Jump to ratings and reviews
Rate this book

When The Time Is Right

Rate this book
Buddhadeva Bose's greatest novel 'When the Time Is Right is' a grand family saga set in Calcutta during the last two decades of British rule. Of Rajen Mitra's five lovely daughters, it is the youngest — the beautiful, intelligent Swati — who is the apple of her father's eye. As she grows from an impetuous, spirited child to a lonely young woman, Swati is witness to the upheavals and joys of the Mitra family even as the country slides towards the promise of independence and the inevitability of war. Anxious to ensure that his daughters find suitable husbands, Rajen-babu realizes it is only a matter of time before his favourite child too must leave home. While the boorish entrepreneur Prabir Majumdar decides that she will make him a fitting wife, Swati finds herself increasingly drawn to Satyen, the young professor who introduces her to a world of books and the heady poetry of Tagore and Coleridge. First published in Bengali as Tithidore in 1949, When the Time Is Right is a moving tale of a family and a nation.

552 pages, Paperback

First published January 1, 1949

92 people are currently reading
1080 people want to read

About the author

Buddhadeva Bose

105 books121 followers
Buddhadeva Bose (also spelt Buddhadeb Bosu) (Bengali: বুদ্ধদেব বসু ) was a major Bengali writer of the 20th century. Frequently referred to as a poet, he was a versatile writer who wrote novels, short stories, plays and essays in addition to poetry. He was an influential critic and editor of his time. He is recognized as one of the five poets who moved to introduce modernity into Bengali poetry. It has been said that since Tagore, perhaps, there has been no greater talent in Bengali literature. His wife Protiva Bose was also a writer.

Buddhadeva Bose received the Sahitya Akademi Award in 1967 for his verse play Tapaswi O Tarangini, received the Rabindra Puraskar in 1974 for Swagato Biday(poetry) and was honoured with a Padma Bhushan in 1970.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
255 (35%)
4 stars
288 (40%)
3 stars
144 (20%)
2 stars
21 (2%)
1 star
4 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 117 reviews
Profile Image for রিফাত সানজিদা.
174 reviews1,323 followers
August 31, 2016
মন খারাপ মানুষের কখন লাগে আর কেন লাগে-- তার কি কোন নিয়ম আছে? কিছুর মধ্যে কিছু না- সব ঠিক- সব ভাল..হঠাৎ শ্রীযুক্ত মন খারাপ এসে হাজির হলেন, যেন আর নড়বেন না এখান থেকে। তা লোক কিন্তু উনি তত খারাপ নন, মানে- মন খারাপ হওয়াটাই যে খারাপ তা কিন্তু ঠিক না-- আমার তো বেশ ভালই লাগে এক এক সময়।
বড্ড মন খারাপি বই তিথিডোর। একান্নবর্তী স্নিগ্ধ পারিবারিক জীবনের চালচিত্রের আড়ালে সেই চিরায়ত নির্বেদ নিঃসঙ্গতার ছোঁয়া। সেই নিঃশব্দ বিষণ্ণতার মূল প্রবাহ বয়ে গেছে কোন দিকে? স্বাতী মিত্রকে ঘিরে? রাজেনবাবুকে যে স্পষ্ট করে জানিয়েছিল; বাড়িতে ছাড়া আমার ভাল লাগে না কোথাও, কোন বন্ধু নেই আমার।

রাজেনবাবুই এই উপন্যাসের নায়িকা স্বাতীর জনক। পরিবারের কর্তা হয়েও আত্মকেন্দ্রিক এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ যেন। শিশিরকণা, জীবনসঙ্গিনী যিনি; তিনি তো রোগে ভুগে ছেড়ে গেছেন অকালেই।
তারপরের জীবন শ্বেতা, মহাশ্বেতা, সরস্বতী, শাশ্বতী, একমাত্র অবাধ্য ছেলে বিজন- বহু সাধ্যসাধনার পরও মেট্রিকটাও যার পাশ করা হলো না আর ঐ স্বাতীকে নিয়েই তো।
বাড়ির সবচেয়ে ছোট্টটি যে আর সবচেয়ে আদরের।

বরং একা থাকবে, কিন্তু সমবয়েসি কোন মেয়ের সঙ্গে খেলবে না, যখন যেটা চাই, খুন হয়ে যাবে তক্ষুণি সেটা না পেলে।
এত মরজি তার মেনে চলবে কে, এত জেদ রাখার জায়গা কোথায় পৃথিবীতে?

সত্যিই তো, ম্যালা দোষ স্বাতীর!
নয়তো কলেজ থেকে ফিরেই অমন রোদ চনমন দুপুরগুলোতে মেঝেতে গা এলিয়ে কোবতের বইতে ডুব দেবে কেন ঐ বোকা মেয়ে?
কবিতা দিয়ে কী হয়? কবিতা পড়ে কি পেট ভরে মানুষের?

আর সত্যেন রায়?
কলেজেরই তরুণ প্রফেসর। সাংসারিক দিক থেকে সে তো একেবারেই একা ঐ গোড়া থেকেই। বাবা চলে গেছেন অল্প বয়সেই। মা, ভাইবোন, বিবিধ আত্মীয় এ-সব মনের ওপর ছায়া ফেলার মতো সুযোগ পায় নি-ই কখনো।

তাকে পছন্দ করেছিল অনেকেই, সেও উপভোগ করেছে অনেকের সঙ্গ। শেষমেশ আর বন্ধু হয়ে ওঠাটাই হয়নি আর..

তবে কী তাকে টেনে এনেছিল স্বাতী মিত্রের এতটাই কাছে? তার রূপ? তার বয়স?
তার ভীরু, নরম, উষ্ণ, বিস্মিত নারীত্ব?

নাকি কেবল এমন মন, যা তৈরি হবার যোগ্য, আর যার তৈরি হবারই সময়....

চিবুকের খাঁজে আটকে থাকা তুমুল নিঃসঙ্গতার জগতে প্রাণপনে সঙ্গ হাতড়ে বেড়ানো দুই মানব-মানবীর পরস্পরকে আঁকড়ে ধরার আখ্যান-ই কি তবে তিথিডোর?
Profile Image for Daina Chakma.
436 reviews764 followers
June 28, 2020
অদ্ভুত বিষন্নতা পূর্ণ একটা পারিবারিক গল্প। এখানে বাবার স্নেহ আর বোনেদের মায়ার ঘাটতি নেই এতটুকু, তবুও এতো বিষাদ কোথা থেকে আসে! ঠিক যেন বরফের দেশের পাতা ঝরা শীতের সদৃশ - মন খারাপকে ও রোদ পড়ে আসা কমলা রঙা বিকেলের মতোই ভালো লাগে!
Profile Image for Shadin Pranto.
1,460 reviews547 followers
September 11, 2020
এত বিখ্যাত গ্রন্থ। অথচ পড়ে আনন্দ পেলাম না। উল্টো বিরক্ত লাগছিল! পাঠক হিসেবে আমার রুচিবোধ সম্ভবত বিনষ্ট হওয়ার পথে!

রাজেনবাবু শৌখিন মানুষ। মধ্যবিত্ত, ভেতো, ছাপোষা ও চাকরিজীবী যেমন হয় ঠিক তেমন। পাঁচটি অসম্ভব রূপবতী কন্যা ও একজন ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। স্ত্রী দুই বড় কন্যাকে বিবাহ দিয়েই গত হলেন। মেজো মেয়ের বিয়েও হয়ে গেল। এই বর্ণনাগুলো একেবারেই ঘরোয়া ভঙ্গিতে দেওয়া। মনে হবে চোখের সামনে সবকিছু ঘটছে। বাকি রইল দুই কন্যা শাশ্বতী ও স্বাতী। শাশ্বতীর বিয়ে হওয়ার পর বাড়িতে রাজেনবাবু, স্বাতী ও বিজন ছাড়া কেউ রইল না। বিজন মূলত বাসার বাইরেই থাকে। পড়াশোনা হয়নি। এখন ব্যাবসা করার চেষ্টায় আছে৷ মজুমদার নামে একজন অংশিদারও জুটে গেছে। মূলত পিতা-কন্যার সম্পর্কে এত কোমলভাবে উপস্থাপন করেছেন বুদ্ধদেব বসু, তাতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। স্বাতীর পড়াশোনা, মা-হীন এক পরিবারে মেয়ের ভূমিকাট চিত্রখানা ছবির মতো আঁকা। এই স্বাতীকে বিয়ে করতে চায় ভাইয়ের বন্ধু মজুমদার বাবু। কিন্তু স্বাতী তো একজনকে ভীষণভাবে চায়।

