Jump to ratings and reviews
Rate this book

Unknown Unhonoured and Unsung

Rate this book
From the Gangetic plains to the Karakoram Heights is volume I of Maidu1-Haq’s memoirs, Unknown, Unhonoured and Unsung. It recounts his early schooling at Delhi, his engineering studies at the Bengal College øf Engineering, Shibpur, his military training at the Indian Military Academy, his experiences during his various postings as a soldier in the Pakistan Army. With his engineering expertise, he is sent to the Karakoram Heights, where China and pakistan were to build a highway.On a personal note, the volume recounts the writer’s relationship with his father, the career choice he had to make after the early death of his father, and the dramatic events surrounding his marriage. Momentous events take place in his formative the Quit India Movement, the Partition, the creation of India and Pakistan, the declaration of martial law by General Ayub Khan. He is affected by these events but refrains from going into a political or historical discourse. instead, the book attempts to tell the writer’s experiences as they were like when they happened.The writer’s graphic eye and skill as storyteller are seen when he describes the political personalities who played a significant role in the Pakistan movement or the military personnel he happened to become acquainted with during his military career. Howeve1 the volume also provides humorous anecdotes as well as detailed descriptions of scenes and p0ple who left an imprint on the writer’s mind.From the Gangetic Plains to the Karakoram Heights provides a valuable account of the life of a Bengali engineer in the Pakistan Army when East and West Pakistan were two wings of the same country. It is essential reading both for the social and military historian, but narrated lucidly enough for the common reader to enjoy.

238 pages, Hardcover

Published January 1, 2012

1 person want to read

About the author

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
0 (0%)
4 stars
0 (0%)
3 stars
1 (100%)
2 stars
0 (0%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 of 1 review
Profile Image for Shadin Pranto.
1,461 reviews550 followers
September 21, 2025
৩.৫/৫

মেজর জেনারেল(অব.) মাজিদ-উল-হক আজ তত পরিচিত নাম নয়। তবে যারা আশি ও নব্বইয়ের দশকের রাজনীতির খোঁজখবর রাখেন, তারা নিশ্চয়ই মাজিদ-উল-হককে স্মরণ করতে পারবেন। তিনি তিনদফা মন্ত্রী ছিলেন। জিয়াউর রহমানের আমলে, সাত্তারের সময় ও খালেদা জিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বেরকালে। বইটি জেনারেল মাজিদের আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড। যেখানে জন্ম থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত সময়কাল অর্থাৎ স্বাধীনতার আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে তার কর্মজীবনের স্মৃতি স্থান পেয়েছে।

পৈতৃক ভিটা মাগুরাতে হলেও পিতার কর্মসূত্রে দিল্লিতে বেড়ে ওঠেন। সেই স্মৃতি পাঠকের জন্য এক বড়ো পাওয়া। লেখকের কিশোরবেলাতেই আচমকা তার পিতা মারা যান। একটি মৃত্যু রাতারাতি সবকিছু বদলে দেয়। মুহূর্তের পরিবারের জ্যেষ্ঠপুত্র হিসেবে অনেক দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে। এই উপলব্ধিগুলো সুন্দরভাবে লিখেছেন মাজিদ-উল-হক।

প্রথমে ডাক্তারিতে ভর্তি হলেও পরে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চলে যান। সেখান থেকেই দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় যোগ দেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে। মাজিদ সম্ভবত ব্রিটিশ আমলে যুক্ত হওয়া শেষ ব্যাচ ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্য হিসেবে ১৫ আগস্টের পর চলে আসেন পশ্চিম পাকিস্তানে। দেশভাগের বেদনা ও দাঙ্গার স্মৃতি তার লেখায় পাবেন।

পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝির কথা। যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে। গিয়ে দেখেন যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি একাডেমিতে পূর্ববঙ্গের যশোরের মানচিত্র রাখা হয়েছে। এটি মূলত, মাজিদের জন্যই প্রশিক্ষণের জন্য। কিন্তু তরুণ সেনাকর্মকর্তা মাজিদ অবাক হয়ে আবিষ্কার করলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কাছে থাকা যশোরের মানচিত্রটি একেবারেই আপডেটেড তথা হালনাগাদকৃত। যশোরের এত নিখুঁত ও বিস্তারিত বর্ণনাসহ মানচিত্র পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছেও ছিল না। তারা ব্যবহার করত পুরোনো মানচিত্র! যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর কর্মদক্ষতা ও তথ্য সংগ্রহের পরিধি কত বিস্তৃত তা বোঝাতেই মাজিদ-উল-হক ঘটনাটি লিখেছেন।

বইটিতে লেখকের ব্যক্তিগত জীবনের দীর্ঘ বর্ণনা রয়েছে। এগুলো পাঠক হিসেবে আমাকে টানেনি। বরং সেনাবাহিনীর কিছু স্মৃতি ও ঘটনা পাঠক হিসেবে আমাকে চমকিত করেছে। যেমন:

