Jump to ratings and reviews
Rate this book

হিমু #20

হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী

Rate this book
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বৃষ্টিস্নাত রজনীতে ঢাকা নগরীতে হিমু ছাড়াও একজন মানুষ ঘুরে বেড়ায়। সে অন্যদের চেয়ে উচ্চতায় লম্বা। অন্ধকারেও তার চোখে থাকে কালো চশমা। হাতে ধবধরে শাদা গ্লাভস। এরা মানুষের খুব কাছে কখনো আসে না দূরে দাঁড়িয়ে পাখির মত শব্দ করে। হিমু এদের নাম দিয়েছে পক্ষী মানব।

এক বৃষ্টিস্নাত রাতে হিমু বের হয়েছে পক্ষীমানবের সন্ধানে, তার সঙ্গে আছে একজন রাশিয়ান পরী।

ভূমিকা
আমাদের কালচারে অনুরোধে ঢেঁকি গেলার ব্যাপারটা আছে। লেখালেখি জীবনের শুরুতে প্রচুর ঢেঁকি গিলেছি। শেষের দিকে এসে রাইস মিল গেলা শুরু করেছি। “হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী” তার উদাহরণ। বৎসরে আমি একটাই হিমু লিখি। বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হচ্ছে বলে দু’জন হিমু। একজন মাঠে বসে খেলা দেখবে অন্যজন পথে পথে হাঁটবে।

হুমায়ূন আহমেদ
নুহাশপল্লী

94 pages, Hardcover

First published February 1, 2011

51 people are currently reading
1155 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,910 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
301 (17%)
4 stars
475 (27%)
3 stars
610 (35%)
2 stars
251 (14%)
1 star
95 (5%)
Displaying 1 - 30 of 50 reviews
Profile Image for Aishu Rehman.
1,093 reviews1,079 followers
January 27, 2019
হিমু সিরিজের প্রায় সব বইয়ের মতই এই বই আপনাকে হাসাবে। কিছু একটা শিক্ষা দিবে। কিন্তু সেই শিক্ষাটা আপনি ধরতে পারবেন না। ধরতে পারলেও পছন্দ হবেনা। বইটা একবার মনে হবে অর্থহীন। আবার কখনো এটা অসাধারণ। সবমিলিয়ে খুব ভাল একটা বই। বইটা খুব সম্ভবত আপনার পড়া উচিত।

তানিজের মত একটা ছোট বোনের অভাব যেমন ফিল করেছি তেমনি মাজেদা খালার মত একজনকেও শ্রদ্ধা করতে চেয়েছি পুরোটা সময়। দেখা করতে মন চেয়েছে আবুল কালামের মত পুলিশ অফিসারের সাথেও। সেই সাথে মন চেয়েছে ইছহাকের মত কারো সাথে দেখা সাক্ষাৎ হোক।
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
October 30, 2022
এত সাবলীল লেখা কিন্তু খাপছাড়া লেখা। ওদিকে খাপছাড়া হলেও ভালো লাগে নাই সেইটা বলতে পারতেছি না। আমার এই সিরিজের আগের বইগুলার মতো ভালোও লাগে নাই। মানে, সব মিলায়ে পুরাই এক বিড়ম্বনা। ঠিকই আছে, এই না হইলে হিমু? তবে, এটা সত্যি কথা, হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম, চলে যায় বসন্তের দিন, সে আসে ধীরে, ময়ূরাক্ষী যেমন ভালো লেগেছিলো এ বই মোটেও সেই লেভেলের না।

