Jump to ratings and reviews
Rate this book

মুখের দিকে দেখি

Rate this book
ফলে মেরি জয়েস তার ডাইন হাতটা চানমিঞার কান্ধের উপরে যখন রাখে তখন চানমিঞার মনে হয় যে, দরজার কপাটের ফাঁক দিয়া আসা তেরছা আলোর মত, একটা আলোর স্তম্ভ তার শীর্ণ কান্ধের উপরে এসে পড়ে, এবং সে তার মুখটা এই আলোর দিকে ফেরায়, সামনে খাড়ায় থাকা মেরির মুখের দিকে দেখ........

143 pages, Hardcover

First published February 1, 2006

13 people are currently reading
376 people want to read

About the author

Shahidul Jahir

18 books174 followers
Shahidul Jahir (also spelled Zahir) was a Bangladeshi novelist and short story writer. He was reputed for extraordinary prose style and diciton and considered a genuine founder of post-modern fiction in Bangla literature.

Born in Dhaka, Bangladesh in 1953 as Shahidul Huq, he joined the Bangladesh Civil Service in the Administrative cadre in 1981. In 2008, he was appointed as a Secretary in Charge of Ministry of CHT affairs to the Government of Bangladesh. A confirmed bachelor, he lived a quiet and a very simple life. Hardly he agreed for a formal interview for publication.

Shahidul Jahir was one of the most important contemporary writers in Bangladesh. He became interested in magic realism after reading Marquez's works. He was known to some people as the Márquez of Bangladesh, carrying on the legacy of magic-realism with strokes of his own unique surrealist style, deeply imbibing the politics, history and culture of Bangladesh, his own country home in Sirajganj and his place of birth. However, his style also reminds of Syed Waliullah, a modern Bangla fiction author of Western lineage. But he had his own style of labyrinthine narration that would lead his readers to a maze. He relied more on narration than dialogue between characters. His diction was symbolic and mystified. He resorted to colloquialism in order to infuse reality into the context and story-line. The name of his last published story was, "Miracle of Life". Here is an excerpt (translated from Bangla) from his swan song:

"An adolescent girl, or a young girl, or who is just a gal...whatever, what do we do with her? She can have a name, since she is a human being, and human beings do have names, so her name could be Pari, Banu, or Ayesha... ...If she stands at the edge of the dirty drains, standing inside her home, as broke as the ragged nest of a magpie (babui), her mother runs around...her mother goes around cooking for others, she cooks rice, she cooks curries,she makes chapatis, there are people who swallow them, or maybe they rebuke her, What the hell have you cooked,woman!... ...Perhaps at that moment, Pari or Pari Banu, is standing at the rail ways of Dayaganj or Shamibag, holding the hands of her little sister or brother, and their father runs around, he too goes to places, maybe he does things, pulls someone else's rickshaw, pushes someone else's cart, or maybe he does nothing, he just lies down on his bed and suffers from piles. Then, what do we do with this Pari? The leader, or the official of this republic, the officers, or the civil society - none of them know...We have no idea what to do with her..."


In his writing career spreading over more than two decades, Jahir published only three novels and three collections of short stories. Two collections of his selected novels and short stories were published in 2007.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
119 (45%)
4 stars
115 (43%)
3 stars
25 (9%)
2 stars
4 (1%)
1 star
1 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 54 reviews
Profile Image for জাহিদ হোসেন.
Author 20 books476 followers
June 28, 2015
যারা বাংলা সাহিত্য নিয়ে একটু আধটু নাড়াচাড়া করেন তাদেরকে শহীদুল জহিরের কাছে ফিরে আসতেই হবে। একজন শহীদুল জহির, বা একজন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কিংবা একজন সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহকে নিয়ে পাঠককে খুব কমই মাতামাতি করতে দেখা যায়। আমার মনে হয় সেটা তাদের ব্যর্থতা না, পাঠক হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা।
মুখের দিকে দেখি বইটা এক কথায় অসাধারণ। তার জাদুকরি গদ্য, অসাধারণ চরিত্র-চিত্রণ, উইট ও হিউমারের সুনিপুণ প্রয়োগ ও সর্বোপরি এক ধরণের স্বর্গীয় পরিমিতি বোধ পুরো বই জুড়ে আছে যা সত্যিই দুর্লভ। এ বই শুরু করলে শেষ না করে উঠা যায় না। পাঠককে অদ্ভুতভাবে সম্মোহিত করে ফেলেন জহির। তার লেখা দিয়ে, তার অসাধারণ ন্যারেটিভ দিয়ে।

আমাদের চরম দুর্ভাগ্য জহির দীর্ঘজীবী হননি, তবে লেখক জহির চিরজীবী।
Profile Image for Fariha Mim.
9 reviews16 followers
October 11, 2017
গত পরশু বিকালে পাঠক সমাবেশ কেন্দ্রে শঙ্খ ঘোষ খুঁজতে গিয়ে শহীদুল জহির উল্টায়ে ৩৬ নম্বর ভূতের গল্লির চানমিঞার বান্দরের দুধ খায়া বড় হওয়ার কাহিনী পড়া শুরু করে হয়তো খানিকটা তব্দা খাইছি কিংবা খাইনাই, তবে ঐদিন সন্ধ্যাবেলায়ই বইটা বগলদাবা করে আমারে পরীবাগের রাস্তা ধরে কমলাপুর ফিরা আসতে দেখা গেছে।

এরপর বইটা মুখের সামনে ধরে কখনো ভুরু কুঁচকায়ে, কখনো হাহা করে হেসে কিংবা মুখ বেজার করে পড়া শেষে হয়তো এখনো ঘোরের মধ্যেই আছি, কিংবা নাই, হয়তো থাকবো আরো কয়েকদিন!

বাজিকর যেমন জাদুমন্ত্রে জামার ভিতর থিকা ডাহুক পক্ষী আর চুলের ভিতর থিকা আকবর বাদশার মোহর বাইর কইরা আনে কিংবা আনে না, অমনেই ঐ বাজিকরের মতন জহির সাব পুরান ঢাকার ভূতের গল্লি থিকা এক টান দিয়া আমারে এই নিয়া গেছিলো চিটাগাংয়ের সাতকানিয়ায়, এই আবার যশোরের ঝিকরগাছায়। চিন্তা আর ভাষার সাবলীলতা দেখায়া আতংকেই ফালাইছিলো প্রায়। বিশ্বাস করায় দিছিলো অবাস্তব যত ঘটনা! কিংবা হইতে পারে বাস্তব/ অবাস্তবের মত তুচ্ছ মাপকাঠি দিয়া এই বইরে মাপতেই নাই।

