With the advent of technology, the entertainment industry has flourished and become immensely popular. Combine this with the exponential advances in technology, and the result is an increasing number of ways to amuse ourselves.
As a result of such advances, Muslim react in a variety of manners towards entertainment. Some label entertainment as completely forbidden. This sometimes includes parents who say no to almost everything that their young ones deem to be ‘fun’, without providing them with suitable alternatives. Others, who do not want to take this extreme approach, fall into the trap of excessive use of – and even addiction to – various sources of entertainment, without any limits.
In Having Fun the Halal Way, Ismail Kamdar explores the teachings of Islam regarding entertainment. Drawing upon the Quran, the Sunnah and the understanding of the righteous scholars of Islam, he provides a detailed and balanced analysis of the topic. He not only explains the detriments of the current entertainment industry, but also suggests alternative means to have a good time with friends and family members.
Shaykh Ismail Kamdar is a graduate of a traditional Alim program and also holds a Bachelors in Islamic Studies. He has studied Islam in both tradition and modern settings and has been a student of Islamic Studies for almost two decades.
He began studying Islam full-time at the age of thirteen, began preaching at the age of sixteen, and wrote his first book at the age of twenty-three. Over the years, he has taught multiple courses and seminars around the world, and has worked with multiple leading Islamic organizations across the globe.
He currently works as a research manager and PO of books at Yaqeen Institute, while homeschooling his children and writing books. He hopes to inspire the ummah to return to their former glory and become a role model for the world once again.
: জানো না! গানবাজনা এগুলো যে হারাম।" : হ্যাঁ, জানি কিন্তু মানুষের জীবনে বিনোদনেরও তো দরকার আছে!
আমরা এখন এমন এক সময়ে বাস করি যেখানে বিনোদনের কতো কতো উপকরণ আছে ছড়িয়ে আর কেউ চাইলেই তার সারাদিন বিনোদনেই দিতে পারে কাটিয়ে।
কিন্তু আফসোস হালাল অগনিত আর হারাম সীমিত হবার পরও আমাদের অনেকেই অবস্থা এরকম- আমরা জানি জিনিসটা হারাম কিন্তু আমরা হারামেই গিয়ে খুঁজি আরাম।
আচ্ছা আমরাও কি তাদের মতো হতে চাই যারা নিজের কামনা বাসনাকে নিজের উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করেছে এবং নিজ প্রবৃত্তির পূজায় ব্যাস্ত!
"তুমি কি তাকে দেখো নিই যে তার নিজের কামনা বাসনাকে তার উপাস্য হিসাবে গ্রহণ করেছে? তারপরেও কি তুমি তার তত্ত্বাবধায়ক হবে?" [২৫: ৪৩]
পশ্চিমাদের কথাই বলা যাক, যারা প্রায়ই বলে থাকে, ‘জীবনে তো একবারই বাঁচবে, যতো খুশি মজা করে নাও।’ সেকুলারিজমে বিশ্বাসী লোকগুলো তাদের জীবন থেকে ধর্মকে একেবারেই বাদ দিয়ে দিয়েছে যার ফলে নাতো তাদের জীবনে আছে কোনো ধর্মীয় অনুশাসন আর নাতো নৈতিকতা। আর তাই তাদের জীবনের লক্ষ্য শুধুমাত্র একটাই- এই দুনিয়ার জীবনটাকে উপভোগ করা, উপভোগের জন্য দরকার টাকা। আর এই টাকা অর্জনের উদ্দেশ্যে তারা করে যাচ্ছে একেরপর এক সীমা অতিক্রম। যার ফলে পর্নোগ্রাফি, সমকামিতা, বিয়ে-বর্হিভূত যৌনাচারগুলোর মতো জঘন্য পাপগুলো চারদিকে অবাধে ছড়িয়ে পড়ছে। আর শুধু পশ্চিমারা নয় পশ্চিমা সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত লোকগুলোরও জীবনের উদ্দেশ্য একই হয়ে দারিয়েছে- উপভোগ, যেভাবেই হোক জীবনটাকে উপভোগ করা।
আচ্ছা তারা কি চিন্তা ভাবনা করে না তাদের জীবন নিয়ে, জীবনের উদ্দেশ্য নিয়ে! তারা কি আল-কুরআনের আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে না!
