এক প্রতিভাবান বিজ্ঞানী কবির চৌধুরী কাপ্তাই শহরের কাছে একটা পাহাড়ের ভেতর আলট্রা সোনিকস (অতিশব্দ) এবং অ্যান্টি-গ্র্যাভিটি নিয়ে গোপন গবেষণা করছিলো। কাপ্তাই বাঁধ তৈরির ফলে বিশাল লেকের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে পাহাড়টা। তাই সে সিদ্ধান্ত নিলো পাকিস্তানের কোনো শত্রু দেশের (ভারত) সরবরাহ করা শক্তিশালী ডিনামাইট ফাটিয়ে উড়িয়ে দেবে বাঁধটা। আর সেটা ঠেকানোর দায়িত্ব পড়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট মাসুদ রানার উপর।
কাজী আনোয়ার হোসেন ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন। ডাক নাম 'নবাব'। তাঁর পিতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও সাহিত্যিক কাজী মোতাহার হোসেন, মাতা সাজেদা খাতুন। কাজী আনোয়ার হোসেন সেবা প্রকাশনীর কর্ণধার হিসাবে ষাটের দশকের মধ্যভাগে মাসুদ রানা নামক গুপ্তচর চরিত্রকে সৃষ্টি করেন। এর কিছু আগে কুয়াশা নামক আরেকটি জনপ্রিয় চরিত্র তার হাতেই জন্ম নিয়েছিলো। কাজী আনোয়ার হোসেন ছদ্মনাম হিসেবে বিদ্যুৎ মিত্র নাম ব্যবহার করে থাকেন।
যা-ই বলুন না কেন, মাসুদ রানার সূচনটা কিন্তু ধুন্ধুমারই ছিল। অনেক দিন বাদে বইটা আবারো পড়লাম। প্রথম পড়েছিলাম ক্লাস সেভেন-এইটে থাকতে, লুকিয়ে। সেজন্যেই এবারে আয়েশ করে পায়ের উপর পায়ে পা তুলে যখন পড়ছিলাম, মনে হচ্ছিলো বড় হয়ে গেছি। (অনুভূতিটা বিশেষ সুখকর নয়)। যাইহোক, লিখনশৈলী আর রচনাকালের জন্যে এক তারা বেশি দিলাম।
বাংলা সাহিত্যে মাসুদ রানার পদার্পণ কতটা রাজকীয় ছিল তা এই বইটা পড়লেই বোঝা যায়। এর কাহিনী এতটাই আধুনিক ছিল যে, পড়লে বোঝাই যায় না এই বইটা ষাটের দশকে লেখা!
[সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিঃ ইহা কোনো পূর্ণাঙ্গ রিভিউ নয়, বহুলাংশে স্মৃতিকাতরতা!]
স্কুলজীবনের গুটিকয়েক বন্ধুদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা এবং ভৎসনা দুটোই সমানভাবে প্রযোজ্য। কৃতজ্ঞতা জানাবো জোর করে 'তিন গোয়েন্দা' হাতে গুছিয়ে দেওয়ায় - [ শর্ট নোটঃ বন্ধু তাফসীর ওর লতাপাতায় দূর সম্পর্কের মামার দোকান থেকে 'মাগনা'য় তিন গোয়েন্দা/ মাসুদ রানা/ হ্যারি পটারের বাংলা অনুবাদ ধার নিয়ে পড়ত। তাফসীরের বদৌলতেই ''তিন গোয়েন্দা'' পড়ে আমি জীবনে প্রথম এড্রেনালিন রাশের স্বাদ পেলাম। আহা! এখনো সেই সুখকর অনুভূতির কথা ভাবতেই শরীরে কুয়াশামেঘাবৃত ওমের স্পন্দন পাই। পরবর্তীতে, আমি নিজেই পনেরো-বিশ টাকায় পুরানো কপি কিনে পড়তাম। আমাদের মফস্বল শহরে তখন পুরানো বইয়ের দোকান একটাই, এখনো বোধহয় সেই একটাই আছে, তবে তাক ভর্তি অনার্স মাস্টার্সের গাদাগাদা বইয়ের মেলা। তখনো অনেক খুঁজেটুজে পুরানো কপি বের করা লাগত। ] - আর ভৎসনার কারণও এই ব্যাটা তাফসীর। আমি যখন জিজ্ঞেস করতাম ''মাসুদ রানার গল্পগুলো কি নিয়ে রেহ?'' - ব্যাটা নীচের ঠোঁটটা দাঁত দিয়ে চেপে ধরে এমন একটা অশ্লীল ইঙ্গিত করে বলত ''উম্মম মাম্মাহহহ ...মজা...মজা '', সেইটা দেখে আমি পড়ার বিশেষ উৎসাহ পেতাম নাহ। অবশ্য পরে কিছুটা খোলাসা করে বলেছিল ''ভালো জিনিস...এজেন্ট টাইপ... অগ্নিপুরুষ আর আই লাভ ইউ ম্যান সেরা সেরা..পড়ে দেখিস...''। বন্ধু টুইঙ্কেলও ততদিনে তিন গোয়েন্দা/ মাসুদ রানা ছাড়পোকা হয়ে কাটাকুটি শেষে হ্যারি পটারে মুখ ডুবালো, আর মাঝে মাঝে মুখ তুলে বলত '' এখনো মাসুদ রানা শুরু করিস নাই? ...পড়িস...পড়িস '' [ এই ফাঁকে টুইঙ্কেলও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখি ফেলুদার গল্প পড়তে প্রচণ্ড চাপাচাপি করার জন্য! ] কিন্তু সময়-সুযোগের যোগ-সংযোগ হল না। এত বছর পর ওদের সেই পড়ে দেখাটাকে আমি আজকে পূর্ণতা দান করলাম। শান্তি লাগতেসে!
