Jump to ratings and reviews
Rate this book

হিমু #11

চলে যায় বসন্তের দিন

Rate this book
"চলে যায় বসন্তের দিন!"

কি অদ্ভূত কথা! বসন্তের দিন কেন চলে যাবে? কোনো কিছুই তো চলে যায় না। এক বসন্ত যায়, আরেক বসন্ত আসে। স্বপ্ন চলে যায়, আবারো ফিরে আসে।

আমি হিমু।

আমি কেন বলব - 'চলে যায় বসন্তের দিন'।আমার মধ্যে কি কোনো সমস্যা হয়েছে? কী সে্ই সমস্যা?

104 pages, Hardcover

First published February 1, 2002

34 people are currently reading
832 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
390 (21%)
4 stars
704 (39%)
3 stars
543 (30%)
2 stars
123 (6%)
1 star
31 (1%)
Displaying 1 - 30 of 66 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
January 18, 2019
হিমু থাকবে অথচ মানুষের ভালোবাসা পাবে না এমন হয়? যথারীতি বইটি পড়ার সময় কখনো হাসছিলাম, কখনো অবাক হচ্ছিলাম। হিমুকে বরাবরই পড়তে গেলে আপন আপন লাগে। মনে হয় যে কথাগুলো আমি বলতে পারছি না সেগুলো হিমু বলে দিচ্ছে!

এই গল্পে ফুলফুলিয়াকে আমার খুব ভাল লেগেছে,সাথে জহিরকেও। সত্যি বলতে জহিরের ভাবনার মত আমারও একটা ‘কফিতা’ দিতে ইচ্ছে করছে! হিমু শুধু হলুদ পাঞ্জাবী পরে ঘুরে বেড়ালেও সে যে আমাদেরকে কতটা রঙিন ভালোবাসা দিয়ে যায় তা কি সে জানে? জানতে পারবে কখনো?
Profile Image for সালমান হক.
Author 66 books1,956 followers
December 27, 2022
এই বইটার কথা সবসময়ই মনে ছিল আমার। কলেজে পড়েছিলাম। আবারো পড়লাম। তবে এবারে আরো মনে থাকবে কারণ এই বইটা পড়ার ফাঁকে স্কয়ারের ইমার্জেন্সি রুম আর ইব্রাহিম ওয়ার্ডের কার্ডিয়াক ওয়ার্ড ঘুরে এলাম। চলে যায় বসন্তের দিনের এন্ডিং হুমায়ূন আহমেদের লেখা সেরা এন্ডিংগুলোর মধ্যে একটা।
Profile Image for Harun Ahmed.
1,646 reviews418 followers
November 21, 2025
হিমু সিরিজে আমার পড়া প্রথম এবং সবচেয়ে প্রিয় বই ।
Profile Image for Zamsedur Rahman.
Author 10 books161 followers
September 4, 2024
বই নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে শেষদিকের কয়েকটি লাইন নিজের মতো করে বানিয়ে বলতে চাই-

“আমি হুমায়ূন আহমেদের হাতে হাত রেখে বললাম, স্যার আপনি ভালো থাকবেন।
হুমায়ূন আহমেদ নরম কিন্তু স্পষ্ট স্বরে বললেন, সজীব তুমিও ভালো থেকো। ভালো থাকুক তোমার বন্ধুরা। ভালো থাকুক সমগ্র মানব জাতি।”
Profile Image for Rubell.
188 reviews23 followers
August 23, 2022
চলে যায় বসন্তের দিন প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ২০০২ সালের অমর একুশে বইমেলাতে। ২০০২ থেকে আমি নিয়মিত দৈনিক পত্রিকা পড়তে শুরু করি। এর আগেও দৈনিক পড়তাম, কিন্তু নিয়মিত ছিলাম না। ঐবছর থেকেই একুশে বইমেলা আমার মাথায় ঢুকতে শুরু করে। আমি মূলত প্রথম আলো পড়তাম। ফেব্রুয়ারির প্রতিদিন প্রথম আলোর পাতায় বিভিন্ন নতুন বইয়ের বিজ্ঞাপন দেখতাম, এই পাবলিকেশনের এত নম্বর স্টলে এই বইটা পাওয়া যাচ্ছে- টাইপ বিজ্ঞাপন। এর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের চলে যায় বসন্তের দিনও ছিল। বইটার প্রচ্ছদ দেখে আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। মনে হয়েছিল এমন প্রচ্ছদের বই বুকে নিয়ে ঘুমানো যায়।
মিথ্যা বললাম। এমন ঘুমানো টাইপ কিছু আমার মনে হয়েছিল না।

জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি-কুড়ি বছরের পার...

জীবনানন্দের কবিতার এই লাইনটা মনে করিয়ে দেয় নাতিদীর্ঘ জীবনে কুড়ি বছর কতটা দীর্ঘ সময়। দুই-হাজার-দুই এর পর কুড়িটা বছর চলে গেছে। দশ বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন হুমায়ূন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত দুই হাজার বাইশে এসে আমার চলে যায় বসন্তের দিন পড়ার সৌভাগ্য হল। এটা হিমু সিরিজের বই। বইয়ের শেষ দিকে থ্রিল আছে। সামনে কি ঘটছে জানার খুব আগ্রহ তৈরি হয়। হিমু একটা মার্ডার কেসে ফেঁসে গেছে। মানে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। লেখক বই শেষ করেছেন ক্লিফহ্যাংগারে।

২০০২ সালের দিকে "টেরোরিজম" একটা ট্রেন্ডিং শব্দ ছিল। দেশে কিংবা বিদেশে। হ্যাশট্যাগ টেরোরিজম এখনো ট্রেন্ডিং হয় কিন্তু তখনকার মত তীব্রতা আমার জীবনে দেখিনি।
২০০১ সালে নিউইয়র্কে বিমান হামলায় ধ্বসে গিয়েছিল টুইন টাওয়ার, বাংলাদেশে রমনা বটমূলে হয়েছিল গ্রেনেড হামলা- এই দুইটা ঘটনা মনে পড়ছে। বাংলাদেশে তখন চলছিল শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যুগ। সেই সন্ত্রাসীদের ছিল বাহারি সব নাম - টোকাই সাগর, কালা জাহাঙ্গীর, পিচ্চি হান্নান, সুইডেন আসলাম, ফ্রিডম সোহেল, কিলার আব্বাস,...। কোথায় হারিয়ে গেল সেসব সন্ত্রাসীরা! তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সৃষ্টি হওয়া নতুন বাস্তুসংস্থানে পেশাদার সন্ত্রাসীরা খাপ খাওয়াতে পারেনি, সমাজ থেকে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই প্রজাতিটি।
এসব কথা লিখছি কারণ চলে যায় বসন্তের দিন সেসময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। একটা দৃশ্যে পুলিশ পাহারায় আছে হিমু। পুলিশ অফিসার সিরিয়াস মুখে পিস্তল উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার হাবভাব হিমুর মুখ থেকে শুনুন:
"ভাবখানা এরকম যে আমি ভয়ঙ্কর কোনো সন্ত্রাসী। আমার নাম হিমু না। আমার নাম 'মুরগি হিমু' কিংবা ‘সুইডেন হিমু’।"

যাইহোক, হিমুর পুলিশি ঝামেলাতে জড়ানো নতুন কিছু না; তবে এবার মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গেছে। গল্পের শেষে হিমু তার প্রিয় একটা রাধাচূড়া গাছকে বিদায় দিয়েছে। প্রিয়জন বা পোষা প্রাণীদের বিদায় দেওয়া যেমন কঠিন; গাছকে বিদায় দেওয়াও কঠিন। তবে হিমুর জন্য হয়তো সহজ বা কম কঠিন:
আমি গাছের গায়ে হাত রেখে বললাম, বৃক্ষ তুমি ভালো থেকো।
বৃক্ষ নরম কিন্তু স্পষ্ট স্বরে বলল, হিমু তুমিও ভালো থেকো। ভালো থাকুক তোমার বন্ধুরা। ভালো থাকুক সমগ্র মানব জাতি।


