Jibanananda Das (bn: জীবনানন্দ দাশ) is probably the most popular Bengali poet. He is considered one of the precursors who introduced modernist poetry to Bengali Literature, at a period when it was influenced by Rabindranath Tagore's Romantic poetry. During the later half of the twentieth century, Jibanananda Das emerged as the most popular poet of modern Bengali literature. Popularity apart, Jibanananda Das had distinguished himself as an extraordinary poet presenting a paradigm hitherto unknown. It is a fact that his unfamiliar poetic diction, choice of words and thematic preferences took time to reach the heart of the readers. Towards the later half of the twentieth century the poetry of Jibanananda has become the defining essence of modernism in twentieth century Bengali poetry.
'...আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না; আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে, পৌঁছে অনেকক্ষণ বসে অপেক্ষা করবার অবসর আছে। জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা অন্য সবাই বহন করে করুক; আমি প্রয়োজন বোধ করি না...... আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে নক্ষত্রের নিচে।'
(জুয়ান বয়সে) কতকিছু হারালাম এই জীবনবাবুর ঘোরে, হাহ। তবু এখনো, পায়ের চিহ্ন সেদিকেই চলে যায় কী গভীর সহজ অভ্যাসে!
সুজাতাকে ভালোবাসতাম আমি — এখনো কি ভালোবাসি? সেটা অবসরে ভাববার কথা, অবসর তবু নেই; তবু একদিন হেমন্ত এলে অবকাশ পাওয়া যাবে এখন শেলফে চার্বাক ফ্রয়েড প্লেটো পাভলভ ভাবে সুজাতাকে আমি ভালোবাসি কি না।
জীবনানন্দের জীবনে আনন্দ ছিল কি না, নাইন-টেনে তা আমার বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ট্রাম দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু বা আত্মহত্যার কথা জানার পর। তখন আমি নিজের কবিপ্রতিভা আবিষ্কারের নেশায় একের পর অখাদ্য লিখে যাচ্ছিলাম। কবি এবং কবিতা তখনও বুঝতাম না, এখনও বুঝি না। তবুও কবিতা ভাল লাগত। ভাল লাগত শব্দের মূর্ছনা, ভাল লাগত অনুভূতির গভীরতা। ভাল লাগত তাদের স্রষ্টাদের। তাই এক কবির আত্মহত্যা প্রশ্ন জাগাত মনে।
কবি কেন আত্মহত্যা করবেন? তিনি কি দুঃখী ছিলেন? ছিলেনই তো। বনলতা সেন তো মাত্র একদণ্ড শান্তিই দিয়েছিল তাকে। প্রেম আর প্রেমিকার বদলে তাই তো তার বেশিরভাগ কবিতায় এসেছে বেহুলা, বা শঙখমালারা। তাই তো তিনি গোলাপের বদলে নাটার রং আর লেবুর শাখা নিয়েই লিখে গেছেন কবিতা।
স্কুলজীবনের সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ঠিক না হলেও খানিকটা ঠিক ছিল সম্ভবত। ব্যক্তিগত জীবনে খানিকটা দুঃখীই ছিলেন তিনি। আর কলকাতার নাগরিক জীবনে তিনি নাগরিকদের আনন্দ-প্রেম-আশা-হতাশা আর স্মৃতিকারতাকেই সম্ভবত বহন করতেন, আজ যা আমরা করি। তাই আজ জীবনানন্দেই জীবনের আনন্দ খুঁজে পাই।
নাগরিক জীবনে আজ আমিও কল্পনায় যাই ফিরে, প্রিয় তিতাসের তীরে। ভোরের আকাশে নাটার রঙের মত সূর্যোদয় খুঁজি। নাগরিক প্রেমে বনলতা সেনকে খুঁজে বেড়াই, সুরঞ্জনাকে বলি, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি। জীবনে নেমে আসা অদ্ভুত আঁধার দেখে তাই আজ জীবনানন্দেই সমাধান খুঁজে পাইঃ
