Jump to ratings and reviews
Rate this book
Rate this book
মিসির আলির সাথে আজ দেখা করতে এসেছে সুন্দর চেহারার ভদ্র একটি ছেলে। ছেলেটির নাম মুনির। মুনির খুবই চুপচাপ। অস্বাভাবিক রকমের চুপচাপ। মিসির আলি ছেলেটির বিষয়ে একপ্রকার আগ্রহ পাচ্ছেন। যা তার ক্ষেত্রে হওয়ার কথা নয়। তিনি নিরাসক্ত লোক।
মুনিরের মাঝে অদ্ভুত এক রহস্য লুকিয়ে আছে।
মিসির আলি কি পারবেন সেই রহস্য ভেদ করতে?
নাকি তার আরো অনেক কেসের মতো এটিও রয়ে যাবে - অমীমাংসিত?

80 pages, Hardcover

First published June 1, 1989

44 people are currently reading
918 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

456 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
649 (25%)
4 stars
1,090 (42%)
3 stars
683 (26%)
2 stars
103 (4%)
1 star
28 (1%)
Displaying 1 - 30 of 134 reviews
Profile Image for Dystopian.
434 reviews228 followers
September 20, 2023
হুমায়ুন আহমেদ সব সময় পাঠকদের হাতে ছেড়ে দেন তার বই এর এক্সিকিউশন। তা নিয়ে আমার আপত্তি নেই। বরং এই জিনিস টার জন্য অতি সাধারণত একটা গল্পও মস্তিস্কের খোরাক হয়ে থাকে অনেক দিন।

তবে সমস্যা হয়ে যায় যখন দুইটা থিওরি একটা আরেকটার কন্ট্রাডিকশন হয়ে দাঁড়ায়। লেখক প্যারালাল ইউনিভার্স অথবা হোক নিছক কল্পনার জগৎ এমন ভাবে একেছেন যে পাঠক সীদ্ধান্ত না নিতে পারলেও ঘোরের ভেতর থাকবে এটা নিশ্চিত।

একটা জিনিস ভাবলে বড্ড অবাক লাগে, লেখক ১৯৮৯ সালে বসে এত সাবলিল ভাবে প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে লেখেছে এই ছোট্ট বইটাতে!
Profile Image for Nawshin.
75 reviews46 followers
May 18, 2017
These books are killing me. They're not giving me any sense of closure whatsoever. These start off really well, interesting story line, weird characters and then *boom* that's the end enjoy. Whaaaat? >_<
December 21, 2022
নিষাদ,পড়ে মাথা ঘুরে গেল।মুনির এক সাথে অসংখ্য জগতে বসবাস করে কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তার ভয় লাগে,মিসির আলিকে সে বলে হয়তো সবই তার কল্পনা ছিল।
কিন্তু মুনিরের অন্য জগৎ থেকে আনা চিঠি, ছবি এইগুলা তাহলে কী ছিল!!
মিসির আলি তার ব্যাখ্যা দেননি।ভুংভাং একটা থিওরি দাঁড় করিয়েছিলেন কিন্তু কোন সমাধান দিতে পারেননি।
#উপন্যাসের গল্প উপভোগ্য ছিল কিন্তু অবাস্তব, অস্বাভাবিক ঘটনার অবতারণা করেছেন লেখক প্রায়ই কিন্তু তার সুন্দর ব্যাখ্যা দেননি, বরং তার বিভ্রান্তিকর লেখার মধ্যদিয়ে পাঠকদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছেন।এই জন্য উপন্যাস পড়ার পর মাথা আওলা ঝাউলা লাগতে পারে অনেকের।
Profile Image for Samiur Rashid Abir.
217 reviews44 followers
August 4, 2023
ছোটবেলায় একবার বাসার কোণে রিপলি'স "বিলিভ ইট অর নটের" পুরনো বাংলা একটা কপি খুঁজে পেয়েছিলাম। তখন আসলে মফস্বলে এত বই পাওয়ার সৌভাগ্য ছিল না। হাতের কাছে ছেঁড়াফাঁটা যা পেতাম তাই পড়তাম। বইটা পড়ে কিন্তু বেশ ভাল লেগেছিল।

বিশেষত একটা কাহিনী মনে পড়ে খুব করে। এক রাজ্যে এক বিখ্যাত দেবীর মন্দিরের জন্য বিরাট ঘণ্টা বানাতে হবে। রাজ্যের আয়তন বিশাল। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ মন্দিরে আসে। যেহেতু ঘণ্টার ডাক সবার নিকট পৌঁছায় না, তাই মাঝে মাঝে ভোগান্তিতে পোহাতে হয় তাদের। সকলের অনুরোধে রাজা আদেশ দিলেন এমন ঘণ্টা তৈরি করা হোক, যাতে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে সে আওয়াজ শোনা যায়। যেমন আদেশ তেমন কাজ। রাজ্যের শ্রেষ্ঠ কামারকে নিয়োগ দেয়া হলো ঘণ্টা তৈরি করতে। অনেক অর্থের জোগান ও দেয়া হলো, কামার আরোও বহু লোককে সঙ্গে নিয়ে তৈরি করলেন একটা বিশালাকার ঘন্টা। কিন্তু বিধি বাম, ঘন্টার শব্দ আশানুরূপ হলো না। রাজা গেলেন খেঁপে, আদেশ দিলেন, এটাই শেষ সুযোগ। এবার ঠিকঠাক ঘন্টা না বাজলে কামারের গর্দান যাবে। এখানেই কাহিনীর শুরু। কামারের ছিল একটিমাত্র মেয়ে। মা মরা মেয়েকে অসম্ভব আদর করতেন কামার। কামারের স্বপ্নে দেবী এসে দেখা দিলেন, আদেশ দিলেন, নিজের প্রিয় কন্যাকে বিসর্জন না দিলে এবারও ঘণ্টা বাজবে না আকাঙ্ক্ষিতভাবে। পিতা হয়ে পড়লেন বিমর্ষ, মেয়ে সব শুনে সিদ্ধান্ত নিল, পিতার প্রাণ রক্ষার্থে প্রাণ সে দিবেই। যখন ঘন্টা বানানোর জন্য অত্যন্ত গরম পাত্রতে লোহা গলানোর জন্য ঢালা হচ্ছিল, তখনই দৌঁড়ে গিয়ে পাত্রতে লাফিয়ে পড়ে আত্মাহুতি দেয় মেয়েটি। না চাইতেও মনক্ষুণ্ণ কামার অবশেষে সে লোহা গলিয়েই ঘণ্টা তৈরি করে। অলৌকিকভাবে সে ঘণ্টার আওয়াজ বহুদূর থেকে শোনা যায়, প্রাণে বেঁচে যান কামার। কিংবদন্তী হয়ে যায় এই কাহিনী, পরে অবশ্য বিজ্ঞানীরা কারণ আবিষ্কার করেছেন, আমাদের শরীরে কিছু খনিজ পদার্থ থাকে। মেয়েটির শরীরের খনিজ পদার্থগুলো লোহার সাথে মিশে কিছুটা শংকর ধাতুরূপ তৈরি হয়েছিল, যার কারণে বহুদূর পর্যন্ত ঘন্টার ডাক শোনা গিয়েছিল।

তাহলে, দেবী স্বরূপ যে স্বপ্নটা কি প্রকৃতিই দেখিয়েছিল কামারকে যাতে সে নয়া এক জিনিস তৈরি করতে পারে। সেই প্রশ্ন থেকে মিসির আলি সাহেবের শরণাপন্ন হই আমি। যেহেতু, ভদ্রলোকের দেবী বিষয়ক দুইখানা ঘটনার ইতিহাস রয়েছে, তিনি ভালই জবাব দিতে পারবেন- এ আশা নিয়ে উনার কাছেই যাওয়া। কিন্তু, দেখি ভদ্রলোক মহাব্যস্ত, আমাকে একখানা ছবি দেখিয়ে বললেন, দেখেন তো, কিছু অসংলগ্ন ঠেকছে কিনা। আমি দেখলাম, সাধারণ এক বিয়ের ছবি, অসংলগ্ন ঠেকবার কি আছে! মিসির আলি রহস্য করে বললেন, এ ছবি ভবিষ্যত থেকে আসা ছবি। শুধু ভবিষ্যত না, প্যারালাল এক ইউনিভার্সের ছবি। প্যারালাল ইউনিভার্স এর কথা আসাতেই একটু নড়ে চড়ে বসলাম। প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে আমার সীমাহীন আগ্রহ। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, এই যে বিশাল মাল্টিভার্স, এর মাঝে মাঝে যে গ্লিচ হয় সেগুলোই অধিভৌতিক ঘটনার জন্ম দেয়। নিজের এই মতবাদ হালকা কেশে শোনানোর আগেই তিনি তড়িঘড়ি করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন। ছবির ছেলেটি নাকি ভয়াবহ অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। কয়েকদিন পর শুনলাম, ছেলেটি মারা গেছে। অসম্ভব বিষণ্ণ লাগতে শুরু করল। আমার বিষণ্ণ লাগলে আমি কয়েকদিনের জন্য ডুব মারি। ভাবতেছি, আবারও ডুব মারা দরকার। প্যারালাল ইউনিভার্স আর টাইম ফ্রেমের তারতম্য নিয়ে একটু পড়াশোনা করতে হবে।
Profile Image for Turna Dass.
145 reviews
May 30, 2025
আচ্ছা,কখনো কি মনে হয়-যে আমরা স্বল্পসময়ের এক জীবনের ছোট্ট ঘুড়ি হাতে নিয়ে সুতো নাড়াই,কিন্তু সেই সাথে সমান্তরালে আমাদের মতোই একজন সেই একই ঘুড়ি হাতে অন্য কোন ভাষায়,কিংবা অজানা মাত্রায় সেই একই জীবন নামক ছোটগল্প লিখে যাচ্ছে,একে অপরের অজান্তে ! বোধহয় আমরা সবাই থাকি এক অদ্ভুতুড়ে জগতে,যেখানে মহাবিশ্ব "এক" সংখ্যায় আঁটকে নেই-অসীমের হাত ধরে গেছে ডানা মেলেছে বহু মাত্রায়...এক সমান্তরাল দ্বন্দ্বে।

এই যে সবকিছুর মধ্যে বহুমাত্রিক বা অসীম ধারনার ভেগ থিওরি নিয়ে যে নিষাদ এগিয়েছে,এর মোটামুটি সায়েন্টিফিক একটা এক্সপ্লেনেশন পাই এক মাসিক বিজ্ঞান সাময়িকী পড়ার বেলায়-পদার্থবিদ্যার সর্বজান্তা এক সম্ভাব্য সূত্রের খাতিরে।"দ্য থিওরি অব এভরিথিং" হিসেবে অগ্রণী ভূমিকায় দাঁড়ায় "স্ট্রিং থিওরি" নামে এক পাগলাটে তত্ত্ব।মোটামুটি ভাবে সে পদার্থের এলিমেন্টারি ধর্মকে বিশ্লেষণ করতে পারলেও সমস্যা বাঁধায় একটা জায়গায়-নিজেদের চিরচেনা চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।স্ট্রিং থিওরি অকপটে বলে বেড়ায় যে,এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে অবাধে আছে অসীমসংখ্যক মহাবিশ্ব;তাও আবার একদম হুবহু আমাদের মতনই।সেই সাথে আসে ১১-১২ মাত্রা থেকে শুরু করে ২৬ মাত্রার পৃথিবীর কথা!বাস্তবের সাথে মেলাতে তাই আবার আসে ফোল্ডেড এম থিওরি। যেখানে সেই বহু মাত্রারা লুকিয়ে থাকে সূক্ষ্ম ভাঁজে,তাই পৃথিবীকে এখন সেই ছাপোষা চার মাত্রারই মনে হয়।কিন্তু কেমন হয়-যখন কেউ এই আবদ্ধ গোলকধাঁধাঁ থেকে বেরিয়ে সেই লুকায়িত সেই বহু মাত্রার মোড়কে সেই অসীম মহাবিশ্বকে অনুভব করতে পারে?সমান্তরালে সেই অসীম মহাবিশ্বের অন্তরালে সেই এক জীবনকে অসীমে হাতছানি দিয়ে ডাকে?যার স��চনা হয় মুনির নামে এক নিঃসঙ্গ ছেলের মাধ্যমে?

