন লোক কিন্তু মাঝেমধ্যে অসম্ভব চতুর লোক ও বিপদে পরে।
মৃন্ময়ীর মা একজন নেকী মহিলা, যাকে দুনিয়ার কোন কিছু স্পর্শ করে না,সে বাস করে নিজ ভুবনে।
কাউস্যার আর টুলু দুজন পুরুষ যারা মৃন্ময়ীকে ভালো পাই।
মানুষ নিয়তির দাস।
মাঝেমধ্যে মানুষ এমন প্যাঁচে পড়ে, তাদের করার কিছু থাকে না।তাই সব কিছু যখন প্যাঁচ লেগে যায় জীবনে তখন প্যাঁচ খোলার চেষ্টা না করে,নিয়তির হাতে সব ছেড়ে দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ আর মৃন্ময়ী তো বুদ্ধিমতি।।
🙃🙃
আহামরি লাগে নি উপন্যাসটি,এভারেজ ছিল।হুমায়ূন মানে সহজপাঠ্য আর তার গল্পগুলো উপভোগ্য, এখানে তার ব্যতিক্রম ঘটে নি।তবে চরিত্র গুলোর ভিতরে বডড বেশি ছেলেমানুষী ছিল,এত ছেলেমানুষীকতা দিয়ে জীবন চলে না।তাই আমার সেভাবে ভালো লাগে নি।

[Taufiq Ahmed · Rating 3 out of 5]

পর পর অনেকগুলো থ্রিলার পড়া হয়ে গেল। এই থ্রিল থেকে বের হওয়ার জন্যই এই বইটা পড়া। খুব আহামরি কিছু তা কিন্তু না। হুমায়ূন আহমেদের নিজস্ব স্টাইলে লেখা। চরিত্র গুলো যেন তার অন্যান্য বই থেকে ধার করে আনা। আমি অন্তত মৃন্ময়ীর একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আশা করেছিলাম কিন্তু সেটা পাইনি।

[Mubtasim Fuad · Rating 1 out of 5]

আহামরি লাগে নাই! ক্ষেএবিশেষ অতিরঞ্জিত লাগছে! হুমায়ুন আহমেদে কিছু কিছু লেখা খুব রিলেটেবল লাগে। পড়লে মনে হয় এটা স্বচক্ষে দেখছি। আবার কিছু লেখা পড়লে মনে হয়, স্টারজলসা কিংবা জি বাংলার নাটকের জন্য স্ক্রিপ্ট করা হয়েছে! কাহিনীর প্রবাহ, প্রধান চরিত্রের মাত্রাতিরিক্ত নেকামী আমাকে বারবার বিরক্ত করছিল। বহু কষ্টে শেষ করলাম!

[Farzana Rahman · Rating 4 out of 5]

3.75 🌟

In most cases when I finish a Humayun Ahmed book, i end up being sad. And this book did it brilliantly ☹️

[Ësrât · Rating 4 out of 5]

"এখানে পালঙ্কে শুয়ে কাটিবে অনেকদিন জেগে থেকে ঘুমাবার
সাধ ভালোবেসে"

বিষন্ন সৌন্দর্যে ভরা মনে রাখার মতো একখানা বই।

রেটিং:✨🌟⭐🌠
১৬/০৯/২২

[Shohidul Islam Likhon · Rating 3 out of 5]

বেংগল বইয়ে গিয়ে বইটা একটানা পড়ে শেষ করলাম।ধানমন্ডির ব্যস্ত সড়কের পাশ দিয়ে ফুটপাত ধরে আনমনে হয়ে হেটে চলেছি। বইটা আমাকে বিষন্ন করে তুলেছে! আজ আমি বাসায় হেটেই যাবো!মৃন্ময়ী পড়ে হিমু হয়ে হাটবো!
লাস্টের ভয়াবহতা এমন হবে তা আন্দাজ করতে পারিনি! ইভেন এখনো বুঝে উঠতে পারিনি মার্ডার টা কে করলো!
যদি কেউ পরিষ্কার বুঝে থাকেন,, নক দিয়ে জানাবেন♥

[Hasibul Shanto · Rating 3 out of 5]

আমি বইটার নাম দিলাম "মৃন্ময়ীর জননী"। ভদ্রমহিলা কে আমার অসম্ভব রকমের ভালো লেগেছে পুরো বই টায়।
হুমায়ূন আহমেদের সব বইয়েই কিছু না কিছু প্রচন্ড রকমের ভালো লাগে, আর পরে সেগুলা মনে থাকেনা বলে খুব রাগ হয়।
আমার ধারণা মৃন্ময়ীর মায়ের বেশ কয়েকটা ঘটনা আমার মনে থাকবে অনেকদিন। কিংবা অনেক অনেক দিন পর রিলেটেবল কিছু দেখলেই ঘটনা গুলা মনে পরবে।
নাহ বইটার ব্যাপারে কিছু বলতে পারতেসিনা, গল্প টা নিয়েও না। মৃন্ময়ীর মা চরিত্র টা বেশ ভালো রকমের দাগ কেটেছে...