তয় এ বড় দারুণ বাজি। আমি এনারেই কই বড় বাজিকর!
Profile Image for Zunaed.
54 reviews119 followers
February 12, 2017
...তারপর একদিন হয়তো সিফাত সকালে অথবা দুপুরে, আবার দুটোর মাঝামাঝি কোনো সময়েও হতে পারে, কারো মুখের দিকে দেখে অথবা না দেখেই 'মুখের দিকে দেখি' পড়তে শুরু করে, অথবা সে পড়ে না, কেবল হিজিবিজি কালো অক্ষরগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে আর পৃষ্ঠা উল্টায়, সে কিছু প্রশ্নের উত্তর পায় আবার পায় না, তাই পড়তে বা পাতা উল্টাতেই থাকে, আর ভাবে, লোকজন এত ঘন ঘন বিরক্ত করছে কেন? আরো অনেক প্রশ্নের মত এই প্রশ্নের উত্তরও সে পায়না, এই নিয়ে খুব একটা মাথাও ঘামায় না, ঘামানোর সুযোগ নেই, তাই এগিয়ে যায়, যেতে থাকে, তারপর হঠাৎ আজান শুনে থমকে দাঁড়ায়, এখন কীসের আজান? সে হয়তো ঘড়ির দিকে তাকায়, অথবা না তাকিয়েই বুঝতে পারে, আসলে অনেকটা সময় চলে গেছে, সে ধীরে ধীরে বুঝতে পারে লোকজন আসলে খুব ঘনঘন বিরক্ত করছিল না, অথবা আসলেই করছিল, তাদের তো সিফাতকে দরকার নেই, কারণ সিফাতকে কারুরই দরকার নেই, তবু কেন বিরক্ত করবে? কিন্তু এত কিছু ভাবার সময় সে পায় না, কারণ সে আবার পাতা উল্টাতে থাকে, হয়তো কিছুটা পড়তেও থাকে, আর তার মাথায় একটার পর একটা গিট্টু লাগতে থাকে, মামুনুল হাই কি মামুন, নাকি 'খরকোস', মামুন যদি মামুন হয়, তবে খরকোস কে, অথবা মামুন কি জুলিকে ভালোবাসে, নাকি শুধুই 'ফষ্টিনষ্টি' করতে চায়, কিংবা লেদু কি ভালো, নাকি সে বোকা, নাকি বোকারা যেমন হয়, বোকা এবং ভালো, সেও তেমনি দুটোই? মাঙ্কিবয় কি আসলেই বান্দরনির দুধ খেয়েছিল, নাকি এগুলো সব সেয়ানা খৈমনের কাজ, নাকি খৈমন আসলে অত সেয়ানা না, বরং বোকা, আর বোকা বলেই যা করার কথা না তা করে, লাভ হয়, হতে থাকে, কিন্তু একদিন সব উলটপালট হয়ে যায়? প্রশ্ন চলতেই থাকে, চলতেই থাকে, হয়তো তারা শেষ হয়, হয়তো হয় না, হয়তো চলতে চলতে নতুন প্রশ্ন আসে, আর সিফাত উত্তর খোঁজার ভান করে পড়তে থাকে বা কেবলি পৃষ্ঠা উল্টাতে থাকে, উল্টায় আর উল্টায়, একসময় আর উল্টানোর মত কিছু পায় না, সব পৃষ্ঠা শেষ, কিন্তু প্রশ্ন শেষ হয় না, তাই সে বই রেখে স্মৃতি হাতড়ায়, মনে করার চেষ্টা করে কি পড়ল, হয়তো মনে করতে পারে, অথবা পারে না, স্মৃতি হাতড়ে উল্টোদিকে উল্টাতে থাকে পৃষ্ঠা, সে হয়তো কিছু উত্তর পায়, কিন্তু বেশিরভাগই পায় না, বরং আরও কিছু প্রশ্ন চলে আসে, তাই সে একসময় ক্লান্ত হয়, অথবা হবার ভান করে, অভ্যাসবশত ঘড়ির দিকে তাকায়, খেয়াল করে অথবা করে না আরো এক ঘণ্টা চলে গেছে।


সিফাত এবার নারিন্দা, বলধা গার্ডেন কিংবা সেকালের নারী শিক্ষা মন্দিরের কথা ভাবে, কারণ সেগুলো সে চেনে, অথবা চেনে না, সে যা চেনে তা সবই ছায়া মাত্র, কিন্তু সে অবাক হয় এই ভেবে সে সেদিকে ভুলেও কখনও বান্দর দেখেনি। সিফাত হয়তো দেখেছে, সে ভুলে যেতে পারে, কারণ সিফাত খুব সহজেই ভুলে যায়, কিন্তু তার মনে হয় সে ভুলেনি, কারণ সে কোনো ভয় বা আনন্দের স্মৃতি মনে করতে পারে না, বান্দর দেখলে এগুলোর কোনো একটা তার থাকা উচিৎ, অথবা উচিৎ না, উচিৎ যে না এই কথাটাই হয়তো সিফাত ভুলে গেছে। হয়তো আজও মামুন, লেদু, চান মিঞা কিংবা খৈমনরা আছে, কিন্তু বান্দররা নেই, অথবা বান্দররাও আছে মানুষদের সাথে সন্ধি করে মানুষে বিলীন হয়ে, যেমন মানুষদের সাথে সন্ধি করে তাতে বিলীন নিজের অস্তিত্বের প্রয়োজনীয়তা হারিয়েছে শয়তান, হয়তো আজ শহীদুল জহিরও নেই, অথবা হয়তো আছে, তাঁর লেখার সাথে সন্ধি করে তাতে বিলীন হয়ে। সিফাত ভাবে, ভাবতে ভাবতে কূলকিনারা পায় না, তাই একসময় সে হাল ছেড়ে দেয়, অথবা সে ইচ্ছে করে ছাড়ে না, হাল তার হাত থেকে ছুটে যায়, ছেড়ে দেয়া বা ছুটে যাওয়া হাল স্রোতের সাথে চলতে থাকে, সিফাতও স্রোতে গা ভাসানো একজন হয়ে যায়, এই নগরীর স্রোতে সে সবার সাথে অথচ একা চলতে থাকে, হয়তো এগিয়ে যায়, অথবা ঘূর্ণিবাঁকে বাঁধা পড়ে, তাই বারবার একই জায়গায় ফিরে ফিরে আসে— হয়তো ফিরে এসে আবার শহীদুল জহির পায়, আবার পৃষ্ঠা উল্টায়, বা পড়ে, যাই হোক না কেন, আবার প্রশ্ন গজায়, আবার উত্তর খুঁজে, এবার হয়তো পায়, কিংবা পায় না আর এভাবেই চলতে থাকে...
Profile Image for Spondon Tahsan.
8 reviews4 followers
Read
November 18, 2024
এবং যখন শহীদুল জহিরের মুখের দিকে দেখি বইটা নিয়ে অনেককে আলোচনা করতে দেখি, দেখি এদের মধ্যে মোটামুটি সবাই বইয়ের ভুয়সী প্রশংসা করলেও কন্টেন্টকে পুরাপুরি উপেক্ষা করে যায়। এর অজুহাত হিসাবে তারা দেয় হয়তো তারা বইটা বুঝছে, হয়তো বুঝে নাই। তাই তারা তখন ভাবে বই যেহেতু তারা বুঝে নাই, খালি গল্পে কিছু আজিব আজিব ব্যাপার আছে, যেটা তাদের ভালোলাগছে, তাই তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে জহিরের প্রশংসা করে মুখে ফ্যানা তুইলা ফালায়।

আমিও হয়তো বইটা বুঝছি, হয়তো বুঝি নাই। লেখনী হয়তো আমারও ভালোলাগছে, অথবা লাগে নাই। কে বলতে পারে, এই আলোচনা পুরাটাই হয়তো জহিরকে নিয়া এস্থেটিক পাঠকমহলের প্রিটেনশনের অংশ। কিন্তু বইটা পড়ে আমি অনেকগুলা জিনিস খেয়াল করছি। হয়তো, জহির যেই সুক্ষ্ম খোঁচাটা বইয়ের মাধ্যমে দিতে চাইছেন, সেটা আমি কিছুটা হলেও ধরতে পারছি, হয়তো পারি নাই। কিন্তু বলাতে তো দোষ নাই, তাই আমি বলে ফেলার স্পর্ধা করতেই পারি।

চানমিয়ার মাদি বান্দরের দুধ খাওয়া থেকে শুরু করে খরকোসের খাঁচায় আটকে থাকার মার্কেসীয় ধাঁচের গল্পটা আমাকে অনেকদিন মোহাচ্ছন্ন করে রাখছে। না রাখার কোনো কারন নাই; জাদুবস্তবতারে আমি অলস লেখকদের টেকনিক হিসাবে ধরলেও জাদুবস্তব সাহিত্য পড়তে আমি ভালোবাসি, গল্পে রস থাকলে আমার ভালোলাগে। জহির বাংলাদেশি সাহিত্যে ল্যাটিন আমেরিকান জাদুবাস্তবতার আমদানি করছেন, এটা আমার জানা ছিল।

