Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
মেকু হচ্ছে সেই নিষ্পাপ বাচ্চা যে নিষ্ঠার সাথে লঙ্কাকান্ড বাধালেও দুষ্টুর শিরোমনির শিরোনামে শিরোধার্য মেনে মৌনতাকে মুড়িয়ে মাড়িময় মুখের মিষ্টি হাসি দেখিয়ে পরের মিশন হোক তা দু'মাস এগারো দিনের বাচ্চার জন্য অসম্ভব অবাস্তব তবু তার অকল্পনীয় বাস্তবায়ন হবেই হবে।
আদতে সে এমন এক বাচ্চা যাকে গাল কচলে,ঠোঁট টিপে চুমু খেয়ে বিলি কাটতে কাটতে কেউ যদি বেজার হওয়ার মত কোনো কথা বলে,ব্যস আর রক্ষে নেই। ঠোঁট উল্টে বিকট চিৎকারের সাথে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে নাকানিচুবানি খাওয়ানোর পর ভুবন ভোলানো হাসি দিয়ে আলাভোলা বাচ্চার ভোল তো তার জন্মসূত্রে পাওয়া বরদান।
সে বাচ্চা কিন্তু অন্যান্য কচি কাঁচাদের মতো মোটেও নিরীহ নয়,যেন ছোট্ট শরীরে আটকে থাকা এক বড় মানুষ যাকে দেখলেই মনে হবে "বাচ্চা দি বস" আর বসকে যদিই ছেলেধরারা নেহাতই ছেলেপুলে মনে করে ছেলেখেলার মতো ছলেবলে ছিনিয়ে আনে মায়ের কোল থেকে তাদের মুখ থেকে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি না বলিয়ে কি সহজে ছেড়ে দিবে সে!
পড়তে পড়তে বস বেবির ফ্লেভারে সাথে চিলিং মুডের শৈশবের ফিলিং দেওয়া বই পড়ে ফিল গুডের গল্প আরেকবার মনে করিয়ে দেয় জাফর ইকবাল মানেই বাচ্চা গল্পের জাদুকর।
যদি কিছুক্ষণ সময়ের জন্য বাচ্চাদের মত হাঁসতে হাঁসতে গড়া গড়ি খেতে চান তাহলে আপনার জন্যই এ বই, এবং যতবারই পড়েন না কেন, এই বইটি কখনও পুরনো হবে না। কাহিনী সাদামাটা হলেও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত হিউমারে ভর্তি, আর স্যারের সেরা লেখা গুলোর মধ্যে একটা।
গল্পের আইডিয়া ধার করা। Baby's Day Out মুভি দেখে নাই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। লেখক সেই মুভি থেকে আইডিয়া নিয়ে গল্প সাজিয়েছেন। গল্পের আইডিয়া নিয়ে লেখককে কৃতিত্ব না দিলেও লেখক যে হিউমর তৈরি করতে পেরেছেন তার জন্য কৃতিত্ব অবশ্যই দেওয়া উচিত।
মেকু। কোন বস্তু না। মানুষের নাম। মেকু একটু অন্য রকম। কি রকম? সে যেন বাচ্চার শরীরে বন্দী একজন পূর্নাং মানুষ। সব সে বুঝতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কের মতন ভাবতে পারে। চাই কি কথাও বলতে পারে। কিন্তু এটাতেই সমস্যার শুরু। একজন জন্ম নেওয়া বাচ্চা কথা বলে উঠলে যা হওয়ার তাইই হয়। সবাই ভয় পেয়ে যায়। তাই মেকু কথা বলে না কারো সাথে। তার মায়ের কথার জবাব দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও অনেক কষ্টে সে চুপ করে থাকে। মেকুকে ঘিরে তাই মজার মজার ঘটনা ঘটতে থাকে।
কাহিনী অন্য দিকে মোড় নেয় যখন মেকুকে ৩জন কিডন্যাপার ভুল করে কিডন্যাপ করে নেয়। কিন্তু তারা তো আর মেকুর ব্যাপারে জানত না। জানলেও হয়ত ভুলেও কিডন্যাপ করত না।
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ নিখাদ বিনোদনের একটা বই। টিউশনিতে বসে বসে পড়েছি আর অনেক কষ্টে মুখ টিপে হেসে জোরে জোরে হা হা করা থেকে বিরত থেকেছি। তাও রক্ষা হয়নি স্টুডেন্ট কয়েকবার তাকিয়ে আমার দিকে হয়ত ভেবেছে ভাইয়া কি পাগল হয়ে গেছে নাকি। :P
বহু বহু আগের পড়া বই।আবারো প্র্যাক্টিকাল করতে করতে গল্পকথন বাই কল্লোল এ শুনে নিলুম। দারুণ মজাদার,তিনলাইন লিখি আর হাসি। সবই বুঝলাম,কিন্তু মেকুর এই এক ইঞ্চি পরিমান হাতে ৪-৫ টা ট্যাবলেট আঁটলো কেমনে?