মাসুদ রানা সাথে প্রথম মোলাকাত এচিভমেন্ট আনলকড টাইপের মত ব্যাপারস্যাপার। যদিও প্রথম মোলাকাতে মাসুদ রানার দূর্ধর্ষতা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারলাম না। তবে, সত্তুর দশকের শন কনারির জেমস বন্ড চলচিত্রের 'মিশন শেষ, খোদা হাফেজ' টাইপের হুটহাট সমাপ্তিটায় নাক কুঁচকাতে বাধ্য হলাম। সাথে মাসুদ রানার কিয়দংশ কিংবা বহুলাংশ ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিসের বেস্ট ম্যান জনাব জেমস বন্ডের আদলে গড়া সেই টপিকে এতদিনে গুণী পাঠক সমাজ কয়েকটা থিসিস পেপার পাবলিশ করে ফেলেছেন। তাই ওমুখো হয়ে খামাকো শব্দের অপচয় করব না। এইসব মিল নিয়ে আমার অযথা মাথাব্যাথা নেই, বরং দেশি ফ্লেভারটাই কাচ্চি ভাইয়ের মাখন 'কাচ্চি খাদক' ফিল দিলো! ভবিষ্যতে আরো বিপদসংকুল জমজমাট এডভেঞ্চার হবে সেই প্রত্যাশাই রাখি। লং ওয়ে টু গো।
[ বই পড়ার বয়স-সীমা না থাকলেও আমেজ-সীমা আছে বৈ কি! ভেবে দেখলাম স্কুলকালে বইটা পড়লে প্রতি পাতায় কেমন কৈশোর সোনালী রোদের ঝাঁজালো উত্তেজনাটা বোধ হত। ইশরেহ! ভীষণ উষ্ণ অনুভূতিটা নীল তিমির পেটে চিরকালের জন্য হারিয়ে ফেলে দিশেহারা লাগতেসে - ]
মাসুদ রানার প্রথম বই, সে হিসেবে অভিযানও প্রথম। তখন পাকিস্তান আমল আর মাসুদ রানাও কাজ করেন পাকিস্তান ইন্টিলিজেন্সে। কাপ্তাই লেকে বাধের উদ্ভোদন হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে। কিন্তু কতিপয় দুষ্কতিকারী বাধ উড়িয়ে দিতে চায় ইন্ডিয়ান ইন্টিলিজেন্সের সহায়তায়। মাসুদ রানা অবতীর্ণ হয় উদ্ধারকারীর ভূমিকায়। কপাল ভাল বলতে হবে রানার। অনেকবার মরতে মরতে বেচে গেল।
ধ্বংস পাহাড় থেকে শুরু হয়েছিল বাংলার জেমস্ বন্ড মাসুদ রানার যাত্রা। সেবা প্রকাশনী বাংলা বইয়ের তরুণ পাঠকদের সাথে এই দুর্ধর্ষ গোয়েন্দার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুর্দান্ত, দুঃসাহসী স্পাই; গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশ-দেশান্তরে। বিচিত্র তার জীবন। অদ্ভুত রহস্যময় তার গতিবিধি। কোমলে কঠোরে মেশানো নিষ্ঠুর, সুন্দর এক অন্তর। একা। টানে সবাইকে, কিন্তু বাঁধনে জড়ায়না। কোথাও অন্যায়-অবিচার-অত্যাচার দেখলে রুখে দাঁড়ায়। পদে পদে তার বিপদ-শিহরন-ভয় আর মৃত্যুর হাতছানি।
মাসুদ রানার পেপারব্যাক বইয়ের ব্যাককাভারে এই কথাগুলো পড়লেই কেমন একটা শিহরণ জাগতো। এখন নস্টালজিক লাগে।
সারাজীবন জেনে এসেছিলাম কাজী আনোয়ার হোসেন মাসুদ রানার স্রষ্টা। বছর দুয়েক আগে জানলাম শেখ আবদুল হাকিম মাসুদ রানার ঘোস্ট রাইটার।
পাঁচ মাসের ব্যবধানে এই দুইজন মানুষই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিয়েছেন। দুজনের কাছেই বাংলার স্পাই থ্রিলারপ্রেমীরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।
