ময়ূরাক্ষী নদীকে একবারই আমি স্বপ্নে দেখি। নদীটা আমার মনের ভেতর পুরোপুরি গাঁথা হয়ে যায়। অবাক হয়ে লক্ষ করি কোথাও বসে একটু চেষ্টা করলেই নদীটা আমি দেখতে পাই। তারজন্যে আমাকে কোনো কষ্ট করতে হয় না। চোখ বন্ধ করতে হয় না, কিছু না। একবার নদীটা বের করে আনতে পারলে সময় কাটানো কোনো সমস্যা নয়। ঘন্টার পর ঘন্টা আমি নদীর তীরে হাঁটি। নদীর হিম শীতল জলে পা ডুবিয়ে বসি। শরীর জুড়িয়ে যায়। ঘূঘুর ডাকে চোখ ভিজে ওঠে।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
ঠিক ২ বছর আগে যখন এই বইটি পড়ি তখন কেন জানি খুব বেশি ভালো লাগছিল না। তাই ৩ তাঁরা দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ অসাধারণ লাগলো। নতুন বছর নতুন সিরিজ। আশা করি ভালো লাগবে এই সিরিজের সাথে কাটানো দিনগুলো।
হিমু, আমাদের চোখে ভেসে ওঠে হলুদ পাঞ্জাবী পরা, খালি পা এর মানুষ , আমার মনে হয় হিমু নাম টা জেনেছিলা আজ রবিবার নাটকে... মুখভর্তি দাঁড়ি , চকচকে হলুদ পাঞ্জাবি, তিনটা পান খেয়ে দাঁত –ঠোঁট লাল করা এক যুবক। এক মহিলা যাকে টুটূল বলে ভুল করে... সেই যুবক আমাদের হিমু। হিমুর পুরো নাম হিমালয়। হিমুর একটা নদী আছে কল্পনার, নাম “ ময়ুরাক্ষী” ।
ময়ূরাক্ষী , ছোট্ট এক নদী, কাঁচ স্বচ্ছ পানি। নিচের বালি গুলো দেখা যায়, দু ধারে দুব্বাঘাসের চাঁদর। একটা বিশাল ছায়াময় পাকুড় গাছে, ঘুঘুর ডাক।। তবে এই নামে পশ্চিমবাংলাতে বাস্তবিক একটা নদী আছে, এই নদীর কল্পনায় বিভোর হয়ে সে কাটিয়ে দিতে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা। হিমুর নিজস্ব বলতে এই নদী, নদীটার নাম ”ময়ূরাক্ষী”। আর আছে বাব্র লিখে রেখে যাওয়া ডায়েরি ... সেই ডায়েরির পাতা ধরে জানব জানা না জানা অনেক কথা। বাবা মা কে হারিয়ে ফুফুর কাছে মানুষ, কিংবা আশ্রিত।। ফুফা-ফুফু ফুফাতো ভাই বোন সব এক এক কিসিমের। গল্পে আসে জাস্টিসের মেয়ে মীরা। আছে রূপা। নদীটা ছাড়াও আরও একজন রয়েছে যাকে হিমু “ময়ূরাক্ষী” বলে ডাকে। সে হচ্ছে রূপা।
এই বইয়ে হিমুর সাথে রূপার পরিচয়ের বেশ ভালো মজার একটা বর্ণনা রয়েছে। মীরা নামের মেয়েটা হয়তো এই হিমু কে অথবা টুটুল কে ভালবেসে ফেলে।। কি আছে শেষ পরিণাম???? গন্তব্যহীন পথে কে হাঁটবে???