ওয়েল, মেকু একটা বাচ্চা ছেলে। ওর বয়স মাত্র দুই মাস। সমস্যা হচ্ছে ও সবার কথা বুঝতে পারে এবং কথা বলতেও পারে। যারা ওর নাম নিয়ে কাহিনী করে তাদের ও শাস্তি দেয়। একদল বাচ্চা কিডনাপার ওকে ভুল করে কিডনাপ করে ফেলে। কিন্তু মেকু তো সবই বোঝে তাই মেকু ওই জরিনা, বদি আর মতি নামের অপহরণকারীদের একদম জ্বালিয়ে ফেলে এবং অবশেষে নিজে নিজেই উদ্ধার হয়। ভাল্লাগলো নাহ, এমন বেশি বুজা পুনাই (বাচ্চা) আমার পছন্দ নাহ🐸
~১৩জুলাই,২০২২
This entire review has been hidden because of spoilers.
বইটা পড়ার আগে ভেবেছিলাম মেকুর মতো একটা বাচ্চার মজার মজার সব অভিযানের গল্প শুনতে ভালোই লাগবে। কিন্তু হতাশ হতে হল। "ফন্দি-ফিকির" অধ্যায়টি পড়ার সময় যা এক-আধটু হাসি পেয়েছে, এছাড়া আর কিছু ভালো লাগেনি।
মেকু কি বাচ্চা? বয়স মাত্র কয়েক মিনিট? তা বটে, তা বটে। কিন্তু অন্য সদ্যভূমিষ্ঠ ট্যাঁ-ফো করা বাচ্চাদের সাথে তাকে গুলিয়ে ফেলল চূড়ান্ত ভুল হবে! বাচ্চা হলেও টনটনে জ্ঞান তার, আর সবথেকে চমৎকার এবং ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে সে রীতিমত কথা বলতে ওস্তাদ!