একেবারেই পারিবারিক ড্রামা যাঁদের পছন্দ, তাঁরা এই বইটি পড়ে দেখতে পারেন। ঠাণ্ডা মেজাজের গ্রন্থ। সাদাসিধা কাহিনি। মনে হয়েছে অনাবশ্যক টেনে বড়ো করা হয়েছে।
Profile Image for Farzana Raisa.
524 reviews226 followers
July 8, 2020
বইটার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা গুনগুনে ভালো লাগার সাথে মিশে ছিল চাপা মন খারাপ ভাব। খুব অদ্ভুত একটা বই। খুব সাধারণ একটা পরিবারের সাধারণ কাহিনি (নাকি লেখার গুণে অসাধারণ?) পরিবারের কর্তা রাজেনবাবু। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অধিকাংশ যখন বংশরক্ষার্থে ছেলে ছেলে করে মরে সেখানে ব্যতিক্রম তিনি। কাকের বাসায় কোকিল পালার মতো হলেও কন্যা সন্তানই চাই তার। ইচ্ছাদেবী তার সে ইচ্ছা পূরণও করলেন। একটি, দুটি তিনটি করে পঞ্চকন্যার পিতা হলেন রাজেনবাবু। ও হ্যা, ছেলেও একজন আছে তার। কিন্তু সে(বিজন) আসলেই বেচারা, চিরটাকাল বোনদের আধিপত্যে নিজেকে অবহেলিতই ভেবে এসেছে সে। বইটার মূল চরিত্র বোধ হয় রাজেন বাবু আর তার অতি আদুরে কন্যা স্বাতী অথবা স্বাতী আর তরুণ প্রফেসর সত্যেন রায়ও হতে পারে।

সমস্ত বইয়ে বুড়বুড়ি কেটেছে দম আটকা মন খারাপ, এক মুহূর্ত ভাব্বার মতো চিন্তা, স্বাতীর মনোজগৎ। আর এর এভাবেই স্বাতী আমাদের বড্ড আপন হয়ে উঠে। আসলেই কি আপন হয়ে উঠে স্বাতী? নাকি আমরা আমাদের ভেতরের স্বাতীটাকে আবিষ্কার করে চমকে চমকে উঠি? এই যেমন করে স্বাতী ভাবে, এতো হুল্লোড় করে কেন ছুটে মানুষ? কিছু একটা পেলেই হৈ হৈ করা উৎসব উৎসব ব্যাপার.. একটুখানি ভালো লাগার জন্য কতো দূর দূর দেশে যাওয়া। অথচ আমাদের চারপাশে কতোই না ছড়িয়ে আছে আনন্দ! এই আনন্দ উপভোগের জন্য, আরেকটুখানি ভালো লাগানোর জন্য কোন টিকেট কাটতে হয় না, হন্যে হয়ে কিছুর খোঁজ করতে হয় না কিংবা রেলে চেপে দূরদূরান্তেও যেতে হয় না। আসলেই তো তাই... নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, ঘুরে বেড়াতে খারাপ লাগে না তা নয়। কিন্তু এক ফাঁকে একটুখানি একলা হয়ে রাস্তাঘাটে হেঁটে বেড়াতে তো বেশ লাগে! হয় কানে হেডফোন নয়তো আপন চিন্তায় ডুবে যাওয়া.. চারপাশ দেখা। আনন্দের অভাব আছে?

একরত্তি জেদী মেয়ে স্বাতী, যে কিনা সেজদির হবু জামাইকে বিয়ে করবে বলে জেদ ধরে দিদিদের সাথে মারামারি করে সেই আহ্লাদী স্বাতীটা ধীরে ধীরে কিভাবে বড় হয়ে যায়। পাঁচ জনের মাঝে থেকেও হুট করে একলা হতে চাওয়া স্বাতীর মনে কতো অজানা কথা, ভাবনারা ডানা মেলতে চায়.. কবে, কখন থেকে শুরু হলো এসব? স্বাতীর অনেক দোষ.. জেদী, বাবার আহ্লাদী মেয়ে, সঙ্গিহীন, নভেল পড়া ভাবুক মেয়ে যার বাস্তব বোধ বলে কিছু নেই। এ তো সেই স্বাতী, দৃপ্ত কণ্ঠে ঘোষণা করে বাবাকে ছেড়ে সে কোত্থাও যাবে না। কিন্তু আধো অন্ধকারে সিঁড়ি ঘরে দাঁড়িয়ে থাকা সত্যেন যখন বলে, না এসে পারলাম না তবে কেন স্বাতীর হৃদয়-মন কেঁপে উঠে?


কলেজের চ্যাঙড়া প্রফেসর সত্যেন রায়। পিছুটান পছন্দ নয় তার। জীবনকে দেখে খুব সরলভাবে। আর ভাবে, একটাই তো জীবন.. অহেতুক জটিল করে তোলার দরকারটাই বা কি? সহৃদয়, ভালো মানুষ, প্রকৃতিপ্রেমী এই তরুণটি পড়ানোর পাশাপাশি পছন্দ করে পড়তে। ওই একটিই বিলাসিতা তার। বই কেনা, বই পড়া। তবে এই বন্ধনহীন, সরল জীবনে একটা ব্যাপার বড্ড খচখচ করছে। ক্ষণে ক্ষণে মনের অজান্তে উঁকি দিয়ে ���াচ্ছে প্রসাধনহীন একটা মুখ, লাজুক ভিজে চোখ, ভিজে ঠোঁট, কপালের অবাধ্য কিছু কোঁকড়া চুল..

রাজেনবাবুর কথা উঠলে বুকের গভীর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে। আহারে মানুষটা! স্ত্রী হারিয়ে বাকিটা জীবন স্বাতীকে আঁকড়ে পড়ে রইলেন। বিয়ের নামে অতি আদুরে রাজকন্যাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে যাওয়া, একমাত্র ছেলের উচ্ছন্নে যাওয়া-এসব ছোটখাটো হতাশা আর অতৃপ্তি নিয়ে একটার পর একটা দিন গুজরান করা। বিজন যে কিনা চিরটাকাল নিজেকে অবহেলিত বলেই মনে করে আসলো, বাপের পাত্তা না পাওয়া, উচ্ছন্নে যাওয়া বিজন চায় সবাইকে দেখিয়ে দিতে। অবহেলা, অনাদরের পাত্র নয় সে। শ্বেতা, মহাশ্বেতা, সরস্বতী, শাশ্বতী, প্রমথেশ, হেমাঙ্গ, অরুণ, হারীত প্রত্যেকেই যে যার চরিত্রে উজ্জ্বল। মজুমদার, উর্মিলা, কবি ধ্রুব ও আরও অন্যান্য সব্বাইকে নিয়ে বুদ্ধদেব বসুর বিশাল এক আখ্যান 'তিথিডোর'।


স্পয়লার টয়লার দিয়ে ফর্দাফাই করে ফেলার জন্য কেউ আমাকে মারধোর করবে কি না জানি না। বিশাল বইটার তিনটা খন্ডের নাম পড়লেই বুঝে ফেলার কথা। আর অবশ্যই কাহিনির গতি-প্রকৃতি দেখেও। কিন্তু তারপরও পড়তে ইচ্ছা করে। কেমন তরতরিয়ে এগিয়ে যায় জীবন। ভালো-মন্দ, আসা-যাওয়া সব মিলিয়েই তো মানুষের জীবন। বইয়ের কিছু কথা মনে পড়ছে.. মন খারাপ কখন হয় বা কেন এমন লাগে তার কোন কারণ আছে? সব ঠিক-সব ভালো.. তারপরেও হঠাৎ শ্রীযুক্ত মনখারাপ এসে হাজির। যেন আর নড়বেন না এখান থেকে... জানি না কেন, স্বাতীকে হিংসে হচ্ছে খুব। কেন? সে যা চায়, যেভাবে চেয়েছে তা পেয়েছে বলে? হয়তো!
হয়তো তাই...
Profile Image for Farhana Sufi.
493 reviews
May 23, 2018
৪.৫/৫

সম্ভবত আগে বুদ্ধদেব বসুর কিছু পড়িনি। এ বইটা পড়তে দেরি হবার কারণ দীর্ঘ বই, বাংলা পিডিএফ পড়তে বিরক্ত লাগে, মূল বই দোকানে পাইনি, আর জ্ঞানীগুণী সমালোচকদের আবেগপূর্ণ আলোচনা বিমুখ করেছিলো।

বিদেশ-বিভুঁইয়ে বসে বাংলা উপন্যাস পড়তে খুব ইচ্ছা করলো লম্বা সপ্তাহান্তে। শেষে ঐ পিডিএফই সম্বল আর কিন্ডেলে পড়তে গিয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির অক্ষরে চোখের তেরবস্থা।

বই অবশ্য ভালো লাগলো। এমনকি শেষের ২০% বিবাহের বর্ণনাও, (কিন্ডেলের হিসেব দেখে বলছি বইয়ের ৫ ভাগের শেষভাগ সম্পূর্ণই শুধু বিবাহের আর বিয়েবাড়ির বিবরণ)!

কী কী ভালো লাগলো তার একটা ফিরিস্তি দেই -
প্রথমত ভাষা - অনেকটা ছোটবেলায় পড়া প্রগতি, রাদুগার রাশান উপন্যাসের অনুবাদগুলোর মতো ছোট ছোট বাক্যে, সংক্ষিপ্ত অথচ স্পষ্ট বর্ণনার কথা মনে হচ্ছিলো বারবার প্রথমদিকে।

দ্বিতীয়ত বাংলার ঋতুর বর্ণনা - শীতের মিঠে রোদ, বসন্তের হাওয়া, গ্রীষ্মের দাবদাহ, বর্ষার মাটির গন্ধ, শরতের আকাশ - ঠিক যা যা অনুভব করতে চেয়েছিলাম বাংলা উপন্যাস খুলে - বাংলাদেশের তাই তাই পেয়ে গেলাম!

