Bimal Mitra (bengali: বিমল মিত্র) was a prominent Bengali writer who wrote several novels. Bimal Mitra was equally adept in writing in Bengali as well as in Hindi, and has more than one hundred novels and short stories to his credit. Many of Bimal Mitra's novels have been made into successful films. One of his most popular works, Shaheb Bibi Golam (January 1953) which was adapted into a hugely popular movie
বিমল মিত্রের ক্লাসিক " সাহেব বিবি গোলাম " পড়লাম। কলকাতার উত্থান, বাংলার ইতিহাসের রসে রচিত এই উপন্যাসকে ঐতিহাসিক উপন্যাস বলব না । বরং একে একটি আর পাঁচদশটি উপন্যাসের মতো সাদাটে সামাজিক উপন্যাসই বলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব। ৪৩৮ পাতার বইটি কিন্তু দারুণ ঝরঝরে।
ক্লাসিক উপন্যাসের কথা উঠলে একদা রেলের চাকুরে নির্ঝঞ্ঝাট বিমল মিত্রের স্বাস্থ্যবান বইগুলোর কথা চলে আসে। প্রথমেই "সাহেব বিবি গোলাম" নামটি উচ্চারিত হয়। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন অনেক ভারি ভারি পাঠক।
বাংলার জমিদারদের উত্থান এবং তাদের ক্ষয়িষ্ণুতা পেয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাবার ইতিহাসকে গল্পের ঢঙে লিখেছেন বিমল বাবু। এই জমিদারশ্রেণিটির বাবু কালচারকে ধারণ করেছেন চৌধুরী বাড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে। যেখানে ওভারসিয়ার ভূতনাথ পেল্লায় এক বাড়ি ভাঙতে এসে স্মৃতিচারণ করছে বড়বাড়ির, বাংলার ইতিহাসের। গ্রাম থেকে উঠে আসা ভূতনাথ হয়ে ওঠে মূল বর্ণনাকারী। বোনের স্বামী ব্রজরাখাল কাজ করে জমিদার বাড়িতে, যাকে সারা বইতে বড়বাড়ি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই নিয়ে আসে ভূতনাথকে। ব্রজরাখালের শালা ভূতনাথ হয়ে যায় সবার শালা। অর্থাৎ তার নাম হয় শালাবাবু। সেই শালাবাবু কলকাতার বড়বাড়িতে এসে জড়িয়ে পড়ে ব্রাহ্ম পরিবার জবাদের সাথে। জবাময়ী! কী আশ্চর্যকথা যুক্তি আর সংস্কার এই দু'য়ের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে জবাময়ী। আর ভূতনাথের সাথে জবাময়ীরই বা কি সম্পর্ক?
বড়বাড়ির ছোট বৌঠান। নিজের স্বামীকে আপনার করে নিতে তার অন্যরকম পথে চলে যাওয়া। ভূতনাথের সাথে পটেশ্বরীর অনির্বচনীয় যে টান গড়ে ওঠে তার কথা অনেকদিন ভুলব না। যেমনটি ভুলব না ঘড়িবাবু বদরিকাবাবুকে। যিনি বলতেন,
" এ সংসারে যে খেলতে জানে সে কানাকড়ি নিয়েও খেলে। "
সময়কে ধারণ করতে চেয়েছেন বিমল মিত্র। সফল হয়েছেন বলব না। ব্যর্থ হয়েছেন তাও নয়। বিমল মিত্র পাঠককে সময় উপভোগ করতে শিখিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরেই বইটা হাতে তুলেছি আর রেখেছি, কিন্তু নানা কারণে পড়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু এখন বইটা শেষ করে যেন কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগছে। এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল!
আমি সর্বদাই মনে করি বৃহৎ উপন্যাস লিখতে গেলে সবার আগে যেটা দরকার সেটা হচ্ছে চরিত্র গুলোর নিখুঁত ক্যারেক্টারাইজেশন। কিন্তু এই বইয়ে লেখক যেনো তা স্বইচ্ছায় এড়িয়ে গেছেন। একমাত্র ব্রজরাখাল ছাড়া আর কাউকেই একটা নির্দিষ্ট চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে ফেলতে পারবেন না। ছোট বৌঠান তো স্বামীর জন্যেই নিজেকে বদলে ফেললেন। আর শেষ পর্যন্ত না গেলে জবাকেও বুঝতে পারবেন না। গল্পের নায়ক ভূতনাথের মতো আপনারও কাছে সে রহস্যময়ী হয়েই থাকবে।
বাংলায় জমিদার শ্রেণীর পতন আর একই সাথে মধ্যবিত্ত ও ব্যবসায়ী শ্রেণীর উথথান ও লেখক তুলে ধরেছেন। উপন্যাসের একদম শুরুতে বড়বাড়ির যে ঐশ্বর্য, ননীলালের মত ব্যবসায়ীর উথ্থানের সাথে সাথে তা ম্লান হতে শুরু করল। লেখক মূলত এখানে সমাজকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। তাতে সফল হয়েছেন নাকি হন নি তা বিজ্ঞদের জন্যই তুলে রাখুন। এই উপন্যাস মূলত দুই নারীর জীবনের এক প্রকৃত সামাজিক উপন্যাস। ছোট বৌঠানের পরিণতি হয়েছিল, যা একদিন সে নিজেই আশঙ্কা করেছিল। আর জবার জীবনের সুখী সমাপ্তিও কি খুব একটা সুখকর?