"দুনিয়ার জীবন খেল-তামাশা ছাড়া আর কিছুই না। যারা তাকওয়া অবলম্বন করে তাদের জন্য পরকালের জীবনই অতি কল্যাণময়, তবুও কি তোমাদের বোধদয় হবে না?" [6: 32]
তারা যদি সত্যিই তাদের বিবেককে কাজে লাগাতো এবং চিন্তা ভাবনা করতো তারা কি পারতো চিরস্থায়ী সুখ ও বিনোদনপূর্ন জান্নাতকে বাদ দিয়ে দুনিয়া নিয়ে পড়ে থাকতে?
"‘যারা তাদের দ্বীনকে খেলা-তামাশা বানিয়ে নিয়েছিল আর দুনিয়ার জীবন যাদেরকে প্রতারিত করেছিল।’ কাজেই আজকের দিনে তাদেরকে আমি ভুলে যাব যেভাবে তারা এ দিনের সাক্ষাৎকে ভুলে গিয়েছিল এবং আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে চলেছিল।" [7: 51]
আজ যেভাবে তারা আল্লাহর আয়াত গুলোকে অস্বীকার করতেছে এবং আল্লাহ কে ভূলে গেছে সেদিন আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তাআ'লাও তাদেরকে ভূলে যাবেন। সেদিন এই লোকগুলো জাহান্নামের আগুনে পুড়বে বাঁচার জন্য চিত্কার করে আকুতি জানাবে কিন্তু কেউ তাদের সাহায্যের জন্য আসবে না এগিয়ে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আমাদেরকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। এখন এটা আমাদের উপর নির্ভর করে আমরা কোন পথে এগিয়ে যাব। জান্নাতের নাকি জাহান্নামের।
আল্লাহ আামাদেরকে তাদের অন্তর্ভূত হওয়া থেকে রক্ষা করুন যারা ইহকালে আল্লাহকে ভুলে গেছে আর পরকালে আল্লাহ যাদেরকে ভুলে যাবেন। (আমিন)
কুরআনে স্পষ্ট ভাষায় আল্লাহ সুবহানাল্লাহ তায়ালা বলে দিয়েছেন,
"আমি জ্বিন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র এ কারণে যে, তারা আমারই ‘ইবাদাত করবে।।" [51: 56]
একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর সাহায্য প্রাথনা করা যেনো আমরা বেশি বেশি নেক আমল করতে এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হতে পারি এবং আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যস্থল জান্নাতুল ফেরদৌসে পৌছাতে পারি।
বিনোদন মানুষের প্রকৃতিগত চাহিদা। আর আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থেকেই এই চাহিদা বৈধ ভাবে পূরণ করা যায়। আর যদি আমরা বিরতিহীনভাবে একই কাজ করে যেতে থাকি তবে একটা সময় দেখা যাবে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি তাই "মানসিক ক্লান্তি দূর করে নতুন উদ্যমে আরও ভালোভাবে আল্লাহর ইবাদত করার জন্য বুদ্ধিমান মুসলিমরা তাদের প্রতিদিনের মৌলিক ইবাদাতগুলোর মাঝে কিছুটা সময় বিশ্রাম নেন। বিনোদনের মাধ্যমে চাঙ্গা রাখেন মনকে। বিনোদনের অনুমোদিত উপায়গুলো ব্যবহার বিনোদিত হওয়াটাও এভাবে ইবাদতে পরিনত হয়; পরিনত হয় সাওয়াবের মাধ্যম হিসেবে।"
বইটির নাম থেকেই বুঝা যাচ্ছে বইটি কি নিয়ে লেখা- কীভাবে হালাল ভাবে বিনোদনের চাহিদা পূরণ করা যায় এবং জীবনটাকে আনন্দময় করা যায়।
যেহেতু বিনোদনের হালাল উপায়গুলো আমার আগে থেকেই জানা ছিল। সেহেতু ব্যাক্তিগত ভাবে বইটি আমার কাছে এতো বেশি ভালো লাগেনি আবার খারাপও লাগেনি।
কিন্তু যারা বিনোদনের ক্ষেত্রে কাফিরদেরকে অনুসরণ করে যাচ্ছেন কিংবা যারা জানেন না কীভাবে হালাল ভাবেও বিনোদনের চাহিদা পূরণ করা যায় তারা অবশ্যই বইটি পড়ে দেখতে পারেন।
An excellent book on the balanced rulings of what is permissible and what is prohibited in Islam. I'll recommend this book to anyone not just to 'read' and forget, but to use it as a guideline/reference to make decision on our day to day activities.