[সারস্বত · Rating 3 out of 5]

"শেষ হয়েও হইলো না শেষ" ছোট গল্পের এই চিরায়িতধারার অপূর্ব সম্বনয় ঘটিয়েছেন লেখক হুমায়ূন আহমেদ তার উপন্যাসিকাগুলোতে। মৃন্ময়ী উপন্যাসিকাটিও সেই ধারা লেখক বজায় রেখেছেন।

বইটি পড়ার একটি পর্যায়ে প্রচন্ড হতাশ হয়েছি । কেমন যেন দিশাহীন মনে হচ্ছিলো মৃন্ময়ীকে। তবে শেষে এসে লেখক কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিয়েছেন। শেষের কয়েকটা লাইনে যেন ম্যাজিক ছিলো

[ফরহাদ নিলয় · Rating 4 out of 5]

হুমায়ূন স্যারের লেখার এই গুণটা আমার ভীষণ ভাল লাগে, তিনি কখনো ফিনিশিং দেন না, গল্প অসমাপ্ত রেখে দেন। যাতে করে পাঠক নিজের মত করে কল্পনা করে নিতে পারে। বইটা এমন এক জায়গায় শেষ, চাইলে আপনি মিলনাত্মক কিংবা বেদনাত্মক যে কোন একটা ফিনিশিং কল্পনা করে নিতে পারেন।

[Ayesha · Rating 2 out of 5]

রূপা আর এই বইটা তে নাম, চরিত্র এবং প্রেক্ষাপট ছাড়া আর কোন পার্থক্য নাই!!!

[HASAN · Rating 5 out of 5]

কোন কিছু যে লিখবো, সেই ভাষা নেই ♥

[Jenia Juthi · Rating 3 out of 5]

আরও কয়েক পাতা থাকলে মন্দ হতো না। হুমায়ূন আহমেদের বেশীরভাগ বইগুলো যেমন, এমনই এই বইখানাও! আলাদা কিছু নেই নতুন।
তবে,মৃন্ময়ীর মাকে আমার বেশ ভালো লেগেছে।

[Anik Newaz · Rating 4 out of 5]

মৃন্ময���ী - ভীষণ সুন্দর নামের এই বইটি বরাবরের মতই হুমায়ুন-ছন্দে রচিত; কাহিনি, চরিত্র, গল্পের বিবরণ - সব দিক থেকেই।

[Rumad Hussen · Rating 4 out of 5]

শেষ অংশে মজা পেয়েছি

[Alvi Rahman Shovon · Rating 4 out of 5]

সেই কৈশোরে পড়েছিলাম৷ প্রায় ১৪ বছর পর আবার পড়লাম। সুন্দর উপন্যাস!

[Sajana Orthy · Rating 4 out of 5]

প্রচ্ছদ ও নাম দেখে মনে হয়েছিলো বইটি আগেও পড়েছি। কিন্তু পড়তে গিয়ে কাহিনি একটুও তো মনে পড়লো না!!

শুরুতে হুমায়ুনীয় স্টাইলের অন্যান্য ছোট উপন্যাসের মতো মনে হলেও আসলে অন্যগুলোর মতো লাগেনি আমার। পড়ে ভালো লেগেছে। যতোটা সরল গল্প মনে হয়েছিলো ওরকম না হওয়াতে মনে হয় বেশি ভালো লেগেছে।

মৃন্ময়ী আর্কিটেকচার এর ছাত্রী এবং বেশ বুদ্ধিমতী। তার বাবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্সের শিক্ষক হয়েও তা ছেড়ে ব্যবসা করে প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক। আর এভাবেই বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে আজহার সাহেবের সাথে, মৃন্ময়ীর প্রিয় আজহার চাচা। আমার সবচেয়ে বেশি ইন্টারেসটিং লেগেছে মৃন্ময়ীর মায়ের চরিত্রটি। তবে মৃন্ময়ীর কাউসার স্যারের চরিত্রটি কেন জানি আমার বিরক্তিকর লেগেছে।

