Jump to ratings and reviews
Rate this book

Humayun Ahmed (Chronological List) #3

তোমাদের জন্য ভালোবাসা

Rate this book
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
ফিহা জানালা খূলে দিলেন। বাইরের অপরূপ জোছনা ভাসতে ভাসতে ঘরের ভেতর চলে এল। সেদিক তাকিয়ে থাকতে থাকতে ফিহা অভিভূতের মতো বললেন, ‘দেখো, দেখো, কী চমৎকার জোছনা হয়েছে।’

62 pages, Hardcover

First published January 1, 1973

14 people are currently reading
377 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
297 (29%)
4 stars
393 (39%)
3 stars
251 (25%)
2 stars
53 (5%)
1 star
10 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 55 reviews
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
January 7, 2021
আমি বইটার নাম দেখে ভেবেছিলাম হুমায়ূন আহমেদের একটা সাধারণ সমকালীন উপন্যাস হয়তো, পরে দেখি সায়েন্স ফিকশন। যার ফলে তিন দিন আগে কারেন্টলি রিডিং এ দেয়ার পর মাঝের দুই দিনে আর পড়া হয় নি। সায়েন্সের স্টুডেন্ট হলেও কোনো একটা অজানা কারণে সাই-ফাই জনরার বই আমাকে খুব বেশি টানে না। সাই-ফাই পড়ার হাতেখড়ি হয়েছিল মুহম্মদ জাফর ইকবালের মাধ্যমে। বেশ কয়েকটা বই পড়ার পর কেমন জানি একটা একঘেয়েমি ভাব চলে আসে এবং সেখানেই সাই-ফাই জনরায় ইতি দিয়ে ফেলি। তো বেশকিছু সময় পরে এই সাই-ফাইটা একটু অন্যরকম মনে হলো।

এই বইয়ের কাহিনীটা ত্রিমাত্রিক পৃথিবী আর চতুর্মাত্রিক টাইফা গ্রহের। পৃথিবী অনেক আগানো, বিজ্ঞান এই পৃথিবীকে অনেক দূরে নিয়ে গিয়েছে (মানবিক আবেগ সম্পন্ন কম্পিউটার 'সিডিসি' তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা)। এই অবস্থায় পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন টাইফা নামক গ্রহ; বিজ্ঞানীরা যোগাযোগে সফল হন এবং বুঝতে পারেন সেই গ্রহের অধিবাসীরা পৃথিবীর মানুষদের থেকেও বহুগুণ উন্নত। তো এইভাবে যোগাযোগ চলতে থাকে বেশ কিছুদিন, তারপর একদিন হুট করে উধাও হয়ে যায় টাইফা। কম্পিউটার সিডিসি সবকিছুর ডাটা কালেক্ট করে দেখে একই পথে চলা অন্য গ্রহেরও একই অবস্থা এবং ক্যালকুলেশন করে বলে যে, দেড় বছরের মধ্যে পৃথিবীও এমন উধাও কিংবা ধংস হয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা সব কাজে নেমে পড়েছে কিভাবে পৃথিবীকে এই ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করা যায়। কিন্তু পৃথিবীর সেরা বিজ্ঞানী ও আঙ্কিক ফিহা চলে গেলেন ঘুরতে।




এই বইয়ে শেষের দিকে বেশ ইন্টারেস্টিং আলাপ আছে।
ফিহা বললেন, "জ্ঞান বিজ্ঞান তো মানুষের জন্যই, আর একটি মানুষ কতোদিন বাঁচে? তার মৃত্যুর সাথে সাথেই তো জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে তার সব সম্পর্কের ইতি। ঠিক নয় কি?"

এই বিষয়টা ঠিক যে, বিজ্ঞান মানুষের জীবনযাত্রাকে অনেক পরিমাণে সহজ করে দিয়েছে এবং দিচ্ছে, হয়তো ভবিষ্যতে আসবে আমূল পরিবর্তন। তবে...............
মানুষ বাঁচার মতো বাঁচতে পারছে না। উন্নতির সোপান তাড়িয়ে তাড়িয়ে বেড়ায়!
বেশিরভাগ আমরা(মানুষ) রোবটের মতো কিংবা শত বছর পরে রোবটই মানুষের মতো হয়ে যাবে! দুইয়ে মিলে রোনুষ😅
অথচ বিজ্ঞানের এত উন্নয়ন না হলে মানুষ খুব সহজ ভাবেই বাঁচার মতো করে প্রিয়জন নিয়ে আমৃত্যু বাঁচতে পারতো!

বিজ্ঞান নিয়ে মানুষ ভালভাবে বাঁচুক। সবার জন্য ভালোবাসা💖

~৬ জানুয়ারি, ২০২১
Profile Image for Pranta Dastider.
Author 18 books329 followers
October 4, 2015
সেদিন এক বড় ভাই বইটা পড়ার কথা বললেন। ফ্রেন্ডের শেলফে বইটা আবিষ্কার করেছি বেশ কয়েকমাস আগে। কিন্তু পড়া হয়নি। সাইন্স ফিকশন গল্পে আমি মুহাম্মদ জাফর ইকবাল মুখী। অন্য কারও লেখা সেভাবে ভালো লাগেনা। হুমায়ূন আমদের এর কোনও সাইন্স ফিকশনই এর আগে পড়িনি। যাই হোক, আজ সকালে ফ্রেন্ডের শেলফ থেকে নিয়ে পড়া শুরু করলাম। প্রথমটায় খুব কাঠখোট্টা মনে হল গল্পটা, বেশ কিছু বানানের সমস্যাও নজরে পড়ল। ডায়লগ রাইটিং এ খামখেয়ালির নিদর্শন চূড়ান্তভাবে উপস্থিত। কিন্তু ক্রমশ গল্পটা ভালো লাগতে শুরু করল। এবং শেষতক ভালোই লাগলো।

গল্পে মূলত বলা হয়েছে পৃথিবী ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছে আর বছরখানেকের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। বিজ্ঞানীরা ব্যতিব্যস্ত, মানুষ হতাশ। জীবনের উদ্যেশ কেউ খুঁজে পাচ্ছেনা। সবাই ছুটিতে যেতে চাইছে।

ওদিকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ গনিততজ্ঞ, বিজ্ঞানী, ফিহা উদাসীন। তিনি ছুটিতে চলে গেলেন। প্রধান বিজ্ঞান গবেষণাগারের অনেকেই রাগ করলেন তার উপর। উনি মোটামুটিভাবে নিরুদ্দেশ, ওনাকে খুঁজে পাবার কোনও উপায় নেই। ঘটনা চক্রে ফিহার সাথে দেখা হল এক অপরিচিত মেয়ের, সেই মেয়ের কাছে আছে একটি বই। বইতে নাকি এমন কিছু চমকপ্রদ কথা আছে যা দিয়ে পৃথিবীকে বাঁচান সম্ভব। কিন্তু আসলেই কি তাই? ফিহা বইটি দেখলেন না। বরং মেয়েটাকে নিজের পরিচয় পত্র সহ পাঠিয়ে দিলেন প্রধান বিজ্ঞান গবেষনাগারে। এখন দেখার বিষয় সেই বইয়ের তথ্যে পৃথিবীর কোনও উপকার হয় কি না!

যেটা বললাম। ছোট খাটো ত্রুটি বাদ দিলে গল্প চমৎকার লেগেছে। গল্পে বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার নিয়ে কথা বলা হয়েছে। তার অধিকাংশই ভবিষ্যৎ মুখি। সেগুলো যথেষ্ট বাস্তব বলে মনে হয়েছে। গল্পে এতো তথ্য দেওয়া হয়েছে যা দিয়ে মনে হয়েছে মুহাম্মদ জাফর ইকবাল তিনটি বই লিখে ফেলতে পারতেন কমপক্ষে। অথচ হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন মাত্র একটি বই, তাও আবার বড়গল্প আকৃতির, ঠিক উপন্যাস বলা যায়না সেটাকে।

গল্পে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ফিহা চরিত্রটি। দারুণ উদাসীন এই গবেষক, নিজের খেয়ালে চলেন। হুমায়ূন আহমেদ নিজের রসবোধ তার মাঝে সঞ্চালনা করেছেন। চমৎকার লেগেছে। এছাড়াও গল্পে উঠে আসা টাইম ট্রাভেল কনসেপ্ট, চতুর্মাত্রিক বিষয়াদি, ভালো লেগেছে। তবে পৃথিবীকে বাঁচানোর উপায় নিয়ে খুব বেশি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। যেটুকু দেওয়া হয়েছে সেটাকে সহজবোধ্য এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। হয়তো এর বেশি ডিটেলে বললে সাধারণ পাঠকের পক্ষে বোঝা সম্ভব হতনা, জটিলতা বেশি মনে হত। সেই সেন্সে ঠিকই আছে।

যারা হুমায়ুন আহমেদের কোনও সাইন্স ফিকশন পড়েননি তারা অবশ্যই পড়ে দেখুন এই গল্প। অতো আগের একটা বই, অথচ বর্তমান অনেক সাইফাই বইয়ের থেকেও যথেষ্ট উন্নতমানের এই বইটি। পিওর সাইন্স ফিকশন লাভারদের জন্য গল্পটি অবশ্যপাঠ্য। না পড়লে মিস করবেন।
Profile Image for Benozir Ahmed.
203 reviews88 followers
December 28, 2024
My rating: 4.2
সময়ের সাথে সাথে অনেক গুলো গল্পের কাহিনী ভুলে গেছি। নতুন ভাবে গল্প গুলো পড়তে গিয়ে দেখলাম কোন বই ই আর আগের মত লাগছে না। আগে হয়তো কোন বই মোটামুটি লেগেছিল, সেটা এখন অন্য রকম ভাল লাগার সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। আবার উল্টো টাও ঘটতেছে কিন্তু কি আর করা।
এই বই এর কাহিনী এক কথায় বলতে গেলে ত্রিমাত্রিক আর চতুর্মাত্রিক জগত এর দ্বৈরথ কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। ভবিষ্যৎ এর পৃথিবী। জ্ঞান বিজ্ঞান এ অনেক এগিয়ে গেছে তারা। আবিষ্কৃত হয় টাইফা নামের অনেক দূরের এক গ্রহ। (তিন লক্ষ কোটি আলোকবর্ষ)। হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায় গ্রহটি। অদৃশ্য হওয়া শুরু হয় আরো অনেক গ্রহ নক্ষত্রের। অদৃশ্যতার এই করালগ্রাসে এক বছর তিন মাস পর বিলীন হয়ে যাবে পৃথিবী ও।

2nd read: ২৮ december ২০২৪
time machine প্যারাডক্স অনুযায়ী অতীতে গিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করলে তার প্রভাব পড়বে বর্তমানে। কিন্ত এটা কখনো বলা হয় না যে ভবিষ্যতে গিয়ে কিছু পরিবর্তন করলে তার প্রভাব কি হবে । লেখক মূলত এই গ্রে এরিয়া নিয়েই গল্পটা ফেঁদেছেন । লেখকের মৌলিক লেখা যদি হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই ব্রিলিয়ান্ট বলতে হবে ।
আর একটা বিষয় না বললেই নয়। কঠিন সায়েন্টিফিক ইংলিশ টার্মগুলো মুন্সিয়ানার সহিত বাংলা পরিভাষায় রূপান্তর করেছেন লেখক। এটাও প্রশংসার দাবি রাখে।
169 reviews63 followers
February 20, 2017
অসম্ভব ভালো লেগেছে।

