Jump to ratings and reviews
Rate this book
Rate this book
এই দিনত দিন নয় আরও দিন আছে এই দিনেরে নিব আমি সেই দিনের কাছে।

64 pages, Hardcover

First published June 1, 1983

9 people are currently reading
366 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

450 books2,908 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
172 (19%)
4 stars
334 (37%)
3 stars
304 (34%)
2 stars
65 (7%)
1 star
9 (1%)
Displaying 1 - 30 of 62 reviews
Profile Image for বিমুক্তি(Vimukti).
156 reviews88 followers
April 23, 2021
আসেন একটু আলগা আলাপচারিতা করি। রিভিউ লিখতে আর তেমন ভালো লাগে না আজকাল। আলাপচারিতা-ই সই। আবেগী কথাবার্তা বলি একটু।

হুমায়ূন আহমেদকে আমার কেমন লাগে? বড়ই কঠিন প্রশ্ন। ঠিকঠাক ভাবি না এ নিয়ে কোনোদিন। মনে মনে এক জিনিস ঠিক করে রেখে দিছিলাম , হুমায়ূন লিখেন ভালো। কেমন ভালো? বাসনার অভাবে কোনোকালেই এর উত্তর খোঁজা হয়ে উঠে না আমার।

উনার কিছু বই পড়লে বিরক্তিতে নাক মুখ কুচকায় আসে আমার। সেসব বইয়ের আদি এবং মধ্যভাগ জুড়ে ভং-ন্যাকামি-উল্টামি আর পরিশেষে গিয়ে এক টাংকি চমক। বড্ড একপেশে, সস্তা। 

আর কিছু কিছু বই আছে, এই অন্যদিন এর মতোই আরকি। সেইসব পড়ি, একটু সময় থমকাই, পরে বলি, দারুণ ছিল লোকটা। নইলে এতো গভীরতা, এতো বিষণ্ণতা, এতো আবেগ..এতোসব এতোকিছুর এতো পার্ফেক্ট ব্লেন্ড কিভাবে প্রদান করতো কাগজ-কালিতে!

হুমায়ূন আহমেদ পাঠক শ্রেণীকে মাথায় রেখে লেখেন। সর্বজনবিদিত সত্য কথা। এইজন্যই বোধহয় উনার ম্যালা সব বইয়ে এতো সস্তা জিনিস। চমকানোর প্রচেষ্টা, দশ বালতি রোমান্স, দশ বালতি পাতলা হিউমার। পড়লে আম পাব্লিকের জানি না, আমার খুব বদহজম হয়। 

কিন্তু মাঝেমধ্যে অন্যদিন এর মতো কিছু বই পড়তে গিয়ে মনে পড়ে এই লোকটাও অসম্ভব সব জিনিস লিখতে পারতো, গিমিক-বিহীন সুন্দর কাব্যিক সব উপন্যাস রচনা করে পাঠককে নাড়া দিয়ে স্তব্ধ করে ফেলতে পারতো, ন্যাকাবোকা প্রেম-পিরিতি না ঢুকায়াও মাথা উড়ায়া দিতো। 

অসাধারণ লাগলো অন্যদিন!
Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
June 22, 2024
ছোট্ট পরিসরে হলেও সত্যিই মন ছুয়ে গেছেন লেখক চরিত্র গুলো দিয়ে। আরো একটা গল্প যা এখনো সময়ের পরিবর্তনে চেঞ্জ হয়নি আমার কাছে।

আর পান্থনিবাস আপনার মনে দাগ কাটতে যথেষ্ট।
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
January 28, 2019
উপন্যাসের কাহিনী ধীরগতির। কিন্তু এর উপলবদ্ধি অনেক তীক্ষ। সফিক, রঞ্জু , নিশিনাথ এদের চলা কত দূর! একটা সামজিক প্রেক্ষাপট থেকে এই উপন্যাসের সৃষ্ট। উপন্যাস শেষ হলেও কিছুক্ষন পাঠক কে সময় নিয়ে বলতে হবে। আসলে ঠিক কত টা ভালো লেগেছে। বা মন্দ লেগেছে। কেন না এর উত্তর গুলো হুট করে আসবে না।

হুমায়ুন আহমেদ এর উপন্যাস এর ধারা গুলো এইরকমেই। যার কি অবয়ব তা একেবারে তীক্ষ্ণ করে বুঝিয়ে দেবার। উপন্যাসে পারুলের একটা চরিত্র আছে রঞ্জুর বোন। সফিক তাকে বুদ্ধিমতি বলেছে, আমারও মনে হয়েছে সে ঠিক কাজ টাই করেছে। রঞ্জুর বাবা মানুষটা ঠিক স্বাভাবিক না। রঞ্জুর মাকেই অনেক কিছু সামলাতে হয়। সব মিলে উপন্যাস আমার কাছে ভালোই লাগল । কিন্তু সফিক এর জন্য কোথাও একটু হতাশা। এই ব্যাপারটা পাঠক বই শেষ করলেই বুঝবেন, কেন আমার এই অনুভূতি।
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
April 24, 2021
সত্তুরের ঢাকা শহরের সফরের সাথে এক মেসবাড়ির ছাপোষাদের নিত‍্য সুখ দুঃখের সাতকাহন চিরায়ত হুমায়ূনের ভাষায় একটানে পড়ে ফেলার মত গল্প হলেও এর গভীরতার চালচিত্র বিংশ শতাব্দীতে কমেনি এক বিন্দু.এত মায়ায় মগ্ন করে রাখা গল্পের শেষটায় ভগ্নপ্রায় মন নিয়ে ভাবতে বাধ‍্য হবেন,"এটাই কি শেষ দিন, না
সামনে আছে পড়ে কোনো অন‍্যদিন,অন‍্য কোনো খানে"

