Jump to ratings and reviews
Rate this book

টুকুনজিল

Rate this book

95 pages, Hardcover

First published June 1, 2004

12 people are currently reading
533 people want to read

About the author

Muhammed Zafar Iqbal

401 books1,604 followers
মুহম্মদ জাফর ইকবাল (Bengali)

Muhammed Zafar Iqbal (Bengali: মুহম্মদ জাফর ইকবাল) is one of the most famous Bangladeshi author of Science-Fiction and Children's Literature ever to grace the Bengali literary community since the country's independence in 1971. He is a professor of Computer Science & Engineering at Shahjalal University of Science and Technology (SUST). Before that, Iqbal worked as a research scientist in Bell Communication Research for six years until 1994.

Birth and Family Background:
Iqbal was born on 23 December 1952 in Sylhet. His father, Foyzur Rahman Ahmed, was a police officer. In his childhood, he traveled various part of Bangladesh, because of his father's transferring job. Zafar Iqbal was encouraged by his father for writing at an early life. He wrote his first science fiction work at the age of seven. On 5 May 1971, during the liberation war of Bangladesh, the Pakistan's invading army captured his father and killed him brutally in the bank of a river.

Education:
Iqbal passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1968 and HSC exam from Dhaka College in 1970. He earned his BSc in Physics from Dhaka University in 1976. In the same year Iqbal went to University of Washington to obtain his PhD and earned the degree in 1982.

Personal Life:
Iqbal married Dr. Yasmeen Haque in 1978. Yasmeen is the Dean of the Life Science Department, Head of the Physics Department, Provost of the Shohid Janoni Jahanara Imam Hall and a researcher at SUST. They have two children - son Nabil and daughter Yeshim. Yeshim translated the book Amar Bondhu Rashed (Rashed, My Friend) written by her father. Iqbal's elder brother, Humayun Ahmed, was the most popular author and film-maker of Bangladesh since its independence. Humayun died after a nine-month struggle against colorectal cancer on the 19 July 2012. His younger brother, Ahsan Habib, is the editor of the satirical magazine, Unmad and one of the most reknowned cartoonist of Bangladesh.

Academic Career:
After obtaining PhD degree, Iqbal worked as a post-doctoral researcher at California Institute of Technology (CalTech) from 1983 to 1988. He then joined Bell Communications Research (Bellcore), a separate corporation from the Bell Labs (now Telcordia Technologies), as a Research Scientist. He left the institute in 1994 and joined the faculty of the Department of CSE of SUST.

Literary career:
Iqbal started writing stories from a very early age. Iqbal wrote his first short story at the age of seven. While studying in the Dhaka University Iqbal's story Copotronic Bhalobasa was published in a local magazine. But, a number of readers at that time felt that the story was based on a foreign story. To answer this allegation, he later rewrote the story and published the story in collection of stories named Copotronic Sukh Dukkho. Since then he is the most popular writer both in Bengali Science-Fiction and in Juvenile Leterature of the country.

Other Activities and Awards:
Zafar Iqbal won the Bangla Academy Award, the highest award in literature in Bangladesh, in 2004. Iqbal also played a leading role in founding Bangladesh Mathematical Olympiad. In 2011 he won Rotary SEED Award for his contribution in field of education.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
945 (39%)
4 stars
855 (35%)
3 stars
460 (19%)
2 stars
100 (4%)
1 star
23 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 74 reviews
Profile Image for Israt Zaman Disha.
194 reviews622 followers
June 1, 2020
অনেক ছোটবেলায় পড়েছিলাম। তখন ক্লাস থ্রি তে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি আসত বাসার কাছে। সেইখান থেকে নিয়ে পড়েছিলাম। ছোট্ট, সুন্দর, মায়াময় একটা বই।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,862 followers
March 26, 2016
সায়েন্স ফিকশন নয়, বরং ফ্যান্টাসি বলাই ভালো এই লেখাকে। কিন্তু কী ভালো! পড়ার পর মুখে হাসি ফোটে, চোখের কোণটা ভিজে ঠেকে, আর আকাশের দিকে চোখ যায়।
এইরকম লেখা পড়লে মানুষ বড়ো হয়, বুড়ো হয় না।
Profile Image for রিফাত সানজিদা.
174 reviews1,356 followers
August 2, 2016
নীলগাঙের তীরে নীলাঞ্জনা হাই স্কুল। সেই ইস্কুলে পড়ে বিলু। সেভেনে।
বিলুরা চার ভাই-বোন। বড়বু, রাঙাবু, বিলু আর সবার ছোট লাবু। বিলুর মা আছেন আর আছেন একটু অন্য ধাঁচের একজন বাবা। জীবজন্তুর কথা বুঝতে পারেন বলে সবাই তাকে পাগল ভাবে। কী অন্যায় বলো তো?