স্পয়লার:
শুরুর দিকে মনে হবে "ফিহা সমীকরণ" পড়ছি।
Profile Image for spring ~♡.
593 reviews818 followers
February 5, 2021
আমি আমার আশেপাশের চেনাজানা যতো মানুষ গাছপালা যা যা আছে সবাইকে এই বইটা পড়ার জন্য রিতীমত মানুষিক অত্যাচার করি।
পড়ার পর আগ্রহ নিয়ে তাদের জিগ্যেস করি বই কেমন লেগেছে। এবং আমার চেহারার "বিশেষ এক্সপ্রেশন" দিয়ে বুঝিয়ে দেই "ভালো লাগেনি" বললে কপালে শনি আছে তাদের। সেদিন কিছু করার ছিলোনা তাই সময় কাটানোর জন্য পরিচিত একজনকে আবারো বিরক্ত করা শুরু করলাম যাতে এই বইটা পড়ে। তো, তিনি আমাকে জিগ্যেস করলেন "আচ্ছা পড়বো, কিন্তু বইয়ের কাহিনী কি নিয়ে?" আমি বললাম, "সায়েন্স ফিকশন"
তিনি বিরক্ত হয়ে বললেন "জানি সায়েন্স ফিকশন, কিন্তু এটার কাহিনীটা কি? সামারী বলো খানিকটা"
আমি যেই বলতে শুরু করবো অমনি খেয়াল করলাম আমার কিছুই মনে নেই। কিছু মনে নেই বলতে আমি বোঝাতে চাচ্ছি আমার কোনো ধারণাই নেই এই বইটা আদৌ কি নিয়ে। কি ভয়ানক লজ্জার ব্যাপার।
লজ্জায় মরে যাওয়ার প্ল্যান বাদ দিয়ে নিজের উপর বিরক্ত হয়েই আবারো পড়া শুরু করলাম। ভেবেছিলাম পড়া শুরু করলে হয়তো কাহিনী কিছুটা মনে পরে যাবে। না, মনে পরেনি। আমি পুরোটা এমনভাবে পড়েছি যেনো প্রথমবার পড়ছি। এবং *আশ্চর্যের* সাথে খেয়াল করেছি আমার এটা প্রথমবারের মতোই ভালো লেগেছে। ভালো লাগা একফোটাও কমেনি।

এবারে আমার লক্ষ্য কাহিনী আবারো ভুলে যাওয়ার আগে আশেপাশে যতো নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হবে সবাইকে এটা জোরাজোরি করে পড়ানো।
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
April 21, 2022
বাংলা ভাষায় প্রথম সাইন্স ফিকশন হওয়ার জন্য ১ তারা বোনাস।
Profile Image for Sagor Reza.
157 reviews
November 28, 2023
বাংলাদেশর সায়েন্স ফিকশন জনরার প্রথম বই। সাই-ফাই এর পাশাপাশি বইয়ের মানবিক দিকটা বেশ ভালো লেগেছে।
Profile Image for Shahjahan Shourov.
162 reviews24 followers
October 29, 2016
হুমায়ূন আহেমেদের কল্পবিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় শক্তি এর মানবিক দৃষ্টিকোণ। এ বইটিতেও উল্লেখ্য জোরটি দৃষ্টিগ্রাহ্য। ভীষণভাবেই।
Profile Image for Sakib A. Jami.
334 reviews36 followers
November 15, 2025
“তোমাদের জন্য ভালোবাসা” — এই নামটা শুনলে কেমন যেন রোমান্টিক বই বলে মনে হয়। কিংবা সামাজিক উপন্যাস। আমি মনে করেছিলাম কিশোর উপন্যাস জাতীয় কোনো বই হবে হয়তো। কিন্তু আমার বা আপনার ভাবনা যেখান থেকে শেষ হয়, হুমায়ূন আহমেদের চিন্তাধারা শুরু হয় সেখানে থেকেই।

একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির নাম এমন হতে পারে, তা হয়তো কল্পনায়ও আসতে চায় না। কোথায় যেন দেখলাম “তোমাদের জন্য ভালোবাসা” বাংলা সাহিত্যের প্রথম সফল মৌলিক সাইফাই উপন্যাস। কতটা সত্য-মিথ্যা জানি না, তবে এর আগে বাংলা ভাষায় সাহিত্য রচনা করেছেন, এমন লেখকদের মধ্যে সাইফাই কিছু খুব একটা খুঁজে পাইনি। আপনাদের কাছে তথ্য থাকলে জানাতে পারেন।

হুমায়ূন আহমেদের অনেক ধারার উপন্যাস নিয়ে বেশ আলোচনা হয়। কিন্তু তিনি যে এত দুর্দান্ত সায়েন্স ফিকশন রচনা করতে পারেন, এ নিয়ে আলোচনা খুব একটা বেশি হয় না। অথচ এ জনরায় তিনি বেশ ব্যতিক্রম কিছু উপস্থাপন করেন। লেখকের কল্পনাশক্তির এখানে তারিফ করতে হয়।

সেই কত যুগ আগের কথা, তখনকার সময়ে তিনি ত্রিমাত্রিক ও চতুর্মাত্রিক প্রতিবিম্ব নিয়ে একটা উপন্যাস দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন!

গল্পের শুরুটা সিরান নামের এক বিজ্ঞান পল্লীতে। যেখানে পৃথিবীর বড় বড় বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে। তারা আবিস্কার করে, এই সৌরজগতে একটি নতুন গ্রহের আবির্ভাব হয়েছে। টাইফা নামের সেই গ্রহ নিয়ে যত কৌতূহল। তাদের পর্যবেক্ষণে জানা যায়, সেই গ্রহে বসবাস করা মানুষ, কিংবা অন্যকিছু প্রবল জ্ঞানসম্পন্ন। আর তা নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। কিন্তু হুট করেই যেন এই গ্রহ ভ্যানিশ হয়ে গেল কোনরকম সূত্র না রেখে। এরপর জানা যায়, এই হারিয়ে যাওয়া গ্রহ একটি চক্রে আবর্তিত হয়েছে। সেই চক্রে যে-ই থাকবে, তারও একই পরিণতি হবে। আর এই চক্রতেই পৃথিবীর অবস্থান।

কিছুদিনের মধ্যে পৃথিবী নিজেও উধাও হয়ে যাবে। তাহলে কী করা যায়? সব নিশ্চিহ্ন হবে? মানব জাতি তার অন্তিম পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে? এত বড় বড় বিজ্ঞানী থাকা সত্ত্বেও কোনো উপায় বের হবে না? ফিহার মতো জিনিয়াস গণিতজ্ঞ যেখানে আছে, সেখানে হার মেনে নিতে হবে?