আমি জানিনা যে সেই ২০০০ শতকের দিকে হুমায়ূন সেই অদ্ভুতুড়ে থিওরির পরিপ্রেক্ষিতে এই গল্প ��িখেছেন কিনা,কিন্তু বেশ চমৎকারভাবেই মিলে যায় ব্যাপারটা;যদিও কাহিনীতে এসেছে প্যারালাল ইউনিভার্সের কথা,কিন্তু সেই বিষয়টাকে এর স্টেরিওটিপিক্যাল সংজ্ঞায় ফেলা সম্ভব নয়।তবে সেই প্যারালাল ইউনিভার্সের কনসেপ্টের হাত ধরে যখন প্রসঙ্গ দাঁড়ায় বহুমাত্রিকতা আর অসীমের কাঠগড়ায়,তখন সেই স্ট্রিং থিওরির অসম্ভব তত্ত্বকথার বাইরে আমি আর কোন যুক্তি বা ব্যাখ্যার কূল-কিনারা পাই না। এই যে নিজেদের মাত্রার বাইরে এসে চিন্তা করা,কিংবা বলা যায় থিংক আউটসাইড দ্য বক্স,তখন ফ্ল্যাটল্যান্ড বইয়ের সেই দ্বিমাত্রিক বস্তুর সাথে মিসির আলির বলা সেই "ছায়াজগতের" কথা কেমন যেন মিলেমিশে এক হয়ে যায়।কেউই আদতে নিজেদের চিরচেনা গণ্ডি পেরোতে পারে না,এমনকি নিজের চেয়েও বিস্তৃত মাত্রাকে দেখলেও তাকে নিজের লোকই ভাবে,কিন্তু রহস্য কোনো না কোনো থেকেই যায়।

ব্যাপারটা হচ্ছে কি যে,মিসির আলিকে নিয়ে লেখা কোন বইকেই সুনির্দিষ্ট জনরায় সংজ্ঞায়িত করা সম্ভবপর হয় না।বইয়ে বিজ্ঞানের নিরিক্ষাধর্মী আলাপচারিতা আর যুক্তিবিজ্ঞান দেখে মনে হয় সায়েন্স ফিকশন,আবার কেসকাচারি আর তদন্ত মনে করিয়ে দেয় রহস্য সাসপেন্সে ভরপুর গোয়েন্দাগিরির কথা,আবার মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় সাইকোলজি ঢুঁ মারে,অবশেষে মানবসুলভ আবেগীয় রসবোধও প্রকটভাবে উপস্থিত।
কি করা যায় বলুন তো!

এক কথায় দারুন কাহিনীশৈলী,একদম ঝরঝরে লেখনীতে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি।তবে সমাপ্তিটা নজরকাড়া।কি সুন্দর বিজ্ঞান এসে কোমলসুলভ মানবতার অমৃতসঙ্গীত গেয়ে গেলেন!আসলে মিসির আলি এমন কট্টর যুক্তি-তর্কের ধারালো শান আর মানবসুলভ অনুভূতি দিয়ে গড়া যে,না ভালোবেসে থাকা যায় না!

এছাড়া মুনির আর বিনুর বহুমাত্রিক ধাঁচে রসালো কেমিস্ট্রি বইয়ে অন্যরকম আবহ এনে দিয়েছে।হায় হায়!এক অসমাপ্ত প্রেমের কাহিনী......ভুল বললাম।একটা ডাইমেনশনে।অন্যগুলোতে তারা মহাসুখী(হে হে হে!)।

সর্বোপরি রেটিং-৫/৫
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
October 12, 2022
৪.২৫/৫

এ পর্যন্ত পড়া best মিসির আলী। তবে আরেকটু যত্ন হয়তো নেওয়া যেতো, আরেকটু জটিল করা যেতো, আরেকটু বিজ্ঞান আনা যেতো, আরেকটু রহস্য আনা যেতো।
নিষাদ থেকে যাবে মাথায়। অনেক দিন। হয়তো প্রতিদিন অথবা অন্য কোনো জগতে কোনো একদিন।
Profile Image for Riju Ganguly.
Author 37 books1,862 followers
December 31, 2014
২০১৪ শেষ হবার আগে বছরের শেষ বইটা পড়লাম এইমাত্র। এক অদ্ভূত মায়ায় আচ্ছন্ন করে দিল এই লেখাটি। সার্থক আপনার কলম, হে লেখক। এমন লেখা আগে কখনও পড়া হয়নি, হয়তো হবেও না। আর কিচ্ছু লিখতে পারছিনা।
Profile Image for Humayra.
15 reviews
January 23, 2013
i would have given it a 3 star as i do with any other book that i don't dislike but then i decided to go with 4. one disappointing thing about the book was that i always expect some sort of resolve in the end of a Misir Ali novel which this book didn't have. but the idea of parallel universes have always intrigued me and while reading this book i was forced to think about infinity as i saw one person living multiple lives in parallel universes and his travel from one to another. it would have been better if Misir Ali could find an explanation to all of that!
Profile Image for Akash.
446 reviews148 followers
December 8, 2022
এতটা ভাল লাগবে ভাবি নাই। সুন্দর। প্রত্যাশা কম ছিল।

মিসির আলি বিড়বিড় করে বললেন–

You promise heavens free from strife,
Pure truth, and perfect change of will;
But sweet, sweet is this human life,
So sweet, I fain would breathe it still;
Your chilly stars I can forgo,
This warm kind world is all I know.