পুরো গল্পে একটা জিনিসই ভাবিয়েছে আমাকে, চরিত্রগুলোর মধ্যে কে আসলে বেশি বুদ্ধির অধিকারী! কে কার সাথে খেলছে? সাধারণ একটা গল্পকেও অসাধারণভাবে বলতে পারার ক্ষমতাটাই লেখককে করে তুলেছে আমাদের সবার প্রিয়।

#AGoodRead

[Mahabuba Arobe · Rating 3 out of 5]

"জীবন্ত কিছুই মানেই সুন্দর। জড় বস্তুকে তখনিই সুন্দর মনে হবে যখন মনে হবে এর ভেতর প্রাণ আছে। প্রাণটা,স্পষ্ট না, অস্পষ্ট। তবে আছে। যখন মনে হবে আছে তখনি সেটা আমাদের কাছের সুন্দর লাগবে।"

এই সৌন্দর্যের ব্যাখার মতই ঐটাও বিষণ্ণ সুন্দর। লেখক বরাবরের মতই রহস্যের অধিকারি তেমনই তার গল্প কাহিনীর ধাচ। মৃন্ময়ী বই একটা সামাজিক সাইকোলজি উপন্যাস ধরা যেতে পারে। এই উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রই ইন্টারেস্টিং। লেখক কোন চিরত্রটাকে যে মুখ্য করে ধরেছেন তা বলা বাহুল্য। শেষ অবধি মৃন্ময়ীর দিশেহারা ভাবটা যেনো শেষ হয়ে ও হলো না।

[Maria Rahman · Rating 4 out of 5]

মৃন্ময়ী - নামটা সুন্দর।
মৃন্ময়ীর মা কে- ভালো লেগেছে। বোকা বোকা ভাব নিলেও সে নিজেকে নিয়ে নিজের জগতে থাকতো। 😍😍
মৃন্ময়ীর ভাই টগর কে দেখতে ইচ্ছে হয়েছে।
শেষ অংশ এমন হবে এটাই কাম্য ছিলো কেননা হুমায়ূন আহমেদের বই। তবে আহামরি কিছু না দেখে হয়তো ভুলে যাবো ।কয়েক বছর পর আবার পড়লে মনে পরবে কি পরবে না, তবে আবার পড়তে গেলে খারাপ লাগবে না।
৩.৫ ⭐

[মারিয়া · Rating 4 out of 5]

নীরব ভাইয়ের সাজেশনে বইটা পড়া।হুমায়ন আহমেদ এর এই নিয়ে ২টা বই পড়লাম।এটা আর নন্দিত নরকে। লেখকের ২ পক্ষের মন্তব্য শুনেই পড়ার আগ্রহ আসে। এখন পর্যন্ত আগ্রহ বিদ্যমান। সামনে আরো বই পড়বো উনার আশা করি। বইয়ের সবথেকে পছন্দের চরিত্র টগরের ব্যাপারে এখনো অনেক প্রশ্ন মনের ভিতর ছোটাছুটি করছে। কিছু কিছু বইয়ের গল্পঃ গুলো শেষ হয়ে যায় তবে অনুভূতি টা থেকে যায়।

[Manashee · Rating 4 out of 5]

বেহিসেবী বড়লোকদের কিছু সমস্যা থাকে। অনেকটা নিজের তৈরি সমস্যার মতো। জলবৎ তরলং, কিন্তু বের হওয়ার উপায় নাই এমন। ব্যক্তিগতভাবে আমি কাওসার স্যার ধরণের একজনকে চিনি। এদেরকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। মৃন্ময়ী ঠিক সিদ্ধান্তই নিবে‌। এটাও হুট করে শেষ হয়ে যাওয়া একটা বই। আগে কবে পড়েছি মনে পড়ছে না।

[momo ✉️ · Rating 3 out of 5]

আমার এই বইয়ের প্রতি আলাদা আকর্ষণ আছে। আমি জানি না কেন। রিলেটেবল না তাও। আমি এই বই এই নিয়ে ৮বার পড়লাম। 😑

[Mousumi Maya · Rating 4 out of 5]

সাধারণ গল্পের ভিত্তিতে একটি বই।
রিডিং ব্লক থেকে বের হয়ে আসবার ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজে দিবে।

[Miraz Hasan Shihab · Rating 4 out of 5]