তা কী করে হয়? ঘটনাক্রমে বিজ্ঞান পল্লীর প্রধান এস মাথুরা লী নামের এক তরুণীর কাছ থেকে একটা বই পায়। যেখানে লেখা আছে তাদের পৃথিবীর কথা, টাইফা গ্রহের কথা, ফিহার কথা, ফিহার বিশেষ সমীকরণ আবিষ্কারের কথা! আর আছে এক অদ্ভুত মানুষের কথা, যে পাঁচ হাজার পরবর্তী সময়ে গিয়ে এমন এক কাজের দায়িত্ব পায়, যেটা সম্পন্ন করতে না পারলে টাইফা গ্রহের গোপন আবিষ্কারের কথা জানা হয়ে যাবে।

হুমায়ূন আহমেদ সবকিছুতে প্রশংসা কুড়ালেও তিনি কেন জন বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিতে বেশ আন্ডাররেটেড। এত দারুণ দারুন কনসেপ্ট, দারুণ উপস্থাপনও তাকে এই জনরায় খ্যাতি এনে দিতে পারেনি, এই বিষয় আমাকে অবাক করে। অথচ তিনি এই জনরায় অনেকের চেয়ে সেরা লিখেন।

এই যেমন “তোমাদের জন্য ভালোবাসা” বইতে তিনি দারুণভাবে দুই গ্রহের মধ্যে পার্থক্য উপস্থাপন করেছেন। একটি সূক্ষ্ম দাগে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার চেষ্টা চালানো হয়েছে। ছোট্ট এই বইতে কতকিছুর সন্নিবেশ লেখক ঘটিয়েছেন। কিছু কল্পনার আশ্রয় নিয়েছেন। কাল্পনিক গ্রহ, উপগ্রহ, বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ তিনি এমনভাবে লিখেছেন যেন বাস্তব মনে হয়। টাইম ট্রাভেলকে এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। তাছাড়া যেহেতু অনেক অনেক বছর পরের ঘটনা, সেহেতু এক বিশেষ সিস্টেম এখানে থাকা অসম্ভব নয়। যার বিশ্লেষণ দক্ষতা জানাতে পারে আর কতদিন পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকবে।

আপনি জানেন, আপনার এই পৃথিবী ধ্বংসের সম্মুখে। আপনিও আর টিকে থাকবেন না। তাহলে কী করবেন? এমন অবস্থায় নিজের মতো করে বেঁচে থাকাটাই গুরুত্বপুর্ণ। শেষ সময়ে একটু আনন্দ, নিজের মতো করে জীবন কাটানোর চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না। সকল সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। মানুষ প্রিয়জনের সাথে সময় কাটায়। শেষ সময়টা এভাবেই উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

হুমায়ূন আহমেদ কিছু জায়গায় খুব বেশি ব্যাখ্যার আশ্রয় নিতেন না। তবুও স্পষ্টভাবে সে বিষয়গুলো ফুটে উঠত। এখানে একটা ঘটনা আমার ভাবনার উদ্রেক ঘটিয়েছে। যেহেতু উন্নত বিশ্ব, প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থাও সম্ভবত ততটাই এগোবে। মানুষের হয়তো বেঁচে থাকার পরিধি বাড়বে। বার্ধক্যের সময়ও বাড়ন্ত। তাহলে একজন বয়স্ক মানুষ, যার আসলে সমাজে প্রয়োজন নেয়। পরিবারে একজন বয়স্ক মানুষ থাকলে তার ভরণপোষণে যে অর্থ খরচ হয়, তাকে শীতনিদ্রায় রাখলে সেই অর্থের অপচয় যেমন রোধ করা যায়, আবার মানুষটিকে বাঁচিয়ে রাখা যায়। এই ছোট্ট ঘটনার মধ্য দিয়ে সেই সময়ের এক চিত্র লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন। যেখানে বর্ণনার আধিক্য নেই, অথচ ঘটনাক্রম স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আবার টাইফা গ্রহের ক্ষেত্রে তাদের উন্নতির এক চিত্র দেখানো হয়েছে। কিন্তু এই চিত্র দেখাতে গিয়ে এর পেছনে থাকা নির্মমতা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। বড় কিছু অর্জনের জন্য ছোট ছোট ক্ষতি কিছু না। গাণিতিক জিনিয়াস বানানোর জন্য কিছু শিশু চিরতরে বিকলাঙ্গ হলে ক্ষতি কী?

আরেকটা বিষয় এখানে লক্ষ্য করা যায়। আমরা মানুষেরা দৃশ্যমান উন্নতি বা প্রচেষ্টাতে বিশ্বাস করি��� এই পৃথিবী যখন ধ্বংসের প্রাক্কালে, তখন কিছু মানুষ থাকে রাতারাতি এর থেকে উত্তরণের পথ চায়। কিন্তু সময় বলে একটা থাকে। মস্তিষ্কে যে অনুরণন হয়, তার স্থিরতা না পেলে সমাধান সম্ভব নয়। এই যেমন, পৃথিবীর বিজ্ঞান পল্লীর প্রধান কোনো সমাধান বের করতে না পারার কারণে তার মস্তিষ্কে বিভ্রম হয়েছে বলে সরিয়ে দেওয়া হয়। অথচ সে-ই সবচেয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করেছে। তার শক্ত মানসিকতার কারণেই ফিহা তার অসমাপ্ত কিংবা ভুল সমীকরণ সামনে এনেছে। অথচ রাতারাতি সমাধান আনতে পারেনি বলে মাথুরার গুরুত্ব কমে গিয়েছে।

হুমায়ূন আহমেদের অন্যান্য বইয়ের মতো এই বইয়ের মূল চরিত্রও বাউন্ডুলে। ফিহার মতো বিজ্ঞানী নিজের খেয়ালে থাকে। যখন এই কঠিন সময় তখনও সে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নিজের করে একজন তরুনীকে দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এমন জিনিয়াসের মস্তিষ্ক সবসময় সচল। এখানে আমার একটা দ্বিধা আছে। “ফিহা সমীকরণ” নামের একটা বই পড়েছিলাম অনেকদিন আগে। এই ফিহা এই সে-ই ফিহা কি এক? এখানে যে সমীকরণের কথা বলা হয়েছে, সেই সমীকরণ কি একই বিষয়? কিন্তু পরিণতি তো মিলছে না।