নদীর নামটি ময়ূরাক্ষী কাক কালো তার জল কোন ডুবুরি সেই নদীটির পায়নি খুঁজে তল… না হিমুর নদীর জল কাক কাল জল না ......। হিমু মানে হলুদ পাঞ্জাবী বা খালি পায়ের খেউ না শুধু...।। হিমু , হিমালয়ের মত বিশাল, চিন্তা ভাবনা , সবার থেকে আলাদা, এই বইটি পড়ে হিমু কে চিনবেন ভেবে থাকলে ভুল, হিমু কে চেনা সহজ না... বইটা আসলে কি বলব জানিনা...।
নীললোহিতের চেয়ে জটিল, আর সাগরের চেয়ে সরল: এরকম সরলীকৃত বিশেষণে হিমালয় ওরফে হিমুকে ধরতে গেলে ঘোর অন্যায় হবে, তবে অপ্রিয় হলেও মনের ভাবটা প্রকাশ করেই ফেলা যাক (এক মহাপুরুষের উপাখ্যান প্রসঙ্গেও যদি সৎ হতে না পারি তাহলে খুব কষ্ট হবে)। কিন্তু হিমু আকর্ষণীয় হলেও এই লেখাটা আমার খুব স্পেশাল লাগল, যথারীতি, হুমায়ূন আহমেদের লেখার জন্যে। রোমান্স, সূক্ষ্ম হাস্যরস, গভীর বেদনা, আর এক সপ্রাণ শীতলতা এই লেখাকে অনন্য করেছে, যা অনেক চেষ্টা করলেও নকল করা যায় না।
সেদিন কথায় কথায় এক বন্ধু বলছিল যে হিমুর কার্যকলাপ পরিণত বয়সে পড়লে একরকম লাগবে এবং কিশোর বয়সে পড়লে আরেক রকম লাগবে। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সবগুলো বই আরেকবার পড়া যায়(প্রিয় লেখকের বই পড়ার জন্যে যে কোন অজুহাতই যথেষ্ট।) ময়ূরাক্ষী হিমুর প্রথম উপন্যাস। আর প্রথম উপন্যাসেই কিন্তু হিমুর চরিত্রটা বেশ ভালোভাবে চিত্রায়িত হয়ে গেছিল। মানে ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট যাকে বলে। গল্পের ছলে হিমুর পরিবার এবং আনুষঙ্গিক অনেক বিষয়ই জানতে পারি আমরা। আরেকটা বিষয় খেয়াল করলাম, অন্যান্য উপন্যাস লেখার সময় নির্দিষ্ট একটা প্লট মাথায় নিয়ে সেই লক্ষ্যে সামনে এগিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ, কিন্তু হিমুর ক্ষেত্রে সেই প্লটটা অত্যন্ত vague. মানে, বলতে চাচ্ছি পুরো বই জুড়ে আসলে হিমুকেই লিখেছেন তিনি। শুরু থেকে এটাই লক্ষ্য ছিল তার। আর এখানেই অনন্যতা। হিমু, হিমুসুলভ কার্যকলাপ চালিয়ে গেছে আর গল্প গল্পের মত এক জায়গায় এসে শেশ হয়েছে। এক্সপেরিমেন্টটা যে সফল হয়েছিল তা হিমুর বইয়ের সংখ্যা-ই(সব মিলিয়ে ২১) বলে দেয়। ময়ূরাক্ষী নদীর উৎপত্তিটা আমার মাথায় গেঁথে থাকবে লম্বা সময়ের জন্যে।
হলুদ পাঞ্জাবি পরে মাঝরাতে খোলা আকাশের নিচে খালি পায়ে হাঁটতে চাওয়া মানুষের সংখ্যা কেমন হতে পারে? শ খানেক, হাজার খানেক, লাখ খানেক? সঠিক সংখ্যা জানা নেই। কিন্তু এটা জানি, শুধু এপার বাংলা ওপার বাংলা নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বহু বাঙালি হিমু হওয়ার স্বপ্ন বা ইচ্ছে রাখে৷