বাবাকে নিয়ে বিলুর অনেক দুঃখ। লোকে বাবাকে পাগল বলে বলেই ওর বড়বুর পড়াশোনা হলো না। একটা প্রস্তাব আসতেই সবাই জোর করে ওর বুবুটাকে বিয়ে দিয়ে দিলো। অথচ বুবু পড়াশোনায় কী ভালোই না ছিলো!
বিলু নিজেও কিন্তু পড়াশোনায় ভীষণ ভালো। ওর রোল নং কতো জানো? এক, ক্লাসের ফার্স্ট বয় ও। পুরো জেলায় বৃত্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলো সেবার, হুঁ হুঁ বাবা।তাই বলে সারাদিন ঘাড় গুঁজে কেবল পড়াশোনাই করে না ও, প্রাণের বন্ধু দুলালের সঙ্গে লাইব্রেরি থেকে গল্পের বই নিয়ে মজা করে পড়েও।দমাদম পিটিয়ে ফুটবলও খেলে। ওদের একটা ফুটবল ক্লাবও আছে, জানোতো? গ্রীন বয়েজ ফুটবল ক্লাব।

বিলুর ছোটখালা থাকেন শহরে। একবার হঠাৎ করে এসে বিলুকে নিয়ে যান তিনি, এতো মেধাবি ছেলেটা, এখন থেকে নাহয় তার বাসায় থেকেই পড়াশোনা করুক। বন্ধুদের আর বাবা-মাকে ছেড়ে যেতে হবে জেনে বিলুর ভীষণ মন খারাপ হয়, ভীষণ-ই! কিন্তু খালার টকটকে লাল গাড়িতে চেপে শহরে যেতে পারবে জেনে খুশিও হয় ও।
বল্টু আর মিলি, বিলুর ছোটখালার দুই ছেলেমেয়ে। ওরা ঠিক আপন করে নেয় না ওকে, ভাবে গেঁয়ো,বোকা ছেলে। ওর নূতন ইস্কুলের ফার্স্ট বয় লিটন, সেও বিচ্ছিরি ব্যবহার করে ওর সঙ্গে, প্রথম দিন থেকেই। লিটন কিনা ক্যারাটে'তে ওস্তাদ, তাই খামোখাই বিলুকে ধরে সেইরকম পিট্টি-ও দেয় দুষ্টু ছেলেটা। বিলুর বড্ড মন খারাপ হয় সব মিলিয়ে। ভাবো তো, এইটুকুনি একটা ছেলে.. বাবা-মা-ভাই-বোন সবাইকে ছেড়ে এতোদূরে এসেছে, তায় আবার অন্যায়ভাবে মার খেলো। খারাপ তো লাগবেই, তাই না?

কিন্তু নূতন ইস্কুলের যিনি ক্লাসটিচার, ভীষণ ভালো মানুষ তিনি। তারিক, মাহবুব, সুব্রত, নান্টু এরকম আরো ভাল কিছু ছেলের সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব হয়ে যায় ওর। বিলুর আর তখন একা একা লাগে না।
আরেকজন বন্ধু পায় বিলু, টুকুনজিল। এন্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে আসা মহাকাশের প্রাণী। ভীষণ ক্ষমতা তার, তবে কিনা এইটুকুনি দেখতে। তাই তার নাম রেখেছে বিলু, টুকুনজিল। ভাগ্যিস বিলুর ছোটখালুর ভাই বিদেশ থেকে ফিরে ওর খালার বাসায় বেড়াতে এসে বিলুকে একটা ম্যাগনিফাইং গ্লাস উপহার দিয়েছিলেন। নয়তো টুকুনজিলকে তো ও খুঁজেই পেতো না কখনো।