যাহোক, এই বইয়ের সমাপ্তি দারুণ। একটা সঠিক সমাপ্তি আছে এখানে। এখানে বিষন্নতা, মন খারাপের সাথে তৃপ্তিও এসে ধরা দেয়। আর এখানেই এই বইটার নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন হয়।

এই ভালোবাসা তাদের জন্য, যারা এই পৃথিবীর জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব। এই ভালোবাসা তাদের জন্য, যারা নিজেদের কথা চিন্তা না করে পৃথিবীর কথা ভাবে, এর মানুষদের কথা চিন্তা করে। এই ভালোবাসা তাদের জন্য, যাদের মস্তিষ্কের সচল অনুরণনের কারণে আমরা বিস্ময়কর আবিষ্কার পেতে পারি। এই ভালোবাসা তাদের জন্য, যারা আমাদের মতো সাধারণ মানুষকে ভালোবাসে। আমাদের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করতেও দ্বিধা করে না। তাদের না ভালোবেসে উপায় আছে?

▪️বই : তোমাদের জন্য ভালোবাসা
▪️লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
▪️ব্যক্তিগত রেটিং : ৫/৫
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,862 followers
September 22, 2023
মিশিও কাকু তাঁর 'হাইপারস্পেস'-এর একটি অধ্যায়ে ভারি আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে একটা সাংঘাতিক কঠিন জিনিস দেখিয়েছিলেন। সেই জিনিস তথা প্রশ্নটা ছিল, আমাদের মতো ত্রিমাত্রিক জীবেরা একটি চতুর্মাত্রিক জগৎ তথা প্রাণীকে কীভাবে অনুভব করবে?
উত্তর দেওয়ার জন্য কাকু 'ফ্ল্যাটল্যান্ড' নামক কাল্পনিক জগতের অবতারণা করেছিলেন। সেখানকার দ্বিমাত্রিক জীবদের শুধু দৈর্ঘ্য আর প্রস্থ আছে; উচ্চতা নেই। এবার, একটা গোলক (বা ফুটবল) সেই জগতের মধ্য দিয়ে গেল। ফ্ল্যাটল্যান্ডের বাসিন্দারা ব্যাপারটা কী-রকম আকারে দেখলেন? প্রথমে একটা বিন্দু দেখা দিল। তারপর সেটা পরিণত হল উপবৃত্তাকার একটা জমাট জিনিসে। তার আকার বাড়তে-বাড়তে একটা নিটোল বৃত্ত হল। তারপর আবার সেটা উপবৃত্ত হয়ে, শেষে বিন্দু হয়ে অদৃশ্য হল। এই উদাহরণ দিয়ে কাকু বুঝিয়েছিলেন, চতুর্থ মাত্রা বা সময়ের পথে চলাচলের ব্যাপারটা আমাদের কাছে এইরকম 'রহস্যময়' আবির্ভাব, রূপান্তর ও অন্তর্ধান হয়েই দেখা দেবে।
হুমায়ূন আহমেদ সেই পথে যাননি। বরং এমন একটা নতুন ভাবনা তথা জগতের অস্তিত্ব যদি এক-আধজন বিজ্ঞানীর বদলে সবার সামনে আসে, তাহলে তার কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে— সেটিই তাঁর লেখার বিষয়।
মাস হিস্টিরিয়া বা জেনোফোবিয়ার বদলে এই সংকটকে তিনি কয়েকটি ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছেন। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন এক গণিতজ্ঞ— সংখ্যা ও সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে যিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে একেবারে অন্যভাবে দেখেন। তারই সঙ্গে আমরা দেখেছি অন্য, অপেক্ষাকৃত লঘু চরিত্রদের— যাদের ভয়, লোভ, করুণা, আর আশার মধ্যেই বেঁচে থাকে 'মানুষ' নামক ভাবনাটি।
কল্পবিজ্ঞান নয়; বরং বিজ্ঞান নিয়ে কল্পনার এক কাহিনি এটি।
Profile Image for ANGSHUMAN.
229 reviews7 followers
December 28, 2021
সায়েন্স ফিকশন, হুমায়ুন আহমেদের এই বইটা ছোট,কিন্তু কাহিনীর বিস্তার ব্যাপক।
Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
February 4, 2023
নিঃসন্দেহে বাংলা মৌলিক এর সায়েন্সে ফিকশন হিসাবে নোভেলাটি অন্যতম। অনেক কমপ্লেক্স একটা প্লট, ইভেন এই প্লটের উপর ১০০ এপিসোডের হলিউডের সিরিজ বানাই ফেলতেছে অনায়াসে!

তবে এতো শর্ট একটা নোভেলায় এত বিষদ কমপ্লেক্স প্লট লিখতে গেলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রচন্ড এলোমেলো তো লাগবেই।
Profile Image for Rana Khan.
106 reviews
February 23, 2020
বহু চেষ্টা করেছিলাম, হুমায়ূন আহমেদ স্যারের এই বই টা কে চার তারা দিতে। খুব কষ্ট হচ্ছে দিতে পারলাম না.... হুমায়ুন আহমেদ স্যারের সাইন্স ফিকশন পড়ে এই পর্যন্ত পাঁচতারা না দিয়ে থাকতে পারিনি....নিজের কাছে হেরে যাচ্ছি এখন...... এই বইটার রিভিউ দেখে মনে করেছিলাম বইটা হয়তো ততটাও ভালো নয় । ভুল করেছিলাম....... আমি ভুল করেছিলাম......