আপনিও খুব ভালো থাকুন হুমায়ূন আহমেদ। আপনার জন্য ভালোবাসা।
Profile Image for Aohona .
16 reviews13 followers
Read
June 22, 2022
"আমি রাধাচুড়া গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছি। গাছের রোগমুক্তি ঘটেছে। পত্রে পুষ্পে সে ঝলমল করছে। বিকেলের পড়ন্ত আলো পড়েছে। মনে হচ্ছে গাছের পাতায় আগুন ধরে গেছে। অপার্থিব কোনো আগুন। যে আগুনে উত্তাপ নেই— আলো আছে, আনন্দ আছে।"


একজন মানুষের জীবনের বিনিময়ে গাছের রোগমুক্তি ঘটে। কি অদ্ভুত না?
ধীরে ধীরে গাছটি হয়ে ওঠে সুস্থ-সম্পূর্ণ,পত্রে পুষ্পে সে ঝলমল করে। কিন্তু মানুষটি ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে। এক সময় সে হয়ে ওঠে একটি গাছ।
জীবন বরই রহস্যময়। সেই রহস্য বোঝার সাধ্য আমাদের নেই। কিন্তু হিমু-হিমুদের আছে।
Profile Image for Rakib Hasan.
455 reviews79 followers
January 2, 2024
গল্পের যাদুকর হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা দিয়ে নতুন বছরের প্রথম বই পড়া হল। হিমু সিরিজ অনেক পছন্দের, সিরিজের এই বইটা বেশ ভালো লেগেছে বিশেষ করে হুমায়ুন আহমেদ এর অন্যান্য বইগুলোর তুলনায় এই বইয়ের এন্ডিংটা দুর্দান্ত ছিলো। অন্যান্য বইগুলো পড়ার মাঝে হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা পড়তে ভালো লাগে।
Profile Image for ANGSHUMAN.
229 reviews7 followers
September 2, 2021
রাধাচূড়া গাছটাই বসন্তের প্রতীক হিসেবে উপস্থিত এখানে। তার বেঁচে ওঠার গল্প চলে যায় বসন্তের দিন। খুবই সুন্দর একটা উপস্থাপনা, মাজেদা খালা যথারীতি স্বমহিমায় বিরাজমান। মানুষ চাইলে সবই সম্ভব এটা হিমু দেখিয়ে দিয়েছে। ফরেস্ট গাম্পের মতো জহির তার দেশহন্টন কমপ্লিট করতে পারলো নাকি ফুলফুলিয়ার জামাই হলো সেই কনফিউশন নিয়েই গল্পটা শেষ হয়। অর্থাৎ শেষটা পুরোপুরি পাঠকের হাতে।
Profile Image for Farhana Shraboni.
23 reviews33 followers
Read
November 21, 2025
এক লাইনের একটা রিভিউ দেখে ঘ���মাতে যাবার আগে কৌতূহল হলো; একটু দেখি কি আছে এটায়?!
দেখতে গিয়ে পড়া হয়ে গেল।
তারপর ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ভাবলাম; হলি কাউ! সক্কাল সক্কাল ওঠা লাগবে, আমি এতক্ষণ এই বাউণ্ডুলেটার সাথে বসে কি কত্তেসি?

প্রথম পরিচয়ের পর থেকেই হিমুকে কেন যেন ভালো লাগেনি আমার। অনাগ্রহে আর কিছু পড়া হয়নি পরে। কিন্তু হুমায়ুনী লেখার শক্তি এমন যে, কোনো বই ধরলে শেষ করার আগ পর্যন্ত ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করেনা।

টুক করে শেষ তো হলো, কিন্তু কেমন লাগল, বুঝলাম না।

টেলিপ্যাথি ব্যাপারটার উপর বিশ্বাস নেই তেমন, কিন্তু কয়েকদিন থেকে অনেকদিন যোগাযোগ না হওয়া মানুষদের স্বপ্নে দেখছি, মনে হচ্ছে কিছু যেন বলতে চাইছে। ঘুম ভেঙে কিছু মনে পড়ছে না, তবুও একটা তাগদা থেকে যাচ্ছে মনে মনে অথবা মাথায়, যে একটু যোগাযোগ করা দরকার।
ব্যাপারটা আমার চিন্তাপ্রসূত কিনা, নিজে বোঝা যাচ্ছে না। হিমুকে জিজ্ঞেস করতে হবে, সে কি বলতে পারবে?
বলতে না পারুক, সমস্যা নেই।

আপাতত সরলরেখায় সটান হয়ে শবাসনে শুয়ে বেনামি একটা চিঠিতে মনে মনে লিখে পাঠাতে ইচ্ছে করছে;

“তুমি একটা রামগরুড়ের ছানা!” to the power infinity

Profile Image for Sababa.
412 reviews56 followers
July 6, 2011
The first time I read about Himu was when I was 14. Although I liked to read in general, I was never a big fan of Bangla books. I always felt they were a bit slow paced for me. So it was very surprising indeed when I found myself reading, and yes actually enjoying, this book. It all started of course with laughter, One night - very late night - I heard someone laugh. Not just a small laugh but indeed the one that rings in your ears. I had no doubt it was my sister. Curious, I peeked into her room and found her reading one of the novels of Himu. Apparently she found it too hilarious to keep the laughter bubbled inside her, despite the late hour. So that was how I picked up reading Himu.

At 14, I enjoyed reading about Himu. He was simple, witty, humorous. He had no fixed destination, he liked to wander, do things to astound people. He was aimless, he lived life. That was it. But as I revisit those same books or sweep through new ones, I find my idea of Himu being altered. Being Himu no longer means wearing "Holud Panjabi" or walking the streets barefoot. Of course it is essentially a part of Himu, but that is not everything.

Himu is one of the most malleable character I have read about. He simply molds himself into any situation and become a part of it. He accepts the bizarre facts of life and lives it. He doesn't contradict people nor change their opinion of him. He doesn't follow the social norms into or out of any situation. When someone thinks he had supernatural power, he lets them believe it; if someone blames him for murder he lets them accuse him. It is not because he tries to do thing in the wrong order to attract attention. I think, he rather believes in nature running its course. He thinks every thing happens for some reason and he accepts it. He helps people - be it good or bad, be it by doing good or bad things. In fact, unlike most people, he doesn't categorize everything into black and white. He is as likely to mix with beggars as with elite class people. He doesn't follow the rules. He follows his fathers instructions, his own wisdom and judgement.

The more I read about Himu, the more I am intrigued. He is one of the simplest complex characters ever and I enjoy reading these novels.

Chole Jai Boshonter Din was a typical Himu novel. Majeda Khala was of course there. So was Khalu. Zohir had to make things complicated. Strange phenomenon had to occur. Himu was of course arrested for apparently killing a guy. And the novel ending left me wanting to read more. When I put all that together it was a great book. It kept me turning pages, Himu made me laugh throughout and by the time I closed the book, I was satisfied. The ending was superb. Excellent Work.
Profile Image for Shahnewaz Shahin.
95 reviews6 followers
November 24, 2025
বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এবং একবিংশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের আবির্ভাব এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিল। তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলির মধ্যে হিমু শুধু একটি চরিত্র নয়, বরং এক সাংস্কৃতিক ফেনোমেনন । নব্বইয়ের দশকের শুরুতে 'ময়ূরাক্ষী'র মাধ্যমে যার যাত্রা শুরু, 'চলে যায় বসন্তের দিন' সেই জনপ্রিয় হিমু সিরিজের একাদশতম গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এই উপন্যাসটি লেখকের সৃজনশীলতার সেই পর্যায়কে নির্দেশ করে, যখন তিনি সাধারণ গল্প বলার কৌশল থেকে সরে এসে জীবন ও সমাজের গভীরতম দার্শনিক প্রশ্নগুলিকে হালকা মেজাজে ছুঁয়ে দেখতে শুরু করেন।