বব কার্লোস নামে এক নিষ্ঠুর বিজ্ঞানি ওঁৎ পেতে ছিলো টুকুনজিলকে ধরে নেবে বলে। ধরে নিয়ে আটকে রাখবে বছরের পর বছর, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখবে কী করে এতো কিছু জানে, কেমন করে এতো ক্ষমতা টুকুনজিলের।
কিন্তু বিলু তো টুকুনজিলের বন্ধু। তোমার বন্ধুকে কেউ যদি খাঁচায় পুরে রাখতে চাইতো, তুমি কি তা হতে দিতে? তাই সবটুকু সাহস নিয়ে বন্ধুকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে।সঙ্গে থাকে তারিক, মাহবুব, সুব্রত, নান্টু..ওর ইস্কুলের স-ব বন্ধুরা।
তারপর টুকুনজিল পচা বিজ্ঞানী কার্লোস আর তার সাঙ্গপাঙ্গকে ক্যামন শিক্ষা দেয়, উফফ, তা যদি দেখতে!
এরপর বিলুকে ফিরিয়ে দিয়ে আসে নীলগঞ্জে, ওর বাবা-মার কাছে। যেখানে সবাই পথ চেয়ে ছিলো, বিলু কবে বাড়ি ফিরবে।টুকুনজিলও ফিরে যায় এন্ড্রোমিডায়, তার নিজের গ্রহে। দিনের শেষে সবাই তো নিজের জায়গায়, নিজের মানুষদের কাছে ফেরে, তাই না?

এরপর অনেকদিন কেটে গেছে।বিলু এখন নীলগঞ্জেই থাকে, এখানেই পড়ছে সে। ওর রাঙাবু আছে, মা আছে, বন্ধু দুলাল আছে, কে যায় এদের ছেড়ে! বাবাও তো ভালো হয়ে গেছেন ওর, টুকুনজিল ওর বাবাকেও সারিয়ে দিয়ে গেছে।
শুধু সন্ধ্যায় কিংবা অনেকরাতে, যখন মিটমিটে জোনাকির মতো আকাশ জুড়ে নক্ষত্রের মেলা বসে..তখন দূরে তাকিয়ে বিলু দূর মহাকাশের গ্রহে থাকা ওর সেই বন্ধুর কথা ভাবে।

যেমনটা ভাবে টুকুনজিলও, ওর বন্ধু বিলুর কথা, ছায়াপথের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে।
________________________________
একটা অনলাইন নিউজ চ্যানেলের কিডস সেকশনের জন্য লেখা।
বাচ্চাদের জন্য বাচ্চাদের মতো করে লেখার ফ্যাচাং আছে। :-/

This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for বিমুক্তি(Vimukti).
156 reviews88 followers
September 30, 2020
এ বইতো আমার অলটাইম টপ ফেভারিট। একদম পিচ্ছি থাকতে যখন পড়েছিলাম তখন কতো হেসেছি আর কতো কেদেছি যে পড়ার সময়! তো এখন আবার বইটার এই পুনঃপাঠের পিছনে কিন্তু একটা কাহিনি আছে, আগে সেটা বলি।

রিমু আপু আর রিফাত আপা, আমার এই দুই শ্রদ্ধেয় বড় বোন মিলে একবার একসঙ্গে ব্যোমকেশ সমগ্র পুরো শেষ করেছিলেন। একজন পড়বে আর আরেকজন শুনবে এরকম ব্যবস্থা। তো ওরা যখন রিভিউ দিল, তখন তো আমি একদম যাকে বলে শয়ন থেকে উঠে বসেছি। আরে এতো দারুণ জিনিস! আমার ভাইটাকে নিয়েও তো এরকম কিছু করা উচিত যেই ভাবা সেই কাজ! এরকম দারুণ একটা আইডিয়া তো ব্যবহার ন করে থাকা যায় না। তাই টুকুনজিল দুই ভাইয়ে মিলে পড়া শুরু করলাম। আসলে বলা উচিত কনিষ্ঠজন পড়ল, জ্যেষ্ঠজন শুনল। তো আইডিয়াটা ওদের দুইজনের কাছ থেকে ধার করেছি বিধায় ওদের অনেক বড় বড় অসংখ্য ধন্যবাদ।


তো বইটা পড়ার অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো? এক কথায় দারুণ! লিসানকে দিয়ে পড়াচ্ছিলাম, আর ও পঁচিশ পেইজ পড়ার পর পর বলছিল,"ভাইয়া, গলা শুকায় গেছে। পানি খেয়ে আসি।" আর আমার মা তো খুশিতে একদম উড়ুউড়ু। আমি সারাদিন শুয়ে শুয়ে মোবাইল চালাই বলে গত ছয় মাস ধরে উনার কাছ খালি গালিই খেয়ে আসছি । আজ আমাদের দুই ভাইকে একসঙ্গে বইটা পড়তে দেখে আমার ম্যালা খুব প্রশংসা করা হলো। এই জন্যও দুই বোনকে ধন্যবাদ দেয়া দরকার। সবই ওদের মাস্টারপিস মাস্টারপিস আইডিয়াটার ফসল।

