Jump to ratings and reviews
Rate this book

কপালকুণ্ডলা

Rate this book
কপালকুণ্ডলা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস। এটি সম্ভবত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস। ১৮৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়।

71 pages, Paperback

First published January 1, 1866

64 people are currently reading
1152 people want to read

About the author

Bankim Chandra Chattopadhyay

183 books308 followers
Bankim Chandra Chattopadhyay (Bengali: বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) ('Chattopadhyay' in the original Bengali; 'Chatterjee' as spelt by the British) was a Bengali poet, novelist, essayist and journalist, most famous as the author of Vande Mataram or Bande Mataram, that inspired the freedom fighters of India, and was later declared the National Song of India.

Complete works of Bankim Chandra Chattopadhyay (বঙ্কিম রচনাবলী) is now available in this third party website (in Bengali):
https://bankim-rachanabali.nltr.org/

Chatterjee is considered as a key figure in literary renaissance of Bengal as well as India. Some of his writings, including novels, essays and commentaries, were a breakaway from traditional verse-oriented Indian writings, and provided an inspiration for authors across India.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
404 (26%)
4 stars
659 (42%)
3 stars
386 (24%)
2 stars
74 (4%)
1 star
26 (1%)
Displaying 1 - 30 of 122 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
December 27, 2020
তখন সম্ভবত ২০১১ সাল। আমি মাত্র ক্লাস ১০ এর ছাত্র। বড় ভাই বাংলা সাহিত্যে অনার্সে ভর্তি হলো। তখন হাতে পেলাম এই টাইপের কিছু খটমটে বই। এর আগে বেশিরভাগই পড়তাম জাফর ইকবাল স্যার, হুমায়ুন, কাকাবাবু এগুলো। বইটি পড়তে বেশ কষ্ট হয়েছিল তবুও ঠিকই রসটা গ্রহণ করতে পারছিলাম। আজ আবার সেই একই স্বাদ। পুনশ্চ :এটা আমার বঙ্কিমের পড়া প্রথম বই।

পরে জানলাম এটা নাকি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস। যাইহোক এই উপন্যাসে দেখা যায় তীর্থে যাওয়ার পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পরে তীর্থযাত্রীদের এক দ্বীপে তরী ভিড়াতে হয়। রান্না করার জন্য তরীতে কাঠ ছিল না। এদিকে দ্বীপে ভিড়ানোর পর তরীর কেউই বাঘের ভয়ে কাঠ আনতে নিচে নামার সাহস পাচ্ছিল না যার ফলে নবকুমার নিজে কাঠ আনতে যায়। কাঠের সন্ধান করতে যেয়ে নবকুমার পথ হারিয়ে ফেলে যার ফলে ফিরতে দেরি হয়! অন্যদিকে তরীর সবাই ভাবে তাকে বাঘে খেয়েছে এবং পরবর্তীতে সবাই নবকুমারকে রেখেই চলে যায়।

নবকুমার এই জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়ে। সেখানে এক কাপালিক তাকে বলি দিতে উদ্যত হয়। তখন কাপালিকের পালিতা কন্যা কপালকুণ্ডলা তার প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। স্থানীয় মন্দিরের অধিকারীর সহায়তায় নবকুমার কপালকুণ্ডলাকে বিয়ে করে নিজের বাড়ি সপ্তগ্রামে ফিরে আসেন। কপালকুণ্ডলা বাল্যকাল থেকে জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে কাপালিকের কাছে বড় হওয়ায় স্বাভাবিক সামাজিক রীতিনীতির সঙ্গে অপরিচিত ছিলেন। নবকুমারের বাড়িতে তিনি ধীরে ধীরে সমাজের মানুষজন ও তাদের আচারআচরণ সম্পর্কে ধারণা পায়।

এরপর নবকুমারের সাথে বিচ্ছেদ হওয়া প্রথম স্ত্রী ও কপালিকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ান কপালকুন্ডলা। শেষপর্যন্ত নবকুমার আর কপালকুণ্ডলার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্য দিয়ে উভয়েই জীবনের চরম উপসংহারে উপনীত হয়।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for HR Habibur Rahman.
284 reviews54 followers
February 4, 2023
পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?
আর
তুমি অধম-তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?

এই দুইটি লাইন শোনেনি এমন মানুষ নগণ্য। দ্বিতীয়টির সাথে পরিচয় সেই প্রাইমারি থেকে। কখোনো জানার ইচ্ছাে জাগেনি কথাটা কে বলেছে। আজকে জানা হলো।

উপন্যাসের সবচেয়ে ভালোলাগার জিনিস ছিলো পরিচ্ছেদ গুলো। প্রত্যেক পরিচ্ছেদের শুরুতে লেখক কিছু অমর সাহিত্যের কিছু বাক্য লিখেছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে সেসব বাক্যের সাথে পরের লেখা সামঞ্জস্যপূর্ণ।  চিন্তার বিষয় হলো লেখক আগে সাহিত্যের কোটেশন লিখে তারপর সেই আলোকে তার লেখা বর্ধিত করেছেন নাকি তার লেখার আলোকে কোটেশন ব্যবহার করেছেন!😁  সে যাই হোক, প্রেজেন্টেশন সুন্দর।

_______ Tender is the night,
And haply the Queen-Moon is on her throne,
Cluster'd around by all her starry fays;
But here there is no Light.

