ঘনাদা বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র। ১৯৪৫ সালে প্রেমেন্দ্র মিত্র এই চরিত্রটি সৃষ্টি করেন। ঘনাদার প্রকৃত নাম ঘনশ্যাম দাস। ঘনাদা তাঁর মেসের প্রতিবেশী চার যুবককে নিজের জীবনের নানা অভিযান সম্পর্কে অবিশ্বাস্য ও আজগুবি গল্প মুখে মুখে বানিয়ে শোনান। ঘনাদার গল্পগুলি বানানো হলেও, এর অধিকাংশ তথ্যই বাস্তব ভিত্তিতে গৃহীত।
সূচী: ১. ঘনাদার গল্প ২. অদ্বিতীয় ঘনাদা ৩. আবার ঘনাদা ৪. ঘনাদাকে ভোট দিন ৫. ঘনাদা নিত্য নতুন ৬. ঘনাদার জুড়ি নেই
Premendra Mitra (Bangla: প্রেমেন্দ্র মিত্র) was a renowned Bengali poet, novelist, short story writer and film director. He was also an author of Bengali science fiction and thrillers.
His short stories were well-structured and innovative, and encompassed the diverse to the divergent in urban Indian society. The themes of poverty, degradation, caste, the intermittent conflict between religion and rationality and themes of the rural-urban divide are a thematically occurring refrain in much of his work. He experimented with the stylistic nuances of Bengali prose and tried to offer alternative linguistic parameters to the high-class elite prosaic Bengali language. It was basically an effort to make the Bengali literature free from softness, excessive romance and use of old style of writing which were prevalent in older writings.
এ এক ভয়াবহ বই। এ বইটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কেন পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল, আপনি আরো জানতে পারবেন কেন মানুষ কানে না দেখে চোখে দ্যাখে। সেই সাথে বোনাস হিসেবে আপনি জানতে পারবেন, কেন আপনি বইটি এখনো না পড়ে আমার এই গুলবাজি মার্কা রিভিউ পড়ছেন।
ভাইরে ও বোনরে, এমন গুলবাজ ক্যামনে প্রেমেন্দ্র মিত্র জন্ম দিলো? "টেনিদা" পইড়া তো আমি ভাবছিলাম কি চাপাবাজি না করছে নারায়ন বাবু। এখন তো দেখি প্রেমেন্দ্র বাবু আর তার ঘনাদা পুরা চাপাবাজির এনসাইক্লোপিডিয়া।
ডাউস সাইজের বই, একটা পেজেও বিরক্তি লাগেনি। বুঝতেই পারছেন কেমন লেগেছে। পড়ে ফেলুন সময় না নষ্ট করে।
বলা হয় যে প্রেমেন্দ্র মিত্র বাঙলা ভাষায় প্রথম লেখেন science-fiction. এমন কি সেই সময় বাঙলা ভাষায় তাঁর ই উদ্যগে প্রথম sci-fi club ও গঠিত হয়. বাঙালীর কাছে তাঁর পরিচয় অনেক হলেও তাঁকে বাঙালী এক কথায় চিনতে পারে ঘনাদা এর স্রষ্টা রূপে. মূলত কিশোর তথা সকল বাঙালীর মনে তৎকালীন বিঞগান মনস্কতা গড়ে তলার জন্নেই তিনি ঘনাদা লিখ্তে আরম্ভ করেন. ঘনাদা সমগ্রের প্রথম খন্ডটি ঘনাদার প্রথম দিকের গল্প গুলির ই একসাথে প্রকাশ. এক সময়ের সেই মজলিসী আড্ডার আমেজ, সাথে সাথে নানা রকমের চরিত্র আর তার সাথে সাথে প্রতিদিন নতুন নতুন লোভনীয় খাবারের মধ্যে দিয়ে অসামান্য সব গল্পের আবির্ভাব - এক কথায় চেটেপুটে নেয়ার মত. ঘনাদার গল্পের পরিধি পৃথিবীর সর্বত্র. তিনি একমেবতদ্বিতীযয়্ম্. অথচ সব এর মধ্যে দিয়েও এর উপস্থিতি সদা লক্ষনীয়. সেই সময়ের দাদারা - ব্রজদা, ঋগুদা, টেনিদা, ফেলুদা, পিনডিদা ইত্যাদি যাঁরা বাঙলা ভাষা কে চিরকালের জন্য সমৃদ্ধ করে রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে ঘনাদাও অন্যতম উজ্জ্বল চরিত্র.
