Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় ইচরে পাকার মত বইটা পড়া । সেসময়কার হিসেবে আমার পড়া প্রথম বড় পরিসরের কোনো বই। নিঃসন্দেহে আবেগের বিশাল একটা অংশ জুড়ে রয়েছে উজবেক কবি নদ্দিও নতিমের কবিতা:
“জলে পড়ে কার ছায়া, কার ছায়া পড়ে জলে, সেই ছায়া ঘুরেফিরে কার কথা বলে?”
মানুষ হারিয়ে যায়, কখনো নির্দিষ্ট কারোর জীবন থেকে। আবার কখনো প্রকৃতি থেকে, চিরতরের জন্য। যে মানুষটার অস্তিত্ব থাকে না, তার নিয়ে নতুন কোনো গল্পও থাকে না। শুধু স্মৃতি গুলো পরে থাকে।
হুমায়ূন আহমেদ এর বেশির ভাগ উপন্যাসে অনেক চরিত্রের অদ্ভুত মানবিক অবস্থার সাথে আমরা কম বেশি পরিচিত। তবে " কে কথা কয় " উপন্যাসের চরিত্র চিত্রন এত গভীর ভাবে করে হয়েছে, যে মাঝে মাঝে বেশ কনফিউজ হয়ে গেছি চরিত্র গুলো সবই কি অদ্ভুত মানবিক বৈশিষ্ট্য নাকি মানসিক বিকারগ্রস্থতা এক প্রকারের? যদিও উপন্যাসের এটি তেমন কোনো মূল বিষয় হয়তো না, তবুও ব্যাপার টা কেন জানি দারুন চিন্তার খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে।
বইটা রেয়ার একটা হুমায়ুন আহমেদের বই যেটা তিনি লেখার সময় পড়ে দেখেছেন এবং যেটাতে ফাঁক-ফোকরের সংখ্যা তুলনামুলকভাবে অল্প। বেশ ভাল রকম যত্ন পেয়েছে অটিস্টিক শিশু কমল এর চরিত্রায়ন, যে যত্নের সৌভাগ্য খুব কম সংখ্যক হুমায়ুনের চরিত্রদের কপালে জোটে। আর মতিন উদ্দিন এবং তার ছদ্ম চরিত্র নদ্দিউ নতিম এর চরিত্রায়ন আমার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে লেখক হিমুর সাথেও কিছুটা মিলিয়ে ফেলছিলেন। তবে সবচেয়ে বিরক্তিকর ছিল নদ্দিউ নতিমের কবিতাগুলো। কবিতাগুলোর জন্য শুধু একটাই বিশেষণ ব্যবহার করবো- চিপ। শুধু কবিতা নয়, অপ্রয়োজনীয় কিছু চটুল লাইনের ব্যাবহার লেখক করেছেন বইতে। আবার এই চটুল লাইনগুলো ছাড়াও বইতে অপ্রয়োজনীয় কন্টেন্টের অভাব ছিল না।
এই বইটা সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত একটা গল্প আছে। আমি সাধারণত হুমায়ুন আহমেদের বই কিনে পড়ি না। আমার আশেপাশের অনেক মানুষ ওনার বই প্রকাশিত হবার সাথে কিনে ফেলে এবং কেনার সাথে সাথে পড়ে ফেলে তাই আমার কাছে বই ধার করার অনেক অপশন থাকে। আবার বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই হুমায়ুনের বই দুইবার পড়ার ইচ্ছা আমার হয় না (যদিও কাহিনী এবং নাম ভুলে কিছু বই তিন-চার বার ও পড়ে ফেলেছি) এটাও একটা বড় কারণ। যাই হোক,কোথাও বেড়াতে গিয়ে এই উপন্যাসটা পড়ছিলাম কোনো একটা ঈদ সংখ্যায়, সাপ্তাহিক ২০০০ এ মে বি। কিন্তু উপন্যাসটার ৮০ ভাগ ছিল সেই সংখ্যায় আর বাকি ২০ ভাগ ছিল না। বইটা আমার অসম্পূর্ণ রয়ে গেল এই চিন্তায় খুব ভাল করে নাম মুখস্থ করে রেখেছিলাম..."কে কথা কয়"! :P কিন্তু যদিও হুমায়ুনের প্রতি স্বভাবসুলভ কার্পণ্যে আর বইটা কখনোই কেনা হয় নি, খুঁজেও দেখা হয়নি। পরীক্ষা আসলেই আমার জীবনের অসম্পূর্ণ কাজগুলো আমাকে টানতে থাকে। সেই টানাটানিতেই রাত জেগে "ডেটা মডেলিং" এর বদলে পড়লাম "কে কথা কয়?"!!!