রেটিং: 🌠🌠🌠
Profile Image for Farhan.
725 reviews12 followers
April 23, 2021
ভয়ানক, ভয়ানক ধরণের মন খারাপ করা গল্প। এটা হুমায়ূন আহমেদের সেই সময়কার গল্প যখন তিনি মানুষকে সত্যিকার অর্থেই পর্যবেক্ষণ করতেন, মানুষকে দেখতেন, মানুষের ভেতরটাও দেখতেন, একগাদা চাটুকার পরিবেষ্টিত হয়ে নিজের রঙমহলে বসে থাকতেন না। সুখ আর বিলাস মহৎ কিছু সৃষ্টির জন্য অন্তরায়; হুমায়ূনের প্রথম দিককার আর পরের দিককার লেখাগুলো তুলনা করলেই সেটা বুঝা যায়। গল্পে মেসবাড়ি আর তার বাসিন্দাদের যে জীবন দেখানো হয়েছে, আমি ভাগ্যবান যে সে জীবনের মাঝ দিয়ে আমাকে যেতে হয়নি, কিন্তু চারপাশের পানুষকে সে জীবন কাটাতে দেখেছি। কিন্তু হুমায়ূনের মত অতটা হৃদয়বিদারকভাবে সে জীবনকে এতটা স্বল্প পরিসরের মাঝে ক'জন তুলে ধরতে পেরেছেন জানি না। বেশি সুখে থাকলে পড়তে পারেন, মন-মেজাজ খারাপ থাকলে বইটা আপাতত এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। জীবন যে নির্মম সে আমরা সবাই জানি, শখ করে সবসময় সেটাকে বইয়ের পাতায় দেখতে ভাল না-ও লাগতে পারে।
Profile Image for Maliha Tabassum (back from hiatus) Tisha.
127 reviews406 followers
November 7, 2021
শেষদিকে শেলীর অংশটুকু অপ্রয়োজনীয় ছিল বলা যাবে না, তবে এর বদলে ঘটনার উদ্দেশ্য ঠিক রেখে অপেক্ষাকৃত ~উচ্চমানের~ কিছু একটা লেখার ক্ষমতা লেখকের অবশ্যই ছিল। 😒
Profile Image for Wasee.
Author 49 books784 followers
November 13, 2019
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর, একটা ব্যাপার খুব ভোগাতোঃ সব বই পড়া হয়ে গেছে! সেই মন খারাপ ভাবটা দূর করতে পুরনো বইগুলো কতবার করে পড়া হয়েছে হিসেব নেই। এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে কীযেন একটা কাজে বইয়ের তালিকা ঘাটতে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, অন্যদিন নামটা অচেনা ঠেকছে। ইন্টারনেটে সামান্য এদিক-সেদিক দেখে বুঝতে পারলাম, সৌভাগ্যবশত এই বইটা আগে কখনও পড়া হয়নি।

রীতিমতো অবিশ্বাস্য ব্যাপার! হুমায়ূন আহমেদের প্রত্যেকটা বই আমার কাছে আলাদা মলাটে যেমন আছে, তেমনিভাবে আবার সংগ্রহ করা হয়েছে এযাবত বের হওয়া সবগুলো রচনাসমগ্র। সেই বিষয়ে বহুবার চেক-রিচেক হয়েছে। তাই কোনদিন ভাবিনি, এমন একটা বই খুঁজে পাবো যেটা আগে পড়া হয়নি! তাও কিনা আবার লেখক জীবনের শুরুর দিকে লেখা উপন্যাস, যার পরতে পরতে শঙখনীল কারাগার, নন্দিত নরক অথবা কোথাও কেউ নেই এর মতো রিক্ত-বিষণ্ণতার ছাপ।

বইটা রেখে দিয়েছিলাম, দিনক্ষণ ঠিক করে আয়োজন করে পড়ব। প্রিয় লেখকের জন্মদিনে অনেকটা সময় নিয়ে পড়লাম 'অন্যদিন'। একেকটা পৃষ্ঠা উল্টাতে ভয় হচ্ছিল, এই বুঝি শেষ হয়ে যায়...এই বুঝি শেষ হয়ে যায়...