মজা লাগছে, ইটা বিছায়ে খাবার পরিবেশন করা হয় দেখে সে রেস্টুরেন্টের নাম ইটালিয়ান রেস্টুরেন্ট :D
Profile Image for আহসানুল শোভন.
Author 39 books91 followers
December 15, 2021
এবার মাজেদা খালা মেতেছেন এক রাশিয়ান মেয়েকে নিয়ে, যে কিনা জন্মসূত্রে আমেরিকান। তার উদ্দেশ্য, হিমুর সাথে মেয়েটির বিয়ে দেবেন। যথারীতি হিমু মেয়েটিকে বিয়ে করবে না, কিন্তু বিয়ে না করলেও জল ঘোলা করার কিছু বাকি রাখবে না। হিমুর অন্যান্য বইগুলোর মতো এটিও মোটামুটি। সময় কাটবে, কিন্তু মনে দাগ কাটবে না।
Profile Image for Sumaiya Akhter  Lisa.
83 reviews
December 8, 2020
আমি যদি বলি হিমুকে আমার খুব বেশি ভালো লাগে না আপনি কি আমাকে মারতে আসবেন?
হিমুকে লেখকের লেখা একটা চরিত্র থেকে বেশি কিছুই কখনই মনে হয় না।
এইযে হলুদ পাঞ্জাবীর খালি পায়ে হাঁটা হিমু তার প্রেমে আমি পড়িনি।
আর আশা করছি আমার এই সীমিত ভালো লাগায় জাতির হাতে, পায়ে, মাথায়, কোমরের জয়েন্টে কোথায় কোন ব্যথা নাই।
শান্তি।
Profile Image for Abdus Sattar Sazib.
259 reviews15 followers
March 13, 2021
হিমু চরিত্রের আসল নাম হিমালয়। এ নামটি রেখেছিলেন তার বাবা। লেখক হিমুর বাবাকে বর্ণনা করেছেন একজন বিকারগ্রস্ত মানুষ হিসেবে; যার বিশ্বাস ছিল ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা যায় তবে একইভাবে মহাপুরুষও তৈরি করা সম্ভব। তিনি মহাপুরুষ তৈরির জন্য একটি বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন যার একমাত্র ছাত্র ছিল তার সন্তান হিমু।
হিমুর পোশাক হল পকেটবিহীন হলুদ পাঞ্জাবী। হলুদ বৈরাগের রঙ বলেই পোশাকের রং হলুদ নির্বাচিত করা হয়েছিল। ঢাকা শহরের পথে-পথে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম। উপন্যাসে প্রায়ই তার মধ্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার প্রকাশ দেখা যায়। যদিও হিমু নিজে তার কোন আধ্যাত্মিক ক্ষমতার কথা স্বীকার করে না।
হিমুর আচার-আচরণ বিভ্রান্তিকর। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার প্রতিক্রিয়া অন্যদেরকে বিভ্রান্ত করে, এবং এই বিভ্রান্ত সৃষ্টি করা হিমুর অত্যন্ত প্রিয় একটি কাজ। প্রেম ভালবাসা উপেক্ষা করা হিমুর ধর্মের মধ্যে পড়ে। কোন উপন্যাসেই কোন মায়া তাকে কাবু করতে পারে নি। মায়াজালে আটকা পড়তে গেলেই সে উধাও হয়ে যায়। হিমু উপন্যাসে সাধারণত হিমুর কিছু ভক্তশ্রেণীর মানুষ থাকে যারা হিমুকে মহাপুরুষ মনে করে। এদের মধ্যে হিমুর ফুপাতো ভাই বাদল অন্যতম। মেস ম্যানেজার বা হোটেল মালিক- এরকম আরও কিছু ভক্ত চরিত্র প্রায় সব উপন্যাসেই দেখা যায়।
এছাড়াও কিছু বইয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাস সৃষ্টিকারী ও খুনি ব্যক্তিদের সাথেও তার সু-সম্পর্ক ঘটতে দেখা যায়। হিমুর একজন বান্ধবী রয়েছে, যার নাম রূপা; যাকে ঘিরে হিমুর প্রায় উপন্যাসে রহস্য আবর্তিত হয়। নিরপরাধী হওয়া সত্ত্বেও সন্দেহভাজন হওয়ায় হিমু অনেকবার হাজতবাস করেছে এবং বিভিন্ন থানার ওসি ও সেকেন্ড অফিসারের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে।