মতিন এর জায়গায় খালি হিমু নামটা দিয়ে দিলেই এটা হিমুর বই হয়ে যেত। কোথাও উনিশ-বিশ লাগতো না। সমস্যা হচ্ছে হিমুকেই শুধু হিমুগিরিতে মানায়। অন্য কেউ হিমুগিরি করলে বিরক্ত লাগে।
আধাখেঁচড়া একটা উপন্যাস মনে হলো। উপন্যাসের মেইনপ্লট নামমাত্র, সাবপ্লটের বাহুল্য বিরক্তিকর। আর টিপিক্যাল হুমায়ুনীয় চরিত্রের সমাবেশ সব। এক ছটাক হিমু-হিমু নায়ক (যে কিনা অবলীলায় ঠাট্টা-মশকরা করে এক নারীর জীবন ধ্বংস করে দিতে পারে), দু ছটাক স্মার্ট কিন্তু সাহসী তথাপি দুখিনী, মিষ্টি অভাগী আবারো দুখিনী😴 যাদের খুব সহজেই আবার কান্না পায় আর এক ছটাক অস্বাভাবিক রূপবতী রমণীর কীসব আবোলতাবোল কীর্তি। গল্পের এক পর্যায়ে কমল যখন মুনার আহমেদ ফারুক সম্পর্কে আগ্রহের কথা প্রকাশ করে দেয় ঠিক তার পর থেকেই মুনার কথায় আহমেদ ফারুক নিয়ে বাড়াবাড়ি দেখা যায়। এর আগে কিন্তু মুনার বলা কথায় এরকম কিছু ছিলো না। ঠিক যেন পুতুল নাচ - কিন্তু এখানে লেখক জানে না এরপরের নাচ কী ব্রেক ড্যান্স হবে না ভারতনাট্যম! -_- ধুত্তোরি!
অসাধারন! অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে বাংলা সাহিত্যে আর কোন উপন্যাস আমার জানামতে নেই। রীতিমত গবেষণা করে হুমায়ূন আহমেদ এই বইটি লিখেছেন। কমল নামক অটিস্টিক শিশুর সাথে গল্পের নায়ক মতিন (নাকি নতিম?) এর পরিচয়, সম্পর্ক এগিয়েছে একেবারে হলিউড এর ছবিগুলোতে যেভাবে আগায়। ভালো লেগেছে 'উজবেক' কবির কবিতাগুলো; অনেক ভাবিয়েছে। গল্পের শেষে এসে মন খারাপ হয়ে গেলো অনেক। কিন্তু সত্যি কি মন খারাপ হল? নতিম সাহেবের ওই জগতটাও তো একেবারে অসুন্দর নয়!
বেঁচে থাকুন হুমায়ূন আহমেদ, অগনিত পাঠকের মনে, যতদিন বাংলা সাহিত্য থাকে।
হুমায়ূন আহমেদের অল্প যে কটি বই আমি একাধিকবার পড়েছি এটি তার একটি। এই বই প্রথমবার পড়ে শেষ করার পর ২০০৬ সালের কোন এক লোডশেডিংস্নাত সন্ধ্যায় মোমবাতির আলোতে জন্ম হয়েছিলো তূর্কী মরমী কবি দাদায়েম ঈমাসের। স্বপ্নে সেই কবি আজো আমাকে মাঝে মাঝে ডাক দিয়ে যায়। ঘুম ভেন্গে গেলেই মনের মাঝে একটি কথাই বাঁজতে থাকে- "কে কথা কয়?"
