Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.
Birth and Family Background: Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.
Education: Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.
Personal Life: Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.
Academic Career: After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.
Literary career: Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.
Other Activities and Awards: Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.
মুহম্মদ জাফর ইকবালের এই গল্পটি মানুষের বেঁচে থাকার গল্প। প্রিয় মানুষ হারানোর চেয়ে মুখ্য হয়ে উঠেছে প্রতিদিন বেঁচে থাকতে শেখা, পূর্ণাঙ্গ হয়ে ওঠা।শান্তা যখন খুব ছোট, তখন তার বাবা মারা গেল। মাত্র চার বছর বয়সে ক্যান্সার কেড়ে নিল তার মাকেও। ছোট্ট শান্তাকে তখন কে দেখবে? আত্মীয়রা ধীরে ধীরে সরে গেল। ছোট ফুপুর বাসায় অনেকটা কাজের মেয়ের মতো অনাদরে বড় হচ্ছিল শান্তা। এদিকে লেখাপড়ায় সে আবার ভীষণ ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি শেষ করে ভালোবেসে বিয়ে করলো শওকতকে। এত মেধাবী শান্তা, হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই হয়ে যেতে পারতো! কিন্তু শান্তার বায়না তার আধ-ডজন বাচ্চা হবে। তাকে কখনো কেউ আদর করেনি। তাই সে সকল বাচ্চাকে বসে বসে আদর করবে, কোনো চাকরি করবে না।
আধডজন না হলেও পাঁচ পাঁচটা বাচ্চা হলো শান্তার। শান্ত মেয়ে শাওলী, দার্শনিক সাগর, চঞ্চল বন্যা, বিজ্ঞানী সুমন আর সবার ছোট পরীর মতো ঝুমুর। সুখেই ছিল শান্তা পরিবার, কিন্তু একদিন মতিঝিলের সামনে গাড়ি এক্সিডেন্টে মারা গেল শান্তা। ভীষণ একা করে গেল তার ভালোবাসার পরিবারকে। এদিকে পাঁচটে অবাধ্য আর দুষ্টু ছেলেমেয়ে নিয়ে মোটামুটি অকুল পাথারে পড়লো শওকত!
সাজানো গোছানো সেই সংসারটা কি শওকত আগলে রাখতে পারবে? নাকি উত্তাল কোন ঝড় এসে ভেঙে দেবে সেই সুখের নীড়? দুষ্টু ছেলে-মেয়েগুলোকে বশে রাখা যাবে কীভাবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে গেলে পড়তে হবে উপন্যাসটি। 'শান্তা পরিবার' এমনই একটা উপন্যাস, যেটি আপনাকে এখন হাসাবে, পরমূহুর্তেই মন খারাপ করিয়ে দেবে ভীষণভাবে!
কিছু বই পড়ার পর আমার মনে ঠিক এই গানটাই বাজতে থাকে অনবরত,এত সুন্দর প্রাণবন্ত অথচ নিষ্পাপ সবগুলো মুখ যে কাকে আলাদা করে ভালোবাসবো আর কার ভাগে একটু কম তা ঠিক করতে পারাটা বড়ই শক্ত।
জাফর ইকবালকে আমি প্রায়শ একই প্লটের জন্য গালমন্দ করতে করতে যখন সিদ্ধান্ত নি বেশ কয়েকদিন আর পড়বো উনার বই,ঠিক তক্ষুনি এরকম বইগুলো চোখের সামনে এসে পুরোটা শেষ না করার আগে চোখ বন্ধ করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেয়
শান্তার মতো পরিবার আছে কি না বাস্তবে আমি জানি না কিন্তু বাচ্চাপ্রিয় আমার মন ঘর আলো করা এইসব দেবশিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত সকালের সূচনার সাথে সাথে রাতের নিস্তব্ধতায় আবার সবাইকে দেখে ঘুমাতে যাওয়ার আশ এ জীবনে যে যাবে না ইহা নিশ্চিত
