নায়িকার নাম সোনালি, নায়কের নাম দুঃখ। এই উপন্যাসের ভিত্তি ত্রিস্তান ও ইসোল্ট-এর অমর প্রেম-কাহিনী। বাংলায় এ কাহিনী কোন অনুবাদ নয়; আমাদের অভিজ্ঞতার পক্ষে নতুন, এক মৌলিক সৃষ্টি।
Sunil Gangopadhyay (Bengali: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) was a famous Indian poet and novelist. Born in Faridpur, Bangladesh, Gangopadhyay obtained his Master's degree in Bengali from the University of Calcutta, In 1953 he started a Bengali poetry magazine Krittibas. Later he wrote for many different publications.
Ganguly created the Bengali fictional character Kakababu and wrote a series of novels on this character which became significant in Indian children's literature. He received Sahitya Academy award in 1985 for his novel Those Days (সেই সময়). Gangopadhyay used the pen names Nil Lohit, Sanatan Pathak, and Nil Upadhyay.
Works: Author of well over 200 books, Sunil was a prolific writer who has excelled in different genres but declares poetry to be his "first love". His Nikhilesh and Neera series of poems (some of which have been translated as For You, Neera and Murmur in the Woods) have been extremely popular.
As in poetry, Sunil was known for his unique style in prose. His first novel was Atmaprakash (আত্মপ্রকাশ) and it was also the first writing from a new comer in literature published in the prestigious magazine- Desh (1965).The novel had inspiration from ' On the road' by Jack Kerouac. His historical fiction Sei Somoy (translated into English by Aruna Chakravorty as Those Days) received the Indian Sahitya Academy award in 1985. Shei Somoy continues to be a best seller more than two decade after its first publication. The same is true for Prothom Alo (প্রথম আলো, also translated recently by Aruna Chakravorty as First Light), another best selling historical fiction and Purbo-Paschim (পূর্ব-পশ্চিম, translated as East-West) a raw depiction of the partition and its aftermath seen through the eyes of three generations of Bengalis in West Bengal, Bangladesh and elsewhere. He is also the winner of the Bankim Puraskar (1982), and the Ananda Puraskar (twice, in 1972 and 1989).
Sunil wrote in many other genres including travelogues, children's fiction, short stories, features, and essays. Though he wrote all types of children's fiction, one character created by him that stands out above the rest, was Kakababu, the crippled adventurer, accompanied by his Teenager nephew Santu, and his friend Jojo. Since 1974, Sunil Gangopadhyay wrote over 35 novels of this wildly popular series.
Death: Sunil Gangopadhyay died at 2:05 AM on 23 October 2012 at his South Kolkata residence, following a heart attack. He was suffering from prostate cancer for some time and went to Mumbai for treatment. Gangopadhyay's body was cremated on 25 October at Keoratola crematorium, Kolkata.
Awards & Honours: He was honored with Ananda Award (1972, 1979) and Sahitya Academy Award (1984).
এই বই আমার জীবনে পড়া প্রথম গল্পের বই। ২০১২ সালের বিরহ এবং মিলনের মাস ডিসেম্বরে এই বইয়ের মাধ্যমে আমি বই নামক পৃথিবীর সেরা খাবারের স্বাদ গ্রহণ করি।
২০১২ সালের পর আমার বই পড়া থেমে ছিল ৮ বছর। তখন ছিলাম অন্ধকার গ্রহের বৃশ্চিক। তারপর বৃশ্চিক থেকে আবার আমার আসল আমিকে খুঁজে পেয়েছি অনেক সাধনার পর।