গল্পের শুরু নবকুমার শর্ম্মার সাগর দেখার পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে এক জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়া থেকে। তারপর সাক্ষাৎ কাপালিক, কপালকুণ্ডলার সাথে। তারপর শুরু হয় শুরুর কাহিনী।  সাথে আসে তৎকালীন সময়ের আকবরের শাসনামল।  একে একে আসে মতি বিবি, শ্যামসুন্দরি, মেহের-উন্নিসা আর জাহাঙ্গীর।  একের পর এক হয় যোগ সুত্র। মতি বিবি (লুৎফ উন্নিসা),  নবকুমার আর কপালকুন্ডার ত্রিকোন যোগসুত্র এবং তৎকালিন পন্ডিৎ সমাজের অবৈধ কাজের মধ্যদিয়ে শেষ হয় এক রোমান্টিক ট্রাজেডির।

বঙ্কিমচন্দ্রের বিশেষত্বই হলো পরের ঘটনা আগে বলে তারপর সেই ঘটনা উদঘাটন করা। এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই। লেখকের কপালকুণ্ডলাকে সাক্ষাৎ করে দেওয়া যেন এক ভৌতিক অভিজ্ঞতা নেওয়ার মতো। দুর্গেশনন্দিনী আর এই উপন্যাসের মধ্যে অনেকটাই মিল সেটিং আর উপস্থাপনের ক্ষেত্রে। তারপরও মনে হয় কত অ-মিল। একটা ঘোরের মধ্যে থেকে শেষ হয় বই।

উপমা, অলঙ্কারের ব্যবহার রচনার প্রাণ। সেই প্রাণ বঙ্কিমচন্দ্র খুব সুনিপুণ ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। মেয়েদের রূপ বর্ণনায় বঙ্কিম অদ্বিতীয়। একবার বর্ণনা করতে ধরলে যেন ছাড়তেই চাননা।

এক কথায় অসাধারণ উপন্যাস। সেটা বলার প্রয়োজন পড়েনা যদিও।
Profile Image for Ravi Prakash.
Author 57 books78 followers
October 10, 2018
Kapalkundala is one the best Bengali Classics. It's a tragedy. Bankim Chandra's prowess on language and description is amazing. Surely he never wrote for masses but for the elites of Bengali society. His love for classics is directly shown in the beginning of every chapter. The book is divided in Four parts. There may be some dissatisfaction because of it's ending, but whereas I think and as the characters are portrayed,there couldn't be any better ending. Inevitability is one of the basics of Fiction writing.
Profile Image for ~Rajeswari~ Roy.
153 reviews41 followers
March 10, 2021
পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?
বাংলা উপন্যাসের জনক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর কপালকুণ্ডলা বাংলা সাহিত্যের এক অমর সৃষ্টি।এটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস ও বলা হয়ে থাকে।

নবকুমার আর কপালকুণ্ডলার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব সংঘাত,পদ্মাবতীর জীবনকথা এ উপন্যাসের অন্যতম আকর্ষন।
Profile Image for Ahmed Aziz.
381 reviews69 followers
December 20, 2023
ভাষায় মুগ্ধ হয়ে তিন তারা দিলাম। নইলে কাহিনি ছাইপাঁশ। বলদ নবকুমার প্লাটিনামের চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে; যেখানেই যায়, যত দুর্গম জায়গা আর যে সময়ই হোক অনিন্দ্যসুন্দরী মেয়েদের সাথে তার দেখা হয় আর তাকে দেখেই মেয়েরা তার প্রেমে হাবুডুবু খেতে থাকে, তা সে শ্মশাণচারী যোগিনী হোক বা মোঘল বাদশাহের প্রেমাস্পদ উপপত্নী হোক। সেরা চরিত্র কাপালিক। বেশ কিছু কড়া কড়া বাংলা শব্দও শিখলাম।
Profile Image for Preetam Chatterjee.
6,740 reviews355 followers
April 22, 2025
#এক্কেবারে পাতে দেওয়ার যোগ্য নয়, gimmik আর hype-এর ডানায় ভর দিয়ে ভেসে থাকা ওভাররেটেড বইয়ের তালিকা :

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : Overrated মানেই খারাপ না। অনেক সময় বইগুলো cultural বা emotional value-র জন্য বড় হয়ে ওঠে, অথচ সাহিত্যমান হয়তো তেমন উঁচু নয়।

‘কপালকুণ্ডলা’ নিয়ে খোঁচাখুঁচি করা মানে যেন মন্দিরে বসে কীর্তন থামিয়ে বলা, “এই হারমোনিয়াম তো একটু বেসুরো, না?” তবু, বলছি — সাহিত্যের আসল প্রেমিক তো সেই, যে প্রেমিকাকে চোখে চোখ রেখে বলতে পারে, “তুই সুন্দর ঠিকই, কিন্তু চোখে কাজল একটু বেশি পড়েছিস।”

চলুন দেখা যাক 'কপালকুণ্ডলা' কী কী জায়গায় চুল এলোমেলো করে ফেলেছে।

১. নারীকে নিয়ে রোমান্টিক কল্পনা, কিন্তু বাস্তব চেতনার অভাব: কপালকুণ্ডলা — বনের মেয়ে, মুক্তপ্রাণ, বিদ্রোহী। কিন্তু শেষমেশ? সে প্রেমের টানে ‘পতিব্রতা’ হবার দায়ে নিজেকে শেষ করে দেয়।

এটা এমন এক নায়িকা চরিত্র, যাকে বঙ্কিম শুরু করেছিলেন আধুনিক নারীর মতো — শিক্ষিত না হলেও আত্মবিশ্বাসী, সমাজের নিয়ম জানে না বলে ভয়ও পায় না। কিন্তু উপন্যাস যত এগোয়, ততই সে পুরুষ-কেন্দ্রিক "উদ্ধারযোগ্য" নারী হয়ে ওঠে। একসময় তো মনে হয়, কপালকুণ্ডলা চরিত্রটা খুব সম্ভাবনাময় এক নারী, যাকে সমাজ আর সাহিত্য — দুটোই গিলে খেল!

