একটা ধবধবে সাদা বিড়াল। লেজটা কুচকুচে কালো। অন্য বিড়ালদের সাথে তার কোন তফাৎ নেই। সে আরাম করে সোফায় শুয়ে ঘুমায়। হাই তুলতে তুলতে টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। তার প্রিয় সিরিয়াল "ইহা মে ঘর ঘর খেলি।"
বিড়ালটার একটাই সমস্যা, ক্যামেরায় তার ছবি আসে উলটা, মিরর ইমেজ।
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
পুফি এক বিড়ালের নাম।যার বিরাট ভুমিকা রয়েছে এই বইয়ে।এই বইয়ে ব্যখ্যার অতীত এক জগতের অবতারণা করা হয়েছে।যেখানে একজন মানুষ, একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতায় অবস্থান করছে।কিন্তু তবু এটিকে ঠিক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী বলা যাচ্ছে না বরং এটা বাস্তবের খুব কাছাকাছি।জোয়ার্দার সাহেবের সাধারণ সংসার এবং জীবনযাপন দিয়ে এই গল্পের শুরু।
তার একমাত্র ফুটফুটে মেয়ে অনিকা,যে ভীষন বুদ্ধিমতি।সে তার জন্মদিনে মামার কাছ থেকে একটি বিড়াল উপহার পায়,যার নাম পুফি।জোয়ার্দার সাহেবের ছোটবেলায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।যার ফলে তিনি কোন পশু-পাখি সহ্য করতে পারেন না।অন্যদিকে ছোটবেলায় ঘটা মর্মান্তিক ঘটনায় তিনি তার যে বন্ধুকে হারান,জোয়ার্দার সাহেব একা বাসায় থাকলে সে চলে আসে তার কাছে।পুফির আগমনের পর পুফি বাড়িতে না থাকলেও অবিকল তার মতো আরেকটি পুফির অবতারনা ঘটে।পরে তার অফিসের কলিগের আকস্মিক মৃত্যু ঘটলে সেও এস জোটে জোয়ার্দারের বাসায়।তিনি বিভ্রান্ত হয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে সেখানে আরো অদ্ভূত ঘটনা ঘটে।তিনি ক্যামেরায় এইসকল মৃত মানুষের ছবি তুলতে সক্ষম হন,তবে ছবিগুলো আয়নার প্রতিচ্ছবির মতো উল্টো। তার চিকিৎসক নিজেই বিভ্রান্ত হয়ে মিসির আলীর শরণ নেন।কিন্তু একসময় তিনি এমন এক জোয়ার্দারের মুখোমুখি হন যিনি বিয়েই করেন নি এবং তার একটি বিড়াল আছে।সেই বাস্তবতায় জোয়ার্দার সাহেবের কলিগ বেঁচে আছেন।কিন্তু যে বাস্তবতায় জোয়ার্দার বিবাহিত এবং এক কণ্যার জনক সেখানে তার কলিগ মৃত কিন্তু তিনি তাকে দেখতে পান।
এভাবে এক জটিল মনঃস্তাত্ত্বিক যুগপৎ দ্বৈত বাস্তবতার এক অদ্ভূত রহস্যময়,ব্যখ্যার অতীত জগতের গল্প পুফি।
জোয়ার্দারের সাথে শায়লার বিয়ে হবার কথা ছিল। কিন্তু কোন এক অতীত ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোয়ার্দারের চাচা-মামা গোত্রীয় একজন সে বিয়ে ভেঙে দেয় । বছর কুড়ি পর সাইকিয়াট্রিস্ট শায়লার সাথে সরকারি চাকুরে জোয়ার্দারের পাকেচক্রে আবার যোগাযোগ হয়। শায়লার এক সময় মনে হয় জোয়ার্দারের স্ত্রী-কন্যা আছে আর অন্য এক সময় আবিষ্কার করেন সে তার মতই অবিবাহিত। এই সমস্যা নিয়ে মিসির আলির কাছে উপনীত হন ডা. শায়লা। অতি অল্প সময়ের জন্য উপস্হিত হলেও গল্পে মিসির আলির ব্যাখ্যায় মানব চিন্তার সম্ভাব্য বিভিন্ন জগতকে শ্রেডিঞ্জারের বেড়ালের তত্ত্বে দেখান লেখক। শ্রেডিঞ্জারের বেড়ালের রহস্যটা জেনে নিতে হয় গল্পটা পড়তে হলে। শ্রেডিঞ্জার একটা বাক্সে একটা বিস্ফোরক আর একটা বেড়াল রেখে বাক্সটা বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন বেড়ালটা যদি বিস্ফোরক