Shahriar Kabir (in Bengali: শাহরিয়ার কবির) is a Bangladeshi journalist, filmmaker, human rights activist and author. His books focuses on human rights, communism, fundamentalism, history, juvenile and the Bangladesh war of independence.
হিস্টরিকাল ফিকশন জনরা আমার সবচেয়ে প্রিয় জনরা। এই জনরার বই আমি সারাদিন নাওয়া খাওয়া ভুলে বসে পড়তে পারি। হিস্টরিকাল ফিকশন কি যারা জানেন না তাদের জন্য বলা ভাল যখন কোন উপন্যাস গল্প কবিতা ইতিহাসের একটা বিশেষ সময়কে উপজীব্য করে বা ওই সময়ের কোন একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে বা ওই সময়ের কোন খ্যাতিমান ব্যাক্তি কে মূল চরিত্র ধরে তাতে কল্পনার রঙ মিশিয়ে আর নানারকম মাল মশলা সহকারে লেখা হয় তখন সেগুলো এই জনরার অধীনে পরে যায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, প্রথম আলো, হুমায়ূন আহমেদ এর মাতাল হাওয়া, জোছনা ও জননীর গল্প, জহির রায়হানের প্রায় সকল লেখা হল প্রকৃষ্ট এবং সহজ উদাহরণ।
খুবই ভাগ্যবান এই কারণে যে আমরা , এই বাঙালি- বাংলাদেশী জাতিরা অতীতে এমন সব সংগ্রাম এবং বিবর্তিত সময়ের মধ্যে দিয়ে আজকের এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি যে এই জনরার বই লেখার জন্য আমাদের হাতে উপকরণের কোন অভাব বলতে গেলে নেই। বিশেষ করে আমাদের আবেগের জায়গার সিংহভাগ দখল করে রাখা গর্বের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এই পর্যন্ত অসংখ্য বই প্রকাশিত হয়েছে হচ্ছে এবং আমরা সেগুলো সাগ্রহে হাতে তুলে নিচ্ছি ভালবেসে। এক্ষেত্রে বলাটা জরুরী বলে মনে করছি হিস্টরিকাল ফিকশনের ক্ষেত্রে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যত লেখা বের হয়েছে এদেরকে আমার নিজের ফিকশন বলতে খুব বাঁধে। কেননা বাংলাদেশের প্রতিতা মানুষ জানে সেই সময়টার প্রতিটা ছোট বড় ঘটনা ফিকশন কেও হার মানায়। কলমের আঁচড়ে এদের তুলে আনতে গেলে কল্পনার রঙ মেশানোর কষ্টটা করতে হয়না। অত্যন্ত প্রতিভাশীল এবং প্রিয় লেখক শাহরিয়ার কবিরের পুবের সূর্য যখন হাতে তুলে নিয়ে পড়া শুরু করেছি তখন থেকেই জানি আমি কোন কল্পনার ইতিউতি রাঙ্গানো কিছু পড়ছি না বটেই কেননা যেখানে লেখক নিজেই একজন মুক্তিযোদ্ধা তার পক্ষে নিজের চোখের সামনে ঘটা দৃশ্যপট বর্ণনা করতে আর যাই হোক কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়নি।
এবার আসি বইয়ের কাহিনী প্রসঙ্গে। এই বইটি পাঠকদের নতুন একটা দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিযুদ্ধকে দেখতে সাহায্য করবে।বইয়ে একে অপরের সাথে সম্পর্কিত কিছু মানুষের নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধকে একটু নতুন করে দেখতে পাই।গতানুগতিক ১৯৭১ এ শহর ছেড়ে চলে পালিয়ে বাঁচা বা শহর আঁকড়ে ধরে বসে থাকা মানুষদের ছাড়াও এখানে পাঠকরা খুঁজে পাবেন ইপিআর কমিউনিস্টদের এর যুদ্ধে ভূমিকা এবং তৎকালীন ঢাকা শহরের মাঝখানে ক্যান্টনমেন্ট নামে যে পশ্চিম পাকিস্তানের এক টুকরো নিজস্ব ঘাঁটি ছিল যেখান থেকে ২৫ শে মার্চ রাতে দলে দলে প্রথম হানাদার বাহিনী বের হয়ে এসে হামলা করে সেখানকার চিত্র এবং সেখানে আঁটকে থাকা বাঙালি অফিসার,ট্রেইনি, সৈন্যদের অবস্থা এবং যুদ্ধে তাদের ভূমিকা। আমাদের মাঝে লুকিয়ে থাকা রাজাকার দের কথা সেভাবে উঠে না আসলেও পাকিস্তানীদের মাঝে থাকা মানবিক বাঙালিপ্রিয় অফিসারদের কথা দেখা যায় ছোট পরিসরে। শাহরিয়ার কবির সাহেবের লেখনীর সমালোচনা করা ধৃষ্টতা কিন্তু যারা ওনার লেখা হালকা মেজাজের কিশোর উপন্যাস পড়ে পড়ে ক্লান্ত তাদের জন্য এই বইটা অবশ্য পাঠ্য।