এই উপন্যাস যদিওবা লেখক লিখেছেন কালের এক ভগ্নাংশের, আমি এখানে কাল খুঁজে পাই নি, বরং কেমন যেন হারিয়ে গেছিলাম মহাকালের স্রোতে! লেখক লিখেছেন এমন করে যেখানে অতীত কোন নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা জুড়ে নেই, বরং পুরো উপন্যাস অতীত বর্তমান আর ভিবষ্যতের মিলনমেলায় মাখামাখি হয়ে গেছে। আগের দিনের সেসব জমিদারবাড়ি, তাদের হালচালের গল্প অনেক শুনেছি। কিন্তু এবার যেন নিজ চোখে দেখলাম! বড়বাড়ির এক সাক্ষী আজ, এই মুহূর্ত থেকে আমিও হয়ে থাকলাম। আগেও ভেবে অবাক হতাম, আজ আবার হলাম, যে পৃথিবীতে ভূতনাথের মত মানুষ থাকে, সেই এক ই পৃথিবীতে ননীলালেরাও ঘুরে বেড়ায়! যে আদরের যশোদাদুলালের পূজা পড়ে বড়বাড়ির বৌয়ের হাতে, আর তার কৃপা পায় এই ননীলালেরা! এসব ভেবে আগে কষ্ট হত। তবে এমন কয়েকটা বই যদি পড়ে ফেলা যায়, তবে হয়তো আমিও মহাকাল হয়ে যাব! কোন দুঃখ বা কষ্ট, আনন্দ বা উপভোগের সীমানায় আটকাবে না আর...
When I watched Sahab BiBi Gulam movie, I was amazed by acting of Minakumaari, Guru dutt, Wahida Rehmaan. But, book is classic at some another level. From story weaving to characterisation verything is at epic level. Anyone has a curiosity to know about Bengal during Independence era not as documentary, This is the book to read!
Its story narrated by a guy came to kolkata with lots of dreams,aspirations and curiosity in his eyes. He gets an accomdation and job with the help of his brother in law. He gets to know about different phyllosophy of life like Feudality, Opportunism and also the progressive views of brhamsamaj and freedom movement beacause of people around him. Its delightfull to read about Kolkata, industralism and role of bengaal in freedom movement during that time frame. Every character has their own story, everyone tries to find themeselves in their own ways. Its documentation of that time, evolving traditions. We reader gets to know about roots of communism of bengal.
বিমল মিত্রের প্রথম কোনো উপন্যাস পড়লাম। মূলতঃ ভূতনাথ নামের এক ওভারসিয়ারের বর্ণনায় কাহিনি এগিয়েছে। জমিদারী প্রথার অবক্ষয় ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির উত্থান চমৎকারভাবে উঠে এসেছে বইটাতে। লেখক বেশ দক্ষতার সাথে কলকাতা নগরীর সে সময়টাকে ধারণ করতে পেরেছেন।
বিমল মিত্রের অন্যতম অনবদ্য এক সৃষ্টি সাহেব বিবি গোলাম। সাহেব থেকে গোলাম,গোলাম থেকে সাহেব পর্যায়ে যাওয়ার এক অদ্ভুত খেলা, জমিদারির অবসান,অন্দরমহলের নারীদের দুর্দশা, ব্রাহ্ম্য ও হিন্দু সমাজের মধ্যে প্রাচীন সেই দ্বন্ধ নিয়েই রচিত এই উপন্যাসটি।
এ বইয়ের কাহিনিকে চার তারা দেয়া যায় না... বিরহী, দু:খী, দুর্বল বাংলা নায়ক আমার পছন্দের জিনিস নয় তা সাহিত্যেই হোক কী বাস্তবে। কিন্তু এই বই বাংলার ইতিহাসের, কলকাতার জমিদার সমাজের, একটা বিশেষ সময়ের যে ঐতিহাসিক চিত্রকল্প এঁকেছে, সমাজের উঁচু মহল থেকে শুরু করে নিচু মহলের নারীদের পোশাক থেকে ভাষার যে রূপ ফুটিয়ে তুলেছে তা আমার কাছে বিস্ময়কর ছিলো পড়বার বয়সে।
'কড়ি দিয়ে কিনলাম' পড়তে এমনকি বাবাও বলেছে। শুনেছি বাংলার অন্যতম ঐতিহাসিক উপন্যাস সেটা। পড়বার ইচ্ছা আছে, শুধু সাহেব বিবি গোলাম পড়বার পরের তীব্রতা মনে করে মানসিক অস্থিরতা বাড়াতে চাইনা বলেই সাহস করে পড়া হয়ে ওঠেনি এখনো।
বিমল মিত্রের লেখা প্রথম কোনো বই পড়লাম। অনেক দিন যাবত এতো মোটা বই পড়িনি। সেক্ষেত্রে এই বইটা চারদিনে পড়ে ফেলেছি- তার মানেই হচ্ছে এই বইটার ভাষা খুব ঝরঝরে!