"আজকের জীবনের টুকরো টুকরো মৃত্যু আর থাকত না; থাকত না আজকের জীবনের টুকরো টুকরো সাধের ব্যর্থতা আর অন্ধকার; আমি যদি বনহংস হতাম, বনহংসী হতে যদি তুমি।"
The first time I had come across anything written by this poet laureate of Bengali literature (Tagore is different and is unique enough to be aloof from any comparison per Se) was a poem 1946-47 as part of the curriculum of Bengali at Higher Secondary level. I had found the language dark, pain-ridden, and yet full of that everlasting-yet-soothing cold that mountaineers identify as death. In the hot throes of teen-age (yes, even a mouldy bureaucrat like me had those days) I had decided to avoid this poet for good. But luck brought me back to his orbit, as I had to deal with "Banalata Sen", and then this book, again as part of curriculum, but this time of Bengali Literature for Civil Services exam. I found the going tough because the language was full of colours and images that I loved, and yet they smelt of decay-darkness and death. Slowly, I was enamoured by this language, and then started dipping inside. Today, after the passage of more than 12 years since my first reading of the book, its passages & lines keep haunting me. They rise unbidden to my lips whenever something goes beyond my vacuous shell of banal living and is felt by someone inside. If you haven't read it yet, then you are condemning that inner you to that banality. Read this book, and feel alive.
বিভিন্ন লেখকদের শ্রেষ্ঠ সংকলনে হয়তো বহুল পঠিত, আলোচিত আর নন্দিত লেখাগুলোই স্থান পায়। এই বইখানাও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে পাঠকেরও একটা আলাদা পছন্দ থাকে, নিজস্বতা থাকে; যে ক'খানা নিজের প্রিয়'র তালিকায় থাকে তাদেরকেই শ্রেষ্ঠ মনে হয়। জীবনানন্দ দাশের যে কবিতাগুলো আমার বেশি ভালো লাগে তাদের অনেকগুলোই এই সংকলনে আছে। এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। তবে..... 'সারাটি রাত্রি তারাটির সাথে তারাটিরই কথা হয়' কবিতাটি না থাকায় ব্যথিত হয়েছি :(
আমার জীবনের প্রথম কবিতার বই। প্রিয় কবিতার মধ্যে আছে "আমার এ ছোটো মেয়ে", "আমি যদি হতাম", " কুড়ি বছর পরে", "আবার আসিব ফিরে" ও "বনলতা সেন"। বাবার গলায় অনেক বার বনলতা সেনের আবৃতি শুনেছি। এখনও যেন শুনতে পাই ভরাট কণ্ঠে "সব পাখি ঘরে আসে—সব নদী—ফুরায় এ-জীবনের সব লেনদেন; থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।"
বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে জীবনানন্দের কবিতা পড়ার পর এই বইটা পড়েই তিনি আমার সবচেয়ে প্রিয় কবি...
তার কবিতার মত আবহ আমি অন্য কোন কবির কবিতায় পাই না... তার প্রকৃতিপ্রেমী আর রোমান্টিক কবিতাগুলো পড়ার সময় মন-মস্তিষ্ক সব কিছুই নক্ষত্রের রাতের মত অবাক আর বিপুল হয়ে যায়...
তার "এই শান্তি" কবিতাটা আমার সবচাইতে প্রিয়, কতবার পড়েছি, কই পুরনো তো হয়না! যতবার পড়ি ততবার "তবু শেষে শান্তি এল মনে"...
