Sunil Gangopadhyay (Bengali: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়) was a famous Indian poet and novelist. Born in Faridpur, Bangladesh, Gangopadhyay obtained his Master's degree in Bengali from the University of Calcutta, In 1953 he started a Bengali poetry magazine Krittibas. Later he wrote for many different publications.
Ganguly created the Bengali fictional character Kakababu and wrote a series of novels on this character which became significant in Indian children's literature. He received Sahitya Academy award in 1985 for his novel Those Days (সেই সময়). Gangopadhyay used the pen names Nil Lohit, Sanatan Pathak, and Nil Upadhyay.
Works: Author of well over 200 books, Sunil was a prolific writer who has excelled in different genres but declares poetry to be his "first love". His Nikhilesh and Neera series of poems (some of which have been translated as For You, Neera and Murmur in the Woods) have been extremely popular.
As in poetry, Sunil was known for his unique style in prose. His first novel was Atmaprakash (আত্মপ্রকাশ) and it was also the first writing from a new comer in literature published in the prestigious magazine- Desh (1965).The novel had inspiration from ' On the road' by Jack Kerouac. His historical fiction Sei Somoy (translated into English by Aruna Chakravorty as Those Days) received the Indian Sahitya Academy award in 1985. Shei Somoy continues to be a best seller more than two decade after its first publication. The same is true for Prothom Alo (প্রথম আলো, also translated recently by Aruna Chakravorty as First Light), another best selling historical fiction and Purbo-Paschim (পূর্ব-পশ্চিম, translated as East-West) a raw depiction of the partition and its aftermath seen through the eyes of three generations of Bengalis in West Bengal, Bangladesh and elsewhere. He is also the winner of the Bankim Puraskar (1982), and the Ananda Puraskar (twice, in 1972 and 1989).
Sunil wrote in many other genres including travelogues, children's fiction, short stories, features, and essays. Though he wrote all types of children's fiction, one character created by him that stands out above the rest, was Kakababu, the crippled adventurer, accompanied by his Teenager nephew Santu, and his friend Jojo. Since 1974, Sunil Gangopadhyay wrote over 35 novels of this wildly popular series.
Death: Sunil Gangopadhyay died at 2:05 AM on 23 October 2012 at his South Kolkata residence, following a heart attack. He was suffering from prostate cancer for some time and went to Mumbai for treatment. Gangopadhyay's body was cremated on 25 October at Keoratola crematorium, Kolkata.
Awards & Honours: He was honored with Ananda Award (1972, 1979) and Sahitya Academy Award (1984).
বছর তিনেক আগের কথা। একদিন হুট করে মনে হলো আত্মপ্রকাশ নামে উপন্যাস লেখা প্রয়োজন, যাতে ব্যক্তিগত কথাকে উপজীব্য করে ফিকশনাল কিছু রূপরেখা থাকবে। যেই ভাবা সেই কাজ... শুরু করে দিলাম উপন্যাস। কিন্তু কয়েক হাজার ওয়ার্ড লিখেই ক্ষান্ত দিলাম সে যাত্রা... নাহ তখনও সেই বই লেখার সময় আসেনি, হয়তো একদিন আসবে ... উপযুক্ত সময় ছাড়া এসব বই লেখা অনুচিত।
আরও কিছুদিন পর জানতে পারলাম বিখ্যাত লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়েরও এই শিরোনামে একটি উপন্যাস রয়েছে। ভাবলাম! বেশ! সুনীল লিখেছেন, একই শিরোনামে... ব্যাপারটা আনন্দিত করল। ইচ্ছে হলো বইটা পড়ার, কিন্তু উপায় হলো না। বই নেই, কোথা থেকে পাওয়া যাবে কোনও ধারণা নেই!