২. নবকুমার: বাঙালি সাহিত্যের প্রথম "manchild": এই ছেলে যতবার বিপ���ে পড়ে, ততবার কপালকুণ্ডলা বা ব্রাহ্মণ এসে তাকে উদ্ধার করে।
নবকুমার চরিত্রটা এমন — দেখতে সুপুরুষ, কিন্তু মাথায় বালি। নিজের স্ত্রীকে ঠিক করে বুঝতে পারে না, সমাজের চাপেও পড়ে, আবার কপালকুণ্ডলার সাহসের ধারেকাছেও যেতে পারে না।

শেষমেশ সে এমন এক মেটাফোরে পরিণত হয় — "ছেলে ভালো, কিন্তু গঠন নেই।"

৩. তান্ত্রিক-বিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি: অতিমানব ভয়ে না, বুঝে এড়িয়ে যাওয়া উচিত ছিল! কপালকুণ্ডলার পূর্বজীবন তান্ত্রিক আশ্রমে কাটে। কিন্তু বঙ্কিম একে ভয়ঙ্কর, হিংস্র, বর্বরভাবে দেখান — যেন একমুখী রাক্ষসের দল।

এই একদিকের ছবি সমাজকে বোঝার দরজা না খুলে, বরং সাম্প্রদায়িক আতঙ্কের জানালা খুলে দেয়।

যদিও সাহিত্যে "villain"-এর দরকার আছে, কিন্তু বাস্তবতাকে ভুল ব্যাখ্যা করলে তা প্রপাগান্ডা হয়ে যায়, কল্পনা নয়।

৪. ভাষার আড়ম্বর — শব্দে জ্যোতি, অর্থে অন্ধকার: “দেবী গগনমণ্ডলে অধিষ্ঠিতা! শোন মা, পতিতানাথের অমর বচন!” — এরকম কথা আজকাল কোনও স্ক্রিপ্ট-রাইটার লিখলে Netflix ওজন না মেপেই বাদ দিত!

বঙ্কিমের গদ্য একদিকে ঝরঝরে, আরেকদিকে ঘোর লাগা দুর্বোধ্য। আজকের পাঠকের চোখে এতে অনেক সময় ornamental excess ধরা পড়ে।
একটু বললে — এই গদ্যটা অনেকটা জমকালো শাড়ির মতো, যার ওজন এত বেশি যে পড়তেই পারো না!

৫. ক্লাইম্যাক্সের দুর্বলতা – নাটকীয় কিন্তু আবেগহীন: আত্মঘাত, ত্যাগ, বেদনা — সব কিছুই আছে, কিন্তু যেন নাট্যরস গিলে ফেলেছে মানবিক স্পর্শটাকে।

শেষের দিকে কপালকুণ্ডলা আত্মঘাত করে — কিন্তু সেটা পাঠকের চোখে দার্শনিক বা বেদনার দৃশ্য নয়, বরং অবাস্তব ও নাটকীয়।
কেন সে এমন করল, তার ভিতরে যে এত দিন প্রশ্ন ছিল, সে প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর পাওয়া যায় না — কারণ বঙ্কিম তাঁর নিয়ন্ত্রণ নিজেই হারিয়ে ফেলেন।

৬. অতিরিক্ত নাট্যভাব — সাহিত্যে নয়, থিয়েটারে মানায়: বঙ্কিম 'কপালকুণ্ডলা'কে উপন্যাস বানাতে গিয়ে তাকে অনেকটাই নাটক করে ফেলেছেন।

নাটকের মতো চরিত্র প্রবেশ করে, সংলাপ বলে, দৃশ্য বদলায়, আর পাঠক যেন দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে — অনুভব না করে, শুধু দেখে যায়।
এই theatrical structure-এর কারণে উপন্যাসের ভেতর emotional depth কমে গিয়ে শুধু dramatic effect রয়ে যায়।

শেষকথা (সকলের ভালো লাগবে না): ‘কপালকুণ্ডলা’ নিঃসন্দেহে বঙ্কিমের সাহিত্যিক পরীক্ষাগুলোর একটা — নারী-চরিত্র, সমাজ-বিদ্রোহ, প্রেম ও আত্মত্যাগের মোড়কে গড়া।

কিন্তু এই বইটি আজকের পাঠকের কাছে অনেকটাই অতিসরলীকৃত, অতিনাটকীয় ও পুরুষ-কেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে।

একটু হালকা করে বললে?

কপালকুণ্ডলা হল সেই মেয়ে যে free-spirited ছিল, কিন্তু এক toxic প্রেমে পড়ে নিজের জীবনটাই কেটে ফেলল। আর নবকুমার? ও শুধু গল্পটা ন্যারেট করল, কিছু করল না।
Profile Image for Neha Gupta.
Author 1 book198 followers
October 9, 2014
Do you remember reading Chandamama stories in your childhood. About evil sages and cunning second women, courageous men and pious women. The basic premise of these stories was that people are either good or evil, how evil people scheme, lie and plot to fool and take advantage of good people. A good person is generally innocent and easily fooled by evil person who is also shrewd. There is always a moral to each story and men are always supposed to be courageous and self-respecting and women are supposed to be pious, obedient and honourable. That is the basic pretext of Kapalkundalika, so read it like you would read an ancient story or scripture with a moral lesson.

The writing style of Bankim Chandra is like text book – easy & lucid with clarifying notes on the motive and thoughts behind any act. Every thing has a reason and the writer does not leave the reader to imagine or flow with it but ensures that you stick with his opinions and intentions. The characters are either black or white and no greys, good or evil, no confusions so it leaves you no option but to accept them as they are and not develop any likes or dislikes. The story though translated in English reminds you of its original writing in Indian local language because of its writing style and dialogues. Infact the narration at various places reminded me of Chandrakanta by Devkinandan Khatri in Hindi which was also written during the same time. So clearly the translation maintains the original style and expressions.

Finally why I read this book. Along with exploring the world of fiction, a book is a source of exploring the life of the author. His thoughts, his values, his opinions, his philosophy. And the books by Bankim Chandra are a great source of information on this Bengali writer who is also the composer of our national song Vande Matram.
Profile Image for Iftikhar Sajid.
25 reviews5 followers
October 5, 2021
সব কিছুর সমন্বয় এত সুন্দরভাবে করতে পেরেছেন বঙ্কিমচন্দ্র! তাঁর লেখা পড়ে আমি চমৎকৃত,অভিভূত! কেমন ঘোরের মধ্যে রাখা লেখা!