হিমু বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় ও কাল্পনিক। নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। হিমু ও মিসির আলি হুমায়ুন আহমেদ সৃষ্ট সর্বাধিক জনপ্রিয় দু’টি কাল্পনিক চরিত্র। উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙালি তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
Profile Image for Md Suny.
66 reviews
July 9, 2020
গল্পটা ভালো লেগেছে, কিন্তু কেন ভালো লেগেছে তা বুঝতে পারছি না। হয়ত রাশিয়ান পরীর এখানে একটা ভূমিকা রয়েছে।
Profile Image for Cyn Shrink.
116 reviews
May 1, 2016
Deserves 2 star for Himu's as usual nature but the story has nothing new. I felt I was rereading "তোমাদের এই নগরে" .
Profile Image for Rizal Kabir.
Author 2 books45 followers
October 4, 2018
আমার কেন জানি বইয়ের নামটা পছন্দ হয়নাই। এই কারণেই খুব সম্ভবত এতদিন পড়া হয় নাই।
তবে বইটা ভাল, বেশ ভালই বলতে হয়। জাদুকরের কিছু কিছু লাইন একদম বুকে গিয়ে লাগলো যথারীতি।
Profile Image for Bubun Saha.
193 reviews6 followers
March 5, 2022
হিমুর আরেকটা দুর্বল গল্প বলে মনের হলো
Profile Image for Fårzâñã Täzrē.
274 reviews19 followers
June 19, 2025
মাজেদা খালা গলা নামিয়ে, প্রায় ফিসফিস করে হিমুকে বললেন, পরী দেখবি?

হিমু বলল, কি রকম পরী?

ডানাকাটা পরী।

হিমু বলল, ডানা কা*টার ঘা শুকিয়েছে, না-কি ঘা এখনো আছে? শরীরে ঘা নিয়ে ঘুরছে, এমন পরী দেখব না।

মাজেদা খালা বিরক্ত মুখে বললেন, তুই কি সহজভাবে কোনো কথা বলতে পারিস না। ডানাকাটা পরী দেখতে চাস না-কি চাস না? হ্যাঁ কিংবা না বল।

ডানাওয়ালা কিংবা ডানাকাটা কোনো ধরনের পরী ই হিমুর দেখতে ইচ্ছে করছে না। খালাকে খুশি করার জন্যে হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো সে।


খালা তখন হিমুর সামনে 3R সাইজের একটা ছবি রেখে বললেন, এই দেখ ডানাকাটা পরী। এবং যেনতেন পরী নয় রাশিয়ান পরী। মাজেদা খালার ইচ্ছে হিমুর সাথে এই পরীর বিয়ে হোক। পরী বাংলাদেশে আসবে সামনের সপ্তাহে ছবি তোলার প্রজেক্ট নিয়ে।

হিমু বিয়ের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে খালু সাহেবের স্যুট টাই উপহার পেল। স্যুট টাই পরে খালি পায়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তানিজার সাথে পরিচয়।তানিজার মা অবশ্য বিরক্ত কারণ হিমু ওদের পিছু পিছু যাচ্ছে। তানিজাদের বাসার সামনে জুতা নিয়ে লেগে গেল গন্ডগোল। সেখান থেকে হাজতে পাঠানো হয়েছে আলম নামের একজনকে। অবশ্য এই গন্ডগোল হিমুর কীর্তি বলাই বাহুল্য।

থা*নায় গিয়ে আলম লোকটার সাথে হাজতে ঢুকলো হিমুও। অবশ্য সন্ধ্যার দিকে তারা তিনজনই ছাড়া পেল। আলম এবং আরেক বালক হাজতি কাদের হিমুর মেসে থাকতে এলো। কাদের ঘোষণা করল সে বাকি জীবন হিমুর সঙ্গে থাকবে। হিমুর সেবা করবে। গা হাত পা টিপে দিবে।

আলম এই জাতীয় কোনো কথা বললেন না। তবে তিনি জানালেন যে তিনিও এই মেস বাড়িতে থাকবেন। তার আগের ঠিকানা সেখানে তার মুখ দেখানোর অবস্থা নেই। মেসে অনেক টাকা বাকিও পড়েছে, কাজেই এখানে আপাতত।

সেই রাশিয়ান পরী এলিতা বাংলাদেশে এসেছে। গাড়িতে হিমুর কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। হিমু তুৰ্গেনিভের এক উপন্যাস পড়েছিল, “যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থাতে সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী।” এলিতাকে প্রকৃত রূপবতী বলা যেতে পারে। রবীন্দ্ৰনাথ ইয়েলো ক্যাবে উপস্থিত থাকলে বিড় বিড় করে বলতেন–