সেরা ১০ হালাল বিনোদনঃ ১. বিয়ে ২. বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা ৩. সৎসঙ্গের সাথে ঘোরাফেরা ৪. নাশীদ ৫. প্রকৃতি ৬. হালাল ভিডিও & গেমস ৭. বিশ্রাম ৮. সাঁতার ৯. বই পড়া ১০. বাইরে খাওয়া
This entire review has been hidden because of spoilers.
Well, I honestly wasn't a fan of this book. I knew when I picked it up and read the title that it would be extremely conservative. I held out hope that perhaps it would be more balanced and I didn't want to judge it harshly by its cover.
Overall, it wasn't that bad but it wasn't that good either. Like the author didn't need to tell me television was considered forbidden for a bit because the ulema refused to understand it. I felt I didn't need to be told that a halal alternative to Bollywood movie was hanging out with my spouse and children. It assumes the reader would have a family to hang out with at all and I don't think people really need reminded to see the people who live with them. There's also a lot of overly conservative viewpoints that I honestly just disagree like avoiding reading things like Harry Potter. :/ That's just me though!
This book is very balanced in regards to entertainment (a very important topic that needs to be addressed) and the hadiths quoted by the writer are reliable and thoroughly explained. It is also written in simple and non scholarly way, allowing easy comprehension. Masha Allah to the writer! Looking forward to read his other books in the future
হালাল অগণিত, হারাম নির্দিষ্ট কয়েকটা। তবু আমাদের সব আসক্তি যেন সেই নির্দিষ্ট কয়কটাকে ঘিরে। কারণ সেগুলো করার জন্য শয়তান আমাদের কে ডাকতে থাকে আর আমরা সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শায়তানের কাছে পরাজিত হয় এবং আল্লাহর অশেষ রহমত থেকে বঞ্চিত হয়ে আল্লহর ক্রোধের অনলে পড়ে যায়। অথচ কথা ছিল আমরা বিতাড়িত শয়তান কে পরাজিত করবো। কারণ আমরা সর্ব শ্রেষ্ঠ মাখলুকাত। আল্লাহ আমাদের কে বুঝার ও মানার তৌফিক দান করুন। আমিন।
বইটা নিয়ে অনেক বেশি আশা ছিল, সেই চিন্তা করেই পড়া। নতুন কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। রেফারেন্স এর যতেষ্ট ঘাটতি। অনেকবার বলা হচ্ছে হালাল অনেক হারাম গুটি কতেক কিন্তু লেখক সেটা যতেষ্ট উদাহরণ দিতে পারেনি। বইটা আমাকে অনেক বেশি হতাশ করেছে। শেষের দিকে কষ্ট করে শেষ করেছি।
শেষে একটা কথা বলব যারা ইসলাম সম্পর্কে কিছুই জানেন না তাদের জন্য বইটা উপকারী হলেও ইসলামের সাথে যারা পরিচিত তাদের তেমন কাজে লাগবে না বলে আমি মনে করি। আমার কথায় ভুল থাকতে পারে। চাইলে বইটা পড়তে পারেন।
প্রতিটি মানুষের মনে বিনোদনের স্বভাবজাত ইচ্ছা রয়েছে। ইচ্ছে করে, কাজের পরে অবসর সময়টুকু একটু আনন্দে কাটাতে। আল্লাহ আমাদের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ জীবনব্যবস্থাও দিয়েছেন। আল্লাহর দুনিয়ায় হালাল অগণিত। হারাম গণিত। কিন্তু আমরা সেই গুটিকয়েক হারামেই আরাম খুঁজি।
বিনোদনের ব্যাপারে অতি উদার দৃষ্টিভঙ্গির এমন মুসলিমরা দিনের অধিকাংশ সময়ই ব্যস্ত থাকেন গান, টিভি, সিনেমা, খেলাধুলা আর ভিডিও গেমস নিয়ে।
আরেক প্রান্তে চরম অবস্থানে রয়েছেন কিছু ধর্মনিষ্ঠ মুসলিমরা। তারা আল্লাহকে ভয় করেন ঠিকই, তবে বিনোদনের মাধ্যমগুলোর ব্যাপারে সঠিকভাবে জানা না থাকার কারণে, বিনোদনের পুরো ধারণাটাকেই তারা নাকচ করে দেন। কিছু মানুষ বিনোদনের প্রতি এই ঘৃণাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। অথচ, মানুষের এই সহজাত ইচ্ছাকে যদি অতিমাত্রায় চেপে ধরা হয়, তাহলে সেটা একসময় প্রচণ্ডভাবে বিস্ফোরিত হয়। তখন এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সেইসব পরিবারের শিশু-কিশোর ও তরুণদের ওপর।
সংকুল এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিনোদনের বিভিন্ন মাধ্যমের ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান প্রতিটা মুসলিমের জানা উচিত।
কিছু কিছু ব্যাক্তিগত পর্যায়ের গুনাহের কাজ আছে যেগুলো সময় নষ্টের সাথে সম্পর্কিত। আর এই বিষয়গুলোতে পুরোপুরি আমলে উঠা সত্যিই কঠিন। ফেইসবুকে অনর্থক সময় নষ্ট করা, খেলা দেখা, মুভি, এনিমি দেখা অন্যতম!
