Jump to ratings and reviews
Rate this book

The Battle For Stalingrad

Rate this book
THE STORY OF WORLD WAR II'S GREATEST BATTLE AS TOLD BY THE RUSSIAN COMMANDER AT STALINGRAD.

Hardcover

First published January 1, 1953

65 people are currently reading
372 people want to read

About the author

Vasily Chuikov

10 books17 followers
Vasily Ivanovich Chuikov (Russian: Васи́лий Ива́нович Чуйко́в; 12 February 1900 – 18 March 1982) was a Soviet lieutenant general in the Red Army during World War II, commander of the 62nd Army during the Battle of Stalingrad, twice Hero of the Soviet Union (1944, 1945), and after the war a Marshal of the Soviet Union.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
35 (35%)
4 stars
38 (38%)
3 stars
16 (16%)
2 stars
7 (7%)
1 star
2 (2%)
Displaying 1 - 14 of 14 reviews
Profile Image for Muhammad .
152 reviews11 followers
March 2, 2017
ব্যাটল অফ স্তালিনগ্রাদ; বিশ লক্ষ মানুষের রক্তে রঞ্জিত হয়ে আধুনিক মানব সভ্যতার নৃশংসতম যুদ্ধের শিরোপাধারী হয়ে আছে ইতিহাসের পাতায়। পাঁচ মাস দশ দিন ধরে চলা এই যুদ্ধ তছনছ করে দিয়েছিলো স্তালিনের নিজের নামে গড়া শহরটিকে। ইংরেজীতে যাকে বলে reduced to rubble, আক্ষরিক অর্থেই স্তালিনগ্রাদের বড় অংশের বাড়ীঘরই নাৎজি কামানের উপর্যুপরি বোমাবর্ষণে ক্ষয়ে ক্ষয়ে নুড়ি পাথরে পরিণত হয়েছিলো। বিপুল মার সহ্য করে প্রবল শক্তিধর নাৎজি বাহিনীকে রুখে দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিসেব নিকেশ পাল্টে দেয়ার অকুস্থল এই স্তালিনগ্রাদ। অনেক ঐতিহাসিকের মতেই স্তালিনগ্রাদের এই যুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধটির নিয়তি নির্ধারকও বটে। স্তালিনগ্রাদের রক্ষায় নাৎজিদের বিপক্ষে অমানুষিক সংগ্রাম করে লড়াই করেছে রাশান লাল ফৌজের (Red Army) ৬২তম বাহিনী (62nd Army), যার নেতৃত্বে ছিলেন লিউটেন্যান্ট জেনারেল ভাসিলি চুইকভ। The Battle for Stalingrad বইটি চুইকভ এর যুদ্ধদিনের স্মৃতিকথা। স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধের ষোল বছর পর স্মৃতি হাতড়ে, পুরনো সামরিক নথি ঘেঁটে লিখেছেন রক্তাক্ত সেই যুদ্ধের বিবরণী।