কিন্তু জহিরকে অনেকদিন ফালায় রাখছিলাম এই ভাইবা, যে জহির হয়তো বাংলাদেশের তথাকথিত সেই প্রখ্যাত সাহিত্যিক গোষ্ঠীর মতই তাদের আষাঢ়ে গল্পরে গ্রহনযোগ্য করতে জাদুবাস্তবতার নাম দিয়া চালায় দেয়, অথবা দেয় না। কিন্তু পড়ার পর দেখলাম, তাঁর জাদুবাস্তবতা খুব সাট্ল, বুঝা যায় কিছু একটা হইতেছে, কিছু একটা গলদ আছে, কিন্তু কী গলদ আছে তাই বলা যায় না। তার গল্পে সবকিছু plausible, হইতে পারে, আবার নাও হইতে পারে। বাস্তবে না ঘটাই বেশি স্বাভবিক। এমন না যে ওইসব হইতেই পারে না, আজাইরা জাদুবস্তবতার মতো কোনো কার্পেট আকাশে ওড়ে না বা কাটা মাথা কথা কয় না।

আমার মনে হয়, জহির গল্পে যেহেতু চানমিয়ার জন্মতারিখ দিছেন ৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, এইখানে রুশদীর মিডনাইটস চিলড্রেনের মত একটা খেলা তিনি দেখাইতে চাইছেন। তিনি হয়তো চানমিয়ারে বাংলাদেশের প্রতীক হিসাবে দাড়া করাইছেন, যে আবার হইলো কালার ব্লাইন্ড। সে লাল আর সবুজ রঙে পৃথকীকরণ করতে পারে না। এই জায়গাটায় গিয়া জহিরের চিন্তাশক্তির প্রতি আমাদের একটা শ্রদ্ধা জন্মায়, কারন আমরা আবিষ্কার করি লাল এবং সবুজ, এই দুইটা হলো বাংলাদেশের পতাকার রঙ।

বাংলাদেশের প্রতীক হইয়াও বাংলাদেশের পতাকার দুইটা রঙ সে চক্ষে দেখে না, তার কাছে সব ধূসর। সে বড় হইসে বান্দরের কোলে, বান্দরের দুধ খাইয়া, বান্দরেরা তারে নিয়ে খেলে, বান্দরের তার জীবন নষ্ট কইরা দেয়, আর চানমিয়ার মা খৈমনের তা চায়া চায়া দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকে না। বান্দরেরা তার পোলার লগে এমুন করে ক্যান? ক্যালা? জুলির ভাষায় বললে, হোয়াই?!

জহির হয়তো বোঝাইতে চাইছেন বাংলাদেশ বড় হইসে কতগুলা বান্দরের হাতে।

এইটুকু বইলা হয়তো আমরা বেশি জেনারালাইজ করে ফেললাম, গল্পের অনেক শাখা প্রশাখা আছে, গাড়ি চুরি আছে, কলা আছে, আরো কত কী। কিন্তু আমরা বইটার আদ্যোপান্ত ব্যখা করতে বসি নাই। তাই আমি খরকোসের কথা না বইলাই ক্ষান্তি দিব। খরকোস নিয়া আমি এখনো ভাবতেছি, আরো ভাবতে থাকব, ভাবতেই থাকব। ভাবা শেষ হইলে একসময় হয়তো আলোচনা করব, হয়তো করবনা।

এই লেখাটুকুর আরেকটা উদ্দেশ্য আছে, জহিরের চিন্তাশক্তিতে বিভোর হইলেও, তার বাক্যে এবং গল্পে চমক থাকলেও, খুব সহজেই যে তার লেখা নকল করা যায়, তাই বুঝাইতে চাইলাম। কয়েকটা শব্দের পুন:পুন: ব্যবহারকে, আর লম্বা দোষে দুষ্ট বাক্য, ইংরেজিতে যাকে বলে run on sentence যে অত মুগ্ধ হবার কিছু, তা কিন্তু না। আবার স্পেসিফিকালি এই বইতে জহিরের অতিরিক্ত মার্কেস-নির্ভরতাও অনেক সময় দৃষ্টিকটূ। ভুল বুঝবেন না, জহিরের লেখার যথেষ্ট ভক্ত আমি হয়েছি, কিন্তু দেবতাতুল্য লেখক মানতে আমি রাজি না, যেমনটা বর্তমানে অনেকে মানেন।
Profile Image for Israt Zaman Disha.
194 reviews622 followers
May 16, 2018
এই বইয়ের আগা মাথা কিছুই আমি বের করতে পারি নাই। কি দিয়ে যে কি বুঝাইসে বুঝতে পারি নাই। শুধু ছিল একটা ভালোলাগা। সেই ভালোলাগার জোরেই তিন তারা।
Profile Image for Ishraque Aornob.
Author 29 books403 followers
August 16, 2024
কি অসাধারণ একটা বই। আমার মতে শহীদুল জহিরের সেরা কাজ এটাই। কি সুনিপুণ ভাষা, লেখনশৈলী ও বাক্যগঠন। জহিরের ম্যাজিক রিয়েলিজমের বেশিরভাগই তার দীর্ঘ বাক্য ও সংশয় সৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। এখানে সেটা দারুণভাবে করেছেন লেখক। তবে ম্যাজিক রিয়েলিজমের এলিমেন্ট সরাসরিও এনেছেন। কাহিনীর ওপর নির্ভরশীল নয় গল্পটি, কাহিনীগুলো খণ্ড খণ্ড বলা যায়। তবে এই আখ্যান চরিত্রের ওপর নির্ভরশীল। মামুনুল হাই, মেরি জয়েস ও তার মেয়ে, ফখরুল আলম, চান মিয়া, একদল বানর... সবার জীবনের সুখ-দুঃখের কাহিনী নিয়েই গল্পটি। অ্যাবসার্ড বিষয়গুলোর পাশাপাশি ডার্ক কমেডিগুলোও দারুণ। একেবারে হো হো করে হেসে ওঠার মত। তবে বেশ কিছু জায়গায় অন্য একধরনের বিষাদে ছেয়ে যায় মন। সব মিলিয়ে একটা মাস্টারক্লাস।
Profile Image for পীয়্যান নবী.
52 reviews87 followers
August 21, 2017
যেহেতু উপন্যাসটা পড়া হইসে আরো সপ্তা দুয়েক আগে, যার কারণে অনেক চরিত্র, ঘটনা-দুর্ঘটনা, সংলাপ, কাহিনীর উথান ও পতন এবং আরো অনেক কিছুই পাঠক ভুলে গেছে, সেহেতু এই রিভ্যুটারে গ্রাহ্য না করলেও চলবে বইলাই পাঠক মনে করে। তারপরেও পাঠক তার স্মৃতি হাতড়ায় যা একটু মনে করতে পারে তাতে সে বলে যে, নিশ্চয়ই এইটা একটা সুন্দর চমৎকার বই। আরো বলে যে, একাত্তরের না হয়েও বইটা একাত্তরেই ছিল কেমনে যেন।

চানমিঞা বানরের দুধ খায়া বড় হইছিল হয়ত, অথবা পৃথিবীতে হয়ত তখন দুইটা মামুন ছিল, খৈমন হয়ত ওইসব কিছুই বাড়ায় বলে নাই, খরকোসটাও ধরি বাস্তবে ছিল। কিন্তু এইসব নিয়ে কী বলতে হয় তা পাঠক মোটেই জানে না। পাঠক কেবল পড়ে গেছে.... এর বেশি পাঠকের ক্ষমতা এই বেলায় আর নাই!
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
March 25, 2025
লিনিয়ারিটির ধারে কাছেও যায়নি "মুখের দিকে দেখি", আদপে কারও মুখের দিকেও স্থির ভাবে তাকায়নি। অথচ বইখানার নাম আর প্রচ্ছদ দেখে মনে কিছু উটকো লাইন এসেছিল-

তুমি আমার না হও আমি তোমার না হই
শুধু মুখোমুখি বসে রই।
সময় চলে যাক, স্থির হয়ে যাক।
স্তব্ধ হয়ে যাক সব;
উড়ে যাক সব, ভুলে যাই সব;
সব গুঁড়ো হয়ে যাক, হোক কেয়ামত।
তুমি আমার না হও, আমি তোমার না হই..