''তবুও তো প্যাঁচা জাগে; গলিত স্থবির ব্যাং আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে আরেকটি প্রভাতের ইশারায় - অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে। টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে চারিদিকে মশারির ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা; মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থেকে জীবনের স্রোত ভালোবাসে। রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি; সোনালি রোদের ঢেউয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কতো দেখিয়াছি। ঘনিষ্ঠ আকাশ যেন - যেন কোন বিকীর্ণ জীবন অধিকার করে আছে ইহাদের মন; দূরন্ত শিশুর হাতে ফড়িঙের ঘন শিহরণ মরণের সাথে লড়িয়াছে; চাঁদ ডুবে গেলে পর প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বথের কাছে এক গাছা দড়ি হাতে গিয়েছিলে তবু একা - একা; যে জীবন ফড়িঙের, দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা''
জীবনানন্দ দাশের কবিতা মানেই প্রকৃতির অপরূপ আর নৈসর্গিক বর্ণনা থাকবে।কখনো কার্তিকের ধানখেত ও রোদকে প্রকাশ করেছেন অলস গেঁয়োর মতো করে- ❝শুয়েছে ভোরের রোদ ধানের উপরে মাথা পেতে অলস গেঁয়োর মতো এইখানে কার্তিকের খেতে❞ আবার কখনো নারীকে বর্ণনা করেছেন নদীর সাথে- ❝সময়ের অবিরল শাদা আর কালো বুনোনির ফাঁক থেকে এসে মাছ আর মন আর মাছরাঙাদের ভালোবেসে ঢের আগে নারী এক—তবু চোখ-ঝলসানো আলো ভালোবেসে ষোলো-আনা নাগরিক যদি না হ'য়ে বরং হ'তো ধানসিঁড়ি নদী❞
জীবনানন্দ দাশের জীবদ্দশায় তাঁর সম্মতিতে ১৯৫৪ সালে এই কবিতার বইটি প্রকাশিত হয়। এতে ৬ টি কাব্যগ্রন্থের কিছু নির্বাচিত কবিতা স্থান পেয়েছে। কবিতা আমার কাছে বরাবরের মতোই দুর্বোধ্য কিন্তু পছন্দের জায়গা। তাই অনেক কবিতাই হয়তো আক্ষরিক অর্থেই মাথার উপর দিয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি গেছে সাতটি তারার তিমির কাব্যগ্রন্থের বেশিরভাগ কবিতাগুলো। হ্যাপি রিডিং💙
'আমাকে খোঁজ না তুমি বহুদিন- কতদিন আমিও তোমাকে খুঁজি নাকো; - এক নক্ষত্রের নিচে তবু- একই আলো পৃথিবীর পারে আমরা দুজনে আছি; পৃথিবীর পুরনো পথের রেখা হয়ে যায় ক্ষয়; প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়; হয় নাকি?'
বার বার পড়ার মত কবিতা। মন খারাপ থাকলে এই কবিতা অন্য দেশে আমায় নিয়ে যায়। সাহিত্য দর্শন রাজনীতি সমাজ নীতি। সব একবারে মিশে যায়। পুরাণ গাথা। আঞ্চলিকতাবাদ খুঁজে পাই অনেক কবিতায়। চাঁদ সদাগর মনসার পূজা দিলো না বলে বেহুলা সুন্দরী নেচে এলো ঈন্দ্রের সভায়।
জীবনবাবু আমার ঘরের আয়নার মত। নিত্যদিন আমি তাকে দেখি। তার কবিতা আমার ভেতর বাস করে। আমি মুগ্ধ হয়ে নিজের প্রতিবিম্ব দেখি। তাকে আর তার কবিতা দেখার ছুতোয় তাকে আমার আয়না বানিয়েছি❤️
কবিতার প্রতি প্রেম যেন দিন দিন বাড়ছে। হাজার বছর ধরে পৃথিবীর পথে হাঁটতে গিয়ে ব্যস্ততার মাঝে এ যেন এক টুকরো সুখ। সেখানে জীবনানন্দের কবিতা মানে অন্যরকম প্রশান্তি।
I live in a city which is as beautiful as his poetry. It is the city of stars, the greenery and the rivers. I absolutely love my place. So do the poems of Jibanananda. Specially when it rains, I just sit beside my window with a cup of tea and read Poems from Ruposhi Bangla. This is the best combo I can think of.