Profile Image for Joy Sarkar.
32 reviews3 followers
February 9, 2018
শুরুর দিকে লেখক আপনাকে কল্পনার গভীর স্তরে নিয়ে চলে যবেন।যখন আপনি কল্পনার গভীর স্তরে হাবুডুবু খাবেন ঠিক তখনই আপনি আবিষ্কার করবেন বইটা শেষ হয়ে গেছে ,অনেকটা শুরু হতেই শেষ হয়ে যাওয়ার মত করে।বাকিটুকু সম্পর্কে আর কিছু না বলি ।
Profile Image for Atiq Zawad.
5 reviews8 followers
August 25, 2020
Highlights:
Profile Image for Asib Gazi.
86 reviews1 follower
November 24, 2025
ঠিক দুই বছর ৩ দিন পর দ্বিতীয়বারের মতো পড়লাম। মনে হলো আগেরবারের চেয়েও বেশি ভালো লেগেছে। মিসির আলি পড়তে গেলেই আমি প্যারালাল ইউনিভার্সে চলে যাই।
Profile Image for Towhid Zaman.
103 reviews19 followers
November 18, 2022
একটা মানুষ, একটাই জীবন কিন্তু গল্পের মুনির ওরফে টুনুর একাধিক জীবন। সে মাঝে মাঝে এক জীবন থেকে আরেকজীবনে ঘুরে আসে। জগত থেকে জগতে।

শুধু ঘুরেই আসে না সাথে করে কিছু জিনিসপত্র ও নিয়ে আসে।
হঠাৎ সে হাজির হয় মিসির আলির কাছে, দূর্ভাগ্যবশত মিসির আলি এটার কোনো সমাধান করতে পারেন নাই। যথেষ্ট বিজ্ঞান মিশিয়েছেন এইখানে। সব মিলিয়ে সুন্দর আলাপ ছিলো।

কিন্তু, এইখানে নিলু কোথা থেকে এলো?


রেটিংঃ ৪/৫
১৭ নভেম্বর ২০২২
Profile Image for Sagor Reza.
157 reviews
April 28, 2023
নিষাদ
হুমায়ূন আহমেদ
মিসির আলী সিরিজের তৃতীয় বই নিষাদ। যারা মিসির আলী সিরিজ পড়েছেন, তাদের কাছে মিসির আলীকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। আর যারা মিসির আলী পড়েন নি, তাদের অনুরোধ করব, আপনি পড়ে দেখুন।মিসির আলীকে হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে কেউ ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবে না।
প্যারালাল ইউনিভার্স বলে একটা কনসেপ্ট আছে। এটাকে ঠিক বিজ্ঞান বলা যাবে কীনা জানি না, কারণ এর পক্ষে কোন প্রতিষ্ঠিত প্রমাণ আমি দেখি নি। এটা সম্ভবত বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত কোন থিওরি নয়। তবে কল্পবিজ্ঞান হিসেবে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম। এবং সে ধারণা সম্ভবত অভ্রান্তও নয়। তবে আমি যতটা জানি তা হলোঃ
এই পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষের একাধিক জীবন রয়েছে। এক জীবনে সে হয়ত সুখী, অন্য কোন জীবনে সে দুঃখী। এক জীবনে হয়ত সে দরিদ্র অন্য জীবনে সে বিত্তবান। এক জীবনে হয়ত কারো বাবা শৈশবে মারা গিয়েছে, অন্য জীবনে যায় নি। এই বিভিন্ন ধরণের জীবন পাশাপাশি চলতে থাকে। এক জীবন থেকে অন্য জীবনে যাওয়ার কোন উপায় নেই।

মনির নামে এক ছেলে মিসির আলীর কাছে আসে একটা সমস্যা নিয়ে। সে জানায় তার বাবা অনেকদিন আগে মারা গিয়েছে। কিন্তু কোন এক ক্লান্ত মূহুর্তে সে পৌছে যায় তার বাবার মৃত্যুশয্যার পাশে। এরপর ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। হুমায়ূন আহমেদের জাদুকরি লেখার স্পর্শে ঘটনাগুলো জীবন্ত হয়ে পাঠকের চোখে ধরা দেবে। তাকে আটকে রাখবে তীব্র এক ঘোরের মধ্যে। বই শেষ হয়ে গেলেও গল্পের রেশ কাটাতে পারবে না পাঠক। এক বসাতে শেষ করবার মতো একটি বই। আমি পড়েছি সমগ্র তে। সেখানে ছিল ৭০ পৃষ্ঠা। যেকোন ধরণের রিডার্স ব্লক কাটানোর জন্য মোক্ষম একটা বই ‘নিষাদ’।
Profile Image for Mahadi Hassan.
129 reviews11 followers
October 11, 2023
নিষাদ, নামটা নিয়ে আমার প্রবল অবসেশন আছে।
অসম্ভব সুন্দর একটা শব্দ। সম্ভবত হুমায়ুন আহমেদের এই বইয়েই প্রথম শব্দটার সাথে পরিচয়, তারপর মহাভারতে পরিচয় নিষাদ রাজপুত্র একলব্য'র সাথে। শব্দটার প্রতি ভালোলাগা আরও বাড়লো।

যাই হোক, মিসির আলির তৃতীয় বই পড়া হলো তৃতীয় বারের মত। প্রথমবার স্কুলে, পরেরবার কলেজে, আর প্রায় ৯/১০ বছর পর এখন।

কিছু ভালো লাগা আসলেই বোধহয় শৈশব কৈশোরে ফেলে রাখা উচিৎ। ফিরে না যাওয়াটাই বেটার। ওই সময়ের পড়া নিষাদ যে প্রচন্ড ভালো লাগার জন্ম দিয়েছিল, এবারের পাঠে তার কিছুই ছিল না। হুমায়ুন আহমেদের লেখা ভালো লাগে, এই ভালো লাগাতেই এক টানা পড়ে ফেলা কেবল। হয়তো এত বছরে প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে আরও বই, মুভি সিরিজ দেখার কারনে তখনকার যে মুগ্ধতা ছিল, তা এখানে খুঁজে পেলাম না।