"মুখের দিকে দেখি" কোনো নায়ক কিংবা নায়িকার সম্মুখে স্থির না হয়ে, হয়ে উঠেছে সবার গল্প। স্থান আর কালের বাইরে গিয়ে হয়ে উঠেছে অরৈখিকতার আদর্শিক উদাহরণ। এর গল্প ছুটেছে অতীত থেকে বর্তমানে, বর্তমান থেকে অতীতে কিংবা কোনো সম্ভাবনাময় কালে। গল্পটা ভূতের গল্লির চানমিঞার (যে কিনা বান্দরের দুধ খাওয়া পোলা) গল্প দিয়ে শুরু হলেও দেখা যায় এটা তার মা খৈমনের গল্পও , গল্পটা দ্বৈততা নিয়ে নারী শিক্ষা মন্দিরের গল্লিতে থাকা টিচার মেরি জয়েসের মেয়ে জুলির পেছনে ঘোরা মামুনুল হাই ওরফে মামুন কিংবা সাতকানিয়ার আসমানতারার কুতুবউদ্দিন আইবেক ওরফে খরকোসের, গল্পটা হয়তো লেদু বা অন্য কারও। "হয়তো, কিংবা, তাই, যার ফলে" ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে গল্পটা চানমিঞা থেকে খৈমন, খৈমন থেকে মামুন কিংবা তার মা জোবেদা কিংবা খরকোস কিংবা নারী শিক্ষা মন্দিরের গল্লিতে থাকা টিচার মেরি ও তার মেয়ে জুলি কিংবা টিচার মেরির ঠাকুর্দার গল্প হয়ে যায়। যারফলে সবকিছু বুঝে উঠতে গিয়ে মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে।

আর তাই আমি নাদান পাঠক বান্দুবীর রান্ধা খাইতে যায়া যখন হুট কইরা পুড়া ধরার কথা কইয়া ফাঁইসা যাই আর সে আমারে "নিজে রাইন্ধা খাও না ক্যা" কইতে থাকে তখন আমি ভাববার লাগি ��ৈমন কি পাগল বেটি নাকি! পুলাটাক ঐ পুটলায় থওন লাগবো ক্যালা! অহন পুলাটাক যে পুটলার পুলা কয় বেবাক লুকে! কিবায় কি! কিংবা কেঠা জানে বান্দুবীর ধোয়াধুয়ি খাওনের ভয়ে আমি চুপচাপ খাইয়া, বান্দুবী খানা সেইই হইছে কইয়া "মওত ও'হি জো দুনিয়া দেখে, ঘুট ঘুট কার ইউ মারনা কেয়া'' কিংবা "সাইয়্যা হাট্টো যাওও" গুন গুন করতে থাকি। হয়তো এইগুলানের কিছুই করিনা। খৈমনরে "আপনে কী উড়ান, আপনে কী উড়ান" কওয়া রাজাকার আবু বকরের মতন কইরা তরকারিত এক্সপেরিমেন্ট করা বান্দুবীকে কইয়া উঠি "কী দ্যাস, কী দ্যাস তরকারিত!?"

১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Profile Image for Samiha Anu.
36 reviews18 followers
November 15, 2024
শহীদুল জহিরের লেখা পড়লে সময় থমকে যায়। গোটা এক মাস লাগলো বইটা পড়তে। অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। পঞ্চাশতম পাতায় গিয়ে দেখি প্রথম পাতার স্টেটমেন্ট, আবার দেওয়া। ভাঙাচোরা ক্রনোলজি, একই বাক্যের পুনরাবৃত্তি, চরিত্রের আগমন-প্রস্থান, অপ্রতুল বা অহেতুক ডিটেইলিং। পড়তে গেলে ঘোর লেগে যায়। অথচ পড়ার পর কিছুই মাথায় নাই। এই ঘরনার লিটারেরি নেইম 'আ্যন্টিন্যারেটিভ'। যার মানে হইলো উপন্যাসের চিরায়ত ন্যারেশন ভেঙে ফেলে নতুন ফর্ম তৈরি।

আব্দুর রাজ্জাক স্যারের বিখ্যাত একটা কথা আছে, আহমদ ছফাকে বলছিলেন– একটা বই পড়বার পর আপনে যদি বইটারে রিরাইট করবার না পারেন, তয় বুইঝা নিবেন আপনের পড়া হয় নাই। আদতে আমারও, শহীদুল জহির পড়া হয় নাই। হবে না আরো দুইবার পড়লেও।

বাংলাদেশের সাহিত্যে লেখালেখি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট খুব কম মানুষ করেছেন। জহির তাঁদের মধ্যে অন্যতম, প্রধাণ। হাই পাওয়ারের চশমার নিচে রাইখ্যা অক্ষরের পর অক্ষর দিয়া জাদু (পড়েন জাদুবাস্তব সাহিত্য) তৈরি করেছেন। ওনারে আমি ম্যাজিশিয়ান মানি সত্যিকার অর্থে।
Profile Image for Nishat Monsur.
191 reviews18 followers
December 8, 2019
বইটা পইড়া অনেক কিছুই বুঝতে পারলেও আবার অনেককিছুই বুঝতে পারি নাই, গল্পের অনেকগুলা সুতা শেষ না কইরাই ছাইড়া দেয়া হইছে, অথচ পড়ার পরে কী বিমল একখানা আনন্দ পাওয়া গেল। শহীদুল জহির সম্ভবত তার গল্প বলার ধরণের জন্য বাংলাদেশের সবচাইতে প্রভাবশালী লেখকদের মধ্যে একজন যার গল্পে পরাবাস্তব জগতটা বাস্তব জগতের সাথে এত প্যারালালি চলে যে আমার মত ক্ষুদ্র নগণ্য পাঠকের জন্য হাল ধইরা থাকা খুব কষ্টের হইয়া যায়। কিন্তু তারপরেও গল্প শেষ হবার পরে একটা কীরকম মুগ্ধতা প্রাণটারে জড়ায়া রাখে, সেই মুগ্ধতার জন্য হইলেও চারটা তারা এই বইয়ের প্রাপ্য।
Profile Image for Masud Sojib.
35 reviews43 followers
January 18, 2015
আমার পড়া শহীদুল জহিরের পড়া তৃতীয় উপন্যাস এটি। বাংলা সাহিত্যে কিংবা আরো স্পষ্ট করে বললে বলা যায় বাংলা উপন্যাসে নতুন ধারা সৃষ্টিকারী শহীদুল জহিরের অভিনবত্ব আর জাদুবাস্তবতা এই উপন্যাসেও উপস্থিত ছিলো। প্রশ্ন আসতে পারে কেন শহীদুল জহির কে ভিন্নধারার বলা হয়। প্রথমে তাই সেই ব্যাখাটুকু দেই, আমার নিজের পড়া বাংলাসাহিত্যে রচিত ছোট-বড় সব বেশি ভাগ উপন্যাস মোটামুটি একমাত্রার অর্থাৎ সরলরৈখিক ধারাবাহিক বর্ণনা। সরলরৈখিক উপন্যাস সাধারণত একমুখী বর্ণনার হয়। এবং লেখক সেই বর্ণনাকারী হন। প্রতিটি চরিত্র, প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি ব্যাক্তি সেখানে নিজস্ব বক্তা হয়ে ওঠে না। নায়ক কিংবা লেখক যেভাবে বলে যান সেইভাবে গল্প সামনে এগিয়ে যায়। কিন্তু শহীদুল জহির সেই নিয়ম ভেঙ্গে দিয়েছেন উপন্যাসে। এবং এই উপন্যাসটি তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ।