তোমাদের জন্য ভালোবাসা জানাচ্ছি "হুমায়ূন আহমেদ" এবং "তোমাদের জন্য ভালোবাসা" নামক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের বইটি কে.....❤
Profile Image for Peal R.  Partha.
211 reviews13 followers
April 11, 2023
শুরুটা দারুণ, এমনকি মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পটা নিজের ব্যক্তিত্ব সগৌরবে মহামান্বিত করে রেখেছিল। শেষটা লেখক আর দু’পৃষ্ঠা বাড়িয়ে লিখলে এমন কী ক্ষতি হতো? তবে ছোটো নভেলট হিসেবে দারুণ। বিজ্ঞানের মিশেলে এমন চিন্তাশীল কিছু বরাবরই ভালো লাগে।
Profile Image for Kʜᴀɴ.
61 reviews5 followers
May 23, 2018
সহজ ভাষা, সহজ লেখনী। এবং... উপভোগ্য।
Profile Image for Sujan.
106 reviews42 followers
June 28, 2016
সার্থক কল্পবিজ্ঞান হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি যা দরকার, সেরকম সম্পূর্ণ নতুন এবং উদ্ভাবনী কোন ধারণা বা কল্পনা এই বইতে একদমই নেই। বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত কাল্পনিক যেসব ধারণা এসেছে, সেসব সেই সময়ের বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞানে ইতিমধ্যেই প্রচলিত ছিল। তাছাড়া লেখার মধ্যে পরিণতিবোধের অভাব খুব স্পষ্ট। কাহিনীর বিস্তারটা অবশ্য চমৎকার। হুমায়ূন আহমেদ ভালো গল্প বলতে পারেন, তার প্রমাণ এই বইতেও তিনি রেখেছেন।

এই বইটির মাধ্যমে তিনি এবং অন্যদিকে প্রায় কাছাকাছি সময়ে ‘কপোট্রনিক সুখদুঃখ’ এর মাধ্যমে তার ভাই জাফর ইকবাল বাংলায় কল্পবিজ্ঞান লেখার একটা দারুণ সূচনা করেছিলেন। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের কল্পবিজ্ঞান লেখার চর্চা এই দুইজনের মধ্যেই মূলত সীমাবদ্ধ থেকে গেছে এবং সম্ভবত এখনও আমাদের সাহিত্যে একটা সার্থক কল্পবিজ্ঞানের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।
Profile Image for Rahat Rubayet.
109 reviews8 followers
June 23, 2020
মহামান্য ফিহাকে আবার পেলাম প্রায় ১২/১৩ বছর পরে ভিন্ন কোন এক বই এ।
লেখক ভদ্রলোক সায়েন্স ফিকশন লিখতে পারতেন বটে!
Profile Image for Ajwad Bari.
76 reviews31 followers
October 31, 2020
গল্পের প্রেক্ষাপট ভবিষ্যৎ পৃথিবী। ধীরে ধীরে সেই প্রিথিবী ধ্বংসের মুখে এগিয়ে যাচ্ছে। সকল বিজ্ঞানিরা চিন্তিত, সাধারণ মানুষেরা আতঙ্কিত। বিজ্ঞানিরা হিসেব করে দেখেছেন যে আর ১ বছর ৩ মাস পরেই ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। বিজ্ঞানিরা জরুরি মিটিং করছে। কিন্তু তাদের মধ্যে উপ্সথিত নেই সর্বকালের সেরা গণিতজ্ঞ মহামান্য ফিহা। এই সংকটময় সময়েও তার মধ্যে বিরাজ করছে স্বভাবসুলভ উদাসীনতা। কাউকে না জানিয়ে তিনি চলে গেছেন ছুটি কাটাতে। ছুটি কাটাতে যাওয়ার সময় ট্রেনের মধ্যে ফিহার সাথে এক মেয়ের দেখা হল। মেয়েটির দাবি তার কাছে এমন এক বই আছে যা পৃথিবীকে ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে। ওদিকে দক্ষ পদার্থবিদ স্রুরার মাথায় চলছে অন্য পরিকল্পনা। স্রুরা চাচ্ছেন পৃথিবীকে বাঁচাতে না পারলেও অন্তত মানবজাতি যেন একেবারে নিশ্চিহ্ন না হয়ে যায়।

চমৎকার একটা সাইন্স ফিকশন তোমাদের জন্য ভালোবাসা। মাত্র ৬২ পৃষ্ঠার ছোট্ট একটা বই হলেও কাহিনীটা দারুণ লেগেছে। বইয়ে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে আলোচনা ও বর্ণনা ছিল। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক টার্ম নিয়েও বর্ণনা ছিল যার বেশিরভাগই অবশ্য কাল্পনিক। বইয়ের শেষের নির্ঘণ্টটা পড়তে বেশ ভালো লেগেছে। কাল্পনিক টার্মগুলো অনেক সুন্দর করে হ্যান্ডেল করেছেন লেখক। ত্রিমাত্রিক আর চতুর্মাত্রিক জগত এর দ্বৈরথ নিয়ে বর্ণনাগুলোও চমৎকার ছিল। গল্পটা এমন ছিল যে চাইলেই ২০০+ পৃষ্ঠার অসাধারণ একটা উপন্যাস লিখে ফেলতে পারতেন হুমায়ুন আহমেদ। কিন্তু উনি উনার অন্য সাই ফাই’র মতো তোমাদের জন্য ভালোবাসাকেও উপন্যাসিকার চেয়ে বড় হতে দেননি। আরও বড় পরিসরে এই লেখাটা পড়তে যে আরও ভালো লাগত এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে নভেলা হিসেবেও বইটা দারুণ। লেখনী বরাবরের মতোই অসাধারণ। ছোট্ট বইটিতে চরিত্রগুলোকে যতটুক ফোকাস দেওয়া দরকার তা যথার্থভাবে দেওয়া হয়েছে। ফিহার চরিত্রটা তো এক কথায় চমৎকার। এন্ডিংটাও বেশ ভালো লেগেছে। তবে এন্ডিংটা আরেকটু বিস্তৃত করা দরকার ছিল। আরেকটু বিসদ ব্যখ্যার প্রয়োজন অনুভব করেছি শেষটায়। সব মিলিয়ে তোমাদের জন্য ভালোবাসা হুমায়ুন আহমেদের অনেক উপভোগ্য একটি সাইন্স ফিকশন।
Profile Image for Ishra Maria.
101 reviews
June 23, 2021
এই বইয়ের কাহিনীটা ত্রিমাত্রিক পৃথিবী আর চতুর্মাত্রিক টাইফা গ্রহের।পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা টাইফা নামক গ্রহ আবিষ্কার করে যোগাযোগে সফল হন এবং বুঝতে পারেন সেই গ্রহের অধিবাসীরা পৃথিবীর মানুষদের থেকেও বহুগুণ উন্নত। একদিন হুট করে উধাও হয়ে যায় টাইফা।কম্পিউটার সিডিসি ডাটা কালেক্ট করে দেখে একই পথে চলা অন্য গ্রহেরও একই অবস্থা এবং ক্যালকুলেশন করে বলে দেড় বছরের মধ্যে পৃথিবীও ধংস হয়ে যাবে।বিজ্ঞানীরা সব কাজে নেমে পড়লেও শ্রেষ্ঠ গনিততজ্ঞ, বিজ্ঞানী ফিহা চলে গেলেন ঘুরতে।ফিহার সাথে দেখা হল এক অপরিচিত মেয়ের, সেই মেয়ের কাছে বেশ পুরোনো একটি বই আছে যেখানে এক ব্যক্তি বর্তমান সময়ের অবস্থার কথা লিখেছেন।তার কথ্য অনুযায়ী তাকে টাইফা গ্রহে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে বাধ্য করা হয় ফিহাকে হত্যা করতে যাতে সেই গ্রহের প্রাণীরা পৃথিবীকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে।ফিহা মেয়েটাকে নিজের পরিচয় পত্র সহ পাঠিয়ে দিলেন প্রধান বিজ্ঞান গবেষনাগারে।লোকটি বইয়ে উল্লিখিত সময়ে ফিহাকে হত্যা করলেও আগেই সে পৃথিবীকে বাচানোর সমাধান বের করে ফেলে।বইয়ের টাইম ট্রাভেল কনসেপ্ট, চতুর্মাত্রিক বিষয়াদি, ভালো লেগেছে। তবে পৃথিবীকে বাঁচানোর উপায় নিয়ে খুব বেশি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
Profile Image for Farhana Sufi.
495 reviews
December 31, 2021
Unlike the translation of "Zero", this one was boring. Very boring to read indeed. Lacked proper paragraph or chapter headings, etc. The original book may not have had them either, but when you are reproducing something for the international audience who is unfamiliar with a writer's style, better to take a little more care if you want it to be appealing.

