Jump to ratings and reviews
Rate this book

Chowringhee by Sankar

Rate this book
'Here, day and night were interchangeable. The immaculately dressed Chowringhee, radiant in her youth, had just stepped on to the floor at the nightclub.' Set in 1950s Calcutta, Chowringhee is a sprawling saga of the intimate lives of managers, employees and guests at one of Calcutta's largest hotels, the Shahjahan. Written by best-selling Bengali author Sankar, Chowringhee was published in 1962. Predating Arthur Hailey's Hotel by three years, it became an instant hit, spawning translations in major Indian languages, a film and a play. Its larger-than-life characters - the enigmatic manager Marco Polo, the debonair receptionist Sata Bose, the tragic hostess Karabi Guha, among others - soon attained cult status. With its thinly veiled accounts of the private lives of real-life celebrities, and its sympathetic narrative seamlessly weaving the past and the present, it immediately established itself as a popular classic. Available for the first time in English, Chowringhee is as much a dirge as it is a homage to a city and its people.

Paperback

First published June 1, 1962

204 people are currently reading
2698 people want to read

About the author

Sankar

160 books177 followers
Shankar's real name is Mani Shankar Mukherjee. Sankar is a very popular writer in the Bengali language. He grew up in Howrah district of West Bengal, India.
Shankar's father died while Shankar was still a teenager, as a result of which Shankar became a clerk to the last British barrister of the Calcutta High Court, Noel Frederick Barwell. The experience of working under Mr. Barwell provided the material for his first book Koto Ojanare (কত অজানারে), translated as The Great Unknown.
During 1962, Shankar conceived the idea of writing the novel Chowringhee on a rainy day at the waterlogged crossing of Central Avenue and Dalhousie - a busy business district in the heart of Kolkata.
Many of Shankar's works have been made into films. Some notable ones are - Chowringhee, Jana Aranya (জন-অরণ্য, translated as The Middleman) and Seemabaddha (সীমাবদ্ধ, out of which the last two were directed by Satyajit Ray.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
966 (38%)
4 stars
932 (37%)
3 stars
473 (18%)
2 stars
110 (4%)
1 star
36 (1%)
Displaying 1 - 30 of 306 reviews
Profile Image for Ishraque Aornob.
Author 29 books402 followers
February 15, 2021
এই দারুণ বইটার রিভিউ করার ক্ষমতা আমার নাই। মাঝরাতে অসামান্য বইটা নিয়ে দুই লাইন লিখতে গিয়ে রীতিমত শব্দহীনতায় ভুগছি।
তবুও কয়েকটা লাইন লিখে যাই। বইয়ের শুরু এক বেকার যুবকের কপালের ফেরে বিখ্যাত, অভিজাত শাহজাহান হোটেলে খন্ডকালীন চাকরি পাওয়ার মাধ্যমে। তার জবানীতেই লেখা পুরো উপন্যাসটা। যেখানে তার সাথে দেখা হয় বন্ধুসুলভ, ভাতৃপ্রতিম রিসিপশনিস্ট স্যাটা বোসের সাথে। ধীরেসুস্থে লেখক দেখতে থাকেন হোটেলের ভেতরকার স্বতন্ত্র জীবনটা। নানা রঙয়ের, নানা রূপের মানুষ। প্রদীপের নিচেই যেমন অন্ধকার থাকে লেখকও খুঁজে পান সেই অন্ধকার। এই বইয়ের প্রত্যেকটা চরিত্রই যেন একেকটা জলজ্যান্ত উপন্যাস। প্রত্যেকের-ই নির্দিষ্ট কাহিনী রয়েছে। বেশিরভাগের কাহিনীর-ই শেষটা বিয়োগান্ত। শাহজাহান হোটেলে ঘটা নিত্য ঘটনাগুলোর মধ্যে ছিল হাসি, আনন্দ, সুখও। তবে গল্পের শেষে বইয়ের প্রত্যেকটা চরিত্রই মিলেছে একই বিন্দুতে। প্রত্যেককেই বরণ করে নিতে হয়েছে কোনো না কোনো ট্র্যাজেডি। কয়েকটা ঘটনা মনের মাঝে বিষণ্নতা ও শূণ্যতা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শেষে চোখের পানি ধরে রাখাটা কষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। লেখক শংকর এমনভাবে সবকিছুর বর্ণনা করেছেন মনে হয়েছে আমি নিজেই উপন্যাসের একটা চরিত্র, বিচরণ করছি শাহজাহান হোটেলের আনাচে কানাচে।
যাই হোক চৌরঙ্গী আমার হৃদয়ে দাগ কেটেছে, বেশ ভালোমতই 🙂
Profile Image for Meem Arafat Manab.
377 reviews255 followers
June 15, 2017
চৌরঙ্গী পড়া হয়ে গেলো। কেমন চৌরঙ্গী? এইটা আমি বলতে পারবো না। আমার এ জীবনে কলকাতা যাওয়া হইলো না, ফার্মগেট, বিহারী ক্যাম্প, রায়সাবাজার, গুলশান দুই, সনির মোড়, কিছু দিয়েই বোধ হয় এরে খুব ভালো অ্যাপ্রোক্সিমেট করা যায় না।
বইটা কেমন? বেশ। বেশ বলতে প্রথমে একটু কেমন যেনো লাগে, আমার লাগছে, আমার মনে হইছে লেখক মনে করে আমি ঐ তল্লাট খুব ভালোমতন চিনি, ছেড়ে দিলে ঠিক ঠিক খুঁজে বের করে ফেলবো মোড়ের কোন্‌ কোণে খাড়ায় আছেন হরিরাম গোয়েঙ্কা বাহাদুর, আর কোথায় আড্ডা জমায় উইলিয়ামস লেনের লোকাল বয়েজ! এরকম হয়, সবার ত আর এরকম মনে হয় না যে তার লেখা লোকে যুগ যুগ পরে গিয়েও পড়তে থাকবে।
পরে সয়ে যায়। উপভোগ্য হয়ে উঠে বললে খুব রং চড়ানো হয় না। আহ্‌, সে কী এক একখান স্ক্যাণ্ডালাস ব্যাপারস্যাপার পুরা বই জুড়ে।
আগে শঙ্কর পড়ছি বলে মনে পড়ে না। সত্যজিতের মুভি দুইটা দেখছিলাম, তার বই থেকে যে। পড়া যাইতে পারে, সব না হইলেও আরো কয়েকটা।
এইটা বোধহয় কারো কারো চোখে অপন্যাস। গাল পাড়তে ইচ্ছা হচ্ছে না। বলে বলুক।
Profile Image for Farzana Raisa.
526 reviews232 followers
January 16, 2021
আসলে কি বলব আর কি লিখব ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। অবশ্য ডায়লগটা মিস্টার স্যাটা বোসের মতো হয়ে গেলো অনেকটা। কিন্তু না, উপরে উপরে মুখের কথা না এটা। অন্তর থেকেই বলা।

আমার পড়া শংকরের দ্বিতীয় বই। তাও প্রথম বইটা পড়েছি চৌরঙ্গী পড়ার ঠিক আগে। বহুদিন হাতে নিয়েও ক্যান যেন শংকরের বই পড়া হয়নি। আজ মনে হচ্ছে ভালোই ঠকে গেছি। আবার মনের অন্য পাশ বলছে নাহ! মন্দ না কাজটা, কিছু ভালো ভালো বই, ভালো জিনিস জমিয়ে রাখা উচিত। অনেকটা প্রাচীন মদের বোতলের মতো। ধীরে সুস্থে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করতে হয়। সত্যিই তাই! অন্য কার কাছে কেমন লেগেছে জানি না, কিন্তু আমার কাছে প্রচন্ড রকমের জীবন্ত বলে মনে হয়েছে। হোটেলের ধারণাটা সত্যি অদ্ভুত। একদল ঘরহীন মানুষ সাময়িক সময়ের জন্য ঘর বানায়, আবার সময় ফুড়ালে, কাজ ফুড়ালে যে যার গন্তব্যে। কতো মানুষ আসে যায়, তাদের হাসি-কান্না-আনন্দ-বিষাদের সাক্ষী থেকে যায় হোটেল ঘরের চার দেয়াল। সিম্পসন নামক এক সায়েব কলকাতার বুকে তৈরি করেন শাহজাহান হোটেল। এরপর কেটে যায় কতোগুলো বছর। ভবঘুরে চাকরিপ্রত্যাশী শংকর বাবু তার এক বন্ধুর বদান্যতায় চাকরি পায় সেই বিলাসবহুল হোটেলে। তার চোখে দেখা শাহজাহান হোটেলের গল্প। না, আসলে হওয়া উচিত তার চোখে দেখা জীবনের গল্প, মানুষের গল্প। আর তাই স্যাটা বোস অর্থাৎ সত্যসুন্দর বসু, তার অন্যতম বন্ধু, সহযোগী কিম্বা শিষ্যও বলা চলে সেই শংকর বাবু (যার বয়ানে এগিয়ে চলে গল্প), ম্যানেজার মার্কোপলো, স্টুয়ার্ড জিমি, বাজনদার গোমেজ, লিনেন বাবু নিত্যহরি বসু ওরফে ন্যাটাহরি, রোজি, বেয়ারা পরবাসীয়া, গুড়বেড়িয়া, দুই নম্বর সুইটের করবী গুহ, তার গুণমুগ্ধ তরুণ শিল্পপতি অনিন্দ্য পাকরাশী, ফোকলা চ্যাটার্জী, মাধব পাকরাশী এবং তার মিসেস, রবার্ট, কনি দ্য ওম্যান, হ্যারি, এয়ার হোস্টেজ সুজাতা মিত্র, ডক্টর সাদারল্যান্ড, বায়রণ সাহেব এরা নিছক বইয়ের চরিত্র নয় হয়ে উঠে জীবনের প্রতিচ্ছবি। অনেক পরিবর্তন, অনেক উত্থানপতন আর আসা যাওয়ার সাক্ষী হয়ে থাকে নিশ্চল প্রাসাদোপম অট্টালিকা হোটেল শাহজাহান।