বইটির শিরোনাম "চলে যায় বসন্তের দিন" পাঠকের মনে তাৎক্ষণিক কৌতূহল সৃষ্টি করে এবং হিমুর মৌলিক জীবনদর্শনের দিকে ইঙ্গিত করে। উপন্যাসের শুরুতেই হিমুর স্বগতোক্তি এর মূল সুরটি বেঁধে দেয়:
"চলে যায় বসন্তের দিন! কী অদ্ভুত কথা! বসন্তের দিন কেন চলে যাবে? কোনো কিছুই তো চলে যায় না। এক বসন্ত যায়, আরেক বসন্ত আসে। স্বপ্ন চলে যায়, আবারো ফিরে আসে। আমি হিমু!" ।
এই জিজ্ঞাসা আসলে স্থায়িত্ব ও ক্ষণস্থায়িত্বের দ্বান্দ্বিকতা নিয়ে হিমুর নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। বসন্তের দিন চলে যাওয়ার মতো জাগতিক বাস্তবতাগুলিকে অস্বীকার করে এক চিরন্তন সত্যের সন্ধান করাই হলো হিমুর 'মহাপুরুষ' হওয়ার সাধনা। এই দর্শন চরিত্রটিকে সাধারণ মানবীয় আকাঙ্ক্ষা ও ব্যর্থতার ঊর্ধ্বে এক নিরাসক্ত দ্রষ্টার আসনে স্থাপন করে।

উপন্যাসের ভূমিকাংশ, 'প্রসঙ্গ: হিমু'-তে লেখক নিজেই হিমু চরিত্রের সামাজিক প্রভাব স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমার ত্রিশ বছর লেখালেখির ফসল যদি হয় কিছু হিমু তৈরি করা—তাহলে তাই সই। আমি এতেই খুশি।" । এই উক্তিটি চরিত্রটির সাংস্কৃতিক গুরুত্বকে প্রতিষ্ঠা করে। হিমু সেই তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, যারা জীবনের গতানুগতিক ছক (চাকরি, বৈষয়িকতা, সামাজিক স্ট্যাটাস) ভেঙে এক সরল, স্বাধীন এবং আধ্যাত্মিক জীবন যাপন করতে চায়।

◻️আখ্যানভাগ ও ন্যারেশন কৌশল:
উপন্যাসটির ন্যারেশন কৌশল প্রথম পুরুষের জবানিতে (হিমু) রচিত, যা হিমু সিরিজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই রীতির প্রধান সুবিধা হলো পাঠক সরাসরি হিমুর ভাবনার গভীরে প্রবেশ করতে পারে, তার খেয়ালী সিদ্ধান্ত এবং অদ্ভুত যুক্তিগুলিকে অন্তর থেকে অনুভব করতে পারে। এটি হিমু চরিত্রের রহস্যময়তাকে আরও ঘনীভূত করে তোলে।

কাহিনির সূত্রপাত ঘটে একটি চিরাচরিত পারিবারিক সমস্যাকে কেন্দ্র করে। হিমুর মাজেদা খালার একটি চিঠি এই আখ্যানের প্রাথমিক উপাদান। মাজেদা খালা, যিনি মধ্যবিত্ত সমাজের অস্থিরতা ও সামাজিক মর্যাদার প্রতি অতি-সচেতনতার প্রতীক, তার একমাত্র 'অতি অতি অতি ভালো ছেলে' জহিরের একটি অপ্রত্যাশিত সম্পর্ক নিয়ে দিশেহারা। জহির প্রেমে পড়েছে 'ফুলফুলিয়া' নামের এক মেয়ের, যার বাবা একজন যাত্রাদলের হারমোনিয়াম বাদক। মাজেদা খালার চোখে, একজন কেবিনেট সেক্রেটারির ছেলের জন্য এই "ভাড়া খাটা টাইপ" মেয়ের সম্পর্ক তার পরিবারের সামাজিক মর্যাদাকে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে।

হিমুকে এই সম্পর্ক ভাঙার জন্য 'গোয়েন্দা' হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। মাজেদা খালার ট্রেডমার্ক অভ্যাস—চিঠির সাথে একটি চকচকে পাঁচশ টাকার নোট স্ট্রেপল করে দেওয়া—লেখকের কৌতুক ও সামাজিক পর্যবেক্ষণের এক সূক্ষ্ম উদাহরণ। এই টাকা হলো জাগতিক সমস্যা সমাধানের উপকরণ, যা হিমুর আধ্যাত্মিক জীবনদর্শনের বিপরীত।

হিমু, অবশ্য, তার নিজস্ব ভঙ্গিতে এই সমস্যাটির মুখোমুখি হয়। সে কোনো প্রচলিত সমাধান বা গোয়েন্দাগিরি করে না, বরং পরিস্থিতিকে তার নিজস্ব 'মহাপুরুষ' সুলভ ভঙ্গিতে পর্যবেক্ষণ করে। তার এই নিরাসক্ত দৃষ্টিভঙ্গি কাহিনিতে এক ধরনের দার্শনিক দূরত্ব সৃষ্টি করে, যেখানে পাঠকের মনোযোগ সমস্যা থেকে সরে এসে হিমুর নিজস্ব জীবনবোধ ও পারিপার্শ্বিকতার প্রতি তার প্রতিক্রিয়ার দিকে নিবদ্ধ হয়। লেখকের এই কৌশল উপন্যাসের প্লটকে গতিশীল না করেও একটি গভীর সাহিত্যিক অভিজ্ঞতা দান করে।

◻️চরিত্রায়ণ ও প্রতীকী বিশ্লেষণ:
হুমায়ূন আহমেদ তাঁর চরিত্রগুলিকে প্রায়শই সামাজিক ও দার্শনিক প্রতীকে পরিণত করেন। 'চলে যায় বসন্তের দিন'-এর চরিত্রগুলিও এর ব্যতিক্রম নয়।
হিমু:
হিমু হলো সমাজের আরোপিত কাঠামোর বিরুদ্ধে এক নীরব বিদ্রোহের প্রতীক। হলুদ পাঞ্জাবি, খালি পা এবং বেকারত্ব—এই তিনটি বৈশিষ্ট্য তার জাগতিক বন্ধনমুক্তির প্রতীক। তার হলুদ পাঞ্জাবি সন্ন্যাসবাদের প্রতি ত���র আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়, আর খালি পা পৃথিবীর সাথে তার সরাসরি, কৃত্রিমতাহীন সম্পর্কের দ্যোতক। এই উপন্যাসে তার প্রধান কাজ হলো সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ না করে, বরং পরিস্থিতিকে তার নিজের নিয়মে চলতে দেওয়া। হিমু তার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পাঠককে শেখায় যে জীবনের জটিলতাগুলিকে সরল যৌক্তিক সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা না করে, বরং তার রহস্য নিয়ে গ্রহণ করাই বাঞ্ছনীয়।

মাজেদা খালা:
মাজেদা খালা চরিত্রটি মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত সমাজের সেই অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে, যাদের জীবন সামাজিক প্রতিপত্তি, লোকলজ্জা এবং আর্থিক নিরাপত্তা দ্বারা চালিত। তার স্বামীর হার্ট অ্যাটাক এবং দ্বিতীয়বার শকের ভয়, তার উদ্বেগ এবং তার চিঠিতে টাকার ব্যবহার—সবই তার বস্তুবাদী মনস্তত্ত্বের প্রতিফলন। তিনি সামাজিক মর্যাদা রক্ষার জন্য যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত, এমনকি হিমুকে টাকা দিয়ে সম্পর্ক ভাঙার কাজে লাগাতেও দ্বিধা করেন না। তিনি সমাজের সেই শ্রেণির প্রতিনিধি, যারা শ্রেণিসংঘাতকে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঊর্ধ্বে স্থান দেয়।