তবে, মুনির আর বিনুর প্রতি গাঢ় একটা মমতাবোধ কাজ করেছে।

একটা জিনিস চোখে লাগলো এখানেও। অন্য জীবন থেকে মুনিরের আনা ছবিতে মেয়েদের শাড়ির আঁচল বাম থেকে ডানে সরে গেছে, অনেকটা আয়নায় দেখা ছবির মতন। সেক্ষেত্রে মনিরের আনা ডাক্তারের চিঠিটাও উলটে যাবার কথা ছিল। সেটা হয় নি। স্যারের আরেকটা খামখেয়ালি হয়তো। কে জানে!
Profile Image for Abhishek Saha Joy.
191 reviews56 followers
September 2, 2020
গল্পের নায়ক,মুনির যখন ক্লান্ত হয় তখন সে চোখ বন্ধ করলেই বাস্তব জগত ছেড়ে অন্য একটা জগতে চলে যায়।অর্থাৎ সহজ ভাষায় সে প্যারালাল ইউনিভার্সে ভ্রমণ করে।তার প্যারালাল ইউনিভার্স একটা নয় বরং অসীম সংখ্যক।তার সেই সমস্যা নিয়েই সে আসে মিসির আলির কাছে।যা নিয়েই আমাদের মিসির আলির তৃতীয় বই 'নিষাদ'।

প্লট খুব ইন্টারেস্টিং,না?কিন্তু শেষ পর্যন্ত যা দাঁড়ালো সেটাকে একটা জগাখিচুড়ি বলা যেতে পারে।এই বইয়েই মিসির আলিকে তার যুক্তি ছেড়ে সিউডোসায়েন্সে বিশ্বাস করতে দেখা যায়।মুনিরের যে সমস্যা নিয়ে গল্পের শুরু শেষে সেটাই হয়ে পড়ে গৌণ।পাঠক হিসেবে যা মেনে নেয়া কষ্টকর।

হতাশ!

বি.দ্র : হুমায়ূন সাহিত্যে নারীচরিত্র মানেই হয় রূপবতী নাহয় মায়াবতী।এখানেও তার ব্যতিক্রম নেই!
Profile Image for musarboijatra  .
283 reviews351 followers
January 30, 2018
ক'দিন মিসির আলী নিয়েই আছি। ভাললাগার জায়গাটা এখানেই, মনে হচ্ছে যেন কিছু রহস্যকে জানার মাঝেই আনন্দ আছে, তার সমাধান খোঁজায় নয়।
নিষাদের কন্সেপ্টের মিল খুঁজে পেলাম Andy Weir এর 'দ্য এগ' গল্পটার সাথে, যেটা পড়ার আগেও এই কনসেপ্টটা আমার জন্য ছিল আনকোরা নতুন, আর মাথায় চমক জাগানোর মতো। আসলেই কি আমাদের একাধিক বা অসংখ্য জীবন আছে? কাছের কেউ বা অপিরিত কেউ কি আদতে আমারই দ্বৈত জীবন?
Profile Image for Juno  ☾.
34 reviews12 followers
April 5, 2021
প্রথমবার স্কুললাইফে পড়ার সময় সেইই অবাক লেগেছিলো । এখন মাল্টিভার্স ও অলটারনেট রিয়েলিটি নিয়ে অন্যান্য নভেল পড়া ব্রেইনের কাছে এটা খুব একটা আহামরি লাগলো না ।

কিছু কিছু বই দ্বিতীয়বার পড়া উচিত না । প্রথমবারের আমেজ নষ্ট হয়ে যাবে এই ভয়ে ।
Profile Image for Sanowar Hossain.
281 reviews26 followers
November 7, 2022
মিসির আলি সিরিজের তৃতীয় বই 'নিষাদ'। বইটিতে প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে গল্প গেঁথেছেন লেখক।

মিসির আলির কাছে অদ্ভুত এক যুবকের আগমন ঘটে। কিছুদিন আগেও সে এসেছিল কিন্তু কিছু না বলে চলে যায়। দ্বিতীয়বার আসার পর মিসির আলির সাথে তার কথাবার্তা হয়। যুবকের বয়স পঁচিশ-ত্রিশের মাঝামাঝি। বেশভূষায় কোনো একটি অফিসের নিম্নপদস্থ কর্মী পরিচয় পাওয়া যায়। মিসির আলির কাছে মানুষ সমস্যার সমাধান খুঁজতে আসে। আর তিনি সেই সমস্যাগুলোর যৌক্তিক ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

যুবকটি তার সমস্যার কথা বলতে শুরু করে।যুবকটির নাম মনিরুল ইসলাম চৌধুরী। ডাকনাম টুনু। যদিও প্রথমে নিজের নাম নিয়ে মিথ্যা বলেছিল পরিচয় লুকাতে। মিসির আলি সেটা ধরে ফেলাতে আসল নাম বলতে বাধ্য হয়। তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায়। বাবা নামকরা উকিল ছিলেন। আয়ের থেকে ব্যয় বেশি করতেন। মুনিরের দুই বছরের ছোট নুটু নামে একটা বোন আছে। মুনিরের যখন সাত বছর বয়স তখন দুই ভাই-বোনের আকিকা দেওয়া হয়। পুরো নেত্রকোনা শহরের মানুষদের দাওয়াত করা হয়েছিল। মুনির যখন ক্লাস নাইনে পড়ে তখন একদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে দেখে বাবা অসুস্থ। পেটে ব্যথায় শুয়ে আছে বিছানায়। নিবারণ কবিরাজের হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে কিছুটা নিরাময় হলেও রাতে সেই অসুস্থতা বাড়ে এবং হাসপাতালের ডাক্তারকে ডেকে আনে। ডাক্তার জানান অ্যাপেনডিসাইটিস হয়েছে এবং অপারেশন না করলে বাঁচানো যাবেনা। তাই তিনি সাহায্যের জন্য আরেক ডাক্তারকে ডাকতে বলেন কিন্তু সেই ডাক্তার রাতেই ময়মনসিংহ চলে গিয়েছেন। অপারেশন করতে না পারায় সেই রাতেই মারা যান মুনিরের বাবা।

মিসির আলি বুঝতে পারেন না মুনিরের সমস্যাটা আসলে কোথায়! তবে এটা বেশ বুঝতে পেরেছেন মুনিরের বর্তমান সমস্যার সাথে তার অতীত জীবনের সম্পর্ক রয়েছে। মুনির তার গল্প এইপর্যন্ত বলার পর চলে যায় এবং আরেকদিন আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এদিকে একবছর হয়ে গেলেও মুনির আর আসে না। হঠাৎই একদিন মুনিরের আগমন হয় এবং পরবর্তী ঘটনাগুলো মুনির বলতে শুরু করে। কী ছিল তার সমস্যা এবং কীভাবে মিসির আলি সেই সমস্যার সমাধান করেন!