হুমায়ূন আহমেদের এই বই আমার এতোদিন পর কেনো চোখে পড়লো! কে কথা কয় আমি এতকাল ছোটখাট বই ভেবেছিলাম।অবশ্য হুমায়ূন আহমেদের বই খুব তাড়াতাড়িই পড়া যায়। আমার লেগেছে ৮ঘণ্টা মতোন। এর মধ্যে আমি বাইরে ছিলাম একঘণ্টা। মোবাইল ঘেটেছি, প্রয়োজনীয় কাজ করেছি, একটা ভিডিও-ও এডিট করেছি। তাই বলতে পারো খুব কম সময়েই পড়ে শেষ করেছি।
বইটা পড়তে পড়তে বার বার কল্পনা করছিলাম, হুমায়ূন স্যার ঠিক কি পরিস্থিতির মাঝে এই বইটা লিখেছিলেন। তিনি মূলত হিমু লিখতে শুরু করেছিলেন। ক্রমাগত হিমুর পাগলামি কান্ডকারখানা, খামখেয়ালী আচারণ লিখে যাচ্ছিলেন এরপর হয়ত কোন কারণে লেখা থামিয়ে উঠে গেলেন টেবিল থেকে। কিছু সময় বেলকনিতে বসে চা এর সাথে সিগারেট খেলেন। পায়চারি করলেন আনমনে। এরপর পূনরায় ফিরে এসে লেখা শুরু করলেন। কিন্তু এবার আর হিমু না লিখে প্রিয়তমেষু লেখা শুরু করলেন। এবং এভাবেই লিখে গেলেন বেশ কিছু পৃষ্ঠা তারপর আবার ক্লান্ত হয়ে পড়লেন। আবার খাতা ছেড়ে উঠে কিছুসময় টিভি দেখলেন। সংবাদপত্রে চোখ বুলালেন। বিকালে ফাঁকা রাস্তায় হাটতে বের হলেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে আবার লেখা শুরু করলেন। তবে এবার নিজের ক্লাসিক লেখনীতে স্থায়ী হলেন। এবং এভাবেই উপন্যাসের ইতি টানলেন। (শেষ মুহুর্তে এসে হিমুর নাম পাল্টে মতিন দিয়ে দিলেন).
ব্যক্তিগতভাবে, উপন্যাসটি আমার ভাল লাগে নাই। এটা যদিও খুবই আন্ডারেটেড। এই উপন্যাসটি নিয়ে তেমন কথা হয় না বললেই চলে। আমি যখন শুরু করি পড়া, আমার মনে আশা ছিল যে হয়ত উপন্যাস শেষ করে তৃপ্তির ঢোক গিলতে পারব। কারণ ইতিপূর্বে ওনার যতগুলা আন্ডারেটেড উপন্যাস পড়েছি সবগুলাই আমার কাছে মাস্টারপিস লেগেছে। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে এটা আমায় হতাশ করল। একটা সেনসিটিভ টপিক নিয়ে লিখলেও একই উপন্যাসে একাধিক ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট উপন্যাসজে জগাখিচুরি বানিয়ে ফেলেছে। উপন্যাসটা যদি শুধু কমলের উপর স্থায়ী হত তবে হয়ত দারুণ একটা ক্লাসিক হয়ে যেত।
আচ্ছা হুমায়ূন আহমেদের এমন কোন উপন্যাস কি আছে, যেখানে "ফুপিয়ে কেদে উঠল" এই লাইনটা নাই৷ আমি সাংঘাতিক বিরক্ত এই নেকামো কান্না নিয়ে।
উপন্যাসটি অটিস্টিক শিশু কমলকে নিয়ে গল্প শুরু করলেও পরে তৌহিদা, নিশু সহ আরো বেশ কয়েকটি চরিত্র দীর্ঘ সময় উপস্থিত ছিল।এত বেশি ঘটনার ঘনঘটা ছিল যে বইয়ের শেষের দিকে এসে বুঝতে পারছিলাম যে নাটকীয় ভাবে শেষ করবে। তেমনি খুব দ্রুত সময়ে সমাপ্তি টানা হয়েছে। কমল চরিত্রের জন্য বইটি সুন্দর।
জলে কার ছায়া পড়ে কার ছায়া জলে? সেই ছায়া ঘুরে ফিরে কার কথা বলে? কে ছিল সেই শিশু কী তাহার নাম? কেন সে ছায়ারে তার করিছে প্রণাম?