রেটিং: 🌠🌠🌠🌠🌠এরকম একটা মন ভালো করা বইকে ভালো না বেসে পারা যায়!।
প্রায় এক যুগ আগে পড়া বইটা ( মানে, আমি ক্লাস সিক্সে) আজকে আবার হাতে নিয়ে বসলাম । মনে আছে, তখন সারাদিন ধরে এই বইটা পড়সিলাম, এইটা পড়লেই মনে হয় দশ বারটা চমৎকার বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে সংসার শুরু করে দিই :D
শান্তা। বাবা মা এর এক মাত্র আদরের মেয়ে ছিল সে। এক দুর্ঘটনায় বাবা মারা যায়। তার কিছু দিন পরে মা ও না ফেরার দেশে চলে যায়। বয়স তখন তার মাত্র ৪। এই বয়সেই দুনিয়ার হিংস্র রূপ দেখতে হয় তাকে। মুদ্রার অপর পিঠ যে কত কুৎসিত তাকে দেখতে হয় ভাল ভাবেই। ফুফুর বাসায় থেকে কোন মতে বড় হয়ে ওঠে। নিজের মেধার জোরেই প্রথম সারির ইউনি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে সে। তারপরই দুম করে বিয়ে করে ফেলে তারই মতন আরেকটা ছেলেকে।
বিয়ের রাতেই জানিয়ে দেয় সে কোন চাকুরি বাকুরি করবে না। হাফ ডজন আন্ডা বাচ্চা নিয়ে সে বাচ্চাদের পেলে পুষে আদর দিয়ে বড় করবে। যে আদর সে পায়নি। শেষ পর্যন্ত ৬ এর কোঠা পূরন না করতে পারলেও ৫টা বাচ্চাকে নিয়ে হেসে খেলে খুব সুখেই জীবন কেটে যাচ্ছিল তাদের। কিন্ত সুখ বেশী দিন কারো সয়না। শান্তারও সইল না। হুট করেই একটা এক্সিডেন্টে মারা গেল শান্তা। ৫টা বাচ্চা আর বাচ্চার বাবাকে অকুল পাথারে ফেলে।
শান্তা চলে যাওয়ার পর তারা হাড়ে হাড়ে টের পেল কি ছিল শান্তা পরিবারের জন্য। সিঙ্গেল হান্ডেডলি সে সব মেইনটেন করত সব। শান্তা চলে যাওয়ার পর ৫ বাচ্চারা মিলে সংসার আগলিয়ে রাখতে শুরু করল। আর ঘটতে থাকল হাসি কান্নার মিশেলে মজার মজার সব ঘটনা। যা একই সাথে মনকে নাড়া দেয় কাদায়ও। এই সব গল্পই শান্তা পরিবারের।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বাস্তবে কি শান্তার মতন এমন মানুষ হয়? এমন পরিবারকি আসলেও সম্ভব? লোভ যাগে খুব এমন পরিবারের একজন হতে।
ছোটবেলার খুব খুব প্রিয় উপন্যাস। বইটা পড়ে কেন আমার একগাদা ভাইবোন হল না তা নিয়ে আফসোস হত খুব। চমৎকার কিছু মুহূর্ত আছে বইটাতে। আছে কিছু বিষয়। শাঁওলী আর শান্তার মতো অসাধারণ দুটি চরিত্র রয়েছে৷ শেষটা ফ্যান্টাসি হলেও সুন্দর। জীবনকে এমন সহজ ভাবতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে মৃত প্রিয় মানুষেরা ফিরে আসুক, যত অবাস্তবই হোক ভাবনাটা।
বইটির উপমা কী দেয়া যায়?? আনন্দের মাঝে একটুখানি শূণ্যতা?? না একটুখানি অপূর্ণতা?? আমার মন খারাপ হলে বা কিছু পড়তে না পারলে আমি এই বই বের করে পড়ি🖤অদ্ভুতভাবে ভালো লাগে🖤🖤শান্তার বাচ্চাদের জন্য পাগলামি🖤বাচ্চাগুলোর কাণ্ডকারখানা 🖤🖤মনের মধ্যে গিয়ে টান দেয়। আচ্ছা-শান্তা কী শেষে ফিরেছিলো?
আমার জীবনের প্রথম 'মারা বই'। দুই ক্লাস ছোট এক ভাইয়ের কাছ থেকে ধার হিসেবে পেয়েছিলাম বইটা। পেয়েছিলাম বলার কারন হচ্ছে, বইটি সে-ই জোর করে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল! পড়া শেষ করে আমি সম্পূর্ণ চুপ করে থেকেছি। সে কখনো আমার কাছে বইটা ফেরত চায় নি, তাই আমিও কখনো নিজে থেকে তাকে বইটা ফেরত দেয়ার উদ্যোগ দেখাইনি!!!