নাড়াচাড়া করে তবে সে মারা যাবে আর যদি না করে তবে সে বেঁচে থাকবে। এক্ষেত্রে বেড়ালটার জীবিত থাকা বা মারা যাওয়ার সমান সম্ভাবনা থাকে এবং সেটা জানার একমাত্র উপায় হল বাক্সটা খুলে দেখা। জোয়ার্দারের কন্যাকে দেখে শায়লার মনে হয় এই চমৎকার মেয়েটা তার নিজের হতে পারত। পোষা বিড়াল পুফি মারা গেলে শায়লা দ্যাখে জোয়ার্দারের স্ত্রী-কন্যা বলে কিছু নেই। পুফি হল একটা মেটাফরিক বেড়াল যে জীবিত থাকলে এক রকম আর মারা যাবার পর অন্য রকম জীবন ও জগতকে বাস্তব বলে মনে হয়। আসলে শায়লার কল্পনা কেবলই তার ভাবনার অপর এক পৃষ্ঠা। সত্যটা কেবল উদঘাটিত হতে পারে যদি শায়লা জোয়ার্দারের বাড়িতে দেখতে যায় এমন প্রৌঢ় বেলায়।
যেই কারণটা কাউকেই হয়তো কখনো বলা হবে না, সেই কারণে বইটা আমার অসম্ভব ভাল লেগেছে। (বইয়ের ফিনিশিং টা কেমন যেন স্বপ্নের মতো [ব্যক্তিগত স্বপ্ন])
- নিকোটিনে যারা অভ্যস্ত তাদের সিগারেট দেখলেই ঘন ঘন নিঃশ্বাস পড়তে থাকে। ইংরেজিতে একে বলে short breath. - কুকুরকে যখন খাবার দেওয়া হয় তখন কুকুর ভাবে মানুষ আমাদের দেবতা। আর বিড়ালকে যখন খাবার দেওয়া হয় তখন বিড়াল ভাবে তারা মানুষের দেবতা।
নিঃসঙ্গ ধরনের মানুষ সঙ্গ থেকে নিষ্কৃতি বা অব্যাহতি চায়। আমিও তেমন একজন মানুষ। নিঃসঙ্গ মানুষের চিন্তাভাবনা অন্যরকম হয়। তারা অসম্ভব অসম্ভব বিষয় কল্পনা করতে পারে; যা তাদের অন্যরকম অনুভূতি দেয় এবং অন্য জগতেও নিয়ে যায়।
ইতোপূর্বে মিসির আলির 'নিষাদ'-এ প্যারালাল ইউনিভার্সের ব্যাপারে পড়েছিলাম। সেখানে কোন বিড়াল যুক্ত ছিল না। এবার 'পুফি' এসেছে। তাই সম্পূর্ণ আলাদা বললে ভুল হবে!
বেশিদিন হয়নি 'নিষাদ' পড়েছি। তাই না চাইতেও তুলনা এসে পরছে। কিন্তু কোন অদ্ভুত কারণে দুটো বই-ই আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে।
হুমায়ূন আহমেদের "পুফি" উপন্যাসটি মিসির আলি সিরিজের একটি অদ্ভুত এবং রহস্যময় গল্প।
কাহিনী সংক্ষেপ: আবুল কাশেম জোয়ার্দার একজন এজি অফিসের বড় কর্মকর্তা। ছোটবেলার একটি দুর্ঘটনার কারণে তিনি পশু-পাখি পছন্দ করেন না।তার মেয়ে অনিকা জন্মদিনে একটি বিড়াল উপহার পায়, যার নাম পুফি।এই বিড়ালকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন রহস্যময় ঘটনা ঘটতে থাকে।
পরামর্শ: পুফি নামের কারণে বিভ্রান্ত হয়ে শিশুদের জন্য বইটি কিনবেন না। এই উপন্যাসটি শিশুতোষ নয়, বরং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।যাদের ব্যাখ্যাতীত জগত নিয়ে আগ্রহ আছে, তাদের জন্য এই উপন্যাসটি বিশেষভাবে উপযোগী।
বছর চারেক পর হুমায়ূন আহমেদ পড়লাম। এক বসাতেই পড়লাম। এতে দায় অবশ্য তাঁর সহজ বাক্যগঠন। পুফি গল্পটা মিসির আলীর। না ভুল হলো। আসলে পুফি বেড়ালটির। পুরো গল্পে সে বিরাজমান। অথচ পাঠক দ্বন্দ্বে পড়বেন ৭০ পৃষ্ঠার পর। অদ্ভুত একটা গল্প।
খুব আহামরি ভালো লাগেনি। বইয়ের কনটেন্ট একটু বেশি হওয়ায় ভালো লাগছে। দিন শেষে কেনো জানি হুমায়ূন আহমেদের কাছেই ফিরে আসি। গল্পে একদম ভালো কিছু না থাকলেও বইয়ের মধ্যে পাঠককে ধরে রাখার ক্ষমতা উনার ছিলো।
অদ্ভুত একটা কারণে বইটা খুব ভাল লাগলো। শেষ এর দিকে মাথা ঝিম ধরে গেল এটা কি সপ্ন না বাস্তবটা!!!