জহির ও ফুলফুলিয়া:
জহির, যিনি তার মায়ের কাছে 'অতি অতি অতি ভালো ছেলে', সে আসলে প্রচলিত সামাজিক সাফল্যের পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চেয়েছে। একটি কেবিনেট সেক্রেটারির ছেলের একটি কফি শপ খোলার স্বপ্ন দেখা, যার নাম 'শুধুই কফিতা'। এই নামকরণ তার ভেতরের কাব্যিকতা এবং সহজ জীবনের প্রতি আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। ফুলফুলিয়া এবং তার হারমোনিয়াম বাদক বাবা সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির প্রতিনিধি, যাদের জীবনযাত্রাকে মাজেদা খালার মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী শ্রেণি হেয় করে দেখে। জহির ও ফুলফুলিয়ার সম্পর্ক সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসের বিরুদ্ধে এক সরল মানবীয় প্রেমের বিদ্রোহ।

◻️শৈল্পিক নিরীক্ষা ও দার্শনিক জিজ্ঞাসা
এই উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যিক নিরীক্ষা মূলত তাঁর ভাষা ও দার্শনিকতার মধ্যে নিহিত। তাঁর ভাষা অত্যন্ত সাবলীল ও স্পষ্ট, যা জটিল বিষয়বস্তুকেও সাধারণ পাঠকের কাছে সহজলভ্য করে তোলে।

ক. ডার্ক হিউমার ও সামাজিক ব্যঙ্গ: লেখকের ডার্ক হিউমার এই উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ শৈল্পিক উপাদান। মাজেদা খালার তীব্র উদ্বেগ এবং হিমুর নিরাসক্ত পর্যবেক্ষণ ও তীক্ষ্ণ মন্তব্যগুলির মধ্যে যে সংঘাত সৃষ্টি হয়, তা এক প্রকার হাস্যরসের জন্ম দেয়। এই কৌতুক আসলে সমাজ ও তার আরোপিত মূল্যবোধের প্রতি লেখকের সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ। তিনি দেখান যে মানুষ কীভাবে সামাজিক প্রত্যাশা পূরণের জন্য হাস্যকরভাবে নিজেদেরকে জটিলতার জালে জড়িয়ে ফেলে।

খ. নিয়তির ভূমিকা ও অলৌকিকতা: হিমু সিরিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো অলৌকিকতা এবং নিয়তির ভূমিকা। হিমুর মাঝে মাঝে ভবিষ্যদ্বাণী করার ক্ষমতা, যদিও তা প্রায়শই পরীক্ষামূলক বা মিথ্যা প্রমাণিত হয়, তবুও তা জীবনের উপর মানুষের নিয়ন্ত্রণের সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। হিমু বিশ্বাস করে যে ঘটনাগুলি এক বৃহত্তর মহাজাগতিক ছক মেনে চলে, যেখানে মানুষের ইচ্ছাশক্তি খুব কমই প্রভাব ফেলতে পারে। উপন্যাসের সমাপ্তিতে এই নিয়তিবাদ চূড়ান্ত রূপ নেয়।

◻️সমাপ্তি ও মূল্যায়ন
'চলে যায় বসন্তের দিন' উপন্যাসের সমাপ্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যা এর শৈল্পিক মানকে বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। কাহিনির শেষে হিমু একটি অপ্রত্যাশিত হত্যা মামলায় জড়িয়ে পড়ে এবং জেলে যায়। জেলের ওসি সাহেবের সাথে তার কথোপকথনটি হিমু-দর্শনের সবচেয়ে শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ:

হিমু যখন ওসি সাহেবের কাছে তার মুক্তির ভবিষ্যদ্বাণী করে, তখন তা একাধারে রহস্যময় এবং দার্শনিক:
“ওসি সাহেব আপনি এত আপসেট হবেন না।জগৎ খুব রহস্যময় । হয়তো এমন কিছু ঘটবে যে আমি হাসিমুখে জেল থেকে বের হয়ে আসব। জহিরের বিয়েতে আমার সাক্ষী হ‌ওয়ার কথা। দেখা যাবে যথাসময়ে আমি কাজী অফিসে উপস্থিত হয়েছি।”

ওসি সাহেবের অবিশ্বাস সত্ত্বেও হিমু দুটি সম্ভাব্য মুক্তির পথ দেখায়, যার একটি দৈব এবং অন্যটি বাস্তবতার নির্মম সত্য:
“ আমি বললাম,যে আসলেই খুনটা করেছে হয়তো দেখা যাবে সে অপরাধ স্বীকার করে পুলিশের হাতে ধরা দেবে, কিংবা পুলিশ বলবে উপরের নির্দেশে আমরা নিরপরাধ একটা লোককে ধরে এনে মামলা সাজিয়েছি।”

এই সমাপ্তিটি হুমায়ূন আহমেদের ন্যারেশন কৌশলের দক্ষতা প্রমাণ করে। তিনি এক দিকে দৈবের উপর আস্থা রাখেন, আবার অন্য দিকে সমাজের বিচার ব্যবস্থার দুর্নীতি ও ত্রুটি নিয়ে কঠোর ব্যঙ্গ করেন। সমাপ্তির এই দ্বান্দ্বিকতা পাঠককে দীর্ঘ সময় ধরে উপন্যাসের গভীরতা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে এবং এটিই হিমু সিরিজের প্রধান আকর্ষণ।