"দেখিনু তারে উপমা নাহি জানি
ঘুমের দেশে স্বপন একখানি,
পালঙ্কেতে মগন রাজবালা,
আপন ভরা লাবণ্যে নিরালা।"

এই এলিতা এক ব্রোকেন পরিবারের মেয়ে। ওর বাবা স্কুলের ফুটবল কোচ ছিলেন। ম*দখোর হবার কারণে তার চাকরি চলে যায়। চরম অর্থনৈতিক সংকটে এলিতা এবং তার মা দিশাহারা হয়ে যায়। ওর মা সমস্যার সুন্দর সমাধান করেন। তিনি এলিতার বাবার এক বন্ধুর সঙ্গে গৃহত্যাগ করেন। এলিতাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় ফোস্টার পিতামাতার কাছে।

সেখানেও সব কাল হয়ে দাঁড়ায়। তের বছর বয়সে তার জীবনে ঘটে যায় দূর্ঘটনা। এলিতা জীবন অন্য সবার থেকে তাই আলাদা। এমন একটা মেয়ে যে হৃদয়কে কঠিন রাখতে পছন্দ করে আপনাদের কী মনে হয় হিমুর প্রেমে পড়তে পারে? শেষটা কী হয় দেখা যাক।


🏏পাঠ প্রতিক্রিয়া 🏏

হুমায়ূন আহমেদের হিমু আসলে রিডিং ব্লক কাটানোর মতো বই। এখানে গোছানো কাহিনী লাগে না। টুকরো টুকরো ঘটনা, আলাদা আলাদা পরিস্থিতি কিংবা চরিত্র। হিমু সব ক্ষেত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এই বইয়ে অবশ্য নির্দিষ্ট টপিক ছিল। এবং ভালো লেগেছে আমার কাছে। পরিমিত হাস্যরস, কোথাও অতিরিক্ত কিছু নেই। বেশ গোছানো এবং হুমায়ূন আহমেদের লেখা মানেই অবশ্যই সাবলীল আলোচনা।

হিমুর চিরচেনা স্বভাব সাথে বিচিত্র সব চরিত্রের আনাগোনা। রাশিয়ান পরী এলিতা কে খারাপ লাগলো না। বরং যৌক্তিক উপস্থাপন। এবং বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বে এখনো বেশ ভ্রান্ত ধারণা আছে লেখক কিন্তু হিমুর মাধ্যমে চাঁচাছোলা জবাব দিয়েছেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশিরা বেশিরভাগ নেতিবাচক ধারণা করে। হিমু কিন্তু এলিতার সব নেতিবাচক ধারণা বদলে দিয়েছে। এখানে মাজেদা খালা মানে বাড়তি আনন্দ পাওনা। এই মহিলা নিজের রোলে সবসময় পারফেক্ট। ওসির চরিত্র অবশ্য আরেকটু ফুটিয়ে তোলা যেত। ওসিকে আসলে মনে হয়েছে খামোখাই গল্পে ঢুকে গেছেন।


"আজি রজনীতে হয়েছে সময়,
এসেছি বাসবদত্তা"

রাশিয়ান পরীকে হিমু এই লাইনগুলো শোনালে মেয়েটা কী বলতো জানি না তবে হিমুরা কারো প্রেমে তো পড়তে পারে না। হিমুর শুধু জীবন যাপন খালি পায়ে হেঁটে চলা সবখানে। রাশিয়ান পরীকে নিয়ে হিমুর কান্ডকারখানা আসলেই মন্দ লাগলো না। বরং ইনজয় করেছি।

