ফ্ল্যাপে লিখা কথা অতি বুদ্ধিমান মিসির আলি মাঝে মধ্যে ধরা খান। অনেক চেষ্টা করেও কিছু রহস্য ভেদ করতে পারেন না। Unsolved খাতায় সেই সব রহস্য লিখে রাখেন। তাঁর মনে ক্ষীণ আশা কোন একদিন এইসব রহস্যের সমাধান হবে। মিসির আলি হাল ছাড়ার মানুষ না।
আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা হাল ছেড়ে দেই। প্রকৃতির রহস্যের কাছে পরভূত হয়ে এক ধরনের আনন্দও পাই। “There are many things in heaven and earth” বলতে আমাদের ভাল লাগে। মানবজাতি পরাজিত সে নিয়তি ধরে নেয়। নিয়তির কাছে সমর্পণে সে কোন সমস্যা দেখে না। মিসির আমি Unsolved এ মিসির আলির কিছু গৌরবময় পরাজয়ের কাহিনী বলা হয়েছে। কাহিনীগুলি লিখতে গিয়ে আমি আনন্দ পেয়েছি।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
বইটিতে লেখক মিসির আলির কিছু আকর্ষণীয় এবং মজাদার ব্যর্থতার গল্পই তুলে ধরেছেন। যেমন ধরুন, মিসির আলির বাবার রেখে যাওয়া এক রহস্যময় তালাবদ্ধ সিন্দুকের ঘটনা। যাতে কান পাতলেই শোনা যেত এক কিশোরী মেয়ের আবেগঘন কণ্ঠস্বর এবং নুপুরের শব্দ। শুধু মিসির আলি একা নন, এই কণ্ঠস্বর কিংবা শব্দ শুনেছেন তাঁর পালক মাতাও। ‘সিন্দুকের ভেতরে নিশ্চয়ই মূল্যবান কিছু রয়েছে’ এমন মূল্যায়নে তাঁর মায়ের পরামর্শে চাবি জোগাড় করে তাঁর মৃত বাবার আদেশ অমান্য করেই খোলা হয় সিন্দুকের তালা। এবং ফলাফল শূন্য। সিন্দুকের ভেতরে এক টুকরো সুতোও পাওয়া যায়নি। এর পর থেকে আর কখনও সেই সিন্দুক থেকে রহস্যময় কোন শব্দ বা কারও কণ্ঠস্বর শোনা যায়নি।
ছোটবেলার এই রহস্য নিয়ে মিসির আলি পরবর্তী কালে বেশ চিন্তা ভাবনা করলেও কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি। এমন বিভিন্ন অব্যাখ্যায়িত সমস্যাবলী নিয়েই ‘মিসির আলি UNSOLVED’। মিসির আলির অন্যান্য বইয়ের মত এই বইটিও বেশ থ্রিলিং বলে আমি মনে করি। বিভিন্ন অতিপ্রাকৃত ঘটনা যা মিসির আলি সমাধান করতে পারেননি সেগুলো পড়ার সময় বেশ রোমাঞ্চ এবং উত্তেজনা বোধ করেছি। ভেদ করতে না পারা উল্লেখিত সেসকল রহস্যের ভেতরে ঢুকে মিসির আলি হবারও খানিকটা ব্যর্থ চেষ্টা করেছি। সব মিলিয়ে বইটির সাথে আমি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি বলেই মনে করি।
মিসির আলির মজা মীমাংসার মাঝে। অমীমাংসিত মিসির আলি মানে ভৌতিক, অলৌকিক। এ জিনিস আমার জন্য না। মনে হয়েছে লেখক যেসকল প্লট এর সমাধান করতে পারেনি সেসকল প্লট দিয়ে একটা বই বানিয়ে ফেললেন।
ফ্ল্যাপে লেখা অনুযায়ী লেখক এ বইটা লিখতে যেয়ে খুব আনন্দ পেয়েছেন, কিন্তু পাঠক হিসেবে বইটা একদমই সুখাদ্য মনে হয় নি। 😞 মিসির আলি আনসলভড বইতে ৭ টি মত ছোট ছোট কাহিনী আছে যেখানে হয় লেখক এবং মিসির আলির কথোপকথন এর মাধ্যমে গল্পের কাহিনী বলা হয়েছে কিংবা মিসির আলি নিজেই তার আনসলভড গল্পের কাহিনী বলেছেন। মিসির আলি সিরিজের বাকি বইগুলোর মত এক্সপেকটেশন নিয়ে এ বই পড়া শুরু করলে হতাশ হতে হবে বলে আমার মনে হয়। আনসলভড গল্পের কাহিনী বলেই যেই খুব রোমহর্ষক কিছু ছিল এমন একদমই না। দু-একটা কাহিনী বাদে বাকিগুলা ভালো লাগে নাই...