‘মৃন্ময়ী’ উপন্যাসটা শুরু হয় সাদা-মাটা ভাবেই। কাহিনীও প্রথম দিকে তেমন একটা জটিল মনে হয়নি। কিন্তু আমার কাছে খুবই ইন্টারেস্টিং লেগেছে, জানি না কেন! হয়তো হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন বলে। কাহিনী যতই এগিয়েছে ততই চিন্তা-ভাবনা করার বিষয় বেরিয়ে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান বিষয়: মৃন্ময়ীর বাবা আর তার বন্ধু আজহার মিয়ার মধ্যকার মানসিক দ্বন্দ্বযুদ্ধ!
.
মৃন্ময়ী, প্রধান চরিত্র— বুদ্ধিমতী এক নারী। কিন্তু আমার কাছে রহস্যময়ীও মনে হয়েছে কারণ আমি মৃন্ময়ীকে তেমন ভালোভাবে বুঝে উঠতে পারিনি যে, তার মনে অ্যাকচুয়ালি কী চলছে?
মৃন্ময়ীর মা'য়ের চরিত্র ভালো লেগেছে। যখনই তার সংলাপ এসেছে তখনই সব জমে উঠেছে। মৃন্ময়ীর বাবা মইনু মিয়া ওরফে মাইন খান চরিত্রটা বুদ্ধিমান, ধীরস্থির। মৃন্ময়ীর সৎভাই টগরের দিকটা ডার্ক-ই রয়ে গেল। এই ডার্কনেস দূর করতে হলে পাঠককে পুরো বইটা পড়ে নিজেই চিন্তা করতে হবে।
.
আমার কাছে সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং লেগেছে কাউসার স্যারের চরিত্রটি। তার কথাবার্তা, কাজ — সবই ছিল সাবধানতা, সচেতনতা আর বুদ্ধিমত্তার বহিঃপ্রকাশ। তার জীবনমুখী কথাগুলো মন ছেয়ে গেছে।
.
অনেক কিছুই লিখে ফেললাম। হয়তো এর মধ্যে স্পয়লার দিয়ে দিয়েছি!

[Manisha Chakraborty]

রুপা বইটা পড়ার পর পড়েছি, লেখকের লিখার ধরন বুঝতে পারছি একটু একটু। পীর সাহেব এই ব্যাপারটা এই বইতে ও পেলাম, পছন্দের চরিত্র একজন ও না। এমন না যে খুব নিখুঁত চরিত্র খুঁজেছি, কিন্তু কেন জানি খুব দৌড়ের উপর থাকে...

একটু হাতছানি দিচ্ছে কেউ, আর তাতে একজন সাড়া দিল - এই কি প্রেম??

এত দ্রুত কেন এই প্রেমপ্রনালী, এই প্রশ্ন কারো মাথায় আসে না কেন?

কাফনের কাপড়ের মতো কিছু কেউ কি করে কাওকে উপহার দেয়?

সময় প্রবাহিত হতে থাকে অবশ্যই, এবং কোন কিছুতেই হারানো সময় ফেরত আসেনা।

কিন্তু এই অহেতুক ইশারা হাতছানি আর ঈঙ্গিত এর কিছুই আমি বুঝে উঠতে পারি না।

আমার জীবনের সাথে এই গল্পগুলো খাপ খায় না বলেই হয়তোবা এমন করে ভাব��।

[Muna · Rating 3 out of 5]

ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে টুকটাক পড়ে তিন দিনের মধ্যেই শেষ করেছিলাম মৃন্ময়ী।
শুরুতে গল্প স্বাভাবিকভাবেই ভালো লাগছিল ধীরে ধীরে চরিত্রগুলো স্পষ্ট হয়ে উঠতেই অনুভব করলাম, মৃন্ময়ী আসলে ভীষণ বুদ্ধিমতী একটি মেয়ে।

গরু স্যারের সঙ্গে তার সহজ-সরল সম্পর্ক ভালো লেগেছিল। আবার টগরের বন্ধুকে রাতের ভাত খাইয়ে পরবর্তীতে খোঁজখবর নেওয়ার দৃশ্যটায় মনে হয়েছিল, হয়তো তার প্রতি মৃন্ময়ীর একটু দুর্বলতাও আছে।