অতঃপর সেই বই জোগাড় হলো, গতকাল এবং সাথে সাথেই পড়ে ফেললাম। প্রসঙ্গত, এটিই সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস।
আত্মপ্রকাশ লেখকের প্রথম উপন্যাস, অথচ ভাষার ব্যবহার দেখে তা বোঝা দায়। চিরায়ত বাংলাকে অক্ষুন্ন রেখেই উপন্যাস রচিত হয়েছে আধুনিক ভাষাশৈলী উপজীব্য করে।
এ গল্প কতিপয় বাঙালী যুবকের- তাদের বেয়াড়া জীবন, কাম, খেদ, হতাশ, আশা, নৈতিকতা, অনৈতিকতা, অর্থহীনতা এবং প্রেমকে চিত্রায়ন করেছে আত্মপ্রকাশ। গল্পের মূল চরিত্রের নাম সুনীল। ব্যক্তি সুনীলের সাথে তার পুংখানুপুঙ্খ মিল না থাকলেও লেখকের বিবিধ দর্শন প্রকাশ পেয়েছে তার কথনেই।
প্রেমের ব্যাপারটি অত্যান্ত নিষ্ঠুর ভাবে দেখান হয়েছে বইতে। প্রেম আশ্বিনের ঝড়ো হাওয়ার মত, বাঁধ ভাঙা, ভেজানো জানালা ঠেলে ঢুকে পড়ে ধ্বংসপ্রায় অস্তিত্বের মাঝে। সে প্রেম এক তরফা, কিংবা নয়। তার ব্যপ্তি সমস্ত হৃদয় জুড়ে। মনে হয় তা ছাড়া বাঁচা যাবে না। ক্রমাগত উপেক্ষায় ঝলসে যাওয়া মনটুকু পুরনো প্রেম ভুলতে পারে না, তবুও নতুন করে বাঁচতে চায়, আবার ভালবাসে। আবেগপূর্ণ অথচ শরীরহীন প্রেম, কিংবা শরীর সর্বস্ব আবেগহীন রোমান্স, সবটুকুই চলে আসে মানসিকতার খোঁড়াক হয়ে। ধরা-অধরায় মানুষকে যন্ত্রণা দেয়, ভাবায়, কাঁদায়। আবার হয়তো নতুন করে বাঁচার শক্তি জোগাতে ব্যর্থ হয়ে পিছিয়ে পড়ে।
বইটি ভাবিয়েছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষেরা নারীর কাছে আজও কতটা অসহায় তার একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে। সামাজিকতার সংকীর্ণতা কিংবা ভালবাসার সীমাবদ্ধতাগুলোকে প্রাঞ্জল করেছে। কেউ কেউ আজও শুধুই ভালবাসতে চায় ভালবাসার জন্য, তা প্রমাণ করেছে। সেই সঙ্গে দেখিয়েছে হারিয়ে যাওয়ার বাস্তবতা, ফুরিয়ে যাবার নিষ্ঠুরতা, সীমাহীন অসীম জীবনের মাঝে আমাদের সংক্ষিপ্ত উপস্থিতির ট্র্যাজেডি।
নাহ, সুনীলের এই উপন্যাস সব বয়সের জন্য নয়, অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বয়স না পেরুলে এর মর্ম হয়তো বোঝা যাবে না। হয়তো নিজেকে গল্পের চরিত্রদের ভিড়ে অগোছালোভাবে খুঁজে পাওয়া যাবে না, হয়তো আত্মপ্রকাশ অধরায় থেকে যাবে।
তবে হ্যাঁ, তিরিশোর্ধ্ব সকলের এই বই পড়া উচিৎ। বইটি নিঃসন্দেহে একটি কিংবদন্তী অধ্যায়ের সূচনা, এক সুনীলের জন্মের শুভলগ্ন। সুনীল সুনীলই ... তার অন্য কোনও তুলনা হবে না।
একটা বই পড়ার জন্য সেই বইয়ের সময়কাল ও পারিপার্শ্বিকতা বোঝা কি জরুরি, এই বইটা পড়ে খানিকটা বুঝেছি।
আপনি যদি না জেনে থাকেন উপন্যাসটি ১৯৬৬ সালে প্রথম প্রকাশিত এবং এটি নিখিলেশ-শেখরদের বন্ধু সুনীল কিংবা নীরার প্রণয়ে আচ্ছন্ন কবি সুনীল এর লেখা প্রথম উপন্যাস, তাহলে আর দশটি শহুরে জীবনের ঘাত অভিঘাত বহুল একটি সাধারন উপন্যাস ভেবে ভুল করার সুযোগ আছে।
আত্মপ্রকাশ নামটির মধ্যেই বোঝা যায়, সুনীল বেশ ভেবেচিন্তে এবং সাহসের সাথেই নামটি দিয়েছেন, এবং এর মধ্যে যদি তাঁর ব্যাক্তিগত জীবনের কিছুটা প্রতিফলন দেখতে চান আপনি ঠিক ভুল করবেন না।