এরপরে উপমা - চমৎকার, সাবলীল, স্বচ্ছন্দ, সহজ - উপমার ব্যাপারে আমি আর উপমায় না যাওয়াই ভালো।

আর আছে টুকরো জিনিস সব যা আমার প্রিয় -
ভাত, মাছ, লাউয়ের ঝোল, আমের টক - যতসব প্রিয় খাবার
বই আর বই - কবিতা, উপন্যাস, সবরকমের
চিঠি - চিঠির সাথে চা, চা-এর সাথে চিঠি

বিয়েবাড়ির অংশও ভালো লাগার কারণ মনে হয় বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণের প্রতি গত তিনমাসে তীব্র আকাঙ্ক্ষা জন্মেছে। আমরা তো বিয়ে 'খেতেই' যাই, 'বিয়েই খাই' - ঐ খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারটা আমাকে এমনিতেই মাঝরাত্রে বেশ গৃহের প্রতি উচাটন করেছে তা তো আগের প্যারাতেই বোঝা যাচ্ছে। তো এখানে যেভাবে খাবার টেবিলে পর..থুক্কু, বিয়ে-চর্চার সাথে খাবারের বর্ণনা ছিলো, তাতে আর কী বলবো নতুন করে!

আর কী? গল্প ঐ অতি সাধারণ, নতুনত্ব নাই কিছুই যদি দেখি বৃটিশবাংলার সব নামকরা সাহিত্যিকের উপন্যাসের দিকে - ঐ দুর্বল এক নায়িকা বিয়েই যার সম্বল, আর সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা দায় এড়াতে চাওয়া নায়ক, তা এখনই বা আমাদের নায়ক-নায়িকায় পরিবর্তনটা কোথায় এসেছে?! কাজেই সাড়ে চার দিলাম ঐ ভাষা আর খাবারদাবার, বই, চিঠির বর্ণনা ভালো লাগায়, অন্তত নিদ্রাহীন একটানা বই পড়া হলো বেশ অনেক মাস পরে।
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews726 followers
January 12, 2025
সুন্দর, কিন্তু শেষের দিকে বড্ড একঘেয়ে। বিয়ের বর্ণনার কথা বলছিনা, বরং তার একটু আগে থেকেই। প্রথম অংশটুকু বরং মুগ্ধ করে বেশ। সংসারের গল্পগুলো তো বোধয় সবসময়ই সুন্দর আর মনোমুগ্ধকর হয়। এতদিন পড়িনি কেন তা একটু বিস্ময়কর। সম্ভবত বুদ্ধদেব গুহ আর বসুর মধ্যে তালগোল লেগে যাওয়ায়।
Profile Image for Momin আহমেদ .
109 reviews48 followers
October 3, 2020
সিম্পল এর মধ্যে গরজিয়াস বলে একটা কথা আছে ঠিক সেই রকম একটা বই।

(শেষে গিয়ে বুদ্ধদেব বসু ষাট পৃষ্ঠার এক মহাকাব্যিক বিবাহ সম্পন্ন করেছেন)
Profile Image for বিমুক্তি(Vimukti).
152 reviews92 followers
October 8, 2020
এই বইয়ের রিভিউ দেওয়া আমার কম্ম না! শুনেছি প্রেমে পড়ার পর অনেক সুলেখক ও প্রেমপত্র লিখতে বসলে,কলম থেকে একটা অক্ষরও বের করতে পারেন না। অগত্যা কোনো উপায় না পেয়ে গানের লিরিক্স আর কবিতার চরণ চুরি করে বসিয়ে দেন। আমিও এই লেখার প্রেমে পড়েছি। তাই কিছু লিখতে যাওয়ার বাহাদুরি দেখাচ্ছি না। বইটা শুরু করতে গিয়ে অনেক ডিটেইল রিভিউ খুঁজেছি। খুব বেশি পাই নি। আসলে খুব বেশি লেখারও কি কিছু আছে? খুব সাদামাটা একটা গল্প। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো কোনো ট্র্যাজেডিও নেই। তারপরও বইটা অসাধারণ। একমাত্র লেখকের লেখনীর জোরেই। গত দুই তিন মাস ধরে বড্ড বেশি থ্রিলার পড়া হচ্ছে। তাই বোধহয় ভাষার মায়াটা ভুলে গিয়েছিলাম। এই বই যেন তা আবার মনে করিয়ে দিল।

সামর্থ্যের অভাবে বইটা নিয়ে কিছু বলতে পারলাম না। তবে বইটা পড়ার সময়ই আমি একটু তুলনা করার কাজ শুরু করে দিয়েছিলাম। চল্লিশের দশকের গোড়ার মধ্যবিত্ত মানুষদেরকে নিয়ে লেখা এক উপন্যাস। আজ থেকে আশি বছর আগের বাঙালির জীবনের সঙ্গে আজকালের অবস্থার তুলনা স্বাভাবিকভাবেই এসে যায়। জাতি হিসেবে আমরা যে এক কদমও আগাই নি এটা নিশ্চিত। কিন্তু এই আট দশকে উল্টো কেউ যেনো ধাক্কা মেরে আরও দশ কদম পিছিয়ে দিয়েছে। পুরো বইটা জুড়েই ভালো লাগার সাথে হালকা একটা মন খারাপের ভাব যেনো লেগেছিল। আর আমাদের এই সাংস্কৃতিক, সাহিত্যিক আর মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়াটা আরও বেশিরকম মন খারাপ করে দিল।

১৬ জুলাই, ২০২০
Profile Image for Kripasindhu  Joy.
508 reviews
June 16, 2025
বহুদিন আগে রাত ভ'রে বৃষ্টি দিয়ে বুদ্ধদেব পাঠ শুরু করেছিলাম। মাঝে কবিতা আর প্রবন্ধ বেশ কিছু পড়লেও উপন্যাসের সাথে আর দেখা হয়নি।

দীর্ঘ এই উপন্যাসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ের কলকাতা, যেখানে ক্ষয়ে যাচ্ছে ব্রিটিশ রাজত্ব, মৃত্যু হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের, সেখানে, রাজেন মিত্রের পরিবার ওঠে এসেছে। কেবলমাত্র, কিছু প্রেম কাহিনিই নয়, বরং, সেই সময়ের কলকাতা ও মানুষ ফুটে ওঠেছে স্পষ্টভাবে।
Profile Image for Ratika Khandoker.
294 reviews32 followers
April 11, 2022
বড়ই অশান্তির মধ্যে শেষ করলাম।চটপট একটা ছোট পাঠ প্রতিক্রিয়া দিয়ে যাই,এরপর যে কবে গল্পের বই আর গুড্রিডসের ধারে কাছে আসবো ঠিক নাই।
তিথিডোর শব্দটির অর্থ,বিয়ের লগ্ন বা বিয়ে।
হ্যাঁ,বিয়েই,একটা সুন্দর-শান্ত বিয়ে দিয়েই উপন্যাসটি শেষ হয়।কার বিয়ে? স্বাতীর বিয়ে।কার সাথে?তা জানার জন্য বইটিতে ডুব দিতে হবে।
আর এই যে স্বাতী,পাঁচ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট্র যে স্বাতী,সবচেয়ে সুন্দর-সবচেয়ে খেয়ালী,বাবার সবচেয়ে আদরের যে স্বাতী-তার বাবার বুকজুড়ে এ পৃথিবীতে আগমন থেকে বাবার বুক ছেড়ে তিথিডোরে বাঁধা পড��ার সময়কালটাই আমাদের এই উপন্যাস।
আর স্বাতীকে ঘিরে উঠে আসে কত চরিত্র,কত তাদের কেচ্ছা কাহিনী,কি বিচিত্র তাদের মনোজগত!আবার তাদের হাত ধরেই উঠে আসে বিশ্বযুদ্ধ,রবীন্দ্রনাথ,শিল্প-সাহিত্য,তৎকালীন কোলকাতা ইত্যাদি ইত্যাদি নানা বিষয়।
স্বাতীর সাথে আমার তেমন কোনো মিল নেই,তবুও পাঁচ বছরের স্বাতী যখন রাগ করে হাত পা ছুঁড়লো,আমি ভাবলাম ঠিকিতো,হাত পা-ই ছোঁড়া উচিত।তরুণ স্বাতী যখন গ্রীষ্মের তেতে উঠা গরমের আঁচ লাগা বাড়িতে একলা দুপুর কাটায়,হাতে একখানা বই নিয়ে,সে আরাম আরাম আমেজ টা আমিও বেশ অনুভব করি।সদ্য কবিতার স্বাদ পাওয়া স্বাতী যখন কবিতার নেশায় বুঁদ হয়,বেশি একটা কবিতা না পড়া আমিও তার নেশার সাথী হই।আবার এই স্বাতীর মনেই যখন ভালোলাগা-ভালোবাসার মৃদুমন্দ বাতাস বয়,দুলে যাই আমিও।পুরো উপন্যাস জুড়েই বেশ আলস্যে ভরা আরাম একটা ভাব।
সত্যেনকে ভালো লেগেছে,তার চেয়েও বেশি,সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে রাজেন বাবুকে।উপন্যাসের বেশ অনেকগুলো উক্তি মন কেড়েছে।পরে কোনো একসময় যোগ করে দিবো।
তবে,শেষের দিকে আমারই তাড়াহুড়ো ছিলো বলে কি না,বেশ ধীর গতির লাগলো।যখন বিয়ে বাড়ির আনন্দ-উৎসবে সবাই মুখর,আর লেখক মুখর সেই উৎসবকে তার লেখনীতে প্রাণ দিতে,ঠিক সেইসময় টুকুর বর্ণনা পড়তে যেয়ে শেষের কয় পাতা বেশ অধৈর্য হয়েছি।
সব মিলিয়ে খুব ভাল লেগেছে।
Profile Image for Rubell.
185 reviews24 followers
February 5, 2024
সমাপ্তিটা পাঠকের মনমতো করতেই বোধহয় শেষ অধ্যায়টা অতিরিক্ত দীর্ঘ হয়ে গেল।
ফ্যামিলি+রোমান্স জনরার একটা জমজমাট উপন্যাস তিথিডোর। যারা পরিবারকেন্দ্রীক উপন্যাস ভালোবাসেন, তারা তিথিডোর উপভোগ করবেন প্রায় নিশ্চিত। আর বুদ্ধদেব বসুর লেখা ঝরঝরে, চরিত্রগুলোর মনের ভাব খুব সহজে বোধগম্য হয়।
বাবা-মেয়ের বোঝাপড়া, বইপড়ুয়া-অন্তর্মুখী মানুষদের সাইকোলজি, সোভিয়েতপন্থীদের ভণ্ডামি ও অন্তসারশূন্যতা, ইউরোপ থেকে আমদানি করা পোশাকি আধুনিকতার অসম্পূর্ণ অভিযোজন - এরকম গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনস্তাত্ত্বিক বা দার্শনিক ভাবনার প্রতি বুদ্ধদেব বসু পরোক্ষ আলোকপাত করেছেন যা বেশ উপভোগ্য।