ভবিষ্যতে আবার কখনো পড়ার ইচ্ছা রইল
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,862 followers
April 22, 2024
আজ থেকে প্রায় দেড়শো বছর আগে লেখা, তৎসম শব্দে ও সংস্কৃত পদের প্রয়োগে ঠাসা একটি উপন্যাস যদি পড়তে শুরু করেই একেবারে আটকে যেতে হয়, তাহলে তাকে কী বলা যেতে পারে?
সত্যিকারের ক্লাসিক!
আমি এই উপন্যাস পড়ি আজ থেকে তিন দশকেরও বেশি আগে। সেদিন যা মনে হয়েছিল, আজও সেটাই বলব। শুধু গল্প বা একটা সময়ের প্রতিফলন ঘটানোর জন্য নয়। এই উপন্যাস ক্লাসিক হয়ে উঠেছে তার চরিত্রদের জন্য— যারা আজ বাংলা সাহিত্যে প্রায় আর্কিটাইপের চেহারা নিয়েছে। বঙ্কিমের হাতে যে-সব চরিত্রের প্রাণ-প্রতিষ্ঠা ঘটেছিল, তাদের মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় ক'জন এই উপন্যাসেই পদচারণা করেছেন। তাঁদের টানেই, শেষে কী হয়েছে তা জানা সত্বেও, শেষ অবধি ছুটে যেতে হয় বারবার।
সত্যিকারের ক্লাসিক নিয়ে এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলার নেই, তার দরকারও নেই। শিগগির পড়ে ফেলুন!
Profile Image for Nabila Tabassum Chowdhury.
373 reviews274 followers
January 29, 2015
'কপালকুণ্ডলা' … হুম, ভাল লেগেছে! একটু প্রাচীন খটমটে বাংলা। কিন্তু এই দোষ তো আমি আর লেখককে দিতে পারি না। প্রায় দেড়শ বছর আগে ১৮৬৬ সালে প্রকাশিত একটি উপন্যাসের সাথে আমার যে ভাষাগত পার্থক্য তার দোষ লেখকের ঘাড়ে চাপানো কোনো কাজের কথা না। তাই উপন্যাসটির মূল সুর ধরতে আমার বেশ কিছু সময় লেগেছে এবং সুর ধরতে পারার পর ভাল লাগতে শুরু করেছে। চারটি খণ্ড এবং প্রতিটি খণ্ডে বেশ কয়েকটি পরিচ্ছদ নিয়ে লেখা উপন্যাসটি। ভাল লেগেছে প্রতিটি পরিচ্ছেদে যে ভাবটি রয়েছে, পরিচ্ছেদের শুরুতেই সেই ভাব নিয়ে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ থেকে দু-চার লাইন কোট করার ভঙ্গিমাটি। [যদিও সংস্কৃত শ্লোকগুলো বুঝতে পারিনি]

প্রথম খণ্ডে খুঁজে পেলাম বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উক্তি, যে উক্তির ভাব-সম্প্রসারণ লেখেনি এমন কোনো বাংলা মাধ্যমে পড়া ছাত্র-ছাত্রী নেই।

"আত্মোপকারীকে বনবাসে বিসর্জন করা যাহাদিগের প্রকৃতি, তাহারা চিরকাল আত্মোপকারীকে বনবাসে দিবে – কিন্তু যতবার বনবাসিত করুক না কেন, পরের কাষ্ঠাহরণ করা যাহার স্বভাব, সে পুনর্বার পরের কাষ্ঠাহরণে যাইবে। তুমি অধম – তাই বলিয়া আমি উত্তম হইবো না কেন?"


গভীর সব কথাবার্তা থাকার পরও কিন্তু প্রথম খণ্ডের সুর বেশ খানিকটা ভৌতিক। যদিও পরবর্তীতে এটা মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসে রূপ নেয়।

ভাল লেগেছে বর্ণনার গভীরতা…

"তথাপি সকলে মৃত্যু নিকটে নিশ্চিত করিলেন। পুরুষেরা নিঃশব্দে দুর্গানাম জপ করিতে লাগিলেন, স্ত্রীলোকেরা সুর তুলিয়া বিভিন্ন শব্দবিন্যাসে কাঁদিতে লাগিল। একটি স্ত্রীলোক গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন করিয়া আসিয়াছিল, ছেলে জলে দিয়া আর তুলিতে পারে নাই, - সেই কেবল কাঁদিল না।"

এই ছেলে বিসর্জন দেয়া মায়ের প্রয়োজন পড়েনি উপন্যাসের আর কোথাও। কিন্তু একটি ঝড়ের দৃশ্যে তার উপস্থিতি লেখকের গল্পবলায় এনে দেয় বিচিত্র ধরণের এক গভীরতা।

ভাল লেগেছে উপলব্ধির ঋদ্ধতা…
"হৃদয় স্নেহের আঁধার হওয়াতে অপর সকলের প্রতি স্নেহের আধিক্য জন্মিল; বি���ক্তিজনকের প্রতি বিরাগ লাঘব হইলো; মানুষ্যমাত্র প্রেমের পাত্র হইলো; পৃথিবী সৎ কর্মের জন্য মাত্র সৃস্টা বোধ হইতে লাগিল; সকল সংসার সুন্দর বোধ হইতে লাগিল। প্রণয় এইরূপ! প্রণয় কর্কশকে মধুর করে, অসৎকে সৎ করে, অপূণ্যকে পুণ্যবান করে, অন্ধকারকে আলোকময় করে!"


ভাল লেগেছে লুৎফ-উন্নিসা ওরফে মতিবিবি ওরফে পদ্মাবতীর স্বাধীনচেতা ও দৃঢ় আত্মবিশ্বাস সম্পন্ন চরিত্রকে। ভাল লেগেছে তার ‘ভালবাসি’ বুঝতে পারার ক্ষমতাকে।

ভাল লেগেছে কপালকুণ্ডলার মানষিক স্বাধীনতাকে। এলোচুলের কপালকুণ্ডলা ফুল দিয়ে বিনুনি করা গৃহিণীর আড়ালে ঢাকা পড়লেও হারিয়ে যায় নি কখনো। ভাল লেগেছে তার ‘ভালবাসি না’ বুঝতে পারার ক্ষমতাকে।

ভাল লেগেছে নানা উৎস থেকে উৎসারিত গল্পের একত্রে মিলিত হবার আঙ্গিক কে।

তাহলে পাঁচ তারা নয় কেন? কারণ ভাল লাগেনি লেখকের তরফ থেকে লুৎফ-উন্নিসাকে ভিলেন বানাবার চেষ্টাকে। কেউ সাদা হলে কাউকে কালো হতে হবে এমন তো নয়। লেখকের এই গৎ বাঁধা সাধা-কালোর ধারণার মাঝে আটকে পড়ার জন্য একতারা কর্তন।
Profile Image for Ajanta.
119 reviews27 followers
May 11, 2021
Objectifying a woman by her beauty is what makes me angry. Maybe I'm wrong or something but sure didn’t get to make anything else out of it.