বইয়ের দুনিয়ায় আমি নতুন-ই বলা চলে, খুব বেশি হলে ৬-৭ বছর। আবার এই শুরুটাও সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে হওয়ায় এবং বাসস্থান বইপড়ুয়া পরিবেশে না হওয়ায়, আমার শুরুটা হয়েছে হাতের কাছে যা পেয়েছি সেসব পড়েই। ফলে সাধারণত যেসব প্যাটার্ন মেনে বেশিরভাগ পাঠক বই পড়ে ( বলতে চাচ্ছি, রূপকথার গল্প বা তিন গোয়েন্দা বা হুমায়ূন আহমেদের বই পড়ার মাধ্যমে অনেকের বইয়ের দুনিয়ায় ভ্রমণ শুরু হয়), আমার ক্ষেত্রে তা হয় নি। যেজন্য এত কথা, যেসব পাঠক ধাপে ধাপে বইয়ের দুনিয়ার ভেতর প্রবেশ করে তারা সাধারণত অল্প বয়সেই ‘মাসুদ রানা'র সাথেও পরিচিত হয়। কিন্তু আমি যেহেতু ব্যতিক্রম (আরও অনেকের মতো) ফলে আমার সাথে এতদিন রা��ার পরিচয়ের সুযোগ হয় নি। না, একটু ভুল হলো। বেশ কিছুদিন আগে একবার একটা বই শুরু ( নাম মনে নাই) করেছিলাম কিন্তু আমার কোনো এক কৌতূহলী বন্ধু বইটা ���িজের মনে করে নিয়ে যাওয়ায় বইটা শেষ করা হয় নি। যাহোক, অবশেষে শুরু করা তো হলো!
বইয়ের প্লট নিয়ে একটু বলি। পাকিস্তান আমলে কাপ্তাইয়ে নির্মিত হচ্ছিল কাপ্তাই ড্যাম। ওদিকে আগে থেকেই ঐ অঞ্চলে গুপ্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নিয়োজিত ছিল কবীর চৌধুরী ও তার দলবল। ড্যামের কারণে তার গবেষণাগারের বেশ ক্ষতি হয় এবং অবশিষ্ট গবেষণাগারও ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়। কিন্তু উচ্চাকাঙ্খী এই বিজ্ঞানী তার এত বড় ক্ষতি মেনে নিল না। সে সিদ্ধান্ত নিল প্রতিশোধ হিসেবে পুরো কাপ্তাই ড্যামটাই ধ্বংস করে দেবে সে। কিন্তু এত বড় কাজ তো সে একা করতে পারে না, তাইতো সাহায্যের জন্য আবেদন করল পাকিস্তানের শত্রু রাষ্ট্র ভারতের কাছে। কিন্তু ভারত ড্যামের উদ্বোধনী দিনে রাষ্ট্রপতিসহ ড্যাম ধ্বংস করলেই সাহায্য করতে রাজি ছিল। অগত্যা রাজি হলো কবির চৌধুরীও। এদিকে এক ভারতীয় গুপ্তচরের কাজ থেকে পাওয়া এক চিঠির সূত্র ধরে সেই সময়েই চট্টগ্রামে হাজির হলো পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার অফিসার মাসুদ রানা। অচিরেই রানা ধরে ফেলল ষড়যন্ত্রটা। এবার মুখোমুখি হওয়ার পালা এক উচ্চাকাঙ্খী, ক্ষ্যাপা বিজ্ঞানীর।
মাসুদ রানার সাথে প্রথম পরিচয়টা বেশ ভালোই হলো বলা চলে। প্লটটা কাজী সাহেব দারুণ ফেঁদেছিলেন। দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে এবং শত্রু রাষ্ট্র সেখান থেকে ফায়দা তুলতে চায় – স্পাই থ্রিলারে আর কি চাই! কাপ্তাই ড্যাম তো সেই সময়ের ( বইয়ের প্রকাশকাল ১৯৬৬, ড্যাম নির্মিত হয় ১৯৬২) বহুল আলোচিত একটা বিষয় আর সাথে তৎকালীন জাতীয় শত্রু ভারতকে জুড়ে দিয়ে কম্বিনেশনটা ভালোই করেছিলেন লেখক। আর মাসুদ রানার অভিষেকটাও করেছেন রাজকীয়ভাবে। সাথে যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কবীর চৌধুরীর মতো এক ঠান্ডা মাথার ক্রিমিনালকেও এনেছেন তিনি। একজনের অনবরত ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো আর আরেকজনের বারবার সেই জাল কেটে বেরিয়ে আসার ব্যাপারটা ভালো লাগার মতোই। থ্রিলের কমতি ছিল না বইয়ে, ফলে ৮৫ পৃষ্ঠার ছোট বইটা শেষ করতে পেরেছি এক বসাতেই।