উজবেক কবি নদ্দিউ নতিম - এর একটি অপ্রকাশিত কবিতার অংশবিশেষ
বইয়ের ভূমিকায় আমরা দেখতে পাই হুমায়ূন আহমেদ বলেছেন যে, তিনি এ বই লিখবার চিন্তা পান মার্কিন লেখিকা ক্যারেন আর্মস্ট্রং এর আত্মজৈবনিক “দা স্পাইরাল স্ট্যারকেস” থেকে—যেখানে লেখিকা এক অটিস্টিক শিশুর কথা বলেন, এক সময় শিশুটির বেবিসিটারের দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। এরপর আছে মার্ক হ্যাডনের উপন্যাস “দা কিউরাস ইনসিডেন্ট অফ দা ডগ ইন দা নাইট টাইম” এর উল্লেখ—যে বইটির পনেরো বছর বয়সি মূল চরিত্র নিজেকে দাবি করে একজন গণিতবিদ হিসেবে, যে স্বীকার করে তার কিছু মানসিক সমস্যাও আছে। ভূমিকার এ কথাগুলো খুব গুরুত্বপুর্ণ কারণ “কে কথা কয়” উপন্যাসের মূল চরিত্রের একজন কমল, যার বয়স দশ-এগারো, অটিস্টিক শিশু এবং গণিতে আগ্রহী। যদিও অটিস্টিক শিশু নিয়ে বইটা লিখছেন কিন্তু আদতে বইয়ের সব চরিত্র আসলে আমাদের বাস্তবতার সাথে মিলে যায়। এখানে আমার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের জীবন প্রবাহ দেখতে পাই। এক কথায় আমাদের সমাজের প্রতিচ্ছবিটাই আমরা দেখতে পাই "কে কথা কয়" তে।
বইয়ের থিম সুন্দর। কিন্তু অনেক আশা জাগিয়ে শুরু করেও আস্তে আস্তে উপন্যাস পথ হারিয়ে ফেলেছে। অন্যরকম ভাবে যাত্রা আরম্ভ করার পর আবার সেই গতানুগতিক সস্তা দার্শনিক উক্তি আর স্থুল রসিকতার ছড়াছড়ি, অপ্রয়োজনীয় ভাবে নতুন নতুন চরিত্রের আমদানি, তাদের কেন্দ্র করে কাহিনীর শাখাপ্রশাখা বিস্তার লাভ ও অহেতুক বইয়ের কলেবর বৃদ্ধি। কিছুক্ষণ পরেই লেখক তাদের ব্যাপারে লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেললেন ও abruptly উপন্যাস শেষ করে দিলেন। হয়তো 'নন্দিত নরকে' বা 'শংখনীল কারাগার' এর সমসাময়িক হলে এ উপন্যাসের একটা গতি হত, কিন্তু এটা যে সময় লেখা ততোদিনে লেখকের লেখনী শক্তি স্তিমিত হয়ে গেছে। ফলাফল হিসেবে উপন্যাসের দুঃখজনক পরিণতি।