এবং সেই কাজটি করতে গিয়ে উপন্যাসটি ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠেছে। কোন সন্দেহ ছাড়া এটি আমার পড়া সবচেয়ে জটিল উপন্যাস। প্রতিটি চরিত্র আলাদা আলাদা সত্ত্বা নিয়ে জেগে ওঠেছে যেমন করে আমাদের বাস্তব জীবনে ঘটে। আমাদের সবারি গল্প থাকে, শহীদুল জহির যেসব চরিত্রকে তার উপন্যাসে স্থান দিয়েছেন তাদের সবার গল্প বলেছেন। অতীত থেকে বর্তমান, আবার বর্তমান থেকে অতীতে অনায়সে ছুটে গেছেন। মামুনের গল্প থেকে চান মিঞা, চান মিঞার গল্প অর্ধ পথ যেতেই তার বাবার গল্প, সেখানে থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সেই মুক্তিযুদ্ধ থেকে আবার লেদুর গল্প, লেদুর গল্পকে অসমাপ্ত রেখে আবার উনিশ দশকে ম্যারির পূর্ব পুরুষদের এই দেশে আসার আর স্থায়ী হওয়ার গল্প, এভাবে সবার গল্পই ছুটে গেছে দিক বেদিকে। ফলে পাঠক হিসেবে কাহিনীর সাথে তাল মেলানো ভীষন কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। শহীদুল জহির যেমনটি তার লেখায় ধরে রাখেন সেটি এখানেও ছিলো লক্ষ্যনীয় মাত্রায়। তিনি গল্পকে কোন নিদিষ্ট ছকে বেঁধে দেননা, অনেকগুলো সম্ভাবনার কথা বলে যান। যেমন উপন্যাসের প্রথমেই মামুন কাঠের গুড়া আনতে যায় সোমিলে, সেখানে স্তুপ করে জমিয়ে রাখা গুড়ার মাঝে সে হয়তো পড়ে যায় এবং জ্ঞান হারায়। হয়তো মামুন পড়ে যায় না, সে ঠিকি কাঠের গুড়ো নিয়ে ফিরে আসে বাসায়্। হয়েতো মামুন সত্যি পড়ে যায়, পরে ট্রাকে করে সেই গুড়া বস্তায় তোলার সময় মামুনকেও তুলে ফেলে শ্রমিক রা। হয়তো একটা বড় কাঠ ভেবে শ্রমিকরা অন্ধকারে তুলে ফেলে মামুনকে হয়তো শ্রমিকরা বুঝে এটি কোন মানুষ কিন্তু মারা গেছে তাই ঝামেলার ভয়ে চেপে যায়। অর্থাৎ লেখক এখানে স্পষ্ট কিছু বলে দেন না, এভাবে অসংখ্য সম্ভবনা সৃষ্টি করে লেখক পাঠকের কাধেঁ দায়িত্ব তুলে দেন বুঝে নেওয়ার। ফলে উপন্যাসে দুটো মামুন বেড়ে উঠে, এক মামুন হারিয়ে যায় না যে সোমিল থেকে কাঠের গুড়া নিয়ে বাড়ি ফেরে আবার আরেক মামুন ট্রাকের সাথে সাতঁকানিয়া চলে যায় এবং সেখানেই বেড়ে ওঠে। ফলে সৃষ্টি হয় ধ্রুমজাল, সৃষ্টি হয় জাদুবাস্তবতা। জাদুবাস্তবতা মানে জাদু নয়, অতি বাস্তবতা বুঝায়। যা হতেই পারে অর্থাৎ অবাস্তব কিংবা অকল্পনীয় নয় (কিন্তু হয়না সাধারণত) সেটিই হলো জাদুবাস্ততা।

পুরো উপন্যাসে শুধু ”হয়তো” শব্দটির ব্যবহার হয়েছে ১৫০ বারের উপরে। এতেই বুঝা যায় তিনি পাঠককে অসংখ্য সম্ভাবনা সৃষ্টি করে কি পরিমান জটিলতার মাঝে রেখে উপন্যাসের গল্পগুলো বলে গেছেন। এই উপন্যাসে মূল গল্প বলে কিছু নেই, সবাই এখানে প্রধান চরিত্রের মত শক্তিশালী। মামুন, লেদু, চান মিঞা, চান মিঞার মা খৈমন, বাবা ময়না মিঞা, মামুনের মা জোবেদা বেগম, শ্রোতা উপমা বেগম, স্কুল শিক্ষিকা ম্যারি, ম্যারির কণ্যা জুলি ফ্লোরেন্স, আসমানতারা, কিংবা ভূতের গল্লির বাঁনর সবাই গল্পের মূল চরিত্র। তবু এই সমাজ কিংবা এই রাষ্ট কি করে একজন চান মিঞার মতো গরীব মেধাবী ছাত্রকে নষ্টের পথে নিয়ে যায় তার গল্প বলার চেষ্টা প্রাধন্য পেয়েছে উপন্যাসে। জটিল থেকে ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠা উপন্যাসটি পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে শেষ পর্যন্ত এ কথা বলা যায়। আরেকটি লক্ষনীয় দিক হলো ভাষার ব্যবহার, চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা, পুরান ঢাকার আঞ্চলিক ভাষার বহুল ব্যহার দেখা গেছে উপন্যাসে, যা দারুন উপভোগ্য হয় পাঠকের জন্যে। তবে শেষটুকু হয়তো তৃপ্তি নাও দিতে পারে। যেকোন গল্প কিংবা উপন্যাসের সফলতার অনেকটাই নির্ভর করে সেই গল্পের ইতি টানার মুন্সিয়ানার উপর। এখানেই এই উপন্যাসকে আমার কিছুটা মলীন মনে হয়েছে। তবে নানান শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে বিস্তৃত আকারে সবার গল্পকে এক উপন্যাসে ধারণ করতে পারার জন্যে শেষ পর্যন্ত উপন্যাসটি সব সমালোচনা উতরে যাবে। সবাইকে এই সত্যিকারের ভিন্নধারার উপন্যাসটি পড়ার আমন্ত্রন জানালাম।
Profile Image for Shadin Pranto.
1,469 reviews560 followers
October 6, 2019
শহীদুল জহির মানেই অন্যরকম কিছু। তবে তিনি এই উপন্যাসে সত্যিই অতীব আলাদাভাবে এগিয়েছেন

যেন নিজের লেখনীর মাত্রাকে নিজেই পেরুবার এক দৃঢ়চিত্ত নিয়ে ২০০৬ সালে লিখেছিলেন এই উপন্যাস।

বান্দরের দুধ খাওয়া পোলা চানমিঞা যেমন এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র। যে কী না একেবারেই নিম্নবিত্তের প্রতিনিধিত্ব করেছে মোটাদ��গে। তেমনি উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় আছে পুরান ঢাকার বানরকুলেরা। তারাই তো চানমিঞার সঙ্গী। তারাই মিসেস জোবায়দাকে শিক্ষা দেয়, তারাই বন্ধুর কল্যাণার্থে মাথা ফাটিয়ে দেয় কুতুবউদ্দিন আইবক ওরফে দুর্ধর্ষ খরকোসের ওরফে স'মিলে কাঠের গুঁড়ি কিনতে গিয়ে কাঠের ট্রাকে পাঁচার হয়ে যাওয়া জোবায়দা বেগমের সন্তান মামুনুল হাইয়ের।
নাকী এই গল্প মুক্তিযুদ্ধের খৈমনের, রাজাকার গনি মিয়ার কিংবা রাজাকার নেতা মওলানা আবু বকরের?