কপালকুণ্ডলা চরিত্রটিই একমাত্র এ বইটির শেষ পর্যন্ত যাওয়ার একমাত্র কারণ। সে ছাড়া আর কোন চরিত্রকে জানার ইচ্ছাও আসেনি। লোভী, স্বার্থপর, দুর্বল মানসিক শক্তির অধিকারী সব চরিত্র। মানব চরিত্রের বিভিন্ন দিকের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে এ কথা বলা যায়। কপালকুণ্ডলা শেষ পর্যন্ত মায়ার ভ্রমে আটকে পড়া শিকল ছিড়ে মুক্তির পথে যাত্রা করে।
Profile Image for Samir(সমীর).
74 reviews8 followers
May 17, 2011
কপালকুন্ডলা জন্মের পর থেকে জনমানবহীন একটি দ্বীপে বড় হয়। একদিন দুর্ঘটনায সেই দ্বীপে নবকুমার আটকা পরে। কপালকুন্ডল তাকে বিপদ-আপদে সাহায্য করে। কপালকুন্ডলার বিপদে নবকুমার......
Profile Image for Shakirul Khan.
53 reviews9 followers
November 26, 2021
"পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?"

প্রথম দুই তিন পরিচ্ছেদ পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো দাত ভেঙে যাবে কয়েকটা! কিন্তু গল্পের ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে ভুলেই গেছিলাম যে বইয়ের ভাষা এত কঠিন!
Profile Image for Fahad Amin.
149 reviews9 followers
October 26, 2025
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস কপালকুণ্ডলা। নবকুমার, কাপালিক, কপালকুণ্ডলা, লুৎফ নিসাকে নিয়ে এর কাহিনি আবর্তিত। উপন্যাসটি সাধুভাষায় লিখিত হওয়ায় "দাঁতা ভাঙা" বাংলা শব্দের সাথে পরিচয় ঘটলো।
Profile Image for Amrendra.
344 reviews15 followers
November 21, 2022
कपालकुंडला बंकिमचंद्र चटर्जी की रोचक, रोमांचक और रहस्य से परिपूर्ण प्रेमकथा है। इस उपन्यास का कथाक्रम वनवासी कापालिक के संरक्षण में जीवनयापन करने वाली कापलकुंडला के चारों ओर रचित है। कपालकुंडला नवकुमार को कापालिक से बचाती है और उसकी भार्या बन नगर को चली जाती है।

दूसरी तरफ नवकुमार की बाल्यकाल की परीत्यक्ता बीवी पद्मावती/ लुत्फ़उनिसा जो मुगल हरम को छोड़ पुनः नवकुमार को पाना चाहती है का प्रेम त्रिकोण भी है। कुपित कापालिक कपालकुंडला को ढूंढ निकलता है और लुत्फ़उनिसा के साथ मिलकर नवकुमार के मन में कपालकुंडला के चरित्र पर संदेह पैदा कर देता है।

इसी कथानक पर बनी हुई यह कहानी रोचक तो है ही, इसमें एक गहरा अर्थ भी छिपा है जो पाठकों को सोचने पर मजबूर करता है। क्या कपालकुंडला नवकुमार के अविश्वास की भेंट चढ़ गई? क्या कापालिक मानवीय राग और प्रतिशोध में उलझकर अपनी सिद्धि से वंचित रह गया? इस प्रकार के कई प्रश्न हैं।

प्रेम, ईर्ष्या, राग, द्वेष, प्रतिशोध, भक्ति, संशय, सिद्धि और त्याग जैसे मानवीय भावनाओं से सजी इस कहानी में रोमांच भी है और ठहराव भी। आश्चर्य नहीं कि इसे बंकिमचंद्र की उत्कृष्ठ रचनाओं में माना जाता है।

हरेक भाग एक श्लोक या कोटेशन से शुरू होता है। जैसे -
'Ingratitude, thou marble hearted fiend!' - King Lear
Profile Image for Musharrat Zahin.
404 reviews490 followers
August 12, 2020
নবকুমার সমুদ্র দেখবে বলে তীর্থযাত্রীদের নৌকায় গঙ্গাসাগরে এসেছিল। পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পরে তীর্থযাত্রীদের এক দ্বীপে নৌকা ভিড়িয়ে রান্নাবান্নার আয়োজন করতে গিয়ে দেখা গেল জ্বালানি কাঠ নেই। নবকুমার কাঠ কাটতে যায়। এদিকে জোয়ার এসে পড়ে। নবকুমারের ফিরতে দেরী হচ্ছে দেখে তাকে রেখেই নৌকা রওনা হয়ে যায়। নবকুমার সেই জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়েন। সেখানে এক কাপালিকের সাথে দেখা হয় তার, সেই সাথে দেখা হয় কাপালিকের পালিতকন্যা কপালকুণ্ডলার সাথে।

"পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?" কপালকুণ্ডলা জিজ্ঞেস করে তাকে। হ্যাঁ, নবকুমার পথ তো হারিয়েছেই, সাথে মনটাও হারিয়ে ফেলেছে! পরদিন কাপালিক নবকুমারকে বলি দিতে উদ্যত হয়। তখন কাপালিকের পালিতা কন্যা কপালকুণ্ডলা তার প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। প্রাচীন এক কালীমন্দিরে নবকুমার ও কপালকুণ্ডলা আশ্রয় নেয়। সেখানে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরপর মন্দিরের পুরোহিতের সাহায্যে লোকালয়ে ফেরে। পথে মতিবিবি বা লুৎফউন্নিসা নামে এক বিদেশী রমণীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়। কপালকুণ্ডলার সাথে দেখা হবার আগে পদ্মাবতী নামের এক বালিকার সাথে নবকুমারের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে পদ্মাবতী ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। ফলে, নবকুমার তাকে ত্যাগ করে। সেই এই লুৎফ-উন্নিসা। এরপর নবকুমারের সাথে বিচ্ছেদ হওয়া প্রথম স্ত্রী ও কপালিকের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ায় কপালকুণ্ডলা। শেষপর্যন্ত নবকুমার আর কপালকুণ্ডলার মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্য দিয়ে উভয়েই জীবনের চরম উপসংহারে উপনীত হয়।


বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রোমান্টিক উপন্যাস এটি। আর “পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?”- লাইনটাকে বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম ও শ্রেষ্ঠ রোমান্টিক ডায়লগের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এর আরো একটি বিখ্যাত উক্তি হলো, "তুমি অধম — তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”


একটু প্রাচীন খটমটে বাংলা। কিন্তু প্রায় দেড়শ বছর আগে প্রকাশিত একটি উপন্যাসের সাথে আমাদের ভাষাগত পার্থক্য তো থাকবেই। তবে আগে থেকেই এধরণের লেখা পড়ার অভ্যাস ছিল দেখে এর রস আস্বাদন করতে অসুবিধা হয়নি। যদিও ত্রিভুজ প্রেম আমার পছন্দ না।

কপালকুণ্ডলা রহস্যময়ী, তবে নিষ্কর্মা ও প্রচণ্ড অভিমানী। লেখক শুধু তার রূপের বর্ণনাই দিয়ে গেছেন। নিজের মতামতের কোন মূল্যই তার কাছে নেই। আর নবকুমার একটা আস্ত গাধা। কোন বলদ তার আগের বউয়ের চেহারা ভুলে যায়? নিজে কী চায় নিজেও জানে না। নিজের বর্তমান বউকে অবিশ্বাস করে। যেই কাপালিক তাকে বলি দিতে যাচ্ছিল, শেষে ওই কাপালিকের কথাতেই বান্দরের মতন নাচতে থাকে। ওর বলদামির কারণেই এমন এন্ডিং হলো। লুৎফ-উন্নিসা সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুবুদ্ধির অধিকারিণী। সেই সঙ্গে রূপবতীও বটে। তাকেই মূল চরিত্রে রাখা উচিত ছিল। বেশ ঘোল খাইয়েছে।

আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র হলো লুৎফ-উন্নিসা। কেন যে লেখক তাকে ভিলেন বানালেন? সে তার প্রথম স্বামীকে ভুলতে পারেনি, এই দোষ কি তার নাকি?

উপন্যাসটা বেশ ছোট, তবে এর রেশ কাটতে অনেকদিন লেগেছে। মনে হচ্ছিল লেখক আরেকটু লিখলেও পারতে। আর “পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ?”- আমরা সবাই তো পথহারা পথিক, সঠিক পথের সন্ধানে দিশেহারা, তবুও থামার নামে নেই।
9 reviews8 followers
January 6, 2018
There were certain things that I really liked about this book: the conversational tone of the narrator is most appealing, and the character of Lutufinossa is interesting and well-rounded, and that of Kopal-Kundala is intriguing. However, I found the latter's personality, and that of Nobokumar, to be underdeveloped: I never really felt that I knew them. Particularly toward the end, Kopal-Kundala's motivations seem to make less sense, and Nobokumar ceases to be likeable (he never really was terribly likeable, in the sense that his personality was never very well-defined). This book suffers for the Romanticism of its time. I'm all for passion and emotion in literature, but in this case, as it was with many contemporary books, it's frustratingly untempered by reason. All the tragic action of the book could have been avoided if any of the characters had just smartened up for a minute.
I don't regret reading it, however. I would still recommend it to people interested in learning more about old Bengali life and literature. It was an enjoyable, quick and easy read. This is a very readable and charming translation.
Profile Image for विकास 'अंजान'.
Author 8 books42 followers
May 25, 2019
कपाल कुण्डला बंकिमचन्द्र चट्टोपाध्याय जी का लघु-उपन्यास है।
डायमंड पॉकेट बुक्स से प्रकाशित इस संस्करण में लघु-उपन्यास के साथ बंकिम जी की दो कहानियाँ भी प्रकाशित की गई हैं। यह तीनों ही मुख्य रूप से प्रेम कहानियाँ हैं। इस तरह इस संस्करण के अन्दर बंकिम जी की निम्न तीन रचनायें प्रकाशित हैं:
कपाल कुण्डला
दो अँगूठियाँ
राधारानी
कपाल कुण्डला और दो अँगूठियाँ मुझे ज्यादा पसंद आई। राधारानी मुझे औसत से थोड़ी अच्छी लगी।
तीनों रचनाओं के प्रति मेरे विचार आप निम्न लिंक पर जाकर पढ़ सकते हैं:
कपाल कुण्डला
Profile Image for Sumaiyah.
118 reviews31 followers
July 5, 2017
এমন প্যাথেটিক নিষ্ক্রিয় চরিত্র দেখলে মেজাজ খ্রাপ হয় ভীষণ!
Profile Image for Saima  Taher  Shovon.
521 reviews190 followers
September 6, 2025
আহা!মৃন্ময়ী!
আমি আবার কপালকুণ্ডলা পড়লাম। যুগের আগেই বোধহয় কপালকুণ্ডলা জন্ম নিয়ে ফেলেছিলো। আক্ষরিক অর্থে এই শব্দের মানে দাঁড়ায় - কপালের অলংকার -কিন্তু আসল মানে যে হতভাগ্য, মন্দ কপাল যার, সে এই বই পড়লে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়।এই বই আমি অনেকদিন আগে পড়েছিলাম। মানে স্কুল জীবনে।
আমার এটা মনে আছে, যে আমি নবকুমারকে ঘৃণা করি। কারণটা আজকে আবার জিইয়ে নিলাম। সেই কিশোর বয়সে ভেবেছিলাম জীবনে আর যা-ই হয়, নবকুমারের মতোন ক্ষীণ হবোনা।কেনো ক্ষীণ হবোনা, সেটা নোটে লিখতে ভুলে গেছিলাম।আজ তুলে রাখলাম। আমরা যা দেখি, সে সবসময় তেমন নয়। কোনো জিনিস পাশ থেকে দেখলে এক, অন্যদিক থেকে দেখলে আরেক। কোনো ঘটনার নিজের ন্যারেটিভ তৈরী করবার আগে, সবদিক দেখে নাও। এটাই উত্তম,এটাই ঠিক।
অন্য মেয়েটিকে নিয়ে কিছু বলার নেই। তার ভাগ্য ভালো না। কিন্তু সে অন্য এক সরলের যেভাবে ফায়দা নিয়েছে, সেজন্য তাকে ঘেন্নার যোগ্য বলেই মনে করি।
Profile Image for Raven Reads.
166 reviews18 followers
December 31, 2023
Bankim Chandra Chattopadhay ( বঙ্কিম চন্দ্র চট্টপাধ্যায়) a master story teller, pens another masterpiece following Durgeshnandini (দূর্গেশনন্দিনি)। Kapalkundala (কপালকুণ্ডলা) revolves around this নবকুমার (Nabokumar) starting w/ his journey where he gets stranded in a jungle and ends with mind boggling twists and turns of events. Which the readers could easily follow, however, Nabokumar can not. The other half of the book focus on our (কপালকুণ্ডলা) kapalkundala who tries her best to cope w/ all that comes with marrying Nabokumar (নবকুমার) and her difficulty adjusting to the city life as she was born and bred in the forest.
Profile Image for Ipsita.
221 reviews18 followers
May 21, 2024
যখন আমি নবম শ্রেণীতে পড়তাম, প্রথমবার বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'কপালকুণ্ডলা'র একটি অংশ পাঠ্যবইতে পড়েছিলাম। তখন থেকেই এই উপন্যাসটি পড়ার ইচ্ছা জেগেছিল মনে। প্রায় ১৫ বছর কেটে গেল, তার পর আমি শেষমেশ এই বইটি হাতে পেলাম।