কম্যুনিস্ট যুগের রাশিয়ার পেট থেকে বানোয়াট সব তথ্যের জাল ছাড়িয়ে সত্যি কথাটা বার করে আনাটা ছিলো রীতিমতো অসম্ভব একটি কাজ। ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই সত্য চেপে রাখবার জন্যই স্তালিন যে কত অযুত লক্ষ মানুষকে স্রেফ হাওয়ায় মিলিয়ে দিয়েছেন তার ইয়ত্তা নেই, সেই খোঁজ কোনদিন আর হয়তো পাওয়াও যাবেনা। রাশিয়ার দম বন্ধ করা সে পরিবেশ নিয়ে মনের দুঃখে দেশটির জনগণ প্রচুর চুটকি বানিয়েছিলো সে সময়টায়; বলা হতো কেউ যদি দীর্ঘশ্বাস ফেলতো তাকেও গুপ্ত পুলিশ বিভাগ কেজিবি গুম করে ফেলতো। দীর্ঘশ্বাস ফেলেছে যখন, নিশ্চয়ই দেশের পরিস্থিতিতে সে খুশী নয়, যা প্রকারান্তরে দেশনেতা স্তালিনের বিরোধীতারই শামিল বটে! (এই লেখাটি যাঁরা পড়ছেন, তাঁদের মাঝে ত্যাঁদড় প্রকৃতির কেউ থাকলে স্তালিন সংক্রান্ত এই চুটকি হয়তো মনে করিয়ে দেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করে ফেসবুকে লেখা দেয়ায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক রুহুল আমিন খন্দকারের তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তির কথা!)। সে যাক, কম্যুনিস্ট রাশিয়ার জাল তথ্য আর ভুয়ো সব অঙ্কের হিসেবের প্রাদুর্ভাবের জন্য অনেক ঐতিহাসিকই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ওপর রাশান নথিগুলোকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। স্তালিনের মৃত্যুর ছয় বছর পর ১৯৫৯ সালে চুইকভ এই বইটি প্রকাশ করেন, যখন দেশটির নেতৃত্বে ছিলেন নিকিতা ক্রুশ্চেভ। ক্রুশ্চেভ তাঁর শাসনামলে একধরণের De-Stalinization শুরু করেন। স্তালিনের সময়কার সেই হাস্যকর অথচ নিষ্ঠুর পরিবেশ অনেকটাই মানবিক রুপ পেতে থাকে ধীরে ধীরে। ক্রুশ্চেভ এর অন্যতম অবদান cultural thaw; যে বুদ্ধিজীবী-লেখকেরা নির্বাসিত কিংবা গুম হবার ভয়ে এতকাল চুপ করে ছিলেন, স্তালিনের জয়গান গাওয়া ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ করবার অধিকার তাঁদের ছিলোনা, শাস্তির জুজু’র সেই ভীষণ বরফ অবশেষে গলতে শুরু করে ক্রুশ্চেভ এর শাসনামলে এসে। বুদ্ধিজীবীরা তাঁদের কণ্ঠ উঁচু করবার অধিকার পান এদ্দিনে। তবে এক মাঘে তো আর শীত যায়না, কম্যুনিজমের ভূতও রাশিয়াকে ছেড়ে যায়নি। ১৯৫৮ সালে নোবেল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হলেও বরিস পাস্তারনাককে তা প্রত্যাখ্যান করতে হয়, কারণ সোভিয়েত সরকার হুমকি দিয়ে রেখেছিলো সুইডেন থেকে পুরষ্কার নিয়ে এলে পাস্তারনাককে আর রাশিয়াতে প্রবেশ করতে দেয়া হবেনা।

স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ সংঘঠিত হয় ভোলগা নদীর তীরে, যার একটি বড় অংশই কেটেছে মামায়েভ কুরগান পাহাড়ের (উচ্ভূচমি বলাই বোধহয় শ্রেয়) দখল নিয়ে। যুদ্ধের সময় দু’পক্ষের মাঝে অসংখ্যবার এর দখল হাত বদল হয়েছে। ১৯৪২ এর জুনের শেষাশেষি নাৎজি বাহিনী রাশিয়ার দখল নিতে শুরু করে অপারেশন ব্লাও (Operation Blau)। প্রায় ১০০ ডিভিশন নাৎজি সৈনিক অংশ নেয় এতে (প্রতি ডিভিশনে ১০-১৫ হাজার সৈনিক থাকে)। সোভিয়েত সরকার প্রতিরক্ষায় পাঠায় ১২০-১৪০ ডিভিশন সৈনিক। দু’দিক থেকে সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে রাশিয়াকে কোণঠাসা করে ফেলবার জন্য নাৎজি বাহিনী দু’ভাগে ভাগ হয়ে গ্রুপ A চলে যায় উত্তরে ককেশাসে, আর গ্রুপ B-যার একটি অংশ ছিলো ফ্রিডরিখ পউলাস এর নেতৃত্বাধীন বিখ্যাত 6th Army-রওনা দেয় দক্ষিণে স্তালিনগ্রাদে। প্রাথমিক ভাবে জার্মান বাহিনী নিরঙ্কুশ সাফল্য অর্জন করে। গ্রুপ এ ককেশাসের ভেতর বহুদূর এগিয়ে যায় রাশান প্রতিরোধকে উড়িয়ে দিয়ে। তবে জুলাইয়ের শেষ নাগাদ নিজেকে অসাধারণ সমরনায়ক ভেবে ভীষণ আত্নতুষ্টিতে ভোগা হিটলার উত্তরমুখী প্রধান আক্রমণকে (Schwerpunkt) ককেশাস থেকে ঘুরিয়ে দক্ষিণে স্তালিনগ্রাদের উদ্দেশ্যে পাঠান। সে বছরের অগাস্ট মাস টা রাশিয়ার ইতিহাসে বেদনাময় এক কালো অধ্যায়। ককেশাসে জার্মান ট্যাঙ্ক বাহিনী মাইকোপের তেল কূপ গুলো দখল করে নেয়, নাৎজি স্বস্তিকা চিহ্নিত পতাকা ওড়ে ১৮,৪৮১ ফুট উঁচু ককেশাসের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া মাউন্ট এলবোরাসে। জার্মান সিক্সথ আর্মির ট্যাঙ্ক বাহিনী প্যাঞ্জার গ্রেনাডিয়ারস (Panzer Grenadiers) দু’মাসেই ২৭৫ মাইল এগিয়ে ভোলগা’র উপকূলে এসে হাজির হয়; তারিখটা অগাস্টের ২৩, শুরু হয় স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধ।