এই যে শেষ হয়ে গেলো! :(
Profile Image for Shadman.
23 reviews6 followers
July 17, 2013
জীবনের তাগিদে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভিন্ন ভিন্ন মানুষগুলোর এক ছাদের নিচে বসবাস, তাদের কঠিন জীবন সংগ্রাম, প্রত্যেকের আলাদা আলাদা গল্প , ছোট ছোট সুখ দুঃখ, হাসি কান্না, জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য সফিকের লড়াই , সাফল্যের স্বপ্ন দেখে যাওয়া, হাল না ছাড়ার মানসিকতা - আমাকে ভীষণ আলোড়িত করে ।
এ ধরনের প্লটের উপন্যাসের জন্য সম্ভবত হুমায়ূন আহমেদের কোনো তুলনা নেই।
নিশানাথ চরিত্রটা মনে থাকবে অনেকদিন । একশোয় একশ।
Profile Image for Avishek Bhattacharjee.
370 reviews79 followers
May 4, 2021
গ্রামের থেকে শহরে পড়তে আশা এক যুবকের স্ট্রাগলের গল্প। ১৯��৫ সালের কাহিনী। দেশের অবস্থা খুব একটা ভালনা। এমতাবস্থায় ঢাকা শহরে বিএ পড়তে এসে পান্থনিবাস নামে এক মেসে উঠে আসে রঞ্জু। নানা কিসিমের লোকজনে ভর্তি পান্থনিবাস। এদের সাথেই মিশে যায় রঞ্জু। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে নিজেকে উৎরাতে চায় সবাই। কিন্তু কথা হচ্ছে যুদ্ধ জয়ের জন্য কি এ যুদ্ধ নাকি কোনরকমে জীবনে টিকে থেকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়ার জন্য??
এ গল্পটা পান্থনিবাসের নিবাসীদের জয় পরাজয় নিয়েই।
Profile Image for ফরহাদ নিলয়.
191 reviews61 followers
January 18, 2016
পান্থনিবাস বোর্ডিং হাউজ, একটা মেস। অনেক মানুষের বসবাস। তাদের জীবনযাপন ভিন্ন, জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলোও ভিন্ন। তাদের ঘিরেই গড়ে উঠেছে উপন্যাস অন্যদিনের কাহিনী।
হুমায়ূন স্যারের প্রথম দিকের উপন্যাস, প্রচন্ড মন খারাপ করা। তবে শেষটা কেমন জানি খাপছাড়া...
Profile Image for Abu Rayhan Rathi.
108 reviews
December 31, 2020
বছরের শুরুটা হয়েছিলো হুমায়ুন আহমেদ দিয়ে।শেষটাও তাই দিয়ে।
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
316 reviews41 followers
April 25, 2025
কি অসাধারণ এক উপন্যাস!
একজন উচ্চমানের লেখকের সার্থকতা ঠিক কোথায় নিহিত?
তার কোন লেখা পড়ে শেষ করার পরও তার রেশ যদি পাঠকের মধ্যে দীর্ঘসময় ব্যাপি থেকে যায়, তবেই হয়ত বুঝতে হবে সে একটা মাস্টারপিস তৈরি করেছেন।
হুমায়ুন আহমেদের চরম আন্ডারেটেড একটা উপন্যাস এটি। আর কি অসাধারণ এক প্লটে রচিত।
বেশ কিছুদিন হুমায়ূন আহমেদের উংভুং উপন্যাস পড়ে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছিলাম, সবকিছুকেই অতিরঞ্জিত উপস্থাপন লাগছিল। প্রেম-পিরিতী, নেকামী, দুই মিঃ পর পর চোখ ভিজাভিজি সবব কিছুর এত এত রিপিটেশন অসম্ভব এক বিরক্তির মাঝে ফেলে দিছিল। কিন্তু এইটা পড়ার পর আবার মনে শান্তি লাগতেছে। মনে হচ্ছে ক্লাসিক সেই হুমায়ূন আহমেদকে আবার ফিরে পেলাম।

গল্পটা খুবই সোজাসাপটা, অতিরঞ্জিত কিছুই নাই এখানে।
একটা ছোট্ট বোর্ডিং হাউজ এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা সবটাকে লেখক এতটা যত্নের সহিত বর্ণনা করেছেন যে পড়ার সময় আমি বারবার অনুভব করছিলাম, আমি নিজেই হয়তো এই পান্থনিবাস কে অনেক কাছে থেকে চিনি। হয়ত আমার নিজের যাতায়াত আছে এই পুরাতন বিল্ডিংটায়। উপন্যাসের প্রতিটা চরিত্রের নিজেদের জীবনে রয়েছে এক একটা ভিন্ন ভিন্ন গল্প। মজার ব্যাপার হচ্ছে সবটাই বাস্তব! কোথাও মনে হয় নাই লেখক একটু বাড়িয়ে লিখেছেন বা গল্পটাকে রঙিন করতে চাচ্ছেন। এটা পড়তে পড়তে দারুণ এক মানসিক শান্তি পাচ্ছিলাম & guess what, বইটা খুবই ছোট। যদি আর একটু বড় হইত, তবে কী এমন দোষ হইত? দেশে কী কাগজের অভাব দেখা দিত?