রহস্যময়, উদ্ভট, পাগলাটে কিংবা স্বাধীনচেতা ব্যতিক্রম এক চরিত্র হিমালয় ওরফে হিমু'র আবির্ভাব ঘটেছিল "ময়ূরাক্ষী" উপন্যাসে। মূলত এই চরিত্রের জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং চরিত্র ঘিরে পারিপার্শ্বিক নানান ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাহিনি এগিয়ে গেছে।
ময়ূরাক্ষী নদী নিয়ে হিমুর স্বপ্ন, নদীর রূপকে নিজের মায়ের স্মৃতি খুঁজে ফেরা, কী এক অদ্ভুত মায়ার বন্ধনে আটকে যেতে হয়। খেয়াল করলে দেখা যায়, হিমু সিরিজটি সমাজের অসঙ্গতিকে টার্গেট করে লেখা। যার উপস্থাপনে হাস্যরস রয়েছে, স্যাটায়ার রয়েছে, কঠিন বাস্তবতা রয়েছে, সেইসাথে রয়েছে মানুষ ও তাদের আবেগ-অনুভূতির গল্প। অথচ হিমুকে নাকি এমনভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে যে মায়ায় জড়ায় না৷ আসলেই কি তাই? আমার তো মনে হয় সে ময়ূরাক্ষীর মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে পড়েছিল।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ 'হিমু' নামে শুধু একটি চরিত্র নয়, একটি আয়না সৃষ্টি করে গেছেন৷ আমি নিশ্চিত, অনেকে এই আয়নায় নিজেকে খুঁজে পাবে কিংবা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করবে।
"-তোমার কি কোন নীল রংয়ের শাড়ি আছে? কেন বল তো? -যদি থাকে থাকে তাহলে নীল রংয়ের শাড়ি পরে গেটের কাছে থাকো। আমি এলেই গেট খুলে দিবে। -আচ্ছা। -আমি গেলাম না। আবারো মাস খানেকের জন্য ডুব দিলাম। কারণ ভালোবাসার মানুষের খুব কাছে কখনো যেতে নেই।"
ব্যাপারটা কেমন বলুন তো রোমান্স প্রেমীদের দশটা জ্ঞানের কথা বলে দেখবেন তার ভিতরেও প্রেম প্রেম ভাবওয়ালা লাইনটাই তাদের মনে ধরবে! যেমনটা আমার ধরেছে 😂
সে যাকগে আপনাদের কথা বলতে পারি না তবে আমার কাছে বরাবরই হিমু হুমায়ূন আহমেদের কম প্রিয় সৃষ্টি তুলনামূলক ভাবে।
তবে কেন জানি তাকে আবার নতুন করে বুঝতে ইচ্ছে করছে, একটু জটিল মনের চরিত্রগুলোর প্রতি আমার ঝোঁক একটু বেশিই কিনা! আমি যতোদূর জানি এই বইটা হিমু সিরিজের প্রথম বই! এই যে আরম্ভ করে দিলুম ☺ দেখা যাক তাকে নতুন করে বুঝবার চেষ্টায় কতদূর এগুনো যায়
The very first Himu book. Of course I wondered how Humayun Ahmed first came to write about Himu. At last I got my hands on this book. And I am glad, despite how late it is, I finally did get to read this. A very Himuish beginning of the series. Not my favorite, but it has its own special place. I simply love the ending of this book. It really brought tears to my eyes.