ভাসিলি চুইকভ মূলত সেনাবাহিনীর পাঁচ থেকে আটটি ডিভিশন পরিচালনা করতেন। স্তালিনগ্রাদ নাৎজি বাহিনীর ভীষণ আক্রমণের সম্মুখে পড়বার পর সোভিয়েত ৬২তম আর্মির কম্যান্ডার জেনারেল লোপাতিন একরকম হাল ছেড়ে দেন। দূর্বল চরিত্রের লোপাতিনকে সরিয়ে সেপ্টেম্বর এর ১২ তারিখ নিকিতা ক্রুশ্চেভ চুইকভের হাতে 62nd Army’র নেতৃত্ব তুলে দেন। স্তালিনগ্রাদের সুরক্ষায় মস্কো আরো একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করে স্তালিনগ্রাদ ফ্রন্ট নামে, যার নেতৃত্বে ছিলেন জেনারেল আন্দ্রেই ইয়েরেমেঙ্কো। এর ঠিক দু’মাসের মাথায়ই, নভেম্বর এর ২২ তারিখ নাগাদ ইয়েরেমেঙ্কো’র স্তালিনগ্রাদ ফ্রন্ট আর আরো কিছু সহকারী বাহিনী মিলে ডন আর ভোলগা এই দুই নদীর মাঝে প্রায় দু’লক্ষ নাৎজি সৈনিককে ঘিরে ফেলে। এই বেষ্টনী আকারে মোটামুটি যুক্তরাষ্ট্রের কানেক্টিকাট অঙ্গরাজ্যের সমপরিমাণ ছিলো। দাঁতে দাঁত চেপে শেষ শক্তিটুকু দিয়ে আটকে রাখা রুশদের এই বেষ্টনী জার্মানরা আর ভাঙতে পারেনি। পাঁচ মাস পর ’৪৩ এর জানুয়ারীর ৩১ তারিখ মাতৃভূমি থেকে প্রায় ১৫০০ মাইল দূরে হতাশ পউলাস বাহিনী আত্নসমর্পণ করে।