এইবইগুলা যে পরিমাণে অ্যাপ্রিসিয়েশন ডিজার্ভ করে তার কিঞ্চিত মাত্র এরা পায়। আমি এই বইটা নিয়ে খুবব কম মানুষকে কথা বলতে দেখছি বা হয়ত দেখিই নাই। হুমায়ূন আহমেদ বলতে মানুষ চেনে এক অপেক্ষাকে, কিন্তু অপেক্ষা বাদেও যে ওনার অসাধারণ অনেক বই আছে তার সন্ধান রাখে ক'জনে?
অচিনপুর, শঙ্খনীল কারাগার, নীল মানুষ, গৌরীপুর জংশন, জলপদ্ম, বাসর, নন্দিত নরকে,.... এই উপন্যাস গুলা আমার খুবই প্রিয়, সেই তালিকায় আজ যুক্ত হয়ে গেল "অন্যদিন"।
Profile Image for Jannatul Firdous.
89 reviews178 followers
February 2, 2023
পাহ্ননিবাস বোর্ডিং হাউজ
১১-বি কাঁঠালবাগান লেন (দোতলা)
ঢাকা-৯

রঞ্জু আর সফিক এই ঠিকানাতেই থাকে‌। আরো থাকেন করিম সাহেব,আজিজ,সিরাজ,নবী সাহেব,জ্যোতিষী নিশানাথ,মেস মালিক রশীদ,সুলতানসহ অনেকেই। এদের সবার একটা না একটা গল্প আছে। কারো বাড়ি থেকে চিঠির পর চিঠি আসছে টাকার জন্য,কারো স্ত্রী স্বামী বাড়ি থেকে আসার সময় চুলের ফিতা লিখে দিয়েছে নিয়ে যেতে হবে,কারো বোন মারা গেছে টেলিগ্রাম আসতে আসতে কবর হয়ে গেছে। তবুও ওদের কাঁদার সময় নেই,বাড়ি গিয়ে বাবা মাকে সান্ত্বনা দেবার সময় নেই। জীবনে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হাত থেকে তলোয়ার খসলেই এদের মৃত্যু।

এদের মধ্যে অদ্ভুত একটা বন্ডিং আছে। একজন না খেয়ে থাকলে সাতজন মিলে টাকা তুলছে,একজনের বাসা থেকে আত্নীয় আসলে বোর্ডাররা ডেকে ঘরে নিয়ে গিয়ে গল্প করছে,ঘুমানোর জায়গা দিচ্ছে। একজনের মন খারাপ হলে রাতে তিনজন চলে আসছে, চুপচাপ বসে চা খেতে খেতে নিঃশব্দ স্বান্তনা দিচ্ছে,"আমরা আছি।"

এই উপন্যাসের সবচেয়ে স্ট্রং চরিত্র জ্যোতিষী নিশানাথ। তিনি কি অনেক বড় মাপের জ্যোতিষী ছিলেন? হয়তো! কিন্তু অভাব তাকেও সাধারণের কাতারে ফেলে দিয়েছিলো। তাকেও অন্যদের মতো খাওয়ার চিন্তা,মেসভাড়ার চিন্তায় কাতর হতে হয়েছে।

অন্যদিন ৬০ পাতার গল্প। ১৯৭৬ সালের এই রচনায় হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগারের সেই ফিল খুঁজে পাবেন। ঠিক তেমন‌ই মায়াবী একটা গল্প। যাদের কাছে হুমায়ূন আহমেদের সেরা লেখা ওনার প্রথমদিকের লেখাগুলো তাদের জন্য এইটা মাস্টরিড।
Profile Image for Md Abir Khan.
3 reviews6 followers
July 22, 2019
Md Abir Khan: একটা ময়লা, বসবাস অযোগ্য গলিতে একটা খুপরীর মত মেস বাড়ী। তার নাম পান্থ নিবাস। সেখানে থাকা প্রতিটা মানুষের আলাদা আলাদা জীবনের কাহিনী। কারও সুখ তো কারও দুঃখ, কারও প্রমোশন হয় তো কারও চাকরী চলে যাওয়ায় মেসের ভাড়া বাকি পরে। কারও গ্রাম থেকে বৌ এর সোহাগ মাখা চিঠি আসে তো কারও আসে মায়ের অসুখ, বাবার অসুখের খবর! কেউ গোটা একটা রুম নিয়ে একা থাকে, তো কেউ মাস শেষে পরিবারে টাকা পাঠাতে গিয়ে নিজের খাওয়ার খরচটাই ওঠাতে পারে না..... এই নিয়ে লেখা এক অসাধারণ উপন্যাস 'অন্যদিন'। শত দুঃখ-বিষাদের মাঝেও উপন্যাসটায় খুঁজে পাওয়া যাবে হুমায়ুন-সুলভ রসবোধ আর তার গভীর জীবন দর্শন।পড়া শেষে পাঠকের হয়তো একটাই উপলব্ধি হবে যে, প্রত্যেকের জীবনের গন্তব্য একই হলেও তাদের গন্তব্যের রাস্তাটা ভিন্ন! প্রভাত সূর্য উদিত হলে প্রত্যেকের জীবনেই যেন শুরু হয় এক 'অন্যদিন'।
Profile Image for Meem Arafat Manab.
377 reviews256 followers
June 15, 2017
শেষে গিয়া মনে হয় লেখক খুঁজে পাইতেছিলেন না। এই বিষয়ে তিনি যেই অবতারণ ঘটাইলেন ভালো লাগে নাই।
ক্যারেক্টারগুলি ভালো আছে এম্নিতে। বইটাও ভালোই। বস্তুত, হুমায়ূন আহমেদ ভালো ছিলেন, এটা মনে রাখার জন্য মাঝে মাঝে এইরকম করে একটা দুইটা বই বুকশেলফ থেকে পড়ে যাওয়া দরকার।