এই গল্পটি পড়ার পর আমার মনে যে প্রতিক্রিয়া হল তা সহজে বর্ণনা করা কঠিন। এটি একটি শোকাবহ ট্র্যাজেডি, যা পড়া থেকে বাঁচলে হয়তো ভালো হতো। লেখকের হৃদয়বিদারক লেখনী আমাকে ভেতর থেকে নাড়া দিয়েছে।

বঙ্কিমচন্দ্রের 'কপালকুণ্ডলা' শুধু একটি প্রেম কাহিনী নয়, এটি মানুষের চেতনা, আত্মত্যাগ, এবং দুর্বলতার গল্প। কপালকুণ্ডলার চরিত্রে যে পবিত্রতা এবং সাহসিকতা দেখানো হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। অন্যদিকে, কপালিকের নৃশংসতা এবং মোতিবাইয়ের প্রতারণা গল্পটিকে আরও জটিল এবং গভীর করে তুলেছে।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে জীবনের স্পন্দন এনে দিয়েছেন, যা আমাকে এক অনন্য পাঠ অভিজ্ঞতা দিয়েছে।

'কপালকুণ্ডলা' পড়ার পর আমি যে মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এই বইটি আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে এবং একটি অমোঘ অনুভূতি রেখে গেছে। এ ধরনের বই যেমন চেতনা প্রসারিত করে, তেমনি মনকে কষ্টও দেয়।
Profile Image for নাঈম ইসলাম.
99 reviews5 followers
April 30, 2024
কঠিন ভাষার জন্যে পড়তে একটু কষ্ট হয়েছে বৈকি,
তবে গল্প অসাধারণ।
Profile Image for Ritam Debnath.
62 reviews1 follower
June 19, 2024
স্কুলে যখন পড়তাম, পাঠ্য বইতে "সাগরসঙ্গমে নবকুমার" নামে একটি গল্প পড়ানো হতো যেটি ছিল কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের প্রথম খন্ডের একটি অংশমাত্র। এই অংশের দুই - তিনটি লাইন খুব গুরুত্বসহকারে পড়ানো হতো স্কুলে। যেমন - "মহাশয়, যাহা জগদীশ্বরের হাত, তাহা পন্ডিতে বলিতে পারে না", "একটি স্ত্রীলোক গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন করিয়া আসিয়াছিল, ছেলে জলে দিয়া আর তুলিতে পারে নাই, - সেই কেবল কাঁদিল না" ইত্যাদি।

তখন থেকেই এই উপন্যাস পড়ার ইচ্ছে থাকলেও, সুযোগ হয়ে ওঠেনি কখনও। এবং সেই সময়ে পিডিএফের চলও ছিল না। আজ উপন্যাসটি শেষ করলাম। এই উপন্যাসের প্রত্যেকটি চরিত্র সাহিত্য সম্রাটের এক একটি অনবদ্য সৃষ্টি। একদিকে লুৎফ-উন্নিসা পৃথিবীর সব ধনসম্পদ ভোগ করা সত্ত্বেও মানসিক শান্তি খুঁজে পেলেন না এবং শেষমেশ সংসারই তার কাছে সর্বাপেক্ষা মূল্যবান বস্তু হয়ে উঠল; আরেকদিকে যোগিনী বনচারিণী কপালকুণ্ডলা গৃহিণী হওয়া সত্ত্বেও সংসারের কোনো কিছুই তাঁকে বেঁধে রাখতে পারল না। সাথে কাপালিকের প্রতিশোধ, নবকুমারের অভিমান - এইসব মিলিয়ে যেন প্রতিটি মুহূর্তে ঋষি বঙ্কিম-সৃষ্ট দুনিয়াতে হারিয়ে যেতে হয়।
Profile Image for Nafisa Piya.
20 reviews
June 14, 2016
ভাষাটা কঠিন, সাধুভাষা পড়ার অভ্যাস না থাকলে শেষ করা কঠিন।দেবী চৌধুরানীর সাথে কিছুটা মিল পেয়েছি- স্বামী বিতাড়িত স্ত্রীর বহু দিন পর স্বামীর সাথে দেখা হওয়া এবং স্বামীর তাকে চিনতে না পারা। বরং দেবী চৌধুরানীর সমাপ্তি আমার এর চেয়ে ভালো মনে হয়েছিল।
Profile Image for তানজুম ফেরদৌস.
56 reviews5 followers
May 11, 2022
বঙ্কিমের মত করে আমারও প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে — আকাশে চন্দ্রসূর্য্য থাকিতে জল অধোগামী কেন?
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews64 followers
October 7, 2020
লকডাউন শুরু হওয়ার পর পড়ে গেলাম বিপদে, কোনো বই নেই হাতে। কী করে সময় কাটবে?!
চার পাঁচটা বই নিয়ে এসেছিলাম শুধু, তার মধ্যে এটাও ছিলো। বঙ্কিমের শব্দচয়ন বরাবরই আমার কাছে কঠিন লাগে। অনেক অনীহা স্বত্তেও ধরলাম বইটা। এতো নাম ডাক বইটার, না পড়লেই নয়!কাহিনি শুরু নবকুমারকে দিয়ে।