বইটা পড়ার মাঝপথে আমি বলছিলাম,"ইশ! বিলুটা যে ক্যান শেষের দিকে মারা গেলো!" মিথ্যা স্পয়লার। এইটা শুনে আমার ভাই একদম যেনো কেঁদে ফেলবে অবস্থা(স্পয়লার দিলে যে রাগতে হয়, এইটা বোধহয় এখনও জানে না:3)। ''ভাইয়া কি হইছে ওর সাথে। দুর বলস না কি হইছে? মরে গেলো কিভাবে?" বইটা বোধহয় ঐখানেই ফেলে রেখে উঠে যেতো, অনেক ধরে বেধে বাকিটুকু পড়ালাম। শেষ করে যখন দেখল বিলু মরে নাই, তখন বললাম, "এখন খুশি হইছিস?"
"না! এই এন্ডিংটাও ভালো না।"

যাই হোক, পুরনো আবেগ এবং স্মৃতি রোমন্থন আর ভাইয়ের সঙ্গে কিছু ভালো সময় কাটানো, টুকুনজিল পুনঃপাঠের জার্নিটাকে অসাধারণ ছাড়া আর কিছু বলা সম্ভব নয়।
Profile Image for Ratika Khandoker.
300 reviews33 followers
January 6, 2023
পুরো সপ্তাহ "বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে এই বই পড়বো" এই আশায় কাটিয়েছি।অবশেষে বৃহস্পতিবার এলো,বিকালে বাসায় ফিরে কম্বলের তলায় এই বই হাতে ঢুকলাম।কি আরাম!
জাফর ইকবাল মানেই হালকা কিছু,মজার কিছু,পরিচিত ছাঁচে গড়া একটু খানি ছোটবেলা।এই বই ও ব্যতিক্রম নয়।
বিলুর গ্রামে দিন কাটে ভারি আনন্দে।বিলুদের হয়তো বেশি টাকা পয়সা নেই,কিন্তু তার জীবনে ভালোবাসার কমতি নেই কোনো।ভাই-বোন,মা-বাবা,বন্ধুদের নিয়ে তার জীবন বেশ চলছিলো।
হঠাৎ কোত্থেকে ছোটখালা এসে তাকে লেখাপড়ার জন্য নিয়ে যায় শহরে।সেখানে বিলু খুঁজে পায় এক আজব বন্ধু- টুকুনজিলকে।কেনো আজব টুকুনজিল?শহরে বিলু কি মানিয়ে নিতে পারলো?জানতে হলে পড়তে হবে এই "ফাই-উট"(তারিকের ভাষায় ফাইন প্লাস কিউট) বইটি।
Profile Image for Fatema-tuz    Shammi.
126 reviews21 followers
December 7, 2020
বল্টু এবং সেই মহাজাগতিক প্রাণী টুকুনজিল 💮
এ বই গুলো মানে সুন্দর সময়। এখন হয়ত এগুলি এত আকর্ষণ করে না; কিন্তু একটা সময় এগুলা ছিল অবসর এর সঙ্গী আর কেমন মোহগ্রস্ত এর মত পড়তাম। সপ্তাহে একটা দিন লাইব্রেরির জন্য দেয়াটা আর কখনো হবে নাঃ-)
Profile Image for Turna Dass.
145 reviews
June 25, 2025
এতোদিন ধরে যে আমি জাফর স্যারের লেখা ট্র্যাশ-গার্বেজগুলোই পড়ছিলাম,তা এখন এনার লেখা মাস্টারপিস বইগুলো পড়ে উপলব্ধি করতে পারছি।

প্রকৃতির অবিরাম বিচ্ছিন্ন শক্তিমালার মতোন নিরাকার কিশোরসুলভ অনুভূতিগুলোকে যেন বিজ্ঞান তার পরম শুদ্ধতায় মস্তিষ্কের হাজারো নিউরনের ন্যায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে।আর?ফ্যান্টাসি তাদেরকে এক কল্পনার মুক্ত আকাশে পত্পত্ করে উড়িয়ে আনছে।

এই দৃশ্য অবলোকন করে আমার ভোলাভালা মনটা বলে ওঠে,"আহা!"

সেই দারুণ ফ্যান্টাসির স্বপ্নদ্রষ্টা—সেই আণুবীক্ষণিক কিউট সুইট আদুরে ঝিঁঝিঁ সুরে ডাকা বিলুর প্রাণের বন্ধু "টুকুনজিল"!