এই ক্লাসিক উপন্যাসটিকে পুরোপুরি ঐতিহাসিক বলা যাবে না। নদীয়ার ফতেপুরের এক পুরোদস্তুর গ্রামের ছেলের ভাষায় কোলকাতার বনমালি সরকার লেনের বড়বাড়ির সমৃদ্ধ অবস্থা থেকে কালের বিবর্তনে আধুনিকতার ছোয়া কিংবা ঝাপটায়য় সবকিছু এলোমেলো হবার গল্প!
ব্যক্তিগত ভাবেই আমার এরকম নরম সরম লোক পছন্দ নয় নায়ক হিসেবে। সে হোক বইয়ের পাতায় কিংবা বাস্তবজীবনে। সে জন্যই হয়তো ভূতনাথ চক্রবর্তীকে খুব বেশি পছন্দ হয় নি কিন্তু জবাকে কেন শেষ পর্যন্ত সবটা খুলে বললো না সে, এই নিয়ে একটা আক্ষেপ থেকেই যাবে।
ভূতনাথের সাথে চোরকুঠুরি হোক বা কোলকাতার পুরোনো রাস্তায় একটা সফর মতোন হয়েছে, এই বইটা পড়তে গিয়ে! সেই কোলকাতা আজ আর নেই, তবুও কখনো কোলকাতা গেলে একবার বনমালি সরকার লেন দেখতে ইচ্ছে করবে এইটুকু বলতে পারি! সেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে হয়তোবা প্রকাশ ময়রা, ছোটো বৌঠান, মেজবাবু, ছুটুকবাবু, বৃন্দাবন, চুনীদাসী কিংবা বংশী-চিন্তার কথাও একটু একটু মনে পড়বে।
সময় পেলে এই বইটা আমি আরেকবার পড়বো।বইটা সুন্দর এবং সুপাঠ্য ❤
जिस जगह ने अनजान शहर में पनाह दी, वक़्त के फेर ने उसे ही गिरवाने का आदेश दे दिया। जाने कितनी है यादें रहीं, कितना मोह था इस महल से। छोटी बहू का अपनापन, वंशी की कभी ना खत्म होने वाली बातें और भी जाने क्या क्या।
ಈ ಪುಸ್ತಕ ಬಂಗಾಳಿ ಸಾಹಿತ್ಯದಲ್ಲಿ ಕೇಳಿಬರುವ ಅದ್ಭುತ ಪುಸ್ತಕ. ಮುಂದೆ ಅದೇ ಕಾದಂಬರಿಯ ಮೇಲೆ ಹಿಂದಿಯಲ್ಲಿ ಮೂಡಿಬಂದ ಚಲನಚಿತ್ರವೂ ಯಶಸ್ವಿಯಾಗಿ ಓಡಿತ್ತು. ಅಧಿಕಾರ ಎಂಬ ಮದ ಏರಿದ ಮಾನವ ಅವನತಿಯತ್ತ ಸಾಗುವ ಕಥನವಿದು. ೧೯ನೇ ಶತಮಾನದಲ್ಲಿ ಕಲ್ಕತ್ತಾ ನಗರದಲ್ಲಿ ಶ್ರೀಮಂತರ ಹಾಗೆ ಬಡವರೂ ಇದ್ದರು. ಆ ಬಡವರಲ್ಲಿ ಬಹಳಷ್ಟು ಜನ ಸಿರಿವಂತರ ಸಹಾಯಕರಾಗಿ, ಗುಲಾಮರಾಗಿ ತಮ್ಮ ಜೀವನವನ್ನು ನಡೆಸುತ್ತಿದ್ದರು. ಕಲ್ಕತ್ತಾ ನಗರದಲ್ಲಿ ಚೌಧರಿ ಎಂಬ ಜಮೀನ್ದಾರ ದೊಡ್ಡ ಹವೇಲಿಯಿದೆ. ಅಲ್ಲಿ ಎಷ್ಟ ಕೋಣೆಗಳಿವೆಯೋ ಆ ಜಮೀನುದಾರರಿಗೇ ಗೊತ್ತಿಲ್ಲ. ಅವರ ಆಸ್ತಿಯ ಬಗ್ಗೆ ಅವರಿಗೆ ಅರಿವಿರದಷ್ಟು ಇದೆ ಅವರಲ್ಲಿ. ಅದಕ್ಕಾಗಿ ಸದಾ ನಶೆಯಲ್ಲಿ ಅಲ್ಲಿಯ ಗಂಡಸರು ತೇಲಾಡುತ್ತಿರುತ್ತಾರೆ. ಅಲ್ಲಿ ಬಡೇ ಬಾಬು, ಛೋಟೆ ಬಾಬು ಮತ್ತು ಚುಟಕ್ ಬಾಬು ಅಣ್ಣ ತಮ್ಮಂದಿರು. ಅವರಿಗೆ ಬೇರೆ ಹೆಸರಿದ್ದರೂ ಅಲ್ಲಿಯ ಜನರಿಗೆ ಅವರು ಚಿರಪರಿಚಿತರಾಗಿದ್ದು ಈ ಹೆಸರುಗಳಿಂದಲೇ. ಭೂತನಾಥ ವಿದ್ಯಾವಂತ ಹುಡುಗ ಕೆಲಸಕ್ಕಾಗಿ ಕಲ್ಕತ್ತೆಗೆ ಬರುತ್ತಾನೆ, ಅಲ್ಲಿ ಅವನ ಸೋದರಮಾವನ ಮನೆಯಲ್ಲಿ ಉಳಿದುಕೊಂಡಿರುತ್ತಾನೆ. ಅವನ ಸಹಾಯದಿಂದಲೇ ಮೋಹಿನಿ ಸಿಂಧೂರ ಎಂಬ ಕುಂಕುಮದ ಫ್ಯಾಕ್ಟರಿಯಲ್ಲಿ ಗುಮಾಸ್ತನಾಗಿ ಕೆಲಸಕ್ಕೆ ಸೇರುತ್ತಾನೆ. ಅಲ್ಲಿ ಆರಾಮಾಗಿ ಅವನಿದ್ದಾಗ ನಿಧಾನವಾಗಿ ದೊಡ್ಡಮನೆಯ ಪರಿಚಯ ಅವನಿಗಾಗುತ್ತದೆ. ಅಲ್ಲಿಯ ಛೋಟಿಬಹೂ(ಕಿರಿಸೊಸೆ) ಅವನಿಗೆ ಇಷ್ಟವಾಗುತ್ತಾಳೆ. ಅವಳ ಸರಳತೆ, ಮಾತನಾಡುವ ಶೈಲಿಗೆ ಅವನಿಗೆ ಅವಳ ಮೇಲೆ ತುಂಬಾ ಗೌರವ ಮೂಡುತ್ತದೆ. ಅವಳ ಗಂಡ ಛೋಟೆಬಾಬು ಕುಡಿತಕ್ಕೆ ಮತ್ತು ಒಂದು ಹೆಣ್ಣಿಗೆ ಬಲಿಯಾಗಿರುತ್ತಾನೆ. ಅವನು ಸಾಧಾರಣವಾಗಿ ಮನೆಯ ಹೊರಗೆ ಆ ಹೆಣ್ಣಿನ ಮನೆಯಲ್ಲಿಯೇ ಸಮಯವನ್ನು ಕಳೆಯುತ್ತಿರುತ್ತಾನೆ. ಛೋಟಿಬಹೂಗೆ ಈ ದುಃಖವನ್ನು ಯಾರ ಮುಂದೆ ತೋಡಿಕೊಳ್ಳಬೇಕೆಂದು ಚಿಂತಿಸುತ್ತಿರುವಾಗ ಅವಳಿಗೆ ಸಿಕ್ಕವನು ಭೂತನಾಥ. ಛೋಟಿಬಹೂ ಅವನ ಮುಖಾಂತರ ಮೋಹಿನಿ ಸಿಂಧೂರವನ್ನು ತರಿಸಿಕೊಂಡು ಹಚ್ಚಿಕೊಳ್ಳಲು ಪ್ರಾರಂಭಿಸುತ್ತಾಳೆ. ಅದರಿಂದ ಅವಳ ಗಂಡ ತನ್ನೊಡನೆಯೇ ಉಳಿಯುವನೇನೋ ಎಂಬ ನಂಬಿಕೆಯಿಂದ. ಅದು ಸ್ವಲ್ಪ ದಿನಗಳ ನಂತರ ನಿಜವೂ ಆಗುತ್ತದೆ. ಅದಕ್ಕಾಗಿ ಅವಳಿಗೆ ಅವನು ಇನ್ನೂ ಸನೀಹವಾಗುತ್ತಾನೆ. ಆದರೆ ಕೆಲದಿನಗಳ ನಂತರ ಛೋಟೆಬಾಬು ಮತ್ತೆ ಮನೆಯನ್ನು ಬಿಡುತ್ತಾನೆ. ಛೋಟಿಬಹೂ ಎಷ್ಟೇ ಪ್ರಯತ್ನ ಪಟ್ಟರೂ ಅದಾಗುವುದಿಲ್ಲ, ಕೊನೆಗೆ ಛೋಟೆಬಾಬು ಒಂದು ಷರತ್ತು ಹಾಕುತ್ತಾನೆ ಅವಳು ಅವನೊಂದಿಗೆ ಮದ್ಯವನ್ನು ಸವಿದರೆ ಅವನು ಮನೆಯನ್ನು ಬಿಟ್ಟು ಹೋಗುವುದಿಲ್ಲ ಎನ್ನುವುದು ಷರತ್ತು. ಪತಿಯ ಒಳಿತಿಗಾಗಿ ಏನು ಬೇಕಾದರೂ ಮಾಡಲು ಸಿದ್ಧವಿದ್ದ ಛೋಟಿಬಹೂ ಮುಂದೆ ಈ ಮದ್ಯ ಕುಡಿಯುದು ಯಾವ ಮಹಾ. ಆದರೆ ಮುಂದೆ ಅವಳು ಕುಡಿತಕ್ಕೆ ಬಲಿಯಾಗುತ್ತಾಳೆ. ಇತ್ತ ಮೋಹಿನಿ ಸಿಂಧೂರ ಒಡೆಯ ಸುವಿನಯಬಾಬುವಿಗೆ ಒಬ್ಬಳೇ ಮಗಳು ಜವಾ. ಅವಳಿಗೆ ಭೂತನಾಥನ ಮುಗ್ಧತನ ಬಹಳ ಹಿಡಿಸಿತ್ತು. ಕಲ್ಕತ್ತೆಯಂತಹ ದೊಡ್ಡ ನಗರದಲ್ಲಿ ಇಂತಹ ಭೋಳೆ ಹುಡುಗನನ್ನು ನೋಡಿದಾಗ ಅವಳಿಗೆ ಅವನ ಬಗ್ಗೆ ಸಲುಗೆ ತಾನಾಗಿಯೇ ಬಂದಿತ್ತು. ಆದರೆ ಕ್ರಮೇಣ ಭೂತನಾಥ ದೊಡ್ಡಮನೆಯ ಸಹವಾಸ ಮಾಡಿದಾಗಿನಿಂದ ಜವಾಳ ಜೊತೆಗಿನ ಸಂಪರ್ಕವನ್ನು ಕಡಿಮೆ ಮಾಡಿಕೊಂಡಿದ್ದ. ಹೀಗೆ ದಿನಗಳು ಸಾಗಲು ಸುವಿನಯಬಾಬು ಹಾಸಿಗೆ ಹಿಡಿಯುತ್ತಾರೆ. ಮೋಹಿನಿ ಸಿಂಧೂರ ಕಾರ್ಖಾನೆಯೂ ಮುಚ್ಚಲ್ಪಡುತ್ತದೆ. ಅವರ ಇಚ್ಛೆಯಂತೆ ಸುಪವಿತ್ರಬಾಬುವಿನ ಜೊತೆ ಜವಾ ಮಾಡುವೆ ನಿಷ್ಕರ್ಷೆಯು ಆಗುತ್ತದೆ. ಮನನೊಂದ ಭೂತನಾಥ ಜವಾಳನ್ನು ಕಡೆಗಣಿಸುತ್ತಾನೆ. ಹಾಗೆಯೇ ಮುಂದೆ ಅವನು ದೊಡ್ಡ ಸಿವಿಲ್ ಇಂಜಿನಿಯರ್ ಆಗಿ ಹಲವು ಊರುಗಳಲ್ಲಿ ಕೆಲಸ ಮಾಡಿ ಪ್ರಸಿದ್ಧಿ ಗಳಿಸುತ್ತಾನೆ. ಕೆಲದಿನಗಳ ನಂತರ ಕಲ್ಕತ್ತೆಗೆ ಬಂದಾಗ ಅಲ್ಲಿ ವನಮಾಲಿ ಸರ್ಕಾರ ಲೇನಿಗೆ ಬಂದು ಹವೇಲಿಯ ಚಿತ್ರಣವನ್ನು ಕಂಡಾಗ ಅವನ ಮನಸು ನೋಡುಕೊಳ್ಳುತ್ತದೆ. ಒಂದು ಕಾಲದಲ್ಲಿ ಸಿರಿತನದಿಂದ ಕಂಗೊಳಿಸುತ್ತಿದ್ದ ಹವೇಲಿ ಸ್ಮಶಾನದಂತಾಗಿರುತ್ತದೆ. ಛೋಟೆಬಾಬು ರೋಗದಿಂದ ಹಾಸಿಗೆ ಹಿಡಿದಿರುತ್ತಾನೆ. ಬಡೇಬಾಬು ತಮ್ಮ ಅತ್ತೆಮನೆಗೆ ಪಲಾಯನ ಮಾಡಿರುತ್ತಾರೆ, ಚುಟಕ್ ಬಾಬು ಸಾವನ್ನಪ್ಪಿರುತ್ತಾನೆ. ಛೋಟಿಬಹೂ ತನ್ನ ಬಂಗಾರದ ಒಡವೆಗಳನ್ನು ಮಾರಿ ಕುಡಿಯುತ್ತಿರುತ್ತಾಳೆ. ಭೂತನಾಥನನ್ನು ಕಂಡಾಗ ಅವನ ಮುಂದೆ ತನ್ನದೆಲ್ಲ ಸ್ಥಿತಿಗತಿಯನ್ನು ಹೇಳಿಕೊಂಡು ದುಃಖಿಸುತ್ತಾಳೆ. ಭೂತನಾಥ ಅಲ್ಲಿ ಬಿಟ್ಟು ಸುವಿನಯಬಾಬು ಮನೆಗೆ ಹೋದಾಗ ಅವರೂ ಮರಣಶಯ್ಯೆಯಲ್ಲಿರುತ್ತಾರೆ. ಭೂತನಾಥ ಜವಾಳನ್ನು ತನ್ನನ್ನು ಮದುವೆ ಮಾಡಿಕೊಳ್ಳುವ ಪ್ರಸ್ತಾವನೆಯನ್ನು ಇಡುತ್ತಾನೆ. ಆದರೆ ಜವಾ ತನ್ನದು ಆಗಲೇ ಬಾಲ್ಯವಿವಾಹ ಆಗಿರುತ್ತದೆಯೆಂದು ಹೇಳುತ್ತಾಳೆ. ಭೂತನಾಥ ಅದರ ಶೋಧನೆ ಮಾಡಿದಾಗ ಅವನಿಗೆ ನಿಗೂಢ ಗೊತ್ತಾಗುತ್ತದೆ! ಅದನ್ನು ನೀವು ಓದಲೇಬೇಕು! ಛೋಟಿಬಹೂ ಆ ಸಂಜೆ ಹೊರಗೆ ಹೋಗಿಬರೋಣವೆಂದು ಭೂತನಾಥನಿಗೆ ಹೇಳಿಕಳುಹಿಸುತ್ತಾಳೆ. ಅವರಿಬ್ಬರೂ ಗಾಡಿಯಲ್ಲಿದ್ದಾಗ ಬಡೇಬಾಬು ಜನರು ಬಂದು ಅವರಿಬ್ಬರನ್ನೂ ಹೊಡೆದು ಹೊರಗೆ ಹಾಕುತ್ತಾರೆ. ಭೂತನಾಥ ಆಸ್ಪತ್ರೆಯಲ್ಲಿ ಕಣ್ಣು ತೆರೆದು ಮುಂದೆ ತನ್ನ ಕೆಲಸಕ್ಕಾಗಿ ಊರು ತೊರೆಯುತ್ತಾನೆ. ಕೊನೆಗೆ ಅವನಿಗೆ ಈ ಹವೇಲಿಯನ್ನು ಒಡೆಸಿ ಅಲ್ಲಿ ಬೇರೆಯ ಯೋಜನೆಯನ್ನು ಮಾಡಿರುತ್ತಾರೆ ಸರಕಾದವರು. ಹಾಗಾದರೆ ಎಲ್ಲಿ ಹೋದಳು ಛೋಟಿಬಹೂ? ಜವಾ ಈಗ ಎಲ್ಲಿದ್ದಾಳೆ? ದೊಡ್ಡಮನೆ ಮತ್ತೆ ಮರಳಿ ತನ್ನ ರಸತ್ವವನ್ನು ಪಡೆಯುತ್ತದೆಯೇ? ಇವೆಲ್ಲ ಪ್ರಶ್ನೆಗಳಿಗೆ ಉತ್ತರಗಳನ್ನು ನೀವು ಪುಸ್ತಕವನ್ನು ಓದಿಯೇ ತಿಳಿಯಬೇಕು! ಕುವೆಂಪು ಭಾಷಾ ಭಾರತಿಯಲ್ಲಿ ಈ ಪುಸ್ತಕ ಲಭ್ಯ. ಮಳಿಗೆ ಮತ್ತು online ಎರಡರಲ್ಲಿ ಲಭ್ಯ. ಓದಿ ಆನಂದಿಸಿ.
Most of my reading is done in English but every once in a while I pick up a book in Hindi to make sure that I can still read in my mother-tongue. The reading experience itself is so different for me, the texture, the universe, it really becomes like I am inhabiting a slightly different world. Just finished reading this Hindi translation of the famous Bangla novel. I picked it up because of the movie, of course. Such a classic with amazing performances by Meena Kumari and Guru Dutt. The book however, is a classic at another level. A very good example of however good a movie adaptation might be, it rarely captures the multiple layers and threads of the book. The book is not just a story of Chhoti Bahu, the neglected youngest daughter-in-law of a rich zamindar family that is fast spiralling down towards relative penury and oblivion. Her attempt to seek her husband’s attention that eventually turns her into