স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের সংকটের চিত্র যেমন পাই। তেমনি পাই বিধবা কিংবা কখনো স্বামী ফিরে না আসা খৈমুনের সন্তানসহ টিকে থাকার নিরন্তর সংগ্রামের গল্প।সামাজিক সংকট তার ছেলে চানমিঞাকে স্বাভাবিক মানুষ হতে দেয়নি। এক চানমিঞাকে দিয়ে শহীদুল জহির লাখো অধিকার বঞ্চিত মানুষের কথা বলেছেন।মিস জুলির পরিবার নিয়ে আসে প্রেম। কুতুবউদ্দিন আইবক ওরফে আসমানতারার খরকোসের কথাই বা কেউ কি কখনো ভুলতে পারবে যে এই উপন্যাস পড়বে।

শহীদুল জহিরের তুলনা তিনি নিজেই। তাঁর লেখার রীতি নিয়ে বলার কিছু নেই (হতে পারে আমি বুঝিই না)। পরাবাস্তবতাকে কতটা গভীরভাবে লেখার সাথে মিশিয়ে পাঠককে গপগপ করে গিলতে বাধ্য করেছেন তা পড়তে ঠিক আবারো আবিষ্কার করলাম এবং উপন্যাসটি পড়া শেষে নিজের অজান্তেই ভাবনা মাথায় এলো সত্যিই দারুণ!
Profile Image for Imran.
65 reviews18 followers
April 21, 2025
৪.৫/৫

শহীদুল জহিরের এই উপন্যাসটা ব্যতিক্রম; একটু বেশিই তালগোল পাকানো ধাঁচের। আপাতদৃষ্টিতে খুব একটা সুখপাঠ্য মনে নাও হতে পারে। পুরো বইটা শেষ না করা পর্যন্ত বোঝা যাবে না আসলে কী পড়ছি।

নানান বিচিত্র-হাস্যরসাত্মক সব ঘটনা ঘটতে থাকে পুরো উপন্যাসজুড়ে। কাহিনির মোড় কোথা থেকে কোথায় যে যাবে, কস্মিনকালেও আঁচ করা সম্ভব না। মাঝের দিকে কাহিনির গতি কিছুটা শ্লথ মনে হয়েছে, তবে শেষের দিকটা বেশি সুন্দর। লেখকের গদ্যশৈলী, উপস্থাপনা, সেন্স অব হিউমার সম্পর্কে বলার অপেক্ষা রাখে না—অসাধারণ!
Profile Image for Rashed.
127 reviews26 followers
June 19, 2021
অদ্ভুত সুন্দর..
Profile Image for Soumik.
83 reviews17 followers
June 18, 2021
The ending marks a labyrinth of stories within stories, where the opening of the novel fades away by merging into a very profound meaning of the game people of Bhuter Goli play everyday called life. Jahir, who is famous for his easy input of magic-realism into the stories that he tells, created more than one time and space continuum that changes throughout the novel. We see a monkeyboy who was hidden by his mother in a pile of clothes for months just to keep him secured in the Liberation War, who likes his childhood friend, a girl who doesn't really understand why people of Bhuter Goli keep calling him monkeyboy. Then Jahir introduces us to Mamun, a guy who got lost and traveled across the country in a truck, which then changed his life forever.

But the most significant takeaway from this novel and plenty of other Jahirs is how he narrates. The guy writes like he is speaking, like he is the same Jahir who grew up in Bhuter Goli and is narrating a story to his people sitting at a Tea stall. I love every part of his writing. I like how he creates an aura of his characters around the 'moholla' that they live in, how the 'moholla' turns into this one person POV sometimes that makes him an unique storyteller of Bangladesh.

Stories end, authors leave us. I wonder what might have happened if Shahidul Jahir was alive and was still writing.

ভূতের গলির বাসিন্দারা, পকেটে একটা কলা নিয়ে ঘুরা মিশনারি সাহেব, রামকৃষ্ণ মিশনের পাশেই ফটো স্টুডিওর ফটোগ্রাফার, মহল্লার নূতন গাড়ি চোর আর খোলা সাগরে নেভি কিংবা কোস্টগার্ডের চোখ এড়িয়ে অকটেন পাঁচার করা 'এমভি মায়ের দোয়া' ট্রলারের বুদ্ধিমান স্মাগলার - পুরান ঢাকা হোক বা সুদূর ইংল্যান্ড, শহীদুল জহিরের সাথে এদের মুখ চিনতে চিনতে আমারও অনেক মুখের দিকে দেখা হয়ে যায়॥
31 reviews1 follower
January 27, 2023
বইটা কি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি? আল্লাহ মালুম! তবে জহিরের অদ্ভূত গদ্যরীতিতে লেখা বইটা যে উপভোগ করেছি তা বলাই বাহুল্য। চাঁনমিঞা, মামুন, লেদু, খরকোশ, খৈমন, জুলি, আসমানতারা,....
Profile Image for হাসান নাহিয়ান নোবেল.
105 reviews169 followers
October 17, 2019
এটা সেই সময়ের উপন্যাস—যখন শহীদুলের মাথাটা পুরোপুরিই ‘ইয়ে’ হয়ে গেছে। মাথা পুরোপুরি ‘ইয়ে’ হয়ে যাওয়ার পর মানুষ অসাধারণ লেখে। শহীদুল এই উপন্যাসটা অসাধারণ লিখেছেন।

সেই সাথে ইদানিং আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করছি, যেকোন উপন্যাসে চরিত্র ধরার ক্ষেত্রে শহীদুলের ক্ষমতা রীতিমত ঈর্ষণীয়। এই গল্পে তো কেবল চরিত্রই এঁকে গেছেন একের পর এক—এজন্যেই কি নাম দিয়েছেন মুখের দিকে দেখি? তাই যদি হয়ে থাকে তবে স্বীকার করতেই হবে যে, মুখের দিকে চেয়ে দেখা শহীদুলের সার্থক। গল্প বলার কী সর্বনাশা ভঙ্গিমা!