এখন ছেলেটা শুধু আমার 'আমি'। আমার 'আমি' বই পড়া ব্যতীত জীবনে অন্য কিচ্ছু করতে চায় না। চায় না কোনো উন্নতি, চায় না কোনো সম্মান। আমার 'আমি' বইয়ের মাঝে হারিয়ে গেছে চিরজন্মের জন্যে।
দ্বিতীয় পাঠঃ
প্রিয় সুনীল আপনার প্রতি আমার ভীষণ রাগ-অভিমান। আমার বই পড়া জীবনের শুরু যে আপনার বই "সোনালী দুঃখ" দিয়ে। তখন ভালোবাসা কি বুঝতাম না, বুঝার কথাও না, তখন সবেমাত্র ক্লাশ এইটে পড়ি। ২০১২ সালে যখন বইটি পড়ি তখন এতটা কাঁদি যে চোখের পানি আর নাকের পানি একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। ভালোবাসা নামক বেদনা-বিধুর অনুভূতির জন্মলগ্ন আমার তখনই হয়েছিল।
আচ্ছা কিভাবে পারলেন ত্রিস্তান-সোনালীকে এত কষ্ট দিতে। এতটা পাষাণ কিভাবে হতে পারলেন। আপনার বুঝি একটুও মায়া হয়নি প্রেম যুগলটির জন্যে। কিভাবে দুঃখ-সোনালীকে নিয়ে ননীর পুতুলের মতো নিয়তির এই নিষ্টুর খেলা খেলতে পারলেন। আসলে আপনি একটা পাষান্ড রোবট। এজন্য আপনার প্রতি আমি প্রচন্ড আক্রোশে জ্বলছি ।
আচ্ছা আমি তো আপনার মূল্যবান সৃষ্টি "সোনালী দুঃখ" পড়ে প্রেমের কাঙ্গাল হয়ে গিয়েছিলাম। পাগলের মতো উদভ্রান্ত হয়ে সোনালীকে খোঁজার নেশায় মত্তো ছিলাম। কিন্তু আমি তো পাইনি আমার সোনালীকে।
আমার মধ্যে যে সাত-সমুদ্র, তেরো-নদী পাহাড়সম ভালোবাসায় উদয় হয়েছিল আপনার লেখা গল্প থেকে, এজন্য আপনাকে আমি বিচারের কাঠগড়ায় ধার করাতে চায়। আপনার ফাঁসি চাই আমি ফাঁসি।
হিমালয়সম ভালোবাসা জমতে জমতে আমার এই ছোট্টো হৃদপিন্ড বেলুনের মতো ফুলে গেছে, মনে হচ্ছে এখনি ফেটে যাবে। আমার রুদ্ধশ্বাসে দম বদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এইতো কিছুক্ষণ আজরাইল এসে গেছে, এ জনমে আর সোনালীকে পাবো না। মনের মধ্যের অপূর্ণতা আর পূর্ণতা পাবে না।
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল ভালোবাসার মানুষেরা, ভালো রাখুক ভালোবাসে। ভালোবাসা কস্মিনকালেও অপবিত্র হয় না, ভালোবাসা পবিত্র। ভালোবাসা স্বর্গীয়।।
একটা গল্প আগেও বলেছি, আবার বলি। আমার নানুবাড়িতে শেলফ ভর্তি বই। ছুটিতে বাড়ি গেলেই মলাট করা লাল স্পাইনের বইগুলো পড়তাম। কখনো কেউ কোনো বই পড়তে না করেনি। শুধু একটা বই রাঙা বলেছিল কিছুদিন পর পড়তে। এই একটা বইই সম্ভবত লুকিয়ে পড়েছিলাম। বইয়ের নাম ‘সোনালি-দুঃখ’, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
হতভাগ্য রাজকুমার স্ত্রিস্তান আর রাণী সোনালির প্রেমের গল্প, দুঃখগাথা। হাহাকারের মতো তাঁদের অসহায়ত্ব, অপারগতা, যন্ত্রণা বুকে বাজে। সোনালি, ত্রিস্তান, রূপালি, রাজা মার্ক প্রত্যেকের জন্য চোখ কাঁদে। খুব বেশি মন খারাপ করে রাজকন্যা রূপালির জন্য। গল্পের শেষটা খুব দামী গয়নার মতো মখমলে মুড়ে কোথাও তুলে রাখতে ইচ্ছা করে। ‘রাজা রাণীর ভালো হোক’ গানটার মতো, খুব লুকিয়ে রাখার মতো এই রূপকথা। এমন উথাল-পাথাল মন কেমনের গল্প আর কোথায় আছে?
কখনো শুনেছেন যে মা নিজের সন্তানের নাম রাখে 'দুঃখ'? তাও আবার রাজ পরিবারে জন্মগ্রহণ করা সন্তান! অবাক হচ্ছেন? আসল ঘটনা না জানলে অবাক হওয়া জায়েজ অবশ্যই।
লিওনেসের রাজা রিভালেন ও শ্বেতপুষ্পার কোল আলো করে জন্ম নেয় একটি পুত্রসন্তান। শ্বেতপুষ্পা তার নাম রাখেন 'ত্রিস্তান' অর্থাৎ দুঃখ। শ্বেতপুষ্পার এমন নাম রাখার পিছনে রহস্য কী?
ছোট্ট ত্রিস্তান বড় হতে থাকে সেনাপতি রোহল্টের কাছে।কিন্তু ঘটনাক্রমে বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পার করে ত্রিস্তান এসে পৌঁছে কর্নওয়ালের রাজা মার্ক এর রাজ্যে।
কর্নওয়ালের রাজা মার্ক,সম্পর্কে ত্রিস্তানের মামা। তা জানাজানি হলে ত্রিস্তানের প্রতি ভালবাসা আরো প্রগাঢ় হয় মার্কের। ত্রিস্তান নিজের বীরত্ব দিয়ে মন জয় করে নেয় সমস্ত রাজ্যবাসীর।
নিজ রাজ্য লিওনেসের রাজা হওয়ার পরিবর্তে, কর্নওয়াল রাজ্যের সামান্য এক সৈনিক হিসেবেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। কথায় আছে না,মানুষ ভালবাসার কাঙ্গাল! সঠিক বৈকি!
নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে রাজ্যের প্রজাদের স্বার্থ দেখাই একজন রাজার প্রধান কাজ। রাজা না হয়েও সেই স্বার্থহীন কাজ করতে দ্বীধান্বিত হয় না ত্রিস্তান।সাহসী সৈনিক। নিজের ছোঁয়াচে রোগ যেন রাজ্যে ছড়িয়ে না যায় সেজন্য রাজ্য ত্যাগ করে। লতাপাতার ওষুধি দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে তোলে শত্রু রাজ্যের রাজকুমারী সোনালী। আসল সত্যটা জানলে কি এই সেবা ত্রিস্তানের কপালে জুটতো?
রাজা মার্কের জন্য ত্রিস্তান সব কাজ করতে প্রস্তুত।হঠাৎ মার্ক সোনালীকে বিয়ে করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলে ত্রিস্তানের উপর ভার পড়ে সোনালীকে নিয়ে আসার। কিন্তু পথিমধ্যে এমন এক ঘটনা ঘটে যে, সোনালী আর ত্রিস্তান, দুজন ভাগ্যসূত্রে বাধা পড়ে যায়। একজন আরেকজনকে ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবে না এমন উপক্রম হয়। এর পরিণতি কি ভয়ঙ্কর তা কি তারা জানে! জানলেও বা কী? 'ভালোবাসা হলো আগুনের মতো,যেখানে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও সবাই ইচ্ছা করে ঝাপিয়ে পড়ে'
ত্রিস্তান আর সোনালীর জন্য বিপদ যেন সবসময় ওৎ পেতে থাকে। সোনালীকে দিতে হয় অগ্নিপরীক্ষা। কুষ্ঠরোগীদের কাছেও সোনালীকে হস্তান্তর করা হয়।কী বিভৎস! আর ত্রিস্তান? যে ত্রিস্তান রাজ্যের মণি ছিল আজ সে সবার চোখের বিষ। কেন এমন হলো?
সোনালী-দুঃখ'র ভাগীদার হতে বইটা পড়তে পারেন ☺
পাঠ প্রতিক্রিয়া: ছোটবেলায় রূপকথার গল্প শোনেননি এমন কেউ আছেন? এখন অবশ্য রূপকথার গল্প মায়েরা,সন্তানদেরকে শোনাতে নারাজ। কিন্তু আমরা শুনে এসেছি। চাদের বুড়ি,শাঁকচুন্নি, আরো কত শত গল্প। কিন্তু সুনীলের সোনালী দুঃখ বইটা রূপকথার হলেও, অ্যাডাল্ট আরকি!
উপন্যাসটা পড়তে নিয়ে মনে হবে বিদেশী কোন নভেলের বাংলা অনুবাদ বা এমন কিছু। কিন্তু না। এটা সুনীলের মৌলিক লেখা।হ্যাঁ, বিদেশী নভেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজে লিখেছেন তিঁনি। একটা কথা আছে না,একটা বই দেখে লিখলে নকল হয় কিন্তু অনেক বই ঘাটাঘাটি করে লিখলে হয় গবেষণা! বিষয়টা অনেকাংশে সেরকম।
রূপকথা হিসেবে বইটা আমার পছন্দ হয়েছে। কেউ যদি রূপকথা না ভেবে বাস্তব জীবনের সাথে মিলিয়ে পড়তে বসেন তবে আশাভঙ্গ হবার সম্ভাবনা প্রচুর।আগে থেকে সেই মনোভব বাদ দিয়ে পড়তে বসুন।
দৃষ্টিকটু লেগেছে যে দিকটি তা হচ্ছে যৌনতা। বইটাতে একটু বেশি যৌনতা বা খাঁটি বাংলায় পরকীয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এর মাত্রাটা কম থাকলে হয়ত আরো ভালো হতো,হয়ত না! জানি না ঠিক। নিজস্ব মতামত বৈ কিছু না।
তাছাড়া প্লট, চরিত্র, লেখনশৈলী নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।সবকিছু পারফেক্ট মনে হয়েছে। যারা রোমান্টিক জনরা একেবারেই পছন্দ করেন না,তারা পড়তে নিয়েন না। পরে কিন্তু আমাকে গালাগালি করবেন না।
"সোনালী-দুঃখ" নায়িকার নাম সোনালী আর নায়কের নাম দুঃখ। দুজন মিলে 'সোনালী-দুঃখ'। এই হলো বই এর নামকাহিনী। নামকাহিনীর মতোই বই টাও পানসে। শতভাগ রুপকথার গল্প। আমার মনে হয় রুপকথার গল্প একটা বয়স অবদি খুব আকর্ষণীয় লাগে, যখন কাহিনী গুলোর সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের বোধ তৈরি হয়না। তারপরে যখন আমরা রুপকথা আর বাস্তবকে আলাদা করতে শিখি তখন আর রুপকথার পথে ভুলেও পা মাড়াই না। তবে এই বইটা রুপকথা হলেও সেটা একটা নির্ধারিত বয়সের পরে পড়ার যোগ্য। এই বই এর ভাব বুঝতে যেই সময় বইটা পড়তে হবে সেই সময়ে আবার