an alcoholic has a bitter tragic end. And this though a significant part of the narrative is not all that the book is about. For me the book is about the city of Calcutta at the threshold of a new century seen through the eyes of Bhootnath, a naive rustic youth freshly arrived in the city of his dreams. Through him we learn of the different strata of society, the rich landlords and their minions, the Brahmosamajis with their still unaccepted abstinence from idol worship and other rituals, the growing popularity of Swami Vivekanand and the youth wings of his followers versus the monks of Belur, the people on the street- the struggling halwai turned matchmaker, the labourers who on one hand are happy with the rapid development of the city as it means more work but on the other have to lose their houses as bastis are cleared to make way for houses for the burgeoning middle-class. It is a prism to a society and a city that is changing, and how! Oh, and for all those who have seen the movie, the love story between Bhootnath and Jaba does not end the same way in the book.
কে সাহেব বিবি আর কে গোলাম? প্রথমে মনে হয়েছিল সাহেব বিবি বুঝি ইংরেজ আর এদেশের জনগণ গোলাম। কিন্তু পড়তে পড়তে বুঝতে পারলাম লেখক সাহেব বিবি বলতে এদেশের ই ধনে মানে যারা উচ্চ স্থানীয় তাদের বুঝিয়েছেন।
বনমালী সেন লেনের বড়বাড়ি এই বই এর মূল ঘটনাস্থল আর ভূতনাথ নায়ক কিংবা বলা চলে এই উপন্যাসের "গোলাম"। কিভাবে কলকাতায় এসে এই বিশাল বাড়িতে ভূতনাথ স্থান পায়, কিভাবে সে টিকে থাকে, কিভাবে বৌঠান আর জবার সান্নিধ্যের লোভে তার দিন কাটে সেটাই বিমল কর সময়ের পরিক্রমায় তুলে ধরেছেন ১৮০০ শতাব্দীর প্রেক্ষাপটে। ভূতনাথ কে ঔপন্যাসিক বর্ণনা করেছেন স্বল্প ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এক চরিত্র হিসেবে যাকে যে কোন প্রয়োজনে পাশে পাওয়া যায় আবার তীক্ষ্ম বাক্যবাণে বিদ্ধ করলেও যে সহ্য করে যায়। তার আরাধ্য বস্তুটা সে অধিকারী হওয়া সত্বেও শেষ পর্যন্ত পায় না। পাবে কি করে? গোলাম তো বঞ্চনাতেই প্রকৃত গোলাম হয় ওঠে!