- কুকুরকে যখন খাবার দেওয়া হয় তখন কুকুর ভাবে মানুষ আমাদের দেবতা। আর বিড়ালকে যখন খাবার দেওয়া হয় তখন বিড়াল ভাবে তারা মানুষের দেবতা।(এই লাইন এর সাথে আমি একমত হতে পারলাম না 😬)
-নিকোটিনে যারা অভ্যস্ত তাদের সিগারেট দেখলেই ঘন ঘন নিঃশ্বাস পড়তে থাকে। ইংরেজিতে একে বলে Short breath.
৫ তারা দিতাম, বদরুল সাহেব নিয়ে একটা প্লটহোলের জন্যে ৪ দিলাম, অবশ্য এত অসাধারণ কনসেপ্ট আর জটিল প্লট আনলে প্লটহোল আসবেই। হুমায়ুন স্যারের লেখা পড়ি আর অবাক হই..অবাক হতেই থাকব। "একজন এত অসাধারণ প্লট কীভাবে ভাবতে পারেন?!"
আগে পড়েছিলাম কিনা সঠিক মনে নেই, তবে গতকাল পড়লাম।
আধিভৌতিক ধারার বই, ব্যাখাতিত ঘটনাবলি, হালাকা সাই ফাই ধারণাপ্রসূত। ঘটনার শেষে মিসির আলী চলে আসায় বিরক্ত লেগেছে, ঘটনা মূল কলাকুশলীদের দ্বারা শেষ হলেই ভালো লাগতো বেশি। আর বরাবরের মতই পাগলাটে সব চরিত্রের সমাগম মন্দ লাগেনি। জোয়ারদার সাহেবের শালার ভাবভঙ্গিতে মেজাজ গরম হয়েছে অত্যান্ত বেশি। আর শায়লার উচিত ছিল আরও আগেই কিছু করার চেষ্টা করা।
সামগ্রিকভাবে মোটামুটি লেগেছে বইটা, খুব আহামরি কিছু নয়, একদম জঘন্যও নয়। :)
পুফি নিয়ে রিভিউ লিখতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তাই জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। পড়তে পড়তে একটু গোলকধাঁধায় হারাতে হবে। মিসির আলি'র বাকি বইগুলোতে মোটামুটি শুরুর দিকেই মিসির আলির আবির্ভাব ঘটলেও ‘পুফি’তে উনার আগমন গল্পের মধ্যে দিকে। শুরুতে মনে হবে নরমাল কোন উপন্যাস। বাট ধীরে ধীরে একটা আলাদা জগতের মধ্যে পাঠক নিজেকে আবিষ্কার করবে। কিন্তু সেই আলাদা জগতটা আসলে কার? শায়লা, জোয়ার্দার নাকি পুফির? 😉
আচ্ছা,আপনি ডাবল রিয়্যালিটি বিষয়টা কিভাবে দেখেন? আজগুবি নাকি বাস্তবে সম্ভব হলেও হতে পারে? যাইহোক, সেটা আমি আপনার উপর ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু, "পুফি" পড়তে গেলে আপনি নিজের কাছ থেকে ছাড় পাবেন বলে আমার মনে হয় না। ডাবল রিয়্যালিটি নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেনই হবেন।
"পুফি" শেষ করার পর এতোটুকুই বলতে পারি যে, একটা চমৎকার বই শেষ করলাম। এর বেশি কি বলতে পারি! এই বইয়ে একটা গল্প আছে, বুঝলেন? জন স্মিথের গল্প। আমার এতোই ভালো লেগেছে যা বলার বাইরে। জন স্মিথের গল্পটার কথা বললাম বলে আবার এটা মনে করবেন না যে আমার মূল গল্পটা ভালো লাগে নি। সবটাই সুন্দর। পড়ে ফেলুন। নি:সন্দেহে ভালো লাগবে। এতোটুকুই বলবো।
Kinda loved it ! The beginning was hilarious and then shit went zero to one hundred real quick for a cat ! I love cats then there's a plot twist and finally misir Ali solved a case after so many books!