অনেকদিন কোন বই একবারে পড়ে শেষ করি নাই। আর কয়েকদিন ধরে মনটাও ভালো নেই। কেমন একটা খাপছাড়া ভাবে যেন সময়গুলো কেটে যাচ্ছিল। অবশেষে প্রিয় বন্ধুর পরামর্শে হুমায়ুন আহমেদ এর "কে কথা কয়" বইটি পড়তে শুরু করলাম। বইটি পড়েও ফেললাম সময় ব্যায় করে।শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। এককথায় মনোযোগ ধরে রেখেছিল,কিন্তু মধ্যভাগে এসে চরিত্রগুলো আর ঘটনাগুলো কেমনযেন ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল,কেমন যেন খাপছাড়া টাইপের। শেষটাও হলো তেমনই.... তবুও নতুন কিছু শিখেছি উপন্যাসটা থেকে। এককথায় মন খারাপের ক্ষনে সময় অতিবাহিত করার জন্য বেশ ভালোই ছিল,,,
"কে কথা কয়" হুমায়ূন আহমেদ এর একটি ভিন্নধর্মী গল্প বলা চলে। বইটায় একটা লাইন আছে - "যে নেই তার গল্পও নেই "। গল্পের এই জায়গায় এসে আমার হঠাৎ করে হুমায়ূন আহমেদের অপেক্ষা বইটার সুপ্রভার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। আসলেই তো যারা হারায় তাদেরকে আসলে কি আর কেউ মনে রাখে! গল্পটা পড়ে আমি অনেক জায়গায় ধাক্কার মতো খেয়েছি। মাঝে মাঝে বেশ কনফিউজড হয়ে গিয়েছি চরিত্রগুলো আসলে অদ্ভুত বৈশিষ্ট্যের নাকি সবাই মানসিক বিকারগ্রস্থ। বইটিতে হুমায়ূন আহমেদ চরিত্রগুলোকে খুব ভিতর থেকে তুলে এনেছেন। বইটিতে কমল নামের একজন অটিস্টিক শিশুর কথাই ছিল মূলত গল্পের মূল অংশ। বেশি কিছু বলব না শুধু বলবো বইটা একবার হলেও পড়ে দেখা উচিত আর নদ্দিউ নতিম দ্রুত সুস্থ হয়ে যান প্লিজ।
উজবেক কবি নদ্দিউ নতিম এর একটা কবিতা দিয়ে শেষ করছি - " জলে কার ছায়া পড়ে, কার ছায়া জলে? সে ছায়া ঘুরে ফিরে, কার কথা বলে? "
This book broke my heart... Am sobbing right now!! All these characters had their own layers, the plot, the storyline, the events that occred in the story is so balanced. Had some trigger point & discussed some sensitive issues. Overall, A masterpiece of Humayun Ahmed Sir. Ni evol htiw sith koob !!
এই নিয়ে এইবই আমার তিনবার পড়া হলো। হুমায়ুন আহমেদের বই আমি পড়লে ভুলে যাই আবার মুড আসলে হয়ত তারই দুইটা বই নিয়ে বসি, সোজাকথায়, আমি তার বইয়ের নিয়মিত পাঠিকা নই। বেশিরভাগই একবারের বেশি পড়া হয়নি কিন্তু এইবইটা যতবারই হাতে পাই বা সু্যোগ পাই কীভাবে পড়ে ফেলি! এরপরও বইটা আমার কাছে নেই, প্রতিবারই অন্য কারো সেল্ফ থেকে নিয়ে হুট করে পড়া হয়ে যায়...কে জানে কেন?
