ফ্রাংকেনস্টাইনের মতো পৃথিবীব্যাপী পরিচিত ও জনপ্রিয় বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। ১৯২৮ সালে মেরী শেলী এই উপন্যাসটি রচনা করেন। তিনি ছিলেন প্রখ্যাত ইংরেজ লেখিকা, দার্শনিক ও নারী অধিকারের সমর্থক মেরী ওলস্টোনক্রাফটের কন্যা এবং ইংরেজ কবি পি বি শেলীর স্ত্রী। মেরী শেলী স্বামী এবং স্বামীর বন্ধু লর্ড বায়রনের উৎসাহে তিনি এটি রচনা করেন।ফ্রাংকেনস্টাইন ছিলেন একজন বিজ্ঞানী। পৃথিবীকে তার লাগানো আবিস্কারের নেশায় তিনি মানুষ সৃষ্টি করতে চাইলেন। ফল হলো বিপরীত। তিনি যাকে সৃষ্টি করলেন সেটি মানুষ না হয়ে হলো দানব। ভয়ে এবং হতাশায় ফ্রাংকেনস্টাইন তাকে ত্যাগ করলেন। অপরদিকে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক পরিত্যক্ত ও নিঃসঙ্গ দানব প্রতিশোধের স্পৃহায় ফ্রাংকেনস্টাইনের আপনজনদের হত্যা করে, কিংবা তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। ফ্রাংকেনস্টাইন তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু দানবের হাত থেকে মৃত্যুর আগে কখনো রেহাই পাননি। তাঁর জীবন জ্বলন্ত নরকে পরিণত হয়। ফ্রাংকেনস্টাইন ও তাঁর দানবের আশা আকাঙ্ক্ষা ও দুঃখ বেদনা এতই মর্মস্পর্শী যে এই কল্পকাহিনি প্রায় দু'শ বছর ধরে পৃথিবীতে অমর কাহিনি হিসেবে টিকে আছে। মানুষ অপরিণামদর্শী হলে তাকে কি ফল ভোগ করতে হয় তা বুঝতেও ফ্রাংকেনস্টাইন ও তাঁর দানবের ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়।
ফ্রাংকেনস্টাইন ছিলেন একজন বিজ্ঞানী। পৃথিবীকে তার লাগানো আবিস্কারের নেশায় তিনি মানুষ সৃষ্টি করতে চাইলেন। ফল হলো বিপরীত। তিনি যাকে সৃষ্টি করলেন সেটি মানুষ না হয়ে হলো দানব। ভয়ে এবং হতাশায় ফ্রাংকেনস্টাইন তাকে ত্যাগ করলেন। অপরদিকে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক পরিত্যক্ত ও নিঃসঙ্গ দানব প্রতিশোধের স্পৃহায় ফ্রাংকেনস্টাইনের আপনজনদের হত্যা করে, কিংবা তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। ফ্রাংকেনস্টাইন তাঁর ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু দানবের হাত থেকে মৃত্যুর আগে কখনো রেহাই পাননি। তাঁর জীবন জ্বলন্ত নরকে পরিণত হয়। ফ্রাংকেনস্টাইন ও তাঁর দানবের আশা আকাঙ্ক্ষা ও দুঃখ বেদনা এতই মর্মস্পর্শী যে এই কল্পকাহিনি প্রায় দু'শ বছর ধরে পৃথিবীতে অমর কাহিনি হিসেবে টিকে আছে। মানুষ অপরিণামদর্শী হলে তাকে কি ফল ভোগ করতে হয় তা বুঝতেও ফ্রাংকেনস্টাইন ও তাঁর দানবের ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়।