নবকুমারসহ আরো অনেকে একটা জনবিচ্ছিন্ন দ্বীপে আটকা পড়ে। একপর্যায়ে সবাই নবকুমারকে ওই দ্বীপে একা রেখে চলে যায়। সেখানে এক কাপালিকের কাছ থেকে নবকুমার সাহায্য নেয়। কিন্তু, সে কাপালিক নবকুমারকে সাহায্য করে, তাকে বলি দেওয়ার জন্য। কাপালিকের পালিতা কন্যা কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে বিভিন্নভাবে সাবধান করে। অবশেষে কপালকুন্ডলা নবকুমারকে নিয়ে পালিয়ে যায়, নবকুমারের প্রাণ বাঁচানোর জন্য। স্থানীয় মন্দিরের অধিকারী নবকুমার আর কপালকুন্ডলার বিয়ে দিয়ে দেয়। কারণ, কপালকুন্ডলার সামনে বিপদ।

নবকুমারের আগেও বিয়ে হয়েছিলো, কিন্তু তা বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিলো।ঘটনাচক্রে, নবকুমারের আগের স্ত্রীর সাথে তাদের দেখা হয়ে যায়। কপালকুন্ডলা এখন তার ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কাপালিক কপালকুন্ডলাকে খুঁজতে খুঁজতে নবকুমারের বাড়ির সন্ধান পেয়ে যায়। নবকুমারের আগের স্ত্রী আর কাপালিক মিলে ষড়যন্ত্র করে তাদের আলাদা করে দেওয়ার। শেষ পর্যন্ত তারা সফল না হলেও, তারা সফল!

এমন এন্ডিং এর খুব দরকার ছিলো?!
Profile Image for Md Harun.
3 reviews
September 16, 2022
বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক স্বার্থক উপন্যাস কপালকুন্ডলা। উপন্যাসের প্রথম দুই পৃষ্ঠা পড়ার পর মনে হয়েছিল এই খটমটে দুর্বোধ্য বাংলা মাড়িয়ে উপন্যাসের শেষ অবধি পৌছানো আমার পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু গহীন অরণ্যে উপন্যাসের নায়িকা কপালকুন্ডলার সাথে নায়ক নবকুমারের পরিচয় আর ভিলেনরুপী কাপালিকের আবির্ভাব উপন্যাসের শেষ অবধি নিয়েই ছাড়ল।
নবকুমার যখন গহীন অরণ্যে বেরুনোর পথ খুজছিল তখন হঠাৎ কপালকুণ্ডলা আগমন। তারপর নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে বলা, "পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ??" এই মুহুর্ত অসাধারন ছিল। এছাড়া ছোটবেলা থেকে যে বাক্যের ভাবসম্প্রাসরণ অনেক লিখেছি, "তুমি অধম তাই বলে আমি উত্তম হইবো না কেন?" এ বাক্যটিও এই উপন্যাসের।

ত্রিভুজ প্রেমের এই উপন্যাসের আর এক নারী চরিত্র পদ্মাবতী। সম্রাট সেলিমের কাছে ব্যর্থ হয়ে আবার নবকুমারের কাছে ফিরে এসে তাকে পাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা উপন্যাসকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছে।

নবকুমার আসলেই কার!
পদ্মাবতীর নাকি কপালকুন্ডলার??

জানতে চাইলে প্রচুর ধৈর্য নিয়ে বইটি পড়ুন
Profile Image for মুনাম কবির.
69 reviews7 followers
March 23, 2022
উপন্যাসের মূল চরিত্রে ছিলেন নবকুমার। তীর্থযাত্রা শেষে আসতে গিয়ে সঙ্গীদের সঙ্গচ্যুত হয়। এরপর বনে এক তান্ত্রিকের দেখা পায়। যে কিনা তাকে তন্ত্রসাধনার জন্য বলি দিবে বলে আশ্রয় দেয়। এমতাবস্থায় এক সুবর্ণারূপসীর দেখা মিলে। যার নাম কপালকুণ্ডলা। সেই নবকুমারকে তান্ত্রিকের হাত থেকে বাঁচায়।

নবকুমারের সাথে কপালকুণ্ডলার বিয়ে হয়। এরই মধ্যে আবির্ভাব হয় নবকুমারের প্রথম যবনীপত্নী পদ্মাবতী ওরফে মতির। যে কিনা এই গল্পের খলনায়িকা। যার মাধ্যমে কপালকুণ্ডলা শেষ হয় এবং সমুদ্রে হারিয়ে যায়।
Profile Image for Tanzima Rahman.
94 reviews2 followers
July 3, 2024
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক প্রেমের উপন্যাস হিসেবে কপালকুণ্ডলা একালের ঔপন্যাসিকদের কান কাটে। ❝পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ? ❞ দিয়ে যে প্রেমানুরাগের শুরু তার থেকে অভিমান ভরা ভালোবাসার ❝ তুমি তো জানতে চাওনি।। ❞ তে সে প্রেমের সলিলসমাধি তা সত্যিই মনে দোলা দেয়।।
Displaying 1 - 30 of 122 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.