বাবার স্বীয় মুখে শোনা তাঁর গ্রাম্য শৈশবকালকে যেন বইয়ের পাতায় পাতায় একনজরে দেখে আসলাম।কী সুন্দর তাঁর মিষ্টিমধুর শৈশব!

আফসোস জাগে।

টুকুনজিল আর বিলুর ডুয়েট অ্যাকশন সিনগুলোকে যেন লো বাজেট ভিএফএক্সে আনাড়ি ভাবে এডিট করা ঢাকাইয়া সিনেমার মতোন মনে হচ্ছিল।একদম ধুমধাড়াক্কা!!!

[ডিয়ার মুভি পরিচালক,পিলিজ একটু এই সিনগুলা আপনেরা শ্যুট কইরা দিয়েন.......]

নিজ স্বার্থে বিজ্ঞানের ব্যবহার বড্ড হানিকারক,এ কথা যেন বারবারই জাফর স্যার তাঁর বইয়ে বলে এসেছেন।এখানেও কোনো ব্যতিক্রম নেই।

বিজ্ঞান এমন কিছু নয়,যা থেকে তোমরা "অপরাজেয়-অমর" হবার নাম করে পুরো মহাবিশ্বের ক্ষতি করবে,নিজেদের চরম অধঃপতন করবে।

বিজ্ঞান হবে এমন কিছু,যা কোনো দেবালয়ের দেবতার উদ্দেশ্যে অর্পিত পবিত্র ফুলের মতোন গৌরবান্বিত।সবার কল্যাণে নিয়োজিত; সূত্রে-সমীকরণে যেন গেয়ে যায় মানবতার গান।
"সত্য মঙ্গল প্রেমময় তুমি,ধ্রুবজ্যোতি তুমি অন্ধকারে....."

সবমিলিয়ে টুকুনজিল এমন মায়ার বাঁধনে আমাকে আটকে রেখেছে,বের হতে পারছি না।

পারবো বলে মনে হয় নাহ।

রেটিং?আমার যত্নে রাখা পাঁচখানা ভিনদেশী তারা....
Profile Image for Akhi Asma.
230 reviews464 followers
January 2, 2021
একটা ভীষণ প্রিয় বই দিয়ে এই বছর টা শুরু করলাম। টুকুনজিল আর বিলুর জন্য মন কেমন হুহু করে কেঁদে উঠলো!

একজনের এই বইটাকে তিনতারা দেওয়া পছন্দ হলোনা। -_-
Profile Image for Mahin.
49 reviews51 followers
August 4, 2018
বইটা খুব সম্ভবত ২০১৩-১৪ সালের দিলে পড়েছিলাম।বইটা ছিল আমার বন্ধু হামিমের।তার কাছ থেকে এনেই পড়েছিলাম।আমি খেয়াল করেছি কোনো একটা বই একজনের কাছে ঠিক কতটা ভালো লাগবে তা নির্ভর করে সে বইটা কোন বয়সে, কোন পরিবেশে, কোন মানসিক অবস্থায় পড়ছে।এই বই পড়ার সময়কার বয়সটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর বয়স।ঐ সময়ে যে বই পড়তাম তাই ভালো লাগতো।আর ঐ সময়টাতে অনেক বেশি জাফর স্যারের বই পড়া হতো।বইটা শেষ করার পরে তীব্র একটা স্নিগ্ধতার রেশ অনেকক্ষণ ধরে মনের গহীনে রয়ে গিয়েছিলো।

যদিও এটাকে সায়েন্স ফিকশান বলা হয়েছে, আসলে এখানে সায়েন্স এর থেকে অনেক বেশি হচ্ছে কল্পনা(স্যারের নিজের ভাষাতেই)।হার্ডকোর সায়েন্স ফিকশান নয় একদমই; একারণেই অনেক বেশি সুখপাঠ্য।এক বসাতেই পুরোটা শেষ করা যাবে খুব সহজেই।