একটা বাচ্চার যখন এতগুলো গুণ একসাথে থাকে, তখন তার গল্প ধুঁকে ধুঁকে সময় নিয়ে চালু হবে এমনটা ভাবাই ভুল। মেকুর গল্প চালু হলে একদম জন্মের সাথে সাথে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সে বদমাশ চাচি, পচা ডাক্তার কে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল। দের দু মাসের মধ্যে কাজের বুয়া থেকে শুরু করে আয়া পর্যন্ত সবাইকে এক হাত নিল। এবং দুই মাস বারো দিনের মধ্যেই নিজেকে বাঁচিয়ে ফেলল এক ছেলেধরা গ্যাঙের খপ্পর থেকে।
কেমন লেগেছে মেকুর গল্প? আমার খারাপ লাগেনি। বিশেষ করে জন্মের পরের বিষয়গুলো থেকে শুরু করে কিডন্যাপ হবার আগে পর্যন্ত এবং কিডন্যাপিং এর শেষের দিকের কিছু ঘটনা। প্রসঙ্গত অনেকে এই গল্পের সাথে বেবিজ ডে আউট মুভিটির সাদৃশ্য টানেন। তাদের ব্যাপারটা আমি বুঝি। হ্যাঁ একটি বাচ্চা কিডন্যাপ হওয়া এবং নিজের উদ্যোগে বাচ্চাটির কিডন্যাপারদের নাস্তানাবুদ করার আইডিয়ার মধ্যে মিল আছে। কিন্তু বাদবাকি সবটুকুই অমিল। নাস্তানাবুদ করার প্রক্রিয়াও বেশ ব্যতিক্রমী এবং চমকপ্রদ। এবং বলার অপেক্ষা রাখেনা মুহম্মদ জাফর ইকবালের সেন্স অফ হিউমার অনবদ্য রূপায়ন করেছে সমস্ত ঘটনা, অর্থাৎ মেকুর কীর্তি।
গল্পে কিছু বিষয় আরও মনে হয়েছে। বাচ্চা হিসাবে মেকুর বয়সটা তার একশনের তুলনায় অনেক কম মনে হয়েছে। মেকুর বয়স যদি দের বছর মতো হতো তাহলে ভালো হতো। কিংবা অন্তত এক বছর হলেও তার লাথি, টার্গেট করে হিসু করা, মুখ দিয়ে ফোয়ারার মতো কুলি করা পানি ছুঁড়ে মারার বিষয়টাকে আরও যৌক্তিক মনে হতে পারতো। গল্পের এই জিনিশটাই খারাপ লেগেছে সবচেয়ে বেশি।
এছাড়া গল্পের আর সবই ভালো লেগেছে। একটা বাচ্চার জন্মের প�� থেকেই চিন্তা ভাবনা এবং কথা বলতে পারার ব্যাপারটা যথেষ্ট ইউনিক লেগেছে। মজা পেয়েছি খুব। পড়তে পড়তে মুখ টিপে টিপে হেসেছি প্রতি পৃষ্ঠায়। মেকুর মায়ের চরিত্রও দারুণ লেগেছে। বাচ্চা হারিয়ে যেতেই হুট করে যেভাবে বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন এবং তার বহিঃপ্রকাশ যে আবেগের সাথে হয়েছে, তাও অত্যান্ত বিনোদনমূলক। মোট কথা গল্পটা পড়তে পড়তে কখনও বোর হতে হয়নি। কিন্তু একটা আকাঙ্ক্ষা থেকে গেছে। সেটা হচ্ছে লেখক গল্পের একবারে শেষ লাইনের দিকে লিখেছেন মেকু আরও বড় বয়সে একটি ঘটনা। সেই ঘটনা নাকি এতই বড় যে বলতে গেলে ইতিহাস হয়ে যাবে। ধুর সেই ঘটনাটা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে!! লেখক কবে লিখবেন কে জানে!!