◻️উপসংহার
"চলে যায় বসন্তের দিন" একটি নিছক প্রেমের বা পারিবারিক সমস্যার আখ্যান নয়। এটি হুমায়ূন আহমেদের দার্শনিক দৃষ্টির মাধ্যমে সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মূল্যবোধ, শ্রেণীগত সংঘাত এবং জীবনের মৌলিক রহস্য অনুসন্ধানের একটি প্রচেষ্টা। হিমু চরিত্রের মাধ্যমে লেখক পাঠককে এই শিক্ষা দেন যে, জীবনের বসন্তের দিন চলে গেলেও, তার ফিরে আসার চক্রটি চিরন্তন। জাগতিক জটিলতাগুলিকে নিরাসক্তভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং জীবনের রহস্যময়তাটুকু মেনে নেওয়ার মধ্যেই রয়েছে এক গভীর প্রশান্তি।
Profile Image for Nahid Hasan.
132 reviews20 followers
October 2, 2018
কী যে লিখবো বুঝতে পারছিনা৷
এ পর্বের হিমু আর তার আশপাশের চরিত্র সবথেকে ব্যতিক্রম। ব্যতিক্রম মানে ব্যতিক্রমই। তবে বারবার মনে হয়েছে যে কথাটা, তা হল, এবার হিমুকে তেমন মহাপুরুষ বলে মনে হয় নি। বরং মনে হয়েছে কাজের ছেলে (নাকি মেয়ে?)। সবাই তাকে স্নেহ করে। কিন্তু প্রয়োজন না হলে কেউই তাঁর কোনো খোঁজ নেয়না। যখনই কারও কোনো প্রয়োজন হবে, একমাত্র তখনই তাকে চিঠি লিখে কিংবা লোক পাঠিয়ে নিয়ে আসা হয়৷ তবুও এক পরিবারের সবাই তাকে পছন্দ করবেনা😅।
কিন্তু হিমু এবারে ফাঁসির আসামি হয়ে গেলো। অথচ, তার কোনো সুপারিশকারী নাই। আজবই লাগছে ব্যাপারটা। হিমুর কুখ্যাত কিছু মামা আছে যারা হিমুকে ভালোবাসার জন্য বিখ্যাত, আর বিখ্যাত তাদের নৃশংসতার জন্য। তাদের কোনো উল্লেখ নেই। যদিও এই পড়তে এতো যুক্তির ধার ধারা উচিত না৷ কিন্তু মানতে পারছিনা।
হিমুর এতো “হাসি লাগে” বই আগে পড়ি নাই। আগের পর্বগুলোতেও রসিকতা ছিল, তবে এবার বেশিই।
তবুও রেটিং ★★★ দেওয়াও বেশি মনে হচ্ছে।
কারণ, হিমুর অবিচ্ছেদ্য অংশটা একেবারেই অনুপস্থিত। নেই। নেই মানে একেবারেই নেই৷ রূপা! হ্যা, রূপা নেই। এটা মানা যায়? হিমু থাকবে আর রূপা থাকবেনা? এ তো অসম্ভব! কিন্তু মনে হচ্ছে অসম্ভবকে সম্ভব করাই হিমুর স্রষ্টার কাজ। বেঁচে থাকলে নাহয় যোগাযোগ করে জানা যেতো, রূপা নাই কেন?
কাহিনী খারাপ লাগেনি। কিন্তু রূপা নাই।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Didarul Islam.
137 reviews1 follower
July 21, 2021
একটানা থ্রিলার পরে মনটা একটু চাঙ্গা করতে, একঘেয়েমি দূর করতে অনেক দিন বাদে হিমু ধরলাম। সেই আগের রহস্যময় হিমু, প্রাণবন্ত তার পথচলা। সাথে পারিপার্শ্বিকতা নিয়ন্ত্রণের অদ্ভুত ক্ষমতা। যারা মনোরম প্লট, সাসপেন্স, অনুভূতিতে আলোড়ন ফেলে এমন বই চান, তাদের জন্যে হিমু নয়। বরং যারা সীমানার বাইরে জীবনটা উপভোগ করতে চান, হিমুর অযৌক্তিক কাজকর্মে বেমালুম প্রেমে পড়ে যান, তাদের জন্যেই আমাদের ❝হিমু❞, হুমায়ূন স্যারের অমর সৃষ্টি।
June 24, 2021
হুমায়ূনের বেশ কিছু বই আমার পড়া হয়েছে কিন্তু তার #চলে যায় বসন্তের দিন# বইটি আমার অনেক প্রিয়।তখন ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে পড়ি কলেজের রিক্সা ভাড়া বাঁচিয়ে, কিছু টাকা জমিয়ে বইটা কিনি আর বইটা পড়ে আমি হুমায়ূন আহমেদের লেখার প্রেমে পরে যায়।
এইতো গেলো ব্যক্তিগত কথা, এই বার না হয়
বই প্রসঙ্গে কিছু বলা যাক..
হিমু সমগ্রের একটি অনবদ্য বই,চলে যায় বসন্তের দিন।
মাজেদা খালার সুন্দর চিঠি দিয়ে উপন্যাসের শুরু।চিঠি থেকে হিমু অবগত হয় যে,ফুলফুলিয়া নামক এক রমণীর সাথে জহিরের (মাজেদার ছেলে) কিছু একটা হয়েছে, এই
নিয়ে মাজেদা খালার ঘুম হারাম।মুশকিলআসান করার জন্য জরুরী তলব হিমুর।
হিমু জানে মাজেদা খালা নাচুনী বুড়ি টাইপ মহিলা সব কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যার স্বভাব। তাই চিঠি নিয়ে তার খুব একটা মাথা ব্যথা নেই। অপরদিকে হিমু খুব ভাল করে জানে,জহির খুব ভাল ছেলে।সেজন্য হিমুর ধারণা ফুলফুলিয়া মেয়েটি হবে অসাধারণ। মূলত ফুলফুলিয়ার প্রতি জানার কৌতুহলবশত সে মাজেদা খালার বাসাই যায়।তারপরে বিভিন্ন মজার মজার ঘটনার অবতারণা হয়।
ফুলফুলিয়া মেয়েটি কেমন;জহিরের সাথে তার কী হয়,হিমুর ভূমিকা কী সব কিছু জানতে হলে পড়েই ফেলুন এই সুন্দর বইটি।
#পরিশেষে বলবো,হিমুর মত মানুষই পারে জটিল সমস্যার মাঝে হাসতে আবার তারাই পারে অনেক জটিল সমস্যার সহজ সমাধান দিতে।তাই হিমু হতে চাই অনেক যুবক;কিন্তু হতে পারে কি!!
Profile Image for আহসানুল শোভন.
Author 39 books91 followers
April 9, 2019
এই বইতে বাদলের পরিবর্তে জহির নামের অন্য এক খালাতো ভাই (মাজেদা খালার পুত্র)। সে ফুলফুলিয়া নামক একজন মেয়ের প্রেমে পড়েছে, যার ফ্যামিলি স্ট্যাটাস মাজেদা খালাদের ফ্যামিলি স্ট্যাটাসের সাথে যায় না। এখন এই পথ থেকে জহিরকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব হিমুর। হিমুর বইগুলো মনোটোনাস হয়ে পড়েছে। অন্ধভক্ত খালাতো ভাই, একজন আধপাগলী খালা, একজন রাগী খালু, একটা সহানুভূতি জাগানিয়া চরিত্র, হিমুর কিছু উদ্ভট কর্মকাণ্ড এবং ভবিষ্যৎ বাণী যেগুলো বইয়ের শেষে গিয়ে মিলে যাবে.. ব্যস হয়ে গেলো হিমু সিরিজের একটা বই। শুরুর দিকের হিমুর বইগুলো ভালো লাগলেও শেষের দিকেরগুলো আর টানছে না।
Profile Image for Fårzâñã Täzrē.
273 reviews19 followers
May 19, 2025
মাজেদা খালা মহাবিপদে পড়েছেন। এবং তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে মুশকিল আসান হচ্ছে হিমু। মাজেদা খালা চিঠিতে লিখেছেন হিমু বিনিময়ে যা চাইবে তাই দেবেন তিনি। এখন বিপদ হচ্ছে খালার ধারণা তার অতি গুণধর পুত্ৰ জহির মনে হয় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছে। ভাড়া খাটা টাইপ একটা মেয়েকে বিয়ে করে ফেলেছে। মুখে অবশ্য নাকি এখনো কিছু বলছে না। খালা গন্ধে গন্ধে বুঝে ফেলেছেন। চিন্তায় বেচারির ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

খালা চিঠিতে হিমুকে লিখেছেন মেয়েটার নাম ফুলফুলিয়া। যে মেয়ের নাম ফুলফুলিয়া সে কেমন মেয়ে বুঝতেই তো পারছিস। ঘটনা এখানেই শেষ না। ঐ হারামজাদি মেয়ের বাবা কী করে জিনিস? সে হারমোনিয়াম বাদক। যাত্ৰাদলে হারমোনিয়াম আরো কী সব নাকি বাজায়। তুই চিন্তা করে দেখ ছেলের বাবা কেবিনেট সেক্রেটারি। আর শ্বশুর হারমোনিয়াম বাদক। হিমু যেভাবেই হোক জহিরকে বুঝিয়ে সুজিয়ে পথে আনতে হবে। ঐ হারামজাদিকে দূরে কোথাও বিয়ে দিয়ে বিদায় করার ব্যবস্থা কর। যাবতীয় খরচ আমি দেব। প্রয়োজনে হারামজাদিকে গয়নাও কিনে দেব।


মাজেদা খালা চিঠিতে আরো লিখেছেন ঘটনা কাউকে না বলতে। চিঠি পাওয়া মাত্র আমার কাছে চলে আসবি। দুজনে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেব। তোর খালু সাহেব এখনো কিছু জানে না। তাকে ইচ্ছা করে কিছু জানাই নি। এতবড় শক সে নিতে পারবে না। ধুম করে এটাক ফেটাক হয়ে যাবে। একবার এটাক হয়েছে। দ্বিতীয়বার হলে আর দেখতে হবে না। হিমু, তুই আমাকে বাঁচা।