আরও একটি বিশেষ ভালোলাগার দিক - উপন্যাসে বাইশে শ্রাবণের অন্তর্ভুক্তি। সত্যেন এবং স্বাতীর সাথে আমরাও যেন কলকাতার শোকবিহ্বল লোকারণ্যে হাজির আছি - পড়তে পড়তে এমনটা অনুভব হয়। ছোট পরিসরে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই সময় বা প্রথম আলোর আবহ সৃষ্টি হয়েছিল বলা যায়।
সত্যেনের ভাবনার সাথে আমার ব্যক্তিগত ভাবনার সাদৃশ্য আছে বলে সত্যেনকে ভালো লেগেছে। পছন্দের দুটি জায়গা থেকে উদ্ধৃত করা যাক।

"পুরোনো সহপাঠীদের কারো কারো সঙ্গে এখনও তার দেখা হয় মাঝে-মাঝে। তারা প্রত্যেকেই তাকে বলে-করছ কী হে, ঐ একটা রদ্দি কলেজেই পচবে নাকি? উত্তরে সত্যেন শুধু বলে বেশ আছি। কথাটা ভান নয়, স্তোক নয়, সত্যি সে যা বিশ্বাস করে তা-ই সে বলে। কত ভাল আছে, কত সুখে আছে, তা কি এরা বোঝে না? কলকাতায় আছে, অল্প কাজ, লম্বা ছুটি, নিজের ছাড়া আর কারো ভার নেই, বলতে গেলে কোনও ভারই নেই, কেননা তার নিজের খুব অল্পেই চলে যায়। কলেজে পায় একশো কুড়ি টাকা, একটি (একটিই মাত্র) টুশনি করে সেই সঙ্গে। সবসুন্ধু যা পায় তাতে ভেসে যায় তার। বই কেনা, দেশ দেখা সবসুন্ধু। এর বেশি আয় হলে তা নিয়ে কী করবে তা প্রায় ভেবে পাওয়াই মুশকিল। আর, আয় বাড়াবার কথাও অবশ্য ওঠে না, যদি না সে রাজী হয় অবসর বেচতে, স্বাধীনতা বিকোতে। আর তার কাছে যা আসল, সবচেয়ে যা মূল্যবান, তা-ই যদি না থাক তাহলে অন্য কোনো কিছুই কোনো কাজে লাগবে না তো!"

"সব সময়ই আমাদের চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। যেটা আছে, হচ্ছে, সেটা আমাদের কাছে কিছুই না; আমাদের সুখের সময়গুলিকে আমরা বুঝতে পারি, তখন-তখন না, পরে—অনেক পরে; আর তাই সব সময় মনে হয় যা হয়ে গেছে তার মতো আর হল না, হবে না—এটা অবশ্য একটু হেসে জুড়ে দিল—আমার নিজের কথা না, নতুনও না, কিন্তু পুরোনোকেই নতুন লাগে যখন সেটা জীবন দিয়ে বুঝি।"


মৃত্যু, শোক নিয়ে স্বাতীর ভাবনাগুলোর সাথে রিলেট করা যায় বলেই স্বাতী মুগ্ধ করার মত চরিত্র। নিজের আপনজন মারা গেলে তবেই মানুষ বুঝতে পারে মৃত্যু কতটা বেদনার, কতটা সত্য, কতটা নিকটে; বাকিদের মৃত্যুসংবাদ নিছক সংবাদ। আর মানুষ কাছাকাছি থেকেও একে-অপর থেকে কতটা দূরে, কতটা একাকী, মানুষ তার দুঃখকষ্ট নিজের মধ্যে জমা রেখে সবার অজানা হয়ে থাকে, ... এই সাধারণ ভাবনাগুলোর চর্চা স্বাতীকে অনন্যসাধারণ করেছে।

শেষের দীর্ঘ অধ্যায়টাতে বিরক্তিকর হলেও সবমিলিয়ে "তিথিডোর" আমার কাছে চমৎকার।
Profile Image for Arnab Paul.
62 reviews119 followers
March 17, 2015
লেখকমাত্রই পরিপার্শ্বের একজন সুনিপুণ পাঠক। এই অনুভূতি ধরার অনন্য ক্ষমতা, সমাজবোধটুকু লিখিয়েদের সবার থেকে আলাদা করে রাখে।তাইতো রবীন্দ্রনাথ পোস্টমাস্টার না হয়েও তার চিন্তারজগতকে 'ঔন' করেন, মৃন্ময়ীর বালিকা থেকে বিবাহিতা হয়ে ওঠার ট্রানজিশন দেখান গল্পে।মানিক একাধারে লিখে চলেন লেখক,কেরানি, দোকানি,চোরের 'বৌ’দের ভাবনার জগতকে।আশপাশের এই মানুষদের সংস্পর্শে জীবনযাপনের সূত্রে আমাদের নিয়ত ওঠাবসা হলেও, ঠিক ছোঁয়া হয়ে ওঠেনা। আমাদের এই অবচেতন অনুভূতির সমাহার অবয়ব পায় লেখকদের এই চারপাশটাকে ‘পড়ে ওঠা’র বর্ণনকৌশলে। অথচ আমাদের সামনেই না এইসব জীবন বাতাসের মত ভেসে বেড়ায় দিনরাত!

‪#‎তিথিডোর‬ পড়লাম।বুদ্ধদেব বসুর সাথে আমার পরিচয় তাঁর আত্মজীবনী, কিছু সম্পাদনা বই ও প্রতিভা বসুর ‘জীবনের জলছবি’ থেকে।পড়া থেকে তাঁর সম্পর্কে ‘মিথ’ শোনা হয়েছে বেশি। উপন্যাসের কাহিনি চল্লিশ দশকের কলকাতাই মধ্যবিত্ত-পরিবার নিয়ে।রাজেনবাবুর পাঁচ মেয়ে,এক ছেলে।আবর্তন মূলত ছোট মেয়ে স্বাতী চিন্তাজগতের বিবর্তন ও ভালবাসা নিয়ে।স্বাতীর বড় চার বোন শ্বেতা,মহাশ্বেতা,সরস্বতী,শাশ্বতী ও একমাত্র বড়ভাই বিজন এসেছে স্বাতীকে কেন্দ্র করেই।উপন্যাসের কাহিনিতে ঘটনার কোন আকস্মিক চমক, নাটকীয় মোড় খেয়াল হয়নি।কিন্তু প্রতিটি ঘটনাবিস্তারে এক একটা চরিত্রের মনস্তত্ব,অনুভূতি,চিন্তারক্ষেত্র উঠে এসেছে প্রাণবন্ত ভাষায়।এতটা কোমল উপন্যাস বহুদিন পড়িনি।মা-মরা পরিবারে স্বাতীর বেড়ে ওঠা,রাজেনবাবুর স্নেহের ছায়া, বিজনের যাচ্ছেতাই ভ্যাগাবন্ডপনা, সাংসারিক লেগে থাকা ঝামেলা,অভিমান-ভালোবাসা সবই এসেছে একেবারেই নিত্যনৈমত্তিক জীবনপ্রবাহে, নাটকীয়তার ঝঞ্ঝা-স্রোত-মুক্ত, কিন্তু সুসচ্ছন্দ। পড়তে পড়তে নিজের আড়ম্বরহীন কিন্তু অনুভূতি-উপচে পড়া জীবনটা সামনে চলে এসেছে বারবার।কর্মব্যস্ত দিনে থেকে শুরু করে , বিস্রস্ত চিন্তার ঘুম না আসা রাতও যে কতটুকু কাব্যিক ও অনুভূতিময় হতে পারে, সে বোধ উপন্যাসের প্রতি পাতাতেই পেয়েছি।গল্পে কোন চরিত্রের নেতিবাচক আচরণ তার প্রতি ক্ষুব্ধতা তৈরি করেনি, বরং ঐ আচরণ যে তার পরিস্থিতিতে ‘স্বাভাবিক বাধ্যতা’ তা-ই মনে হয়েছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উপ‌ন্যাসটির সময়কাল হলেও, তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোন রাজনৈতিক ঘটনা উঠে আসেনি একেবারেই।শাশ্বতীর স্বামী হারীতবাবুর কথার ঝনঝনানিতে হিটলার,জাপানের আক্রমণ,বার্মা-দখল এই শব্দগুলোই শোনা গেছে বারবার।উপন্যাসে একমাত্র রাজনীতিসচেতন ব্যক্তি তিনিই,যদিও তার কম্যুনিস্ট ভাবাদর্শ,শ্রেণিসমতার চিন্তা পাঠকের চোখে একটু উপেক্ষিতই থেকে যায়।স্থান-কাল-পাত্র চিন্তা না করে রসহীন রাজনীতি-আলোচনা,উত্তাল এই সময়ে পরিবারের মানুষদের নিরাজনৈতিক-চিন্তায় অবজ্ঞা-প্রদর্শন, এগুলো পুরো উপন্যাসে তার জন্য মায়া তৈরি হতে দেয়নি,দিয়েছে করুণা। বুদ্ধদেব বসুর সমাজতন্ত্র-বিমুখতার প্রভাব এই চরিত্রে পড়েছে বলে মনে হয়। শাশ্বতী ও প্রবীর মজুমদার এর কাহিনি যেন আরেকটু আসতে পারতো,গভীরে গিয়েই হঠাৎ থেমে যাওয়ায় কেমন অতৃপ্ততা রয়ে গেল তাদের প্রতি।