আমার মনে হয় জুয়ার আখড়া- মদ্যপান- মারামারি- জীবনকে খুব কাছ থেকে ছুঁয়ে দেখার উন্মত্ততা- ফিল্মের মেয়ে- রক্ষিতা - এল এস ডি সেবন- অল্পবয়সী বালিকার প্রেমে পড়া - অফিস পাড়া- এই বিষয়গুলোর উপস্থাপন সামগ্রিক ভাবে সদ্য ঔপনিবেশিকতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত, দেশভাগের ক্ষত বয়ে বেড়ানো এক জনপদের গঠিতব্য শহুরে নাগরিক সমাজের শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের একধরনের নিজস্ব আইডেন্টিটি তৈরি করতে চাওয়ার-ই বহিঃপ্রকাশ, যেখানে ষাট এর দশকে পশ্চিমের হিপি মুভমেন্টের প্রত্যক্ষ ও প্রচ্ছন্ন প্রভাব রয়েছে।
যান্ত্রিক সমাজের এই অন্তর্জাল আর ঘাত অভিঘাতের গল্প আমরা সুনীলের অন্য উপন্যাস যেমন অরণ্যের দিনরাত্রি- তেও গভীর ভাবে দেখতে পাই।
সুনীল যেমনটি করেন, একেবারে মেদহীন ঝড়ঝড়ে ভাষায় সাধারন গল্প বলতে বলতেই এমন কিছু লাইন তুলে দেন- যে একেবারে অস্তিত্বের মর্মে গিয়ে আঘাত হানে। কিছু কিছু লাইনকে মনে হয় খুব বেশী-ই সত্যি।
খুব কম লেখক পেরেছেন নিজের প্রথম কাজকেই এত শক্তিশালী করে তুলতে।
সুনীল সাহসী এবং সার্থক বটে! নিজেকে এরকম ভাঙ্গা-গড়ার মাঝে ফেলতে পারেন ক'জন?
"আত্মপ্রকাশ"সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর প্রথম উপন্যাস। দেশ পত্রিকায় তৎকালীন সম্পাদক সাগরময় ঘোষের অনুরোধে তিনি এই উপন্যাস লিখেন। "আত্মপ্রকাশ" পূর্ববাংলার এক রিফিউজ ছোড়ার কলকাতা শহর চিনে নেয়ার গল্প। যে কিনা বার বার চেষ্টা করে গেছে কোন এক নিদিষ্ট মানুষকে আকড়ে ধরে বেচে থাকার। কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুরতায় আর যান্ত্রিকতার ভিতরে নিজেকে খোঁজার নেশায় ভুল পথের পথিক হয়ে ওঠা। তারপর একাকীত্বকে নিজের সঙ্গী করে নেয়া। উপ্যানসটির প্রধান চরিত্র "সুনীল"। তার জীবনে ঘটে যাওয়া অতীত এবং বর্তানের গল্প নিয়ে লেখা। মূলত লেখক তার ব্যক্তি জীবনের অভিজ্ঞাগুলোই তুলে ধরেছেন। এটি লেখকের শুধু নিজেরই নয় তার সাথে তুলে ধরেছেন কলকাতা শহরের বেড়ে ওঠা কয়েকজন ছন্নছাড়া যুবকের প্রতিনিয়ত সমাজের প্রথা ভাঙ্গার উপন্যাস।
পূর্বপাকিস্তান থেকে চলে আসা একটি ছেলে কলকাতার অন্ধকার কোণগুলোয় ঘুরে বেড়ায় নিজেকে তৈরি করবে বলে। তার ছোটোবেলার বন্ধু এলএসডি নেয় হারানো স্মৃতি ফিরে পাওয়ার তাগিদে। আরেকজন নারী তার সন্তানকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে কলকাতায় চলে আসে। মাঝখানে অনেক মানুষ, অনেক ঘটনা। আত্মপ্রকাশ শুরুর দিকে বিবর- এর মতো লাগলেও, পরের দিকে উপন্যাসটি নিজের স্বকীয়তা ফিরে পায়। অনেক জায়গায় উপন্যাসের ভাষা আর কবিতার ভাষা মিলেমিশে এক হয়েছে। পড়তে পড়তে মনে হবে, এই লেখক তছনছ করতেই এসেছেন, এবং সেই ভাঙাচোরার মধ্যে কোথাও প্রবলভাবে আত্মবিশ্লেষণ, সত্যকে ধরার চেষ্টা রয়েছে।
আমি জানি না কেনো, আত্মপ্রকাশ নিয়া আমার একটা বরাবরের ভালো লাগা আছে। এইরকম করে দুপদাপ দু তিন ধাপ সিঁড়ি পের���য়ে যাওয়া, শহরের প্রতিটা রাস্তাকে নিজের মত করে চিনে নেয়া, কী অদ্ভূত, হইতে পারে বইয়ের সুনীল অনেক প্রেজুডিসড, কিন্তু, আমিও ত। পড়ি, ম্যালাবার পড়ি, বারবার পড়ি, আত্মপ্রকাশ কখন যেনো অনেক বেশি আপন একটা বই হয়ে গেছে। বইটার শুরু শেষের ঠিক নাই হয়ত, অন্তর্বর্তী কোনো কাহিনী নাই হয়ত, নাই হয়ত কোনো মরালও, কিন্তু, ফ্রেঞ্চ শেখে মদ খায় না, ফ্রান্সের লোকেরা শুনলে কী বলবে!