রূপা, তুমি কি এক্ষুনি নীল রঙ্গের একটা শাড়ি পরে তোমাদের ছাদে উঠে কার্নিশ ধরে নিচের দিকে তাকাবে? তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। একটুখানি দাঁড়াও। অামি তোমাদের বাসার সামনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে যাব।
অামি জানি, রূপা অামার কথা বিশ্বাস করে না, তবুও যত্ন করে শাড়ি পরে। চুল বাঁধে। চোখে কাজলের ছোঁয়া লাগিয়ে ছাদের কার্নিশ ধরে দাঁড়ায়। সে অপেক্ষা করে। অামি কখনো যাই না।
হিমু চরিত্রটা কেমন? হিমু স্বপ্নে বাঁচে। পৃথিবীর যাবতীয় রীতিনীতির পরোয়া করে না, কিন্তু পৃথিবীর প্রতি গভীর মমতা অনুভব করে। বাবার কথামতো নির্লিপ্ত সে হতে পারে নি। বুদ্ধের মতো কোন এক পূর্ণিমায় সংসার ছেড়ে দিয়ে মহাপুরুষ হওয়া তার হয়ে ওঠে নাই। কিন্তু সে প্রতি পূর্ণিমায় রাস্তায় বের হয়। অরণ্যে অরণ্যে ঘুরে বেড়ায়। অন্য কোনো মহাপুরুষ কিংবা পুরুষ নয়, সে হয় 'হিমু'।
আচ্ছা জীবনানন্দের কবিতায় যে অসহায় সত্তার দেখা পাওয়া যায়, হিমু কি ভিতরে ভিতরে তেমন কেউ?
“পৃথিবীর বাধা- এই দেহের ব্যাঘাতে হৃদয়ে বেদনা জমে;- স্বপনের হাতে আমি তাই আমারে তুলিয়া দিতে চাই।”
সেই সত্তা হিমুর মধ্যে আছে কিনা জানি না। থাকলেও হয়তো সে সচেতনভাবে তা লুকিয়ে রাখে ।
হিমু একান্তে বসে কল্পনার কোনে জগৎ তৈরি করে নাই। সে বাস্তব জগৎকে স্বপ্নময় করে নিয়েছে, জাদুময় করে তুলেছে। সে সবকিছুতেই ম্যাজিক দেখতে পায়, যা অন্য কেউ দেখতে পায় না। জোছনা, শিশুর হাসি, নারীর চুড়ি, ভেজা চোখ সবকিছুতেই ম্যাজিক।
আমি অনেক হিমুর দেখা পেয়েছি। তারা রাস্তায় হাঁটে। উদ্দেশ্যহীনভাবে হাঁটে তারা। হাঁটতে হাঁটতে তাদের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। একসময় মিলিয়ে যায়। শুধু কিছু গল্প বেঁচে রয় 'ময়ূরাক্ষী'র মতো বইয়ের মলাটের ভেতর।
হিমু সিরিজ প্রথমবার যখন শেষ করেছি তখন অন্যরকম লেগেছে। তবে তখন বয়সের সল্পতা কিংবা অন্য কোনো কারণে হিমু চরিত্রকে বুঝতে পারিনি। তাই আবার নতুন করে পড়া শুরু করেছি। এবারও যে খুব ভালো করে হিমুকে বুঝে ফেলেছি তা কিন্তু নয়। তবে প্রথমবারের চেয়ে এবার অন্যভাবে ভাবতে চেষ্টা করছি।
প্রতিটা মানুষই বোধহয় জীবনের কোন না কোন একটা সময় নিজেকে ভীষণ একা মনে করেন। সবার দুঃখ একান্তই ব্যক্তিগত। একান্ত ব্যক্তিগত দুঃখের গল্প খুব কাছের মানুষ শুনতে বা জানতে পারেন। হিমুকে সবাই ভালোবাসেন তার অদ্ভুত কর্মকাণ্ডের জন্য। সাধারণের মাঝে অন্যরকম কোনো কিছু মানুষকে সহজেই আকৃষ্ট করে। তবে ময়ূরাক্ষী পড়ে আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, হিমু তার বাবার তৈরি কৃত্রিম জগত থেকে বেরিয়ে অন্যসব সাধারণ মানুষের মত হতে চান। ময়ূরাক্ষীতে দেখা যায়,একটা ছেলে যার মাকে তার বাবা মেরে ফেলে তাকে মহাপুরুষ বানানোর মত জঘণ্য এক খেলায় মেতেছেন। আবেগশূণ্য করতে চেয়েছেন,ভালোবাসাবিমুখ করতে চেয়েছেন। কতটুকু সফল হয়ে তা বলা যায় না। এই বইটা একটা বিষণ্ন সুন্দর বই!