ছোট ঘরানার মধ্যে,খুব বিশাল পরিসরে না গিয়েও যে সুন্দর করে এমন বড় একটা সংগ্রামের কথা গুছিয়ে লিখে প্রকাশ করা যায় এটা বিশ্বাস করতে হলে বইটা পড়া বাধ্যতামূলক।
ঠিক এরকমটাই খুজছিলাম, ২৫ শে মার্চ এর উপর একটি কিশোর উপন্যাস । এর আগে কখনো শাহরিয়ার কবির এর বই পড়িনি । প্রথম পড়েই ভাল লেগে গেল । এটা ঊনার প্রথম লেখা প্রথম উপন্যাস । কিন্তু কোথাও অপটুতার ছাপ নাই । লেখক যেই দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করতে চেয়েছেন সেই দিক থেকে পুরোপুরি সফল বলা যায় । সাধারণত অন্যান্য বাংলা কিশোর উপন্যাস গুলোর ক্ষেত্রে মূল চরিত্রের বয়স একটু বেশীই কম থাকে, কিন্তু এই দিক থেকে এই বই এর মূল চরিত্রগুলো বেশ পরিণত যার কারণে আরো বেশী ভালো লেগেছে। গল্পের কাহিনী বলতে গেলে স্পয়লার দেয়া হয়ে যাবে কারণ বই এর আকার বেশ ছোট । ২৫শে মার্চ এর রাতে পাকবাহিনীর অতর্কিত আক্রমনের ফলে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু কিশোর এর সংগ্রাম এর কাহিনী। তবে মূল চরিত্র হচ্ছে বাবু নামের উনিশ বছরের এক তরুণ যার এক দু:স্বপ্ন দেখার মধ্যে দিয়ে বই এর শুরু হয় এবং এক সুখস্বপ্ন দিয়ে বই শেষ হয়। মাঝখানে নানাভাবে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্যের গল্প। পড়লে ভালো লাগবে । :)
“শেষ রাতে দরজায় কে যেন ধাক্কা দিলো। উঠে দরজা খুললো মিনু। রাতের সেই ভদ্রলোক। সারা জামা রক্তে লাল। দরজা ধরে দাঁড়ালেন। বললেন, 'আমরা আর পারলাম না। চলে যাচ্ছি। দোতালার ঘরে কিছু বন্দুক আছে। ওগুলো সরিয়ে ফেলুন।' কথা শেষ করে ভদ্রলোক আর দাঁড়ালেন না। দরজায় রক্তাক্ত হাতের ছাপ রেখে চলে গেলেন। বাইরে তখনও মেশিনগানের শব্দ হচ্ছে। মা তেমনি নিশ্চল বসে রইলেন। বাবার সঙ্গে দোতালার ঘরে এলো মিনু। প্রত্যেকটা ঘর বিধ্বস্ত। কিছুক্ষণ আগের পরিচিত ঘরগুলোর সঙ্গে এ ঘরগুলোর কোনো মিল নেই। সারা দেয়াল গুলির আঘাতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে। জানালার একটাতেও কাচ নেই। ড্রেসিং টেবিলের বড়ো আয়নাটা গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে মেঝেতে ছড়িয়ে রয়েছে। ঘরময় শুধু ভাঙা কাচ। বন্দুক আর রাইফেলগুলো জানালার কাছে পড়ে ছিলো। রাইফেলের গায়েও রক্তের দাগ। মিনু বললো, 'এতগুলো রাখবো কোথায় বাবা?' বাবা একটু ভাবলেন। বললেন, 'ছাদের পানির ট্যাংকে ডুবিয়ে রাখবো।' মিনু গুনলো। বাবা পনেরোটা রাইফেল আর বন্দুক নিয়ে ছাদে গেলেন। অন্ধকারে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেলেন। মিনু বললো, 'আলোটা জ্বালবো বাবা?' 'না।' বাবার গলা কাঁপছিলো― 'অন্ধকারই থাকুক। আলো মানে বিপদ ডেকে আনা।' কি অস্বাভাবিক পরিবর্তন, মিনু ভাবলো। অন্ধকারই এখন পরম বন্ধু। আলো মানে ভয়, আলো মানে মৃত্যু!”