Story-wise this one is one of the lesser work of Dr. Humayun Ahmed as well. I don't know what made the translator think this was his best work in science-fiction, but this lacks scientific explanations on 4dimensional existence and the beings that may be from such a dimension. It reads more like an emotional story. And the book is also filled with more typical characters that are usual to HA's hundreds of books.

I would stick to my opinion that one of the best sci-fi stories I have read so far, globally, is Dr. Humayun Ahmed's "অনন্ত নক্ষত্রবীথি" (The endless glaxies) and someone really should translate that.
Profile Image for Mubtasim  Fuad.
316 reviews41 followers
July 27, 2025
আমি ক্লাস ৯-১০ এ থাকাকালীন সাইন্সে ছিলাম। এরপর এসএসির আগে টেস্ট পরীক্ষায় নিজের ফিজিক্রের পারফর্মেন্স দেখে বুঝে গেলাম, I'm not made for this. কিন্তু পরে যদিও সাইন্সেই গেছিলাম ,সে গল্প না হয় বাদ থাকুক।
সাইন্স ফিকশন জনরাটা কোন কালেই আমার পচ্ছন্দের ছিল না তবুও গতবছর বেশ সাহস জুগিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাইন্স ফিকশন সমগ্রটা কিনছিলাম। এপর বই উল্টায় বেশ ভিতরে ঢুকে একটা উপন্যাস পড়েছিলাম, নাম “অনন্ত নক্ষত্র বীথি”। বইটা আমার অসম্ভব ভালো লাগছিল। এরপর কেটে গেল অলমোস্ট একবছর। আর আজ অবশেষে, ১০২° জ্বর ঘাড়ে করে পড়ে শেষ করলাম বাংলাদেশের প্রথম সায়েন্স ফিকশন উপন্যাস "তোমাদের জন্য ভালোবাসা"।
মহামতি ফিহা ছিলেন আসল প্রোটাগনিস্টের ভূমিকায়। এছাড়া আমার কাছে এই উপন্যাসটার মধ্যভাগ অনেকটা আমার পূর্বে পড়া “অনন্ত নক্ষত্র বীথি” মতন লাগল। শেষটা যদিও সুন্দর। পৃথিবী বেচে গেল ঠিকই কিন্তু... আর বললে স্পয়লার দেওয়া হয়ে যাবে।