সে আমলের রাশিয়ান আর সব নথির মতোই চুইকভের এই বইয়েরও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে; ক্ষেত্রবিশেষে মনে হয় কম্যুনিস্ট পার্টির প্রশস্তি গাওয়াই যেন উদ্দেশ্য ছিলো চুইকভের। স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধের সময় ক্রুশ্চেভ ছিলেন স্তালিনগ্রাদ ফ্রন্ট হেডকোয়ার্টারে কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি, যাঁর প্রতি চুইকভের আনুগত্য কখনো কখনো মোসাহেবীর পর্যায়ে চলে গিয়েছে, যদিও বা যুদ্ধের ময়দানে ক্রুশ্চেভ আদৌ তাঁর পদধূলি কখনো দেননি (অন্তত এই বইয়ের মতে) এবং এটি করতে গিয়ে স্তালিনগ্রাদ রক্ষার অন্যতম প্রধান কৌশলী যে জেনারেলরা, সেই গিয়োর্গী ঝুকভ, আলেক্সান্দার ভাসিলেভস্কি, নিকোলাই ভরোনোভ, এঁদের কথা চুইকভ বেমালুম চেপে গিয়েছেন। এই কথা ক’টিই বইটির ভূমিকাতে যতখানি সম্ভব ভদ্রতা ধরে রেখে ইংরেজী ভাষার দারুণ মারপ্যাঁচে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর অন্যতম সম্পাদক হ্যান্সন ডব্লিউ ব্যাল্ডউইন লিখেছেন। তবে ব্যাল্ডউইন এও লিখেছেন স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধের ইতিহাস জানতে এই বইটি একেবারে হ্যাক থু করে ফেলে দেবার মতোও নয়, বরং অনেকাংশেই বেশ খোলাখুলি ভাবে চুইকভ আল���চনা করেছেন সোভিয়েত জেনারেলদের ভুল সিদ্ধান্তের কথা, স্বীকার করেছেন নাৎজি বাহিনীর তুলনায় সোভিয়েত বাহিনীর নিতান্ত দৈন্য দশার কথা, একাধিকবার উল্লেখ করেছেন আগ্নেয়াস্ত্র আর খাদ্যের অভাবের কথা; সোভিয়েত যুগের রাশিয়ার ইতিহাস বই থেকে এর চেয়ে বেশী আশা করে থাকলে ধরে নিতে হবে আপনি ভীষণ নির্লজ্জ রকমের লোভী!

চুইকভ বইয়ের শুরু থেকেই বেশ খোলাখুলি ভাবে রুশ বাহিনীর দূর্বল দিকগুলো তুলে ধরেছেন। নাম ধাম উল্লেখ করে অনেক কর্নেল, জেনারেলকেই সরাসরি প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন তাঁদের কাজের অদক্ষতার জন্য। এমন কি যুদ্ধের শুরুর দিকে অফিসিয়ালরা রুশ বাহিনী তাদের সাঁজোয়া বহর নিয়ে কোথায় যাচ্ছে, জার্মান শত্রু বাহিনী কোথায় আস্তানা গেঁড়েছে, যুদ্ধক্ষেত্র কত দূরে এই তথ্যগুলো সম্পর্কে পর্যন্ত ভালো ধারণা রাখতেন না। চুইকভের বয়ানে এসেছে জার্মানদের বিপক্ষে যুদ্ধ করবার জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র শস্ত্র আর গোলাবারুদের অভাবের কথা। সেপ্টেম্বর মাসের যুদ্ধের বিবৃতিতে চুইকভ লিখেছেন জার্মানদের ৬০০টি ট্যাঙ্কের বিপরীতে রুশ ৬২ আর ৬৪তম বাহিনীর ছিলো কুল্যে ৮০টির মতো ট্যাঙ্ক। বন্দুক ছিলো মাত্র ৭২৩টি, জার্মান বাহিনীর অর্ধেক। স্তালিনগ্রাদের এ যুদ্ধে জার্মানদের সবচেয়ে বড় ভরসা ছিলো তাদের বিমান বাহিনী লুফটভাফে (Luftwaffe)। যান্ত্রিক জার্মানরা আক্রমণ করতো একেবারে ছকে বাঁধা একটি ধারায়। প্রথমে বিমান বাহিনী বোমাবর্ষণ শুরু করতো, তারপরে আসতো ট্যাঙ্ক বাহিনী (আর্টিলারি), আর এরপর পেছন পেছন আসতো পদাতিক বাহিনী। এই একই ক্রমে আক্রমণ চলতো, কখনো এই হিসেবের নড়চড় হয়নি। চুইকভ দাবী করেছেন যুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে জার্মানরা দিনে ৩০০০ বার পর্যন্ত বিমান আক্রমণ চালাতো, বিপরীতে রুশদের আক্রমণ সংখ্যা এর এক-দশমাংশেও পৌঁছত না। রুশ বিমান বিধ্বংসী কামানগুলোও খুব একটা জুত করে উঠতে পারতোনা জার্মানদের উচ্চগতির বিমানগুলোর সাথে। তাই চুইকভ পরিকল্পনা আঁটেন জার্মান বাহিনীর যথাসম্ভব কাছাকাছি চলে যাবার, যাতে সেম-সাইড হবার ভয়ে লুফটভাফে তাদের বোমাবর্ষণ বন্ধ করে। এই পরিকল্পনা সত্যিই পরে কাজে দেয়।

