খোরাসানী ম্যাডাম খানিকক্ষণ নিতুর মুখের দিকে স্থির চোখে তাকিয়ে রইল, স্লিপ ওয়াকিং কারা জন্যে এখনই এই মেয়েটার মুণ্ডু ছিঁড়ে ফেলবে নাকি ব্যাপারটা আরেকটু খতিয়ে দেখবে চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত আরেকটু অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিল। নাক দিয়ে ফোঁস করে নিঃস্বাস ফেলে বলল, “যা! লাইনে গিয়ে দাঁড়া। দেখি তুই কত বড় ধড়িবাজ। খালি মুণ্ডুটা ছিঁড়ব না কি পুরো শরীরটাকে কিমা বানিয়ে সিংঘিকে থেতে দিব একটু ভেবে দেখি।” নিতু বুক থেকে একটা নিঃস্বাস বের করে দিয়ে লাইনে নিজের জায়গায় দাঁড়াল। এ যাত্রা সে বেঁচে গিয়েছে, কিন্তু কতক্ষণের জন্যে বেঁচেছে কে জানে।
Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
নিতুর খুব অল্প বয়সে ওর মা মারা যান। বাংলাদেশের সাধারণ পিতৃসমাজের প্রতিনিধি হিসেবে ওর বাবা কিছুদিনের মধ্যেই দ্বিতীয়বার দার পরিগ্রহ করেন। নূতন স্ত্রী নিতুর প্রতি সদয় ছিলেন না বলে কিশোরী নিতুকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় আবাসিক ইস্কুলে। তখন ওর একমাত্র সঙ্গী ছিলো মায়ের দেয়া একটা খেলনা, 'ভোটকা মিয়া'।
আমি নিজে খেলনাপাতি দিয়ে ছেলেবেলায় খেলিনি খুব-একটা। নেশা ছিল বইয়ের, বারবি ডলের নয়। তাও, একটু বড় হয়ে শখ হলো একটা প্রমাণ আকারের ভালুকছানা কেনার। টেডিবিয়ার। সম্ভবত শব্দটার সংগে পরিচয় 'এক ব্যাগ শংকর সুত্রে, 'কাকলির দাদু' পড়ে।
ইরাদা পুষে রাখি, কিন্তু কেনা হয়ে ওঠে না। হাট-বাজারে গেলে চোখে পড়ে, হাতে পয়সাও থাকে, কিন্তু বুড়োবয়সে আহ্লাদী করার সাহস হয় না আর।
বছর দুই আগে, খাটিয়ার জন্য পিলো কিনতে গেছি একদিন। বিশাল আকারের সুলভ মূল্যের এক বাদামি ভালুক চোখে পড়ায় বিকল্প হিসেবে সেটাই বগলদাবা করে অম্লানবদনে ফিরে এলাম। দুম করে মরে গেলে একটা আফসোস থেকে যাবে, সেটা কি ঠিক হতো? দু'দিনের দুনিয়া, আজ মরলে পরশু কুলখানি। বুঝেন-ই তো!
নিতুর দেখাদেখি সেই তুলোর ভালুকের নাম রাখা হলো ভোটকা মিয়া।
এরপর একদিন বাড়ি ফেরার পালা এলো। কোনভাবেই এ জিনিস লাগেজে আঁটবে না। বহনযোগ্য হলে তাও কোলেকাঁখে নিয়ে ওড়ার কথা কল্পনা করা যেতো, এমিরেটসের লোকজন হাসিয়ে। তিন ফুটি জাম্বুবান টেডি তাতেও আনফিট! কী করা যায় তাহলে?
প্রতিবেশী বাঙালি পরিবারের একমাত্র শিশু কন্যাটির বয়স তিন- সাড়ে তিন তখন, আমার সঙ্গে সেই লিটল মিস মাফেটের বিশেষ খাতির ছিলো। সে বাসায় গিয়ে খুকিকে দিয়ে এলুম। তিনিও অতি প্রফুল্লচিত্তে ভোটকা মিয়ার বাঁ হাত বগলস্থ করে মেঝেতে ফেলে টানতে টানতে ততক্ষণাৎ নিজের খেলাঘরের দিকে রওনা হলেন।
যে আমার সম্পদ ছিলো, আজ অন্যের সম্পত্তি হলো। (উদাস ইমো)
নিতু আর তার বন্ধুরা বড় একটা পছন্দের উপন্যাস নয়। বড় হয়ে শুনেছি, এ বই আদতে Matilda অনুপ্রাণিত, নিজের মোটেই সেরকম মনে হয়নি। খোরাসানি ম্যাডামের অত্যাচার, পোষা ইঁদুরের আকাম-কুকাম, মিতুলের গান গেয়ে কাচ ফাটানো--সব মিলিয়ে মনে হয়েছে, 'জাস্ট ওকে'। একটু বেশি ছেলেমানুষি, এই যা।
কাকভোরে চা-বিস্কুট সহযোগে অনেকদিন পর বইটা পড়তে গিয়ে বোঝা গেলো, এখনো ছেলেমানুষ আসলে আমি নিজেই। অসংখ্য জাগতিক গুরুভারে চিঁড়েেচ্যাপ্টা জীবন নিয়েও দূর দেশে ফেলে আসা তুচ্ছ পুতুলের জন্য খামোখা মন খারাপ করছি...