প্রত্যেকটা বই পড়ার একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে যে সময়ের আগে পড়লে ভাল্লাগে না।এই উপন্যাসটা ক্লাস সিক্সে পড়ছিলাম।তখন পুরাই গাঁজাখুরি মনে হইছে।বাট এখন হয়ত অনেককিছুই বুঝতে পারছি।
অনেক গল্পকার বা ঔপন্যাসিকদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, তাদের একবারে প্রথমদিকের লেখাগুলো খুব ভাল হয় না সামগ্রিক দিক বিচার করলে। প্রতিভার স্পর্শ থাকে। লেখা জমে ওঠার সুযোগ ও প্লট থাকে কিন্তু জমে না।
সুনীলের প্রথম উপন্যাস আত্নপ্রকাশ পড়লে বোঝা যায়, গদ্যের উপর ভাল দখল নিয়েই লিখতে শুরু করেছিলেন। এর আগে কবিতা লেখায় উপন্যাসে তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে উপমার ক্ষেত্রে। সুনীলের উপমাগুলো প্রথম থেকেই যেন একইরকম রয়ে গেছে শেষ অবধি।
গদ্য সুন্দর, সাবলীল, বাহুল্যবর্জিত তবে গতিময়তা একটু কম।
কাহিনি রিয়েলিস্টিক করতে মূল চরিত্রের নাম নিজের নামেই রেখেছেন। এক ত্রিশোর্ধ চাকুরে অবিবাহিত যুবকের কাহিনি। পলিগ্যামির মতো বিষয়কে সুনীল স্বাভাবিকভাবে নিজের লেখায় আনতে পারেন।
প্রতিভার যথার্থ ব্যবহার হয়েছে বলেই এই উপন্যাস সুখপাঠ্য।
অর্ধেকের আগেই ম্যাড়মেড়ে লাগা শুরু করলো । কিন্তু যেহেতু শুরু করেছি ,সুতরাং শেষ করতে হবে ,স্রেফ এই জন্যই পুরোটা পড়া । এখন পর্যন্ত আমার আছে কবিতার সুনীলের ধারেকাছেও গদ্যের সুনীল আসতে পারেন নি । উপন্যাসে ভাষা যদি এমন ভোঁতা ধরণের হয় , আর সংলাপ যদি চরিত্রের মুখ দিয়ে আনাড়ি অভিনেতার মতো বের হয় , তাহলে সেই উপন্যাস হজম করাটা আসলেই অত্যাচারের মতো লাগে । :/
সুনীল যমুনাকে পেলে কি এমন ক্ষতি হতো? কেনো অপূর্ণতার বেদনায় কষ্ট পেতে হবে?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস হিসেবে আগ্রহ নিয়ে পড়লাম। উপন্যাসটা ১৯৬৬ সালে লিখিত। সময়ের তুলনায় উপন্যাসের লাইনগুলোকে বেশ সাহসী বলে মনে হয়েছে।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের আত্মজীবনী অর্ধেক জীবন পড়ার সময় জেনেছিলাম যে তার লেখা প্রথম উপন্যাস' আত্মপ্রকাশ'। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কবি হিসেবেই তার সাহিত্য জীবন শুরু করেছিলেন, কবিতার ম্যাগাজিন বাল্মীকি পত্রিকার সম্পাদনা করতেন তিনি। হঠাৎ করেই তার মনে হলো পদ্য তো অনেক হলো, এবার একটু গদ্যে প্রবেশ করা যাক। ফলশ্রুতিতে টুকিটাকি গদ্য লেখার মাঝখানে একদিন লিখে ফেললেন ওনার এই উপন্যাস 'আত্মপ্রকাশ'।