কাহিনীর প্রতি মোড়ে মোড়ে আবেগ, রোমান্স, অ্যাডভেঞ্চার এর এক চমৎকার মিশেল রয়েছে।সত্যি বলতে আমি বিলু চরিত্রের ভেতর নিজেকে কল্পনা করা শুরু করে দিয়েছিলাম।বইটা শেষ করার পর ভেতর থেকে তৃপ্তিময় একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এসেছিলো।কৈশোরের এক আনন্দময় স্মৃতি ছিল এ বই।^_^
Profile Image for Md. Faysal Alam Riyad.
317 reviews26 followers
September 16, 2017
লেখকের ভাষাতেই এটা হল একটুখানি বিজ্ঞান আর অনেকটা ফিকশন। সে যাই হোক, মজা পেয়েছি অনেক। শেষটায় বেশি ভালো লেগেছে।
Profile Image for Motiur   Rahman.
20 reviews3 followers
July 14, 2025
ছোটবেলায় পড়া কিন্তু আবার পড়লাম... একরকম ভুলতেই বসেছিলাম গল্পের প্লট, শেষের দিকে এসে মনে পড়লো, আরে এটা তো আগেই পড়েছিলাম... যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্য পাঠ্য এই বইখানি... কথা দিচ্ছি! যে একটা মিস্টি স্বাদ থেকে যাবে ভিতরে বইটি পড়ার পরে...
Profile Image for Rejwana Haque Pial.
90 reviews13 followers
September 23, 2019
আমার দৃশ্যটা চোখে গেঁথে আছে,রাত সম্ভবত দশ বা সাড়ে দশ! ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি সবাই,আমি ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে সম্ভবত। লেপের নিচে শুয়ে বইটা উল্টেপাল্টে দেখছি আর পড়া শুরু করছি।তখন বাড়িতে বই ছিল গোটাকয়েক মাত্র,যা কটা আম্মু লাইব্র��রিয়ান হিসাবে পেতো,তাই-ই!!
শুধুমাত্র বই নাই দেখে একই বই যে আমি কতোবার পড়েছি,তার ইয়াত্তা নেই!!! সেই তখন থেকেই মনে হয় আমার এই অভ্যেস,বারবার পছন্দের কোন বই পড়তেই থাকা,বারবার পুরনো ভালোলাগা মুভি দেখতেই থাকা!!!

বইটা আমার এতো কাছের যে আমি বলে বুঝাতে পারবো না!!! পিঁপড়ের সাড়িতে যে কতো খুঁজেছি সেই টুকুনজিল! আহা!!!
Profile Image for Jahid Hasan.
135 reviews160 followers
June 18, 2015
অসাধারণ!খুব মজার একটি বই।
অনেক হেসেছি..সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মেশিনগান ভাঙ্গার সময়টি..হো হো করে হাসছিলাম।
নিজেকে যেন দেখতে পাচ্ছিলাম বইয়ের ভেতর।

বলা যায় অনেকটা রম্য সায়েন্স-ফিকশন :)

টুকুনজিল যে কিনা ভিনগ্রহের প্রাণী তার বিদায়ের পর্বটি আমি জোরে জোরে পড়ছিলাম।সেই মুহূর্তটি ভিষন করুণ ছিল..লক্ষ্য করলাম ধীরে ধীরে গলা ধরে আসছে!