বি.দ্র. এই চৌরঙ্গী নিয়ে সেই ১৯৬৮ সালে নির্মিত হয়েছে সিনেমা। বইয়ের নামেই সিনেমার নাম। স্যাটা বোসের চরিত্রে ছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। (তবে মুভির স্যাটা বোসের চেয়ে বইয়ের স্যাটা বোসকেই ভালো লেগেছে বেশি, সে যেন আরও বেশি প্রাণবন্ত) আর মার্কো সাহেব হিসেবে উৎপল দত্ত লাজওয়াব! আবার ঊনবিংশ শতাব্দীর হোটেল কালচারের সাথে মিলবে না বিংশ শতাব্দীর হোটেল কালচার। তাও কিছু কিছু ব্যাপারে মিল আছে অবিশ্বাস্যরকমের। আর তাই ২০১৯ সালের শাহজাহান রিজেন্সি নির্মিত হয়েছে চৌরঙ্গীর ফ্লেভারে। দুটোই, না তিনটাই (দুই মুভি, এক বই) সমান উপভোগ্য।
Profile Image for Petra X.
2,456 reviews35.7k followers
June 4, 2015
It's hardly a comedy, the main character is a tragic figure indeed, but that's what it purports to be. It's sad and sweet and a gentle look at life for those who live right on the edge of extreme poverty one minute and doing pretty ok working in a fancy hotel the next.

Quite good, especially from the point of view of looking at another culture vastly different from my own experiences. I always enjoy Indian writing. Something about their use of English is both charming and erudite.

Three and a half stars rounded up because I like the book more than not. I would recommend it for when you haven't got anything much to do and quite a long time to not do it in. Ideally accompanied by fancy cocktails with little umbrellas maybe, but a cup of tea and half a packet of custard creams would do nicely.
Profile Image for Aishu Rehman.
1,094 reviews1,066 followers
September 26, 2018
চৌরঙ্গী ঠিক সেইরকম একটি বই, যেটি বেশ আরাম করে শুধু চোখ খোলা রেখে পড়া যায়!

এই উপন্যাসটিতে মূলত ফুটে উঠছে একটি বনেদী হোটেলের প্রাত্যহিক কর্মকান্ডের কাহিনী বা ধারা বিবরণী। যাতে গল্পের প্রধান চরিত্র শংকর নিদারুন কষ্টভোগ করে সেলসম্যান থেকে হোটেল রিসিপশনিস্টের বহু আরাধ্য একটি ‘চাকরী’ পেয়ে যায়। অতঃপর শুরু হয় তার হোটেলের জীবন, হোটেলের বর্ননা।

প্রতিদিন হোটেলে যে কত বিচিত্র ধরনের লোকের সমাগম ঘটে এবং তাদেরকে আপ্যায়ন করার জন্য হোটেল এবং তার সংশ্লিষ্ট লোকগুলকে যে কত বিচিত্র অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তার বর্ননা সত্যি আপনাকে অভিভূত করবে।

এরপর একে একে শংকরের বর্ননায় হোটলের আসবাবপত্র, রুম, সুইট, সার্ভিস, নানান দেশের খাবার আর পানীয়র যে ফিরিস্তি পাবেন তাতে আরেকবার আপনি মুগ্ধ হবেন।

এসবের মাঝেই কিছু চরিত্র আর তাদের টানাপড়েনও এই উপন্যাসের খুব উল্লেখযোগ্য দিক। যেমন হোটেলের ম্যানেজার মা��্কোপোলো সাহেবের সুদূর ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষে এসে বাঙালী নারীর প্রেমে পড়া অতঃপর চরম এক সঙ্কটের মাঝে নিজেকে সপে দেওয়া, এরপর কনি নামক একটি মেয়ের কথা যার পেশা হল সারা পৃথিবী জুড়ে হোটেলে একধরনের নগ্ন নৃত্য পরিবেশন করা। এছাড়াও আছে প্রভাতচন্দ্র গোমেজ, নাট্যহরিবাবু, করবী, অনিন্দ্য, পাকড়াশী এসকল বহুবিদ চরিত্রের ছড়ানো ছিটানো প্যাকেজ।

এরকম অসংখ্য চরিত্রের ছোটছোট কাহিনী নিয়েই আসলে এগোতে থাকে চৌরঙ্গী।
Profile Image for ORKO.
196 reviews196 followers
October 20, 2023
শংকরের চৌরঙ্গী পড়তে গেলে নস্টালজিয়ার এক অদ্ভুত উদযাপন আমাকে ঘিরে রাখে। না-দেখা,না-শোনা একটা শহরের হৃৎস্পন্দন আমি অনুভব করতে পারি । শংকরের মনোলগের সিঁড়ি ধরে মনে হয়, কলকাতা শহরটাই একটা জাতিস্মর। তার পায়ে পায়ে কলকাতার অলিগলিতে হাঁটলে মনে হয় ৫০ কিংবা ১০০ বছর পিছিয়ে গেছি। কিছুটা ডিস্যাচুরেটেড ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ফুটেজ কখনো কখনো রঙিন হয়ে ওঠে ক্যাবারে নর্তকীর ঝলমলে পরচুলার মতো,শাহজাহান হোটেলের রঙিন সুরাপাত্রের মতো। মনে হয় কলকাতা একটা গভীর পিয়ানো, আঙুল স্পর্শে বেজে ওঠে স্বপ্নাতীত সুর। শংকর বারেবারে বুঝিয়ে দেন, কলকাতা ইজ আ সিটি অফ নস্টালজিয়া। ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে আজও মানুষ ছুটে আসে পিরিয়ড ড্রামা শ্যুট করতে কারণ কলকাতার মাঝে অতীত কোথাও সগৌরবে রয়ে গেছে। আনাচে-কানাচে উঁকি মারে,মাথায় হাত বোলায়,কাঁধে হাত রাখে,পাশে এসে বসে,দুটো গল্প করে। সদ্যোজাত শিশু যেমন করে প্রথমবার কাঁদে তার আগমনী ক্রন্দন,পৃথিবী তাকে জানায় সুস্বাগতম, তেমন করেই শংকরের কলকাতা আমাকে এক অমোঘ টানে জড়িয়ে নেয়। এমন সব স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দেয় যেগুলো আসলে আমার না,অথচ কী চুম্বকীয় আকর্ষণ তার!
স্ট্যাম্পের কোলাজে ঢাকা চৌরঙ্গীর প্রচ্ছদ দেখে আমার বারবার দ্বিধা হয়, বইটার নায়ক আসলে কে? স্যাটা বোস নাকি শহর কলকাতা? অক্ষরের কাঁধে হাত রেখে যখন বইটা শেষ হয়ে যায়,তখন এক বিষণ্নতাবোধ আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সুজাতাদি,কনি, গোমেজ,করবী গুহর কথা ভাবলে মনে হয় আমার বাঁচার যে তাৎপর্য,তার নাম ভালোবাসা,সেটা কি আদৌ কোথাও পৌঁছাবে? সিনেমা পাড়ার নাইট শো ভাঙার পর শংকরের মতোই চাকরি হারিয়ে স্মৃতি কাতরতায় আমি একা হাঁটতে থাকি রহস্য গল্পের সন্দেহজনক চরিত্রের মতো। কেউ একজন ধাক্কা দিয়ে,'স্যরি' বলে চলে যায় যেন মৃদুহাসি মাতাল। সে আমাকে রাত্রির পথে বিমূঢ় করে রেখে গেলে বলতে ইচ্ছে হয়, জীবন,একটি বার মুখ ফেরালে না?
Profile Image for Rifat.
500 reviews329 followers
January 1, 2021
বিষণ্ণ ছোকাদা শংকরকে বলেছিলেন,"আমাদের দ্বারা তো হল না। যদি কেউ পারে তো তুই পারবি। পালিয়ে যা! আমরা জানব এই সর্বনাশা গোলকধাঁধা থেকে অন্তত একজনও বেরিয়ে যেতে পেরেছে।"

লেখক শংকরের ট্রিলজির ২য় বই চৌরঙ্গী। যদিও ফিকশনাল তবুও এটাতেও তার ব্যক্তিগত জীবনের সংগ্রামের একটা অংশ চলে এসেছে। কত অজানারে ঠিক যেখানে শেষ হয়েছিল তারপর থেকেই এর গল্প শুরু।