ঘোষ এন্ড কোম্পানি নামক একটা টকশোতে উনি বলেছিলেন আত্মপ্রকাশে উনি ওনার দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার কথা গদ্য আকারে কল্পনার রং চড়িয়ে লিখেছেন। অভিজ্ঞতার কথা+কল্পনার লিখিত মাধ্যমেই একদিন দেশ পত্রিকার পূজা সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয় আত্মপ্রকাশ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন আত্মপ্রকাশকে পাঠকরা যেন আরো বেশি রিয়েলিস্টিক মনে করে এর জন্য উনি গল্পের নায়কের নামকরণও নিজের নামে নামকরণ করেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এ ছিলো এক নতুন সংযোজন। গল্পের নায়কও এখানে সুনীল গাঙ্গুলী। উত্তম পুরুষেই লিখিত এই কাহিনি।
ষাটের দশকের কলকাতার এক প্রচ্ছন্ন ছবি আত্নপ্রকাশে পাওয়া যায়। গল্পের নায়ক সুনীল পূর্ববঙ্গের রিফিউজি, তার মনে দেশ ভাগের ক্ষত রয়ে গেছে। সুনীল মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে এবং একটা ভালো চাকরি করা সত্ত্বেও তার মন অস্থির। সে মাঝে মাঝেই নেশা,জুয়ায় জড়িয়ে থাকে। কিন্তু সে এগুলো থেকে মুক্তি চায়, কোনো মনের মত নারীকে আঁকড়ে ধরতে চায়। কিন্তু কাউকেই পায়না। তার জীবনের নারীরা বারবার নাটকীয় ভঙ্গিতে তার জীবন থেকে সড়ে যায়। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, হাসি তামাশা, চাকরি এগুলো নিয়েই তার দিন কেটে যায়।
তৎকালীন কলকাতার মধ্যবিত্ত যুবকদের বাউন্ডুলে জীবনের একটা দলিল বলতে পারি এই কাহিনিকে। গল্পে সুবিমল যেন চিরকালের বেকার জীবনেরই প্রতিনিধিত্ব করে। শেখরের মত খেয়ালি যুবক এ যুগেও আছে, যারা জীবন টাকে স্রেফ একটা খেলা হিসেবে নেয়। এ গল্প শুধু সুনীলের একার না, তার বন্ধুদেরও বাউন্ডুলেপনার গল্প।
এটা যেহেতু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস, তাই লেখার ভিতর কিছুটা কাব্যিক ভাব আছে। অনেক বাক্য আর বাক্যে ব্যবহৃত কিছু উপমা পড়ে মনে হয়েছে, স্রেফ এই লাইন গুলো ব্যবহার করেও একটা কবিতা দাড় করানো সম্ভব। কবিতার প্রভাব থাকার কারণে অনেক জায়গায় পড়তেও আরাম বোধ হয়েছে। এই কাহিনির কিছু অনুভূতিও চিরকালীন,যা সময় আর পাত্রভেদেও কখনো বদলায় না।
"বাড়িঘর ছেড়ে এসে নিজেকে একলা বোধ হতো, তখন আরও মনে পড়তো, আমি শুধু বাড়িঘর বা বাবা-মাকেই ছেড়ে আসি নি, আমি আরও অনেক কিছু ছেড়েছি। যে জায়গায় আমি জন্মেছিলাম, তাও আমাকে ছেড়ে আসতে হয়েছে। আমাদের গ্রামের পাশে ছিল দুর্দান্ত আড়িয়াল খাঁ নদী-চিরকালের মতো সেই নদীটা আমি হারিয়েছি, বাড়ির ঠিক পাশেই ছিল বুড়ো বাতাবি লেবুর গাছ- সেটাকেও হারিয়েছি এ-জন্মের মতো, টিয়া-ঠুটি আমগাছটার নিচে আর কখনো ছুটে যাবো না কালবৈশাখীর ঝড়ে, শ্মশানখোলার বটগাছে আর শুনবো না সেই তক্ষকের ডাক, বাঁশের সাঁকোর ওপর বসে নিচের ঘূর্ণি জলে খলসে আর বাঁশপাতা মাছের খেলা দেখা, আদিগন্ত এক বুক সমান সেই পাটক্ষেতের মধ্যে আমার কৈশোরের একা ঘুরে বেড়ানো- সেখানে আর কোনোদিন ফিরে যাবার উপায় নেই। শুধু বাবা-মাকে ছেড়ে আসাই নয়, চিরজীবনের জন্য একটা নদী বা একটা প্রান্তরকে হারাবার