এইবইতে আমার যেইটা ভালো লাগে সবচেয়ে বেশি সেইটা হচ্ছে বিভিন্নরকমের চরিত্র আর তাদের মানসিকতার যেই অংশটুকু লেখক বিভিন্নভাবে তুলে ধরেছেন..হোক সেটা সালেহ ইমরান বা হাবিবুর রহমান। কাহিনীর সাথে সাথেই চরিত্রগুলিকে বেশ চিনে ফেলা যায়।
সাধারণত হুমায়ুন আহমেদের বইয়ে আমার একটা অভিযোগ থাকে যে, নারী চরিত্রগুলি ঠিকভাবে ডেভেলপড না, একই ধাঁচের - সেই অভিযোগ এইবইয়ে ঠিক করতে পারছি না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৌহিদার জন্যে মায়া হয়। আবার নিশুর কথা শুনে কারো একজনের কথা মনেই হচ্ছিল বারবার।
এখন আসি অন্য ব্যাপারে, বইটা আমার পড়া হয়েছে অটিজমের বিষয়ে পড়ার জন্যে। বাংলাদেশে মানসিক ব্যাধির উপর বই খুব বেশি নেই, সেই হিসেবে চেষ্টাটা ভালো ছিল। যদি আমার ভালো মত মনে থাকে বইটা এমন সময়ে লেখা যখন মানুষ অটিজম নিয়ে মাত্র জানতে শুরু করেছে। এইক্ষেত্রে,কমলের চরিত্রটি ভালো লেগেছে কিন্তু অটিজমের ব্যাপারটা আমার কাছে বেসিক মনে হয়েছে আর কিছু কিছু লাইন একেবারেই অপ্রয়োজনীয় ছিল, তাতে ভুল ধারণার একটা সম্ভাবনা রয়েই যায়।
সবচেয়ে বিরক্তিকর ছিল মতিন উদ্দীন, হিমু প্রকারের চরিত্র সবজায়গায় ভালো লাগে না, অবশ্য আমি বলার কে, আমার তো হিমুই ভালো লাগে না!
This novel was quite an amazing read, it has a translated copy of the author's drive behind writing it, which enables the reader to understand the various events and experiences that lead to the writing of this book.
The plot is quite simple and easy to follow, however, it is the wonderful intertwining of genre and literary styles that encapsulates interest. Furthermore, we follow the story through the eyes of the somewhat naive protagonist, Motin, which enables the reader to learn, just as he does.
My only contrasting comment would be that the translation could have been better, some words seem out of place at times however, this seems to be a recurring feature of translation novels.
Overall, it is a beautiful reflection on the nuances of life through the use of literary nuance.
Properly the most morbid book by the author. Although he claimed he researched autism but the General comments he made about autism were not right. Only way one can describe the protogonist Matin as a psychopath. A strong resemblance can be found with Himu books though. Pretty big book considering his other works but not very hard to read. A book very hard to like.
মানুষ কেন আনন্দ পায় আর কেন কষ্ট পায়? জগতের অনেক তুচ্ছতম ব্যাপার অনেকসময় মনে যেমন অনাবিল আনন্দের অনুভূতি জাগায় তেমনি কখনও কখনও তীব্র কষ্টের সৃষ্টি করে। কেন করে? অলস সময় কাটাতে শেলফ থেকে "কে কথা কয়" নিয়ে পড়তে শুরু করেছিলাম। একটা সময় গিয়ে মনে হচ্ছিলো কেন আমি পড়ছি? মন খারাপ লাগা বেড়ে যাচ্ছে। সবসময় যা হয় শেষ করার পরে খুব বড় করে দীর্ঘশ্বাস চলে এলো। মতিনের মতো আমাদের সবার মধ্যেই একটা 'নতিম' বাস করে। নাকি নতিমের মধ্যে মতিন? যার মাঝে মাঝে কিছুই ভালো লাগে না। যার ইচ্ছে করে দূর কোন দ্বীপে চলে যেতে। যেখানে সে ছাড়া আর কোন দ্বিতীয় ব্যক্তি থাকবে না। যার আর অন্যের সমস্যা নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে করবে না। যার ইচ্ছে করে এমন একটা জায়গায় চলে যেতে যেখানে..... হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা নিয়ে কিছু বলার নেই। যতবারই পড়িনা কেন মনে হয় এই প্রথমবার পড়ছি। শেষ করছি উজবেক কবি নদ্দিউ নতিম-এর একটি অপ্রকাশিত কবিতার অংশবিশেষ দিয়ে, জলে কার ছায়া পড়ে কার ছায়া জলে? সেই ছায়া ঘুরেফিরে কার কথা বলে? কে ছিল সেই শিশু কী তাহার নাম? কেন সে ছায়ারে তার করিছে প্রণাম?
সেকেন্ড হ্যান্ড এই বইটা কিনেছিলাম একটা পেইজ থেকে, ৩-৪ বছর হয়ে যাবে। পড়া হয়ে উঠেনি, তবে গত কিছুদিন আগে কি ভেবে জানি হুমায়ূন আহমেদের লিখা পড়তে ইচ্ছে করছিলো। তাই খুঁজে বের করে পড়ে শেষ করলাম!