প্রিয় বারওয়েল সাহেবের মৃত্যুর পর শংকর পণ করেন এ কোর্ট পাড়ায় আর নয়, যেখানে সায়েব নেই সেখানে সায়েবের বাবু থাকবে কি করে! কিন্তু কোর্ট পাড়ার এই ভাঙা-গড়ার নির্মম দৃশ্য থেকে মুক্তি পেলেও পড়েছিলেন বাস্তবতার যাতাকলে। চাকরি নেই, চাকরির বাজারও ভয়াবহ। এসএসসির সার্টিফিকেট হাতে ঘুরেছেন দ্বারে দ্বারে। শেষে ঝুড়ি ফেরির কাজ ধরলেন। চৌরঙ্গীতে বসে থেকে ভাবছিলেন অনেক কিছু, সেই সময় পান মিস্টার বায়রনের দেখা। কপাল হয়তো খুললো!! রিসেপসনিস্টের কাজ পেলেন বনেদী হোটেল শাজাহানে।

শংকর ধীরে ধীরে বুঝতে পারলেন কোর্টপাড়া থেকে পালিয়ে এসে পেড়েছেন আরেক গোলকধাঁধায়। আমরা হোটেলে যাই,থাকি আর আহার শেষে চলে আসি অথচ এইখানেই মানুষ কত উপন্যাস লিখে চলেছে; কত কাহিনী আড়াল হয়ে যাচ্ছে অপূর্ব সব দামি লিনেনের পর্দাগুলোর আড়ালে। শংকর এই চাকচিক্যপূর্ণ হোটেলের কালো অংশের রূপ দেখলেন ধীরে ধীরে। তেমনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন সহকর্মী মানুষদের একজন। কোর্ট পাড়ায় যেমন ছোকাদাকে পেয়েছিলেন আর এখানে পেলেন সত্যসুন্দর বোস ওরফে স্যাটাদাকে। আর পেয়েছিলেন পিতৃতুল্য নিত্যহরি বাবুকে, সর্বদাই যিনি শংকরকে দেখলে এই হোটেল জগতের কালিমার ব্যাপারে সাবধান করে দিতেন যেন তা গায়ে লেগে না যায়।

লেখক কত অজানারেতে যেমন কোর্টপাড়ার মূল্যবান স্মৃতিকে সংরক্ষণ করেছেন ফিকশনে রূপ দিয়ে; এই বইটাতেও হয়তো গল্পের আড়ালে রেখেছেন কিছু স্মৃতি!
ম্যানেজার মার্কোপোলো, ড.সাদারল্যান্ড, ব্যান্ডের প্রভাত গোমেজ,স্যাটাদা,নিত্যহরী বাবু, সুজাতা মিত্র,একজন মেয়ে: কনি যে এক বামনকে সাথে নিয়ে নাচতো, পাকড়াশী পরিবার ও ২ নম্বর স্যুইটের করবী গুহ যিনি ভালোবেসেছিলেন!! আরও কত্ত মানুষ আর আত্নিক বন্ধন!

শংকরের অস্তিত্বে মিশে গেছে শাজাহান, এক অদ্ভুত সুতোয় বাঁধা পড়েছে।কিন্তু হঠাৎই এ সুতোয় টান পড়লো। বুঝলাম উপন্যাস শেষ হয়ে এসেছে। হোটেল শাজাহান এখানেই মাথা উঁচু করে থমকে দাঁড়াবে।সময় শেষে শংকরের মতো আমিও মাঝরাতে এই হোটেল থেকে বেড়িয়ে এলাম। শাজাহানের লাল আলোরা যেন শংকরকে ব্যঙ্গ করার সাথে সাথে আমাকেও ব্যঙ্গ করলো। যে চৌরঙ্গীতে এই উপন্যাসের শুরু সেখানেই সমাপ্তি হল।
"পৃথিবীর এই সরাইখানায় আমরা সবাই কিছুক্ষণের জন্য আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ ব্রেকফাস্ট খেয়েই বিদায় নেবে, কয়েকজন লাঞ্চ শেষ হওয়া মাত্রই বেরিয়ে পড়বে। প্রদোষের অন্ধকার পেরিয়ে, রাত্রে যখন আমরা ডিনার টেবিলে এসে জড়ো হবো তখন অনেক পরিচিতজনকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না; আমাদের মধ্যে অতি সামান্য কয়েকজনই সেখানে হাজির থাকবে। কিন্তু দু:খ কোরো না, যে যত আগে যাবে তাকে তত কম বিল দিতে হবে।"

~২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
Profile Image for zed .
592 reviews152 followers
January 21, 2024
This feels like an observation of the author’s time in an upmarket hotel in Calcutta in the early 1960s. Every employee seemed to fear for their jobs when something went wrong, even when it was hardly the employee’s fault, and that kind of reminds me of some rental property owners I have met and their attitudes to the tenants. Bland and dull writing and far too long-winded dialogue about very little made this an utter bore for me personally. It took all of my energy to finish.
Profile Image for Tushi.
59 reviews42 followers
November 28, 2018
ক্লাস ৫/৬ এর পর থেকে আমি প্রায় সময়ই বারান্দায় বসে দূরের জানালার দিকে তাকিয়ে থাকতাম। প্রত্যেক বিল্ডিংয়ের টিম টিম করা আলোগুলোর দিকে তাকিয়ে ভাবতাম ওদের লাইফটা কেমন? আমাদের লাইফ থেকে কি একটু অন্য রকম?? প্রত্যেক জানালার আলো আমার কাছে একেক জীবনের একেক কাহিনী লাগত।

এখন যখন কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে তুমি বই পড়ো কেন? তখন আমার একটাই উত্তর হয় আমি শুধু এক জীবন দেখতে চাই না আমি হাজার জনের জীবন কাহিনী দেখতে চাই, শুনতে চাই। সেটা আমাকে বই ছাড়া আর কেইবা দিতে পারে।

আজ যখন চৌরঙ্গী পড়ছি তখন ঠিক একই অনুভূতি হচ্ছে৷ কত বিচিত্র মানুষ আর কত বৈচিত্রময় তাদের জীবন। হোটেল রিসিপশনিস্ট, শংকরের মত আমিও অবাক হয়ে তাকিয়ে থ���কি। শাজাহান। কলকাতার সবচেয়ে পুরাতন আর বিখ্যাত হোটেল। এখানে আসে নানান দেশ থেকে নানান মানুষ। একেকজন নিয়ে আসে তাদের সাথে করে বিচিত্র কাহিনী। বাইরে এর যতই চাকচিক্য থাকুক না কেন ভিতরে গেলে এ যেন এর কুৎসিত রূপ টা মেলে ধরে। মাঝেমাঝে কান্না আসে, মাঝেমাঝে সৃষ্টিকর্তার উপর অভিমান হয়। কিন্তু সত্যি কথা বলতে এই-ই তো জীবন। ঠিক যেন ন্যাটাহারিবাবুর মত বলতে হয় আমাদের সৃষ্টিকর্তাও সরকারের মত। তার কাছে কত মানুষের ফাইল পরে আছে কিন্তু তার অনেকগুলোয় ধুলোয় জমে এক কোণে পরে থাকে। বইটার কোনায় কোনায় যে কত দীর্ঘশ্বাস জমা হয়ে আছে সেটা পড়ার সময় নিজের দীর্ঘশ্বাস ই বলে দিচ্ছিল।
Profile Image for Tazbeea Oushneek.
156 reviews54 followers
February 24, 2021
বইটা নিয়ে কিছু বলার ভাষা পাচ্ছিনা। বইটা পড়ার সময় অনেকবার মনে হয়েছে এতদিন কেন পড়ি নাই, আবার অনেকবার মনেও হয়েছে কি দরকার আমার এরকম একটা বই পড়ার যার কারণে নিজের মধ্যে একসাথে এত অনুভূতি কাজ করবে? এই অনুভূতিগুলা থেকে পালিয়ে থাকতে পারলেই মনে হয় শান্তি। কিন্তু একবারও হাত থেকে রাখতে পারি নাই।
প্রায়ই মনে হয় জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে কত রকমের মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয়। আবার আরেকটা ধাপে গিয়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন করে সব শুরু করতে হয়। নিজেকে নিয়েই যদি ভাবি, আমি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের খুবই স্বাভাবিক জীবন কাটানো মেয়ে। প্রাইমারি, হাইস্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হলের জীবন বিভিন্ন জায়গায় চাকরি বা বেকারত্বের সময় কত মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠতা হয়েছে। সময়ের সাথে তাদের সাথে প্রয়োজন ফুরিয়েছে, যোগাযোগ কমতে কমতে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই ইন্টারনেটের যুগে বসেও এককালের এমন অনেক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব আছে যাদের কথা জানি ই না কোথায় কীভাবে আছে বা আদৌ এখনো আছে কিনা। নতুন কারো সাথে বন্ধুত্ব হয়েছে। খুব স্বাভাবিক ঘটনা এগুলো। এই স্বাভাবিক বিষয়গুলো যে এক বেকার যুবকের হঠাৎ পাওয়া অনিশ্চিত চাকরির জীবনে কতটা তীব্রভাবে আসতে পারে জানলাম।
এই গল্পটা এক বেকার যুবকের হঠাৎ করে শাজাহান হোটেলে অনিশ্চিত একটা চাকরি পাওয়া আর তার পরের পুরোটা সময় তার জীবনে মিশে যাওয়া প্রত্যেকটা মানুষের। হোটেলের এক রাতের গেস্ট বা নিয়মিত বাসিন্দা, সহকর্মী কারো জীবন জানতে বাকি থাকে না শংকর এর। সবার সাথে সেভাবেই মিশে যায়। আবার সময় ফুরিয়ে গেলে তারা তার জীবন থেকে হারিয়েও যায়। সবার হারানোটা হয়তো মনে দাগ কাটে না। আবার এমন অনেকে আছেন যারা হারানোর আগে টের পাওয়া যায় না তারা আসলে কতটা আপন ছিল।
Profile Image for Rakib Hasan.
443 reviews79 followers
July 1, 2025
চৌরঙ্গী — একটি হোটেলের বাইরের নয়, ভেতরের গল্প