কিন্তু বইয়ের মলাট উল্টালে এখনো যখন লেখা দেখি_ 'নিশাকে উপহার- বাবু' ২১ /০২ /২০০২
বইটি পড়ার পর মনে হলো আমারও অনেক গুলো ভাই-বোন থাকা উচিত ছিল কিন্তু শান্তা পরিবারের ভাইবোনের মতো মিল থাকতো কিনা তা ঠিক বলতে পারছি না।
শান্তা পরিবারে শান্তার নাম থাকলেও সে কিন্তু তার আদরের ছেলেমেয়েদের রেখে পরপারে চলে গিয়েছে। ছোটবেলা থেকেই শান্তা মা-বাবা ছাড়া ফুফুর বাড়িতে অবহেলায় বড় হয়। একটা সময় পর তার বিয়ে হয় বন্ধু শওকতের সাথে। বিয়ের রাতেই শান্তা বলে বসল তাকে দিয়ে কোনো কাজ করানো যাবে না কারণ তার ছয়টা বাচ্চা হবে এবং সে সারাদিন তাদের সাথে খেলবে। সে অনেক অবহেলায় বড় হয়েছে কিন্তু নিজের বাচ্চাদের অনেক আদর দিয়ে বড় করবে।
দেখা গেল ছয়টা বাচ্চা না হলেও শান্তা পাঁচ সন্তানের মা হয়ে গেলেন। প্রচুর আদর যত্নে বাচ্চাগুলোকে সে বড় করতে লাগলেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন শান্তা মারা গেল। আদরের বাচ্চাগুলোকে রেখে অনেক দূরে চলে গেল। এখান থেকেই মূলত গল্পের শুরু , পাঁচ ভাই-বোন একজন আরেকজনকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করলেন।
শান্তা পরিবারে পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে শাঁওলী সবচেয়ে বড়। তারপর সাগর, বন্যা, সুমন আর চার বছরের ছোট্ট ঝুমুর। ছোট্ট ঝুমুরকে সবচেয়ে ভালো লেগেছে গল্পে। শাঁওলী বড় হওয়াতে সবকিছু দেখাশোনার দায়িত্ব তার উপরেই পড়ে। একটা সময় শাঁওলী ঠিক করলো সবাই মিলে বাড়ির কাজের দায়িত্ব নেবে এবং সেই থেকেই তাদের মহাযজ্ঞ শুরু। একদিন রাঙা ফুফু নামে শওকতের এক আত্মীয় তাদের বাসায় আসলো এবং শাঁওলী বাহিনী জানতে পারল রাঙা ফুফু তার মেয়েকে শওকতের সাথে বিয়ে দেবার জন্য তাদের বাসায় এসেছে। এরপর তাদের অপারেশন ডাইনী বুড়ি শুরু হলো। এভাবেই গল্পে ছোট ছোট ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।
গল্পের শেষ অংশটা সবচেয়ে বেশি ইমোশনাল। শান্তার মারা যাবার এক বছর হয়ে যাবে , সবার মন খুব খারাপ। মাকে খুবই মনে পড়ছে তাদের। একসময় তারা কল্পনা করলো মা তাদের মাঝে ফিরে এসেছে , তাদের খুব আদর করছে। খুবই মিষ্টি একটা গল্প , ভাইবোনের মিষ্টি সম্পর্কের গল্প।
মা... একটা পরিবারে মা সবচেয়ে বড় উপহার... মায়ের অবদান, মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ কোন কিছুর সাথেই তুলনা হয় না... আমি যতবার বইটা পড়ি, মনে হয় আমার যদি শাওলির মত একটা বড় বোন, বন্যার মত একটা ডাকাত টাইপের ছোট বোন থাকত !!!! আমি কোনদিন চিন্তাও করতে পারিনা আমদেরকে এই অবস্থায় রেখে আমার মা হারিয়ে যাবে... অনেক অনেক দারুন একটা উপন্যাস... শীর্ষেন্দুর কিশোর উপন্যাস গুলোর মত এটারও পাতায় পাতায় কিছু ছবি থাকত তাহলে বইটা আর অসাম হত...