স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধে স্নাইপারদের একটি বড় ভূমিকা আছে। রুশ ক’জন স্নাইপার তো রীতিমতো কিংবদন্তিতে পরিণত হন। এঁদের একজন ভাসিলি জাইৎসেভ, যাঁকে নিয়ে ২০০১ সালে হলিউডে চলচ্চিত্র বানানো হয়, উইলিয়াম ক্রেইগ এর বই ‘Enemy at the Gates: The Battle for Stalingrad’ বই অবলম্বনে। জুড ল এবং র‍্যাচেল ভাইৎস অভিনীত সে চলচ্চিত্র যদিও অনেকটাই মশলাদার, বাস্তবতা থেকে প্রায়ই বেশ দূরে সরে গিয়েছে, তবে চিত্রায়ণের দিক থেকে দারুণ, সন্দেহ নেই। চুইকভের এই বইটি পড়ে একটি মজার ব্যাপার আবিষ্কার করলাম। চলচ্চিত্রে দেখানো হয় জাইৎসেভ এর বীরত্বে অতিষ্ঠ হয়ে বিষে বিষক্ষয় ঘটাবার জন্য জার্মানরা বার্লিন এর স্নাইপার স্কুলের প্রধান মেজর কনিগকে ডেকে নিয়ে আসে; কনিগ-জাইৎসেভ, দুই ওস্তাদ স্নাইপারের স্নায়ুযুদ্ধ এই চলচ্চিত্রের প্রধান আকর্ষণ। মেজর কনিগের কথা জাইৎসেভের নিজের বইতে এসেছে, এসেছে উইলিয়াম ক্রেইগের বইটিতেও। উইকিপিডিয়া মেজর কনিগের অস্তিত্বকে apocryphal বলছে, অর্থাৎ এ নামের আদৌ কেউ ছিলেন কিনা তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে জার্মানির সেই স্নাইপার স্কুলে খোঁজ নিয়ে মেজর কনিগ নামের কারো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। চুইকভের বইতে ঠিক এই একই গল্প আছে, তবে এখানে স্নাইপার মহাশয়টির নাম মেজর কনিংস। উইকিপিডিয়া কিংবা আইএমডিবি-কোথাওই চুইকভের এই বইটির কথার উল্লেখ নেই। জার্মানদের মনোবল ভেঙ্গে দেবার জন্য মেজর কনিগের (কিংবা কনিংসের!) এ গল্প স্রেফ রুশ প্রপাগ্যান্ডা কিনা তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন রাখবার যথেষ্ট অবকাশ থাকতে পারে!

স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধের সময় জাইৎসেভদের মতো বীরদের কির্তীগাঁথা লিফলেট আকারে ছেপে যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের মাঝে নিয়মিত বিতরণ করা হতো, সাথে থাকতো দেশপ্রেম আর সমাজবাদের স্লোগান; নিঃসন্দেহে তা সৈনিকদের জীবন বাজি রেখে লড়াই করতে ভীষণ উজ্জীবিত করতো। চুইকভ টুকরো টুকরো ভাবে কয়েকজন বীর সৈনিকের আত্নদানের কথা উল্লেখ করেছেন। মেরিন মিকাইল পানিকাকো এঁদের মাঝে অন্যতম। সামনে যখন জার্মান ট্যাঙ্ক বাহিনী এগিয়ে আসছে কয়েক ফুটের মধ্যে, পানিকাকো’র কাছে দু’ বোতল তরল বিস্ফোরক ছাড়া আত্নরক্ষার আর কিছুই ছিলোনা। হাতে থাকা বোতলটি আচমকা বিপরীত দিক থেকে আসা গুলিতে ফেটে বিস্ফোরিত হলে পানিকাকো’র শরীরে আগুন ধরে যায়। পানিকাকো সে অবস্থায়ই বিস্ফোরকের দ্বিতীয় বোতলটি নিয়ে ট্যাঙ্কের সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজের জীবন দিয়ে একটি গোটা ট্যাঙ্ক উড়িয়ে দেন।