আন্তরিক বই, আন্তরিক বয়ান। গিমিক নাই, কোনো আদিখ্যেতা নাই।
Profile Image for Mahfuj Imon.
29 reviews2 followers
Read
June 25, 2024
অনেকদিন পরে ফিকশন টাচ করলাম। এক বসায় পড়ার জন্যে বইটা ভালোই৷ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবকের ব্যাচেলর লাইফের একটা গল্প ক্যানভাসে আঁকার চেষ্টা করেছেন৷ সেই সাথে গল্পে স্থান পেয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পেশার মানুষ। গল্পে সব চরিত্রের বিষাদগুলো চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। এমন সব মানুষগুলো জড়ো হয়েছেন পান্থনিবাস নামক একটা মেসে। গল্পের সূচনা সময়কাল ১৯৬৫।গল্পের ব্যাপ্তি অ্যাভারেজ হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের সাইজের মতোই৷ ৬৪ পাতায় শেষ করেছেন। এই গল্পের ক্যানভাসটা আরো বড় করা যেতো ; চরিত্রগুলোর গল্পের ডালপালা আরো বিস্তৃত করা যেতো। গল্পটা মনে হলো দ্রুত শেষ করে দেওয়া হলো। শেষ অংশ ড্রামাটিক৷ বইটাকে চাইলে খুব সহজেই ২২০-২৫০ পাতায় নেওয়া যেতো ; হয়তো আরো ইন্টারেস্টিং হতে পারতো।

এক বসায় পড়ার জন্যে খারাপ না৷
Profile Image for Abid.
135 reviews23 followers
October 9, 2024
এটি একটি মেস-বাড়ির গল্প, মেসের মানুষ গুলোর গল্প। তবে সে গল্প বলার আগে নিজেদের গল্প বলে নিই খানিকটা।
এই কদিন আগের কথা। আমি যে মেসে থাকি সে মেসের এক ভাই রিসেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়েছেন। এখন বিদায়ের বেলা। বিদায় উপলক্ষে ছোট্ট আয়োজন করা হয়েছিলো মেসের বাকি সদস্যদের পক্ষ থেকে। কেক কাটাকাটি, হৈ-হুল্লোড়, হাসাহাসি শেষে একটা সময় সবাই নীরব হয়ে গেলাম। ভাই আমাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, "...সত্যি বলতে, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের তেমন কোনো মেমোরি নেই। কিন্তু এ মেস ঘিরে অনেক ভালো মেমোরি আছে। এগুলো কখনো ভোলার মতো না.."

এ কথায় নাটকীয়তা ছিলোনা, অত্যুক্তি ছিলো না। ছিলো নিরেট আবেগ। মেস বাসা অনেকটা এমনই। দীর্ঘদিন একসাথে থাকার ফলে একটা সময় সেটা পরিবারের মতোই হয়ে যায়। এমনকি নিজের যে পরিবারে যে 'স্বাধীনতা'র দেখা মিলে না, মেস বাড়িতে সেটুকুও পাওয়া যায়। দুক্ষ-কষ্ট এবং হাজারো সমস্যার পরেও এর একটা আলাদা আবেদন থেকেই যায়।

এ বইয়ের প্রোটাগনিস্ট 'আমি' বা রঞ্জু। তবে, রঞ্জুর চরিত্রকে ছাপিয়ে যায় তার জীবনযুদ্ধে সংগ্রামরত বন্ধু সফিক। তবে বইটাকে পূর্ণতা দেয় 'পান্থশালা' মেসের বাকি সদস্যরা। কতজনের কথাই বা বলি?