ইতিহাস থেকে মাঝে মাঝে উপন্যাসে মুখ বাড়িয়েছেন রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র, নিবেদিতা,কখনো বা রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু তারা এসেছেন কেবল সময় সচেতনতা সৃষ্টি করতে ইতিহাস শেখাতে নয়। বঙ্গভঙ্গ , রাখি, স্বদেশী আন্দোলন ও ছোট ছোট করে জায়গা পেয়েছে ইতিহাস আশ্রিত এ উপন্যাসে।
সাবলীল উপন্যাস হলেও মাঝে মাঝে বর্ণনা এবং স্মৃতিকাতরতার আতিশয্য একটু বিরক্তির উদ্রেক করে বৈকি!
অনেক আগ্রহ নিয়ে বইটি পড়া ধরেছিলাম কারণ এই উপন্যাসেরই পরবর্তী উপন্যাস "কড়ি দিয়ে কিনলাম" আমার মায়ের খুব প্রিয় ছিল। কাহিনীটি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ইংরেজদের আসার পর সেই সময়ের জমিদারদের পতন আর বাংলার সমাজের পরিবর্তন দেখানো হয়েছে অনেক আবেগ দিয়ে। কিন্তু গল্পের কিছু জিনিস আমার ভালো লাগেনি। প্রথমত, গল্পে বড়বাড়ির পতন ভূতনাথের চোখে দেখাতে গিয়ে খুব বেশি তাড়াহুড়ো করা হয়েছে যা আমার বাস্তবসম্মত মনে হয়নি। দ্বিতীয়ত, পটেশ্বরী বৌঠানের গল্পের শুরুতে যেমন বর্ণনা দেয়া হয়েছে তার সাথে তার পরবর্তী কার্যকলাপ একেবারেই বেমানান লেগেছে। তাকে দেখানো হয়েছিল সব বউদের থেকে আলাদা এবং সে ছিল শিক্ষিত। একজন বিদূষী নারী শুধুমাত্র তার স্বামীর (যার তেমন কোনো গুণের পরিচয়ই পুরো গল্পে আমি পাইনি) ভালোবাসা পাওয়ার জন্য নিজেকে নেশাগ্রস্ত করবে এবং সেই নেশা থেকে বের হয়ে আসতেও অপারগ হবে এমনটা একেবারেই কাম্য নয় এবং তার দুর্বল ব্যক্তিত্বেরই পরিচায়ক। বাইরের দুনিয়ায় কি হচ্ছে তা নিয়ে বৌঠানের উদাসীনতাও তাকে কোনোভাবেই বড়বউ বা মেজোবউয়ের থেকে উচ্চ আসন দিতে পারেনি। ভূতনাথের চরিত্রও খুব দৃঢ় মনে হয়নি, যদিও জবাকে শেষ পর্যন্ত মিথ্যে বলার সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানাই। শেষ অংশে বৌঠানের মৃত্যু করুণ হলেও আমি মনে করি এটা ভূতনাথের বোকামির ফল। সে জানত তাকে এবং বৌঠানকে নজরে রাখা হয়েছে, তারপরও তার বৌঠানকে নিয়ে ওভাবে বেরোনোটা ছিল পুরোপুরি নির্বুদ্ধিতা।
বিমল মিত্রের এই উপন্যাসটা বহু আগে ছোটবেলায় পড়েছিলাম। এখন আবার পড়লাম। এক কথায় সেরা! লেখক প্রথমেই যখন বড়বাড়ির বর্ণনা দিচ্ছিলেন ভূতনাথকে দিয়ে, তখনই মনে হচ্ছিলো এই জমিদার বাড়ি নিয়ে বেশ ভালো একটা কাহিনী আছে। শেষ করার পর মনে হলো আসলেই খাসা একটা উপন্যাস লিখেছেন বিমল মিত্র। গল্প বলার ঢংটা বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন উনি। বদরিকাবাবুর ঘড়ি নিয়ে বারংবার ভবিষ্যদ্বাণী বড়বাড়ির যে করুণ পরিণতির ইঙ্গিত করছিল শেষ পর্যন্ত তাই হলো। লেখক তৎকালীন জমিদার বাড়ির প্রথা, ভোগ -বিলাসিতা, প্রজাদের প্রতি নির্মমতা সব এই উপন্যাসে ফুটিয়ে তুলেছেন। এই নামে উত্তম কুমার অভিনীত একটা সিনেমাও আছে। আশা করি সবার ভালোই লাগবে। হ্যাপি রিডিং।
এই বছরের শেষতম বই বিমল মিত্রের সাহেব বিবি গোলাম। বিরাট কলেবরের উপন্যাস। লেখক ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ আর বিংশ শতাব্দীর শুরুর দশকের গল্প বলতে চেয়েছেন এখানে। এই গল্পে রামকৃষ্ণ মিশন, বিবাকানদ দর্শন উঠে এসেছে গল্পে, একই সাথে তৎকালীন জমাদরী সমাজে সামাজিক অবক্ষয়, ধ্বংসের গল্পও বলা হয়েছে। ভুতনাথ এই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র। যে কলকাতায় এক জমিদার বাড়ির আশ্রয়ে থাকে। সেখানে জমিদার বংশের পুরুষেরা বিলাসবহুল জীবনযাপন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। জমিদারির সাথে তাদের কোন যোগসূত্র নেই। বাইজি নিয়ে প্রমোদে মত্ত থাকে এরা। অন্যদিকে ছোটবউয়ের মতো জমিদার গিন্নিরা খুড়ে খুড়ে মরে অন্তপুরে। এই উপন্যাসটা একটা সময়ে চিত্র। এই লেখাটা ভালো লেগেছে।
The book is ethereal and gives a detailed insight of rich households/ landlords lives in early British era. The book is set in kolkata and talks about mainly the plight of women who were then married early ( 10+ years was considered old) to a guy who were atleast bin their twenties. The story telling is very rustic and needs a good command over hindi to read and understand it. Nonetheless I believe it's an experience to read this and live that era with "Bhootnath Chakorborty" with his thoughts that sometimes feel like ramblings of past.