এক বান্ধবীর কাছ থেকে এনে পড়েছিলাম বইটা। তখন সাইফাই কিংবা থ্রিলার ছাড়া কিছুই ভালো লাগতো না। কন্টেম্পরারি শুনে নাক সিটকেছিলাম। এখন ভাবলে হাসি পায়। ছোটবেলায় কতো ইগ্নরেন্ট ছিলাম। এই বইটা অনে মজার ছিল। শান্তা চরিত্র শুরু থেকেই পাঠকের মনে জায়গা করে নেয়ার মতো হয়েছে। এরপর ওর পরিবারের প্রত্যেকটা চরিত্র, এমনকি সবচেয়ে ছোট চরিত্রও ছিলো মনে রাখার মতো। ভালো লেগেছে।
জাফর ইকবাল স্যারের লেখা সবচেয়ে চমৎকার কিশোর উপন্যাসগুলোর মাঝে একটা শান্তা পরিবার। এক হাবাগোবা স্বামী আর পাঁচটা বাচ্চা রেখে পরিবারের প্রাণ শান্তা মারা যায়। তারপর মা ছাড়া বাবাকে নিয়ে বাচ্চাদের দিন যাপনের কাহিনী শান্তা পরিবারে বর্ণিত হয়েছে। পড়ার সময় নিজেকে শান্তা পরিবারের একটা অংশ মনে হচ্ছিল।
অনেক আগে পড়া অসম্ভব প্রিয় এই বইটা কেন যেন এখানে অ্যাড করা হয়নি।আমি নিজে রিভিউ লেখায় বেশী একটা সুবিধা করতে পারি না।তবুও আত্মার কাছাকাছি এই বইটার একটা রিভিউ লিখেই ফেললাম।
গল্পের শুরু হয় শান্তা নামের একটি বাচ্চা মেয়েকে দিয়ে যে ছোটবেলাতেই বাবা মাকে হারিয়েছে।কোনো আত্মীয়ই শান্তার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী না,পরে তার ছোটফুফু কিছুটা সাদাসিধে ছিলেন বলে বাকি আত্মীয়রা মিলে শান্তাকে ছোটফুফুর বাসায় পাঠিয়ে দিলেন।সেখানে মোটামুটি অনাদরে সে বড় হতে থাকলো।শান্তা এই ছোট্ট বয়সেই পুরো ব্যাপারটা বুঝে গিয়েছিল,তাই সে সবকিছু হাসিমুখে মেনে নিলো।শান্তা পড়াশোনায় চমৎকার ছিল।নিজে নিজেই টিউশনি করে পড়ার খরচ জোগাড় করে অসম্ভব ভালো ফলাফল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে ফেললো।এরপরে কোনো চাকরী না করেই দুম করে তার মতোই একজন ভালোমানুষকে বিয়ে করে ফেললো।শান্তার শুধু একটাই ইচ্ছা ছিল,সে নিজে ছোটবেলায় একটুও আদর পায় নি।তাই তার আধ-ডজন বাচ্চা হবে আর তাদেরকে শুধু আদর করবে।আদতে অনেকটা সেরকমই হয়েছিলোও।শাওলী,সাগর,বন্যা,সুমন আর ঝুমুর- এই পাঁচটি চমৎকার বাচ্চার মা হয়েছিলো শান্তা।খুব আনন্দের ছিলো দিনগুলো,কিন্ত হঠাত একদিন এক্সিডেন্টে শান্তা মারা গেলো।সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেলো।এতবড় ধাক্কা সামলে নিতে শুরুতে সবার অনেক কষ্ট হয়েছে,তবুও একটা সময়ে সবাই একসাথে হয়ে ঠিকই আবার সবকিছু গুছিয়ে নিয়েছিলো।কিন্ত তারপরেও সবাইকে দেখাশোন�� করে শাওলী ক্লান্ত হয়ে যায়,বন্যা তার জন্মদিনে শান্তা কে মনে করে লুকিয়ে কাদে,সাগরের জ্বরে কাতর হয়ে থাকে,ঝুমুর লুকোচুরি খেলায় শান্তাকে খোঁজে। গল্পের শেষে খুব সুন্দর একটা ব্যাপার থাকে যেখানে সবাই মিলে কল্পনা করে নেয় যদি শান্তা ফিরে আসে তাহলে কি হবে।কিন্ত বাস্তবে তো মৃত মানুষ ফিরে আসে না।তবুও তারা এই অসম্ভব ঘটনাটার সম্ভাবনা নিয়েই বেচে থাকতে চায়।
আমি সারাজীবন যে কয়টা বই বারব���র ক্লান্তিহীনভাবে পড়েই যাবো,"শান্তা পরিবার" তার মধ্যে একটা।এ বইটা পড়লে একইসাথে অনেক খুশি লাগে আবার প্রচন্ড দুঃখবোধ হয়। আম্মু যে আমাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ সেটা এই বইতে খুব সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।আম্মু যখন মাঝে মাঝে কয়েক ঘন্টার জন্য বাসায় থাকে না,তখনি কেমন যেনো খালি খালি লাগে।একটা পরিবারে মা না থাকলে সে পরিবারের বাচ্চাগুলোর সবকিছু সামলে নিতে যে কতটা কষ্ট হয়। কিন্ত তারপরেও জীবন কারো জন্য থেমে থাকে না।হারানো প্রিয়জনের স্মৃতি আগলে রেখেই প্রতিনিয়ত বেচে থাকতে হয়।
Children and adolescents can enjoy this book. It contains many moral lessons and a good story. It also depicts the struggle and importance of a family. The love, influence, motivation of a mother is the base of this story. It can be confusing and the book is not that dynamic, but thoroughly it is fun and educative. It is a very good place to start.