নিরেট প্রেম টেম এর বাইরে গিয়ে লেখা এই ছোট্ট বইটা বেশ চমৎকার একটা সময় কাটানোর সুযোগ দিয়েছে আমাকে। নব্বই দশকের পূর্বের হুমায়ূন আসলে অন্য জিনিস ছিলেন। তার লেখার মধ্যে একটা 'ক্লাসিক' আবহ পাওয়া যেতো, এই বইতে সেই ফ্লেভারটা যেনো পাচ্ছিলাম। যাই হোক, প্রেম পীরিতির বাইরে যেয়ে কিছু পড়তে চাইলে এ বইটা সাজেসটেড রইলো।
Profile Image for Asif Arefin.
4 reviews15 followers
September 12, 2020
মাঝে মাঝে যখন হুমায়ুন আহমেদের বই পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়ে যাই, তখন এরকম অসাধারণ বইগুলো পেয়ে যাই। খুব ছোট সাধারণ একটা স্যারের সিগনেচার টাইপের গল্প। কিন্তু উনার লেখার কারণে এই সাধারণ গল্পটাই অসাধারণ হয়ে উঠে। হুমায়ুন আহমেদ গল্প লেখেন না, পাঠকের ইমোশন নিয়ে খেলেন।
Profile Image for Adham Alif.
334 reviews80 followers
June 2, 2021
হাসি-আনন্দ দিনশেষে জীবন সংগ্রামে মিলিয়ে যায়। প্রতিটি বাকে বাকে লুকিয়ে থাকা গল্প ফুটিয়ে তোলায় হুমায়ূন স্যারের জুড়ি নেই।
Profile Image for Rani  Chatterjee.
64 reviews
December 25, 2024
সুন্দর একটি গল্প। ছোট গল্প। অনেক কিছু জানার ইচ্ছা রয়ে গেলো।
Profile Image for Zonayed Hossen Nibir.
11 reviews2 followers
January 7, 2023
বছর শুরুর প্রথম পড়া।এই ব্যাটার লেখা মুটামুটি কয়েকটা পড়েছি সব গুলাতেই কেনো যেনি তিক্ততা থাকে।মনের মধ্যে ফাকা ফাকা লাগে তাই বোধ হয় এই ব্যাটার ফ্যান ফলোয়ার বেশী👍
Profile Image for Fahim Abrar Ashik.
38 reviews
September 30, 2022
"এই দিনত দিন নয় আরো দিন আছে, এই দিনেরে নিব আমি সেই দিনের কাছে।" - বই এর ট্রেলারে এতটুকুই লেখা।
হুমায়ুন আহমেদ স্যার এর লেখা সব চেয়ে পুরোনো উপন্যাসগুলোর মধ্যে "অন্যদিন" একটি। গল্পটি ১৯৭৬ সালের স্বাধীনতা সংখ্যা বিচিত্রায় প্রথম প্রকাশিত হয়। অবশ্য হুমায়ুন স্যার এর ভাষ্যমতে পুস্তকাকারে প্রকাশের সময় তিনি আগাগোড়া নতুন করে লিখেছেন বলে জানিয়েছেন পুস্তকের মুখবন্ধে।
কাহিনি টা খুবই ছোট, মাত্র ৪৮ পৃষ্ঠা। কিন্তু ছোট হলেও কাহিনিটা খুবই বাস্তব বাস্তব মনে হয়। গত শতাব্দির ৭০ দশকের ঢাকায় একটি অতি সাধারন মেস এর জীবন, সেখানে থাকা কিছু মানুষের গল্প। গল্পের মূল চরিত্র রঞ্জু এবং তার বন্ধু সফিক। রঞ্জু গ্রাম থেকে তার বন্ধু সফিকের মেস এ ওঠে। মেস এর নাম পান্থনিবাস বোর্ডিং হাউজ। মেসের জীবন এখানে বেশ সুন্দর ভাবে ফুটে ওঠে। বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন পেশার মানুষ থাকেন এই বোর্ডিং হাউজে। প্রতিটি মানুষের জীবনরেখার এক মিলনমেলা হয় বোর্ডিং হাউজটিতে। গল্পটা ছোট হওয়ার কারনে চরিত্রগুলো পুরোপুরি ভাবে বিস্তার করতে পারে নাই । এবং সবার অতীত ভবিষ্যত অসমাপ্তই থেকে যায়। সল্প সময়ের গল্প। তবে যতটুকু সময়কে লেখক তার লেখায় আবদ্ধ করেছেন, সেই সময়টা অনেক প্রাণবন্ত। আমি পড়ে অনেক তৃপ্তি অনুভব করেছি। ফিকশন পড়ার উদ্দেশ্যই হলো সেই ফিকশনের মধ্যে জীবন খুঁজে পাওয়া। গল্পটি ছোট হলেও পড়তে গেলে এই স্বাদটি পাওয়া যায় তবুও। গল্পটা আর একটু বড় হলে আমার মনে হয় আরো ভালো লাগতো। তবে ছোট জন্যেই বোধহয় বেশি ভালো লেগেছে।
212 reviews4 followers
June 9, 2019
১৯৮৩ সনে বই আকারে এটা বের হয়। তারো আগে ধারাবাহিক আকারে মাসিক পত্রিকায় বের হয়েছিল। কাহিনীর পটভূমি ১৯৬৫।

সাদামাটা গল্প, তবে হুমায়ূন তার জাদুকরী লেখনী শক্তির বদৌলতে উপস্থাপনাটাই বদলে দিয়েছেন। সেই সময়ের লেখা যখন হুমায়ূন তার বাণিজ্যিক নকশায় হালকা প্রেমের বইগুলো লেখা শুরু করেননি।

অসাধারণ লেগেছে।

ঘোরলাগা কোন একটা বিকেলে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পড়ার মতন বই।
Profile Image for Miss Ira.
56 reviews
March 24, 2022
শেষে কি হলো তা তো লেখক বলে গেলেন না কিন্তু আমি ধরে নিলাম শফিক অনেক অনেক সফল হয়েছে জীবনে। সব ভালোবাসা শফিকের জন্যে। <3
Profile Image for NH Shoikot.
31 reviews8 followers
November 14, 2020
বই:- অন্যদিন
লেখক:- হুমায়ূন আহমেদ
ধরন:- উপন্যাস
পৃষ্ঠা:-৬৫
মুদ্রিত মূল্য:-১২০টাকা
প্রকাশনী:- অন্বেষা
প্রচ্ছদ :- ধ্রুব এষ
প্রকাশকাল:- ফেব্রুয়ারি ২০০৯