মিসির আলির পূর্ববর্তী দুই বইয়ের থেকে এই বইটা ভিন্ন ধারার। তবে বইটা এত দ্রুত শেষ হয়ে গেল যে গল্পগুলো ডালপালা মেলতে পারলোনা। আমার মতে আরেকটু বড় হলে ভালো হতো। উপভোগ্য বই। হ্যাপি রিডিং।
Profile Image for Safwan Hossain.
22 reviews38 followers
October 17, 2019
The problem is no matter how many mazy theories are conjured or how many intriguing enigmas are touched on, and they are not even for once answered. Unlike the previous novels in the series, this didn’t have a good enough climax to set my nerves on edge. The story revolved around the character, Munir, who thinks he lives multiple lives instead of one. This concept is interesting enough to make anyone want to get their hands on the book. Besides, questions on both Science and Religion were raised throughout the process of trying to solve Munir’s problem which worked out quite well but, yet again, the questions were NOT answered, and the mysteries were left UNSOLVED.
Profile Image for Ahsan Tarique.
16 reviews39 followers
June 6, 2019
Life and its absurdity, philosophy, supernatural phenomenon, parallel universes and whatnot.

Read it back in class five. Still remember the story vividly.
Profile Image for Jishan Bin Jamal.
36 reviews10 followers
May 7, 2025
একটা ছোট উপন্যাসেই কত কনসেপ্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে যেমন লুসিড ড্রিমস, ইনসেপ্সনের ড্রিম উইথিন এ ড্রিম, প্যারালাল ইউনিভার্স আবার অনেক কেস স্টাডি। মিসির আলি মনিরকে নিয়ে যে থিওরিটা দাড় করানোর চেষ্টা করেছেন সেটাও খুবই ইন্ট্রেস্টিং। যেমন মনিরের বাবা মারা যাবার পর থেকেই সে দুটো জীবন একসাথে যাপন করতে থাকে, একজীবনের না পাওয়াগুলো অন্যজীবনে সে ঠিকই পেয়েছে এবং জীবন পরিবর্তনের এই কাজগুলো সে করেতে পারছে তার কারণ মনির মস্তিষ্কের অব্যবহৃত অংশগুলো ব্যবহারের সক্ষমতা অর্জন করেছে।

মুনির যখন মিসির আলিকে বলে বিনু কে এনে মাথায় হাত বুলিয়ে দেবার জন্য যাতে করে তার মাথা ব্যাথা কমে কারণ তার অন্যজীবন গুলোতেও মুনিরের প্রচন্ড মাথা ব্যাথা কমায় বিনুর হাত বুলানো কিন্তু তা তো আর সম্ভব নয় কারণ তার এইজীবনে বিনুর বিয়ে হচ্ছে অন্য কারোর সাথে। এই ব্যাপারটার একটা ব্যাখ্যা যদি মিসির আলি দিতেন তাহলে মুনিরের সমস্যার একটা সমাধান পাওয়া যেত। আসলে সবকিছুই হয়ত মনিরের মাথায় ঘটছে কিন্তু অন্যজীবনের যে প্রমাণ গুলো সে তার সাথে করে আনতে পারছে তা কীভাবে সম্ভব হচ্ছে!!

ছোট একটা উপন্যাস মনে কত প্রশ্ন জাগাচ্ছে এটাই মিসির আলি সিরিজের ম্যাজিক।
Profile Image for Sarah Haque.
427 reviews105 followers
Read
December 9, 2022
মিসির আলি আবার পড়ছি। শেষ করেছিলাম অনেক আগে, ইচ্ছা হলো আবার করি। দেবী সিরিজের অন্যরকম একটা ভংগী থাকলেও যেই গল্পটা আমাকে ক্ষণিকের জন্যে আটকে দিলো সেইটা হচ্ছে নিষাদ।

গল্পটা মুনিরের, যে কি না একসময় থেকে আরেকসময়ে যেতে পারে। কিন্তু এ কী স্বপ্ন? স্বপ্নে তো কিছু ধরা যায় না...তারপর মুনিরের জগৎ বাড়তে থাকে যখন সে আরেক মায়াবতীকে ভুলতে পারে না। এখন সে কারো স্বামী, কারো বাবা - স্বপ্ন হোক আর অবাস্তব কল্পনা, সবকিছু এভাবে মিলে যাচ্ছে কেন?

এইটা সাথের আমার আগ্রহের একটা কারণ হতে পারে আমার প্যারালাল ইউনিভার্সের গল্পগুলি বেশ ভালো লাগে। মানে, ব্যাপারটা বেশ ভাববার মতই না, যে আরেকটা আমি অন্যকোথাও বসবাস করছি? হুমায়ূনের লেখনীতে জিনিসটা কীভাবে জানি মায়া চলে আসে, নিজেরই ইচ্ছা হয় - যদি মুনিরের জগৎ কোন একটা বাস্তব হয়ে যায়..!

এখানে মনে দাগকাটার মত কোন চরিত্র নেই এইটা একটা কষ্ট, শুধু ফুরুত করে শেষ হয়ে গেল। তারপর আমি সকাল সকাল চা আনলাম কারণ জরুরি কিছু ঘটলে নাকি চা লাগে..