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলতে রবীন্দ্রনাথের মহাপ্রয়াণের ঘটনা এসেছে নিপুণ বর্ণনায়।পুরো কলকাতাজুড়ে থমথমে শোকাবহ, জোড়াশাকোয় মানুষের ভীড় থেকে মৃতদেহ-সৎকার পর্যন্ত একেবারে চোখেভাসা বর্ণনা ছিল। অদ্ভূত শান্ত, কিন্তু কী প্রবল ঐতিহাসিক সে মুহূর্ত!
Profile Image for Munem Shahriar Borno.
185 reviews11 followers
October 7, 2025
৪.৫/৫

সত্যিকারের সাহিত্যকর্ম যাকে বলে! সার্থক উপন্যাস।

শুরুতে রাজেনবাবুর পরপর পাঁচটি মেয়ে, আর খুব দ্রুতই তাদের বিয়ে হতে দেখে ভেবেছিলাম হয়তো গল্পটা শরৎবাবুর দিকে বাঁক নিচ্ছে।পণ, ডমেস্টিক ভায়োলেন্স, এসব কল্পনা করেছিলাম।অথচ এসবের কিছুই পাওয়া যায়না। গল্পটাও তো সেসময়েই লেখা, ১৯৪০ এর। অথচ কত আধুনিক! যে চরিত্রটি সবচে' বেশি মন কেঁড়েছে তা হলো রাজেনবাবু। এমন উন্নত চিন্তাধারার পিতা এ যুগেও যে পাওয়া মুশকিল!

একটি বা কয়েকটি চরিত্রকে একপেশে নেগেটিভ না দেখিয়েও যে গল্প তৈরী করা যায় এমন উপন্যাস কমই পড়েছি আমি। হ্যাটস অফ!
Profile Image for   Shrabani Paul.
393 reviews22 followers
July 14, 2025
উপন্যাসের নামটি ভারি চমৎকার,❝তিথিডোর❞ আর
এই শব্দের অর্থ হল বিবাহের শুভলগ্ন বা উপযুক্ত সময়। লেখক বুদ্ধদেব বসু মহাশয় উপন্যাসের মধ্যে ঠিক এটাই তুলে ধরেছেন। উপন্যাসের মূখ্য চরিত্রে রয়েছে 'স্বাতী' তাকে ঘিরেই এই উপন্যাস। ছ'ভাই-বোনের মধ্যে 'স্বাতী' সবচেয়ে ছোট এবং বাবার বড় আদরের সন্তান। মা-হারা স্বাতীর বেড়ে ওঠা, রাজেনবাবুর স্নেহ, বিজনের ভবঘুরে জীবন, এবং সাংসারিক টানাপোড়েন এই উপন্যাসের প্রধান উপাদান।
স্বাতীর সমাজে বেড়ে ওঠার গল্প যা বিয়ের মাধ্যমে একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করে। তিথিডোর শব্দটি এই উপন্যাসের প্রেক্ষাপটে, স্বাতীর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, অর্থাৎ বিবাহের শুভলগ্নকে নির্দেশ করে....... সবটাই খুব সুন্দর ভাবে লেখক উপস্থাপনা করেছেন এই উপন্যাসের মাধ্যমে। ভীষণ ভালো পারিবারিক গল্প। আর এই উপন্যাস টি তিনটে ভাগে বিভক্ত (১) প্রথম শাড়ি, প্রথম শ্রাবণ (২) করুন রঙিন পথ (৩) যবনিকা কম্পমান। ভালোই বড় উপন্যাসটা, আর আমার কাছে যে বইটি রয়েছে তার পেজ কোয়ালিটি আর বাঁধাই নিয়ে কোনো কথা হবে না। প্রচ্ছদ তো ভীষণ সুন্দর। এই প্রচ্ছদের কারণেই বইটি সংগ্রহ করা, সাথে বুকমার্ক টাও উফ্ অসাধারণ।।

#তিথিডোর #বুদ্ধদেব_বসু ₹৫৫০
#পাঠক_প্রতিক্রয়া #রিভিও #বাংলাবই
#বইয়ের_পোকা #উপন্যাস
@highlight #bookrecommendation
87 reviews13 followers
March 31, 2020
You know how at times a book calls out to you, you keep seeing it everywhere, every book shop you visit like throwing a sign asking you to read it. When I pick books, I rely heavily on my intuition to gauge if the book will work for me. I first saw the book in Blossoms , then a recommendation by The Bookshop JorBagh IG page for a good family saga. Every time I visited Blossoms I kept seeing it but was waiting for an occasion to buy the same. Thanks to Teenu who gifted me this for my birthday.

What are the  elements to get a family saga right? For me with any book, its always the connect with a book, its characters, the writing.

Tithidore by Buddhadeva Bose published in 1949 translated by Arunava Sinha is a classic tale set in the early 1900s. Divided into 3 parts, we are taken across protagonist Swati Mitra's journey from her birth, childhood to a demure yet a bold woman. It is also her father Rajen Mitra's story seeing his 5 daughters grow, leave the household , a silence setting at home after their departure. A change that comes when the daughters visit, the family's chitter chatter. Swati, the youngest  her aspirations, thoughts a melancholy setting in. As her father's favourite Rajen also wants to hold on to her for the longest time.

The plot begin in Mitra household with a daughter's birth. Rajen is ecstatic but Shishirkana who grew up hearing how a male child should be bore is disappointed. When Bijon is born after Shweta, Mahashweta, Saraswati and Saswati she is overjoyed. After Swati the youngest is born Shishirkana's health declines . Rajen's pet Swati the youngest and the most beautiful among the girls grows up with her siblings , with all the banter yet protected by Rajen. Bijon though intelligent always catches ire of his father for his lack  of focus on education and his attempts at trying various things.

The major chunk of the story is set after Saswati's wedding. One major moment is after Saswati's departure when Swati tells her father she would never leave him.  Rajen and Swati's relation is extremely beautiful and close knit. Rajen who has always supported education is delighted at Swati's educational achievements. Swati's thoughts which we read throughout are very layered, from her naivety in the beginning to her transformation to a mature woman.

After a class with the new professor Satyen , she begins an interest in poetry. Satyen is the quintessential brooding, silent, bookworm and wanderlust person. Swati finds herself spending most of  her free time reading losing herself to poetry and prose. Swati and Satyen find themselves drawn to each other mostly their silence speaking eons. When Swati receives a letter from Satyen during his travel, they begin a to & fro conversation whenever possible. Swati is also pursued by Majumdar, Bijon's business colleague. Majumdar is rich and a self made man though his intention for marrying is not partnership but to flaunt his wife!

The vivid descriptions of nature paralleling emotion and the parallels of reading poetry and prose to loneliness stood out for me. Rain, sari, gloom, happiness are some of the recurrent themes. Arunava Sinha's translation is brilliant. What is in Swati's destiny? How does she shape it? This forms the rest of the story. The ending paragraph is one of the best that I have read till date. I binge read this book 2 days straight and couldn't put it down till I finished it. I would love to reread this at leisure again soaking in all the emotions.

If you love sagas set in pre independence era you would love this one!
Profile Image for Samiha Kamal.
121 reviews116 followers
June 24, 2023
আমার অন্যতম প্রিয় উপন্যাস। মায়াবী বৃষ্টি বৃষ্টি একটা লেখা, কিন্তু শেষের দিকে টেনে লম্বা করা হয়েছে৷ আমার পছন্দমতে আর কি সেই যে, স্বাতী অধিকার দেখায়ে সত্যেনকে বললো "না যেয়ো না" সেখানেই শেষ হলে বেশিই ভালো লাগতো। তবুও এই বইয়ের আবেদন কমার নয়।
দুইটি প্রিয় অংশ টুকে দিচ্ছি। দারুণ না?