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু। হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না। হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়। এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।
হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম ���পন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
#রিভিউঃ"ময়ূরাক্ষী" দিয়েই হুমায়ুন আহমেদ হিমু কে আমাদের সামনে এনেছেন।"হিমু" নামটা শুনলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে হলুদ পাঞ্জাবী পরা, খালি পা এর মানুষ,মুখভর্তি দাঁড়ি,তিনটা পান খেয়ে দাঁত –ঠোঁট লাল করা এক যুবক। হিমুর পুরো নাম হিমালয়। হিমুর একটা নদী আছে কল্পনার, নাম “ ময়ুরাক্ষী” ।
"এ্যাই ছেলে এ্যাই " বাক্যটি দিয়ে শুরু হয় উপন্যাসটি। এই মহিলা যাকে টুটুল বলে ভুল করে ডাকে... সেই যুবকই হিমু।জাস্টিস সাহেবের স্ত্রী আর মেয়ের সাথে ভুলের কারণে হিমু কে থানায় যেতে হয়। তখন থেকে ছেলেটির কথা বলা পাঠকের একটা সুক্ষ আকর্ষন দখল করে নেয়। তার কিছু পর হিমু পরিচয় করিয়ে দেয় তার ময়ূরাক্ষী নদীর সাথে।বাবা মা কে হারিয়ে ফুফুর কাছে মানুষ, কিংবা আশ্রিত।তার ফুফাত ভাই বাদল আর ফুফাতো বোন রিনকি হিমুকে প্রচন্ড ভালবাসে।ফুপার সাথে হিমুর আলাপ সালাপ পাঠকদের অবাক করে দেওয়ার মতো।এই উপন্যাস থেকেই আমরা একটু একটু করে হিমু কে চিনবো। তার শৈশব থেকে শুরু করে তার বড় হওয়ার অনেক দৃশ্যও লেখক তুলে ধরেছেন এই উপন্যাসে।তার বাবার মহাপুরুষ বানানোর প্রক্রিয়া আমাদেরকে দান করে অন্যরকম এক অনুভূতি। এরপর এই বইয়ে হিমুর সাথে রূপার পরিচয়ের একটা বর্ণনাও রয়েছে।আচ্ছা হিমু কি তাকে ভালবাসে? কি জানি...যাইহোক সব মিলিয়ে "হিমু" ভক্তদেরকে মুলত এই বইয়ের মাধ্যমেই হিমু চরিত্রের পাঠকদেরকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন লেখক। তাই না পড়লে এখনি পড়ে ফেলুন আকর্ষণীয় এই বইটি।
#পাঠ_প্রতিক্রিয়াঃ এই বইটি পড়লে হিমু কে চিনবেন বললে ভুল হবে, হিমু কে চেনা সহজ না... তবে বইটা আসলেই অনেক ভালো লেগেছে, অনেক ভালো লাগার বই, প্রিয় একটা বই। বইটা নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করা সম্ভব না বোধহয়।তবে এতটুকু বলতে পারি পড়লে অবশ্যই সবার ভালো লাগবেই লাগবে। রেটিংঃ৫/৫
হিমুকে তার বাবাই নষ্ট করেছেন! বেটা আস্ত পাগল! ছেলেকে সে মহাপুরুষ বানাবে! মহাপুরুষ না ছাই। আমি এটা ভাবতেই পারি না যে হিমুর বাবা হয়তো হিমুর মাকে হত্যা করেছেন! আচ্ছা হিমুর যদি আর দশটা বাচ্চার মতো স্বাভাবিক শৈশব কাটাতে পারতো তাহলে কি সে এইরকম হতো??