আমি জানি না কেন, এই বইটা আমার পড়তে খুব মজা লাগে। খুবই আজগুবি কাহিনী, তেমন ডেপ্থও নাই বলা চলে। কিন্তু ঐ যে মলেস্টার মামা না চাচা, সেই ব্যাটাকে ভয় দেখানোটা নাইস ছিলো 😂
মিসির আলির বইতে মিসির আলির আরো বেশি সময় বা প্রভাব আশা করেছিলাম। আর বইয়ের পরিণতিতেও খুব একটা সন্তষ্ট হতে পারি নি। আরো সুন্দর ভাবে হয়ত শেষ করা যেত বইটা। 3.5 স্টার দেয়ার সুযোগ থাকলে তাই দিতাম।
আমার পড়া মিসির আলি সিরিজের অন্যতম সেরা বই। বইয়ের প্রায় শেষে এসে মিসির আলির আগমন হয়েছে। মিসির আলির অন্যসব বই থেকে এটা অনেক ক্ষেত্রেই আলাদা। স্বাভাবিকের চেয়ে ম্যাচিউর কন্টেন্ট বেশি। গল্পের মেইন আইডিয়া মিসির আলির অনেক বইয়ে আগে আসলেও এবারের রিপিটেশন আগেরবারের মত একঘেয়েমি ভাব আনেনি। এই প্রথম মিসির আলির গল্পে মিসির আলি ছাড়া অন্য ক্যারেক্টারকে বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে আমার কাছে। এটা যদি মিসির আলি সিরিজের শেষ গল্প হত তাহলে একটা ভাল স্বাদ নিয়ে মিসির আলি শেষ করা যেত।
বইয়ে কিছু ভারী শব্দের ব্যবহার থাকায় খুব ছোট বয়সের বাচ্চাদের পড়া ঠিক হবে না। তবে বড় কেউ যদি এইসব শব্দের জন্য বইকে বাজে বলে আখ্যায়িত করে থাকে তাহলে সেটা খুবই দুঃখের ব্যাপার হবে। হুমায়ুন আহমেদের "দাঁড়কাকের সংসার..." এর মত বইয়ের কাছে এটা কিছুই না। যাহোক, এই বইয়ের বাজে রেটিং এর জন্য এত পরে পড়া হল। গুডরিডসে রেটিং এর সমস্যাটা হুমায়ুন স্যারের বই পড়তে গিয়ে বিশেষভাবে চোখে পরল।
বি.দ্রঃ মানুষের সাহিত্য টেস্টে তফাত থাকবে এতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু আমার মতে গুডরিডসে কতিপয় কয়েকজন আছে যারা একটু অবাক করার মত কাজ করেন। স্বাদে তফাত থাকবে এতে সমস্যা নেই তবে এরা যখন "নন্দিত নরকে", "অচিনপুর" জাতীয় ইউনিক বইগুলোর বাজে ফিডব্যাক দেয়ার পাশাপাশি মিসির আলি সিরিজের খুবই টিপিকাল/বাজে প্লটের অতিরিক্ত বাহবা দেয়, ৫ স্টার রেটিং দেয় তখন কষ্ট লাগে। কষ্ট লাগে এই কারণে যে এদের কারণে নিউট্রাল মাইন্ড নিয়ে পড়তে আসা আমার মত কিছু লোক প্রতারিত হয়। একটা বাজে স্বাদ মুখে নিয়ে বই পড়া শেষ করা লাগে। ভাল বইয়ের রেটিং কম অন্যদিকে বাজে বইয়ের রেটিং আকাশ্চুম্বী। হতাশা।
এই বইটাকে অনেকদিন ধরে জমিয়ে রাখছিলাম। পড়ি পড়ি করে আর পড়া হয়ে ওঠেনি। সেদিন কি ভেবে হাতে নিলাম আর পড়াও হয়ে গেলো। আর সেই সাথে মিসির আলী সিরিজটাও কম্প্লিট হয়ে গেলো। টিন এজে হিমুকে প্রচন্ড ভালো লাগলেও বয়স যতোই বেড়েছে মিসির আলীকে নিয়ে লেখা রহস্য উপন্যাসগুলো ততোই পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
এই বইটাতে মিসির আলীর আগমন ক্ষনকালের জন্য। এখানে তার উপস্থিতিটা অনেক জটিল একটা সমস্যার সহজ সমাধানের উদ্দেশ্যে। গল্পের শুরুটা খুবই সাদামাটা ধরনের হলেও ঘটনা পরিক্রমায় খুবই ইন্টারেস্টিং হয়ে উঠেছে। অনেকটাই প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের মতো ব্যাপার স্যাপার। যেহেতু মিসির আলী যুক্তিবাদী মানুষ সেহেতু যুক্তির ভেতরে থেকেই শেষ হয় রহস্য। পুরোটা গল্পই একটা বেড়ালের জীবনের সাথে বাধা। মিসির আলী সমাধানের জন্য যে গল্পের রেফারেন্স টেনেছেন, ধারনা করছি লেখক সেই জন স্মিথ আর কুকুরের গল্প পড়তে গি��়েই হয়তো এই গল্পের প্লট চিন্তা করেছেন! কিন্তু আফসোসের বিষয় এই যে সেটা জানবার কোন পথ নেই!