মোটামুটি বেশ ভালো লেগেছে। বড় হয়ে পড়ছি হয়তো এজন্য, ছোটবেলায় পড়লে নির্ঘাত ৫ তারা দিতাম। এ উপন্যাসের মাইনাস পয়েন্ট হল কিছু স্থানে মনে হয়েছে যে জোর করে হাসানোর চেষ্টা করা হয়েছে । তবে উপন্যাসে একটি ব্যপার খুবই চমৎকার লেগেছে তা হলো এখানে লেখক দেখিয়েছেন মেয়েরাও চাইলেই অনেক কিছুই করতে পারে । চাইলেই তারা পারে নিজেদের বিপদ থেকে উদ্ধার করতে । উপন্যাসের প্রায় প্রতিটি চরিত্রই চমকপ্রদ । বিভিন্ন প্রাণীদের সাথে নিতুর বন্ধুত্ব আর ভালবাসাও ছিল অন্যরকম ।
বইটি এক কথায় শিশু কিশোর উপোযোগী নয়। অনেক গালাগালি আছে। আমি জানি না লেখক কেন তার পাঠক শ্রেণী শিশু কিশোর হওয়ার পরও ব্যাপারটা নিয়ে সতর্ক ছিলেন না।
বাচ্চাদেরকে মিথ্যা কথা বলা ব্যাপারটাকে সাহসিকতার পরিচয় হিষেবে দেখানো হয়েছে। কাউকে ভয় দেখানো ব্যাপারটা উৎসাহিত করেছে। গল্পের প্রচুর অসংগতি আছে সেটাতো বলার অপেক্ষা থাকে না।
স্কুলে থাকতে বইটা মজার হয়েছিল। আজকে আবার পড়ে মনে হল বইটি এক ধরনের যেমন খুশি তেমন লিখি ছাড়া আর কিছু না।
মতামতগুলো ব্যক্তিগত তাই আমাকে আক্রমণ করতে আসবেন না। তবে বাচ্চাদের এই বই কিনে দিবেন না বা পড়তে না দেওয়ার অনুরোধ করা হল।
'নীতু ও তার বন্ধুরা' জাফর ইকবাল স্যারের লেখা একটি কিশোর উপন্যাস৷ আমি ঠিক নিশ্চিত নই তবে খুব সম্ভবত ১৯৯৯ সাল নাগাদ এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। একটি ১০০ পৃষ্ঠার কিশোর উপন্যাস নিয়ে সত্যিকার অর্থে খুব বেশি কিছু বলা যায়না৷
উপন্যাসটি নামকরণ হয়েছে নীতু নামে একটি মেয়ে ও তার বান্ধবীদের নামে৷ নীতু মূলত দশ বছর এর সামান্য বেশি বয়সী এক কিশোরী (নাকি শিশু?)। শহুরে পরিবেশে নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের মাঝে হঠাৎ করেই তার মা মারা যায় এবং তার বাবা নতুন আরেকটি বিয়ে করে ফেলে৷ নতুন মা নীতুকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে না পারায় নীতুর বাবা নীতুকে দিয়ে আসে বহুদূরের এক গার্লস হোস্টেল কাম স্কুলে যেখানে কিনা তাদেরই দিয়ে আসা হয় যাদের বাবা-মা কিংবা মা মারা গেছে, ডিভোর্সি হয়ে গেছে অথবা সেই শিশুসন্তানকে যাদের বাবা মা আর তাদের রাখতে চাননা। সত্যি বলতে আমি যেটা বলে ফেললাম সেটুকু উপন্যাস সম্বন্ধে কোন ধারণাই দেবেনা৷ কেননা, মূল উপন্যাসের কাহিনী শুরু হয়েছে এরপরে। এই উপন্যাসের নামকরণে নীতুর যে বন্ধুদের কথা বলা হয়েছে তারা মূলত নীতুর রুমমেট।
উপন্যাসে ভিলেন হিসেবে মূল যে চরিত্রটিকে দেখা গেছে তিনি গোটা স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং বিশেষত এই স্কুলটি যিনি চালান- খোড়াসানি ম্যাডাম৷ ভয়ংকর দর্শন চেহারার এই মহিলাটি গোটা উপন্যাসেই ভয়ংকর রূপে বিচরণ করেছেন। গার্লস স্কুলের হোস্টেলের মেয়েদের জীবন অতিষ্ট করে দেওয়াটাই মূলত তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল। আর সেটি খোড়াসানি ম্যাডাম সফলভাবে পারছিলেনও যতক্ষণ পর্যন্ত না নীতুর এক দুষ্টুমির ছলে স্কুলে এক নতুন সদস্যের আবির্ভাব হয়৷ মূলত, নীতুকে প্রথম থেকেই খোড়াসানি ম্যাডামের অসহ্য লাগতে শুরু করে এবং নীতু তাদের বন্ধুকে এই ভয়ংকর দর্শন খোড়াসানি ম্যাডামের হাত থেকে উদ্ধার করবার চেষ্টা করে যায়৷