বাহাত্তর নম্বর বনমালি নস্কর লেনের একটা মেস। এই মেসেই থাকেন ঘনশ্যাম দাস ওরফে ঘনাদা। মেসের বাকি সদস্যরা হলো গল্পের কথক, গৌর, শিবু, এবং শিশির। সাথে আছে চাকর বনোয়ারি আর এক রাধুনি। চার যুবক কাজের দিনগুলোতে বিভিন্ন কাজ করলেও ছুটির দিনগুলোতে তাদের একমাত্র ভরসা ঘনাদার গল্প। কিন্তু ঘনাদার মুখ থেকে গল্প বা অন্য কথায় তার অভিজ্ঞতার বয়ান বের করা তো এত সহজ ব্যাপার না, তার জন্য রীতিমতো তাকে তোয়াজ করতে হয়, ‘ঘুষ' দিতে হয়, ফাঁদে ফেলতে হয়। আর এতসবের পর যদি ঘনাদার মন গলে তবেই পাওয়া যায় অত্যাশ্চর্য সব গল্প।
ঘনাদার গল্পগুলোর এই সংকলনে স্থান পেয়েছে ছয়টি গল্পগ্রন্থের মোট আটাশটি গল্প। তো গল্পগুলো পড়ে কি পেলাম? সহজ ভাষায় বলা যায়, নিখাঁদ বিনোদন। টেনিদা যেখানে তার আশেপাশের দুই-চার গ্রামে হাতিঘোড়া মারতো ,ঘনাদার বিস্তৃতি সেখানে পুরো বিশ্বজুড়ে। জাপানি দ্বীপ থেকে আমেরিকার উপকূল – পুরো পৃথিবী জুড়েই তার পদচারণা। আর এসব ভ্রমণে যে সে বিভিন্ন রহস্যের সমাধান করার কথা বলতো তাও বিস্তৃত ঘরানার। বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী রক্ষা থেকে পাগলাটে বিজ্ঞানী থেকে পৃথিবী রক্ষা করা পর্যন্ত বিস্তৃত তার অভিযান। গল্পগুলোর মূল হাস্যরসটা পাওয়া যায় প্রতিটা গল্পের শুরু আর শেষে যেখানে মেস বাসিন্দারা ঘনাদাকে গল্প বলতে রাজি করায় এবং শেষে হতবাক হয়। খাওয়ার লোভ, মান ভাঙ্গানো, জব্দ করার কলাকৌশল, হাসি চাপতে কাশি, সিগারেট সংগ্রহ ইত্যাদি বিষয়গুলো বেশ মজাদার। আর ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো প্রেমেন্দ্র মিত্র এসব গল্পের বিষয়বস্তু বাছাই করেছেন সমকালীন গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক ঘটনা থেকে। ইউএফও বা অ্যাটম বোমা বা সমুদ্র দূষণ বা বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে গল্পগুলোতে। এসব তথ্যকে ঘনাদার অভিযানের মাধ্যমে অবিশ্বাস্য অথচ শিক্ষ্যণীয় ও মজাদার করে উপস্থাপন-ই তাঁর মুন্সিয়ানা।
অন্যদিকটা যদি বলি, তাহলে বলব প্রায় একইভাবে প্রতিটা গল্পের সূচনা ও সমাপ্তি, আটকে পড়া বিজ্ঞানী ও তার সহযোগীর গুন্ডামি, ঘনাদার পৃথিবীব্যাপি পরিচিতি, প্রতিটা বিপদ থেকে প্রায় একইভাবে রক্ষা পাওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো বিরক্ত লেগেছে। মানে বলতে চাচ্ছি, বেশিরভাগ গল্পের ছাঁচটা যেন একই, লেখক যেন একটা ছাঁচের মধ্যে ফেলে বেশিরভাগ গল্প লিখেছেন।
যাহোক, সম্ভব-অসম্ভবের ধারণাটা একটু বড় করে তুলতে পারলে ঘনাদার চাপাবাজী বেশ উপভোগ্য-ই বটে!