গত কিছুদিন আলোচনা করে মনে হয়েছিল যে, কিছু বইয়ের হাত-পা থাকে এবং তারা গাল বরাবর চড় মারতে পারে। এবার আমি প্রস্তাব করছি, এরও উর্ধ্বস্তরের কিছু বই আছে যাদের কেবল হাতই থাকে না, সেই হাতে আবুল কাসেম ৪৭-ও থাকে, এবং সেটা পাঠকের দিকে তাক করে…।
Profile Image for Hasibul Shanto.
39 reviews37 followers
June 10, 2020
শহীদুলের জহির এই প্রথম পড়লাম। এই বইয়ের ভাষা টা আমার অনেক পরিচিত, যার কারনে খুব তাড়াতাড়ি মিশে গেছিলাম। টিকাটুলি নারী শিক্ষা মন্দিরের গল্লি, আমার বাসা থেকে দশ মিনিট দূরে। পড়ার বেশিরভাগ সময়ই মনে হচ্ছিলো এই চরিত্রগুলোকে আমি ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের বাসার আশেপাশে। যেমন, বান্দরের দুধ খাওয়া চানমিয়া আমার সংগেই হয়তো কিন্ডারগার্ডেনে পড়তো। মিসেস ক্লার্ক এর মত আমারো কিন্ডাগার্ডেনে একজন ম্যাডাম ছিলো আমার খুব পছন্দের, এবং মিসেস ক্লার্ক এর মেয়ে জুলির মত আমার সেই ম্যাডামের মেয়েও আমার সংগে পড়তো। এরকম অনেক ছোটোখাটো ঘটনাই মিলে যাচ্ছিলো। থেমে থেমে পড়েছি, আর পড়তে গিয়ে বারবারই বেশ নস্টালজিক লাগছিলো। সব মিলিয়ে চমৎকার একটা বই; শুধু "খরকোস" এর ব্যাপারে একটা রহস্য রয়ে গেছে মনে। সেটার উত্তর পাচ্ছিনা কোনোভাবেই। তবুও এই বই, পাঁচে পাঁচ না দিয়ে থাকা যায়না।
Profile Image for Zarif Hassan.
121 reviews42 followers
March 24, 2022
উরি বাপস! কী আছিলো এডা!
কী অসাধারণ গদ্যশৈলী! কথ্যরীতি প্রমিত রীতির অসাধারণ ট্রাঞ্জিশন, পাশাপাশি প্লট - সাবপ্লটের ধুম ধারাক্কা বিবরণ। শহীদুল জহির তার পায়ের ছাপটা মাইরা দিয়া গেছেন বাংলা সাহিত্যের আধকাঁচা নরম সিমেন্টের ভেতর। ধীরে ধীরে ঐ ছাপ শক্ত হয়া গেছে। থাইকা যাইবো বহুদ্দিন।
একদম অনন্য। Very one of a kind.
Profile Image for musarboijatra  .
283 reviews350 followers
February 14, 2023
"দরজার কপাটের ফাক দিয়া আসা তেরছা আলোর মতো, একটা আলোর স্তম্ভ তার শীর্ণ কান্ধের উপরে এসে পড়ে, এবং সে তার মুখটা এই আলোর দিকে ফেরায়, সামনে খাড়ায়া থাকা মেরির মুখের দিকে দেখে; মেরি জয়েস বলে, কেন এরকম করো, অ্যা, হোয়াই?"

এই বইয়ের রিভিউ হয় না।
Profile Image for Sanowar Hossain.
281 reviews25 followers
December 2, 2023
শহীদুল জহিরের লেখায় জাদুবাস্তবতা এক অনন্য রূপ ধারণ করে। বিস্তর চরিত্র ও বিভিন্ন সময়ের ঘটনাপ্রবাহ একইসাথে নান্দনিক ভাষা কিংবা গল্প পাঠককে ধন্দে ফেলে দেয়।

নারিন্দার ভূতের গলির চান মিঞাকে দিয়ে গল্পের শুরু। সে নাকি ছোটবেলায় বানরের দুধ পান করতো। কারণ তার মা পরের বাড়ি ঘুরে বেড়ায় এবং বুকের দুধ না থাকায় যখন প���রান ঢাকার ঐতিবাহ্যবাহী বানরের দল চান মিঞাকে দুধ খাওয়ায় তখন তার মা খৈমনের কোনো বিকার দেখা যায় না। তবে একজন মানুষ বানরের দুধ খেয়ে বড় কীভাবে হয়? ঘটনার সত্যতা আছে কি নেই তা নিয়ে কেউ ঝগড়া করতে যায়নি। তবে একই এলাকার মিসেস জোবেদা জোর গলায় তথ্যের সত্যতা দাবি করেন। মিসেস জোবেদা ও খৈমন একই এলাকার বাসিন্দা সেই ছোট থেকেই। বিয়েও হয় কাছাকাছি এলাকায়। মিসেস জোবেদা পড়ালেখা করতো বলো একটু অহং নিজের মাঝে ছিল। অন্যদিকে পান বিড়ির দোকানদার জলিলের মেয়ে খৈমনও ঝগড়ার বেলায় মিসেস জোবেদাকে ছেড়ে কথা বলতোনা। সেই ছোটবেলার দ্বন্দ্বই কিনা বড় হয়েও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, যা দেখে সবাই ভেবে নিতে পারে মিসেস জোবেদা গুজব ছড়াচ্ছেন! ময়না মিঞার সাথে খৈমনের বিয়ের কথা যখন চলছিল তখন ময়না মিঞা চাঙারিতে করে তরকারি বিক্রি করতো। জলিল ও জমিরনের ইচ্ছা না থাকলেও খৈমনের জোরাজুরিতে ময়না মিঞার সাথে বিয়ে হয়। কিন্তু যুদ্ধের সময় একদিন লাপাত্তা হয় ময়না মিঞা ও খৈমনের ভাই রশিদুল। কিংবা তারা পলাতক হয়।

মিসেস জোবেদার ছেলে মামুনুল হাই স'মিল থেকে কাঠের ভুসি আনতে গিয়ে নাকি চোরাই ট্রাকের সারের সাথে চট্টগ্রামে পাচার হয়ে যায়। হয়তো পাচার হয়না। ভুসি নিয়ে ফিরে আসে। কিন্তু সাতকানিয়ার আবদুল ওদুদ চৌধুরীর ট্রাকে যখন একজন কিশোরকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় তখন স'মিলের শ্রমিকরা ধরেই নেয় সেই ছেলেটা মামুন। কিন্তু মামুন ত ভুসি নিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছে। সেই ট্রাকে পাওয়া অচেতন ছেলেটিকে আবদুল ওদুদ চৌধুরীর কন্যা আসমানতারা খরগোশ ভেবে আন্দোলিত হয় এবং খাচায় পুরে পোষার বাসনা প্রকাশ করে। নাম পরিচয়হীন সেই বালককে 'খরকোস' বানিয়ে খুশি হয় আসমানতারা। খরকোস যখন নিজের ভেতরে পুরুষত্বের টের পায় তখন তাকে খাচা থেকে বের করে নিজের চোরাচালান কাজের মধ্যে যুক্ত করে দেন আবদুল ওদুদ চৌধুরী।

মামুন যদি ভুসির সাথে পাচার হয়েই থাকে তাহলে সিলভারডেল স্কুলের শিক্ষিকা মেরি জয়েস ক্লার্কের কন্যা জুলির সাথে ফিল্ডিং মারতে যায় কে? সেই গল্প ত মামুনের কাছে থেকেই শোনা মিসেস জোবেদার। তাই ফখরুল আলম লেদু যে কিনা মামুনের বন্ধু মামুনের খোঁজে আসে তখন মিসেস জোবেদা মিথ্যা বলে দেন মামুনের খবর তিনি জানেন না। লেদু কি এতটাই আকর্ষণীয় নাকি যে জুলি তাকে পছন্দ করে মামুনের বিরাগভাজন হবে। তবে মামুনের শত প্রচেষ্টাতেও যেন জুলি ধরা দেয়না অথবা ধরা দেয়।

মুখের দিকে দেখতে গিয়ে গল্প বহুদূর গড়ায়। শহীদুল জহিরের মোহনীয় লেখনীতে পাঠক অভিভূত হয় এবং ভাবনায় ফেলে যে গল্পের শুরুটাই বা কোথায়! অথবা চরিত্রগুলোর কর্মকাণ্ড তাদের অস্তিত্বের ব্যাপারে সন্দিহান করে তোলে। শহীদুল জহির তাঁর বাক্স হতে এমন সব লেখার জাদু বের করেন যা পাঠককে পুরান ঢাকার নারিন্দার ভূতের গলি থেকে বহুদূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। অসাধারণ একটা লেখা। এই বইটা পড়লে বারবার পড়তে ইচ্ছা হবে। হ্যাপি রিডিং।
Profile Image for Ratika Khandoker.
300 reviews33 followers
May 21, 2024
আপনেরা সবাই কি এই বই পইড়া ফেলসেন?
পড়েন নাইকা?ক্যালা?ক্যালা পড়েন নাইকা?
বিগ লচ!!