মন খারাপ মানুষের কখন লাগে আর কেন লাগে- তার কি কোনো নিয়ম আছে? কিছুর মধ্যে কিছু না- সব ঠিক- সব ভালো... হঠাৎ শ্রীযুক্ত মন খারাপ এসে হাজির হলেন, যেন আর নড়বেন না এখান থেকে। তা লোক কিন্তু উনি তত খারাপ নন, মানে- মন খারাপ হওয়াটাই যে খারাপ তা কিন্তু ঠিক না- আমার তো বেশ ভালোই লাগে একেক সময়।


... আর মন খারাপের ভালো লাগাটা বলতে হয়- মানে, বলতে চায় মানুষ, কিন্তু বলতে পারে না। আর পারে না বলেই কি গান বানায়, কবিতা লেখে?


স্বাতী চুল খুলল না, স্নান করল না, বই খুলল না। দাঁড়ানো বইগুলির পুটের ওপর দিয়ে চোখ চালিয়ে গেল, কোনোখানে থামলো না চোখ, কোনো বই তাকে ডাকল না। আজ প্রথম সে বইয়ের কাছে কোনো জবাব পেল না। হয়তো অন্য কোথাও জবাব আছে। ছাপার অক্ষরে, না হাতের লেখায়? দেরাজ থেকে বের করল- চিঠি, একটি নীল আর এক গোছা সাদা খাম। একটু দেখল তাকিয়ে, এখানে ওখানে হাত ছোঁয়াল। তারপর খুলে-খুলে পড়তে লাগল প্রথম নীল খামটি থেকে শুরু করে। কিন্তু এ-ও তো বইয়ের মতো। শেষেরটির, শেষের কটির উপর সে প্রয়োগ করল মনের সমস্ত ইচ্ছা আর ইচ্ছার সমস্ত শক্তি। তন্নতন্ন খুঁজল লেখার ফাঁকে ফাঁকে অন্য কোনো কথা। প্রাণপণ চেষ্টা করল কথাগুলিকে দুমড়ে মুচড়ে জবাব ছিনোতে, এক ফোঁটা নিশ্চয়তা নিংড়ে বের করতে- কিচ্ছু না! শুধুই সারি-সারি কথা, সাজানো কথা, সুন্দর কথা- কিন্তু এ সুন্দর দিয়ে কী করবে সে, এর চেয়েও আরো কত সুন্দর কথা তো ছাপানো আছে বইয়ের পাতায়... পাহাড়ে বেড়াচ্ছেন, আনন্দে আছেন, মাঝে মাঝে চিঠি লিখে সাহিত্যচর্চা করেন- এদিকে ছুটিও আর বেশি নেই, কিন্তু তাতে কী? একেবারে শেষ সম্ভব দিনটি কাটিয়ে তবে তো ফিরবেন।
চিঠিগুলি তুলে রাখতে রাখতে স্বাতীর মনে হল সে যেন অনেক, অনেকক্ষণ ধরে হাঁটছে, অথচ কোথাও যাচ্ছে না, স্বপ্নে যেমন আর পথ ফুরোয় না সেইরকম। আর হঠাৎ যেমন চমক দিয়ে স্বপ্ন ভাঙে তেমনি একটা জেগে ওঠার ধাক্কায় সব তার কাছে সহজ হয়ে গেল, স্বপ্নকে স্বপ্ন বলে চিনল- সোজা দেখতে পেল চোখের সামনে বাস্তবের পরিষ্কার পথ। কাগজ নিল, কলমের টুপি খুলল। প্রথমবার 'শ্রীচরণেষু' লিখেছিল, এখন 'শ্রদ্ধাস্পদেষু' লেখে, আজ কিছুই লিখল না, শুধু-

কবে আসবেন? ছুটি তো প্রায় শেষ, আর আসতেই তো হবে। চিঠি আর চাই না, চিঠি আর ভালো লাগে না। এর উত্তরে আসবেন।

নিজের নাম লিখে একটু তাকিয়ে থাকল। দু-মিনিট পরে স্বাতী নিজের হাতে সমর্পণ
করল ডাকবাক্সের বিশ্বস্ত অন্ধকারে তার জীবন... তার ভবিষ্যৎ... তার অদৃষ্ট।

..................
স্বাতী তাকিয়ে দেখল, সামনেই বাড়ি। আর সিঁড়ির ধাপে দরজার ধারে সত্যেন। দরজায় আঙুলের টোকা পড়ল তিনবার।
সত্যেন ফিরে তাকাল।
স্বাতী তিনটি সিঁড়ি উঠল।
সত্যেন বলল- আবার এলাম।
স্বাতী কিছু বলল না।
সত্যেন বলল- এলাম মানে... আসতেই হল।
স্বাতী কিছু বলল না।
একটু চুপ করে থেকে সত্যেন আবার বলল- আসতেই হল, না এসে পারলাম না। তা... আমার বোধহয় সময় হল এদিকে... আচ্ছা-।
স্বাতী বলল- না। হাত থেকে কয়েকটা শিউলি তার পায়ের কাছে পড়ল। আবার বলল- না, যেয়ো না।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Smitha Murthy.
Author 2 books411 followers
October 20, 2019
This is a bit of a strange book for me. Written in a stream of consciousness style, 'When The Time Is Right' took me a while to get into. The dialogues seemed abrupt, fractured, and I was wondering if it was the translation. Then, you get used to the abrupt shifts and slowly get drawn into the story. And what's the story? Well, the story of a family, really. It's not really a generational saga - it doesn't cover entire generations of families - but it focuses on Swati, who is the youngest, and also the most 'different' of the lot of five daughters and her slow-cooker love affair with the shy professor, Satyen.

At times, I felt that there were traces of misogyny and contempt that came out in the writing. I was a bit surprised I hadn't spotted this in Bose's other books. But is it the writer being satirical? Or merely lyrical in his disdain for women? I liked this book. But then again, I didn't.
Profile Image for Shreya ♡.
135 reviews204 followers
March 30, 2022
ফার্স্ট হাফ পড়ে আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে, কিন্ত শেষ অর্ধেক প্রচণ্ড তাড়াহুড়োতে লেখা- লাস্টে গিয়ে তো একদম বাংলা সিনেমার গল্প।

কি সুন্দর বাবা-মেয়ের গল্প দিয়ে শুরু হয়েছিল, এই প্রফেসর-ছাত্রীর "জায়েজ" প্রেম-ভালোবাসার গল্প তে কেন যে টার্ন নিলো, বুঝলাম না! :/
Profile Image for Raihan Ferdous  Bappy.
203 reviews9 followers
June 9, 2025
অবশেষে শেষ করলাম বুদ্ধদেব বসুর লিখা বিখ্যাত উপন্যাস 'তিথিডোর'। বেশ অনেকদিনই লাগলো বইটা শেষ করতে। প্রথমদিকে ভালোই এগোচ্ছিলাম। মাঝখানে আসার পর থেকে কেনো জানি সামনেরদিকে নিজেকেই ঠেলে নিয়ে যেতে হচ্ছিলো।

যাইহোক, উপন্যাসের দিকে আসি আগে। উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাজেনবাবু আর শিশিরকণার শান্ত মধ্যবিত্ত জীবন। পাঁচটি অসম্ভব রূপবতী কন্যা ও এক ছেলেকে নিয়ে তাদের সংসার। শিশিরকণার উপস্থিতি খুব বেশিদিন থাকে না। দুই বড় কন্যাকে বিয়ে দিয়েই তাকে চলে যেতে হয় ওপারে। এরপরে, মেজো মেয়েরও বিয়ে হয়ে যায়। এরপরে যখন শাশ্বতীর বিয়ে হয়ে যায় তখন বাড়িতে থাকে শুধু রাজেনবাবু, স্বাতী আর বিজন। বিজনটা পড়ালেখায় মন টেকাতে পারে না। তাই, ব্যবসা দাঁড় করানোর একটা প্রচেষ্টায় আছে। অন্যদিকে, স্বাতী হচ্ছে এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। যাকে কেন্দ্র করেই উপন্যাস এগিয়ে চলে।

এই হচ্ছে মোটাদাগে, 'তিথিডোর' উপন্যাস। যখন উপন্যাসটা শুরু করি আমার বেশ ভালো লাগছিলো। উপন্যাসের বিল্ডআপ অসাধারণ। কাহিনীর গতি ধীর হলেও ভালো লাগছিলো। তবে, মাঝের পরে এসেই কেমন জানি একটা ডিসকানেক্টেড ফিল হচ্ছিলো। কেনো জানি টেনে বড় হচ্ছে করা টাইপ একটা ফিল আসছিলো। যেনো আগাতেই চাই না। একই জায়গার উপরেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

সবমিলিয়ে, আমার কাছে এভারেজ মনে হয়েছে। অনেকের এই উপন্যাস অনেক পছন্দের। তাদের পছন্দের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু, আমি দারুণ কিছু খুঁজে পাইনি এই উপন্যাসে। এইতো!
Profile Image for Anika.
20 reviews19 followers
April 6, 2021
"কবে আসবেন? ছুটি-তো প্রায় শেষ, আর আসতেই তো হবে। চিঠিই আর চাই না। চিঠি আর ভালো লাগে না। এর উত্তরে আসবেন।"
~ স্বাতী।