শাহজাহান হোটেল, কলকাতার অন্যতম অভিজাত হোটেল, যেখানে চাকরি পায় মূল চরিত্র। তার জবানবন্দিতেই আমরা হোটেলের ভেতরের আলো-অন্ধকার, মানুষ, সম্পর্ক, গেস্ট আর স্টাফদের মুখোশের আড়ালের জীবন দেখতে পাই।

এই বই নিয়ে আগেই অনেক শুনেছিলাম, পড়ার পর বুঝলাম কেন এতজনের প্রিয়। লেখক প্রতিটি চরিত্রের গল্প এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যেন তারা চোখের সামনে হেঁটে বেড়ায়।

এই হোটেল যেন কিছু সময়ের জন্য একদল মানুষের ‘বাসস্থান’ — যেখানে আবাস, সম্পর্ক, স্বপ্ন আর ট্র্যাজেডি মিশে আছে।

আসলে এই বই নিয়ে বলার মতো কিছু নেই বললেই চলে — কারণ পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমি নিজেই যেন শাহজাহান হোটেলের কোথাও বসে আছি।

একটা বই যখন আপনাকে কোনও নির্দিষ্ট জায়গার গন্ধ, শব্দ, আলো বা নিঃশ্বাস টের পাইয়ে দেয় — তখন সেটা শুধু পড়া নয়, সেটা হয়ে যায় অভিজ্ঞতা। চৌরঙ্গী ঠিক তেমন এক অভিজ্ঞতা।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 36 books1,851 followers
December 23, 2023
এই বইটি ছিলো আমার পড়া প্রথম 'বড়দের' উপন্যাস| তাই বইটির কথা বলতে গেলে শুধু সাহিত্য-গুণ (বা নির্গুণ) নিয়ে কথা বলা যায় না, বরং আমার জীবনের সেই গোলমেলে সময়টার কথাই মাথায় আসে যখন শৈশব নিরুদ্দেশ, অথচ ১৮+-এর দাপুটে স্বাধীনতা ধারেকাছে নেই| তবু লিখি, বইটি আমার পড়তে বেশ ভালোই লেগেছিলো| শংকরের লেখার টানে মনে হয়েছিলো যেন চরিত্রগুলোকে আমি বুঝতে পারছি, ছুঁতে পারছি| হোটেল শাজাহান আর তার আলো-অন্ধকার আমার চোখের সামনে বাস্তবের থেকেও বেশি বাস্তব হয়ে উঠেছিলো| কিন্তু এতো কিছুর পরেও বইটা পড়ে মন ভার হয়ে গেছিলো, কারণ বইটির শেষে, যে চরিত্রদের টানে বইটা পড়ছিলাম, তাদের কাউকে আনন্দ নিয়ে জীবন-বন্দরের অন্য জাহাজে উঠতে দেখিনি| লেখক হয়তো বলবেন, সেটাই স্বাভাবিক, কারণ বাস্তবে তেমনটাই হয়| তাই যদি হয় তাহলে আমি আনন্দবাজার-এর রবিবাসরীয়-ই পড়বো, উপন্যাস-এর ধার-কাছ মাড়াবো না| তবে এটা আমার ব্যাক্তিগত মূল্যায়ণ| আশাকরি এর ধাক্কায় এমন চমত্কার একটি বই পড়া থেকে নিজেকে বঞ্চিত করবেন না|
Profile Image for MD Mijanor Rahman Medul  Medul .
178 reviews42 followers
September 17, 2021
বাঙ্গালী পাঠক সমাজে শংকর এই নামটি শুনলে প্রথমেই যে বইটির কথা মাথায় আসে তা হলো চৌরঙ্গী ।
বাঙ্গালী পাঠ্য সমাজে আমরা প্রায়শই প্রশ্ন করে থাকি আপনি শংকরের চৌরঙ্গী পড়েছেন? কিনবা ও বাপু তুমি এখনো উত্তম কুমার অভিনীত চৌরঙ্গী মুভি দেখো নি? তাই ঘটা না করেই আজকের আলোচ্য বিষয় হিসাবে রাখলাম শংকরের চৌরঙ্গী ।

১৯৩৩ সালের ৭ ই ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন লেখক মণিশংকর মুখোপাধ্যায়, ডাকনাম শংকর এবং এই নামেই সাহিত্য রচনা করে এসেছেন৷ শংকরের ব্যাক্তিজীবন নানান ঘটনা বহুল, কর্মজীবনের শুরুটা করেন টিউশনি চাকুরী তারপর নানান কাজকর্মের বেড়াজালে সাহিত্য জগতে।

১৯৬২ সালে শংকর রচনা করেন চৌরঙ্গী উপন্যাস টি৷ ধারণা করা হয় এই উপন্যাসটি তার ব্যক্তিজীবনের লাইফ ইন্সপায়ার হয়ে লেখা ।
চৌরঙ্গী উপন্যাসটি একটি হোটেলকে কেন্দ্র করে৷ কোলকাতার বিখ্যাত শাজাহান হোটেল, যেখানে রাজা প্রজা গনক বেশ্যা ধর্মগুরু গায়ক উকিল ব্যারিস্টার সহ নানান শ্রেণীর আগমন।
গল্পের শুরুয়াতটা হয়েছে শংকর নামক এক যুবক যে বিট্রিশ ভারতের লাস্ট কেরানীর চাকুরীটি হারিয়ে পথে বসে, আর তারপর একান্তেই পেটের দায়েই শাজাহান হোটেলে রিসিপশনের চাকুরী নেয়া আর এখন থেকেই শংকরের নতুন জীবনে পা দেয়া আর মেলতে শুরু করে উপন্যাসের পাতা।

এই উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে লেখক দেখিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের গল্প। শংকর যখন শাজাহান হোটেল এ চাকুরী পায় এবং এর পর থেকে সে প্রতিনিয়ত দেখছে নানান রকমের মানুষের আগমন আর পৃথিবীর বিচিত্রিতা। মানুষের জীবন কত বিচিত্র তা লেখক এই উপন্যাসে এনেছেন। পৃথিবীতে কত শ্রেনীর মানুষ আছে তাদের সাথে শংকরের পরিচয় হয় এই হোটেলে। কত মানুষ পেটের দায়ে কত কিছু করে আর কত মানুষ টাকা কিভাবে উরায়৷ কত মেয়ে বাধ্য হয়ে হোটেলে বারগার্ল হয় বারে গান গায় অথবা বেশ্যাবৃত্তি করে আবার কত মানুষ স্বেচ্ছায় কত কিছু করে। কত মামুষ ঘরছারা আবার কত মানুষের সংসারে নানান যন্ত্রণা। এ যেন সব কিছুর একটি মিশ্র কম্বিনেশনে তৈরি শংকরের চৌরঙ্গী ।।

এটি চরিত্র কেন্দ্রিক উপন্যাস বলা যায়, মূল নায়ক শংকর ছারাও হোটেল ম্যানেজার মার্কোপোলো স্যাটাবোস রোজি নামে নানা ছোটবড় বিচিত্র সব চরিত্র । ধীরে ধীরে একেক চরিত্রের আগমন আর একেক চরিত্রের একেক গল্প, এই গল্পের মাঝে পাঠক কখনো হাসবে আবার কখনো ভাববে।

বাঙ্গালী পাঠকদের কাছে শংকরের চৌরঙ্গী একটি আবেগের নাম এর কারন হিসাবে বলব এই বইটির প্লট ও প্রেক্ষাপট৷ ১৯৬২ সালে এটি রচনা করা হয়। এর প্রেক্ষাপট ৫০-৬০ এর দশক যখন বিট্রিশ রা সদ্য ভারতবর্ষ ত্যাগ করেছে এখনো বাঙ্গালীয়ানার ভিতরে বিট্রিশদের বীজ করে গেছে সেই সময়কার মানুষ সামাজিক পরিবেশ আর মানুষের বিচিত্রিতা এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য বিষয়। ততকালীন সময়ে কলকাতার পরিবেশ আর এই বাংলার পরিবেশ এর একটা মেল, ইংরেজি হাল ফ্যাশনে চলা আমাদের সমাজ,ইত্যাদি এই উপন্যাসে লক্ষ্য করা যায়।