চুইকভ অভিযোগের আঙ্গুল তুলবার সময় ক্ষেত্রবিশেষে বেশ চাঁছাছোলা রূপ দেখিয়েছেন । জার্মান বাহিনীকে রুশ বেষ্টনীতে আটকে ফেলার বর্ণনা দেবার সময় লিখেছেন,

"আমি আশা করি নিকোলাই ভিরতা খুব আহত হবেন না, তিনি লিখেছেন যুদ্ধের সময় তিনি ভোলগা নদীর দক্ষিণ উপকূলে এক মাস সময় কাটিয়েছেন। যে কথাটি ব্যাখ্যা করবার প্রয়োজন মনে করি, তা হলো, ভিরতা যখন সেখানে গিয়েছেন, ততদিনে জার্মান বাহিনীকে আমরা ঘিরে ফেলেছি। ভোলগা নদীর তীর ধরে দিব্যি হাঁটাহাঁটি সেরে রাস্তা থেকে পছন্দসই এটা ওটা কুড়িয়ে যুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে তাঁর কোন অসুবিধে হয় নি"।


এছাড়াও দু’কথা শোনাতে ছাড়েননি লাল ফৌজের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ জেনারেল ভাসিলি ইভানোভিচ ভিনোগ্রাদোভকেও। গোলাবারুদের অভাবে যখন চুইকভরা হিসেব করে মেপে মেপে গুলি চালাচ্ছেন তখন ভিনোগ্রাদোভ সৈনিকদের মাঝে গরম কাপড়, বুট, কম্বল ইত্যাদি বিতরণ করে বেড়াচ্ছেন। বারবার বলা স্বত্ত্বেও ভিনোগ্রাদোভ গোলাবারুদ সরবরাহের ব্যাপারটি আদৌ কানে তোলেননি। গোলাবারুদের এই অভাব মেটাতে পারলে রুশ সৈনিকদের প্রাণপাত হয়তো কিছু কম হতো। চুইকভের তথ্য মতে ১৩তম গার্ডস ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের এক হাজার সৈনিক কোন রাইফেল ছাড়াই স্তালিনগ্রাদে এসে হাজির হন।

হিটলারের অদম্য নাৎজি বাহিনী স্তালিনগ্রাদে এসে প্রচণ্ড মার খেয়ে একেবারেই দমে যায়। তাদের হতাশার ব্যাপারটি ঘুরেফিরে জার্মান সৈনিকদের ডায়রীতে এসেছে। চুইকভ উদ্ধৃতি দিয়েছেন ভিলহেল্ম হফমান নামক এক নাৎজি সৈনিকের ডায়রী থেকে, ’৪২ এর জুলাইয়ের ২৭-এ শুরু হয়ে দিনলিপিটি থেমে গেছে ডিসেম্বরের ২৬ এ এসে, খুব সম্ভব তার নিজের মৃত্যুতেই। ভিলহেল্মদের ধারণা ছিলো রাশিয়া দখলের এই অভিযান স্রেফ এলাম-দেখলাম-জয় করলাম গোছের; ক্রিসমাসের আগেই বাড়ী ফিরে বাবা-মা’র সাথে ডিনার টেবিলে বসে আরেকটি জার্মান জয় উদযাপনের স্বপ্নে বিভোর ছিলো ভিলহেল্ম, এমনকি সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ পর্যন্ত। এরপরই ক্রমশ তিক্ত হয়ে ওঠে ভিলহেল্মের লেখনী; খাদ্য নেই, ভীষণ ঠাণ্ডা, বহরের ঘোড়া পর্যন্ত জবাই করে খেতে হয়েছে। রুশ বাহিনীর কঠোরতার কথা লিখে বিস্ময়ে নাৎজি পুঙ্গব মন্তব্য করেছে রাশানরা ‘বর্বর! তারা যুদ্ধের ময়দানে স্রেফ গুণ্ডাবৃত্তি করে!”-তেমন ঠেকায় পড়লে ভূতের মুখেও রামনাম শোনা যায়ই বটে!