কিন্তু হিমু জানে জহির অতি ভালো ছেলে। সে যে কত ভালো তা একটা অতি ব্যবহার করে বুঝানো যাবে না। খুব কম করে হলেও তিনটা অতি ব্যবহার করতে হবে–অতি অতি অতি ভালো ছেলে। সে ফিজিক্সে অনার্স পড়ছে। দুর্দান্ত ছাত্র। পাশ করেই ঢাকা ইউনিৰ্ভাসিটিতে লেকচারারের চাকরি পেয়ে যাবে। কিন্তু তার জীবনের স্বপ্ন সে একটা কফির দোকান দেবে। আধুনিক কফিশপ। জীবন কাটাবে কফি বিক্রি করে। কারণ কফির গন্ধ তার ভালো লাগে।

হিমু মাজেদা খালার বাসায় গিয়ে জহিরের সাথে দেখা করে। ঘটনা কী জানতে চাইলে জহির বলে, "ভাইজান, আমি ঠিক করেছি। ফুলফুলিয়াকে বিয়ে করব। আমি জানি সবাই খুব রাগ করবে। কিন্তু আমি মন ঠিক করে ফেলেছি। বিয়ে করব কাজির অফিসে। বিয়েতে তুমি একজন সাক্ষী হবে। আরেকজন সাক্ষীও তুমি জোগাড় করবে। কোত্থেকে করবে। সেটা তুমি জানো। ফুলফুলিয়া সম্পর্কে এই আমার পরিকল্পনা।"


ঘটনা এতদিন খালু সাহেব জানতেন না। কিন্তু ঘটনা জানার পর জহিরের বাবা মানে খালু সাহেব হিমুর এ বাড়িতে ঢোকা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। দারোয়ানকে ডেকেও বলে দেয়া হয়েছে হিমু যেন এ বাড়িতে ঢুকতে না পারে। জহিরের বাবার ধারণা তার ছেলের এই সমস্যার মূলে আছে হিমু। হিমু নাকি মানুষের মাথায় হালকা বাতাস দিয়ে আইডিয়া ঢুকিয়ে সটকে পড়ে। মাজেদা খালা অবশ্য তাকে বলেছেন –এটা ঠিক না। হিমু আমাদের দলে। জহিরের কথাবার্তা খুব কায়দা করে হিমুই রেকর্ড করে এনেছে। কিন্তু খালু সাহেব বলেছেন–হিমু সব দলেই আছে। জহির যদি ফুলফুলিয়াকে বিয়ে করে তাহলে দেখা যাবে উকিল বাবা হিমু।

হিমু কৌতুহলবশত মেয়েটার বাসায় যায় মাজেদা খালার জোরাজুরিতে। শান্ত চেহারার শ্যামলা মেয়ে। রোগা পাতলা, মুখ গোলাকার না, লম্বাটে। মনে হয় রুটি বানাচ্ছিল। হাতে ময়দা লেগে আছে। ফুলফুলিয়া হিমুকে দেখেই চিনতে পারলো। মেয়েটা যেন হিমুকে অবাকই করলো বলা যায়।

এখন শেষমেশ জহিরের বিয়ে কার সাথে হয় দেখা যাক। হিমু কী সহজ কাজ সহজে করে? নাহ তাহলে তো তার চরিত্রের সাথে মানাবে না। দেখা যাক হিমুর মনে কী প্ল্যান আছে জহির এবং ফুলিকে নিয়ে।

🍭পাঠ প্রতিক্রিয়া🍭

হুমায়ূন আহমেদের হিমু মানেই মন ভালো করার বই। এখানে গোছানো কাহিনী লাগে না। "চলে যায় বসন্তের দিন" সম্ভবত আমার পড়া প্রথম হিমুর বই ছিল। এবং হিমু সিরিজের মধ্যে আমার অন্যতম প্রিয় বই। এই বইটা পছন্দ কেন জানেন? এখানে গল্পটা আমার বেশ গোছানো লেগেছে। হিমুর কিছু বইয়ে হুমায়ূন আহমেদ ঘটনা প্রবাহ ঠিক রাখেননি। বরং এলোমেলো ভাবে এগিয়েছে। কিন্তু এই বইয়ে চরিত্রগুলোর শক্ত প্রভাব এবং কাহিনী একটা নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে এগিয়েছে। যেটা অন্যান্য বইয়ের থেকে ভালো। এতে হয় কী পড়তে পড়তে একই গল্পে ডুবে থাকা যায়।

এই গল্পে হিমুর থেকে আমার মাজেদা খালাকে বেশি পছন্দ। এই মহিলা হিমু সিরিজের যে কয়টি বইতে আছেন পুরো ফাটিয়ে দিয়েছেন। তার মধ্যে এই বইয়ে পুত্র চিন্তায় তার চরিত্র আরো বেশি হাস্যকর হয়ে উঠেছে। পুরো বই জুড়ে সেটা বিরাজমান ছিল।

শুরুতে হাস্যকর ঘটনাপ্রবাহ শেষে গিয়ে যেভাবে শেষ হয়েছে আমার কাছে ভালো লেগেছে। বাকিটা বললাম না স্পয়লারের ভয়ে। তবে এই বইটি ভালো লাগবে যারা এখনো পড়েননি হিমু সিরিজ তারা এটা দিয়েও শুরু করতে পারেন।

🍭বইয়ের নামঃ "চলে যায় বসন্তের দিন"
🍭লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
🍭ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪.৬/৫
Profile Image for Towhid Zaman.
103 reviews19 followers
November 2, 2022
একটা রাধাচূড়া গাছ ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,ফুলফুলিয়ার বাবা শমসের উদ্দিন বোধহয় তার নিজের জীবন গাছ কে দিয়ে দিচ্ছেন, যার বদৌলতে হঠাৎ করেই গাছটা সুস্থ হয়ে উঠেছে।

ফুলফুলিয়া, সুন্দরী তরুনী। জহিরের ভালোবাসা। ভালোবাসা র গল্পটা দারুণ।

ঐদিকে জহির বাসায় নেই, সে হাটতে বের হয়েছে ~ টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। সে নিজেকে চিনতে বের হয়েছে, হাহাহা! দারুন ব্যাপার !

২ নভেম্বর ২০২২
Profile Image for Jarin Khan Mou.
25 reviews12 followers
January 28, 2022
হিমু নিয়ে কি কিছু বলা যায়। সেই হিমু আর ���ার চিরাচরিত আজগুবি সব কাজকর্ম। হিমুর আসেপাশের চরিত্র গুলো বাদ দিলে বইটিতে যে বিশেষ চরিত্র ছিল তা হলো একটি,"রাধাচূড়া গাছ"। গাছেদেরো অসুখ করে তা হিমুর মত মানুষই ভাবতে পারে। হিমু সিরিজের বাকি বইয়ের মত এটাও এক বসায় পড়ে ফেলা যায়।
Profile Image for Ramisa.
18 reviews
April 19, 2020
"চলে যায় বসন্তের দিন!
কি অদ্ভূত কথা! বসন্তের দিন কেন চলে যাবে? কোনো কিছুই তো চলে যায় না। এক বসন্ত যায়, আরেক বসন্ত আসে। স্বপ্ন চলে যায়, আবারো ফিরে আসে। " -হুমায়ুন আহমেদ।