আরেকটি বিষয় যে এটি কেন পাঠ্য বা কোন শ্রেণির পাঠকের এই উপন্যাস টি পড়ে বেশি ভালো লাগবে? আমি বলব একদম কিশোর পাঠকদের এই উপন্যাসটি পড়া উচিত৷ সে বুঝতে পারবে সে ফিল করতে পারবে আমাদের চারপাশের নানান শ্রেণীর মানুষ আর তাদের বিচিত্রিতা । কেননা এটিকে উপন্যাস বলা ভুল হবে, জীবনবোধ মানুষ পরিবেশ ইত্যাদি শেখার একটি মূল দলিল হিসেবে গণ্য হবে এই উপন্যাসটি৷

এবার আসি বইয়ের বাইরের কথা, শংকরের চৌরঙ্গী উপন্যাস অবলম্বনে উত্তম কুমার অভিনীত চলচিত্র নির্মিত হয়েছে ১৯৬৮ সালে। সেই চলচ্চিত্র বেশ ব্যপক সারা ফেলেছে। তারপর ২০১৯ সালের দিকে সৃজিত মুখার্জি করেছেন শাজাহান রিজেন্সি সৃজিত তৈরি করেছেন ১৮ সালের আধুনিকতার প্রেক্ষাপটে পটে। ১৯৬৮ সালের চৌরঙ্গী বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছিলো৷

আমার ব্যাক্তিগত ভাবে চৌরঙ্গী আসলে কেমন লেগেছে বলতে গেলে আমার রেটিং হবে চার দশমিক শূন্য পাঁচ। বেশ ভালো উপভোগ্য এবং শেখনীয় একটি বই এর তালিকায় শংকরের চৌরঙ্গী । আমি হলফ করে বলতে পারি আজকের তরুণ পাঠকদের মাঝে যদি সাহিত্য পড়ার ধৈর্য টা হয় তাহলেই চৌরঙ্গী সত্যি বেশ ভালো লাগবে৷

এই বইটি বেশ কয়েকটি প্রকাশনী মুদ্রণ করেছে দেখলাম, বাংলাদেশের ইউপিএল, কলকাতা আনন্দ দেজ আরো কয়েকটি, তাছারা এটি বাংলার পাশাপাশি হিন্দি তে ট্রান্সলেট হয়েছে এবং ইংরেজিতেও ট্রান্সলেট হয়েছে।

কথা আর বাড়াবো না লেখালেখির অভ্যাস টা আর আগের মতো নেই বই পড়ি কিন্তু আর লেখিনা তেমন, পাঠকদের বলবো পড়বেন লিখবেন বিশেষ করে শংকরের এই ধ্রুপদী উপন্যাস চৌরঙ্গী পড়ার বেশ চেষ্টা করেন আশা করি ভালো লাগবে৷।

বইয়ের নাম : চৌরঙ্গী
লেখক :শংকর।
জনরা : চিরায়ত উপন্যাস
প্রথম প্রকাশকাল : ১৯৬২।
প্রকাশনা : ইউপিএল বাংলাদেশ, দেজ পাবলিকেশন ভারত, আনন্দ পাবলিকেশন ভারত ।
Profile Image for Dyuti.
72 reviews305 followers
June 6, 2013
Has it ever happened to you that you, that you've got so used to something in your life that you wrongly assumed that you knew all its secrets, and there was nothing further to be explained? And then, one day found yourself face to face with an event which showed you how foolish you were to believe so? An event, which showed you that familiarity with an object or person does not necessarily mean the end of things to be discovered about each other, or new qualities to fall in love with again...

Well, it happened to me after I finished reading this book. It showed me that all that I assumed to know about Kolkata, about where I’d spent the last 21 years of my life, was nothing compared to the secrets which the city guarded close in her bosom, waiting to be unearthed. And, I fell in love, once again, with it’s beauty. Fell in love, once again, with it’s monstrosity. With its people, some selfishly cruel, some so noble that the world doesn't deserve them… All this through this book. Now, I got your attention, didn't I?

The author, Shankar, wrote this book in the 1950’s in a semi-autobiographical fashion. At some point in his life, he found himself out of work, and though educated, forced to sell wickerwork baskets to sustain himself. Yet, the city helps those who try, and soon found himself a job as a receptionist in one of the grandest hotels of the city, Hotel Shah Jahan. During his stay there, he faces a myriad of colourful characters, and he tells us their stories, as they slowly got linked to his life.

The writing is very strong, and moving. Some of the tales are so sad, that they’ll indeed touch you somewhere deep down. Most importantly, it managed to remind me once again, that we should think a thousand times, before judging someone else, for we do not know what pains they hide, and what joys they sacrifice…

I’ll definitely try to revisit the author once again. It was a beautiful experience, one that I wont forget in a jiffy. Highly recommended.

P.S: I read it in Bengali, but as I did not find that copy here on GR, had to mark the English one.
Profile Image for dianne b..
696 reviews174 followers
March 14, 2025
“As Sade has shown, God has given sleep to the unholy so that the innocent are not disturbed.”
(Would that have comforted me as an exhausted medical resident with a newborn daughter?)

A wondrous journey through stories told by a master storyteller. The setting is Calcutta, the 1950s, a luxurious hotel (the Shahjahan) and lives are intertwined through the book and through history. We are captured - at least I was - entirely. The City itself, its parks, (especially the Esplanade) in which the homeless sleep watched over by stony-eyed statues of Indian heroes of a sort, dark alleys, its fatuous rich, a magical city where the waters of the mighty Brahmaputra and Mother Ganges mingle a bit in the Hooghly before emptying eventually into the Bay of Bengal, is a minor character.

I learned of this author initially by reading a book of his, Treasury of Indian Tales - that I’d picked up while in Calcutta in 1998 (renamed Kolkata in 2001) and finally read in 2023. It was so engaging that I began to look for other English translations of his work.

If you let it set the tone, just take you there, this book is entirely enchanting, extraordinary.

Sankar’s poignant, surprising stories reminded me that each of us are a miraculous one-in-a-trillion shot.
From being the very gamete that made it to that other very gamete to create just exactly You/Me. Then surviving infancy, to realizing that whatever body we’ve got - it’s fantastic.
It’s the breathing, reading, living right one. Right now.

Because it’s our ship around this one delicious, dire, exotic, ridiculous and only moment we have on our fragile, tipping Earth.

Whether you’re sailing in a yacht or a leaky rowboat on this breezy sail - the clouds and the sky are the same. The spray is just as refreshing. And if you pay attention, you can see albatross from either craft just as well.

I don't look back, I'd rather fall in love with the rhythm, or jump in.
This book of stories reminded me how very glad I am that I’ve taken my own crazed circuitous journey.
It’s archaeological, dangerous and sexy - and the only way to find out who we are.
And absolutely no one else is necessary.

“‘Well, you have been doing just that all of your life, taking care of other people’s worries,’ I reminded him.
Putting his arm around my shoulder, he said, ‘How can you be “other” people?’
‘Those you think of as nearest to you will all become “others” one day,’ I told him.”
Profile Image for Nusrat Mahmood.
594 reviews729 followers
March 15, 2015
বইটা যেন ফুসফুসে এক ঝলক টাটকা বাতাসের স্বাদ দিল। এপার বাংলা-ওপার বাংলার লেখা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা সমর্থ করিনা তারপরও স্বীকার করে নিতে হয় ওদিকের লেখকদের একটা নিজস্বতা রয়েছে আমাদের মতোই। শংকর সাহেবের লেখার ধরনটি সেই গতানুগতিক ধারার বেশ বাইরে বলেমনে হচ্ছিলো প্রায়ই। আর হোটেল এর গল্প কেন জানি বরাবরই আমাকে বেশ টানে।আর পূর্বপুরুষের শহর কলকাতাকে একটা বিশেষ সময়ে চিনতে পারা, সেই সময়ের মানুষজনদের জানতে পারাটা তো সবসময়ই মনকে আনন্দ দেয়। বইয়ের সমস্তটুকু জুড়ে হোটেল শাহজাহান থাকলেও চৌরঙ্গী থেকে গল্প শুরু হয়ে আবার সেই চৌরঙ্গীতে এসে গল্প শেষ হওয়াটা বেশ ভাল লেগেছে।বলতেই হচ্ছে, প্রিয় বইয়ের তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি সৃষ্টি।
Profile Image for Daren.
1,557 reviews4,564 followers
November 25, 2018
As a fan of Indian fiction, while not a huge reader of fiction in general, I did enjoy this book. At the time I started reading I didn't know it was written in 1962, which is even more of a testament to the timelessness of the writing. I would not have been surprised to find it was relatively contemporary.

I generally avoid plot outlines in fiction reviews, but I am not sure how I would summarise it anyway, other than perhaps the retelling of a short period of time in the main characters life, where after losing his job, he finds a new job in the Shahjahan Hotel in Calcutta.
As much as it is Shankar's story, it is also the story of the Shahjahan Hotel.

The writing is well constructed, it is clever and the characters, while generally tragic, are interesting and engaging.

So there is is, one of the shortest reviews I have written in recent times!