ছোটবেলায় একটার পর একটা হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ে গেছি। ছোটবেলা বলতে গত ৩/৪ বছর আগেও পড়তাম। এখন আর পড়তে চাই না। কারণ জিজ্ঞেস করবেন না। কিন্তু কেউ একজন হিমুর বইগুলো পড়তে চাইলে তাকে এই বইটা দিলাম। কারণ এই বইটাই হিমুভাইের জীবনের অ আ ক খ। হিমুর শৈশব, হিমুর সাথে রূপার পরিচয়, হিমুর আশপাশের জগৎ, হিমুর মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারার। সবকিছুর শুরু এই বই থেকেই। কৈশোরে কি কখনো মনে হয়েছিল আসাদুজ্জামান নূর হিমু চরিত্রে অভিনয় করলে ভালো লাগতো? আমার কেন যেন মনে হতো আসাদুজ্জামান নূর ছাড়া অন্য কাউকে হিমু হিমু মানায় না। যাইহোক এতগুলো বছর পর আবার পড়ে খুব আহামরি কিছু ফিল হচ্ছে না। কিন্তু বাচ্চা ছেলেমেয়েরা পড়ুক। খালি পায়ে রাস্তায় হাটতে হবে না। একজন আরেকজনকে হলুদ পাঞ্জাবি আর নীল শাড়ি গিফট করুক। প্রেম, ভালোবাসা থাকুক।
কোন কিছুর জন্য স্বাভাবিক এবং অস্বাভাবিক দুইটি অপশন থাকে। হুমায়ূন আহমেদ হিমুকে দিয়ে অস্বাভাবিক অপশন টি বেছে নিয়েছেন। তার কারনে হিমুর কার্যকলাপ অপ্রত্যাশিত। আমার মনে হিমু লেখার সময় হুমায়ূন আহমেদ কোন প্ল্যান না করে মনের পাগলামি তে যা এসেছে তাই লিখেছে। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ যা লিখবেন তাই উপভোগ্য।
বইটিতে তেমন কিছু নেই কিন্তু পড়তে কেমন যেন মায়া।
বইটা রেটিং এর ক্ষেত্রে হিমুর মতো কাজ করি। বইটা আমার ভালো লেগেছে সে হিসেবে ৪/৫ স্টার দেওয়া উচিত। কিন্তু হিমুর মতো অপ্রত্যাশিত কাজ করলাম। মানে ১ স্টার দিলাম।
This is the first book in the 'Himu' series by Humayun Ahmed. And it's also the first Bengali book I've read! (excluding the short stories for children)
I really liked the book, it was quite funny. My favourite part would probably be when Badol said that he was burning his books and also shaking his head in front of the fire so that the lice would fall and die. I laughed out loud at that part :)
The first of the series, this book introduces the famous Himu, a man forced to be a 'Superman' by his deranged father. However, his quest takes existential turns when he finds that the reality his father created for him is far different from the mundane ordinary that he is living in as well as the conflict in his own personality. Like a play of light and shadow, this story weaves in and out, at times being hilarious and at times dark, haunting and sobering. A very interesting read.
The First, and still the GREATEST HIMU Novel ever written. No other latter Himu can top this mindblowing piece of work. No, not even Himu'r Haate Koyekti Neel Podmo, or Himu'r Dwitio Prohor. This is the Best!