হিমুর প্রতি আমার কিছুটা অ্যালার্জি আছে।হিমুর অসংলগ্ন কথা বেশীরভাগ সময়েই আমার বিরক্তি লাগে।কারন আমাদের বাস্তব জীবনে হিমুর মতো অস্বাভাবিক ক্ষমতার মানুষজন যেমন নেই,আমাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা (যেটাকে সহজ ভাষায় আজাইরা প্যাচাল বলা হয়) কে আশেপাশের লোকজন পাগলের প্রলাপ হিসেবে ধরে নেয়।হিমুর মতো আমরা কঠিন পরিস্থিতে শান্ত থাকতে পারি না,আমাদের সাথে মানুষকে চমকে দেয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটে না।তবে আমি অনেকটা জোর করেই হিমু সিরিজের সবগুলো বই পড়ে ফেলেছি।এবং অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম যে  ২/৩ টা গল্প ভালো লেগে গেছে আর "চলে যায় বসন্তের দিন" তার মধ্যে একটা।
.
গল্পের শুরু হয় মাজেদা খালার চিঠির মাধ্যমে।চিঠির মধ্যে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো তিনি ছোটোবেলার স্মৃতিকে বজায় রাখার জন্য সবসময়েই চিঠির সাথে টাকা স্ট্যাপলার করে দেন।চিঠির বিষয়বস্তু মাজেদা খালার ছেলে জহিরকে নিয়ে যে ফুলফুলিয়া নামে এক রূপবতী মেয়েকে ভালোবেসে ফেলেছে।কিন্ত মাজেদা খালার ব্যাপারটা পছন্দ হচ্ছে না এবং তিনি চান হিমু যেন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়।কিন্ত হিমুর মতে জহিরকে বিশেষায়িত করার জন্য ভালোর পরে তিন বার অতি ব্যবহার করতে হবে।জহিরের সবচেয়ে মজার ব্যাপার, সে ফিজিক্সে পড়লেও তার স্বপ্ন হচ্ছে "শুধুই কফিতা"❤ নামের একটি কফিশপ দেয়া।এ বইতেও বরাবরের মতো খালুসাহেব হিমুকে অপছন্দের ধারা বজায় রাখেন এবং জহিরকে পথভ্রষ্ট করার শাস্তিস্বরূপ হিমুর পেছনে পুলিশ লাগিয়ে দেন।ফুলফুলিয়া আর তার বাবার (উপমহাদেশের বিশিষ্ট ব্যাঞ্জোবাদক) সাথে দেখা হবার পরে গল্পের মোড় ঘুরতে থাকে।এই বইয়ের সবচেয়ে সুন্দর ব্যাপার হচ্ছে একটি মৃতপ্রায় রাধাচূড়া গাছ,যার আরোগ্য লাভের জন্য রীতিমত মাওলানা রেখে দোয়া পড়ানো হয়।কারন মানুষ অতি বিচিত্র প্রাণী। মানুষের পক্ষে সবই করা সম্ভব।

জহির আর ফুলফুলিয়ার সম্পর্কের শেষটাও ভালো লেগেছে। "অতি সহজেই আমরা মানুষ সম্পর্কে একটা সিদ্ধান্তে চলে আসি। মানব চরিত্রের এটা একটা বড় দুর্বলতা। একটা মানুষ সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব তাঁর মৃত্যুর বার বছর পর। মৃত্যুর পরপর কোন মানুষ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেয়া যায় না। মৃত্যুর কারণে লোকটার প্রতি মমতা চলে আসে’।"
Profile Image for Abdus Sattar Sazib.
259 reviews15 followers
March 13, 2021
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
Profile Image for Md Suny.
66 reviews
June 22, 2020
গল্প শুরু শেষ কিছুই কোনো ধারার মধ্যে নেই। স্বভাবতই লেখকের লেখা সরল হওয়ার কারণে পড়ে বিরক্তি আসে নি। তবে গল্পের প্রতি বিরক্ত ঠিকই হয়েছি।
Profile Image for Zubayer Kamal.
84 reviews20 followers
April 24, 2023
তৃতীয়বারের মত বইটা পড়লাম ঈদের দিন

কিছুক্ষণ আগে ঈদের জন্য ঘরে রান্না করা মুরগি পোলাউ খেতে বসলাম খাটের উপর। খাওয়ার সময় আমি সাধারণত হাস্য-রসাত্মক ভিডিও দেখি ইউটিউব থেকে। খাবার সময় ভিডিও দেখতে সমস্যা হয় বলেই ইয়ারফোন ছেড়ে এয়ারপড কিনেছিলাম। বেশিরভাগ দেখি বাটফিক্সের সিনেমা রিভিউ কিংবা আরএনএআরের সিনেমা রিভিউ। মাঝে মাঝে জি বাংলার পুরনো দিনের মীরাক্কেল দেখি। তবে আজ হুমায়ূন আহমেদের হিমুর একটি বই নিয়ে বসলাম।

বইটার নাম ‘চলে যায় বসন্তের দিন’। কথায় আছে বাঙালী মানেই খাবার শেষে হাত না ধুয়ে গল্প করতে থাকা। আমিও খেতে খেতে বই পড়া শুরু করলেও খাবার শেষে হাত না ধুয়ে বইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। বহুদিন পর পড়ছি বলে অনেক গল্পই ভুলে গেছি। সামান্য রসিকতাতেও কয়েকবার হো হো করে হেসে দিলাম। দেখলাম আমার জানালা বরাবর পাশের বাড়ির জানালা দিয়ে ছোট দুইটা মেয়ে আমাকে দেখছে। সম্ভবত কারও হাসি দেখতে পারাটা আনন্দের। একবার মনে হলো, আমার মত কি ওদের ঈদও চুরি হয়ে গেছে?

বইটা শেষ করলাম ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে, একটু আগে। বইটা শেষ করে হুট করেই হুমায়ূন আহমেদকে মিস করা শুরু করলাম। আমার ছোটবেলার একাকী ঈদগুলো কাটতো বিটিভিতে হুমায়ূন আহমেদের নাটক দেখে। হুমায়ূন আহমেদ যখন বেঁচে ছিলেন, তখন প্রতি বছর আমার বড় বোন আমাকে একটা করে হুমায়ূন আহমেদের বই উপহার দিতেন। কলেজ থেকে ফেরার পথে ইউনিফর্ম পরা আমার বোন ও তার বান্ধবীরা বড় লাইন ঠেলে কখনও হুমায়ূন আহমেদের অটোগ্রাফ আনতে পারতেন না। আমি আশা করতাম, পরের বছর নিশ্চিত আমাকে বইমেলায় নিলে ঠেলেঠুলে সামনে চলে যাবো।
আমি সেসময় আমার বোনের অসম্পূর্ণ খাতায় কত কত গল্প লিখেছি তার ইয়েত্তা নেই। সবই হুমায়ূনের গল্প থেকে আইডিয়া পাওয়া। একটু বড় হবার পর প্যাকেজ নাটকের স্ক্রিপ্ট লিখতাম, সেগুলোই হুমায়ূন আহমেদের নাটক দেখে। সেসময়ের কিছু গল্প বা স্ক্রিপ্ট এখনও পুরনো পত্রিকার মাঝে খুঁজে পাই। পড়ি আর নিজেই হাসি। স্টিফেন কিংয়ের ভাষায়- ‘সুপার ডুপার ডাম্প’। তবু বাচ্চাকালের লেখায় একটা মায়া আছে।