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল যে কতো সাবলীল এবং বড় মাপের কিশোর সাহিত্যিক তা তার এইসব বইগুলো পড়লেই ধারণা হয়ে যায়।
উপন্যাসটি নিতান্তই কিশোরদের জন্য হলেও যেকোনো বয়সের পাঠকদের মন জয় করবে।বইএর প্রথম পৃষ্ঠা থেকে হাসতে শুরু করবেন।
গল্পের মূল চরিত্র মেকু।মেকু একটি ছোট্ট শিশু,যার জন্ম দিয়ে গল্পটি শুরু।মেকু নামটা খারাপ শুনতে হলেও মেকু ছেলেটি কিন্তু ভারী মজার।ওকে যত জানবেন তত ভালো লাগতে শুরু করবে।পুরো উপন্যাসটাই এই মেকুকে কেন্দ্র করে।উপন্যাসটি ছোটো ছোটো পরিচ্ছেদে ভাগ করা - (১) জন্ম (২) পরিচয় (৩)অফিস (৪) কিডন্যাপ (৫) ফন্দি ফিকির (৬) কাল রাত (৭) অভিযান (৮) শেষ কথা। বইএর প্রচ্ছদ একেবারে পছন্দ হয়নি।
নিজের একঘেয়ামী কাটাতে অবশ্যই এই বইটি বেছে নিতে পারেন।
এ গল্পটা খুব ব্যতিক্রমধর্মী। গল্পটা শুরু হয় এক বাচ্চার জন্ম দিয়ে। কিন্তু বাচ্চাটা ব্যাতিক্রম। সেটা কিভাবে? তার জন্ম সদ্য হলেও তার বুঝ ব্যবস্থা সবই বড় মানুষের মত। কিন্তু লোকজন সব ভয় পেয়ে যাবে বলে নিজেকে স্বাভাবিক বাচ্চাদের মতই প্রকাশ করে। তা এই বাচ্চার নাম হচ্ছে মেকু। মেকুকে নিয়েই মেকু কাহিনী। আমি শেষে এদ্দুরই বলব এ বইটা পড়ে আমার হাসতে হাসতে চোখে জল চলে এসেছিল। কাজেই নিখাদ বিনোদন পেতে চাইলে বইটা পড়ে ফেলা যায়।
এই বই যতবার পড়ি ততবার মজা লাগে। একটা সদ্যজাত বাচ্চার কাজকর্ম নিয়ে অসম্ভব মজার একটা লেখা। অবাস্তব মনে হবে তবুও হেসে কুটি কুটি হবার জন্য বারবার পড়া যায়। 'বেবিস ডে আউট' মুভিটার কথাও মনে করিয়ে দেবে।
আশ্চর্য ক্ষমতা নিয়ে মেকুর জন্ম হয়েছে। মেকু জন্মের পর থেকে কথা বলতে জানে এবং সবার সব কথা বুঝতে পারে। মেকুর বয়স এখন এক বছর তিন মাস। প্রিয় লেখক জার্মানির গ্যেটে, প্রিয় বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং, প্রিয় খেলা দাবা আর প্রিয় শিল্পী পাবলো পিকাসো।
একজন অবুঝ শিশুর আর্তনাদ, না বলা মনের অনুভূতি লেখক কমেডির মাধ্যমে উপস্থান করেছে মেকু কাহিনী বইতে।
বইটা পড়ার সময় প্রথম লাইনেই নিজেকে মেকুর জায়গায় দেখতে পেয়েছিলাম। কিছুটা আশ্চর্য হয়েছি। তবে তা সত্য বটে। আত্নীয়দের থেকে শুনেছি আমার জন্মের পর নাকি আমি কান্না করিনি। তারপর আমার পাছায় নাকি থাপ্পর দেয়ার পর আমি কান্না করছিলাম। আমার কান্না শুনে সবাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। মেকু কাহিনী বইটাও ঠিক এমনভাবে শুরু হয়েছে। একটা অবুঝ শিশুর উপর আমাদের একি অবুঝ নির্যাতন!