আমার পড়া মিসির আলীর সুন্দর বইগুলোর মধ্যে এটা একটা। গল্পের নাম পড়ে এটা বাচ্চাদের বই ভাববেন না, কারন এটা বাচ্চাদের বই না। মিসির আলীর সব বই পড়ে ফেলেছি এই ব্যাপারটা ঠিক হজম হচ্ছে না। হয়তো কোন একদিন অলস দুপুরে আবারো হাতে নিয়ে বসবো মিসির আলীর কোন একটা বই। আবারো হয়তো হারাবো ব্যাখ্যাতীত কোন রহস্যের জালে!
ভূমিকায় যখন পড়েছিলাম এটা শিশুতোষ বই না, ভেবেছিলাম হয়ত অতিপ্রাকৃত কিছু আছে, কিন্তু নাহ্ এ অন্য জিনিস। সত্যি বলতে কি মাথা আমার ঝনঝনিয়ে গেলো।কি হচ্ছে না হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এখনও মাথা ঝিমঝিম করছে।ঠিকমত বুঝে উঠতে পারিনি। শেষটা যেনো কেমন !
কাহিনী সংক্ষেপ : আবুল কাশেম জোয়ার্দার এজি অফিসের বড় কর্মকর্তা। বাল্যকালে কিছু দুর্ঘটনার দরুন তিনি পশু পাখি কিছুই পছন্দ করেন না, এবং এই দুর্ঘটনায় তাঁর এক বন্ধু মারাও যান। বর্তমানে তিনি তাঁর স্ত্রী, কন্যা নিয়ে সংসার করেন।তার কন্যা অনিকা জন্মদিনে বিড়াল উপহার পায়, তার নাম পুফি।এবার সমস্যা হল যখন কেউ বাড়িতে থাকে না তখন পুফির মতো দেখতে একটি বিড়াল জোয়ার্দার সাহেবকে দেখা দেয়।এমনকি তার মৃত বন্ধু জামালকেও তিনি তাঁর বাসায় দেখতে পান। কি অতিপ্রাকৃত কিছু মনে হচ্ছে তাইতো ? কিন্তু না, পুরোই উল্টো ব্যাপার। এই সমস্যার সমাধান মিসির আলি বার করেন।
জোয়ার্দার সাহেব ছোটবেলায় কাকের ঠোকর খেয়ে জখম হয়েছিলেন। তার বন্ধু ছোটবেলায় কুকুরের কামড়ে মারা যায়। এসব কারণেই তিনি জন্তুজানোয়ার দেখতে পারেন না। তবে ঘটনা শুরু হলো সেই অবস্থা থেকে যখন তার খুব আদরের মেয়ে অনিকা জন্মদিনে একটি বিড়াল উপহার পায়। এই পুফি নামের বিড়ালকে ঘিরেই হুমায়ুন আহমেদ লিখেছেন তার 'মিসির আলী' সিরিজের এই উপন্যাসটি। বেশ মজার লাগছে। অনেকদিন পর মিসির আলী সিরিজের কোনো বই পড়ে ভাবা শুরু করলাম, দুইবছর আগে এভাবে ভেবে ভেবে মিসির আলী পড়িনি বলেই মনে হয় এখনও পাগল হয়ে যাই নাই। যদি মিসির আলী ভেবে ভেবে পড়া শুরু করি তাহলে হয়ত সামনের এক সপ্তাহেই আমাকে কোনো সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো লাগবে। বইটি পড়ে অনেকদিন পর 'লেবেনডিস' শব্দটা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করলাম।
জোয়ার্দার সাহেবের ব্যাপারে মিসির আলী খুব সুন্দর একটি বিষয় লিখেছেন যেটি হয়ত অনেকেই ভুলভাবে নিয়েছেন। বা ধরতে পারেননি। পুফি যারা পড়েছেন তারা আরো ভালো রিলেট করতে পারবেন। জোয়ার্দার সাহেবের বস ছিলেন বরকতউল্লাহ। বরকতউল্লাহ আরো উচ্চ পদে যাওয়ার জন্য অনেক টাকাই খাওয়াইছেন অনেককে। আর জোয়ার্দার সাহেব অনেক সৎ। বরকতউল্লাহ সাহেব অনেক টাকা খাইয়েছেন। তবে তার প্রমোশন না হয়ে প্রমোশন হয়েছে জোয়ার্দার সাহেবের যিনি কি না একটি কলম পর্যন্ত ঘুষ হিসেবে নেন নাই। বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত অফিশ করেছেন। আপনার মনে হতে পারে অবশেষে দূর্নীতি হেরে গেছে। সত্যবাদিতা জিতে গেছে। ব্যাপারটা এমন না। জোয়ার্দার সাহেবের কারণে অনেকেরই ফাইল পাশ হতো না, ফাইলে ঘাপলা থাকার কারণে। প্রমোশন হয়ে যাওয়াই সেই ফাইলগুলোর দায়িত্বে নতুন যে আসবে সে জোয়ার্দার সাহেবের মতো সৎ লোক না, ফলে ঘুষ খেয়ে পাশ করে দিবে। অন্যদিকে জোয়ার্দার সাহেবের এখন কাজই হলো এসির বাতাস খাওয়া।