এগুলো যতটা না হুকুমের সাথে সম্পর্কিত, তার চাইতেও বেশি নিজের উপলব্ধির সাথে। যতই বলা হোক জুয়ার ব্যাপার, হারাম এড, আরো হারাম এলিমেন্টের সম্পর্ক আছে, কেউ যতক্ষণ না রিয়েলাইজ করছে ঘন্টার পর ঘন্টা তার সময় নষ্ট হচ্ছে, সে চাইলে বেটার কিছু করতে পারতো, পরিবারের জন্য কি এক্সাম্পল সেট করছে, ততক্ষণ এ থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না! . . ‘(ধনসম্পদ) বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা (আল্লাহর স্মরণ থেকে) তোমাদের ভুলিয়ে রাখে, যতক্ষণ না তোমরা কবরে পৌছাও। এটা যে মোটেও ঠিক নয়, তা তোমরা জানতে পারবে। এটা যে মোটেও ঠিক নয়, তা তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। তোমরা যদি (সম্পদ জমানোর পরিণতি) নিশ্চিতভাবে জানতে, তাহলে কখনোই এই প্রতিযোগিতায় মত্ত হতে না। তোমরা অবশ্যই জাহান্নামের জ্বলন্ত আগুন দেখতে পাবে; সেদিন তোমরা নিজ চোখে সেটা দেখতে পাবে। (এই পৃথিবীতে তোমরা যেসব) আনন্দে মেতে ছিলে, সেদিন তোমাদের সেগুলোর ব্যাপারে জিজ্ঞসাবাদ করা হবে!' সূরা তাকাসুর : ১-৮
~অনেক মুসলিম এর মধ্যেই এই ভুল ধারণা আছে যে বিনোদন হারাম। এটা মিথ্যা কথা। বিনোদন মানুষের স্বভাবজাত প্রকৃতির একটা অংশ। আর ইসলাম হল ফিতরাহ বা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তির ধর্ম। বিনোদনের অধিকাংশ ধরনই হালাল। অল্প কিছু সংখ্যক ধরন রয়েছে যেগুলো হারাম। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে অধিকাংশ মুসলিমই হারাম সে সব বিনোদনের সাথে জড়িয়ে আছেন।
~এখানে সুন্নাহ সমর্থিত হালাল বিনোদন সম্পর্কে বলা হয়েছে। সাথে প্রচলিত হারাম বিনোদনগুলো চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে যাতে আমরা নিজেরাই ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারি। লেখক নিজে যুবক হওয়ায় এই বয়সের নারী পুরুষের মন মানসিকতা বুঝে বইটি সাজিয়েছেন। কাজেই ভালো না লেগে পারে না।
~আসলে বর্তমান যুগে, যেখানে আমাদের আশেপাশ হারাম বিনোদনে টইটুম্বুর, এমতাবস্থায় এই হালাল বিনোদন সম্পর্কে জানা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। কারণ এখন মুঠোফোন মানেই যেন হারাম বিনোদনের জগৎ। তাই সবমিলিয়ে বইটি অত্যন্ত যুগোপযোগী মনে হয়েছে।
Having Fun the Halal Way can be purchased directly from the publisher, International Islamic Publishing House, at www.iiph.com.sa as well as wherever IIPH books are sold.