অন্যদিন উপন্যাসের কথক রঞ্জু।গল্পের শুরু হয় রঞ্জুর নীলগঞ্জ গ্রাম থেকে ঢাকায় বন্ধু সফিকের পান্থনিবাস মেসে প্রবেশের মাধ্যমে। রঞ্জুর জবানিতেই কাহিনি এগিয়ে চলে।হতদরিদ্র রঞ্জু তিনবছর পড়ালেখায় গ্যাপ দিয়ে ঢাকায় পড়তে বন্ধু সফিকের মেসে ওঠে।রঞ্জুর আপন বলেতে চাকরিচ্যুত কর্মহীন বাবা, মা আর দুই বোন পারুল ও আনজু।চিঠিতে সফিক মেসের আদ্যোপান্ত ঠিকানা উল্লেখ করলেও রঞ্জুকে মেসে পৌঁছাতে যতেষ্ট বেগ পেতে হয়। পান্থনিবাসে এসেই রঞ্জুর প্রথম দেখা হয় নিশানাথ জ্যোতির্ষানব এর সাথে।তার কাজ মান��ষের হাত গণনা করা। তবে তার হাত গণনায় মানুষ যতেষ্ট সন্দেহ পোষন করে।বংশ পরমপরায় জ্যোতিষ চর্চা করা নিবারনের তাতে কিছুই যায় আসে না।

দীর্ঘদিন পরে সফিকের সাথে রঞ্জুর দেখা হলে তার মনে হয় সফিক যেনো বদলে গেছে।সদা হাস্যজ্জল, চঞ্চল সেই সফিক আর নেই।সফিকের পড়ালেখায়ও গাছাড়া ভাব, আচার আচরনেও অনেকটা পাগলাটে আর খামখেয়ালি। পান্থনিবাসে সদস্য হয়ে শুরু হয় রঞ্জুর মেস জীবন। একে একে মেসের সদস্য নবী সাহেব, সিরাজ, করিম, নিবারন সকলের সাথেই পরিচয় হয়।এভাবেই চলে রঞ্জুর দিনগুলো। নিজের পড়াশোনা আর সেই সাথে হাড় ভাঙা কষ্টের টিউশনি। সবকিছু মিলিয়ে রঞ্জুর এই মেসের মানুষগুলোকে অনেক আপন মনে হয়।অনেক রাতে বন্ধু সফিকের সাথে দেখা হয়।রঞ্জু রাতে হঠাৎ হঠাৎ লক্ষ করে সফিকের ঘুম হয় না।ছটফট করে।তার শরীর ভেঙে যাচ্ছে,চোখের নীচে দীর্ঘ কালি।

সফিক তার স্বপ্নের পেছনে ছোটে।কখনো রাস্তায় হকারি করে কাপড় বিক্রি করে, কখনো সূচ আবার কখনোবা না খেয়ে টাকা জমায় নিজে একটা হোটেল দিবে বলে।মাঝে মাঝে গ্রাম থেকে রঞ্জুর বাবা আসে।মেসের সবার সাথে খুব খাতির হয় তার,আবার চলে যাওয়ার সময় শিশুর মতো অঝোরে কাদে।রঞ্জুর টিউশনিতে তার ছাত্রী শেলীকে তার ভালো লাগে।তাকে পরীর মতো মনে হয়। আবার পরোক্ষনে মনে হয় নিম্ন মধ্যবিত্ত জীবনে ভালোবাসা আজন্ম পাপ।গ্রাম থেকে মায়ের চিঠি আসে।যার সবটাই লেখা থাকে অভাব-অনটনের গল্প, বাবার শরীর অচল, দিনকাটে অনাহারে।টাকার অভাবে বোনের স্কুল থেকে নাম কাটা যায়।

তবুও রঞ্জুর মেস জীবন ভালো লাগে।নিজেকে শিকড় গজানো বৃক্ষ মনে হয়।মায়ার বাধনে জড়িয়ে পরে। তেমনি হঠাৎ একদিন মায়ার বাধন ছিন্নও হয়। জীবনের গতিপথ বদলায়। কেউ কেউ বুকে আজন্ম স্বপ্ন লালন করে।সফিক, রঞ্জু, নিশানাথ বাবু,নবী, সিরাজ, করিম সাহেব জীবনের দূর্গম গতিপথে কতোদূর যেতে পারে? তাদের শেষ পরিনতিই বা কি? যা একজন পাঠক কে সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভাবাতে বাধ্য করে।জানতে হলে পড়ুন অন্যদিন।
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
April 24, 2021
রঞ্জু কাজের খোজে বাড়িতে বাবা মা আর বোনকে রেখে ঢাকা এসেছে। সে উঠেছে সফিকের মেসে। মেসের নাম "পান্থ নিবাস"। এখানে নিশীনাথবাবু রয়েছেন যে কিনা ভালো হাত দেখতে পারেন, কিন্তু তার পসার তেমন নাই। সারাক্ষণ সফিকের সাথে খুনসুটি তার লেগেই থাকে। কিন্তু সফিক যেমন নিশিনাথবাবুকে ভালোবাসে তেমনি নিশিনাথবাবুও সফিককে ছেলের মতো ভালোবাসেন। প্রায় গভীর রাতে দেখা যায় দুজনে চুক চুক করে চা খাচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে আজিজ সাহেব, সিরাজ সাহেব যার নতুন বিয়ে হয়েছে, বউ থাকে বাড়িতে, তার জন্য কি মায়া তার। আছেন নবী সাহেব। উনার ঢাকায় মেয়ে থাকে, কিন্তু মেয়ের বাড়িতে তিনি থাকবেন না। এই মেসে থাকা প্রতিটা মানুষের চোখে রয়েছে শুধু স্বপ্ন কিন্তু বাস্তবে এরা সবাই ভালোবাসার কাঙ্গাল। হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করেও পয়সা আয় হচ্ছে না কারো কারো। বাড়ির প্রতি মন পড়ে থাকে সফিক, রঞ্জুর। কিন্তু বাড়িতে যেতে পারে না, যাওয়া আসা করতে গেলে অনেক টাকা চলে যায়। সুচ, কাটা কাপড় বিক্রি করে কিছু আয় রোজগার করে সফিক। রঞ্জু করায় টিউশনি। এইভাবে কষ্টে কষ্টে দিন চলে যায়। এক পর্যায় এই পান্থ নিবাস ভেঙ্গে ফেলার প্রকল্প শুরু হয়, তখন একে একে সবাই চলে যায়। থেকে যায় সফিক। স্টোভ জ্বালিয়ে চা খাচ্ছে। ওর আর কেউ নেই রঞ্জু ছাড়া। এই গল্পটা এমন এক গল্প, যেই গল্প পড়ে মনে হয় লোকগুলো যেনো খুব কাছের কেউ।
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Tashfia Siddiqua.
16 reviews5 followers
May 25, 2022
পরিচিত হুমায়ূনের অন্যধারার একটা গল্প। অদ্ভুত সুন্দর বিষণ্নতার মোড়কে বাঁধানো একটা মেসবাড়ি, পরিবার ছেড়ে আসা কিছু মানু্ষের নতুন এক পরিবারের অংশ হয়ে ওঠা, অভাব-অনটন, আর শেষে গিয়ে সফিকের সেই লাইনটা, "... তুই নিজেও যদি আমাকে ছেড়ে চলে যাস, আমার তাতে কিছুই যাবে আসবে না। আমি ঠিক উঠে দাঁড়াব!"