রুপকথা হজম হয়না। কি ভয়ংকর সাংঘর্ষিক ব্যাপার! . . শুরুতে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম কিন্তু তারপরে তাল হারিয়ে ফেলেছি, সত্যি বলতে এই রাজ - রাজ রা দের কাহিনী আমি ঠিক ধরতে পারি না। আর এতো রাজকীয় ব্যাপারের মধ্যে সোনালী আর দু:খের যেই প্রেমকাহিনী, সেটাও খুব কঠিন মনে হয়েছে, খুব প্যাচানো মনে হয়েছে। প্রেম জিনিস টা হবে নরম সুতোর মতো, যা দিয়ে সহজেই বাহারি নকশায় কাঁথায় ফোঁড় তোলা যায়। নাইলনের সুতো দিয়ে কি আর কাঁথা সেলাই হয়? এই জাতীয় কঠিনপ্রেম-রুপকথা-দুঃখ সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যাওয়া লেখা আমার মনে জায়গা পায়না বলে হয়তো বইটা ঠিকভাবে শেষ ও করতে পারিনি। অন্য কারো তালিকায় এটা সেরা বই ও হতে পারে। কারো ভালো লেগে থাকলে কোন কোন জায়গা ভালো লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। :') . . একটা কথা আছে এই বই টাতে... "প্রেমিকরা কখনো অভিজ্ঞ হয়না। অভিজ্ঞ লোকেরা কখনো প্রেমিক হতে পারে না।"
ত্রিস্তান ইসল্টের সেই অমর প্রেম গাঁথা, লেখকের নিজের মত করে সৃষ্টি। অসম্ভব আদর নিয়ে একটা বই লিখলে কি হয়? মনের মধ্যে মনে হয় দাগ কেটে যায়। বইয়ের পাতা, গল্প, চরিত্রদের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। এটাও পূনরায় পড়ছি। মন খারাপ হয়েছে। প্রেমের গল্প গুলো বোধহয় এমন। অপ্রাপ্তিতেই বেঁচে থাকে দিনের পর দিন। তাইনা?
রূপকথা গুলো একটু অতিনাটকীয়ই হয়। কোনো নাটকীয়তা পছন্দের কাতারে পড়ে কোনোটা পড়েনা। রোমান্স জনরাটা আমার বরাবরই অপছন্দের। গল্প সুন্দর তবে প্রেম খুবই বেশি।
ত্রিস্তান-ইসল্টের প্রেম গাঁথাই লেখক নিজের রুপকথায় সোনালী-দুঃখ নামে অভিহিত করেছেন। সহজ ভাষায় অল্প কথার একটি সুন্দর রুপকথার গল্প। "প্রেমিকরা কখনো অভিজ্ঞ হয় না, অভিজ্ঞ লোকেরা কখনো প্রেমিক হতে পারে না। "
আমার পড়া প্রথম প্রেমের উপন্যাস, ৫ ঘন্টা লাগছে শেষ করতে , পড়তে খুব ভালো লেগেছে কোন কঠিন ভাষায় লেখা না একদম সহজ সরল ভাষায় লেখা , নতুন রা এই উপন্যাসের মাধ্যমে পড়ার জগতে আসতে পারে ,
চমৎকার একটা বই। আমার বেশ ভালো লেগেছে। যদি ও অনেকটা রুপ কথার মতো,তবে চমৎকার প্রেম গাঁথা। এই প্রেম কাহিনি লিখতে সুনীলকে সাহায্য করেছিল মার্গারেট,কি চমৎকার মিল!
Angsty love story লাভার হিসেবে বলছি, বইটি হার্ট রেন্চিং ছিল। তার ওপর আবার মিথোলজি কেন্দ্র করে- ভালো না লাগিয়ে যাবে কোথায়। ভালবাসা চিরকাল যদি এমনি থাকত, এরকম অমর আর নিঃস্বার্থ! লেখকের প্রতিজ্ঞা মতো এই গল্প আবার মনকে ঠিকই ভালোবাসার দিকে টেনে নিয়ে যায়, কিন্তু দুঃখজনক বিষয়, এখনকার যুগে ত্রিস্তান আর সোনালী এর ভালোবাসা দেখা যায় না তেমন। এমন ঘোর লাগানো, করুন ভালোবাসার বই - এক বসায় শেষ না করে উপায় ছিল না 💔
◽ভালোবাসার সংজ্ঞা কি আপনাদের কাছে? আমি নিজেও যে এই সংজ্ঞা খুব গুছিয়ে বলতে পারবো তা কিন্তু না। তবে আমার মনে হয় ভালোবাসার সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে যে বিষয়টি জড়িয়ে থাকে তা হলো সততা। মিথ্যার উপর ভিত্তি করে, অন্যকে ঠকিয়ে যে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়, সেটি যতই ঐতিহাসিক বা মহিমান্বিত ভালোবাসা হোক না কেনো, আমার কাছে তা অতি জঘন্য এবং নোংরা।