অনেক ইকিউশান জাস্ট মাথার পর দিয়ে গেছে। যদিও ডাইজেস্ট করে ফেলেছি, আর জ্বরে অক্রান্ত থাকায় স্বাদ ও পাই নাই মেবী আমি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছি।
Profile Image for Mohammad Tonmoy.
11 reviews
May 25, 2024
হুমায়ূন সমগ্র পড়ছিলাম তাই নাম দেখে বুঝতেই পারিনি এটা সাইন্স ফিকশন গল্প। এটি আমার পড়া বাংলায় প্রথম সাইন্স ফিকশন গল্প। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের এক অভিজ্ঞতা অর্জন হলো। বই না পড়ে কি মিস করে গেছি এত দিন??
ফোর্থ ডাইমেনশন এর প্রাণীদের জন্য পৃথিবী বিপদের মুখে, বাঁচাতে পারবে ফিহার অঙ্ক সমীকরণ। ৫০০০ বছর পূর্ব থেকে স্ত্রী সন্তানদের আবার দেখতে চাওয়া এক ব্যাক্তির অনিচ্ছা সত্বেও ভবিষ্যতে ত্রিমাত্রিক পৃথিবী ধ্বংস করতে সাহায্য করা। প্রত্যেকটি বিষয়ই মুগ্ধ করেছে। এক বসায় পড়ে ফেলার মত একটি গল্প।
সেরা লাইন:
“জ্ঞান বিজ্ঞান তো মানুষের জন্যই, আর একটি মানুষ কতোদিন বাঁচে? তার মৃত্যুর সাথে সাথেই তো জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে তার সব সম্পর্কের ইতি। ঠিক নয় কি?”
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Didarul Islam.
137 reviews1 follower
October 16, 2022
এক বাক্যে- ভিন্নধর্মী কনসেপ্ট, কম্পলেক্স তবে দারুন গল্প। পার্সোনাল থিওরি মতে এটাকে আমি ফিহা সমীকরণের দ্বিতীয় কিস্তি বলব!
ফিহার সমীকরণের পসিবল এণ্ডিং এই গল্প পড়ে বোঝা যায়। হয়তো ফিহার সমীকরণে অতী��� চেইঞ্জ হয়, ফলে যে নিউ ইউনিভার্স ক্রিয়েট হয়, সেটারই গল্প এটা। কিছু ইন্টারেস্টিং জিনিস চোখে পড়ল, ফিহার সময় সমীকরণ ক্রিয়েট করা সব ইউনিভার্সের জন্যেই ধ্রুব সত্য❤️❤️..
অবশ্য ফিহার সমীকরণের আরেকটা ডার্ক এণ্ডিং আমার মাথায় আছে। আসলেই যদি চক্র সম্পন্ন হয়ে যায় ফিহার অই বুদ্ধিমান রোবটটা দ্বারা, হি ইজ দ্য মেইন ভিলেন! (যারা ফিহা সমীকরণ পড়েছেন তারা লাস্ট লাইনটার ভার বুঝবেন! হে হে!)!
Profile Image for Hanif.
154 reviews5 followers
December 5, 2021
সায়েন্স ফিকশন বই।
টাইফা নামের এক গ্রহের উৎপত্তি এবং নিমিষেই মহাশূন্যে হারিয়ে যাওয়া। এবং এটি চক্রাকারে পৃথিবী, চন্দ্র, বৃহস্পতি, শনি ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। ফিহা পৃথিবীকে বাচানোর জন্য ত্রিমাত্রিক ২ টি সমীকর�� বের করছে। তাঁর এই প্রচেষ্টাকে আটকানোর জন্য দূর গ্রহ থেকে একজনকে পাঠানো হয়ছে।তিনিও পৃথিবীর একজন। তাঁর পরিবারের নাম দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে, ফিহাকে আটকানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন, ফিহা কি পারবে, পৃথিবীকে বাঁচাতে?
Profile Image for Rakibul Dolon.
167 reviews24 followers
November 21, 2022
মানবজাতি জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়ে গেছে। এমন এক সময় দূরবর্তী এক গ্রহে উন্নত প্রান এবং উন্নততর জ্ঞানের সন্ধান পায় পৃথিবীর মানুষ। হঠাৎ করে একদিন পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় সেই উন্নত গ্রহ। সাথে পৃথিবীর দিকেও এগিয়ে আসতে থাকে চতুর্মাত্রার বিপদ। এমন অবস্থায় পৃথিবীকে বাঁচাতে পারেন শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবিদ ফিহা। এদিকে আবার ফিহাকে মেরে ফেলার জন্য একদল লোক মরিয়া।
ফিহা কি পারবেন পৃথিবীকে ধ্বংস থেকে বাঁচাতে?
Profile Image for আহসানুল শোভন.
Author 39 books91 followers
September 23, 2022
পৃথিবী ধংসের দ্বারপ্রান্তে, মহামতি ফিহাকে হত্যা করতে চতুর্মাত্রিক গ্রহ থেকে আততায়ী পাঠানো হচ্ছে যাতে তিনি পৃথিবীকে রক্ষা করতে না পারেন। শেষ পর্যন্ত ফিহা কী পারবেন পৃথিবীকে রক্ষা করতে? সায়েন্স-ফিকশন পড়তে আমার একেবারেই ভালো লাগে না। তারপরও হুমায়ূন আহমেদের লেখা সায়েন্স ফিকশনগুলো সহজবোধ্য হওয়ায় পড়ি। আহামরি ভালো লাগেনি, তবে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখা সাইফাইগুলোর চাইতে অনেক ভালো।
Profile Image for Masfiq Reza.
127 reviews3 followers
October 17, 2025
যদ্দুর মনে পড়ে এইটা হুমায়ুন আহমেদের প্রথম সায়েন্স ফিকশন। খুবই ভালো লেখা। ফিহা , স্রুরা , সিডিসি এই নামগুলোর শুরু মনে হয় এই ফিকশন থেকেই, পরে অন্য সায়েন্স ফিকশনেও এই নামগুলো অনেকবার এসেছে।
বইয়ের মূল বিষয় সারভাইবাল আর টাইম ট্রাভেল। এই বিষয়ে মনে হয় না হুমায়ুন আহমেদের অনেক লেখা আছে। কারন অন্য অনেকগুলো তে প্যারালাল ইউনি অনেকবার এসেছে। শুরুর সায়েন্স ফিকশন হিসেবে লেখা অসাধারন ভালো।
Profile Image for Kazi Md. Al-Wakil.
297 reviews5 followers
October 4, 2020
পৃথিবী ধংস হতে চলেছে। ফিহা পৃথিবীকে বাচানোর জন্য ২ টি সমীকরণ বের করছে। তাকে এই প্রচেষ্টা থেকে আটকানোর জন্য দূর গ্রহ থেকে একজনকে পাঠানো হয়ছে। সেও পৃথিবীর একজন। তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে তার পরিবার এর নাম নিয়ে।
Profile Image for Humaira Tihi.
79 reviews28 followers
February 20, 2024
একজন জ্যোৎস্নাপ্রেমী গণিতবিদ, একজন চন্দ্রাহত মানুষ যার শেষ ঠিকানা চাঁদের মতই অন্য কোন কৃত্রিম উপগ্রহে। তিন মাত্রা চার মাত্রার জটীল হিসাব নিকাশের ভেতরেও লেবু ফুলের গন্ধ, সন্ধ্যার নরম আলো, পৃথিবী গ্রাস করা জ্যোৎস্না... শুধুমাত্র হুমায়ুন আহমেদের বই বলেই হয়তো!

আপনার জন্য ভালোবাসা ফীহা...
Displaying 1 - 30 of 55 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.