মুক্তিযুদ্ধের উপর পড়া আমার সব থেকে প্রিয় দুটো কিশোর উপন্যাস হল ‘সূর্যের দিন’ আর ‘আমার বন্ধু রাশেদ’...বই দুটো যতবারই পড়া হয় না কেন, ছোটবেলায় প্রথমবার পড়ে যেমনটা ভালো লেগেছিল এখনও ঠিক তেমন অনুভূতিই হয়...শাহরিয়ার কবিরের বিপুল অপঠিত বইয়ের মত এটাও পড়া বাকি থেকে গিয়েছিল...বেটার লেট দ্যান নেভার...পড়েই ফেললাম অবশেষে...
পঁচিশে মার্চের সেই কালরাত্রির গণহত্যার বর্ণনা আমি খুব কম উপন্যাসেই পড়েছি...হ্যাঁ, সেই ভয়াবহ কালরাত্রি...যে রাতে কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই চোখের সামনে মিনু আর শওকতের মত হাজারো মানুষ তাদের বন্ধুবান্ধব-আত্মীয়স্বজনদের না ফেরার দেশে চলে যেতে দেখেছে...বাবুর মত অনেকেই হঠাৎ করে আবিষ্কার করে তাদের ব্যাচমেটদের ভিতর খুব কম মানুষই (বলতে গেলে শুধু তারাই) জীবিত...বিশ্ববিদ্যালয় এরিয়াতে সারা মাঠ জুড়ে শুধু লাশের মিছিল...বহুবার তাদের দেখেছে...বিশ্ববিদ্যালয়ের বারান্দায়, ক্যান্টিনে, বটতলার মিটিঙে, কিংবা বিক্ষোভের মিছিলে...বাবলুর মত অনেক ১৭/১৮ বছর বয়সী ক্যান্টনমেন্টে প্রশিক্ষণরত আন-আর্মড ছেলেদের রাতের পর রাত গভীর উত্তেজনায় কেটেছে...মাঝে মাঝে গভীর রাতে কেউ কেউ সেখান থেকে পালিয়ে আসতে চাইলে নরপিশাচদের হাত থেকে রক্ষা পায় নি...এই ভাবেই চলছিল তখন...বাঁচতে হলে লড়তে হবে...না হলে অসহায়ের মত মৃত্যু যন্ত্রনা ভোগ করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই...হাজার হাজার মানুষ কবর থেকে পালিয়ে যাচ্ছে...আর দলে দলে মুক্তির জন্য যুদ্ধে যোগ দিচ্ছে...
মুক্তি! ছোট এই শব্দটির মূল্য যে কতখানি বেশি সেটা কি কেউ আগে কল্পনা করছিল?...সেই মুক্তি তো এত সহজে আসে নি...লাখো শহীদদের ত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছিল...বিলু-বাবু-বাবলুদের মত অনেকেই পরিবার ছেড়ে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল...মিনুর মত অনেকেই চোখের সামনে তাদের মা-বাবাকে চিরদিনের মত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হতে দেখেছে...কিংবা শওকতের মত অনেকে সব কিছু হারিয়ে যখন বন্ধু বিপ্লবকে নিয়ে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিতে চেয়েছে তখন সেই বিপ্লবকেই হারিয়ে যেতে দেখেছে...কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল বিপ্লবের যে মৃত্যু নেই...সে তো অক্ষয়...ধ্বংস আর বিপ্লবের ভিতর দিয়েই তো এই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল...