4 stars.
Profile Image for Zaima Hamid Zoa .
64 reviews58 followers
June 29, 2021
চমৎকার একটা বই। শেষ করবার পর আমার মাথাটা একদম খালি হয়ে গেছে। আর বুকের মধ্যে কেমন একটা অদ্ভূত বিষণ্ণতা এসে ভর করেছে। আমার পড়া প্রিয় বইগুলোর একটা হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।
Profile Image for Megha Chakraborty.
300 reviews111 followers
December 18, 2019
My father recommended this book to me, he said you got to read Chowringhee once, it's very rare for him to suggest to me some book, and I had to thank him, this is a masterpiece. The narrator, Shankar, is an ambitious young man who finds himself out of a job with an English barrister and is barely surviving by selling wastepaper baskets door to door. As he sits in a neighborhood park, a detective friend Byron passes by, who is shocked by Shankar's descent into poverty. He tells Shankar that he can get him a job at the Shahjahan Hotel, one of the city's oldest and most venerable hotels, as the hotel manager is one of his clients.

With the help of Byron, Shankar gets the job and from here the journey starts, he is immediately befriended by Sata Bose, who also is his mentor and helps him survive his days in Shahjahan. What Shankar learns about the staff and of the guests in the hotel is the main theme of the book and provides a kaleidoscope of many individual stories and stories within stories, some entertaining, some very sad. The story slowly develops into an absorbing tale. There are no sudden twists and turns. Still, you do not lose interest.

The description of Calcutta is very nicely done and one can feel nostalgia if they have been to Calcutta.

Chowringhee is a bittersweet read, a lot of good stories that will stay with you even after when you are done reading. It richly and effectively portrayed the struggles, joys, and frustrations of the different strata of Calcutta.

Highly Recommended.
Happy Reading!
Profile Image for Pranta Dastider.
Author 18 books328 followers
January 28, 2018
যা শুন্যে শুরু তা বোধহয় শূন্যেই শেষ! শংকরের উপন্যাসটি পড়ে তাই উপলব্ধি হল। মানুষ বদলে যায় সময়ের প্রয়োজনে, কিংবা জীবনের তাগিদে। পিছে পড়ে থাকে শূন্য অনুভূতি।

ইতিপূর্বে শংকরের কোনও লেখা পড়িনি। কিন্তু প্রথমবার পড়েই গভীর ভাবে লেখার প্রেমে পড়ে গিয়েছি। মনে জায়গা নিয়েছে এক অনন্য শ্রদ্ধাবোধ। অবাক হয়ে ভাবছি- সত্যিই কি ৫০ বছর পূর্বে রচিত এই উপাখ্যান? নাকি কেউ জ্ঞানের সল্পতার সুযোগ নিয়ে প্রতারকের মত আধুনিক কোনও উপন্যাসকে সেকেলে সৃষ্টি বলে চালিয়ে দিচ্ছে! এত যুগো���যোগী লেখা, এ-তো আজকেরই কথা বলছে। আর অধিকাংশ বক্তব্য এবং জীবন বোধের সঙ্গে ক্রমাগত মাথা নেড়ে সায় জানাতে হয়েছে গুনমুগ্ধ পাঠকের মতো। সত্যিই! এই ম্যাজিক কি করে সম্ভব করলেন তিনি? একবার কাছে পেলে জিজ্ঞেস করতাম লেখককে। হয়তো অভ্যস্ত বিনয়ের হাসি উপহার দিয়ে এড়িয়ে যেতেন। অথবা, কথার জাদুকর অনেককিছু ভেবে, আটঘাট বেঁধে জাদুটি করেননি। প্রকৃতি তাঁর কলমের সঙ্গে যুক্ত করেছিল অনায়াস বিশ্লেষণ এবং বর্ণনার অভিজাত। তিনি কেবল তারই প্রয়োগ করেছেন মাত্র।

সে যাই হোক। ছোট করে বলতে গেলে জনৈক বেকার যুবককে উপজীব্য করে বেড়ে ওঠা "চৌরঙ্গী" উপন্যাসটি, প্রকৃত অর্থে নব্য আধুনা সমাজধারার কিছু স্পষ্ট ছবি। ছবিগুলো ফ্ল্যাশ ফ্লিমের পোলারয়েড ক্যামেরা দিয়ে ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে তুলে ফেলা হয়েছে এবং হাতেগরম উপস্থাপন করা হয়েছে। অতি আধুনিক, কিংবা বাড়তি কারুকার্যে সক্ষম ডিএসএলআর ক্যামেরা কিংবা কোনও বহুমূল্য প্রাইম লেন্সের ধারেপারেও যাননি লেখক। কেবল দেখিয়েছেন সোজাসাপটা ছবিগুলো।

এক অর্থে "চৌরঙ্গী" বহুবিধ ট্র্যাজেডির একীভূতকরণ। গল্প অসংখ্য দীর্ঘশ্বাসের জন্ম দিয়েছে বুকে। কিছু কিছু চরিত্রের পরিনতির জন্য এতটাই খারাপ লেগেছে যতটা হয়তো তাদের আপনজনের পক্ষেই লাগা সম্ভব। বোসদা, নিত্যহরি, কনি, করবী, মিসেস পাকরাশী, আগরওয়ালা, মার্কোপোলো, রোজি, উইলিয়াম, মিত্রদি, বায়রন সাহেব, ফোকলা চ্যাটার্জি, কিংবা সুরসাধক গোমেজ, এরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে এক একটি দীপ্তিমান মশালের মতই জাগ্রত। নারী-পুরুষ উভয় চরিত্রের সক্ষম উপস্থাপন করেছেন লেখক শংকর। বর্ণনা পড়ে মনে হয়েছে তারা কতদিনের চেনা-জানা। মাঝে মধ্যে ক্লান্তিকর রাতে হয়তো দাঁড়িয়ে পড়েছি শাজাহান হোটেলের রিসিপশনে, কিংবা চলে গেছি খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা গর্বিত ছাদের উপর। সেখানে জীবন রহস্যের হিসেব বুঝে নিয়েছি কোনও এক চরিত্রের নির্নিমেষ দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একাত্ম হয়ে।

নাহ, প্রশংসা শেষ করা সম্ভব নয়। শংকরের লেখা এতদিন পড়িনি দেখে আফসোস হয়নি একবারও। কেবল মনে হয়েছে উপযুক্ত সময়ে এই বইটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। এর থেকে আগে পড়লে বোধহয় কেবলমাত্র একখানি উপন্যাস পাঠের আনন্দ পেতাম; কিন্তু, সামগ্রিক যাত্রাপথের অভিজ্ঞতার বিষয়টা থেকে যেত পর্দার আড়ালে। অনেককিছুই হয়তো বুঝতে ব্যর্থ হতাম বয়স কিংবা অভিজ্ঞতার অপূর্ণতার কারণে। হয়তো এখনও অনেকটা বোঝার বাকি। কিন্তু যেটুকু বুঝতে পেরেছি, আপাতত আমি তাতেই তৃপ্ত।

বাংলা সাহিত্যের আরও একজন লেখককে পাঠক মনে একটি পাকাপাকি প্রিয় আসন তৈরি করে দিতেই হল। আসন সংখ্যা বেড়ে চলেছে ক্রমশ। তাতে ক্ষতি নেই, কেবল আছে বাড়তি লাভের প্রশ্রয়।
Profile Image for Shom Biswas.
Author 1 book49 followers
May 8, 2023
Here's the thing. If one is reading a translated book, narrative fiction works far better in translation than character sketches and language-novels. Ergo, a nice, pacey narrative like Chowringhee (which one might call a lesser novel) often works far better in translation than novels that native-language readers (like me) proclaim "দুটো নোবেল পাওয়া উচিত ছিল এই বইটার জন্যে" [i.e. the writer should have won two Nobel Prizes for this novel].
Transcending one's milieu in translation, I feel, is a difficult task. That level of universality is rare.

But anyway, to Chowringhee. I had read it when I was small, and liked the experience if not the ending (I like my endings less bleak, there's no shame in admitting). I had seen and liked the movie based on the book (a charming, much-abridged version, available on Netflix or Amazon Prime - and recommended. Lots of extremely good-looking people in a classically Bengali way).
I re-read the book recently (no, not in translation. I can still read very well in Bengali, thank you very much - though Arunava Sinha's translation is very good, friends say), and, jumping pages, chapters, and entire sections, quite enjoyed the read.

It's a fine narrative novel. A tad maudlin and theatrical, but essentially good enough. I think it should read better in translation - aside from the simple language and flowing narrative, it is also very descriptive of the places and people that inhabit the story (a characteristic that slows down a novel in the native language by over-describing known patterns; but benefit a translated work written for the lay-reader unaccustomed to the milieu, for the same reason).

Recommended, especially for non-native Bengali readers.
Profile Image for Tiyas.
445 reviews120 followers
August 15, 2021
That day, when the clouds were mercilessly pouring upon the dry and oft - trodden pathways of The City of Joy. Sankar, standing in a bookstore, was casually flipping through the pages of a book, when few lines caught his eyes. Visibly shaken, he looked up to find the silhouette of the famous Grand Hotel, bravely resisting the ravaging downpour, on the other side of the street.

And just like that, 'Chowringhee' was conceived.