গল্পটা এমন একটা সময়ে পড়লাম, যখন রঞ্জু-সফিকদের মতো আমিও হয়ত অন্যদিনের অপেক্ষায় আছি, রোজকার স্বভাব আর পরিচিত মুখগুলোর ভীষণভাবে বদলে যাওয়ার প্রাক্কালে সময় যখন থমকে গিয়ে আমাকে নাড়িয়ে তুলছে! অন্যসময় হলে হয়ত অনুভূতিগুলোর পারদের সাথে পাল্লা দিয়ে পেরে উঠতাম না। তবে ওই যে, আমাদের এক হুমায়ূন আছেন! না চাইতেও কেমন করে যেন বিষণ্নতার হাহাকারে সেই ডুবিয়েই দিলেন। এমন বিষণ্নতায় ডুবতেও সুখ!

হুমায়ূনের প্রচুর বইয়ের নামের সাথে কাহিনী গুলিয়ে ফেলি। এর মাঝে কিছু গল্প আলাদাভাবে জায়গা করে নেয়। একঘেঁয়ে প্লট আর চরিত্রের খামখেয়ালির বাইরে "অন্যদিন" এর গল্পটা তেমনই একটা মনে রাখার মতো গল্প। তবে এখানেও রঞ্জুর বাবা আর শেলীকে এনে লেখক ঠিকই তাঁর ওই স্বভাবসিদ্ধ হুমায়ূনধারা বহাল রেখেছেন, যেন কেউ ভুল করে "এ গল্প হুমায়ূনের?" বলে ভ্রু কুঁচকে না ফেলতে পারে!

এর বাইরে? গল্পটা সুন্দর ^_^
2 reviews
August 30, 2020
অন্যদিন উপন্যাসটি হুমায়ূন আহমেদের প্রথম দিককার উপন্যাসগুলোর একটি। যার কাহিনী আবর্তিত হয়েছে ৬০ এর দশকের পান্থনিবাস নামের একটি মেসকে ঘিরে। এখানকার বাসিন্দারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা নিম্ন মধ্যবিত্তগণ । তাদের প্রত্যেকেরই জীবনযুদ্ধের গল্প এই বোর্ডিং হাউজের ছাদের নিচে চাপা পড়ে থাকে। ছোট ছোট সুখ দুঃখ, হাসি কান্না এই অচেনা মানুষগুলোকে পরিবারে পরিণিত করে। হাল না ছাড়ার মানসিকতা, ধৈর্য দ্রুততার সাথে তাদের মানিয়ে নিতে হয় নাহলে যে তারা রাজধানীতে টিকতে পারবে না। এখানে চলার পথে নিজের ভিতরে আমূল পরিবর্তন আনতে হয়। শিক্ষা ত্যাগ করতে হয় পেটের কথা ভেবে।

প্রতেকেরই গন্তব্য ভিন্ন। সেখানে যাওয়ার পথও ভিন্ন । তখন না চাইলেও ভবিষ্যতের আশায় স্নেহ ভালবাসা ফেলে রেখে মানুষগুলোকে সুদূর পাড়ি জমানো লাগে। উপন্যাসে একজনের শেষের দিকের কাহিনী একটু খাপছাড়া হলেও লেখক অত্যন্ত রিয়ালিস্টিক ভাবে একটি মেসের জীবনযাত্রা গভীর জীবনাদর্শনের সাথে তুলে ধরেছেন। প্রতেকটি চরিত্র যেন প্রমাণ দিচ্ছে ভুলটা এই শহরের মধ্যবিত্তদেরই।
Displaying 1 - 30 of 62 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.