যারা সবসময় মুখ গোমরা করে রাখেন, যাদের এই মুহূর্তে মন খারাপ, যারা কমেডি পছন্দ করে তাদের জন্য মাস্টরিড একটা বই। মনের শান্তির জন্য, কিছুটা বিনোদনের জন্য মেকু কাহিনীর মেকুর সাথে যাত্রা করলে মন্দ হয় না।
মেকু একটা ছোট্ট ছেলের নাম; তবে সবার থেকে আলাদা একটা ছেলে। তার তোমার মতনই ২ চোখ, ২ কান, এক নাক; তবুও সে আলাদা। তবে সে তোমার থেকেও অনেক অনেক ছোট; অনেক ছোট মানে যাকে বলে একেবারে গেন্দা বাচ্চা। কয়েক মাস মাত্র বয়স; কিন্তু এই কয়েক মাস বয়সেই তার সাথে ঘটে যায় এমন অনেক ঘটনা যা তুমি চিন্তাও করতে পারবে না। তুমি একেবারে ছোট্ট বাচ্চা দেখেছ কখনো? যারা সারাদিন ঘুমায়; ঘুম ভাংলে শুধু কান্না করে। না পারে হাঁটতে না পারে বসতে না পারে কথা বলতে না পারে কিছু ধরতে। মেকু হাঁটতে পারে না বসতেও পারেনা। তবে তোমার মতনই চিন্তা করতে পারে আবার কথাও বলতে পারে। অবশ্য তার মুখে কথা শুনলে সবার পিলে চমকে যায়। তাই সে বেশী একটা কথা বলে না। কি আজব তাইনা? সে যখন তখন কোলে বা বিছানায় হিসু করে দেয়না; আম্মু যখন বলে তখন করে। আম্মুকে একটুও বিরক্ত করেনা বরং তার সব কথা শোনে। কত্ত লক্ষী একটা বাচ্চা। ছোট বাচ্চা তো কি হয়েছে; মেকুর অনেক রাগ। সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারে; তার সম্পর্কে কেউ বাজে মন্তব্য করলে বা তার সাথে খারাপ আচরণ করলে তাকে একদম টাইট দিয়ে ছেড়ে দেয় মেকু।
ঘটনাচক্রে এবং ভুলক্রমে এই ছোট্ট বাচ্চাটাকেই কিনা এক দুষ্টু মহিলা এবং তার ২ সহকারী কিডন্যাপ করে নিয়ে যায়; যাতে মেকুর বাবার কাছ থেকে অনেক অনেক টাকা আদায় করে নিতে পারে। তখন তার বয়স এক মাস-দুই মাস; কিন্তু দুষ্টু কিডন্যাপাররা তো আর জানেনা যে মেকু কি জিনিস। তাদের উচিৎ শিক্ষা দেয়া মেকুর বাঁ হাতের খেল। জরিনা, বদি আর মতিকে উচিৎ শিক্ষা দিতেই হবে মেকুর। মেকুকে নিয়ে গিয়ে পদে পদে নাস্তানাবুদ হয় তারা। কখনো বদির বুকের লোমে আগুন দিয়ে দেয়; কখনো ল্যাং মেড়ে তার পা মচকে দেয়; আছাড় খেয়ে মতির কপাল আলু হয়ে চোখ বুজে আসে মেকুর লাথিতে। কথা বলে জরিনাকে ভুতের ভয় দেখায় মেকু, শেষে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ৩ জনকেই একেবারে বেহুশ করে দেয়। আরও কত কিছু যে করে বলে শেষ করা যাবে না।
মেকুর মাথায় অনেক বুদ্ধি; একদম যেন একটা মিনি আইনস্টাইন। তাই তো বুদ্ধি করে মায়ের কাছে ফোন করে বাবা মাকে শুনিয়ে দিলো দুষ্টু লোক গুলোর আলোচনা পরিকল্পনা আর অবস্থান। পুলিশ আঙ্কেলদের সহায়তায় মেকুকে উদ্ধার অভিযানে নামলেন মেকুর বাবা-মা।
মেকু কি দুষ্টু কিডন্যাপারদের এতো সহজে ছেড়ে দেবে? দেবে তার বাবার থেকে টাকা নিতে? মেকুর কি কোন ক্ষতি হবে? মেকু কি মুক্তি পাবে; ফিরে যেতে পারবে মায়ের কোলে?