না পড়লে পুরাই মিস ;)
Profile Image for সালমান হক.
Author 66 books1,956 followers
January 4, 2014
Amar pora prothom science fiction. Awshadharon.. Hardcore sci fi nah tobe starter hishebe chomotkar. kintu ekhon ar uni ei dhoroner boi lekhen nah :(
Profile Image for Ibnul Shah.
60 reviews23 followers
August 21, 2017
৬ বছর পর আবার পড়লাম টুকুনজিল :') Same old feeling :')
Profile Image for Ahmed Atif Abrar.
719 reviews12 followers
July 6, 2020
খাঁটি দেশীয় পরিকাঠামোয় লিখিত কল্পবিজ্ঞান।
Profile Image for Harun Ahmed.
1,646 reviews418 followers
April 6, 2021
আমার পড়া প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। তাই এই বইটার প্রতি অন্যরকম আবেগ কাজ করে সবসময়।
Profile Image for Ishra Maria.
101 reviews
June 25, 2021
নীলাঞ্জনা হাই স্কুলে সেভেনে পড়ে বিলু।
বিলুরা চার ভাই-বোন। বড়বু, রাঙাবু, বিলু আর সবার ছোট লাবু। বিলুর মা আছেন আর আছেন একটু অন্য ধাঁচের একজন বাবা। জীবজন্তুর কথা বুঝতে পারেন বলে সবাই তাকে পাগল ভাবে।বিলুর ছোটখালা থাকেন শহরে। একবার হঠাৎ করে এসে বিলুকে নিয়ে যান তিনি।মিলি, বল্টু ছোটখালার দুই ছেলেমেয়ে। ওর নূতন ইস্কুলের ফার্স্ট বয় লিটন যে কিনা ক্যারাটে'তে ওস্তাদ, তাই খামোখাই বিলুকে ধরে ধোলাই দেয় ছেলেটা।তবে তারিক, মাহবুব, সুব্রত, নান্টু এরকম আরো ভাল কিছু ছেলের সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব হয়ে যায় ওর।আরেকজন বন্ধু পায় বিলু, টুকুনজিল। এন্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে আসা মহাকাশের প্রাণী। ভীষণ ক্ষমতা তার যদিও বেশ ছোটো দেখতে বিলুর ছোটখালুর ভাইয়ের দেওয়া ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখতে হয় টুকুনজিলকে।বব কার্লোস নামে এক নিষ্ঠুর বিজ্ঞানি ওঁৎ পেতে ছিলো টুকুনজিলকে ধরে নেবে বলে।কিন্তু সবটুকু সাহস নিয়ে বন্ধুকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিলু সঙ্গে তারিক, মাহবুব, সুব্রত, নান্টু এবং ওর ইস্কুলের সব বন্ধুরা।তারপর টুকুনজিল বিজ্ঞানী কার্লোস আর তার দলবলকে বেশ শিক্ষা দেয়।এরপর বিলুকে ফিরিয়ে দিয়ে আসে নীলগঞ্জে, ওর বাবা-মার কাছে।টুকুনজিলও ফিরে যায় এন্ড্রোমিডায় যাওয়ার আগে বিলুর বাবাকে সারিয়ে দিয়ে গেছে।তারপর বিলু নীলগঞ্জেই থেকে যায়।শুধু সন্ধ্যায় কিংবা অনেকরাতে বিলু দূর মহাকাশের গ্রহে থাকা ওর সেই বন্ধুর কথা ভাবে।
বইটি কিডস সেকশনের জন্য।
বাচ্চাদের জন্য বাচ্চাদের মতো করে লেখার ফ্যাচাং আছে।
Profile Image for Mir Khalid.
15 reviews
January 8, 2018
গ্রাম থেকে আসা গরিব পাগলাটে বাবার ছেলে বিলু শহুরে ধনী আত্মীয়ের বাসায় এসে আকস্মিকভাবে অন্যগ্রহ থেকে আসা এক প্রাণীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে। ধনী আত্মীয় অবজ্ঞা অবহেলার মাঝে বিলু ভিনগ্রহের প্রাণী টুকুনজিল(বিলুর দেয়া নাম) এর সাথে এক অদ্ভুত সখ্য খুজে পায়। বিলু টুকুনজিলকে শিখায় ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং আবেগ।
Profile Image for Merina Usha.
7 reviews
May 1, 2021
টুকুনজিল অনেক মজার সায়েন্স ফিকশন। দশ থেকে পনের বছর বয়সিদের জন্য বাংলায় লেখা ভালো সায়েন্স ফিকশন খুব কমই আছে। যেগুলো আছে, তার মধ্যে টুকুনজিল এর নাম বলা যায়। এটা পুরোপুরি সায়েন্স ফিকশন ও বলা যাবে না। গল্পের মূল চরিত্র হঠাৎ একদিন এক এলিয়েনের দেখা পায়। এরপর শুরু হয় মজার ঘটনাবলী। ছোটদের বই গিফট করার জন্য ভালো অপশন।
Profile Image for Mahmuda Mim.
16 reviews1 follower
April 14, 2019
ছোটোখাটো ফ্যান্টাসি 💙
12 reviews
February 25, 2024
"আমি যখন ফিরে যাব, তখন আমার গ্রহের সবাইকে বলব, ছায়াপথে ছোট্ট একটি নক্ষত্র আছে– তার নাম সূর্য। সেই নক্ষত্রে ছোট্ট একটি গ্রহ আছে, তার নাম পৃথিবী। সেই পৃথিবীতে ছোট্ট একটা মানুষ আছে, তার নাম বিলু। সেই বিলুর সাথে আমার ভাব হয়েছিল। সেই বিলু আমাকে খুব আশ্চর্য একটা জিনিস শিখেয়েছে, সেটার নাম ভালোবাসা। আমাকে সে এত ভালোবেসেছে যে, হঠাৎ করে আমার বুকের ভেতরেও সেই আশ্চর্য অনুভূতির জন্ম হয়েছে।"