উপন্যাসে আরো যেসব চরিত্রের আগমন ঘটেছে তাদের মধ্যে নীতুর বন্ধুরা ছাড়াও আছেন কাসেম নামে একটি মেয়ে৷ জ্বী, একটি মেয়ে। দুরন্তপনা কাসেম মূলত স্কুলের সবার জীবন অতিষ্ট করে দেওয়া এক চরিত্র, যার সাথে প্রথমদিকে হোস্টেলে নীতুর সামান্য বিবাদ দেখা যায়৷
উপন্যাসটিতে এই কিশোরীর বিভিন্ন দুষ্টুমি যেমন আনন্দ দেয়, এর শেষ পর্যায়ে দারুণ এক এডভেঞ্চার তেমনি শিহরণ জাগায়৷ কিশোর উপন্যাস হিসেবে এটি পড়তে একেবারেই খারাপ লাগেনি। হোস্টেলের কড়া নিয়মকানুনের মধ্যে দিয়ে নীতুর সমস্ত দুঃসাহসিক কাজ আমাকে বরং বেশ শৈশবেই নিয়ে যাচ্ছিল।
বাবা, মা আর নিতু মিলে ভালই ছিল নিতুর পরিবার। কিন্তু সুখ মনে হয় বেশীদিন সয়না আভাগার কপালে। মা মরার কিছুদিন পরই বিয়ে করলেন নিতুর বাবা। টিপিক্যাল সৎ মায়ের মতনই নিতুকে দেখতে পারল না তার নতুন মা। কয়েকদিনের মাঝেই তাই হোস্টেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হল নিতুকে।
নতুন হোস্টেল, হোস্টেল কম জেলখানা বেশী মনে হল নিতুর কাছে। নিজেকে কয়েদী মনে হল। পদে পদে হেনস্থা করতে লাগল খোরাসানী ম্যাডাম। দাতে দাত চেপে গেলেও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে নিতু এর প্রতিশোধ সে নিবেই। বাকি রুমমেটদের কে নিয়ে নিতু ঘটাতে থাকল নিত্য নতুন সব ঘটনা খোরাসানী ম্যাডামকে অপদস্থ করার জন্য।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বিটিভি কিংবা ইটিভিতে নাটক হত এই গল্প অবলম্বনে। একটা এপিসোডও মনে হয় মিস দিইনি। মনে আছে টুকরোটুকরো কিছু কাহিনী। অনেক দিন পর বইটা পড়তে গিয়ে নস্টালজিয়াতে ভুগলাম।
বইটার নাম আমি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি । আমি যখন অনেক ছোট , ১/২ এ পড়ি , তখন আমার বড় আপু তার স্কুল লাইব্রেরী থেকে বইটা এনে পড়েছিল , তখন তার কাছে নিতুর ব্যাপারে অনেক কিছু শুনেছিলাম , আজ বহু বছর পর বই টা পরলাম...।। ভাল লেগেছে...... :)
মন খারাপ থাকলে যে বই পড়লে মন ভালো হয়ে যায়-এই বই তার একটি🖤🖤 এখনো আমি কারো উপর রাগ করলে তাঁকে ডাকি খোরসানি😂😂😂😂। ধন্যবাদ স্যার -ছোটোবেলাটা মধুর করার জন্যে🖤🖤
মাটিল্ডা ছবিটা দেখলাম। মাটিল্ডা অনেক আগের পড়াও। নিতু আর তার বন্ধুরা তারও অনেক আগের পড়া, কাল আবার পড়লাম। মাটিল্ডার কপি নিতু আর তার বন্ধুরা-এমন একটি কথা বাজারে প্রচলিত আছে। তবে কপি যে না সেটা যারা দুইটা বইই পড়েছেন, জানেন। লেখকের নিজের প্রচুর ইনপুট আছে, তবে ছায়াটা মাটিল্ডারই। যদিও মাটিল্ডা একটি ফ্যান্টাসি ফিকশন, কিন্তু নিতু আর তার বন্ধুরা পুরোপুরি বাস্তবিক।
বরাবরের মতই জাফর ইকবাল স্যারের বই পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। বইটা পড়ে বুকুরুন্নেসা স্কুলের খোরাসানী ম্যাডামের সাতে ছোটবেলার দেখা ‘মাটিলডা‘ মুভির জল্লীদ ম্যাডামের কথা মনে পড়ছিল। নিতু আর বন্ধুরা মিলে কিভাবে এই খোরাসানী ম্যাডামকে যব্দ তা পড়ে আশা করি আমার মতো বাকি সবার ভালো লাগবে।
খোরাসানি ম্যাডামের অত্যাচার, পোষা ইঁদুরের আকাম-কুকাম, মিতুলের গান গেয়ে কাচ ফাটানো- ভাল লেগেছে। কিশোর উপন্যাস হিসেবে এটি পড়তে একেবারেই খারাপ লাগেনি। হোস্টেলের কড়া নিয়মকানুনের মধ্যে দিয়ে নীতুর সমস্ত দুঃসাহসিক কাজ মজাই লেগেছে।