এরপর মনে পড়লো আমার কী- আমি তো কাঠখোট্টা মানুষ, কালো কফি খাই....তো এখানেই ব্যাপারটার সমাপ্তি।

Profile Image for Nabaarun Bhattacharjee.
64 reviews3 followers
May 16, 2019
বইটি পড়ার সময় বার বার Ronald Mallet এর কথা মনে পরছিল। গল্পের মুনীরের মতো কানেক্টিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর Mallet-ও শৈশব জীবনে ফিরে যেতে চায় আর তাঁর বাবাকে হার্ট অ্যাটাক হওয়া থেকে বাঁচাতে চায়।

নিষাদ গল্পে মুনীরের অতীত আর ভবিষ্যৎ জীবনে ফিরে যাওয়া নিছক সাই-ফাই গল্পের প্লট মনে হলেও, বাস্তবে কিন্তু টাইম-ট্র‍্যাভেলিং হওয়া আসলেই সম্ভব। আইনস্টাইনের "জেনারেল থিউরি অফ রিলেটিভিটি-ই" এই সময়-ভ্রমণ অর্থাৎ টাইম-ট্র‍্যাভেলিং ধারণার অনুমোদন দিয়ে গেছে আর এই থিউরিকে সামনে রেখেই প্রফেসর ম্যালেট তাঁর কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সমস্যা এটাই - এই থিউরি শুধু ভবিষ্যৎ জীবনে যাওয়ার কথা বলা গেলেও বিজ্ঞানী ম্যালেট আরো একধাপ এগিয়ে, এই ধারণাকে ভেঙে অতীত জীবনে ফিরে যাওয়া নিয়ে কাজ করছেন।

জানি না.. হুমায়ুন তাঁর নিষাদ গল্পের অনুপ্রেরণা ম্যালেট-কে দেখে পেয়েছিল কি না, কিন্তু নিষাদ নিঃসন্দেহে আমার দৃষ্টিতে মিসির আলী সিরিজ নিয়ে লেখা সবচেয়ে সেরা গল্পগুলোর মধ্যে একটি। সবচেয়ে মনে বেশি দাগ কেটে গেছে নিষাদের এন্ডিং-টা। অনেকে এন্ডিং-টার জন্যই বোধয় কার্পণ্য করে ৪ তারা দিয়ে গেছেন। :D স্পয়লার না করে শুধু এটুকু বলতে চায়, এন্ডিং-টা এভাবে না হয়ে বরং অন্যভাবে হলেই গল্প-টাক��� বেশি সিনেম্যাটিক মনে হতো।
Profile Image for Sourav Anando.
132 reviews5 followers
November 21, 2017
শুরু টা অসাধারণ ছিলো ....

কিন্তু ঐ যে শুরু অসাধারণ করার পর শেষ টাও অসাধারণ এর থেকে বেশি করতে হয় ... সেখানেই বই টা মার খেয়ে গেছে। শেষ টা খুব ই সাধারণ ছিলো।

৩/৫
Profile Image for Mehedi  Hasan Mahfuz.
171 reviews27 followers
September 22, 2022
প্লট ইন্টারেস্টিং ছিল কিন্তু মুনির তার ও বিনুর বিয়ের ছবি কোত্থেকে এনেছে এই ব্যাপারে কোনো মীমাংসা করেন নি। প্রথমবার পড়ে কিছুই বুঝি নি,এইবার পড়ে আরো কানাগলিতে পড়লাম😴
Profile Image for Abid.
135 reviews23 followers
March 26, 2024
কিছু বইয়ের Goodreads রেটিং দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। যেমন এই বইটার কথা যদি বলি, এখানে বইটার রেটিং মোটেও সম্মানজনক নয়। অথচ এটি আমার পড়া মিসির আলি সিরিজের বেস্ট বই। ৫ এর মধ্যে ১০ দেবার মতো।
Profile Image for Humaira Tabassum.
18 reviews6 followers
November 29, 2025
"একটা মানুষের কয়টা জীবন থাকে?"

হয়তো এই প্রশ্নের মাধ্যমেই হুমায়ূন শুরু করেছিলেন তার উপন্যাসের কাঠামো গঠন।পাঠক হিসেবে, উপন্যাসের গল্পের চাইতেও পুরোটা সময় আমি অপেক্ষা করেছি, শেষকালে পরিণতি কোনো যুক্তিযুক্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে কিনা সেটা দেখতে। আমি গর্বের সাথে এই উপন্যাস পড়ার পর বলতে চাই, আমি হুমায়ূন ভক্ত এবং তার মতো সাহিত্যিক পেয়ে বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ।

কিছুদিন যাবত আমি বার বার সবাইকে বলে বেড়াচ্ছি এই উপন্যাস অবশ্যই পড়তে। কেন? আসেন সেটাই একটু ডিটেইলস এ জানানোর চেষ্টা করি। বরাবরের মতোই, প্রেম ভালোবাসার আলাপের বাইরে, বইয়ে আর কি আছে, সেটা আমি খুঁজে দেখবো? না, একটু এবারে আমি সেই জায়গায় নতুনত্ব নিয়েও চিন্তা করবো। কারণ একে আমার "ভিন্নধর্মী প্রেমের গল্প"-এই শিরোনামেও ডাকতে ইচ্ছা হচ্ছে৷

মূলত মিসির আলী সিরিজের তৃতীয় বই "নিষাদ"। যেখানে মুনির নামের এক চরিত্র তার জীবনে ঘটে যাওয়া রহস্যের সমাধানে চলে যান মিসির আলির কাছে। আমাদের মুনির বাস্তব এবং স্বপ্নের মাঝে এলোমেলো হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বেশ প্যাচানো একটি প্লটের উপর পুরোটা গল্প বলা৷ আমি প্রথম থেকেই ভাবছিলাম যে এই রহস্যের সমাধান কি আসলেই লেখক মিলিয়ে দিতে পারবেন? প্লট হোল থেকে যাওয়ার কথা। কিন্তু আমি নিজেকে ভুল প্রমাণিত হতে দেখে আনন্দিত হয়েছি। পাজেল ঠিকঠাক ভাবেই মিলেছে।অথবা হুমায়ূনের মুন্সীয়ানার জালে ফেসে আমি ঘোরের মধ্যে কোনো প্লট হোল পাই নি।