🏏বইয়ের নামঃ "হিমু ও একটি রাশিয়ান পরী"
🏏লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ
🏏 ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৪/৫
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
October 13, 2020
রাশিয়া থেকে এলিতা আসছে বাংলাদেশে ঘুরতে। ছবি তুলবে বাংলাদেশের। মাজেদা খালা হিমুকে দায়িত্ব দিয়েছে এলিতাকে সব কিছু ঘুরিয়ে দেখানোর আর হিমুর সাথে প্রেমে পড়ে যেনো এলিতা হিমুকে বিয়ে করতে চায়। হিমুকে তাই স্যুট পড়িয়ে ফিটফাট করে দিয়ে এলিতাকে আনতে পাঠানো হলো এয়ারপোর্টে। হিমু জুতা পড়েনি। পথে এক মা ও মেয়ে(তানিজা)কে ফলো করে হিমু তাদের বাসার নীচে দাঁড়িয়ে থাকে। কৌতুহল মানুষ জিজ্ঞেস করলে হিমু বলে "এরা আমাকে জুতা দিচ্ছে না"। এভাবে গন্ডগোল লেগে যায়। সেখানে আলম ধরা পড়ে। আলমকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়ে ওসি সাহেব হিমুকেও জেলে বন্দি করে। সেখানে হাজতি কাদের এর সাথেও হিমুর পরিচয় হয়। ওসি সাহেব হিমু,আলম, কাদেরকে ছেড়ে দিলো। আলম আর কাদের হিমুর ম্যাসে উঠে এলো। আলম ঘরের দরজা বন্ধ করে সাধনা করে এরকম খবর ছড়িয়ে যায় তাই তার নাম হয় অশ্রুভাই। কারণ আলম খালি কান্না করে। এলিতা যখন দেশে আসে তখন হিমুর জ্ঞান প্রদান এলিতার পছন্দ হয় নাই তাই হিমুকে ছাটাই করে দিয়ে আলম আর কাদেরকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে । শেষ মেষ এলিতা বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসায় দেশে ফিরতে পারেনি। আলম এর কান্না, কাদের এর তাকে "মাইজী" ডাকা। আরো অনেক কিছু। এলিতার স্থান হয় হিমুর ম্যাসে। মাঝরাতে এলিতাকে হিমুর সাথে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তার শৈশব এর গল্প বলতে দেখা যায়।
Profile Image for Bae.
3 reviews
November 19, 2024
হিমু এবং রাশিয়ান পরী" হূমায়ূন আহমেদ এর লেখার ধরন সবসময়ই এক ধরনের সহজবোধ্যতা এবং গভীরতা মিশিয়ে থাকে। এখানে তিনি মানব মনস্তত্ত্ব এবং জীবনদর্শন নিয়ে খুব সুন্দরভাবে কাজ করেছেন। কিছু পাঠকের জন্য হয়তো বইটি কিছুটা ধীরগতি বা রহস্যপূর্ণ মনে হতে পারে, কিন্তু যারা হিমুর চরিত্র এবং তার অস্বাভাবিক জীবনযাত্রার সঙ্গে পরিচিত, তারা বইটি খুব উপভোগ করবেন। হিমু এবং রাশিয়ান পরী" উপন্যাসের একটি বিশেষ পরিচ্ছেদে, হিমুর সাথে রাশিয়ান পরীর সাক্ষাৎ হয়, যেখানে তাদের মধ্যে এক অদ্ভুত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাশিয়ান পরী হিমুর মধ্যে এমন কিছু অনুভব করে, যা তার হৃদয়কে ছুঁয়ে যায় বইটি সুন্দর যতটুকু দেখলাম আমার মতে এলিতা ভালোবাসে হিমুকে বই এর মধ্যে একবারও বলে নাই হিমুও ভালোবাসে তাকে তবে যতটুকু বুঝলাম হিমুরও অনুভূতি আছে সে বলে নাই এই গল্পটি সিম্পলি অনেক সুন্দর তবে হিমুর কাহিনি ঘুরেফিরে কেন জানি একই রকম হয় এইটাও শুরু মাজেদা খালা নিয়ে আর হিমু এবং হার্ভার্ড ph.d. বল্টুভাই মাজেদা খালা নিয়ে আর হিমু সব বইতেই অবশ্যই পুলিশের কাছে যাবে সব একই কাহিনী তবে একটু ভিন্ন হয় এতটুকু তবে হিমু সিরিজের প্রত্যেকটা বই আমার ভালো লাগে ❤️ I just love it
10 reviews
December 31, 2024
পাঠ্যপ্রতিক্রিয়া (৯)
**হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী।