তবে কিছু ব্যাপার যে বড্ড বেশি সিনেম্যাটিক লেগেছে সেটাও বলতেই হয়। বিশেষ করে চার-চারবার রানার বেঁচে ফেরা অদ্ভুত-ই লাগে। ইয়াকুব ওকে না মেরে বাথরুমে লুকিয়েই বা কেন থাকল, কবীর চৌধুরীই বা কেন দ্বিতীয় সুযোগেও রানাকে বাঁচিয়ে রাখল, শেষদিকে চার হাত-পা বেঁধে রাখার পরও মুক্ত হওয়া, বোমা থেকে বেঁচে যাওয়া এসব আরকি। আর ডিনামাইটের কোড নেওয়ার ব্যাপারটাও ( ঐ যে রানাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে সুলতার কাছে থেকে কোড লিখিয়ে নেওয়া) কেমন কেমন যেন! অবশ্য এ বিষয়টা উপেক্ষা করা যায়-ই বইটার প্রকাশকালের কথা ভাবলে, কেননা ক'বছর আগেও তো আমাদের সিনেমায় এসব দেখাতো। আরেকটা ব্যাপারও চোখে লেগেছে। সেটা হলো সুলতার রানার প্রতি দূর্বল হওয়া। গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীকে এতটা ইমোশনাল মানতে একটু কষ্ট হয় বই কি!
যাহোক, মাসুদ রানার সাথে প্রথম সাক্ষাতে ওকে কেমন পেলাম সেটাও একটু লিখি। ওর সাথে আমার প্রথম সাক্ষাৎ সকালের নাস্তা করার টেবিলে। ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি লম্বা ২৬ বছরের হ্যান্ডসাম যুবক ৭ বছর ধরে কাজ করে পাকিস্তান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ( পিসিআই) এ। বাড়িতে রাঙার মা আর অফিসে বস রাহাত খানের স্নেহে ও পরিচর্যায় জীবন কাটায় সে। ওর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ওয়ালথার পি পি কে পিস্তলটি এবং প্রিয় গাড়ি জাগুয়ার এক্স কে ই। এখানেই পরিচিত হলাম ওর প্রথম প্রেম সুলতা রায়ের সাথে, যদিও পরিস্থিতি তাদের আলাদা হতে বাধ্য করে।
দেশিয় থ্রিলারের পথিকৃৎ এবং প্রকাশকাল বিবেচনায় একতারা বেশি দিয়ে দিলাম। স্কুল জীবনে পড়া হলেও, নতুন করে স্মৃতি তাজা করার জন্য মাসুদ রানার সাথে পাহাড় ধ্বংস করার মিশনে আবারও পুনর্মিলিত হতে পেরে ভালোই লেগেছে।
বাংলাদেশের পাঠক সমাজের প্রায় সবাই নাকি পাঠক হয়ে উঠেছেন মাসুদ রানার রোমাঞ্চকর ঘটনাবলী পড়ে। তাই মাসুদ সাহেবের প্রতি তাদের একটা আবেগ কাজ করে। আমি পাঠক হয়ে উঠি অনেক দিন পরে। কোন আবেগ ও কাজ করে না। এইবারই প্রথম মাসুদ রানা পড়লাম। আহামরি কিছুই না আসলে।মনে হয়েছে কোন জেমস বন্ড মুভির script পড়ছি। ফাইনাল পরীক্ষার পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে পড়তে খারাপ লাগেনি, তবে শুধু চাইছিলাম যেন জলদি জলদি শেষ হয়ে যায় ধ্বংস পাহাড়ের বৃত্তান্ত। শেষ দিকে এক জায়গায় ভালই খটকা লেগেছে। সুলতা দেবী ভারতীয় মিলিটারির একজন সদস্য অথচ তিনি সাঁতার জানেন না। মানে ক্যামনে ভাই?! ৩.৫/৫
অবশেষে মাসুদ রানা শুরু করেই ফেললাম। শুরু হিসেবে রাজকীয় আগমণ বললে ভুল হবে না। বাংলাদেশী প্রেক্ষাপটে এধরনের গল্পই আগে পড়েছি বলে মনে পড়ে না। প্রথম বই পড়ে মাসুদ রানাকে প্রচন্ড সাহসী একই সাথে ভাগ্যবান মনে হয়েছে। তবে গল্পে সুলতার অন্তর্ভুক্তির কোন গুরুত্ব অনুভব করতে পারি নি।
সেই কৈশোরে পড়া হয়েছিল প্রথম, ক্লাস সিক্সেই বোধহয়। এত বছর পরে আবার পড়লেও, আবেদন একটুও কমেছে বলে মনে হলো না।
তবে কৈশোরে যতটা পড়া হয়েছিল মুগ্ধতা নিয়ে, এবার পুরোটাই সমালোচকের তীক্ষ্ণ নজর বজায় রেখে। কাহিনির কিঞ্চিৎ মেলোড্রামা বাদ বাদ দিলে, সেই সময়ে, সেই ১৯৬৭ সালে কীভাবে এত স্মার্ট ভাষায় লিখতে পারলেন কাজীদা এই বই, ভাবলে যে কারও বিষ্ময় কাজ করার কথা। রচনাকাল গোপন রেখে বর্তমান প্রজন্মের কাউকে এই বই পড়তে দিলে তার পক্ষে বুঝাই সম্ভব হবে না এই বইয়ের বয়স ৫৭ বছর!