কাহিনি সংক্ষেপ–
গ্রামের ছেলে বিলু পড়ালেখার জন্য শহরে তার খালার বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে বাড়ির ছাদে ম্যাগনিফাইং গ্ল্যাসের সাহায্যে পিঁপড়ার চেয়েও ছোট্ট একটি মহাকাশযান খুঁজে পায়। এবং সেখানেই দেখা হয় টুকুনজিলের সাথে। অবশ্য এটা তার আসল নাম নয়; নামটা বিলুর দেওয়া। টুকুনজিল এবং বিলুকে ঘিরে কাহিনি এগিয়ে চলে। নতুন স্কুলের বন্ধু, মারামারি, অপহরণ, আকাশে উড়াসহ বেশ কিছু রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় বিলু। এছাড়া বইটিতে বিলুর বাবার প্রতি তার আবেগ ও ভালোবাসা ��ুটে উঠেছে।

জাফর ইকবাল স্যারের লেখা প্রিয় বইগুলোর মধ্যে, প্রিয় সায়েন্স ফিকশনগুলোর মধ্যে একটি হলো– টুকুনজিল।
Profile Image for Tasmia Khan Badhon.
10 reviews
January 27, 2022
বইটা পড়ার আগে বইটা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য কম শুনিনি।তাই পড়ারও খুব একটা ইচ্ছা জাগেনি।তবে সুযোগ হয়ে গেল ধার করে পড়বার।তাই সুযোগটা হাতছাড়া করলাম না।"বইটা পুরোটাই কপি করা" পড়ার পরে এমনটা মনে হলো না।তবে লেখক অন্য কোথাও থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আইডিয়া নিয়েছিলেন সেটা বোঝা যায়।এতে আমি অন্যায়ের কিছু দেখি না।বইটা ভালো না লাগার কারণ ভিন্ন।হয়তো আরো কম বয়সে পড়লে ততটা খারাপ লাগত না।যুক্তি-কুযুক্তির মিশেল মনে হয়েছে বইটাকে।তবে ছোটদের কথা বিবেচনা করলে সেটাকেও মেনে নেওয়া যায়।এসবের মধ্যে বিজ্ঞানের যুক্তি না টানলেও হয়তো চলতো যেহেতু কাহিনীটা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে যুক্তি না দেখালেও চলবে।আর সেসব যুক্তি বাস্তবসম্মত হলেও সেগুলো ছোটদের বোধগম্য হওয়ার কথা না।আমার মনে হয় ছোটদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা হলে এই ব্যাপারটায় একটু নজর দেওয়া উচিত ছিল লেখকের।এছাড়াও সব চরিত্রের কথনশৈলী একই রকম হওয়ায় বইটায় কোনোরকম বৈচিত্র্য খুঁজে পাইনি।এরকম বেশ কিছু কারণে বইটা ভালো লাগেনি।
Profile Image for Asif Ahmed.
48 reviews
July 27, 2020
The book was written based on a teenage boy "Bilu" who is curious and has a diligent mind of his kind.

Due to Bilu's family's circumstances, he had to move with his elder aunt from his village.

In the city, Bilu got admitted to a new school and the journey of his discovery begin.

"Tukunjil" is an alien whom Bilu found throughout his discovery and together they have an extreme adventure.

Overall, the story was fascinating but I would nominate this book a fantasy rather than a science fiction.
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Ibrahim  Aziz.
29 reviews2 followers
August 31, 2021
আমি তখন ক্লাস সিক্সে। সালটা হচ্ছে ২০০২। কৃষিশিক্ষা ক্লাসে স্যার গল্প বলতে বলেছিল তার আগেরদিন আমি এই বইটা পড়ে শেষ করেছিলাম। শুরু করলাম বলা। ঘণ্টা পড়ে গেল আমার গল্প বলা শেষ হয়না। স্যার পর্যন্ত তন্ময় হয়ে শুনছিলেন। পরে বললেন পরেরদিন আবার শুনবেন। আমার পড়া দ্বিতীয় বই জাফর ইকবালের।

এই বই পড়লে মনে হবে জীবনে কিছু একটা আসে যেটা জীবনকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়। এবং সেটা আসলেও আসে।

Profile Image for Lasit Mehjabin.
94 reviews2 followers
April 19, 2021
এমন একটা গল্প, যেই গল্পে সায়েন্স আর ফ্যান্টাসি দুটোই একসাথে রয়েছে!একটি মহাকাশের প্রাণী আর ছোট্ট এক ছেলের কথা।এই বইটি পড়ে প্রথম আমি কেঁদেছিলাম ও একইসাথে হেসেছিলাম!আর ভেবেছিলাম আমার কাছের মানুষ চলে গেলে কেমন লাগবে?🥺
Displaying 1 - 30 of 74 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.