বইয়ে থাকা আমার ভালো লাগার ও মজার কিছু কথা অ্যাটাচ করে দিচ্ছি। একটা আইডিয়া পাবেন এখান থেকে কন্টেন্টের বিষয়ে।
• মৃত্যু আশ্চর্য ব্যাপার। মানুষের বয়স আটকে দেয়। • এগারোটা বাজা মাত্রই ডিভিডি প্লেয়ার বন্ধ করে দেন বলে কোনো ছবিরই তিনি শেষটা দেখতে পারেন না। ছবির শেষটা না দেখে সামান্য অতৃপ্তি নিয়ে তিনি ঘুমোতে যান। [এটা নিয়ে আমার কথা হলো কোনো মানুষই এত ধৈর্য্যশীল বা নিজেকে অতুষ্ট রাখতে পারে?] • পুরুষ মানুষকে বিশ্বাস করা আর শকুন বিশ্বাস করা একই। • আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমাদের যখন গুছিয়ে কথা বলার দরকার তখন টেলিগ্রাফের ভাষায় কথা বলি। আর যখন সারসংক্ষেপ বলা দরকার তখন পাঁচ শ পৃষ্ঠার উপন্যাস শুরু করি। [হক কথা] • বুড়োদের সব আলোচনাই রাতের ঘুম, রক্তের সুগার এবং ব্লাড প্রেশারে সীমাবদ্ধ। তাদের জগৎ ছোট হয়ে এই তিনে এসে থেমেছে। • - উঠানে ধান ছিটিয়ে রাখলে কাক আসে। আসে না? - হুঁ। - দোষ তো কাকের না। দোষ যে ধান ছিটিয়েছে তার। • অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হায়ার লেভেল গর্দভ চায়। • [ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে প্যাঙ্গুয়েনদের নানা কীর্তিকলাপ দেখতে দেখতে] জোয়ার্দার নিজের মনেই বললেন, ঘটনা কী? বরকতউল্লাহ বললেন, এরা ডিম পাহারা দিচ্ছে। জোয়ার্দার বললেন, ও আচ্ছা। বরকতউল্লাহ বললেন, এসব প্রোগ্রাম মন দিয়ে দেখতে হয়। জি জি। ডিম পাহাড়া দিচ্ছে পুরুষ পেঙ্গুইনরা। ও আচ্ছা। ওদের সোসাইটিতে এটাই নিয়ম। জোয়ার্দার বললেন, ইন্টারেস্টিং। বরকতউল্লাহ বিরক্ত গলায় বললেন, ইন্টারেস্টিং কিছু না। প্রাণীদের ভিন্ন ভিন্ন নিয়মে চলতে হয়। • মন দিয়ে শোনো। উত্তেজনা একটু কমাও। উত্তেজিত অবস্থায় মানুষ লজিক ধরতে পারে না। আমার লজিক তুমি ধরতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। • সব মানুষের কৌতুহল এভারেস্টের চূড়ার মতো। • বিড়াল ইঁদুর ধরে সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলে না। অনেকক্ষণ তার সঙ্গে খেলে, তারপর মারে। • সুন্দর মিথ্যা কিন্তু সত্যের চেয়েও ভালো। • ম্যাজিশিয়ানের সহকারী মেয়েটির পোশাক যথেষ্ট উগ্র। জোয়ার্দারের মনে হলো, ঢাকা শহর অতিদ্রুত বদলাচ্ছে। অল্প কিছুদিন আগেও কোনো বাঙ্গালি মেয়েকে এই পোশাকে ভাবা যেত না। • টাকাওয়ালা মানুষের এদেশে কোনো সমস্যা হয় না। • [ছাত্র-ছাত্রীদের] সালামের মধ্যে ভক্তির চেয়ে ভয় ভাব প্রবল থাকে। • সন্ধ্যা থেকে ঢাকা শহরে বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া। বঙ্গোপসাগরে ডিপ্রেশন হয়েছে। মানুষ তার ডিপ্রেশন অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারে না, সাগর পারে। সাগর তার ডিপ্রেশন স্থলভূমিতে ছড়িয়ে দেয়।