স্তালিনগ্রাদের যুদ্ধের ইতিহাস বুঝতে চুইকভের এই বই খুব উপকারী এমন দাবী করাটা নিতান্ত অতিকথন হবে। ছাড়া ছাড়া ভাবে সামরিক রিপোর্ট ধাঁচে লেখা, কখনো কখনো বেশ অগোছালোও বটে। দাঁত বসাতে সাধারণ পাঠকের বেশ বেগই পেতে হবে। বইতে এঁটে দেয়া সামরিক মানচিত্রগুলোও বেশ অস্পষ্ট, স্তালিনগ্রাদের পুরো ভূগোলটা বুঝতে হলে অন্যান্য সূত্রের সাহায্য নিতেই হয়। তবে আধুনিক ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম যুদ্ধটির অন্যতম প্রধান একজন সেনাপতির একান্ত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিটা তো জানা যায়। বইয়ের শেষ অধ্যায়ে চুইকভ যুদ্ধফেরত জার্মান বিভিন্ন সেনাপতির লেখা ইতিহাসের বইগুলোর ওপর বেশ ঝাল ঝেড়েছেন। জার্মান এই সেনাপতিরা এই পরাজয়ের দায় মোটামুটি একচ্ছত্রভাবে অবিমৃষ্যকারী হিটলারের ওপর চাপিয়েছেন, রুশ বাহিনীকে তাঁদের বীরত্বের কৃতিত্ব দেননি; এ অংশটুকু পড়া-সে এক বিচিত্র বিনোদন! ক্যান্সার স্বরুপ নোংরা ঘৃণ্য একটি বাহিনীকে পরাজিত হয়ে হতাশায় হাত কামড়ে মিথ্যা আস্ফালন করতে দেখাটা যে কি অপার সুখের তা বাংলাদেশীদের চেয়ে ভালো কে বুঝবেন?


Profile Image for Will.
233 reviews2 followers
December 5, 2020
Engaging, it is not. Very detailed-oriented account written from the Soviet perspective from the bloodiest battles of WW2.

If you like very minute details of every land point, hill, river, etc, as well as demographics for every military personnel, then this may be a good book to read. I appreciated the details to a point, but it got repetitive, tedious and dragged the rating down.

Of course, Chuikov, is going to have a one-sided, biased account to the war, but he does mark lessons learned with city fighting, and how the Germans came across as arrogant, and thinking this would be just another roll-over wind for them.

The Soviets used the Volga river as their last stand and rallying cry to hold the line against the Germans, taking even citizens of Stalingrad to help in the war effort.

I don't like to give this book 2 stars, as I feel Chuikov's account deserves better, but too much detail, and maybe how the translation came across dropped it to just ok for me.

However, some highlights of the book, include the fact that he praised efforts by women, who contributed in the fighting. Also, the storm groups that penetrated enemy strongholds within buildings, resembled, and could have been a model for future special ops teams, like the U.S. Delta Force and Navy Seals, though there have been aspects from special forces even pre WW2.

The last chapter summarizes how different facets of the military helped in the Battle of Stalingrad from Aug 42-Feb 43.

By the way, here is what the cover of the paperback book looks like.

Profile Image for  سليم اللوزي.
Author 3 books113 followers
July 21, 2013
باختصار، الكتاب فيه من الانسياب الوصفي والاثارة العسكرية والتفاصيل ما يجعله كتاب خارج عن الروتين التوثيقي.
18 reviews
September 26, 2011
A somewhat disappointing read. A book like this requires many maps to understand the changing positions of the combatants. The maps provided lack the detail necessary to track movements over time.

Politically, the book is a product of it's time, treating Kruschev with great reverence without explaining why (this edition was published in 1964, so political conditions within the Soviet Union required glorified treatment of Kruschev).

Chuikov unconventionally includes many personal remembrances from combatants, which are compelling and vainglorious. His descriptions of tactics are much more compelling than the discussion of strategy, because the discussion on tactical changes is far more understandable than the discussion of strategy.

Tactically, the Russians sought to engage the Germans at close quarters to counteract the German superiority in air power and artillery. The Russians formed storm groups that operated in small, independent groups to capture and hold strong points.

Although the narrative includes some flavor of the house-to-house fighting and discusses the battles over various strong points, Chuikov does not impart a clear sense of what combat was like within the city.
Profile Image for Andrew Good.
1 review
April 14, 2017
The Battle For Stalingrad recounts the author's time as a commanding officer defending the city from the invading German army. It can be a bit of a dry read when he discusses strategy and can be difficult to visualize without constant reference to a map. However, I believe it's the book's description of Russian tactics during the battle that the book shines describing the use of shock troops in close combat for strong points throughout the city.