একটা শ'তিনেক পাতার বই পড়া কোনো আহামরি ঘটনা নয়। এমন বই অহরহ পড়া হয়। তবে তিনশো পাতার বই জুড়ে যদি মনে তিন হাজার মিশ্র অনুভূতি রা দৌড় ঝাপ করে তাহলে সে বই শুধু পড়ার নয়, বরং সুদৃঢ় জীবনবোধ তৈরির। "তিথিডোর" সেই দলের একখানা বই; একখানা জীবনবোধ। রাজেনবাবু-শিশিরকোণার ছোট্ট স্বল্প আয়ের সংসারে আস্তে আস্তে পঞ্চকন্যার আগমন, মেয়েদের নিয়ে বাবার মাতামাতি, মায়ের দুশ্চিন্তা, মেয়েদের বেড়ে ওঠা, নিজেদের হাল ধরতে শেখা... সবটা শুধুই মুগ্ধ করেছে। শ্বেতা, মহাশ্বেতা, সরস্বতী, শ্বাসত্বি, স্বাতী। কন্যা পাগল রাজেনবাবু মহাসমারোহে এমন সব নাম রেখেছেন মেয়েদের। বাবা মেয়ের মুগ্ধ সম্পর্কের এতো আদুরে চিত্রায়ন আগে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি।

মেয়েদের জীবন বেশ অন্যরকম! কতটা অন্যরকম তা এই বইয়ে বোধয় কিছুটা জানা যায়। নিজের পুতুল খেলার দিন থেকে নিজ মেয়েকে পুতুল খেলতে দেখার প্রক্রিয়া টা মেয়েদের জীবনে খুব চট করেই ঘটে, মেয়েরা তা-ই মেনে নেয়, মেনে নিতে না পারলেও মানিয়ে নেয়। কিশোরী জীবনে প্রথম শাড়ির পড়ার আড়ষ্টতা কাটিয়ে কবে যে নিজেদের মস্ত জীবনটাকে আটপৌরে বেঁধে ফেলে তা নারী নিজেও টের পায় না; শুধু জীবন বয়ে যায়। আশ্চর্য এই বহমান জীবন!

সত্যেন-স্বাতীর আধো-আধো অনুভুতি গুলো শক্তপোক্ত গাথুনিতে যাওয়ার মাঝের সময়টা বেশ শিহরণ জাগিয়েছে। আহ প্রেম! আহ ভালোবাসা! এমনই তো! এমনটায় তো! কি মায়া! কি আদর!

কোনো বই এর পাতায় পাতায় যখন চরিত্রগুলোর সুখ দুঃখ কে ছুয়ে দেখা যায়, হাত বুলিয়ে নিজের করা যায় তখন সেই বই আপনাপনি নিজের হয়ে যায়। "তিথিডোর" আমার। এর সুখ গুলো আমার, এর দুঃখ গুলো আমার, এর প্রেমবোধ আমার, এর অভিমান আমার, এর প্রতি পাতায় শুধু আমি...
20 reviews2 followers
January 12, 2022
সোজা বাংলায় 'তিথিডোর' মানে বিবাহ। পুরো উপন্যাসের সব চরিত্রের উপস্থিতির মাধ্যমে বিবাহসভার সাথে উপন্যাসেরও যবনিকা টেনে দিয়েছেন বুদ্ধদেব।
তার আগে ছিমছাম এক পরিবার আর তাদের ঘরে আসা যাওয়া করা মানুষদের গল্প, বৈচিত্র্যপূর্ণ চিন্তাভাবনার বর্ণনা আর ঘটনার পরস্পরা বলে গেছেন।
বুদ্ধদেবের লেখায় অব্যক্ত অনেক অনুভূতি শব্দরূপ পেয়ে গেছে। সন্ধ্যার নরম আরাম অন্ধকার, বিষণ্ণ শেষ বিকেলে ছায়া পড়া এরকম আরো বর্ণনা লেখাটিকে পুরো সময় উপভোগ্য করে রেখেছিল।
তবে উপন্যাসে শেষ হইয়াও হইলোনা শেষের রেশ থেকে গেছে। দুজন অনুভূতিপ্রবন, সংসারের ঋজু বন্ধনে থাকা মানুষের বিবাহোত্তর জীবনের ছিটে ফোঁটা বর্ণনা না পেয়ে লেখাটিকে বিংশ শতাব্দীর রোমান্টিসিজমের চর্চা হিসেবেই লাগল।
Profile Image for Musharrat Zahin.
397 reviews486 followers
July 9, 2021
যেই আশা নিয়ে পড়েছিলাম ওইটা পূরণ হলো না
Profile Image for Preetam Chatterjee.
5,901 reviews273 followers
July 14, 2025
বুদ্ধদেব বসুর উপন্যাস তিথিডোর (প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ১৯৪৯) বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যের এক অমর রচনা। এটি নিছক এক প্রেমের উপন্যাস নয়; বরং এটি এক পরিণতির খোঁজে অগ্রসর হওয়া আত্মার সংবেদী অভিযান, যেখানে মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের গভীর অন্তঃশীল রূপটি ধরা পড়ে। বিশ্বযুদ্ধের সময়কাল, রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ, স্বাধীনতা-পূর্ব সামাজিক টানাপোড়েন—সবকিছু মিলিয়ে উপন্যাসটি হয়ে ওঠে একটি সময়চিত্র ও মানসিকতার রূপায়ণ।

উপন্যাসের শিরোনাম ‘তিথিডোর’ নিজেই একটি কাব্যিক রহস্য। এটি বোঝায় বিবাহের শুভ মুহূর্ত, প্রেম ও প্রজ্ঞার এক বন্ধনসূত্র, যা এই উপন্যাসে রূপ পায় স্বাতী ও সত্যেনের সংবেদনশীল প্রেমে।

উপন্যাসটি আবর্তিত হয়েছে রাজেন মিত্র ও শিশিরকণা দম্পতির সংসারে। তাঁদের ছয় সন্তানের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ স্বাতী হলেন উপন্যাসের কেন্দ্রবিন���দু। রাজেন, একজন আত্মসুখে নিমগ্ন কিন্তু সংবেদনশীল মানুষ, তাঁর সন্তানদের স্নেহভরে বড় করে তোলেন। তবে মায়ের অকালমৃত্যু স্বাতীর মনোজগতে রেখে যায় স্থায়ী ছায়া। এই ছায়াময় মনের পরিপক্বতার মধ্য দিয়েই আমরা দেখি স্বাতীর শৈশব থেকে যৌবনে উত্তরণ।

স্বাতীর অন্তর্মুখীনতা ও সাহিত্যানুরাগ—বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথ ও কোলরিজের প্রতি টান—তাকে আলাদা করে তোলে। তার প্রেমের পরিণতি ঘটে সত্যেন রায়ের সঙ্গে, যিনি একজন শান্ত স্বভাবের, মননশীল কলেজ শিক্ষক। সত্যেন কেবল প্রেমিক নন, স্বাতীর সাহিত্যচর্চার সহযাত্রী, তাঁর অন্তর ও অভিজ্ঞতার সহযাত্রী।

উপন্যাসে প্রবীর মজুমদার, এক বিত্তবান ও বাহ্যিকভাবে আকর্ষণীয় পাত্র, যিনি রাজেনের পছন্দ হলেও স্বাতীর নৈকট্য লাভে ব্যর্থ হন। এই দ্বন্দ্ব—প্রেম ও বাস্তবতা, আত্মার সন্তুষ্টি ও আর্থিক নিশ্চয়তার মধ্যে—বাংলার মধ্যবিত্ত মূল্যবোধের অন্তর্লীন দ্বন্দ্বকে প্রতিফলিত করে।

উপন্যাসের এক অত্যন্ত আবেগঘন মুহূর্ত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ ও বাইশে শ্রাবণ। সত্যেন রায় শান্তিনিকেতনের খবর পৌঁছে দেন স্বাতীর কাছে—“সোনার তরী ভেসে চলেছে আলোর নদী বেয়ে অন্ধকারের দিকে।” রবীন্দ্রনাথ এখানে কেবল একজন কবি নন, বরং এক আবেগগত, আত্মিক উপাদান; তাঁর মৃত্যু স্বাতী ও সত্যেনের সম্পর্ককে আরও গাঢ় করে তোলে।

এই অংশে বুদ্ধদেব বসুর এক দুর্লভ সাহিত্য কৌশল নজরে আসে—তিনি নিজের রচনার বাইরের এক ঐতিহাসিক ঘটনার আবেগকে এমনভাবে অন্তঃপ্রবাহিত করেছেন যে তা কাহিনির গতি থামিয়ে দেয় না, বরং চরিত্রের অভ্যন্তরীণ মনোজগৎকে আরও গভীরভাবে উন্মোচিত করে।

‘তিথিডোর’ বাংলা সাহিত্যে বুদ্ধদেব বসুর আধুনিক গদ্যভাষার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তাঁর কবিসত্তা গদ্যেও অনুরণিত; প্রকৃতির বিবরণ, চরিত্রের অন্তর্জগৎ, সংলাপ—সবকিছুতেই একধরনের কবিতাময় আবেশ রয়েছে।

এই উপন্যাসে তিনি পরিহার করেছেন ঐতিহ্যবাহী কাহিনিকেন্দ্রিকতা বা নাটকীয় মোচড়। পরিবর্তে তিনি গড়ে তুলেছেন অনুভবের এক ধীর অথচ গভীর জ্যামিতি, যেখানে সম্পর্কের সুর ও অনুরণন পাঠককে ধীরে ধীরে আবিষ্ট করে। মননশীলতা, ভেতরকার সংঘাত, ব্যক্তিগত নির্বাচন—সবকিছু নিঃশব্দে বিস্তার লাভ করে।