বইটা হাতে নিয়ে পড়া শুরু করতেই এক ধরনের অদ্ভুত ছন্দহীনতা টের পেয়েছি। হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ লেখাতেই একটা টান থাকে, যা পাঠককে ধরে রাখে। কিন্তু এখানে যেন বারবার ভেঙে যাচ্ছিলো সেই প্রবাহ। কখনো হিমুর গল্প শুরু করছেন, আবার মাঝপথে সেটি থেমে অন্য প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। কোথাও মনে হয়েছে তিনি লিখতে বসেও মনোযোগ হারিয়েছেন, ফলে লেখার ধারাবাহিকতা নষ্ট হয়েছে।
আমার কাছে উপন্যাসটা বিশেষ কোনো আবেগ তৈরি করতে পারেনি। এক সময় ভেবেছিলাম, হয়তো শেষের দিকে গিয়ে কিছু শক্তিশালী মুহূর্ত পাবো, কিন্তু সেটাও হয়নি। পুরোটা পড়া শেষে মনে হলো, তিনি ইচ্ছা করলে এটাকে আরও অনেক শক্তিশালীভাবে দাঁড় করাতে পারতেন। বরং লেখাটায় অস্থিরতা বেশি চোখে পড়েছে।
হুমায়ূনের যেসব বই শেষ করে ভেতরে দীর্ঘক্ষণ একটা প্রভাব কাজ করে, তার তুলনায় এটা আমার কাছে অনেকটাই ফিকে। টপিকটা ভালো ছিল, কিন্তু গভীরতা নেই।
এই বইতে দেখানো হয়েছে, অটিস্টক শিশুরা অংকে অত্যধিক পারদর্শী হয়। কথাটা সব সময় সত্যি না। অটিষ্টিক শিশুরা অত্যন্ত মেধাবী হয়, ক্রিয়েটিভ হয়। কিন্তু তার মানে এই না যে তারা সব সময় অংকে ভালো হবে। হুমায়ূন আহমেদ নিজে অংকে ভালো ছিলেন, এই জন্য এই বইয়ের এক শিশুর চরিত্রে তিনি বার বার অংকের কচকানি নিয়ে এসেছেন। ব্যাপারটা বিরক্তিকর।
বইতে চায়ের কথা অসংখ্যবার এসেছে। আমার খুব ইচ্ছে করছিলো এই চায়ের অংশগুলো কোন ক্রমে যদি মুছে দিয়ে পড়তে পারতাম!
অনেক অনেক দিন পর হুমায়ূন আহমেদের বই পড়লাম।
অনেক অনেক দিন পর নন-ফিকশন বই পড়লাম।
বইয়ে প্রচুর বাহুল্য বিবরণ। বিরক্তিকর। অনেক জাগায় যৌন সুড়সুড়ি রয়েছে।
এই রেটিং কারণ বইটি পড়ার সময় একবারও মনে হয়নি, ধুর,কি পড়ছি? পড়তে ভালোই লেগেছে। আমি জানি না কেনো বইটি আমার কাছে ভালো লেগেছে! পড়া শেষ করে কনফিউজড ছিলাম ভালো লাগলো না খারাপ লাগলো। মতিন চরিত্র আর হিমু চরিত্রে খুব একটা তফাৎ নাই।নিসন্দেহে হিমু সিরিজে ফেলে দেওয়া যেতো বইটাকে। সব থেকে বিরক্তিকর দুইটি চরিত্র হলো সালেহা আর নদ্দিউ নতিম ( এই নদ্দিউ নতিমের কথা শুরুতে যতোবার আনা হয়েছে ততোবারই বিরক্ত হয়েছি।) তৌ (তৌহিদা) এর পরিনতি মেনে নেওয়া যায় না কারণ মতিনের জন্যই এমন হলো।আর একটা উপন্যাসের লিড রোল এর জন্য কারো এমন হতে পারে ভাবা যায় না।তাই জাস্ট শেষটা Disappointing! (As usual, হুমায়ুন সাহেবের উপন্য��স বলে কথা।💁♀️)