কালজয়ী লেখা তো একেই বলে!
ধ্বংস পাহাড়'এর মাহাত্ম্য তাই কাহিনির বুনট, থ্রিল,, রহস্যের জটিলতা এসব দিয়ে বিবেচনা যারা করেন, তারা নিশ্চিতভাবেই ভুল করেন।
এখনকার অনেক "মৌলিক" ট্যাগধারী লেখকের লেখায়ও যে জড়তা, ভাষা ব্যাবহারের দুর্বলতা, ৫৭ বছর আগের বইটাতে তা নেই। অভাবনীয়।
খুবই ভাল! ১৯৬৫ সালে লেখা। আর খুব সম্ভবত (একদম শিওর হতে পারলে কত ভাল হইত!) বিদ্যুৎ মিত্র নামে লেখা! এটা এর মূল দোষ অনেকটাই কাটায় দেয়। কিন্তু খুব ভাল লাগলো যে পাকিস্তান কে ঠিক রাখা হইসে! পাকিস্তান-ভারত না হলে এটা আসলে হইত না। আর এটা বেশ ভাল, অনেক ভাল, যেরকম বললাম। অবশ্যই জেমস বন্ডের ইনফ্লুয়েন্স আসে (কিন্তু তারপরও, এখনকার বাংলাদেশের থ্রিলারের উপর ড্যান ব্রাউনের ইনফ্লুএন্সের থেকে বেটার)।
অন্যরা যেমন বলল, সত্যিকার ভাবেই এটা পড়ে মনে হয় না ১৯৬৫ সালে লেখা। যেই টেকনোলজি গুলার রেফারেন্স আসে সেগুলা এখন হয়ত বাংলাদেশে কমমপ্লেস, কিন্তু তখন নিশ্চয়ই খুবই, খুবই রেয়ার ছিল - আর এজন্যে এটা সময়ের থেকে অনেক আগানো এক বই। আর ভিলেনকে যেহেতু সায়েন্টিস্ট -ম্যাড সায়ন্টিস্ট এর ট্রোপ কে ফলো করে তৈরি করা, সাইন্সটার ভাল হওয়া দরকার ছিল, আর সাইন্সটা ভাল ছিল অনেক। আর সেক্স আর ড্রিঙ্কিং ও বেশি ইন্টারেস্টিং টাইম-পিরিওড বিবেচনায়, যদিও 'পাকিস্তানের' আর হিন্দু-মুসলমান ন্যারেটিভ, যেটা প্লটের ব্যাকগ্রাউন্ডে সবসময়ই ছিল - সেটার ইনকন্সিস্টেন্সিটা চোখে ধরায় দেয় কিছুটা। কিন্তু এই ব্যাপারগুলা নিয়ে সিরিয়াস অ্যাকাডেমিক কাজ হইতে পারে - হওয়া উচিত।
মেয়েদের কমোডিফিকেশন নিয়েও হওয়া উচিত - এই দিকথেকে আই গেস এটা ওই সময়ের থেকে হয়ত খুব আগায় ছিল না (গ্লোবালি স্পিকিং, বাংলা ফিকশনের জন্য, পাকিস্তানে, ১৯৬৫ সালে, এর হয়ত অন্য রেলেভ্যান্স আমরা পাইতে পারি, কিন্তু এগুলা ইরেলেভ্যান্ট হওয়া উচিত হয়ত)...কিন্তু এখনকার হিসাবে খুব পলিটিকালি ইনকারেক্ট হবে। নতুন রানা একটা দুইটা পড়ে দেখতে হবে কি অবশ্তহা। কিন্তু কি লাভ, যদি শুধু অনুবাদ/রূপান্তরই হয় এখনকার বিদেশী বইএর! :( (প্রথম দুইটার পর কি আর একটাও অরিজিনাল কিছু লিখেন নাই?)