এই বইয়ের সব কিছুই আউলা ঝাউলা।
এই যেমন ধরেন দুনিয়ার চরিত্রগুলা।তা সে চানমিয়া হোক-যে নাকি বান্দরের দুধ খাইয়া বড় হইসে,বা মামুন-যে ভুসির তলায় চাপা পইড়া চট্টগ্রাম চইল্লা গেলো,বা কুতুব মিনার/আইবেক-যে নাকি আসমান তারার পেয়ারের খরকোস,আবার খৈমন আর তার পোটলা থেকে বাইর হওয়া পুলা ও তো কম আজব না,বা জুলি ফ্লোরেন্স যার মায়ে তারে সাবধান বাণী শোনায় -Be aware of a man with banana,এমন ডজন খানেক বিচিত্র সব আউলা চরিত্র।

আবার ধরেন গল্পের কাহিনী,এর বলার ধরনেরও কোনো মাথা মুন্ডু নাই।
এই এক লাইনে মিসেস জোবেদা চানমিয়ার মা খৈমনের গুষ্টি উদ্ধার করতাসে,পরের লাইনেই লেদু আর মামুন মিয়া জুলিগো বাড়িতে যায়া চা খাইতে চাইতেসে,আবার একটু পরেই ডলি আক্তার কিভাবে তার মাইয়ারে জন্ম দিলো সেই গল্পে লেখক চইল্লা গেলো!

আর গল্পের ভাষা?সে আমার রিভিউয়ের ভাষার চেয়েও খাপছাড়া।ঢাকাইয়া,চাঁটগাইয়া,ইংরেজি কি নাই?

এই এতো আউলা-ঝাউলা সবকিছু মিলাইয়া,ছেড়াবেড়া করে ছড়ায়ে ছিটায়ে কিভাবে ভূতের গল্লির অদ্ভুত মানুষ আর তাদের উদ্ভট সব কিসসা কওয়া যায়,যেই কিসসায় হিউমার থাকে,আবার সিরিয়াস ঘটনা থাকে,কখনো আবার সিরিয়াস ঘটনার লগে হিউমার থাকে,আর কিভাবে তা আপনারে আমারে চুম্বকের মত টাইনা ধইরা রাখে এইটা জানতে হইলে অবশ্যই বইখান পইড়া দেইখেন।আমার রিডার্সব্লক ছুটাইসি এইটা পইড়াই।

নিঃসন্দেহে এবছরের পড়া টপ ৫ এর একটি বই আমার,লেখক যে কি পরিমান এক্সট্রা অর্ডিনারি আবারো টের পেলাম।
Profile Image for Asib Gazi.
86 reviews1 follower
November 23, 2025
শীতের রাতে কাঁথা মুড়ি দিয়ে শিমুল তুলোর বালিশে ঘুমোতে যে আরাম, এই বই পড়ে তার চেয়েও বেশি আরাম।
Profile Image for Rajiv Ashrafi.
461 reviews47 followers
May 2, 2013
It’s a short but dense book that’s hard to get into, yet it was the most entertaining book I’ve read so far. The story feels like a jumbled mess throughout, and it’s hard to make heads or tails of it. However, it’s still easy to follow and somehow completes the loop without you ending up having to do mental gymnastics of any sort.

The language is a combination of regular Bangla, Dhakaiya Bangla, Chittagong Bangla, and English, which makes for a surreal, potent mix of hilarity. Nothing is forbidden, for Jahir talks about things that are lewd and taboo in Bangali society, yet they come across as natural and funny. The scenes are presented in a straightforward way, and although Jahir loses his momentum sometimes, they are a treat to enjoy.

Narrative structure is something that has been thrown out the window for this book. If you want to read a ‘regular’ book, stay far away from this. If, on the other hand, you’re looking for a good time and don’t give a damn about language or narrative structure, then this is the book for you.
Profile Image for শৌণক.
112 reviews17 followers
March 24, 2020
এটা হয়তো চানমিয়ার গল্প বা খৈমনের গল্প। খৈমনের প্রতিবেশি ৩৭ নং বাড়ির নুরানী বিলকিসের গল্প বা হয়তো না। ভূতের গলির ৩৫/১ এর শিকল খুলে বান্দরের কলা খাওয়ার গল্প, হয়তো হারায় যাওয়া খরকোশের গল্প। নারী শিক্ষা মন্দিরের গলিতে ছায়া হয়ে যাওয়া জুলির গল্প বা ডিমেনশিয়া হারায় যাওয়া ববের। হাওয়ায় আনচান হয়ে ওঠা আব্দুল গণির গল্প, রাজাকারদের নাম হয়তো আব্দুল গণিই হয়। পোটলার পোলার গল্প, মামুন মিয়ার গল্প। মোটাসোটা লেদু মিয়ার গল্প।

গল্পের সাথে এক হয়ে উঠতে যদিও সময় লাগে খানিক, কিন্তু অস্বাভাবিক সুন্দর।
Profile Image for Pritom Ghum.
16 reviews22 followers
January 31, 2016
হয়ত, প্রিতম উপন্যাসটা পড়ে, অথবা উপন্যাস টা পড়ে না। হয়ত তা না, যে নাগরিক মহল্লায় প্রিতম রা , সেখানে অজস্র বিবিধ প্রিতমের হয়ত আসার কথা ছিলো,অথবা ছিলো না। এই সম্ভাবনা হয়ত প্রিতমকে খানিক বিস্মিত করে থাকবে, সে ভাষা খুজে পায় না সে কি পড়লো। অথবা, হয়ত, প্রিতম কখনও কল্পনা করে নি, কি অবিশ্বাস্য রকম সূক্ষ্ণ দোলাচলে একটি আখ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। হয়ত এই উপন্যাস একটি কাহিনী বলে, অথবা বলে না।
Profile Image for Tahsin Orthy.
42 reviews18 followers
Read
January 2, 2018
আহা শহীদুল জহির! <3

এই বইটা পড়ে হয়তো তাহসিন অর্থী মুগ্ধ হয়েছে অথবা সে মুগ্ধ হয় নাই। হয়তো এই উপন্যাসটা কোন কাহিনীই বলে না শুধু কিছু খাপছাড়া কথা বলে যায়, অথবা পুরো উপন্যাসটাই একটা অতি অদ্ভুত কিছু ঘটনার গল্প। শহীদুল জহির হয়তো আমাদের সাথে এক ধরনের রহস্য করে বা করে না। আমি শুধু পড়ে যাই... কারন শহীদুল জহির পড়ার মজা পড়ে... :)
Profile Image for   Sadiya Oyshi.
42 reviews1 follower
April 21, 2024
গল্প শুরু -> হয়তো এইটা,হয়তো ওইটা ->গল্প শেষ। 😂

আমি ছোট্টো মানুষ,এই বইয়ের রিভিউ দেয়ার যোগ্যতা হয়নাই। বইটা পড়ে আনন্দ পেয়েছি এটাই জরুরি খবর।
Profile Image for Rumana Nasrin.
159 reviews7 followers
November 2, 2016
পড়তে ভালোই লেগেছে কিন্তু কিছুই বুঝি নাই। আমার মতো বোকা আর কম বোঝা পাঠকের জন্য এসব বই না। শুধু এটুকু বুঝেছি।
Displaying 1 - 30 of 54 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.