ছোটবেলায় পড়ে রেটিং দিয়েছিলাম ৫ তারা। বড়বেলায় পড়তে শুরুতে বেশ ভালো লাগলেও একসময় কাহিনীর নতুনত্ব আর পাচ্ছিলাম না। কিন্তু প্রতি গল্পেই নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল। ছোটবেলার রেটিংটা আর পাল্টালাম না, তবে এখন হয়ত আরও কিছু কম তারা দিতাম।
কে জানত এরকম কেঁচো খুড়তে কেউটে বের হয়ে আসবে! তাহলে কি আর পড়ব পড়ব করে গড়িমসি করতে করতে শেলফে রেখে দেই বইটা? তাও পাক্কা তিন তিনটি মাস। বোম পুরা বোম! একদম রসগোল্লা!!
After Teni-da and Felu-da, Ghana-da is my most favorite dada in the Indian literature. While the Indian-Bengali writers filled up the sphere with so many characters known with name 'dada' this particular gentleman Ghana-da brings a fresh breeze with his stories. This guy is average in all sorts, you can't determine how old he is, an average looking guy living on a boarding mess with few bachelors along with the narrator in one of those clumsy streets of Kolkata. What will mesmerize you is his stories, there haven't been any event and any country where this gentleman hasn't been. Just sit down and start listening to his stories :-)
ঘনাদাকে কার ভাল লাগবে না। বানিয়ে গল্প বলে, বাগিয়ে নাস্তা খেয়ে, সিগারেট ধরিয়ে কি আসরটাই জমাতেন। মাঝে মাঝে মনে হতো গল্পগুলো কি আসলেই ঘনদা বানিয়ে বলছেন? যাই হোক লেখক ঘনাদাকে শুধুমাত্র মিথ্যাবাদী হিসাবে কেউ চিন্তা করুক তা চাননি, গল্পবলিয়ে হলেও ঘনাদার অভিজ্ঞতা নেহায়েত কম নয়।
এতদিন ঘনাদাকে চিনতাম না দেখে আফসোসই হয়েছিল।ইতিমধ্যেই আমার পড়া সবচেয়ে উপভোগ্য কিছু বইয���ের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।আড্ডা, ভূগোল, এডভেঞ্চার পছন্দের সবকিছুর সমাহার। ঘনাদার গুল্পপট্টি আর শ্রোতাদের সূক্ষ্ম পচানি নেভার গেটস ওল্ড।হাহাহা।প্রেমেন্দ্র মিত্র প্রথম পড়া।
কলকাতা নগরীর বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেনের ঠিকানায় একটি নাতিজীর্ণ নাতিনবীন আড়াইতলা মেস বাড়ির একটি বিশেষ আড্ডাঘরে গৌর, শিবু, শিশির আর কথককে যখন সপ্তাহ শেষে চাকুরীর গ্লানী পেয়ে বসে তখন তা থেকে মুক্তি পেতে ছুটির দিনে বসে বিশেষ আড্ডা। সে আড্ডায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন সে মেসেরই তেতলার অধিবাসী স্বয়ং ঘনশ্যাম দাস ওরফে ঘনাদা। ঘনাদার মুখ থেকে গল্প বের করবার জন্য তাকে তাঁতিয়ে দিতে উস্তাদ মেসবাসী। পৃথিবীতে এমন কিছু কি আছে যা ঘনাদা জানেন না বা করেননি? এডভেঞ্চার, রহস্য, রোমাঞ্চ, জিওগ্রাফি সব কিছুরই অভিজ্ঞতা নিয়েই পুরো দুনিয়া চষে বেড়িয়ে তারপর বনমালী নস্কর লেনে এস থিতু হয়েছেন। তার সে সব গল্প যে গুল তা মেসবাসী জানেন কিন্তু ঘনাদাকে ছাড়া যে ছুটির দিন তাদের খুব একঘেয়ে কাটে তাই তারা সে ভয়ে বলেন না পাছে না ঘনাদা রাগ করেন বাকিটা পাঠকই বিবেচনা করবেন।
ঘনাদা একমেবাদ্বিতীয়ম। গুলের মাঝেও সুন্দর করে সাইন্স ও হিস্টোরি মিশে থাকে। পড়ে হাসাও যায়, শেখাও যায়। তাই টেনিদা ফেলুদার মত ঘনাদাও ক্লাসিকের কাতারে চলে গেছে। শুরুর দিকের গল্পগুলো বেশ ভালো। শেষদিকে এসে রিপিটেটিভ ছিলো। ঘুরেফিরে ঐ ঘনাদা রাগ করেন ও তার মন ভাঙানোর জন্য ঘুষটুস দিয়ে বা নানা ফন্দি করে গল্প বের করতে হয়। এর জন্য এক স্টার কম দিলাম।
প্রেমেন্দ্র মিত্র খুবই জ্ঞানী মানুষ ছিলেন। হিউমারও দুর্দান্ত। উপমা, শব্দ, বাক্যের খেলা খেলেছেন চমৎকারভাবে।
Jokes apart, Premendra Mitra knew how to capture his readers' attention, as he weaved tales of this immortal Bengali man, exploring mythology, history, geography and the socety as a whole. Knowledgable yet funny to its core.