A word of warning, when reading this book keep in mind the author is a Soviet military author and that this is only his perspective published during the Cold War. Some feats of the Soviet military seem herculean in nature leaving some suspicions of exaggeration and bias. Keep that in mind and take what you can get out of it.

All in all, I liked this book. It gives a view into the inner workings of how ideology worked into the Soviet military structure, how tactics developed throughout the battle, and the difficulties facing the Soviet military at the time. The stories he shares of soldiers fighting from street to street gives an impression of the brutality and desperation. For historians who love to study WW2, this is a great read over the Eastern front.
1 review
June 8, 2015
A masterpiece frome the general leading the 62th army, set for the long and bloody defense of the city of Stalingrad. Style is clear, yet technical, always a pleasure to read. Records of events, heroes living and fallen, songs and stories about the simple men and women that fought in the bloodiest battle ever show how a mass army made of fighting heroes could crush the mightiest war machine ever conceived against all odds. Ciuikov is both a great general with view of the full battlefield and a great man that never forgets his own soldiers and their own fate during and after the battle. A great book from a great man, re-published eventually after too much time.
Profile Image for Mahmoud A.
147 reviews16 followers
June 13, 2018
يحكي الكاتب بصفته العسكرية عن تاريخ نضال الشعب الروسي ضد الاحتلال الالماني
لكن عن اى نضاال يتحدث، ما المبرر الذى يجعل الجندى السوفييتي يقتل مئات الالف من الجنود الالمان لمجرد انهم ارادوا ان يحتلوا ارضه
ما ذنب الجنود الذين ما جاءوا الا لابادة الروس واحتلال اراضيهم
هل يستحق الجنود القتل لمجرد انهم دمروا مدينة باكملها وقتلوا اهلها
تعليق
بالطبع لو قرا احد الروس ما كتبته سوف يتهمنى بالجنون ، انا اعترف ان ما كتبته لا يمت للعقلاء بشيء لكن للاسف هذا الفكر هو ما يعتنقعه الغرب بما فيهم روسيا تجاه القضية الفلسطينية التى تقف فلسطين فيها موقف روسيا امام المانيا النازية
شكرا لتناقضكم .
207 reviews2 followers
March 22, 2024
Scritto dal generale che guidò la vittoriosa battaglia che cambiò per sempre i destini delle Seconda Guerra Mondiale, ridando la speranza al mondo intero. Il testo analizza con precisione (forse a volte eccessiva per chi non è avvezzo a documenti militari) le varie fasi della battaglia, dalle prime fasi alla vittoria finale. Come in molti altri testi sovietici e russi, non si parla di nazisti ma giustamente di fascisti, perché il nemico è quello.
Profile Image for dana .
7 reviews2 followers
June 1, 2024
بالبدايه اقتنيته عشان الكوفر :c
9 reviews5 followers
September 15, 2021
A gripping account by Vasily Chuikov, put in charge of the defense of Stalingrad, (after the battle had been going against the Soviets for weeks,) with the understanding that he would defend the city, or die trying. He agreed, and for the next five months, as the battle became the biggest battle of WWII, his 62nd Army fought the German Sixth Army to a bitter standstill, and then defeat, turning the tide of the war against the Nazis. Churchill called the battle "The hinge of fate." In addition to his many Soviet awards, the US Army decorated him with the DSC, (Distinguished Service Cross,) the second highest medal awarded for heroism in combat. This battle has been, and will be studied by military academies around the world for as long as there is a written word. The insights of one of it's participants will be required reading.
Profile Image for Kges1901.
62 reviews
January 8, 2016
too much propaganda. Chuikov spends a lot of time writing about "Western imperialists", "Bourgeois historians", etc. instead of the battle. He clearly also looks down on Germans, describing how German troops allegedly fled and could not attack at night.
Profile Image for ليلث.
1 review1 follower
Want to read
July 16, 2015
ستالنغراد رحلة للثورة و الحياة هناك االى روسياحيث يصبح الوقت للجميع
Displaying 1 - 14 of 14 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.