হুমায়ুন আহমেদের একটা কথার সাথে আমি তীব্র দ্বিমত পোষণ করতে চাচ্ছি। তা হচ্ছে - রাক্ষসীকে সাজতে হয় না। তবে মিসির আলী সিরিজের অন্যান্য সিরিজের মতো এখানেও কাহিনির উপসংহার টানা হয় নাই। আর ঘটনা পুরো আউলায়া যায় শেষের দিকে। কীভাবে আউলায় তা হয়ত আপনি ভাবতেও পারবেন না।
একটা ধবধবে শাদা বিড়াল। লেজটা কুচকুচে কালো। অন্য বিড়ালদের সঙ্গে তার কোনো তফাৎ নেই। সে আরাম করে সোফায় শুয়ে ঘুমায়। হাই তুলতে তুলতে টিভিতে হিন্দি সিরিয়াল দেখে। তার প্রিয় সিরিয়াল "ইহা মে ঘর ঘর খেলি।"বিড়ালটার একটাই সমস্যা, ক্যামেরায় তার ছবি আসে উল্টা, মিরর ইমেজ।
জোয়ার্দার সাহেব পশুপাখি পছন্দ করেন না। জন্মদিনে অনিকার মামা একটা বিড়াল গিফট দেয়। বিড়ালটা কুচকুচে কালো, লেজটা সাদা, মাথায় সাদা স্পট আছে, অনিকা নাম রেখেছে পুফি।
পুফি বাসায় না থাকলে তার মত অবিকল আরেকটা বিড়াল এসে হাজির হয়, পুফির ডান চোখে সাদা দাগ থাকলেও এটার বাম চোখে সাদা দাগ।
কিন্তু বিড়ালটা আসার পর থেকে জোয়ার্দার সাহেবের জীবন এলোমেলো হয়ে যায়, যখন তিনি বাসায় একা থাকেন তখন অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে। মৃত মানুষকে তার ঘরে হাঁটাচলা করতে দেখেন, ছোটবেলার এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া তার বন্ধু জামাল প্রায়ই তার বাসায় আসে, তার অফিসের কলিগ যে কিনা হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিল, সেও প্রতি রাতে তার সাথে বসে মুভি দেখে।
এগুলো দেখে জোয়ার্দার সাহেব শায়লা নামের এক সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরনাপন্ন হন। কিন্তু শায়লা ও এর আগে এমন সমস্যা কখনো দেখেননি, তাই তিনি ছবি তুলে আনতে বলেন। জোয়ার্দার সাহেব মৃত মানুষদের ছবি তুলেতে সক্ষম হন, কিন্তু শায়লা দেখেন সবগুলো ছবি আয়নার প্রতিচ্ছবির মত উল্টো। তিনি কোনো সমাধানে তো পৌঁছতে পারেননি, উল্টো জড়িয়ে পড়েন বিড়ালের গোলক ধাঁধায়, শরনাপন্ন হন মিসির আলির।
কিন্তু হঠাৎ করেই সবকিছু উল্টে যায়, বিড়ালটার কি ডানচোখে স্পট ছিল না কি বাম চোখে তা নিয়েই ভাবতে থাকেন শায়লা ও জোয়ার্দার। নতুন এক অদ্ভুত জগৎ উপস্থিত হয় তাদের সামনে, কিন্তু সেই জগৎটা কার পুফির, শায়লার নাকি জোয়ার্দার এর ।
পাঠ প্রতিক্রিয়া হুমায়ূন আহমেদের গতানুগতিক ধারার উপন্যাস থেকে এটা একটু আলাদা। বইটির নামকরণেও লেখক ‘ফুপি’ নামটি উল্টো করে লিখেছেন “পুফি” যেটা বইটির ভেতরের কন্টেন্ট এর প্রতিফলন বলা যায়।
গল্পের মূল চরিত্র জোয়ার্দার কিছুটা হিমুর ফ্লেভার দিবে। পুরো গল্পজুড়ে জোয়ার্দার মেইন ক্যারেক্টার হিসেবে থাকলেও শেষে গিয়ে দেখা যায় পাঠকের মাথার সাথে সাথে মেইন ক্যারেক্টারও ঘুরে যায়। হুমায়ূন আহমেদ পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেন Self created reality অথবা Double reality র সাথে । এটা এটা এমন একটা ব্যাখ্যার অতীত এক জগৎ যা বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবতার খুব কাছাকাছি যা বইয়ের শেষে পাঠককে দ্বন্দ্বে ফেলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। উপন্যাসটির অপ্রত্যাশিত সমাপ্তি , টাইম প্যরাডক্স আর দ্বৈত বাস্তবতার বিষয়টি একে অন্য সব উপন্যাস থেকে আলাদা করে তুলেছে। তবে গল্পে কিছু প্লট হোল ছিল ছিলো এবং পাঠক হিসেবে আপনি হয়তো আরেকটু ভালো সমাপ্তি আশা করবেন এছাড়া বাকি সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। তবে ঘটনার ফ্লো পাঠককে এমনভাবে আটকে রাখে যে এটা আপনি একবারে পড়ে শেষ না করে পারবেন না। তাহলে আর দেরি কিসের পড়ে ফেলুন “পুফি” আর ডুব দিন টাইম প্যরাডক্স এর অন্য এক জগতে।