আজহার চাচা যখন মৃন্ময়ীর বাবাকে কাফনের কাপড় উপহার দিলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম তিনি খুব ধার্মিক ও পরহেজগার মানুষ। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝলাম তিনি আর মইনু মিয়া দু’জনেই নিজেদেরকে পাক্কা খেলোয়াড় মনে করেন। শেষে যদিও মইনু মিয়া মনে করেন তিনিই জিতেছেন, কিন্তু খোলা এন্ডিংয়ের কারণে আমি আজহার চাচাকেই জিতিয়ে দিলাম তার সেই সুন্দর-গলার, হাবাগোবা ছেলেটার জন্য।
মনে হচ্ছিল, খবরের কাগজে বাবাকে আঁকড়ে ধরে কাঁদতে থাকা সেই ছেলেটিকে মৃন্ময়ী কোনোদিনই একা ছেড়ে দিত না।

সব মিলিয়ে বইটা পড়ে কিছু অংশে হেসেছি, খারাপ লাগেনি; তবে খুব অসাধারণও লাগেনি।
______________________

[Tanzila · Rating 3 out of 5]

প্রথমবার এই বই পড়ি দশ বছর বয়সে, হুমায়ূন আহমেদের পড়া ৩য় বা ৪র্থ বই ছিল এটা।
মৃন্ময়ীর মা আমার মনে সবচেয়ে বেশি দাগ কাটতে পেরেছেন। আপাতদৃষ্টিতে (অথবা লেখকের ভাষ্যমতে) মৃন্ময়ীর বাবাকে অতিরিক্ত বুদ্ধিমান মনে হলেও দিনশেষে তাকে তার স্ত্রী, ছেলেমেয়ে এবং বন্ধু অর্থাৎ প্রায় সবার কাছেই বুদ্ধির লড়াইয়ে হারতে দেখা গেছে। কাউসার চরিত্রটিকে খুবই বিরক্তিকর লাগল এবার, যদিও প্রথমবার পড়ার সময় চাইছিলাম মৃন্ময়ীর সমাপ্তিটা ওর সাথে হোক।
এই বইয়ের এলোমেলো অসমাপ্তি ভালো লেগেছে। আরেকবার পড়া সার্থক।

[Shahadat Shamim · Rating 3 out of 5]

"মৃন্ময়ী" এক রহস্যময় ও আবেগঘন গল্প—যেখানে প্রেম, অতিপ্রাকৃততা আর অদ্ভুত এক মানসিক টানাপোড়েন মিলেমিশে গেছে। হুমায়ূন আহমেদের লেখনী যেমন নরম, তেমনই তীব্র । চরিত্রগুলো জীবন্ত, বিশেষ করে মৃন্ময়ী নামের মেয়েটি, যার আচরণ, উপস্থিতি ও গা-ছমছমে পরিবেশ পাঠককে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে রাখে ।

এই উপন্যাসে বাস্তবতা আর অবাস্তবতার মাঝখানে হাঁটতে হাঁটতে বারবার মনে হয়—সবকিছু কি সত্যিই ব্যাখ্যা করা সম্ভব ?

[Aishwarya Mukherjee · Rating 4 out of 5]

কিছু গল্প-উপন্যাস থাকে, যেগুলো অনেকটা "শেষ হইয়াও হইলো না শেষ" গোছের। এটাও সেই গোছের একটি ছোট্ট উপন্যাস। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রদের মধ্যে বিশিষ্ট একজন হলেন মৃন্ময়ী। বুদ্ধিমতী, চতুর একজন মানুষ। মূলত তার জীবনের এক অংশকে ঘিরেই এ উপন্যাস। স্বল্প সময়ে সহজপাঠ্য কিছু পড়তে চাইলে 'মৃন্ময়ী' পড়ে দেখতে পারেন। তবে, শেষটায় কী হবে তা পাঠককেই ভেবে বের করতে হবে। Happy reading! 🧡💚

[Sabir Chowdhury · Rating 2 out of 5]

ভাই সত্যি বলতে আমার কাছে আহামরি কিছু লাগে নাই !
অদ্ভুত লাগলো ।
অদ্ভুত ভাই , বড়লোক বাপ, বুদ্ধিমতি মেয়ে, স্যার কিসব আগডুম বাগডুম প্রেম / থিউরি !

শুধু আজহার সাহেবের কাফন কিনে দেওয়া কবর এর জায়গা কিনে রাখা এটা বেশ লাগসিলো !

তবে কাহিনী আহামরি তেমন না অনেকটা "রূপা" বইটার কাহিনীর মতো লাগলো যদিও কিছুটা মিল অমিল ! তাও যাই হোক
সবার কাছে কেন এতো এতো ভালো লাগলো তারাই জানে | হাহাহা