দুঃখও কম নয়। বহরমপুরে থাকতে তেমন মনে পড়ে নি, কিন্তু কলক���তায় এসেই আমার প্রবলভাবে মনে পড়েছিল জন্মভূমির গ্রামের কথা, খেজুর রসের গন্ধ আর জলের স্রোতের শব্দ। সেসব হারাবার দুঃখেই আমি যেন একেবারে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিলাম। অনেক কিছু হারাতে হারাতে মানুষ এমন একটা জায়গায় আসে, যখন তাকে হারাবার নেশায় পেয়ে বসে। আমিও ঠিক করেছিলাম, আমি সবকিছু হারিয়ে ফেলবো-ধর্ম-অধর্ম, ন্যায়-অন্যায়, পাপ-পুণ্য, বিশ্বাস-অবিশ্বাস। নতুন জায়গায় যখন একা নিজেকে বাঁচতে হবে-তখন আমি বাঁচবো আমার নিজের তৈরি করা নিয়মে, নিজের পছন্দমতো ভালো-মন্দ নিয়ে।" -আত্মপ্রকাশ
বাঙালী এখন এই ২০২২ সালে নস্টালজিয়া নিয়ে বাস করে। হাহুতাশ আর সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া গতি নেই তবু যদি একবার সে পেছন ফিরে তাকায় দেখবে সাবলীল গদ্যের ধারায় তারাশঙ্কর বিভূতিভূষণ এবং বিমল মিত্রের দুর্মর গদ্যের ধারায় ষাট এর দশকে একমাত্র নাগরিক-কথাকার হিসেবে সুনীল কিভাবে পরতে পরতে জীবনকে ছেনে ছুঁয়ে স্বাভাবিক মধ্যবিত্তের কাপড়কাচা বাটনাবাটার মতো শব্দগুলো কে পরপর ব্যবহার করেছেন। আত্মপ্রকাশ এর মধ্যে সহজ গদ্যের চলাচল অনায়াসে পাঠকের মন টানবে। যা প্রাসঙ্গিক তাই আধুনিক একথা সুনীলের নিজের ভাষ্য। পরিতোষ শেখর অবিনাশ সুবিমল এবং সুনীল আজ ও আছে এই কলকাতায় খোলা আকাশের নীচে একথা ভাবতে ভালো লাগে এখনও। ফুল পাখি চাঁদ তারার মতো শুদ্ধ -পবিত্র-প্রেম আজো আছে এই বিশ্বাস শেষদিন পর্যন্ত সুনীল ভাবতেন নিশ্চয়ই। শুধু এই গল্পের নূরজাহান পার্ট টা নাটকীয়তার চূড়ান্ত।(হয়ত হয়েছে এমনটা নয়তো বা অন্য ভাবে লেখা যেত??)... এজন্য সুনীলের এক নম্বর কাটা যেতেই পারে।
শেখর, অবিনাশ ও সুনীল - তিন বন্ধু। তাদের ঘিরে রচনা হয়েছে নানান ঘটনা। ভালোবাসায় ভালোবাসা নেই, রয়েছে শরীর ও বঞ্চনা। ঘটনা পরম্পরায় উঠে এসেছে নানা চরিত্র। নূরজাহান হারিয়ে ফেলল তার নিজের ছেলেকে, যে আজ অন্য কাউকে নিজের মা বলে ডাকে। সরস্বতী ও যমুনা সুনীলের মন নিয়ে খেলা করে অন্যত্র স্থিতু হলো। এই উপন্যাসটিতে লেখক তুলে ধরেছেন আর্থ সামাজিক অবক্ষয়ের রূপরেখা।
loved this for the sheer simplicity of the characters and the author is never trying to over reach with too much philosophy of existential quandaries. must read
মেয়েরা নিজের শরীর সম্পর্কে প্রথমে কিছুই জানে না, যেদিন জানতে পারে সেদিনই দেবীত্ব বিসর্জন দিয়ে শুধু মেয়ে হয়ে যায় । মেয়ে তো অনেক দেখা হল, এবার কিছুদিন দৈব সংসর্গে আত্মাকে শুদ্ধ করে নেওয়া যাক । (আত্মপ্রকাশ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়)