নতুন বছরের শুরু হল হিমু সিরিজ দিয়ে। গত বছর মিসির আলী সিরিজ শেষ করেছিলাম আর এবার টার্গেট নতুন করে হিমু সিরিজ শেষ করা। হুমায়ূন আহমেদ মন খারাপ থাকলেই হিমু লিখতে বসতেন। আর আমি দেখি এখন থেকে মন খারাপ থাকলেই হিমু পড়তে বসব।
“যা পাওয়া যায় না তার প্রতি আমাদের আগ্রহের সীমা থাকে না।মেঘ আমরা কখনো স্পর্শ করতে পারি না বলেই মেঘের প্রতি মমতার আমাদের সীমা নেই।”
“তোমার কি কোনো নীল রঙের শাড়ি আছে? কেন বলো তো। যদি থাকে তাহলে নীল রঙের শাড়ি পরে গেটের কাছে থাক।আমি এলেই গেট খুলে দেবে। আচ্ছা।
আমি গেলাম না। আবারো মাসখানিকের জন্য ডুব দিলাম।কারণ ভালোবাসার মানুষদের খুব কাছে কখনো যেতে নেই।”
ভেবেছিলাম হিমুসিরিজ আবার পড়তে নিলে ভালো লাগবে না আগের মত। কিন্তু কেন যেন খারাপ লাগছে না।বরং বেশ ভালোই লাগছে। ময়ুরাক্ষী নামটা কেন রূপার পছন্দ হল না! হিমুর মত এমন একটা সুন্দর নদী যদি আমার থাকতো,মন খারাপ হলেই ময়ুরাক্ষীর পারে হেঁটে বেড়াতাম!
শুরু করলাম, হিমু সমগ্র! প্রথম উপন্যাসটা ছিল "ময়ূরাক্ষী"। হিমু শুরু করার আগে অনেকের কাছ থেকে হিমুর ক্যারেক্টারের অল্প সল্প বিস্তার আলোচনা শুনেছি। পাগল পাগল, খামখেয়ালি এক ক্যারেক্টার। এর পূর্বে যখন শূভ্র পড়েছিলাম, ততটা ভাল লাগে নাই৷ কারণ তার ও আচার-আচরণ অত্যাধিক মাত্রায় খামখেয়ালি পানা সম্পন্ন। অনেকটা আনরিয়েলেস্টি��� লাগে। হুমায়ূন আহমেদের কিছু বই আছে যা পড়লে মনে হয় না, যে এটা ফিকশন। আবার কিছু উপন্যাস আছে, যেগুলো পড়লে মনে হয় এটা অতিরঞ্জিত উপস্থাপন। হিমু পাঠকমহলে অনেক জনপ্রিয় একটা চরিত্র। শুধু একটা উপন্যাস পড়েই তার সম্পর্কে কোন মন্তব্য আমি করতে চাচ্ছি না, তবে একই সাথে মিশির আলী এবং হিমু sync করে পড়ছি বিধায় আমার কাছে, হিমুর থেকে মিসির আলি হাজারগুনে ভালো লাগছে।
গভীরভাবে ভাবলে আসলে দেখা যায় হিমুর বাবা একজন সাইকোপ্যাথিক খুনি। সাইকোপ্যাথ বাবার আজগুবি এক্সপেক্টশন পূরণের পেছনে ছোটা ও সমসময়ে বাস্তবিকতার দ্বন্দ্বে পড়া- এই দুইয়ের মাঝে এক আজগুবি দোলাচালে পড়া ক্যারেকটারের নাম হিমু।
হিমু চরিত্রটা ও তার ক্যারেক্টার বিল্ড আপ অত্যন্ত ডার্ক৷ কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ কমেডিক রিলিফে বেশ হালকাভাবে এই গল্পটা বর্ণনা করেছেন।
নীলপদ্মের পর সম্ভবত এটাই একমাত্র হিমু সিরিজের বই যেটা আমার অত্যন্ত ভালো লেগেছে।
A brilliant novel! A brilliant protagonist! A brilliant series! Looking forward to this phenomenon called HIMU!!
Such an ingenious form of fiction! Really impressed! Startling to Normal to Abnormal, this writing shocked me, made me laughed out loud, at times made me search for solitary moments of my past while comparing it with, and most of all made me really really satisfied as a reader! It has the exact type of irony and sentiment that I think would suit me. . . . . . . . Next Please!!
This is my first book for many years.Thank you my friend shaon for gifting me while visiting Book fair.I hate Humayun Ahmed for his character problems,but this book made me think that how brilliant he was! So easy to read and you don't know when you became part of that story...I will surely read more books from now on...