বুক রিভিউ: পুফি ধরন : উপন্যাস লেখক : হুমায়ূন আহমেদ প্রকাশনী : অনন্যা আমার রেটিং ৩.৮/৫
মানুষ নিঃসঙ্গ থাকতে থাকতে, একসময় এই নিঃসঙ্গতা একপ্রকার রোগ হয়ে যায়। নিজেকে একটু ভালো রাখতে, নিজের চিন্তার জগৎে এমন এমন সব জিনিস গড়ে তোলে যা বাস্তবের সাথে মিল নেই বা বাস্তবের সাথে মিল রেখে একটু এদিক-ওদিক করে। গল্প শুরু হলো জোয়ার্দার সাহেব আর তার পরিবারকে নিয়ে, শেষটা হলো শায়লা আর মিসির আলীকে দিয়ে। মিসির আলীর আগমন এতো দেরীতে হলো যে, বুঝতেই পারিনি এটা মিসির আলী সিরিজের বই। কাহিনীর শেষটা একটু বেশীই সুন্দর ছিলো। আর পুফির জন্য খারাপ লাগছে অসম্ভব!!
কপ করে গিলে ফেলার মতো এক বসায় পঠনযোগ্য হালকা মেজাজের উপন্যাস যেটা পড়ার পরদিনই তার আগা-মাথা-কচু-হাতি-ঘন্টা ভুলে বসে আছি। কখন পড়েছি? বই পড়তে পড়তে যখন পড়ার মন পাচ্ছিলাম না।
“আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমাদের যখন গুছিয়ে কথা বলা দরকার তখন টেলিগ্রাফের ভাষায় কথা বলি। আর যখন সার সংক্ষেপ বলা দরকার তখন পাঁচ শ পৃষ্ঠার উপন্যাস শুরু করি।” ―হুমায়ূন আহমেদ-পুফি
পুফি" বইটা এক বসায় শেষ করলাম। বইটার নাম দেখে মনে করেছিলাম বইটি শিশুতোষ/শিশু সাহিত্য। বইটি যে বিখ্যাত "মিসির আলী " সিরিজের সেটা মোটেও বুঝতে পারিনি। অবশ্য বইটিতে মিসির আলী চরিত্রের ভূমিকা ছিলো খুবই সংক্ষিপ্ত। বইটির কাহিনী ও প্লট প্যারাসাইকোলজিক্যাল বিষয়ের উপর গড়ে উঠেছে। জোয়ার্দার নামক একজন নিপাট ঝামেলাহীন ভদ্রলোকের স্ত্রী "সুলতানা" আর মেয়ে "আনিকা" ও তার বিড়াল "পুফি" কে নিয়ে গল্প এগিয়েছে।জোয়ার্দার সাহেবের সাথে ফাকা বাসায় অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটতে থাকে।তিনি তার পরিচিত মৃত মানুষদের কে দেখেন এবং তাদের সাথে সময় ও কাটান।মৃত মানুষদের সাথে একসময় যোগ হয় এক বিড়াল যার নাম তিনি দিয়েছেন "কুফি"।। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন যে মৃত মানুষদের সাথে ফাকা বাসায় সময় কাটানো ও কুফি নামক বিড়াল টা তার মস্তিষ্কের একটা কল্পনা। জোয়ার্দার সাহেব নিজের মানষিক ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য শরণাপন্ন হন তার সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে ভেঙ্গে যাওয়া সাইকিয়াট্রিস্ট শায়লার কাছে। এখান থেকেই গল্পের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র যুক্ত হয় সাইকিয়াট্রিস্ট শায়লা। এখান থেকেই দ্রুততার সাথে গল্প ভিন্নদিকে মোড় নিতে থাকে।জোয়ার্দার সাহেবের ট্রিটমেন্ট করতে গিয়ে ডাক্তার শারমিন আবীষ্কার করেন যে তিনি নিজেই মানষিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন,।।এখানেই মিসির আলী যুক্ত হন গল্পের মাঝে।