Holy crap this book is weird, creepy, and such a tease. I love the fact that it opens with a story about Misir Ali's childhood. The intro gave me some perspective into his character and it helped because I never read a Misir ali book before, or any book written by Humayun Ahmed. Basically, Misir ali is this psychologist who has an incredible ability to solve complex, unearthly mysteries. This however, is a collection of mysteries which Misir Ali labelled as unsolved. Don't want to give away spoilers, but in the first story, the "sinduk" is eventually opened. What's inside? It's for you to find out.
After Sinduk, "Shonar Machi" was my 2nd favourite. Misir tells a story about his professors wife Annie, who had an obsession towards a fly encapsulated in "fake" amber. This fly, apparently, could teleport itself. Annie dies, but what the professor did with the golden fly seemed wholesome yet odd, since he once wanted to get rid of it. The writing is oddly simple to understand.
Reading this was a challenge for me. I never finished a Bengali book before, and this was my first. I credit my pal Omar, who motivated me to read it, and told me my Bengali reading skill isn't as horrible as I thought.
4/5, "Mach" was just unexciting, and Misir Ali could definitely work a bit more towards solving some mysteries.
কয়েক টি শর্ট স্টোরি । তবে কহেন কবি কালিদাস পড়ে থাকলে ইথেনের বাবার একটি সুন্দর স্টোরি আছে।
১. সিন্দুক - কিছুটা ইন্টারেস্টিং ছিল তবে মজা পাই নি ২.ফ্রুট ফ্লাই - এটা অনেক টা sci fi ধরনের ভালো লেগেছে ৩. সোনার মাছি - টিপিক্যাল স্টোরি ৪. ছবি- কহেন কবি কালিদাস এর ইথেন এর দেখা মেলে
৫.রোগ ভক্ষক রউফ মিয়া - অনেক ডিজগাস্টেড লেগেছে ৬. লিফট রহস্য - নতুন কিছু না । ৭.হামা ভুত - জম্বি । ৮. মাছ - বিরক্তিকর লোকের বর্ণনা।
The second book with short stories of Mishir Ali case, these being unsolved ones. Really packs a punch and each are wonderful in their own terms. . . . . Enjoyed everyone of them .
সিন্দুক - মিসির আলির বাবা একটি তালা দেয়া সিন্দুকের পাশে বসে থাকতেন। মৃত্যুর সময় মিসির আলিকে বলে গেছেন যে সেই সিন্দুকের দায়িত্ব মিসির আলির। সিন্দুকের ভিতর থেকে নূপুর এর আওয়াজ হয়। মিসির আলি সিন্দুক খুলে দেখে সিন্দুক ফাঁকা। ফ্রুট ফ্লাই - এক লোক, ফল আনানোর খেলা দেখায়। যেই ফল এর নাম বলা হবে, হাতের মধ্যে সেই ফল হাজির হবে। মিসির আলি দেখেছেন যে ফলে কোনো মাছি বসে না। ফলটা পচে না। সোনার মাছি- মিসির আলির PHD এর শিক্ষক এর বউ একবার এক সোনার মাছি কিনেছিলো। মিসির আলির সেই স্যার সেই মাছি অনেকবার ফালিয়ে দিয়েছেন। নদীতে ফেলে দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বার বার মাছিটা সেই স্যার এর স্ত্রীর কাছে চলে এসেছে। ছবি - বালক বয়সে জামাল সাহেব অংক বই এর ভিতর এক মেয়ের ছবি পায় যে কিনা ৬/৭ বছরের হবে। তারপর তিনি বিভিন্ন বয়সে সেই একই মেয়ে এর আরো ৩ টা ছবি পান এবং ছবিগুলোর ভিতর এর মেয়ে এর বয়সও বাড়তে থাকে। তিনি সেই মেয়েকেই বিয়ে করেন। রোগভক্ষক রউফ - মিসির আলি অসুস্থ। তাকে সুস্থ করে দিয়ে যায় রউফ। সে মানুষের রোগ খেতে পারে হাত চেটে। সে মিসির আলির রোগ ভক্ষণ করে মারা যায়। মিয়া, লিফট রহস্য - সালাম একটি অফিসে কাজ করে লিফটম্যন হিসাবে। সে তার ইচ্ছা অনুযাই লিফট থেকে বের হতে পারে আবার ঢুকতে পারে। সে হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। হামা ভূত - প্রশান্ত বাবুর ছেলে পুকুরে ডুবে মারা যায়। সেদিন রাতেই তিনি তার ছেলেকে তার বিছানার উপর বসা দেখতে পান। সেই ছেলেকেই তিনি পালতে থাকেন। সেই ছেলের বয়স ডুবার সময় যা ছিলো। তাই রয়েছে। বয়স ২০ বছর পরেও বাড়েনি। মাছ - সামছু মিসির আলির কাছে ২ টা গোল্ডফিশ নিয়ে এসেছে। সেই গোল্ডফিশ গুলো হুট করে গায়েব হয়ে যেতে পারে আবার চলে আসতে পারে।
"সবকিছু কি ব্যাখ্যার মধ্যে পড়ে?" এই প্রশ্নের মুখোমুখি হুমায়ূন আহমেদ নিজেই দাঁড়িয়ে ছিলেন এ বইয়ে, এবং তা পাঠককে করে তুলেছে আরও অস্থির, আরও কৌতূহলী। “মিসির আলি Unsolved” ঠিক যেন একটা আধা-ঘুমন্ত স্বপ্ন—যেখানে আমরা নিশ্চিত নই কী সত্য, আর কী আমাদের মনগড়া।
এই উপন্যাসে আমরা পাই এক নতুন কেস, এক রহস্যময় যুবতী—যার সমস্যা পরিষ্কার, কিন্তু সমাধানটা যেন লেখকের কলমের মতো থমকে যায়। মিসির আলি যেন নিজেও কিছুটা ক্লান্ত, কিছুটা ধোঁয়াটে—যা বইটিকে অসাধারণ এক melancholy রঙ এনে দেয়। এর চরিত্রগুলো অবাস্তব নয়, বরং যেন সত্যের কাছাকাছি কিন্তু হাতছোঁয়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে থাকে।
"আমি ঠিক জানি না আমি কী খুঁজছি। কিন্তু জানি, কিছু একটা নেই—আর সেই অনুপস্থিতিই আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়।"
এই বইয়ের সবচেয়ে অনন্য দিক হলো—এর অসম্পূর্ণতা। এখানে সমাধান নেই, এখানে শুধুই প্রশ্ন, এবং সেই প্রশ্নই আমাদের আরো গভীর করে তোলে।
"বিপুল এ বিশ্বের কতটুকুই বা আমরা জানি?" এই বইয়ের শেষ লাইন। আসলেই কথা সত্য। বিশুদ্ধ যুক্তিবাদী মিসির আলির জীবনেও unsolved কিছু রহস্য রয়ে গেছে। এই রহস্য গুলোর এই অমীমাংসিত থাকাটাই এর সৌন্দর্য। সবকিছু যদি জেনে ফেলি তাহলে আবার বেঁচে থাকার আনন্দ আর আগ্রহ হারিয়ে যাবে। এই যে আমরা অতি অল্প জানি তাই জানার আগ্রহেই বেঁচে থাকি। তারপরেও মাঝে মাঝে মনে হয় এই অল্প জ্ঞান নিয়েই একদিন মরে যাবো। এবার নিয়ে মনে হয় তৃতীয় বা চতুর্থবারের মতো পড়া হলো। সেই প্রথমবারের মতোই ভালোলাগা। হুমায়ুন আহমেদ এর লেখা বারবার করে পড়লেও পুরোনো মনে হয় না।
বইয়ের নাম শুনেই বিষয়বস্তু খুব সহজেই অনুমান করা যায়। হ্যাঁ, মিসির আলি যেসব রহস্যের সমাধান বের করতে পারেন নি, সেই রহস্যগুলা দিয়েই মূলত এই বই তৈরি।
মিসির আলি আমার খুব খুব খুব পছন্দের একটা চরিত্র। (যা আমি আগেও অনেকবার বলেছি)। অন্যদিকে,রহস্য মানেই আমার কাছে একদম জম্পেশ ব্যাপার স্যাপার। আর,সেই রহস্যগুলা যখন মিসির আলিকে ঘিরে থাকে সেখানে তো কোনো কথায় নাই। আমার কাছে একদম আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো অবস্থা আর কি।এবার বুঝেন আমি এই বইকে কেনো ৫ তারা দিয়েছি।