IIPH books are sold by these fine stores in 16 different countries:
ভালো বই , বিনোদনের ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি জানার জন্য অনেক উপকারী বই । একটা হাদিস বইয়ে লেখা আছে , যেটা কোট করি ,
" রাসুলুল্লাহ (সা) এর উপস্থিতিতে কিছু ইথিওপিয়ান ক্রীড়া প্রদর্শনী করছিল । উমার (রা) তাদের দিকে পাথর ছোড়ে মারেন । তখন রাসুলুল্লাহ (সা) বললেন , ' উমার, তাদের খেলতে দাও' । একজন বর্ণনাকারী মা'মার বলেন , তারা মাসজিদে খেলছিল । " [বুখারি]
শুরুতেই বলে রাখি, বইটা ধর্মীয় (Faith/Religion) দৃষ্টিকোণে বিশ্বাসী মানুষদের জন্য লেখা। অন্য মনোভাবের মানুষেরা এ ব্যাপারে লেখককে (এবং আমাকে) অনুগ্রহ করবেন। তবে, এটা বলতে পারি, বইয়ের বিষয়বস্তু থেকে সবাই-ই কিছু না কিছু শিখতে পারবেন।
ধর্মের ব্যপারে একটি অভিযোগ অনেকেই করেন যে, ধর্মের বিধানগুলো নিষ্প্রয়োজনীয় গোছের কঠোর এবং এটা মানুষের প্রতিভা/বিকাশ কে রুদ্ধ করে রাখতে চায়। কথাটাকে অন্যভাবে বললে, বিশ্বাসী মানুষদেরকে পৃথিবী বিমূখ হতে হবে হয়ে সবসময় প্রার্থনারত থাকতে হবে আর সবরকমের আনন্দ-বিনোদন থেকে নিজেদের বঞ্চিত করতে হবে। লেখক প্রথমেই এই ভুলটা ভাঙানোর প্রচেষ্টা দেখিয়েছেন। বিভিন্ন গ্রন্থ, মনীষীদের কথা, মহাপুরুষদের জীবনদৃষ্টান্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে তিনি বুঝিয়েছেন, ধর্মে আসলে মধ্যমপন্থা এবং ভারসাম্য বজায়কেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
দৈনন্দিন জীবনের বৈচিত্র্যহীন ঘটনাপ্রবাহে আমাদের বিরক্তি আসাটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে জীবনে ভিন্নতা আনয়নের একটি উপায় হল বিনোদন। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে বিনোদনকে ব্যবহার করা উচিত, আমরা কি তা করি? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিনোদনের বিভিন্ন মাধ্যম আমাদের বিভিন্ন ক্ষতির দিকে নিয়ে যায়। এর কারণ হল বিনোদনের ভালো এবং খারাপ ধরণগুলোর পার্থক্য বুঝতে না পারা৷ "Having Fun in Halal Way" বইটি এই ভালো মন্দের পার্থক্যটাই আদতে তুলে ধরতে চেয়েছে। এক্ষেত্রে লেখক "হালাল" এবং "হারাম" এই দুইটি প্রত্যয় ব্যবহার করেছেন। বলে রাখা ভালো, বইতে লেখক বিনোদনের পশ্চিমা চিন্তনধারা (জীবন তো একটাই, যত খুশী মজা করে নাও) থেকে বেরিয়ে এসে একটি বিশ্বাসী চিন্তাকে অবলম্বন করেছেন যার মূলভিত্তি হলঃ √ বিনোদন জীবনের উদ্দেশ্য নয়, বরং সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ। √ বিনোদনের ব্যাপারে একটি সীমারেখা মেনে চলা উচিত।
অভিধান অনুসারে 'Halal' অর্থ শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে অনুমোদনীয়। এখন, বিনোদনের কোন ধরণগুলো অনুমোদিত আর কোনগুলো নয়?- লেখক এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সহজভাবে, "পার্থিব বিষয়ে (বিনোদন-ও এর অন্তর্ভুক্ত) মূলনীতি হচ্ছে, হারাম 'প্রমাণিত' না হওয়া পর্যন্ত সবকিছুই হালাল"। এই চিন্তাকে ভিত্তি করে লেখক প্রথমে হারাম বিনোদনগুলোর একটি সাধারণ তালিকা তৈরী করেছেন এবং এর বাইরে সবকিছুকেই হালাল বলে মত দিয়েছেন। তবে হালাল বিনোদনগুলোর ব্যবহার তখনই হালাল হবে যখন নিচের শর্তগুলো পূর্ণ করবেঃ