১৯৫৮ সালে ৮ অক্টোবর সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন ইস্কান্দার মির্জা। তার সহযোগী ছিলেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আইয়ুব খান। মাত্র তিন সপ্তাহের মাথায় ২৮ অক্টোবর ইস্কান্দার মির্জাকে হটিয়ে রাষ্ট্রপতির পদে বসেন সেনাপ্রধান আইয়ুব খান ও মির্জাকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি একটি ভারতীয় রেস্টুরেন্টে ম্যানেজারের পদে চাকরি নেন। এই ঘটনার কিছুদিন পর কোয়েটাতে সফরে আসেন প্রেসিডেন্ট আইয়ুব। তখন মাজিদ-উল-হক লে. কর্নেল।

আইয়ুবের সম্মানে দেওয়া পার্টিতে তরুণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মাজিদ-উল-হক। সেখানে আইয়ুব উপস্থিত হলে তিনি তরুণ অফিসারদের পক্ষে আইয়ুবকে বলেন,

".. told him (Ayub) that the young officers were happy about the takeover but were rather unhappy that he had sent away Iskankar Mirza instead of hanging him. Suddenly General Ayub's voice boomed, '' Majid, have you not told them that blood will always draw blood. Refrain from it as long as you can. "

আইয়ুবের এই উক্তিকে 'প্রফেটিক' হিসেবে উল্লেখ করেছেন লেখক। আমার দ্বিমত নেই।

পূর্ববঙ্গের একসময়ের গভর্নর জেনারেল আজম খানের অধীনে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন লেখক। তিনি আজম খানের কর্মদক্ষতার তারিফ করেছেন শতমুখে।

পঞ্চাশের দশকে পূর্ববঙ্গের জিওসি ছিলেন ইয়াহিয়া খান। মাজিদ-উল-হক ইয়াহিয়া খানকে অত্যন্ত চৌকস সেনাকর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বইতে একাধিকবার ইয়াহিয়া খানের প্রসঙ্গ এসেছে। তখনো তিনি ইয়াহিয়া খানকে নিয়ে প্রচলিত চিন্তার বাইরে মূল্যায়ন করেছেন। যা পাঠককে অবাক করবে।

আইয়ুবের আমলে ডেপুটেশনে পরিকল্পনা কমিশনে কাজ করেছেন মাজিদ-উল-হক। তখন একই ভবনে ব্যুরো অফ ন্যাশনাল রিকনস্ট্রাকশনের (বিএনআর) ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় ছিল। লোকে বলত, বিএনআরের প্রধান কাজ আইয়ুবের পক্ষে ও পশ্চিম পাকিস্তানের সমর্থনে জনমত তৈরি করা৷ পাকিস্তানি বয়ান সৃষ্টির কারখানা গণ্য করা হতো বিএনআরকে। লেখক স্মরণ করেছেন, খাজা শাহাবুদ্দীনের জামাতা পুলিশ কর্মকর্তা মুসা ছিলেন বিএনআর প্রধান। তার কাছে প্রায়শই চশমা পরা, ছিপছিপে গড়নের এক বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ আসত। পরে মাজিদ উল হক জানতে পারেন, এই তরুণের নাম মুনীর চৌধুরী, যিনি একাত্তরে রাজাকারদের হাতে নিহত হন।


চীনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কারাকোরাম হাইওয়ে নির্মাণের সময় কাজ করেছেন মাজিদ-উল-হক। তিনি সেনাবাহিনীর হয়ে এই প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। চীন কেন এত এগিয়ে তার কিছু উদাহরণ দিয়েছেন লেখক। অত্যন্ত শিক্ষণীয়।

প্রায় দুই শ পাতার বই এটি। লেখকের আত্মস্মৃতির পহেলা খণ্ড। এরপর আর লিখেছেন কি না, জানতে পারিনি। সব মিলিয়ে, চমৎকৃত হওয়ার মতো লেখা নয়। তরতরিয়ে পড়া যায় না। ভাষায় কৃত্রিমভাব চোখে পড়ে। তবে কিছুক্ষেত্রে সামাজিক ইতিহাস হিসেবে বইটার একটা মূল্য রয়েছে।

মাজিদ-উল-হকের লেখায় 'আত্মপ্রচার' করার পরোক্ষ চেষ্টা দৃষ্টিগোচর হতে পারে। নেই কোনো আত্মসমালোচনা। তাই বইটাকে ভালো আত্মস্মৃতি কোনো অর্থেই বলব না। তবুও পাঠক পড়তে চাইলে পড়তে পারেন। বিশেষ করে, সেনাবাহিনী নিয়ে আগ্রহী যে-কেউ বইটা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
Displaying 1 of 1 review

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.