পড়া শুরু করেছিলাম নিতান্তই সময় কাটানোর জন্য। ভালো মন্দ কোনো এক্সপেকটেশন ছিলো। বইয়ে লেখকের নাম উল্লেখ না থাকলেও এটা যে হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়তে পড়তে সেটা হয়তো বুঝতে পারতাম। গল্প কোন দিক�� যাচ্ছে এবং এরপর কি হতে চলেছে সবই বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু তারপরও মাঝপথে বইটা ফেলে রাখিনি এটাই হয়তো বইটার সার্থকতা।
আর কোনো চরিত্রের ব্যাপারে কিছু বলবো না। কিন্তু তৌহিদার সাথে কেন এমনটা হলো? এত সহজ, স্বাভাবিক আর অল্প চাহিদার মেয়েটাকে কেন এত বেশি কষ্ট পেতে হলো? গল্পের কেউ তৌহিদার কষ্ট বোঝেনি। তৌহিদাকে মনে রাখার জন্যও শেষ পর্যন্ত গল্পে কেউ থাকেনা।
এই বইটা আমি শুধু তৌহিদার জন্য মনে রাখবো। শুধু তৌহিদাকে মনে রাখবো।
বিশাল সাইজের বই, আগ্রহোদ্দীপক প্লট, আবেগী ব্যাপারস্যাপার থাকা সত্ত্বেও বইটা ঠিক জমলো না। মতিনের খাপছাড়া আচরণে প্রায়ই হিমুর স্বভাব বৈশিষ্ট্য প্রকট হয়ে ফুটে উঠছিলো। সবচেয়ে বিব্রতকর ছিল কবিতা নামের আজেবাজে লাইন গুলোর ব্যবহার। লেখক চাইলেই এখানে প্রতিষ্ঠিত অনেক কবির কবিতা ব্যবহার করতে পারতেন। একেবারেই অখাদ্য টাইপ লেখা কবিতাগুলো।
মতিন বাদে বাকী সব গুলো চরিত্রই আসলে ভালো লাগার মত। আমার অন্তত লেগেছে। তৌহিদা, নিশু, মৃন্ময়ী, সালেহ ইমরান... এত এত ভালো লাগার চরিত্র থাকার পরও মূল দুই চরিত্রই, মতিন আর কমলের প্রতি বিরক্তি, মতিনের খাপছাড়া আচরণ বইটাকে নষ্ট করেছে।
বইটির ভূমিকা অটিজমকে কেন্দ্রে রেখে একটি গল্পের ধারণা দেয়। কিন্তু বইটি আসলে অটিজম বাদেও সমাজ, রোমাঞ্চ, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও ধর্ম নিয়ে এমনকি ধ*র্ষণ, মাদ*কাসক্তি, দেহব্য*বসা, ডিভোর্স, বহুবিবাহ, দুর্নীতি এবং মৃ*ত্যুর মতো কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এগুলো মূল বিষয়টিকে ছাড়িয়ে যায়। এতগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বইটি কোনো বিষয় নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেনি। কিছু কিছু জায়গায় অপ্রয়োজনীয় যৌ*নতা রয়েছে। একই লেখা বারবার লিখা হয়েছে। তবে হুমায়ূন আহমেদের অসম্ভব স্বাভাবিক সংলাপই আঠার মতো অধ্যায়গুলোকে জুড়ে রেখেছে। শেষের অধ্যায়টি ভালো দিকেই এগোচ্ছিলো। তারপর মাঝখানে অনেক সংলাপ বাকি রেখে খুব দ্রুতই শেষ হয়ে গেলো মনে হলো। তবে আমার কাছে একেবারেই খারাপ লাগেনি যদিও ফিরে তাকালে এখন অনেক অধ্যায়ই অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। নদ্দিউ নতিমকে কোনোদিন ভুলতে পারবো বলে মনে হয় না।