ক) বিনোদনের উৎসগুলো যেন ব্যক্তিকে ধর্মীয় ও পার্থীব 'আবশ্যিক' কাজ থেকে দূরে সরিয়ে না দেয়। খ) মাধ্যমগুলো ন্যূনতম পরিমাণেও পাপযুক্ত হতে পারবে না। গ) এগুলোর মাধ্যমে সময় ও অর্থের অপচয় হওয়া যাবে না। ঘ) কোনোভাবেই আসক্তি সৃষ্টিকারী কিছু হবে না।
যা হোক, প্রথমেই আসা যাক লেখকের বিবেচনায় হারাম বিনোদন গুলোর দিকে, যার মধ্যে আছেঃ
- সৃষ্টিকর্তার সমকক্ষ হিসবে কাউকে চিন্তা করা। - মাদক দ্রব্য - জুয়া - আজেবাজে ও অপ্রয়োজনীয় কথা - ব্যভিচার ও বিয়ে বহির্ভূত যৌনসম্পর্ক - বাদ্যযন্ত্র ও অসাধু গান - অতিরিক্ত হাসাহাসি - পাশা,তাস ইত্যাদি খেলা (যেগুলো দক্ষতার চেয়ে ভাগ্যের উপর বেশী নির্ভরশীল)
এই নেতিবাচক বিনোদনগুলোর আধুনিক রূপগুলোকেও লেখক বইতে তুলে ধরেছেন। এর বাইরে ইন্টারনেট, টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদির ব্যবহারে অত্যন্ত সতর্ক হতে বলেছেন এবং এগুলো ব্যবহারের একটি প্রাথমিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
এরপর লেখক তার বিবেচনায় হালাল বা অনুমোদিত বেশ কিছু বিনোদনের কথা উল্লেখ করেছেন। সুনির্দিষ্ট নাম না বলে যদি ক্ষেত্র/field চিন্তা করি তাহলে মোটামুটিভাবে এরকম কিছু পাওয়া যায়ঃ
- পরিবারের সাথে সময় কাটানো - সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তাভাবনা - শরীর চর্চা / ব্যায়াম - কল্যাণকর বই, গল্প, খেলাধুলা, ভিডিও ইত্যাদি - সমাজের তরুণদের জন্য বিকল্প ইতিবাচক বিনোদন তৈরী করা৷
এবং সবশেষে লেখক তার বিবেচনায় শীর্ষ ১০ টি বিনোদনের একটি তালিকা উপস্থাপন করেছেন। তালিকাটা এরকমঃ
১০. পরিবারের সাথে ঘুরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া ৯. বই পড়া ৮. সাঁতার কাটা ৭. বিশ্রাম নেয়া ৬. ইতিবাচক ভিডিও (আসক্তি সৃষ্টিকারী কিছু হওয়া যাবে না) ৫. প্রকৃতিকে অনুধাবন ৪. নাশীদ ৩. সৎ লোকের সঙ্গে চলাফেরা ২. বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা ১. বিয়ে
ওপরে যা যা বলা হয়েছে, তার অনেক কিছু নিয়েই আপনার মধ্যে সন্দেহ/প্রশ্ন/অবিশ্বাস থাকতে পারে। এর কারণ হল আমি কোনকিছুর ব্যাখাই এখানে দেই নি। শুধু ক্ষেত্র/নাম উল্লেখ করেছি। লেখক কিন্তু বইতে প্রতিটি ক্ষেত্রকে বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে বিশ্লেষণ করেছেন, গ্রন্থ, মনীষী জীবনী সহকারে রেফারেন্স দিয়েছেন, যেগুলোর মাধ্যমে আপনাদের এসব প্রশ্নের জবাব পাবেন বলেই আমার বিশ্বাস। তাই অনুরোধ থাকবে বই থেকে সেগুলো জেনে নিবেন।
Halal Entertainment. The name is enough to make anyone tempted to pick this book to start reading.
The book explains the category of entertainment and gives us some awesome examples of Halal entertainment based on authentic Sunnah.
Mashallah. A good book for those who are not aware of this matter of Islam.
Who of you don't know that excessive laughing has been discouraged in Islam and only one musical instrument (Daff) is permitted in Islam. I knew it. But this book remind it to again.
Just be careful while reading because in some cases, the thought of the author is not similar to majority of the scholars.