The story is about 'Shahjahan Hotel'. An Incarnation of grandiose. Our main protagonist, almost akin to a flesh and blood human being. And the vibrant set of characters, we come to hate and love over the course of the long journey, serve as it's beating heart. Sankar himself is the narrator. And the book is a banquet of stories witnessed through his eyes. In a labyrinth, where deceit is the usual norm and where tenderness is found in the most unexpected places.

Easy language. Capacity to draw an usual reader in. Memorable characters. Satisfying story arcs. A timid yet leisurely pace. The glitters and facades of high society. A tale of poignancy. Contributes together to make this almost 450 page ride as comfortable as it gets. A striking example of how to mesh the nuances of popular fiction into well written literature.

Initially labelled pulpy and for the masses. 50 years, 120 editions, English, French, Italian translations later, "Shahjahan's untiring red lights are still flickering", without losing a single beat.

While we celebrate the book for all its greatness, one needs to go back to the lines Sankar read on that fateful day,

'Our life is but a winter's day :
Some only breakfast and away ;
Others to dinner stay and are full fed ;
The oldest man but sups and goes to bed ;
He that goes soonest has the least to pay.'
Profile Image for Elisabetta.
437 reviews61 followers
March 2, 2019
Molto interessante questo libro autobiografico.
Racconta uno spaccato di vita molto particolare, anzi dovrei dire, racconta molte le vite che si aggirano intorno allo Shahjahan Hotel, a partire dal titolare, la ballerina, la ragazza che "intrattiene" e tutti i vari dipendenti di questo sfavillante hotel di lusso.

Le differenze della vita, fuori e dentro l'hotel sono evidenti e impressionanti ed è stato davvero interessante conoscere le storie di tutti i personaggi, tuttavia il libro non è coinvolgente.
Lo stesso scrittore ammette diverse volte nel corso del romanzo di non essere uno scrittore che riesce a trasmettere emozioni, e quindi non è stato una sorpresa la mancanza di coinvolgimento, tuttavia mi è dispiaciuto molto.
Un po' di sentimento è l'unica cosa che manca a questo romanzo altrimenti molto bello.
Profile Image for Smitha Murthy.
Author 2 books414 followers
September 16, 2020
This was the second book I read this year that was set in a hotel. Unlike Amor Towles, Sankar had me a bit more interested in the fishbowl but all-encompassing world of a hotel.

Bit by bit, Sankar uses each of the characters in ‘Chowringhee’ to express his views on life and humankind. It becomes depressing and melancholic toward the end, but not in a bad way. It’s just a life way.

I didn’t like this as much as ‘The Middleman,’ and I took unusually long to finish it. But this is a lovely look at Kolkata and I will remember Hotel Shahjahan for a while to come.
Profile Image for Injamamul  Haque  Joy.
100 reviews115 followers
January 23, 2024
ঢাকা বা কলকাতার মত সেন্ট্রালি ওরিয়েন্টেড সিটি বললে আমাদের চোখে সামনে কমন যেই চিত্রটা ভেসে ওঠে, সাধারণ মানুষের জীবিকার জন্য ঘুরে বেড়ানো, সেটারই গল্প এটা। একজন শক্তপোক্ত লোকের ভাগ্যের জেরে তার আইনি জলসা ছেড়ে শাজাহান হোটেলে ওঠা ও কলকাতার আনাচে কানাচে স্ট্রাগলের গল্প সার্কাজমলি বলেছেন লেখক শঙ্কর। আর সাথে কাচ্চির আলুর মত ভিন্টেজ কলকাতার ভিন্টেজ বর্ণনা<:3

অসাধারণ!
Profile Image for তানজুম ফেরদৌস.
56 reviews5 followers
Read
May 2, 2025
"পৃথিবীতে সবচেয়ে বড়ো প্রহসন হলো মানুষের জীবন। যেখানে প্রতি মুহূর্তে আমরা নিজেদের আসল পরিচয় লুকিয়ে বাঁচি।"

"আসলে ভয়টা মৃত্যুর নয়, ভয়টা হল না-বাঁচার।"

'কতো অজানারে' এরপর 'চৌরঙ্গী' পড়া.....
"চৌরঙ্গী" ষাটের দশকের কলকাতার সাহেবপাড়ার এক ঝলমলে হোটেলের আড়ালে লুকানো বহু মানুষের জীবনকথা। শংকরের সরল চোখে দেখা হোটেলের কর্মচারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন বোর্ডারদের আশা-আকাঙ্ক্ষা, প্রেম, বিরহ এবং জটিল সম্পর্কের এক মনোগ্রাহী চিত্রায়ণ এই উপন্যাস। মার্কোপোলোর রহস্যময়তা, করবীর অস্পষ্ট অতীত, স্যাটা বোসের সংবেদনশীলতা – প্রতিটি চরিত্রই জীবন্ত এবং তাদের ব্যক্তিগত গল্প মিলেমিশে এক সময়ের কলকাতা�� প্রতিচ্ছবি তৈরি করে......

সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ভারতীয় বাংলা সিনেমা 'শাহজাহান রিজেন্সি' (২০১৯) শংকরের এই 'চৌরঙ্গী' উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।
Profile Image for Preetam Chatterjee.
6,141 reviews317 followers
March 28, 2025
চৌরঙ্গী: কাঁচের ভিতর বহমান জীবন:

"সকলেই চায় রাজত্ব করতে, কিন্তু ক'জন পারে রাজা হতে?" — শঙ্খ ঘোষ

শংকরের ‘চৌরঙ্গী’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য সৃষ্টি, যেখানে কলকাতার পাঁচতারা হোটেলের ভিতরকার জগৎ ও মানুষের সম্পর্কের জটিলতা ফুটে উঠেছে।

উপন্যাসটি কেবল এক কর্মচারীর চোখ দিয়ে দেখা বিলাসী জীবনের চিত্র নয়, বরং এটি একটি সমাজদর্শন যেখানে শ্রেণি, প্রেম, লোভ, ব্যর্থতা ও কপটতার সম্মিলন ঘটেছে।

"অন্ধকার জানে, কারা তার সঙ্গী,
আলো জানে, কারা তার অচেনা।"

শংকর এই উপন্যাসে মূলত হোটেল শাহজাহান-এর পর্দার আড়ালের গল্প বলেন। হোটেলের এক প্রাক্তন কর্মচারী শতদল, যার চোখ দিয়ে পাঠক এই স্বপ্নময় অথচ নিষ্ঠুর জগতের সন্ধান পান। রাজাদের রাজত্ব এখানে কাঁচের দেয়ালে বন্দি, আর ক্ষমতার লোভ এক অভিনব নাট্যরূপ নিয়ে আসে। শতদলের সরল দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে আমরা ধীরে ধীরে বুঝতে পারি, সমাজের উচ্চস্তরের মানুষরাও আসলে কতটা দুর্বল, কতটা অভিমানী।

"এই শহর একদিন আমাকে গ্রাস করবে
তার আলোয়, তার ছায়ায়, তার ভিড়ে।" — বিনয় মজুমদার

উপন্যাসের চরিত্ররা বাস্তবতার একেকটি স্তরকে উপস্থাপন করে। মার্কো পোলো, সিন্ধু, আদি নাথ এবং অন্নদা— প্রত্যেকেই সমাজের নানা রূপ ও অসঙ্গতির প্রতিচ্ছবি। মার্কো পোলো, যিনি হোটেলের ম্যানেজার, তাঁর জীবন অভিজ্ঞতা যেন এক চলমান মহাকাব্য। আবার সিন্ধুর মতো চরিত্র স্বপ্ন ও বাস্তবের সংঘর্ষে নিঃশেষিত হয়, যা উপন্যাসটিকে আরও গভীরতা দেয়।

"সব দাগই মুছে যায়, যদি তুমি সঠিক আলো পাও।" — সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

শংকরের ভাষা এবং লেখনীর দক্ষতা এই উপন্যাসের প্রাণ। তাঁর লেখায় কাব্যময়তা থাকলেও তা অতিরিক্ত নয়। চরিত্রদের সংলাপে, বিবরণে ও হোটেলের চিত্রণে একধরনের বাস্তবতাবোধ আছে, যা পাঠকের মনে গভীর রেখাপাত করে। তিনি বর্ণনার মধ্যে নাটকীয়তা আনার যে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, তা বাংলা সাহিত্যে বিরল।

"আমি কি সত্যি একা? না, আমি নিজেকে বহন করছি।" — শক্তি চট্টোপাধ্যায়

শেষ পর্যন্ত ‘চৌরঙ্গী’ শুধুই এক হোটেলের গল্প নয়, এটি আসলে জীবনের প্রতিচ্ছবি। এখানে স্বপ্ন আছে, ব্যর্থতা আছে, প্রতারণা আছে, এবং আছে এক নির্মম বাস্তবতা, যা সমাজের নানা স্তরের মানুষকে একই সুতোয় বেঁধে রাখে। শংকরের এই উপন্যাস আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, কারণ মানুষের লোভ, আশা ও হাহাকার কখনও বদলায় না।

তাই ‘চৌরঙ্গী’ শুধু কলকাতার বিলাসবহুল হোটেলের আড়ালে থাকা রহস্য নয়, এটি সময় ও সমাজের দলিল, যা কালের সীমা পেরিয়ে আজও পাঠকের মন জয় করে চলে।

কী বললেন? পড়েননি এই উপন্যাস ? পাপ করেছেন মাইরি। জোগাড় করে পড়ে ফেলুন।
Profile Image for Gorab.
838 reviews150 followers
abandoned
January 22, 2020
DNF at 25%
Couldn't strike a connection with plot or prose, or any of the characters.
Too many interlinked stories, which didn't appear interesting. And it keeps on swirling in more stories and characters. Which didn't work good with me.
Profile Image for Anjum Haz.
279 reviews69 followers
October 1, 2021
"Wealth, women and wine can make anything happen in this world."

মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে কেটে গেল কয়েকটা দিন। চৌরঙ্গী পড়তে পড়তে। চৌরঙ্গীর শাজাহান হোটেলটা যেন পৃথিবীর একটা স্যাম্পল, এমন একটা স্যাম্পল যেখানে সমাজের বিত্তবানরা পায়ের ধুলো দেন, বিত্তকে এক্সচেঞ্জ করেন নারীর মোহে কিংবা আকণ্ঠ মদে।

শাজাহান হোটেলের রিসেপশনিস্ট এর চোখ দিয়ে এ যেন পৃথিবীরই এক সারসংক্ষেপ। লেখার ভঙ্গি এমন— পাঠক নিজের অজান্তেই কখনো শাজাহান হোটেলের বারে, কখনো রেস্তোরাঁয়, কখনো দুই নম্বর সুইটে বিহ্বল হয়ে উপভোগ করছে রঙ্গমঞ্চের দৃশ্য।

ষাট শতকের চৌরঙ্গী আরো পুরনো ইতিহাসকেও টেনে এনেছে। কলকাতা তখন কেবল ব্রিটিশ মুক্ত হয়েছে। কিন্তু তার রন্ধ্রে-রন্ধ্রে ততক্ষনে পাশ্চাত্যের কালচার স্থায়ী বাসা বেঁধে ফেলেছে। আমরা তখন কেবল বিলিতি নেশায় মত্ত হতে শুরু করেছি।

ডিম্পল স্কচ, হোয়াইট লেডি, প্যারাডাইস, সিলভার গ্রেড, মস্কো মিউল, ম্যানহাটান ককটেল, স্পার্কলিং রেড হক— দারুণ আকর্ষণীয় নামের মদগুলো সাথে পরিচয় হওয়া খুব জরুরি, সমাজের উঁচু শ্রেণীর কাতারে দাঁড়াতে গেলে।
বক্ষে সুধা এবং হস্তে সুরাপাত্র নিয়ে ইংলন্ডের অষ্টাদশীরা সুয়েজখাল কাটার পর থেকেই কলকাতায় আসতে লাগলেন।

হে মিস্, হুইস্কি সরাব, ব্লাতি পানি লে আও— ভীষণই ডিমান্ড কাস্টমারদের।

কলকাতা আধুনিকতাকে ধারণ করলো, কিন্তু সে কেবল সন্ধ্যে সাতটা থেকে রাত বারোটার জন্য।
শাজাহান হোটেলের বারে তোমার এই মিষ্টি হাসি দেখবার জন্য যাঁরা সাধ্যসাধনা করেন, রাস্তায় বেরিয়ে তারাই অন্য মানুষ হয়ে যান। তাঁদের সমাজ আছে, হিন্দুদের থেকেও কড়া সামাজিক আইন আছে, সেখানে রাত-জেগে-মদ-বিক্রি-করা মেয়েদের কোন স্থান নেই।

চৌকাট লেখনিতে শংকর কটাক্ষ করেছেন এই পৃথিবীকে—
সেদিন মনে হয়েছিল, বিধাতার সৃষ্টি-পরিকল্পনায় পুরুষকে তিনি অনেক ভাগ্যবান করে সৃষ্টি করেছেন। নারীর স্রষ্টা যে-বিধাতা, তিনি আর যাই হোন, সমদর্শী নন।

বাইরে এসে দেখলাম, আরও গাড়ি আসছে। বুড়ো গাড়ি থেকে ছোকরা নামছে, ছোকরা গাড়ি থেকে বুড়ো নামছে। পুরুষ কলকাতার নির্যাস যেন আমাদের এই শাজাহান হোটেলে ভিড় করছে। আর, আমরা সেখানে বসে আছি যার দু'মাইল দূরে একদা রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। অরবিন্দ, সুভাষচন্দ্র ভারত সন্ধানে আত্মনিবেদন করেছিলেন। উইলিয়ম জোন্স প্রাচ্যবাণীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ডেভিড হেয়ার ছেলেদের লেখাপড়া শিখিয়েছিলেন।

"নগরীর মহৎ রাত্রিকে তার মনে হয়
লিবিয়ার জঙ্গলের মতো।
তবুও জন্তুগুলো আনুপূর্ব—অতিবৈতনিক,
বস্তুত কাপড় পরে লজ্জাবশত।"

নাচের প্রাগৈতিহাসিক ছন্দ যেন দামামা বাজিয়ে রাতের অতিথিদের অন্তরের পশুটাকে জাগিয়ে তুলছে। বাধাবন্ধহীন সে অরণ্য শক্তির কোট-প্যান্ট-টাই-এর খাচা ভেঙে এই মুহূর্তেই বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইছে।

"ভগবান? ওর নাম করবেন না, মশাই। ঘেন্না ধরে গিয়েছে। উনিও আরেক গবরমেন্ট। ঠিক গবরমেন্ট অফিসের মতো ওঁর কাজ কারবার। ওরঁ আপিসে যদি কোনোদিন যান, দেখবেন হাজার হাজার পিটিশন রোজ এসে জমা হচ্ছে। ভগবানের কর্মচারীরা সব 'নো অ্যাকসন, মে বি ফাইলড' লিখে ফাইলে ঢুকিয়ে রাখছে। কস্মিন্ কালে কেউ কোনোদিন সে-সবে হাত দেয় না।"


এই জায়গাটা পড়ে কেন জানি মনে পড়েছিল পদ্মানদীর মাঝি'র ওই ডায়লগটা— ঈশ্বর থাকেন ওই ভদ্রপল্লিতে, এখানে তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

বইটা নিয়ে জেনেছিলাম গুডরিডসে রিজাল ভাইয়ের আপডেট দেখে। ঘাটাঘাটি করে মনে হলো, এ বই ভালো না হয়ে যাবে না। এক মাসের প্রতীক্ষা শেষে বই এসে পৌঁছুলো আমার হাতে। তারপর সময় কেমনে কেটে গেল। শেষের দিকে খানিকটা বিষণ্ণ বোধ করছিলাম, প্রিয় বই শেষ করতে মন চায় না।



কনি 'দ্য উয়োম্যান' এর কথা মনে থাকবে, মনে থাকবে সরাবজি'কে, সাদারল্যান্ডের ভারত ভ্রমণ, ন্যাটাহরিবাবুর এক্সট্রা বালিশ, মনে থাকবে স্যাটা বোস নামের একজনার সত্যসুন্দর‌ ব্যক্তিত্ব।

প্রিয় আরেকটা কোটেশন দিয়ে শেষ করি—
কর্পোরেশনের বিনা পয়সার বিতাড়িত আলো শালপাতার উপর এসে আটকে গেছে। তার তলায় অন্ধকার। আর সেই অন্ধকারেই যেন ঘুমিয়ে রয়েছে আমার ভারতবর্ষ।
Profile Image for DEHAN.
275 reviews82 followers
January 20, 2019
চৌরঙ্গী পড়ে শেষ করলাম।
পিডিএফে পড়া শুরু করেছিলাম বহু আগে... সেই সেপ্টেম্বরের একুশ তারিখে। একশো এগারো পৃষ্ঠা পড়ার পর বইয়ের অক্ষর গুলো বেশ অস্পষ্ট ছিলো তাই বাদ দিয়ে রেখে দিয়েছিলাম, জীবনে কখনো কোন বইয়ের অর্ধেক সফটকপি অর্ধেক হার্ডকপি পড়ি নি...এইবার টার্গেট ছিলো বাকি টুকু যদি পড়ি তাহলে হার্ডকপিতেই হবে নয়তো এই বই পড়া আর শেষ করবো না।
তারপর আমার শাজাহান হোটেলে কেটে গেছে অনেকগুলো দিন....
এক সময় চৌরঙ্গী হার্ডকপি জোগাড় করলাম। পড়লাম।
এই একটু আগেই লেখক রে নতুন ম্যানেজার জবাব দিয়ে দিলে। যেন মনে হলো লেখক একা না লেখকের সাথে প্রতিটি পাঠককেও জবাব দেওয়া হয়ে গেছে...
"তোমাদের আর প্রয়োজন নেই"
কি আর করা! এক ধরনের মিশ্র মানসিকতা নিয়ে গভীর রাতে লেখকের পিছে পিছে শাজাহান থেকে বের হয়ে আসলাম।
নির্জন রাস্তায় একজন বরখাস্ত কর্মচারী আর একজন বরখাস্ত পাঠককে ব্যঙ্গ করার জন্য শাজাহানের নিয়ন লাল আলো জ্বলছে আর নিভছে।
Displaying 1 - 30 of 306 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.