মানুষের জীবনের অনেক বড় একটি বড় অঙ্গ হল মা। একজন মা ই একটি পরিবারকে অত্যন্ত সুন্দর ভাবে গুছিয়ে রাখেন। মা ছাড়া যে কোন সন্তানের জীবনই অন্ধকার। শান্তা পরিবারের কাহিনী শান্তা নামক একজন মায়ের পরিবারের কাহিনী নিয়ে লেখা। ছোটবেলাতেই শান্তার বাবা,মা মারা যায়। নিজের যোগ্যতায় শান্তা পড়ালেখা করে অনেক ভালো রেজাল্ট করে। কিন্তু সে কোন কাজ করে না। তাঁর একমাত্র ইচ্ছে তাঁর অনেক গুলো সন্তান হবে এবং সে সবাইকে আদর করে বড় করবে কারণ গল্পের এই শান্তা কখনো আদর পায় নাই।
এক এক করে তাঁর ৫র্টি সন্তানও হয়। এক এক জনের চরিত্র এক এক রকম। সিনেমার ভাই-বোনের মত তাদের পরিবার। কিন্তু একদিন এই শান্তা মারা যায়। তারপর ... তারপর কি হয় শান্তা পরিবারের। কিভাবে মায়ের আদর থেকে বের হয়ে চলে শান্তা পরিবারের ৫টি ভাই বোনের জীবন। সে কাহিনীই ফুটে উঠেছে এ লেখায়। গল্পটা কিন্তু মজার।
বই—"শান্তা পরিবার" লেখক—মুহম্মদ জাফর ইকবাল এই বইটিকে কি বলবো?কিভাবে এই বইটি নিয়ে বলা যায়?এতো সুন্দর একটা বই।ভালো লাগার একটা বই।বইটা যেনো স্নেহ,ভালোবাসা,মায়া-মমতা দিয়ে মাখা। এতো মায়া বইটাতে।অদ্ভুত সুন্দর এক ভালোলাগা আর অনুভূতি কাজ করে বইটার জন্য।বার বার শুধু একটা কথা ই মনে হয়-কি মায়া,কি মায়া। শান্তা পরিবারের জন্য ভালোবাসা।❤
This will always be the best non science fiction book of him to me. This is just so different from all of his other books. This must be one of the very few book of him which does not end in catching some bad guys.
First Read: When I was 12 years old. All my life, I went to school with ammu and by rickshaw... and faced minor accidents a few times. In the book, Shanta dies from an accident while taking her son home, which was like a nightmare I was always afraid might come true. I remember crying a lot, even more so during the parts when her children try to stay strong and not spill any tears. Back then, the ending left me feeling so terribly empty and sad that I could never get myself to read it again, even though I really loved the book.
I'm so glad to have read this book again! And this time I could analyze it very differently 😅 We have Shanta, who builds a large family and fills their lives with all the love she lost after the death of her parents. There's the four children, who grow up with the freedom to be themselves, knowing their mother will always have their backs. Then Shanta passes away in an accident, and her children gradually learn to take care of themselves and each other by remembering their mother and her words at every step. They do their best to love their baby sister,Jhumur, as their mother would've done and to look after their father, Shawkot, the same way. The siblings are a team, and together, they fire the maid who mistreated Jhumur, scare off the aunt who tried to marry off her vicious daughter to their father, teach a lesson to a racist uncle and help an unruly cousin cope with his broken family. We see them discover new things about life everyday, be at a loss about how to deal with them without their mother and later invent ways that sometimes work and sometimes don't. Shawkot tries to help when he can, but he too, feels clueless without Shanta being around.
So.... after all these years, when I've sort of grown up and everything, the ending doesn't feel that terrible anymore.
I think of the moment when the siblings came back to reality after the imaginary return of Shanta... what do you think they must have felt like then?
This entire review has been hidden because of spoilers.