Overall, a good book to read beside a hard and deep book to get relaxed sometimes.
ইসলাম মানে কী শুধু দিনভর ইবাদত করে যাওয়া? ইসলামে কি মনের খোরাক যোগানোর কোন ব্যবস্থা নেই? তথ্য-প্রযুক্তি যেহেতু বিধর্মী কর্তৃক আবিষ্কৃত ও ব্যবহৃত, কাজেই মুসলিমদের জন্য কি এর ব্যবহার নিষিদ্ধ?
এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিবে 'হালাল বিনোদন' বইটি।
আলহামদুলিল্লাহ্, বইটি পড়ার অভিজ্ঞতা সত্যিই চমৎকার ছিল। লেখক অত্যন্ত সুন্দরভাবে হালাল বিনোদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন। বইটির ভাষা সহজবোধ্য এবং প্রাঞ্জল, যা পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম। কুরয়ান-হাদীসের তথ্য, বিভিন্ন তাবেয়ী-তাবেয়ীনের উদ্ধৃতির উদাহরণ এবং প্রাসঙ্গিক আলোচনা বইটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এই বইটি পড়ার পর আমি হালাল বিনোদনের গুরুত্ব এবং এর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি। যারা হালাল বিনোদন সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যই পড়া উচিত।
বইটি পড়ে আপনারা বুঝতে পারবেন ইসলামে কত বিনোদন হালাল রয়েছে যেগুলো আমরা আনন্দের জন্য করতে পারি তাছাড়া কোন কোন বিনোদন গুলো আমাদের জন্য হারাম তা উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকে মনে করে ইসলামের কোন বিনোদনী হালাল নয় সব বিনোদনই হারাম কিন্তু তা ভুল ধারণা। লেখক এখানে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা দিয়ে যা আমাদের জন্য খুবই উপকারে আসবে।
সব মিলিয়ে ভালই। ইসলামে হারাম-হালাল সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা পাওয়া যাবে। পড়ার পড়ে আপনি হয়ত নিজেই হালাল হারাম বিনোদনের পার্থক্য করতে পারবেন। তবে আশাহত হয়েছি লাস্টের শীর্ষ দশ হালাল বিনোদনের তালিকা দেখে। গেস করেন তো, এক নম্বর হালাল বিনোদন কি হবে? খেলাধুলা? বই পড়া? কোরআন তেলয়াত করা/শোনা? নাহ! এক নম্বর হালাল বিনোদন হল বিয়ে করা!!
2.7 it had quite a few good points, but overall, it was more talk than action or alternatives, but I think that is because it was written for older people
A great book covering the basics of what entertainment is considered permissible and what's considered prohibited. It starts by giving a short introduction of how Islamic law works, then explains the position of entertainment in Islam and how it is different from the unislamic concept of entertainment. The book does not give verdict on debated issues and instead gives the opinions of both sides and then says which is the recommended solution. The author tries to be unbiased which is commendable. The book remains short and specific without delving into too much detail, making it a short and concentrated read. The author arms the reader with the basic guidelines so that they can judge for themselves if a particular activity is allowed or not. Muslims should read this to get a better understanding of what to spend their time on.
Some of the information leans on the conservative side so I would have preferred it if the author went into a bit more detail regarding the issues and discussed more topics. Just my preference.
Unbiasedly, this book shows the opinions about most common arguable entertainment ways beside giving a logical justifying. The author started with a thorough introduction stating some fundamentals that help the reader to perceive the way how things are considered permissible or not. After that, the author showed the concept of entertainment regarding both points of views, Western and Islamic.
4.5/5 because of two points:
1) Regarding "following professional sports" such watching a football match, the author said: "If one wishes to watch a sport, it should be a casual viewing, and the players should be Muslim." I see that the last part has no sense, why not to watch non-Muslim players?
2) About celebrating birthdays, the author considered it as prohibited celebrations since it is an imitation of disbelievers (an ancient pagan custom with its roots in Greek methodology). I do not see that as prohibited unless it was overdone, i.e., forcing people bringing gifts and making the celebrations so public. On the other hand, if the celebration was so simple and between the family, it would be recommended since it helps unifying the family and ultimately the society, but the author was single-minded about this moot point. Also, he applied the same concept on celebrating mawlid, (the prophet's birthday) as he considered it as imitation of disbelievers-Christmas.
Overall, it was a good experience to read this book as it shed light on some crucial things which are neglected by most of us.