জানতে হলে পড়তে হবে মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা “মেকু কাহিনী” বইটি। তোমার যদি বইটি এখনো না পড়া থাকা তবে এখনি পড়ে ফেল; না পড়লে অনেক মজা থেকে বঞ্চিতই রয়ে যাবে। আর বইটি পড়ে হাসতে হাসতে খাট থেকে গড়িয়ে পড়ে গেলে আমায় কিন্তু আবার দোষ দিও না। মেকুর কাহিনী যখন, হাসতে হাসতে নাক তো ভাঙবেই।
"বেবিস ডে আউট" মুভিটার কথা মনে পরে? আমি বোধহয় আজ পর্যন্ত ১৩/১৪বার দেখে ফেলসি। এখনো দেখলে হেসে কুটিকুটি হই। 'মেকু কাহিনী' বইটা একটু ভিন্নভাবে যেন একই গল্প অবাস্তব বিষয়বস্তু নিয়ে। এইটা কিছুটা দৃষ্টিকটু। তবে বইটা পড়ে যে মজা পেয়েছি তা বলতে দ্বিধা নেই। ছোট মেকু যখন পৃথিবীতে আসে তখন থেকেই তার বুদ্ধি বড়োমানুষের মতন, সে কথা বলতে পারে। এই বুদ্ধিমান শিশু মেকুকে নিয়ে পুরো গল্প। যেখানে এক পর্যায়ে দুই মাস ১১দিনের মেকুকে আরেক বাচ্চার জায়গা ভুল করে কিডন্যাপ করা হয়। কিডন্যাপাররা হলো মতি, জরিনা ও বদি। মেকু তার দুষ্টি বুদ্ধি দিয়ে ওদের নাজেহাল করে ফেলে এবং নিরাপদে তার মা শাহানা ও বাবা হাসানের কোলে ফিরে যায়।
বইটি আমি যখন প্রথম পড়ি, তখন আমি এস এস সি পরীক্ষা দিচ্ছি। আমাদের পরিবারে পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বই পড়ার সুযোগ কম ছিল। এজন্য সবাই ঘুমিয়ে পড়লে তখন এসব বই পড়তে হত। এস এস সি চলছিল বলে রাত জাগলে কেউ কিছু মনে করত না। ঠিক তেমন সময়ই বইটি পড়ি। শেষ করতে করতে প্রায় সাড়ে তিনটার মত বাজে। বইটা পড়ে এত জোরে হেসে উঠেছিলাম যে পাশের রুমে ঘুমিয়ে থাকা বাবা কে জাগিয়ে পর্যন্ত দিয়েছিলাম।
মেকু নামের একটা বাচ্চার কথা, জন্মলগ্ন থেকেই যার রিফ্লেক্স খুব ভাল। মেকু আর দশটা ছেলের মতনা। জন্মানোর পর থেকেই সে সবার কথা শুনে বুঝতে পারছে, নিজের মত করে ভাবতে পারছে আবার চেষ্টা করলে কথাও বলতে পারছে। অবশ্য তার মুখে কথা শুনলে সবার পিলে চমকে যায়। তাঁর নাম নিয়ে কেউ উল্টাপাল্টা কিছু বললে তাঁর খুব রাগ হয় এবং যে এ কাজ করেছে তাকে সে শাস্তিও দেয়।
একবার মেকু কিডন্যাপ হয়। চোরের দলকে মেকু যেভাবে নাজেহাল করে এ পার্টটি খুব মজার। গল্পটা পড়তে গিয়ে “বেবিস ডে আউট” ছবির বাচ্চাটির কথা মনে পড়ে গেল। কাহিনী চমৎকার। যদিও অনেকটা বাচ্চা লেভেল এর গল্প। তবুও হাতের কাছে পেয়ে পড়ে ফেললাম।
Another MZI classic, Meku Kahini. A story about a wonder kid who knows way too much for his age cause his mother has been teaching him everything while he was still in her womb. The story has an interesting plot and it is a magical ride for any kid to read about the wonders of Meku as he keeps getting into troubles and coming out of them using unpredictable means.