আর যেরকম একরকম মনে হচ্ছিল প্রথম দিকে - নাস্তার আইটেমগুলার নাম বলার সময় - পুরাই একটা নিওকলনিয়াল ওয়েট-ড্রিম হবে বইটা -এর পরই খুবই সচেতনভাবে, ডিসাইডেডলি বাঙ্গালী হয়ে যায়। আর এর পর থেকে শেষ পর্যন্ত দেশত্ব আর বিদেশত্বর ব্যালন্স টা ভাল ছিল। বইটা আর কাজী আনোয়ার হোসেনকে ভাল লাগার আরো একটা কারণ এইটা।
আর প্লটটা/গল্পটা, টুইস্ট না হলেও থ্রিল গুলা খুব ভাল ছিল। খুবই জমজমাট অ্যাকশন-প্যাকড ছোট একটা বই (জেমস বন্ড হয়ত এমনই হবে, পড়া হয়ে উঠে নাই এখনও যদিও)। এক্টু ইনকন্সিটেন্সি আসে কিছু কিছু জায়গায় (কবীর চৌধুরীর এত অস্ত্র রেডী থাকলে শুধু শুধু এত ঝামেলা করে ইন্ডিয়া থেকে কয়েকটা ডায়নামাইট আনাইতে হইল কেন? কয়েকটা ডায়নামাইট বানাইতে/ম্যানেজ করা কত কঠিন? শুধু শুধু দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ লাগানোড় যদি ইচ্ছা থাকতো এটা কোথাও বললে হইত। এটা বড়, আর আরো কিছু কিছু জায়গায় ছোট ছোট ইস্যু ছিল কিছু।) কিন্তু এগুলা বইটার মেইন এন্টারটেইনমেন্ট ভ্যালুকে কমায় না খুব একটা, ইট রিমেইন্স আ ভেরি প্লেজারেবল রীড ফর ওয়াট ইট ইজ!
দুর্ধর্ষ স্পাই থ্রিলার 'মাসুদ রানা' সিরিজটি পড়ব পড়ব করে বেশ অনেকদিনই পার করলাম। হাতের কাছে এত অডিওবুক ও ই-বুক থাকা সত্ত্বেও চিন্তা করলাম, যেহেতু 'ধ্বংস পাহাড়' সিরিজটির প্রথম বই, তাই বইটির ফিজিক্যাল কপির পৃষ্ঠা নিজ হাতে ধরে-পাল্টে পড়তে না পারলে আত্মতৃপ্তি অনুভব করব না। তাই জোগাড় করে নিলাম বইটি। আশেপাশের অনেক বইপ্রেমী মানুষদের কাছ থেকে এই সিরিজের নির্দিষ্ট কিছু বই নিয়ে পাওয়া রিভিউ এবং সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া 'এম-আরঃ৯' সিনেমা দেখে বইটি পড়ার আগ্রহ যেন আরো বেড়ে গিয়েছিল।
বইটা হাতে পাওয়া এবং খোলার পূর্ব থেকে বইটি নিয়ে আমার মনে ভেতর যেমন-কল্পনা ও প্রত্যাশা ছিল, বইটির কাহিনী যেন আমার সেই আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণতা দান করে আরো বহুদূর ছাড়িয়ে গিয়েছে। কিছু অংশ যেমন রুদ্ধশ্বাসীয় ছিল, তেমনি কিছু অংশ ছিল আবার খুবই বেদনাদায়ক। তবে গল্পের শেষটা ছিল সবচেয়ে হৃদয়বিদারক। একটা স্পাই থ্রিলার হিসেবে গল্পের ফিনিশিং এ আমার প্রত্যাশা কিছুটা ভিন্ন ছিল। তবে যেমন হয়েছে তা একেবারেই মন্দ নয়। বইটির কাহিনী যেন নিজেই প্রমাণ করেছে কেন এটি ৯০'র দশকের কিশোর-তরুণদের মাঝে এত জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং এর জনপ্রিয়তা কীভাবে আজও টিকে আছে। একথা স্বীকার করতেই হবে যে এই বইটি আর ৮-১০টা স্পাই থ্রিলার 'স্টেরিওটাইপ' এর মতো না। ৮০-৯০'র দশকে থেকে যে কেউ বাংলা ভাষায় এমন ভিন্ন ধাঁচের স্পাই থ্রিলার রচনা করেছিল, ২০২৫ এ এসে বিষয়টি ভেবেই অবাক হয়ে যাই।
পরিশেষে এই বলতে চাই যে, বইটি আমার খুব ভালো লেগেছে। অনেক উপভোগ করেছি। মনে নেই শেষ কবে এক বসাতেই একটি বই শেষ করতে পেরেছিলাম। একই সাথে অনেকদিন পর একটি রুদ্ধশ্বাসী গল্প পড়লাম। বইটি যে কেউই পড়ে উপভোগ করবে। হ্যাপি রিডিং!!