যেখানে শরৎচন্দ্রের প্রেমোপন্যাসে বিরহ, দারিদ্র্য, সামাজিক বাঁধা ও কাহিনির গতির উপর জোর থাকে, সেখানে ‘তিথিডোর’ এক স্নিগ্ধ আবেগপ্রবাহ। শরৎচন্দ্রের নায়িকারা অনেক সময় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রামে নেমে পড়েন, কিন্তু স্বাতীর যাত্রা সেই অর্থে সংগ্রামী নয়; বরং তা এক অনুরণনময় পরিণতির অভ্যন্তরীণ অন্বেষা।

বলা যায়, স্বাতী হলেন রবীন্দ্রনাথের মায়াময়ী, ভাবনাপ্রবণ নারীচরিত্রের উত্তরসূরি—কিন্তু বুদ্ধদেবের কলমে তিনি আরও বাস্তব, আরও গভীর। তাঁর প্রেমে কোনও আত্মবিসর্জন নেই, বরং আছে আত্মবিকাশের পরিণতি।

সত্যেনও এই ধারারই প্রতিভূ। তিনি উত্তাল নন, নন নাটকীয়; তাঁর উপস্থিতি যেন এক মৌন নদীর মত—যা স্বাতীর অন্তরস্পর্শে ভেসে যায়। এক্ষেত্রে সত্যেনকে তুলনা করা যায় Atticus Finch বা Jane Eyre-এর Rochester-এর সঙ্গে—যাঁরা নায়িকার অভ্যন্তরীণ জগতের সহযাত্রী হয়ে ওঠেন।

উপন্যাসের ব্যাকড্রপে রয়েছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, কলকাতায় জাপানি বোমাবর্ষণের আতঙ্ক, দেশভাগ ও স্বাধীনতার প্রাক্কালে সামাজিক অস্থিরতা। এই ঐতিহাসিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাতীর নিঃসঙ্গতা, প্রেম ও পারিবারিক টানাপোড়েন নতুন মাত্রা পায়।

যেমন—প্রবীরের বিত্তবান অথচ আধ্যাত্মিক শূন্যতা কিংবা বিজনের ব্যবসায়িক চাতুরী এই মূল্যবোধগত সংকটকে তীব্র করে তোলে। উল্টোদিকে, সত্যেনের নির্লিপ্ততা ও সাহিত্যপ্রেমই স্বাতীর মন জয় করে। এটি যেন এক শ্রেণীসংকট ও মূল্যবোধের সন্ধিক্ষণ।

‘তিথিডোর’ কেবল এক প্রেমের উপন্যাস নয়, এটি একটি যুগের মানসিক-সাংস্কৃতিক বিবর্তনের দলিল। উপন্যাসটি একাধারে স্মৃতিমেদুর, মননশীল, এবং গভীরভাবে সংবেদনশীল। বুদ্ধদেব বসু সাহিত্যের যে ভাষা নির্মাণ করেছেন তা নিছক অলঙ্কার নয়—তা আত্মার ভাষা।

স্বাতী ও সত্যেনের মিলন তাই নিছক বিবাহ নয়—তা এক নৈতিক বিজয়, এক মূল্যবোধের স্বীকৃতি। এই উপন্যাস আমাদের শেখায়—প্রেম মানে কেবল আকর্ষণ নয়, প্রেম মানে সেই অনুরণন, যা নিজের গভীরতা চিনে নিতে শেখায়।

‘তিথিডোর’ পড়তে হয় ধীরে—একটি শীতের দুপুরে, কিংবা বাইশে শ্রাবণের কান্নাময় হাওয়ায় বসে। কারণ এ উপন্যাস শুধু পড়া যায় না—এ উপন্যাসে থাকতে হয়, অনুভব করতে হয়, এবং নিজের হৃদয়েও তিথিডোর বেঁধে নিতে হয়।

অলমতি বিস্তরেণ।
Profile Image for Shafaat.
93 reviews113 followers
October 3, 2017
চল্লিশের দশকের কোলকাতার রোম্যান্টিক 'ডেটিং' এর অবস্থা জানতে চাইলে এই বই পড়া যাইতে পারে।
Profile Image for Shakil Mahmud.
90 reviews34 followers
Read
May 4, 2021
অযথাই টেনে হিঁচড়ে ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া এক অতি বিশাল উপাখ্যান। এতো বিরক্তিকর!!
Profile Image for Shimin Mushsharat.
Author 1 book369 followers
December 3, 2021
রসমালাই আমার অন্যতম প্রিয় মিষ্টি। বাবা যখন রসমালাই আনেন, বাটিভর্তি মিষ্টি নিয়ে বসে যাই। অনেক সময় নিয়ে খাই। 'তিথিডোর' সেরকম বই। একটু পড়ি, বসে থাকি, আবার পড়ি। বইয়ের চরিত্রদের সাথে আমার বাড়ির লোকদের অবিশ্বাস্য মিল। মনে হচ্ছিল নানুবাড়ির গল্পই পড়ছি! একটু বেশিই ধীরগতির মনে হয়েছে। সেটা আমার নিজের দোষে। সত্যি কথা হলো, আমারো খুব ছুটি পেতে ইচ্ছা করছে। দৌঁড়ঝাপ করে ক্লান্ত লাগে আবার ব্যস্ততা না থাকলেও মন খারাপ লাগে। যাহোক, রসমালাই বইয়ের এই লাইনগুলো প্রিয় : 'লম্বা,মেঘলা দুপুর, রঙের আহ্লাদে গলে-যাওয়া বিকেল, আর রিমঝিম রাত্রি। আর মাঝে মাঝে মেঘ-ছেঁড়া ভিজে-ভিজে জোছনা। এত ভালো লাগে, ভালো লাগে বলেই একা লাগে, আবার মানুষের সঙ্গও বেশি ভালো লাগে না।' আরো প্রিয় :
'পৃথিবীকে না হলে এক মুহূর্ত চলে না আমার, কিন্তু আমাকে না হলে পৃথিবী তো চলবে চিরকাল।'
Profile Image for Ayesha.
116 reviews35 followers
September 15, 2021
মাত্র পড়া শেষ করলাম! অনেক কিছু মাথায় আছে, কিন্তু লিখতে পারছি না। মনে হচ্ছে লিখলেই মাথা থেকে বইটার সব রেশ চলে যাবে। এর আগে কতদিন পড়ার জন্যে পিডিএফ নামিয়েও কেন যে পড়িনি, তাই ভেবে আফসোস হচ্ছিলো অনেক।
যাই হোক, পড়েই ফেললাম অবশেষে। এখনও আফসোস হচ্ছে যে কেনো বইটা পড়ে ফেললাম। শেষ হয়ে গেলো তো এই সহজ, সুন্দর, বিষাদমাখা বইটা। কেন যে এত জলদি শেষ হয়ে গেলো। এই একটা ব্যাপার ই আমার ভালো লাগে না। সুন্দর সুন্দর বইগুলো বড্ড তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। কেন এগুলো সবসময় পড়তে পারিনা।
এই বইটার মুগ্ধতা, বিষণ্ণতা কাটাতে আমার বেশ সময় লাগবে জানি। লাগুক! এই রেশটা আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে রাখুক আমাকে। মন খারাপ থাকুক বইটার কথা চিন্তা করে। কারণ এই মন খারাপটা আমার খুব ভালোই লাগছে। ঠিক এইরকম অযথা মন খারাপ হয় শীতকাল অথবা বসন্তকালের একলা থাকা দুপুরগুলোতে।
Profile Image for Ahona Zaman.
37 reviews17 followers
July 15, 2024
অসাধারণ অসাধারণ মায়াবী লেখনী। প্রত্যেকটা বাক্য যত্ন করে পড়ার মত
Profile Image for Aaneela_reads.
64 reviews2 followers
November 21, 2024
কিছু বইয়ের পাতায় পাতায় থাকে জীবনের গন্ধ, স্বাধ আর লুকোনো নিঃশ্বাস। স্বাতীর বেড়ে ওঠার সাথে সাথে শৈশব থেকে কৈশোর পার হওয়া, নতুন চিঠির অপেক্ষা, বইয়ের অক্ষরে ভালবাসা বিনিময়, বাবার বুড়িয়ে যাওয়া, বোনেদের চলে যাওয়া, সম্পর্ক বদলে যাওয়া এবং নিজেকে প্রতি নিয়ত বদলের সঙ্গে জুড়ে নেওয়া, ঠিক মনের মতো মনের মানুষ পাওয়া,পরিণতি পাওয়া এবং অবশেষে নিজেকে সচরাচর চক্রের বাহিরের কেউ ভেবেও সেই চক্রেই আরাম খুঁজে পাওয়া।
সবাই কি কম বেশি এভাবে নিজেকে খুঁজে পায়না সময়ের সাথে?
স্বাতীর জীবনের প্রতিফলন ঘটেছে আমার জীবনে, তার অলস দুপুরের বইয়ের ভাঁজে সুখের খোঁজ করা আর নীল চিঠির উত্তরে আশা সর্বদা বহমান।
কি সুন্দর লেখনী, এই বই দিয়ে তবে শুরু হোক লেখকের সাথে পাঠক হিসাবে পথ চলা!
Displaying 1 - 30 of 117 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.