হিমু সিরিজের প্রত্যেকটি বইয়ের মতো এটিও অনন্য। সব বইয়ের মতো এটিও আপনাকে হাসাবে এবং সাথে অনেকটা শিক্ষা দিয়ে যাবে আপনার অগোচরে। লেখকের হিমু সিরিজের প্রত্যেকটি বইয়ে একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, জগতে অন্যকে সুখের সন্ধান দেওয়ার মাধ্যমেই প্রকৃত সুখ পাওয়া যায়। যা হিমু চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন।
Profile Image for Md Tazri.
103 reviews8 followers
March 28, 2020
এই বইটা পড়ে অনেকে হয়তো হেসেছে।কিন্তু হাসির মাঝে কিছু গুরত্বপূর্ন কথা গুলো কেউ হয়তো খেয়ালেই দেয় নি।আমি বইটি পরে রাখার পর অ্যানালাইসিস করলাম কী জ��নলাম আমি।দেখলাম হাসির মাঝে রয়েছে কয়েকটি অসাধারন শিক্ষা।🤓🤓🤓🤓
Profile Image for ANGSHUMAN.
229 reviews7 followers
September 11, 2021
রাশিয়া থেকে আগত এলিতা হিমুকে তার সহকারী ও গাইড হিসেবে নিয়োগ করে। তার দেশ সম্পর্কে খারাপ ধারণা নিয়ে এসে ক্রমে এলিতা বুঝতে পারে যে তার ধারণা ভুল, এবং ধীরে ধীরে বাংলাদেশ তথা হিমুর প্রেমে পড়ে যায় এলিতা। এই নিয়েই গল্প,অসাধারণ বই।
Profile Image for Quazi.
36 reviews1 follower
January 8, 2020
সবচেয়ে ফালতু হিমু। ফরমায়েশি লেখা। তবু.....
Profile Image for Jenia Juthi .
258 reviews64 followers
September 3, 2020
এক বছর আগেও, হিমু সিরিজের মারাত্মক ভক্ত ছিলাম। এখন কেনো জানি,বিতৃষ্ণা জন্মে গেছে।
অনেকদিন পর এই বইটি ধরলাম! কিছুটা ভালো লেগেছে!
Profile Image for Tanvir Opel  (আপেল).
30 reviews
October 30, 2020
বইটাতে হিমুর সেই চীরচেনা চরিএ যা আপনি অন্য বই গুলোতে পাবেন। অন্য গুলোরমত এটাতে সেই কিছু না কিছু শিক্ষা দিচ্ছে। কি দিচ্ছে সেটা ধরতে পারবেন না। তবে বইটা ভাল লেগেছে। হিমুর চরিএটা সবসময় ভাল লাগে।
Profile Image for ID.
52 reviews1 follower
April 25, 2022
হিমুর গল্প আমার খুব একটা ভালো লাগে না সেটা আগেই বলেছি তাও ,ওই যে গল্পের একটা রেশ থেকে যায় ...হিমু এবং একটি রাশিয়ান পরী ও তার ব্যতিক্রম নয়😊
Profile Image for Mursheda Tasnim.
7 reviews
June 6, 2022
রাজসভাতে এসেছিলাম
বসতে দিলে পিছে
সাগর জলে সুক্তো থাকে
মুক্তা থাকে নিচে
Profile Image for Mehedi  Hasan Mahfuz.
171 reviews27 followers
June 16, 2022
নাম ভুমিকা দেখেই আঁচ করা যাচ্ছিলো বরাবরের মতন কোনো অতি রুপবতীর আগমন ঘটছে এবং সেটা সুদূর রাশিয়া থেকে। চিরায়ত হিমুর মত এই বইয়েও ছিল যথেষ্ঠ দর্শন আর নির্লিপ্ত মায়া।
💙
Profile Image for Saurav.
155 reviews19 followers
February 5, 2023
সেরম ভালো লাগলো না। অগোছালো হলেও হিমুর গল্পে একটা শেষে সব অংক মিলে যাওয়ার ব্যাপার থাকে, সেটা যেন কেমন খাপছাড়া লাগলো এটায়। :(
Profile Image for Ishtiyak Fahmi.
133 reviews24 followers
March 26, 2025
হিমু সিরিজের হাতে গোণা কয়েকটা বই বাদে বাকিগুলোর কাহিনী কেমন যেন অগোছালো টাইপের লাগে। এটাও এমনই লাগলো।
তবুও পড়ি। পড়তে মন্দও লাগেনা। হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা দেখেই হয়তো...
Displaying 1 - 30 of 50 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.