যাইহোক, বইটা আসলেও সুন্দর। খুবই উপভোগ করেছি আমি। বেশ সুন্দর সময় কাটলো মিসির আলি সাহেবের সাথে।
⭐️⭐️⭐️⭐️⭐️ বই: মিসির আলী আনসালভড লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
এই বইটা আমার মাথার ভেতর নাড়া দিয়ে গেছে। আমি শুধু একটা রহস্যের গল্প পড়িনি — আমি মানসিকতা, চিন্তাধারা, এবং মানুষের মনের গভীরতা বুঝেছি। মনস্তত্ত্ব নিয়ে এত সাবলীলভাবে লেখা, অথচ এত গভীর — এটাই হুমায়ূন আহমেদের জাদু।
ভ্রম, আসক্তি, স্মৃতি, মায়া — সব কিছু একসাথে এ বইয়ে ছুঁয়ে গেছে আমাকে। মিসির আলীর পর্যবেক্ষণ, তার চোখের গভীরতা, আর তার নিঃশব্দ ভালোবাসা… আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে চিন্তা করতে হয়।
আমি এ বইকে ৫ এর মধ্যে ৫ তারকা দিচ্ছি। কারণ এটা শুধু একটা বই না — এটা একটা অভিজ্ঞতা।
মিসির আলির জীবনের unsolved কেস অর্থাৎ যেই সমস্যা গুলোর সমাধান তিনি যুক্তি দিয়ে করতে পারেননি, সেই ৮টা গল্প এখানে আছে। যথা - সিন্দুক, ফ্রুট ফ্লাই, সোনার মাছি, ছবি, রোগ ভক্ষক রউফ মিয়া, লিফট রহস্য, হামা ভূত, মাছ।সব গল্প গুলোই অ্যাভারেজ টাইপের,আমার কাছে মনে হয়েছে কিছুই নাই গল্পগুলোয়।মিসির আলির অন্যান্য গল্পগুলোর তুলনায় এগুলো তেমন একটা ইন্টারেস্টিং না। মিসির আলির unsolved কাহিনী দেখে খুব বেশি এক্সসাইটেড হয়ে এক্সপেক্টেশন বাড়িয়ে পড়তে শুরু করলে হতাশ হতে হবে বলে দিলাম।
হুমায়ন আহমেদ এর এই বইটা প্রথম পড়া আমার। মিসির আলীর এই আনসল্ভড রহস্যগুলার রহস্যে কেমন যেনো মজে গেছিলাম, এর পর থেকেই মিসির আলী পড়া শুরু।একে একে যত বই আছে মিসির আলীর সেগুলা পড়তে থাকি।এক পর্যায়ে সে হয়ে যায় আমার প্রিয় একটা ক্যারেক্টার। মিসির আলীর পর্যবেক্ষন ক্ষমতা আর তার প্রতি উত্তর গুলা পড়ে তখন সত্যি মুগ্ধ হয়ে ছিলাম।
মিসির আলি বরাবরই আমার প্রিয় চরিত্র। কিন্তু কয়েকটা গল্পেই আমার মনে হয়েছে যে কোথাও থেকে মেরে দেয়া কাহিনী। আর গল্পগুলোর মধ্যে বারবার ওই একই রান্নার বিরক্তিকর প্রশংসা। মিস্ট্রি জনরার মধ্যে এত কথোপকথন আনলে রহস্যের আসল মজাটাই নষ্ট হয়। ১/২ টা গল্প ছাড়া বাকি একটাও ভালো লাগেনি।
বইয়ের নাম 'মিসির আলি UNSOLVED' না দিয়ে অলৌকিক মিসির আলি দিলেও অসুবিধা ছিল না। দু একটি বাদ দিলে বইয়ের বেশির ভাগ গল্পই বৈঠকি চালে মিসির আলির বলা। মিসির আলি তার ডাইরির অসমাপ্ত কেস স্টাডিগুলি লেখককে বলেছেন। উপভোগ্য গল্পের জন্য দশে সাড়ে নয় দিলাম।
অসাধারণ একটি বই পড়লাম। বললে আবাক হবেন যে এটাই আমার পড়া মিসির আলি সিরিজের প্রথম বই! বইটা পড়ে মিসির আলির ফ্যান হয়ে গেছি । তার চরিত্রের ও কিছু বর্ননা পেয়েছি । এখন টার্গেট মিসির আলির অন্যান্য বই পড়া ।
মিসির আলী কিছু সমস্যার সমাধানে এখনো পৌঁছান নি , এমন ৮ টি গল্প নিয়ে বইটি। যেমনঃ বাবার দেয়া সিন্দুকের শব্দ , ভিন গ্রহের আম , ব্যাগে থাকা আলৈকিক সোনার মাছি ইত্যাদি । কেমন অগোছালো আজগুবি ভৌতিক লেখা ধরণের , উপভোগ্য নয় ।লেখক বলেছেন তিনি খুব আনন্দ পেয়েছেন , আমার ধারনা বেশীরভাগ পাঠক আনন্দ পান নি।
Have had read this before. Remembered pretty much all of the stories endings halfway through them. I guess that's where the magic lies with Misir Ali stories. You still keep coming back to them.