মেকু কাহিনী হলো মেকু নামের এক অসাধারণ ক্ষমতাধর পুচকের গল্প। এই গল্প অ্যাডভেন্চারে ভরপুর তার জীবনের খন্ডাংশ মাত্র। শুরু থেকে শেষাবধি মনোযোগ ধরে রেখেছিল গল্পটি। এককথায়, ফাটাফাটি এক গল্প, যা অনেকদিন অবধি মনে রাখবার মতো।
আমি কোনো স্পয়লার দিতে চাই না বলে আর বেশিকিছু লিখছি না। এই রহস্যময় পুচকেকে না হয় তোমরাই আবিষ্কার করে ফেলো।
এই বইটার কাহিনি টা কিছু টা অসম্ভব প্রকৃতির। বাচ্চা ছেলে জন্মের পর থেকেই সে সব বুজে। মানুষের কথাবার্তা হাসি ঠাট্টা সব বুজে। জন্মের সাথে সাথে ই সে ডাক্তারকে লাথি মেরে চশমা ভেঙে ফেলে। সব মিলিয়ে দারুন হাসির আর অবাক করা বই। ২ মাস বয়সে কিডন্যাপ হয়ে কিডন্যাপারদের কিভাবে নাস্তানাবুদ করে সেটা মনে করেও হাসি আটকাতেপারবেন না😅 যদি বাচ্চাদের মতো কখনো হেসে কুটিকুটি হতে ইচ্ছে করে তবে এই বই আপনার জন্য ! 😎
মেকু কাহিনী আমি কতবার পড়েছি, ঠিক বলতে পারবো না। আর কি পরিমাণ হেসেছি তার কথা আর না বলি। গল্পটা শুরু হয় এক বাচ্চার জন্ম দিয়ে। কিন্তু বাচ্চাটা ব্যাতিক্রম। সেটা কিভাবে? তার জন্ম সদ্য হলেও তার বুঝ ব্যবস্থা সবই বড় মানুষের মত।বাচ্চার নাম হচ্ছে মেকু। মেকুকে নিয়েই মেকু কাহিনী। মেকুর কাজকর্মগুলো অনেক মজার ছিলো। কিডন্যাপারদের ক্যারেকটার বেশি হাসির ছিলো। নিজের একঘেয়ামী কাটাতে অবশ্যই এই বইটি বেছে নিতে পারেন।
বইটি কোনভাবেই বড়দের জন্য নয়। স্কুলের বয়সে ঠিক আছে কিন্তু কলেজে উঠলেই কারো কারো পড়তে গেলে চিন্তা হতে পারে 'কেন পড়ছি?' আর আমার মেয়েই এ বছর বাংলা পড়তে শিখবে ইনশাআল্লাহ। তবু্ও তিন তারা কারন অল্প সময়ে পড়ে ফেলা যায়। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রদের বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করার জন্যও ভালো বই।
দুধের বাচ্চার হাতে তিন অপহরণকারী নাজেহাল, এই প্লটে ইংরেজি মুভি আছে (Baby's Day Out)। তবে লেখক বাচ্চাকে জন্মের সাথে সাথে বলতে ও বুঝতে পাড়ার ক্ষমতা দিয়ে কিছুটা আকর্ষণীয় করেছেন।
অডিও বুক শুনে শেষ করলাম জাফর ইকবাল স্যার এর মেকু কাহিনী। একটু শুনেই মনে হলো প্লট টা চেনা চেনা লাগে। পরে বুঝলামঃ ছোটবেলায় একটা মুভি আমরা অনেকবারই দেখেছি Baby's Day Out, লেখক সম্ভবত সেই থেকে ইন্সপায়ার্ড হয়েই বইখানা লিখেছেন। কাহিনি মুভির মতোই,তিনজন মিলে একটি বাচ্চাকে কিডনাপড করে। তারপর সেখান থেকে বাচ্চার কারনে নানান সমস্যায় পড়ার কাহিনি। হাস্যরসে ভরপুর। মুভি না দেখে থাকলে পড়ে ফেলতে পারেন,বা মুভি দেখে থাকলেও এটার দেশি ভার্সন ভেবে পড়তে পারেন।