◽সোনালী দুঃখ বইটি মূলত মধ্যযুগীয় একটি পশ্চিমা রূপকথার উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। বলা যায়, এই রূপকথার বঙ্গানুবাদ কিন্তু একটু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর ভার্সন দেওয়া। এই রূপকথায় বর্ণিত হয় কর্নিশ নাইট ট্রিসট্রাম এবং আইরিশ রাজকন্যা ইসল্টের এক অবৈধ প্রেমের আখ্যান। এই ট্রিসট্রাম ও ইসল্টই হলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের যথাক্রমে দুঃখ এবং সোনালী। সম্পর্কে ইসল্ট ছিলেন ট্রিসট্রামের মামী। কিন্তু এই রূপকথায় সবকিছু ছাপিয়ে উঠে আসে তাদের প্রেমের শ্রেষ্ঠত্ব। অন্যসব কিংবদন্তি বা রূপকথার মত এই রূপকথারও অনেকগুলো সংস্করণ আছে যা পুরো মধ্য ইউরোপে বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন ভাবে প্রচলিত ছিল।
◽আমার কাছে এই রূপকথাটি রূপকথা হিসেবে ঠিকঠাক মনে হলেও এখানে অবৈধ একটি সম্পর্ককে, ঠিক যেভাবে প্রেম ভালোবাসার অমর আখ্যান রূপে দেখানো হয়েছে তা প্রচন্ড বাজে লেগেছে। ছোট থেকেই রূপকথা শুনে এবং পড়ে আমি বড় হয়েছি। এই ধরনের অবৈধ সম্পর্কের রূপকথা আমি আগে কখনো পড়িনি, জানতামও না, তাই হয়তোবা আমার এত বেশি বাজে লেগেছে এই রূপকথাটি। বিশ্বাসঘাতক আর বিশ্বাসঘাতকতা এই দুটি বিষয় আমি আমার জীবনে সবচেয়ে বেশি ঘৃনা করি। আর নিঃসন্দেহে এই কারণেই আমার এই বইটি একটুকুও ভালো লাগেনি।
◽এছাড়া আরেকটি বিষয় হলো, এই বইটি রূপকথার বই, ওই আদলেই লেখা। একটি নির্দিষ্ট বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে এই বই ভালো লাগতে পারে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত জীবনের কোনোকালেই এই বই আমি পছন্দ করতে পারতাম না। এবং আমার চেনাজানা কোনো শিশু কিশোরকে আমি এই বই রেকমেন্ড করবো না। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর বয়সে একটি বিশ্বাসঘাতকতার সম্পর্ককে তারা প্রেম-ভালোবাসার মহান আখ্যান হিসেবে চিন্তা করুক, তা আমি কখনোই চাইবো না।
অবশেষে পড়ে ফেল্লাম "সোনালী- দুখ"। বইটা অসাধারনত টিনএজ বয়সের জন্য লেখা, আমার মতে। কারন আমি পড়ে তেমন একটা মজা পাই নি! এটা ফ্যান্টাসি লাভ স্টোরি। ত্রিস্তান ও সোনালীর ভালোবাসার গল্প। যারা অনেক কষ্ট সহ্য করার পরও একে অন্যকে ভালোবাসা বাদ দেয় নি। লেখক অনেকটা অনুবাদ করার ভংগিতে বর্ননা দিয়েছেন কারন এটা একটা বিদেশী ফ্যান্টাসি লাভ স্টোরি, যা লেখক আরেকটু বড় করেছেন নিজের ইচ্ছা মত। সত্যি বলতে, আমার খুব একটা অসাধারন লাগে নি, যদি টিনএজ বয়সে পড়তাম তা হলে হয়তো আরো ভালো লাগতো। তাও, একেবারে খারাপও না! :)
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পড়া এটাই আমার প্রথম বই। বইটি লেখা হয়েছে প্রাচীন সেলটিক যুগের এক ট্র্যজেডি কাহীনি নিয়ে। ত্রিস্তান এবং ইসল্ট (সোনালী) এর মধ্যকার প্রণয় এবং একই সাথে বীর ত্রিস্তানের দ্বায়িত্ববোধের বহি:প্রকাশ দেখানো হয়েছে এই বইতে। এই কাহিনীর অনেক রকম সংস্করণ বিদ্যমান এবং লেখক নিজেই স্বরচিত কিছু প্লট এখানে ব্যবহার করেছেন। যদিও এটি একজন বিখ্যাত লেখকের লেখা আমার কাছে বাংলা সংস্করণটি তেমন পছন্দ হয়নি এবং আমি এর জায়গায় অন্য সংস্করণকে প্রাধান্য দিতে রাজি আছি।
আইরিশ উপাখ্যানে নবম শতাব্দীতে সর্বপ্রথম ত্রিস্তানের উল্লেখ পাওয়া যায়৷ দ্বাদশ - ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ফরাসি সাহিত্যিকরা ত্রিস্তানকে সাহিত্যে উপস্থিত করে মহৎ প্রেমিক হিসেবে৷ ত্রিস্তানের সেই প্রেমগাঁথা ই লেখক তাঁর নিজের মতো করে লিখেছেন৷ সংযোজন বিয়োজন করে সুন্দর একটি প্রেমের উপন্যাসে রূপ দিয়েছেন।