কাউন্টার ইন্টিলিজেন্স-এর মাসুদ রানা,ইন্ডিয়ার সুলতা সেন, পাগলাটে কবির চৌধুরী, চট্টগ্রামের রাংগামাটি জেলার কাপ্তাইলেক ও ডিনামাইট- অসাধারণ সব চরিত্র, পটভূমি আর লোমহর্ষক ঘটনা নিয়ে কাজী আনোয়ার হোসেন-এর চমৎকার সৃষ্টি, "ধ্বংস-পাহাড়"| পশ্চিমের জেমস বন্ড, মিশন ইম্পসিবল এর চেয়ে গল্পে, ঘটনার আকর্ষিক এবং আকস্মিক মোড় ঘুরানো বর্ণনায় বহুলাংশে আকর্ষনিয় এই ফিকশন|
চির-চেনা সব ঘটনাস্থল, পরিচিত সব নাম, বাস্তব অনুভূতি জাগানিয়া এই মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম উপন্যাস "ধ্বংস পাহাড়" আমার পড়া প্রথম উপন্যাস এই সিরিজের।
এখন আসি জীবনের একটা বড় শিক্ষার (পড়ুন শাস্তি) রূঢ় বাস্তব অভিজ্ঞতায় | ছোট বেলা থেকেই বড় দের মুখ থেকে শুনে বড় হয়েছি, অস্কার পাওয়া মুভি গুলা সব "ঝিমাইন্না", দেখলে ঘুম আসে, কি সব মুভি খালি কথা আর কথা কোন মারামারি নাই , অথবা টাইটানিক কোন মুভি হইলো, মাসুদ রানা পড়ার জিনিস, সারাটাদিন খালি তিন গোয়েন্দা আর ফেলুদা একবার বোর্ডের বইটা তো ছুইয়াও দেখলো না। তাদের কাছে কবিতা মানে ফালতু প্যাচাল, অস্কার পাওয়া মুভি ঘুমানোর ঔষধ, মাসুদ রানা ফালতু কোন বই।
ঈদ বা অন্যকোন ছুটিতে যখন গ্রামে যেতাম তখন, গ্রামের যে ছেলেটা দুরন্ত গতিতে ফুটবল খেলতো, বই পড়তো তার থেকে দশ হাত দূরত্ব বজায় রাখতে উপদেশ দিতো, পুকুর থেকে কাজের লোক দিয়ে মাছ ধরিয়ে আনাতো কিন্তু নিজেদের ধরতে দিতো না। এমন হাজারো অশিক্ষায় মধ্য দিয়ে বড় হয়ে এখন দেখছি কতটা বঞ্চিত হয়ে বড় হয়েছি তাদের কথা শুনে, মেনে।
একসময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই ধ্বংস-পাহাড় । ষাটের দশকে বাংলা সাহিত্যে বড়দের জন্য লেখা ভালো মানের থ্রিলার উপন্যাসের অভাব পূরণ করতেই কাজী আনোয়ার হোসেন হাজির হলেন মাসুদ রানাকে নিয়ে । সেই সময় থেকে অসংখ্য কিশোর-কিশোরী, ছোট-বড় সবার মনে স্থায়ী আসন করে নিলো মাসুদ রানা । কে এই মাসুদ রানা ? মাসুদ রানা হল এমন এক চরিত্র যে দেশের জন্য সর্বস্ব দিতে পারে । মাসুদ রানাকে শুধু তার দেশের জন্যই নয় ,বৃহত্তর মঙ্গলের জন্য বিশ্বনাগরিক হিসেবেও দুর্ধর্ষ নানা অভিযানে বের হতে দেখা গেছে । এই মাসুদ রানা আর কেউ নয় , আমাদেরই চিরচেনা বা অচেনা এক প্রতিবেশি । মাঝে মাঝে একাকীত্বে ভুগতে দেখা গেছে মাসুদ রানাকে যে চাইলেও বন্ধনে জড়াতে পারে না। মাসুদ রানা জানে না কীভাবে তার নির্মম মৃত্যু লেখা আছে । জানে না কীভাবে একদিন সবাই তাকে ভুলে যাবে । ভুলে যাবে তার দুর্ধর্ষ সব অভিযানের কথা । কিন্তু মাসুদ রানাকে হারিয়ে ফেলাও এতটা সহজ নয় । আমাদের মাসুদ রানা হারিয়ে যেতে পারে না । দেশের প্রয়োজনে ঠিকই বেরিয়ে আসতে হবে মাসুদ রানাকে । তাহলে আরে দেরি কেন আমদের সুপারহিরো মাসুদ রানাকে আবিষ্কার করতে ডুব দিন ধবংস পাহাড়ে ।