The novel is very multi layered and touches religion, love, desire, greed, class and caste distinctions, freedom movement and the changing of society due to technology introduced by British in the 19th century.
There are many characters who tell their own stories and their stories merge into the overall narrative.
I loved the life and values as described in the late 18th and early 19th century. People were so simple, religious and feared upper castes and zamindars and were thankful to just exist under their oppression.
বিমল মিত্রের এই সুপরিসরের বইটি পড়ার সময় প্রথম অর্ধেক অনেক ঝরঝরে লেগেছিল। কোথাও হোঁচট খাইনি। সব কিছু জলের মত পরিষ্কার ছিল। যেইনা অর্ধেক শেষ হলো তারপর যেনো লেখক সময়টাকে ঠিকভাবে ধরে রাখতে পারেন নি। হঠাৎ করে এক কাহিনি আরেক কাহিনিতে চলে গেল। এক কাহিনি পুরো শেষ না করে লেখক বলতেন, "সে কথা এখন থাক"। এভাবে কাহিনি থাকতে থাকতে অনেক কাহিনি "ঋণ" হিসেবে জমে যেত ফলে বিরক্তিও লাগত। তবে সবকিছুর শেষে উপকাহিনিটা ভালই লেগেছিল। উপকাহিনিতে সবকিছুর যবনিকাপাত দেখা গেল।
সত্যি অসাধারণ এক কাজ। বঙ্কিম, রবীন্দ্রনাথ, বা শরৎচন্দ্রের পরবর্তী যুগে লেখকদের মধ্যে যে রিয়ালিজম দেখা দিয়েছিল তা বিমল মিত্রের সাহেব বিবি গোলাম ও শঙ্করের চৌরঙ্গীতে ধরা পরে। এই উপন্যাসে সেকালের কলকাতার বাবু শ্রেণীর অবক্ষয়ের রূপ প্রকাশ পায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই সময়/প্রথম আলোতে সেটা ঠিক ধরা পরে না। সেই সময় বা প্রথম আলোতে বাবু সংস্কৃতিকে অনেকটাই মসৃণ করে গ্রহণযোগ্য করা হয়েছে। এখানে কিন্তু কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে - রূপক ও আক্ষরিক দুই অর্থেই!
What a brilliant novel ….. read such an outstanding book after a long time …. Amazing prose …. Such is the smooth flow that you won’t realise when you have turned a page …. Character build up is awesome …. So is the plot …. Truly deserved a Nobel (as mentioned by Indira Devi in the foreword of this work)
এই নিয়ে বইটি তিনবার পড়লাম। যখনই পড়ি চোখের সামনে বাংলার জমিদারদের উত্থান এবং তাদের ইতিহাসের দৃশ্য ভেসে উঠে । বিমল মিত্রের লেখা অনবদ্য সৃষ্টি এই বইটিতে ফুটে উঠেছে সাহেব থেকে গোলাম,গোলাম থেকে সাহেব হওয়ার এক অদ্ভুত খেলা ।
কলিকাতার ইতিহাস একটা বনেদি বাড়ির প্রেক্ষাপটে, সেখানে কেউ সাহেব, কেউ বিবি আর কেউ গোলাম, ব্রজরাখাল এর মতই "ওরা হলে গিয়ে সাহেব বিবি আর আমরা হলাম গোলাম—ওদের সঙ্গে অত দহরম-মহরম ভালো নয়".. অসাধারণ লাগলো, একনিমেষে শেষ করলাম বই টা পড়া!
ক্লাসিক বই সবই আমার খুব পছন্দের, পড়তে ভীষণ ভালোবাসি বা খুব বুঝি এটা বলার মত বড়ো আঁতেল আমি নই। কিন্তু এটা পড়ার পর বুঝলাম কেন ছোট থেকে বাবা বারবার বিমল মিত্রের লেখা পড়তে বলতো, কি অসম্ভব সৌন্দর্য লুকিয়ে ছিল। পুরনো কলকাতা আর তার মানুষগুলোকে এত জীবন্ত করে তুলে ধরেছেন যেন মনে হয় এসব আমারই সামনে ঘটে চলছে। আমাকে দেখাতেই তো এত আয়োজন। আমিই ভূতনাথ, পটেশ্বরী বৌঠান, আবার আমিই যেন জবা। আর বেস্ট character development যদি কারো হয়ে থাকে সে ভূতনাথ, অসাধারণ just। গল্পের protagonist অবশ্যই কলকাতা, তখনকার কলকাতা। কতটা পথ পেরিয়ে এসেছি ইতিহাসের তাই না?!