ত্রিস্তান অর্থাৎ দুঃখের সন্তান । আর রাণী ‘সোনালী’র প্রেমকাহিনী এই উপন্যাসের বিষয় বস্তু। ত্রিস্তান যে একজন দারুণ যোদ্ধা এবং ‘লিওনেস’ রাজ্যের রাজা। কিন্তু রাজ্য পরিচালনায় তাঁর মন বসে না। রাজ্যের ভার তার পালক রোহন্টকে দিয়ে সে সবকিছু ছেড়ে তাঁর কৈশরের পালক কনওয়ার্লের রাজা মার্কের কাছে আসে তার সেবা করতে। এসে দেখে রাজ্য হুমকির মুখে। সম্মুখ্য যুদ্ধে আয়াল্যান্ডের সৈন্যদলের সেনাপতি মোরহন্টকে পরাজিত করে কনওয়ার্ল রাজ্যকে বিপদমুক্ত করে ।
ঘটনার পরক্রমায় আয়ারল্যান্ড রাজ্যের রাজকুমারী ‘সোনালী’কে জিতে এনে মার্কের হাতে তুলে দেয়। মার্ক সোনালীকে বিয়ে করে। কিন্তু তাঁর আগেই ত্রিস্তান এবং সোনালীর মাঝে ভালোবাসার লেনাদেনা শুরু হয় ৷ আর সেই ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে যত ঝড়ঝাপটা যায় তাদের উপর দিয়ে সেটাকে কেন্দ্র করেই পুরো উপন্যাস....
Pdf পড়েছি _
বই : সোনালী দুঃখ লেখক : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পৃষ্ঠা ৭৯ ২২-২৩ ডিসেম্বর
A great fantasy tragic love story retold by Sunil which based on medieval chivalry romance of 'Tristan And Iseult'.It has numerous versions since the 12th century. Sunil has made his own version.He added some sub plots which made this story more engaging.
"ওরা একসঙ্গে পান করছিল ভালোবাসা ও মৃত্যু, ওদের কাছে মৃত্যু আর ভালোবাসা এক।"
"সোনালী দুঃখ" বইটি প্রাচীন রাজ রাজাদের উপর ভিত্তি করে লেখা। নায়ক দুঃখ ও নাইকা সোনালী এর নাম থেকেই বইয়ের নামকরণ যদিও তাদের ভিন্ন নাম রয়েছে ত্রিস্তান ও ইসল্ট । লেখক নায়ক চরিত্রকে শুরুর দিকে বীর ও মহত্ত্ব এবং শেষের দিকে দ্বন্দ্ব, দুঃখবোধ ও নির্জনতার চূড়ায় নিয়ে গেছে যা গল্পের প্রতি অন্য এক ভালো লাগা সৃষ্টি করে। দুঃখ ও সোনালির বার বার মিলন বিচ্ছেদ অনেকটা প্যাচানো, অবৈধ। বড় বড় যুদ্ধে জয় হলেও সোনালি কে জয় ও মিলন হয় মুলত মৃত্যুতেই। গল্পে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনির কিছুটা ছাপ রয়েছে। রূপকথা হিসাবে ঠিক আছে তবে বাস্তবের সাথে খানিকটা বেমানান ও প্রাপ্তবয়স্ক ধারার ।
রুপকথা বা রোমান্টিক বই ভালো লাগলে পড়তে পারেন তবে বাস্তববাদী চিন্তা ভাবনাকে দুরে রাখতে হবে।
মিথোলজি, ফোকলোর এসব বিষয়ে আমার আগ্রহ অনেক আগে থেকেই। সেই সুবাদেই ট্রিস্টান ও আইসোলেইডের কাহিনী সম্পর্কে জানি। যেটা জানতাম না সেটা হলো, এই বইও একই গল্পের উপর ভিত্তি করে লেখা। যাইহোক, জানার পর আর দেরি করিনি।
ওভারঅল গল্প ভালো লেগেছে। সহজ ভাষায় লেখা ছোট্ট বই তাই সহজে শেষ করেছি। তবে আমার কাছে এখানে আবেগঘন কথা একটু বেশিই লেগেছে। অরিজিনাল গল্পটা যতবার পড়ি কান্না আসে, তবে এক্ষেত্রে সবকিছু ভালো লাগলেও অতিরিক্ত আবেগী লাইনের জন্য খানিকটা বিরক্ত লেগেছে। তাই বলে বইটা খারাপও ছিল না। সবমিলিয়ে কিছু অতিরিক্ত প্রেমের কথা বাদ দিলে বইটা উপভোগ্য।
উপন্যাসটি লেখা হয়েছিল ত্রিস্তান এবং ইসল্ট এর মধ্যকার বিয়োগান্তক প্রেমকাহিনীকে উপজীব্য করে। ত্রিস্তান এবং ইসল্ট (সোনালী) যারা একে অপরকে ভালবেসে বারবার একসাথে হবার সুযোগ পেয়েও নিজেরাই নিজেদের দূরে ঠেলে দিয়েছে। টিনএইজে এই বইটা যখন হাতে আসে তখন সেলটিক যুগের মিথলজির প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। যে গল্পটা বলেছিল সে এতই সুন্দর করে বর্ণনা করেছিল যে একটা আবেশ তৈরি করেছিল খুব গভীরে। কল্পকাহিনীর এই প্রেমই হয়তো মানুষ আঁকতে চায়, তাই তাদের একসাথে দেখবার চাইতে দুক্ষ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে রাখতে চায়। মিলনাত্মকের থেকে সেখানে বিয়োগান্তকে প্রাধান্য