কিছুদিন আগে নিজের লেখা ১২ হাজার শব্দের একটা নভেলা খুঁজে পেলাম। খানিকটা বাচ্চাদের উপযোগী একটু বোকা ভুতের গল্প। সম্ভবত হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসগুলো টানা পড়ার সময়ই এই নভেলার গল্পটা মাথায় এসেছিল। দুর্বল বাক্য গঠন, এলোমেলো সংলাপ আর গল্পে অনেক ফাঁকফোকর- তারপরেও গল্পে একটা হুমায়ূন গন্ধ আছে। কিশোরবেলার লেখায় হয়তো কারও গন্ধ এড়িয়ে লেখা যায় না।
January 6, 2024
চলে যায় বসন্তের দিন (হিমু সিরিজ)
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ
    মাজেদা খালার ছেলে জহির হঠাৎ প্রেমে পড়ে শমসের উদ্দিনের বিবাহিত কন্যা ফুলফুলিয়ার ওপর। রব উঠে মেয়েটা নাকি ঠিক নয়। অগত্যা হিমুকে যেতে হয় ফুলফুলিয়ার বাড়িতে। হুট করেই বদলে যায় ঘটনার সমস্ত দৃশ্য। ফুলি বিবাহিত জেনে জাহিদ 
ফরেস্ট গাম্প মুভির নায়কের মতো বাড়ি ছেড়ে পায়ে হেটে শুরু করে, দূরের পথে। এদিকে জাহিদ মিসিং বলে পুলিশ ধাওয়া করে হিমুকে। 
     ফুলি,জাহিদ, মাজেদা খালা একেএকে সব সিঁকেয় উঠে, ঘটনা আগাতে থাকে হিমুর সাথে শমসের উদ্দিনের। 
    পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে হিমু ফুলির বাসায় গিয়ে উঠে। শমসের উদ্দিনের সাথে সবসময় একসাথে থাকে, তার ব্যাঞ্জো বাজনা শুনে, আজগুবি কথা বলে তার আক্কেলগুড়ুম করে ছাড়ে, আবার শহরের মাঝখানে একটা মুমূর্ষু রাধাচূড়া গাছের জন্য প্রানভিক্ষা চেয়ে মোনাজাতেও শামিল হয়। বৃদ্ধের সখ পূর্ণ করতে কপর্দকহীন হিমু তার ব্যাঞ্জো বাজনার একটা ক্যাসেট বের করতে উদ্যোগী হয় এবং এই কাণ্ড সে আশ্চর্যজনক উপায়ে ঘটিয়েও ফেলে।
     হিমুকে সাধারণত কোনো কিছুই স্পর্শ করতে পারে না সে সর্বরকম অনুভূতির উর্ধ্বে এ জাতীয় একটা প্রবাদ আছে। ধারণটা সম্পূর্ণ ভুল। এই গল্পে আমরা আগের হিমুকে আর খুঁজে পাইনা। সম্পূর্ণ আলাদা এক হিমুকে খুঁজে পাই যাকে আচ্ছন্ন করে রাখে ফুলির বাবার বৃদ্ধহাতের জাদুকরী ব্যাঞ্জোর সুর। শেষে কি হয় কেউই বুঝতে পারে না। হিমু পুলিশের কাছে আটক হয়, তার ইনটিউশন প্রয়োগ করে বলে দেয় যে ফুলিয়া যে অবিবাহিত সেটা সে আগে থেকেই জানে। কিন্তু তারপর? তারপর কি হয়? মিথ্যা মামলা থেকে কি সে ছাড়া পায়? ফুলিয়া আর জহির কি বিয়ে করে? শমসের উদ্দিন কি আসলেই মারা যাবেন একটা রাধাচূড়া গাছের রোগ নিজ শরীরে শোষণ করে?
    বইটি আপনাকে অবসরে নিশ্চিত আনন্দ দিবে। বইজগতের এই আনন্দযজ্ঞে সবার আমন্ত্রণ।
বই পরিচিতিঃ
বইঃ চলে যায় বসন্তের দিন (হিমু সিরিজ)
লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকালঃ ২০০২
প্রচ্ছদঃ ধ্রুব এষ
মুদ্রিত মূল্যঃ ৳২৮৯
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
226 reviews13 followers
March 16, 2025
- একজন মানুষের মৃত্যুর ব্যাপার আপনি এতো সহজে বলতে পারলেন?
- হ্যাঁ পারলাম।
- আপনি পাথরের মতো মানুষ, এটা জানেন?
- জানি।
- যদি আপনার ফাঁসি হয় আপনি কি হাসিমুখে ফাঁসির দড়ি গলায় দিতে পারবেন?
- চেষ্টা অবশ্যই করবো। পারবো কি না বুঝতে পারছি না।

হিমু! হিমু!! হিমু!!! একজন অদ্ভুত ক্যারেক্টার। এমন এক অদ্ভুত চরিত্র যাকে যতো বেশি পড়বেন, ততোই আপন মনে হবে। মনে হবে আপনার নিজের কথাগুলাই সে বলছে।
হিমু সিরিজের বইগুলা যেরকম হয় এইটা সেগুলার চাইতে কিঞ্চিৎ আলাদা। কেনো আলাদা? এইটার এন্ডিং এর জন্য। এন্ডিংটা অনেক বেশিই সেরা ছিলো।

সবমিলিয়ে, পড়ে ফেলেন। নতুন করে না হুমায়ূন আহমেদকে চেনানোর দরকার আছে, না হিমুকে। নির্দ্বিধায় পড়ে ফেলেন। সুন্দর একটা বই।
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
September 29, 2020
মাজেদা খালা , তার ছেলে জহিরকে নিয়ে চিন্তিত কারণ সে ফুলফুলিয়া নাম এর এক মেয়ে এর প্রেমে পড়েছে। হিমু এসে জহির এর কাছ থেকে কথা বের করবে। হিমু ফুলফুলিয়ার সাথেও দেখা করে। ফুলফুলিয়ার বাবা অসম্ভব সুন্দর ব্যাঞ্জো বাজায়। এদিকে জহির যখন জানতে পারে ফুলফুলিয়া বিবাহিত (আসলে বিবাহিত না। সবাইকে বলে বিবাহিত আর আরকি) তখন সে হাঁটা শুরু করে পুরা বাংলাদেশ। এজন্য জহির এর বাবা হিমুর নামে ওয়ারেন্ট দেয়। হিমুকে জেলে নেয়া হয় ছিনতাই করে পালানোর সময় ক্ষুর দিয়ে আঘাত করার জন্য। মিথ্যা মামলা। অথচ তার ফাসি হবে। এদিকে ফুলফুলিয়ার বাবা নিজের জীবনের বিনিময়ে গাছ এর জীবন চেয়েছে এবং হাসপাতালে মৃত্যুসয্যায়।
Profile Image for Shihabul Bashar  Robi.
52 reviews2 followers
July 14, 2022
বেশিকিছু না, মন খারাপ ছিলো, তাই হঠাৎ এই উপন্যাসটা পড়তে ইচ্ছে হচ্ছিলো। একটানে শেষ করে মন আরেকটু খারাপ হইলো আর কি।

মানুষের জন্য কোনটা স্বাভাবিক, সেইটা ঠিক করার দায়িত্ব কেনো মানুষ নিজেই নিবে?

তাইলে, তাদের নিজেদের বিচারে স্বাভাবিক এর বাইরে কেউ কিছু করলে সেটার প্রতি অত বক্রদৃষ্টি কেন?

এই স্বাভাবিক এর বাইরে যেতে চাওয়া মানুষগুলার প্রতীক জহির, অন্তত এবারের পড়াটায় আমার মনে হইলো।

হিমুর কাহিনী হইলেও এইখানে জহির আর ব্যাঞ্জোবাদক শমসের উদ্দীন এর ভূমিকা অনেক।

তারচেয়েও বড় ভূমিকা হয়তো রাঁধাচূড়া গাছটার।

বসন্তের দিন যে আসলেই চলে যায়, তার সাক্ষী সে।
Profile Image for Jannatul Rafi Mariya.
61 reviews12 followers
February 11, 2022
বইটি আগের পড়া। আমার অনেকদিনের শখ পুরনো বই কিনবো। যেখানে বিখ্যাত কোন লেখকের কয়েক পাতা গল্পের সাথে থাকবে অজানা কোনো পাঠকের কয়েক লাইনের কিছু গল্পও। তো পেলাম এমন কয়েকটা বই। এর মধ্যে একটা 'চলে যায় বসন্তের দিন'। আমি ভুলে গিয়েছিলাম কোন বইয়ে ছিলো হিমুর পাঁচটা প্রশ্ন যার উত্তরও হতে হবে পাঁচ রকম। এই বইয়ে পেয়ে গেলাম। অনেকদিন পর আবার পড়লাম। ভালো লেগেছে।
16 reviews1 follower
March 21, 2024
4.5 /5

অন্য কিছু পড়তে পড়তে হাপিয়ে গেলে আবার ফিরে আসি. বেশ হাঁপ ছেড়ে বাঁচলাম.
বারবার মনে হয় কী absurd কথাবার্তা পড়ছি কিন্তু কোন মুগ্ধতায় আটকা পড়ে যাই.
হিমু ফুলফুলিয়া জহির মজিদাখালা সবাই এখনওআছে ঘিরে. বেশ লাগল খুব ভালো.
Displaying 1 - 30 of 66 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.