যারা মনে করেন, হুমায়ূন আহমেদ একই ধারায়, একই রকম প্রেমকাহিনীই কেবল লিখেছেন, তাদেরকে উত্তর দেবার জন্য সবচেয়ে ভালো উদাহরণ ওনার সৃষ্ট মিসির আলী চরিত্র। যেখানে তিনি আমাদের পারিপার্শ্বিক সামাজিক অবস্থায়, বাস্তব চরিত্রগুলোর সাধারণ স্বভাব কোনো ভাবেই পরিবর্তন না করে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের ভিত্তিতে অতিপ্রাকৃত বিষয়ের অবতারণা করেছেন।
ওনার লেখার গুরুত্ব আরো বেশি হবার কারণ, চরিত্রগুলো খুব চেনা। এক সেকেন্ডের জন্যও আপনার মনে হবে না আপনি অদ্ভুত কোনো মানুষের কথা পড়ছেন। এই বিশেষ গুণ হুমায়ূনের মাঝে ছিলো বলেই তার লেখা এখনো বাংলা সাহিত্য জগতে অন্যতম শীর্ষস্থান দখল করে আছে।

উনি যে পড়াশোনা করেই তারপর লিখতে নামতেন, তার অনেক উৎকৃষ্ট উদাহরণ "নিষাদ"।খুব সম্ভবত ফ্রয়েডের ইন্টারপ্রিটেশন অব ড্রিমস তিনি খুব ভালোভাবে পড়ে নিয়েই মিসির আলি লিখতে বসেছিলেন। বেশ দারুণ প্রয়োগ করেছেন সেই তত্ত্বের। মায়াবাদ, অস্বিত্ববাদ এইসব ব্যাপারগুলোও তিনি এক উপন্যাসের মধ্যে ধরার চেষ্টা করেছেন। তার উপর নান্দনিকভাবে পুরো লেখাকে উপস্থাপন করার জন্য কবিতার ব্যবহার ছিলো পুরোই জমিয়ে ক্ষীর বানানোর একটি উপায়।

এবারে আসি ভিন্নধর্মী প্রেমের গল্পের কথা কেনো বললাম, সেটায়। গল্পটাকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের বাইরে গিয়ে যদি দেখতে চাই, তাহলে স্বপ্নকে প্রাচীন সময় থেকে যেভাবে চিন্তা করা হচ্ছে, সেভাবে চিন্তা করতে হবে। আমরা জীবনভর যা পাই না, তা আমরা অনেক সময় পেয়ে যাই নিজেদের স্বপ্নে। কিংবা নিজের কল্পনায়। আপনি ভেবে দেখলে, আপনার সামনেই আপনার দু'টো স্পষ্ট জীবন। যে জীবন আসল তা তো সবার সামনেই। আমাদের একটা নকল জীবন আমাদের সবার কল্পনায় থাকে। এটা মানেন নিশ্চয়ই? কল্পনায় আমরা আমাদের মনের মতো করে ভবিষ্যৎ, বর্তমান সবকিছুকে নিজের ইচ্ছাধীন উপায়ে সাজিয়ে নিতে পারি। যে মানুষগুলোকে আমরা নিয়মের ব্যাড়াজালে হারাই, কল্পনায় আমরা তাদের সাথেই জীবনের বিশাল একটা অংশ জুড়ে থেকে যাই। মুনিরের অধরা সেই মানুষটাকে নিয়ে, তার সুন্দর ভালোবাসাময় একটা জীবন এই উপন্যাসে তাই আমরা পাই। বেশ স্বস্তা ইমোশোনাল প্লটকে অনেকটা স্বর্ণে মুড়ে দিয়ে হুমায়ূন এখানে উপস্থাপন করেছেন। বাটাইফ্লাই ইফেক্টের ব্যাপারটাও হয়তো এই জায়গায় নিয়ে আসা যায়। অনেক ভাবে এই গল্পটাকে পাঠকরা নিজেদের মতো করে উদ্ধার করতে পারে। অর্থাৎ পাঠকভেদে এই উপন্যাস আলাদা আলাদা মর্মার্থ বহন করে এবং অদ্ভুতভাবে প্রত্যেকটি এন্ডিং কিংবা প্রত্যেক পাঠকের চিন্তাভাবনা করে বের করা শেষটাই বিষন্ন সুন্দরের দাবি রাখে। এই জায়গা থেকে প্রেমকাহিনী হিসেবেও উপন্যাসটি উচ্চ পর্যায়ে।

উপন্যাসটা এক কথায় অসাধারণ। মিসির আলি সিরিজের দ্বিতীয়  উপন্যাস "নিশীথিনী" তে একটা সাব প্লট ছিলো। যেটা আমার কাছে একেবারেই অতিরিক্ত মনে হয়েছিলো।সেই  অতিরিক্ত সাব প্লটের ভার নিষাদে নেই। একদম পরিশুদ্ধভাবে ছেঁকে নেয়া একটা গল্প। যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকুই উপন্যাসে আছে। ফিলোসোফি, ধর্মতত্ত্ব, মায়াবাদ এসব নিয়ে যতটুকু জ্ঞান কপচানো যেতো, তাও তিনি গল্পের ফাঁকে সুন্দর ভাবে করেছেন। আমি এই ব্যাপারগুলো খুব পছন্দ করি, কারণ উপন্যাস আমাকে নতুন কিছু দেয় এমন ক্ষেত্রে। নিজের অপরিচিত একটা ফিলোসোফি হাতে ধরিয়ে ইন্ট্রেস্ট জাগিয়ে লেখকের পালিয়ে যাওয়া, আরো বেশি দারুণ লাগে। নিজে থেকে বাকিটা খুঁজে নিয়ে আরাম পাই৷ এই কারণে "নিষাদ" উপন্যাসটিকে অনেক উপরের দিকেই রাখবো।

হুমায়ূনের অবশ্যপাঠ্য উপন্যাসের তালিকায়, অবশ্যই "নিষাদ" রাখবেন।
Displaying 1 - 30 of 134 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.