দেয়া হয় যেন ভালবাসা ফিরে ফিরে আসে। এবসলিউট মনোগামি ভালবাসা বলে কিছু না থাকলেও মানুষ জন্মগতভাবে পলিগ্যামাস সেটা সে রুপকথায় পড়তে চায়না। রুপকথায় সবই যেন হতে হবে তুমুল ভালবাসা, যার জন্য জীবনবাজি রাখা যায়, যার জন্য আগুনমুখো ড্রাগনের সাথে যুদ্ধ করা যায় এবং যার জন্যই শুধুমাত্র পৃথিবীতে আরেকবার জন্ম হতে পারে। সুনীলের লেখা শুধু সেই গল্পের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে আর মনে হবে চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি প্রেমগাঁথা। কৈশোরের মুগ্ধতা বরাবরের মতই থেকে গেল। তা কী ত্রিস্তান এবং সোনালীর জন্য নাকি লেখকের লেখার কারণে নাকি প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে তলোয়ার রেখে শুয়ে থাকায় (যা শ্রদ্ধার সম্পর্ক বোঝায়) রাজা মার্ক তাদের মাফ করে দেয়ার আগ পর্যন্ত যে উত্তেজনা সে কারণে নাকি করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইমশোনাল হয়ে গিয়ে তা বোধহয় কোনদিনও জানা হবেনা। এই যে নারীকে বারবার পুরুষতান্ত্রিকতায় সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয় আর তারপর আরো সূচারুরুপে সে পরীক্ষায় পাশ করতে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে হয় সেটাই হয়তো প্রেম, গল্পের প্রয়োজনে সেই প্রেম হয় কিংবদন্তী। এসব এপিক পড়তে গেলেই মনে হয় অযাচিত, মনগড়া অপরাধবোধই পতনের মূল। তাই কোনো আক্ষেপ রাখা যাবে না, পাপপূণ্য যাই হোক না কেন। প্রেম ভালোবাসায় কোন পাপপূণ্য নাই। বেহালা বাজাতে শিখে যাচ্ছি, কোন একদিন আয়ারল্যান্ডও হয়তো যাওয়া হবে। কোন একদিন পৃথিবীর পথে হেঁটে হেঁটে ভালবাসার গল্প সংগ্রহ করা হবে আর ত্রিস্তানকেও পেয়ে যাব কে জানে!
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বেশ আলোচিত বই এটি। গত মার্চের দিকে কিনি বইটা। 'সোনালী দুঃখ' নামটা প্রথমে শুনে মনে হলো, এটা আবার কেমন বিষয়? দুঃখও সোনালী হয়! হ্যাঁ হয় হয়তোবা। যেমন, আমার জীবনেও কিছু দুঃখময় সোনালী স্মৃতি আছে। তাই ভেবেছিলাম এটি হয়তো কোনো স্মৃতিকথামূলক বই। অমা, পড়তে গিয়ে দেখলাম এটি একটি প্রণয় কাহিনী। যার নায়িকা-নায়কের নাম সোনালী-দুঃখ। পশ্চিমের এক কথিত প্রেমকাহিনী অবলম্বনে রচিত। বলা যায় একটা সস্তা পরকীয়ামূলক প্রেমকাহিনীই। বইটি কিনে আমি হতাশ। টাকা দিয়ে এই বই কিনলাম? পুরো টাকাটাই নষ্ট। গল্পের কাহিনী যারপরনাই হেয়ালিতে ভরা। সোনালী (ইসল্ট) এবং দুঃখ (ত্রিস্তান) এর পরকীয়ামূলক প্যাঁচানো কাহিনী। পড়তে পড়তে খুবই অস্বস্তিবোধ হচ্ছিল। সোনালী এবং দুঃখ যখন পরস্পরকে ভালোবেসেই থাকে তখন অত প্যাঁচ না করে দুজন বিয়ে করলে বা অজানার উদ্দেশ্যে চলে গেলেই তো পারে! তা নয় সোনালীকে রাজা মার্কের হাতে তুলে দিবে, আবার লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম পরকীয়াও করবে, এ কেমন কথা? সবচেয়ে বড় কথা হলো রাজা মার্ক ত্রিস্তানের (দুঃখ) আপন মামা, সেই হিসেবে বিষয়টা খুবই বিব্রতকর। লেখক এরমক, প্যাঁচানো, সঠতামূলক কাহিনী দ্বারা কিভাবে ভালোবাসার মহত্বকে হাইলাইট করতে চেয়েছেন বুঝে আসে না। এবং পরতে পরতে শারীরিক সম্পর্কের বিষয়গুলো রয়েছে। বলা বাহুল্য, পুরোটা আমি শেষ করতে পারিনি। আমি সচরাচর এ ধরনের সস্তা প্রণয় কাহিনী পছন্দ করি না। তাই বইটি সমাপ্ত করতে পারিনি। এই ধরনের প্রণয়কাহিনীর চেয়ে আমার বরং মহুয়া-চাঁদের প্রেমকাহিনী অনেক ভালো লাগে। বইটি আমার বোকামি করে কেনা বাজে বই। এরচেয়ে আরো ভালো একটা বইও কিনতে পারতম!