Ahaa E Tumi Kemon kore Kalom Dharo hey guni...Chhotobelay Ghanada Comics porechilam prothom, recently ei tinte samagro kine porchi.. ki opurbo ki osadharon protita galpo.. Ki sanghatik jinistai na miss korechilam... etodin...
অসাধারণ একটি হাস্যকৌতুকপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারস মজার গল্প বই।আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাহলে নিশ্চয়ই ঘনাদা চরিত্রটির সঙ্গে আপনার পরিচিত হওয়া দরকার।
বিশ্বে এমন কোনো জায়গা নেই ঘনাদা যেখানে যাননি, এমন কোনো ভাষা নেই যেটা তিনি জানেন না, এমন কোনো খাবার নেই যেটা তিনি খাননি এবং এমন কোনো বিষয় নেই যেটা তাঁর আয়ত্তে নেই।
১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ (বাংলা ১৩৫২ বঙ্গাব্দের) আলপনা পত্রিকার পূজাবার্ষিকীতে প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটে ঘনাদার। প্রথম গল্পের নাম ‘মশা’। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘পোকা’, ‘নুড়ি’, ‘কাঁচ’ প্রভৃতি গল্প। ৭২ নম্বর বনমালি নস্কর লেনের একটি মেসে বসে ঘনাদা তাঁর সাগরেদ শিবু, শিশির, গৌরাঙ্গদের শুনিয়েছেন এমন কিছু ঘটনা যেগুলো না ঘটলে গোটা পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে যেত।
তবে ঘনাদার এই আপাত গালগল্পের মধ্যেও শিক্ষণীয় অনেক বিষয় আছে। ঘনাদার বয়ানে মূল গল্পাংশে ঘনাদার স্রষ্টা প্রে���েন্দ্র মিত্র ইতিহাস, ভূগোল, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, প্রাণীবিদ্যা ইত্যাদি সাধারণ জ্ঞানের বিস্তর বিষয়কে অসাধারণ কৌশলে ও দক্ষতার সঙ্গে মিশ্রণ করে ঘনাদার বাহাদুরির বৃত্তান্তকে যেমন জ্ঞানগর্ভ তেমনই রোমাঞ্চকর রূপ দিয়েছেন। আর সেসবের বিপরীতে কৌতুকের বিষয় হিসেবে দেখিয়েছেন মেসের অন্যান্য বাসিন্দাদের বিদ্যার বহর।
প্রেমেন্দ্র মিত্র ১৯৭৪ সালে SPAN পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘Ghanada is a teller of tall tales, but the tales always have a scientific basis. I try to keep them as factually correct and as authentic as possible.’
Ghona-da is probably one of the best satire heroes in Bangla literature. He looks like a mid 30 year old man though he seems not to have missed a single event from the end of the 19th century to WWI. Witty, clever and quick on his feet, he ha travelled all around the world and has a huge stock of stories. Some outrageously brilliant, some hilariously impossible ones. But great stories nevertheless. Fight against Hitler's Nazi troops, Japanese submarines, the jungles of Africa or the great Sahara desert, Ghona-da has been with the best, and he has beaten the best.
Ghonada is simply fab. He tells tall tales, throws tantrum and makes a cat's paw of others. However, he is smart as a whip and exceptionally well read (he belongs to the pre-Internet era). Not only is he knowledgeable in History, Geography, Science and Storytelling, but also is extremely vocal for conservationism and against racism and white supremacy. I would hate to have him as a roommate but love to be a regular attendee at his storytelling sessions. He knows how to keep his audience engaged!