"শওকতের হাত তখনো বিপ্লবের হাতের মুঠোয়। ওরা দুজন এগিয়ে চললো মেঠো পথ ধরে। মেশিনগানের অবিরাম শব্দ, নদীতে অসহায় মায়ের মুখ, কতগুলো আর্তনাদ, দাউ দাউ আগুন, বিপ্লবের রক্তমাখা শরীর, প্রতিটি দৃশ্য কখনো অবিচ্ছিন্ন হয়ে ওর চোখের সামনে ঘুরতে লাগলো। তারপর দৃশ্যগুলো আরো গাঢ় হয়ে চেতনার গভীরে প্রবেশ করলো। রক্তের ভেতর তোলপাড় তুললো। মুঠোর ভেতর বিপ্লবের হাত চেপে ধরলো। পরম নির্ভরতা খুঁজে পেলো সেই হাতে। আকাশের কোণে এক টুকরো ভাঙা চাঁদ ঝুলছে। পথের দু’পাশে বদ্ধ ডোবা, গাছের পাতা, খড়ের ছাউনি চকচক করছে সেই আবছা ঠান্ডা রুপোলি আলোয়। বিপ্লবের হাতে হাত রেখে শওকত এগিয়ে চললো এক অচেনা গন্তব্যে।"
মুক্তিযুদ্ধের ওপর দুর্দান্ত একটা কিশোর উপন্যাস। কিশোরদের জন্য লেখা হলেও বেশিরভাগ জায়গায় ভাষার ব্যবহার বড়দের জন্য লেখা বইয়ের মতই। লেখক নিজেই বলেছেন এ কথা - পড়তে গিয়েও টের পেলাম। তবে এ ধরনের একটু গাম্ভীর্যপূর্ণ ভাষার ব্যবহার বইয়ের মান তো কমায়ইনি, বরং বইটার আবেদন ও সাহিত্যমূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ, আমার মতে। এতে ছোটদের জন্য লেখা একটা সময়োত্তীর্ণ সাহিত্যই সৃষ্টি হয়েছে বলে আমার মনে হয়।
হিস্টোরিক্যাল জনরা বরাবরই ভালো লাগে। এখানে যুদ্ধ শুরুর বিভীষিকাময় ঘটনাগুলো খুব কাছে থেকে দেখতে পাবেন। তবে কমিউনিস্ট হিসেবে চরিত্রগুলোর কার্যকলাপ বরাবরই খাপছাড়া লেগেছে। এর কারণ হতে পারে এইসব কমিউনিস্ট কার্যকলাপের সাথে আমরা অভ্যস্ত না। শেষে কিছুটা নাটকীয়তা চাইলেই দেওয়া যেত। তবে বলবো পরে ভালো লাগবে।
শাহরিয়ার কবিরের অন্যতম সেরা বই। আবেগকে এত হৃদয়স্পর্শী করে তুলে ধরেছেন যেন নিজেই অনুভব করতে পারছিলাম ঘটনা গুলো। বইটা এই প্রজন্মের অবশ্যই পড়ে দেখা উচিত।
"শেষ রাতে দরজায় কে যেন ধাক্কা দিলো । উঠে দরজা খুললো মিনু । রাতের সেই ভদ্রলোক । সারা জামা রক্তে লাল । দরজা ধরে দাঁড়ালেন । বললেন, 'আমরা আর পারলাম না । চলে যাচ্ছি । দোতালার ঘরে কিছু বন্দুক আছে । ওগুলো সরিয়ে ফেলুন ।' কথা শেষ করে ভদ্রলোক আর দাঁড়ালেন না । দরজায় রক্তাক্ত হাতের ছাপ রেখে চলে গেলেন । বাইরে তখনও মেশিনগানের শব্দ হচ্ছে ।"
পুবের সূর্য মুক্তিযুদ্ধের ওপর লেখা প্রথম কিশোর উপন্যাস । তবে অন্যান্য কিশোর উপন্যাসগুলো থেকে একেবারেই আলাদা । আমাদের দেশের বেশির ভাগ কিশোর উপন্যাসগুলোতে সাধারণত যেমনটা দেখা যায়; মূল চরিত্রের বয়স ১২ - ১৫র ভেতরে, অল্প বয়সেই তারা রোমাঞ্চকর সব ঘটনা ঘটিয়ে ফেলছে কিংবা লেখকের হালকা চালে গল্প বলার ঢঙ, এই বইয়ে সেসব অনুপস্থিত । ২৫শে মার্চ কালরাত্রির ভয়াবহ তাণ্ডবের পর বিধ্বস্ত ঢাকা শহরের সুনিপুন চিত্র লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনায় । মাত্র এক দিনের ব্যবধানে আমূল পরিবর্তিত ঢাকার স্তম্ভিত মানুষের ভেতরকার আতঙ্ক, লেখক বইয়ের পাতা থেকে ছড়িয়ে দিয়েছেন পাঠক মনেও । আমার পড়া মু্ক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসের সংখ্যা একেবারেই কম । সেগুলোর প্রায় সবই গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে লেখা । ২৫শে মার্চের সেই ভয়াবহ গণহত্যার উপর লেখা কোন উপন্যাস এই প্রথম পড়লাম । বাঙালিদের উপর মার্চের সেই প্রচন্ড ধাক্কা, সেখান থেকে বাঙালিদের রুখে দাড়ানো; প্রত্যেকটা বিষয় লেখক বেশ দক্ষতার সাথে তুলে ধরেছেন । অসাধারণ আরেকটি বই যুক্ত হলো পঠিত বইয়ের তালিকায় 😊 ।