শুধুমাত্র রূপকথা পড়তে যারা আগ্রহী, তারা পড়তে পারেন। অনেকের মুখেই সুনীলের লেখার যথেষ্ট প্রশংসা শুনেছি।এই প্রথমবারের মতো সুনীলের লেখা পড়লাম। তুলনামূলক হতাশ বলতে হবে। তবে আরও পড়বো। একটি বই পড়েই যাচাই করতে চাই না।
ইউরোপের প্রাচীন এক লোককথার ছায়া অবলম্বনে বইটি লেখা । প্রথমে সাধারণ রূপকথা ভেবেছিলাম, পরে নেটে সামান্য খোজাখুজি করতেই ট্রিস্টানের কিংবদন্তী সামনে চলে এল । বাংলা ভাষী পাঠকদের কাছে এই উপাখ্যান সংক্ষেপে হলেও তুলে ধরার জন্য লেখককে ধন্যবাদ ।
কাহিনী মধ্যযুগীয় রোমান্সের । ট্রাজিক প্রেমের কাহিনী । প্রেমের অতিকথন ভাল লাগে নি, জানি না কেন অস্বন্তি লেগেছে । Cliche, cringy যাকে বলে আর কি ! মধ্যযুগের উপাখ্যান এর ব্যতিক্রম হবে না, তবে লেখক হয়তো নিজের আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে কেমন লুতুপুতু বানিয়ে ফেলেছেন । অন্য পাঠকের কাছে এমনটা নাও মনে হতে পারে ।
"ওরা একসঙ্গে পান করছিল ভালোবাসা ও মৃত্যু, ওদের কাছে মৃত্যু আর ভালোবাসা এক ।"
"সোনালী দুঃখ" বইটি প্রাচীন রাজ রাজাদের উপর ভিত্তি করে লেখা। নায়ক দুঃখ ও নাইকা সোনালী এর নাম থেকেই বইয়ের নামকরণ যদিও তাদের ভিন্ন নাম রয়েছে ত্রিস্তান ও ইসল্ট । লেখক নায়ক চরিত্রকে শুরুর দিকে বীর ও মহত্ত্ব এবং শেষের দিকে দ্বন্দ্ব, দুঃখবোধ ও নির্জনতার চূড়ায় নিয়ে গেছে যা গল্পের প্রতি অন্য এক ভালো লাগা সৃষ্টি করে। দুঃখ ও সোনালির বার বার মিলন বিচ্ছেদ অনেকটা প্যাচানো, অবৈধ। বড় বড় যুদ্ধে জয় হলেও সোনালি কে জয় ও মিলন হয় মুলত মৃত্যুতেই। গল্পে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম কাহিনির কিছুটা ছাপ রয়েছে। রূপকথা হিসাবে ঠিক আছে তবে বাস্তবের সাথে খানিকটা বেমানান ও প্রাপ্তবয়স্ক ধারার ।
রুপকথা বা রোমান্টিক বই ভালো লাগলে পড়তে পারেন তবে বাস্তববাদী চিন্তা ভাবনাকে দুরে রাখতে হবে।
I read this book when i was 8th grade...I stole this book from my cousin bookshelf. I didn't understand half of the book but it was tremendous love story for me...I love the way tristan and shonaly love each other unconditionally. Though it's a foreign story translated in Bangla. If i read this book again maybe I'll think about the ratings.
ছোটবেলায় রাজা-রানির রুপকথার গল্প শুনতাম, দাদিমার কাছে। সেখানে সেনাপতি, বিশ্বাসঘাতক, আর রাজ্যের সেনাপতির সাথে রাজকুমারীর প্রেম ইত্যাদি সবই থাকত। উপন্যাসেও নায়ক 'দুঃখ' একের পর এক অসাধ্য সাধন করে, সবার মন জয় করে নিয়েছিল। পরবর্তীতে মামীমা 'সোনালী'র সাথে প্রেমে হাবুডুবু নিয়েই প্রেমের উপন্যাস! পড়তে খারাপ লাগেনি।