সেবা প্রকাশনীর অন্যতম জনপ্রিয় মাসুদ রানা সিরিজের প্রথম বই ধ্বংস-পাহাড় । ষাটের দশকে বাংলা সাহিত্যে বড়দের জন্য লেখা ভালো মানের থ্রিলার উপন্যাসের অভাব পূরণ করতেই কাজী আনোয়ার হোসেন হাজির হলেন মাসুদ রানাকে নিয়ে । সেই সময় থেকে অসংখ্য কিশোর-কিশোরী, ছোট-বড় সবার মনে স্থায়ী আসন করে নিলো মাসুদ রানা ।
মাসুদ রানার বেশির ভাগ কাহিনীই বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে লেখা । কিন্তু প্রথম বইটি, সম্পূর্ণ মৌলিক । ১৯৬৬ সালে প্রথম প্রকাশ হয় বইটি ।
গল্পের টুইস্ট ,ক্লাইম্যাক্স না ই বা বললাম । কিন্তু বাংলাদেশী তথা বাংলার পাঠক দের, এরম দুর্দান্ত এক এডভেঞ্চার ও দুঃসাহসী স্পাই তথা এজেন্ট দেওয়ার কৃতিত্ব একমাত্র কাজী আনোয়ার হোসেনের ।
“Mitolyn Reviews and Complaints (November 2025) – Doctor's Warning, Real User Results & Hidden Side Effects (4etc)
# Mitolyn Reviews and Complaints (November 2025): A Deep Dive
In the crowded world of weight loss and energy supplements, Mitolyn has become a popular topic in 2025. Marketed as a fat-burning aid, it has garnered both excitement and skepticism from medical professionals and consumers. This article examines the clinical evidence, user outcomes, and potential safety concerns surrounding Mitolyn to help you make an informed decision.
মনে হলো বাংলা সিনেমা পড়লাম। সিনেমার মতো ডায়লগ, ইয়া ঢিসুম ঢিসুম মারামারি। গল্পের প্রয়োজনে চরিত্র, রোমাঞ্চের খাতিরে প্রতিটা ঘটনা।
তবে ওই সময়ে বাংলাদেশ থেকে এমন একটি উপন্যাস লিখেছেন লেখক, ভাবতেই ভালো লাগছে। সেভাবে মাসুদ রানা পড়া হয়নি,এটা দিয়েই শুরু করলাম। আস্তে আস্তে আরো কয়েকটা টুক টুক করে পড়ে ফেলব ভাবছি।
নিজে পড়িনি বলেই তিন তারকা, নতুবা দুই তারকা দিয়ে ক্ষান্ত হতাম। গল্পকথন বাই কল্লোল চ্যানেলে শোনা, চমৎকার পাঠ করেছেন কথক।
প্লটহোল আছে। যেমন, যে কিনা ভারতীয় গোয়েন্দা সে কেন সাঁতার জানবে না!!!
অন্যদের কৈশোরের অতি আবেগ ও স্মৃতিতাড়িত হওয়া থেকে এতো বেশি রেটিং এসেছে বলেই আমার ধারণা।
অথবা, হয়তো আসলেও এটা ভালো বই, আমারই হয়তো এই "অতিনাটকীয়তাপূর্ণ" সাহিত্য জনরাটা ঠিক পছন্দ হচ্ছে না।
(অবশেষে আমার প্রথম পড়া মাসুদ রানা সিরিজের বই: ৫ জুলাই ২০২২= এটাই হয়তো ভালো না লাগার মূল কারণ, পড়তে দেরি হয়ে গেছে। প্রকাশকাল ১৯৬৫ বিবেচনায় হয়তো এক স্টার বেশি দেয়া যেত।)
This entire review has been hidden because of spoilers.
অবশেষে মাসুদ রানার নেশার জগতে প্রবেশ করলাম ভালভাবে!
স্কুলে থাকতে যখন তিন গোয়েন্দার ভক্ত ছিলাম, তখন অন্যদের মাসুদ রানা প্রীতি দেখে আমিও ২-১টা বই হাতে তুলে নিয়েছিলাম। কিন্তু সেই সময় একদমই টানেনি। এত বছর পর এসে ২০২৪ সালে আবার ভাবলাম পড়ে দেখি এখন কেমন লাগে! কয়েকটা বই পড়েই এক কথায় দারুণ লাগলো। কাজেই ভাবলাম একদম প্রথম বই থেকেই শুরু করি নতুন এই জার্নি!
বেশ দারুণ লেগেছে বইটা। সাসপেন্স, থ্রিলের অভাব ছিল না। আর যাই হোক এটা নিশ্চিত যে মাসুদ রানার জার্নি এখন থেকে আমার জন্য শেষ নয়, বরং শুরু!!