বই: আত্মপ্রকাশ ঘরানা(Genre): আত্মজৈবনিক(?) উপন্যাস লেখক: সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রচ্ছদ: সুবোধ দাশগুপ্ত প্রকাশক: আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড প্রকাশকাল: নভেম্বর ১৯৬৬ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৪০ মলাট মূল্য: ১০০ টাকা ব্যক্তিগত রেটিং: ৩.২৫/৫ গুডরিডস রেটিং: ৩.৮৬ (৭৮ টি রেটিং)
কাহিনি সংক্ষেপ: উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম সুনীল । শৈশবেই সে পরিবারের সাথে পূর্ববঙ্গ ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুরে চলে আসে । তারপর সেখানেই কাটে তার শৈশব, কৈশোর । কলেজে অধ্যয়নকালীন অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের সাথে মনোমালিন্যের জের ধরে কলকাতা চলে আসে সে । এইসবই আমরা জানতে পারি উপন্যাসের কথক ‘আমি’র স্মৃতিচারণ থেকে । পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন, চরিত্রের একটি নাম থাকলেও, এটি মূলত উত্তম পুরুষে তথা কেন্দ্রীয় চরিত্রের বয়ানে লেখা একটি উপন্যাস । ‘আত্মপ্রকাশ’ পূর্ববাংলার এক ‘রিফিউজি ছোড়া’র কলকাতা শহরকে চিনে নেওয়ার উপন্যাস । ‘আত্মপ্রকাশ’ কলকাতা শহরের বুকে কয়েকজন ছন্নছাড়া যুবকের প্রতিনিয়ত সমাজে প্রচলিত প্রথা ভাঙার উপন্যাস । ‘আত্মপ্রকাশ’ ব্যক্তি সুনীলের আত্মপ্রকাশের আখ্যান ।
উপন্যাস নিয়ে লেখকের কিছু উক্তি: ১. ‘…এরকম সাবলীল ও যথেচ্ছভাবে অনেকখানি লেখার পর হঠাৎ আমার মনে হল, এ যা লিখে যাচ্ছি, গল্পের মাথামুণ্ড নেই, এ কী সত্যি পাঠযোগ্য? নাকি নিতান্তই ভাবালুতা? অথবা সৈয়দ মুজতবা আলীর ভাষায় গর্বস্রাব? পাঠকরা যদি বলেন, এ সব এলোমেলো গদ্যপ্রবাহের কী মানে হয়?’ (অর্ধেক জীবন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, পৃষ্ঠাঃ ২৯০) ২. ‘…জোর করে ঢুকিয়ে দিলাম একটা উপকাহিনি । পূর্ববঙ্গের এক অভিনেত্রীর ঘটনাটি অন্যের মুখে শোনা, আমার নিজের অভিজ্ঞতার নির্যাস নয় বলেই বেশ কৃত্তিম, এবং আত্মপ্রকাশ উপন্যাসের সেই অংশটিই সবচেয়ে দুর্বল । (অ. জী., পৃষ্ঠাঃ ২৯০-২৯১) ৩. ‘ ‘দেশ’ শারদীয় সংখ্যা প্রকাশের সময় আমি লজ্জায় ও আতঙ্কে কিছুদিন লুকিয়েছিলাম কলকাতার বাইরে । উপন্যাসটির জন্য নিন্দা ও প্রশংসা দুইই জুটেছিল তবে, নিন্দা, বিরূপ সমালোচনা, এবং কটুক্তিই বেশি । (অ. জী., পৃষ্ঠাঃ ২৯১)
পাঠ প্রতিক্রিয়া: ‘আত্মপ্রকাশ’ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর প্রথম উপন্যাস । ‘দেশ’ পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক সাগরময় ঘোষের অনুরোধে (কিংবা আদেশে) তিনি এই উপন্যাস রচনা করেছিলেন ।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখনী নিঃসন্দেহে চমৎকার; কিন্তু একটা উপন্যাসের প্রাণ এর কাহিনি । কাহিনি বা প্লট ভালো না হলে শুধু লেখনী দিয়ে সেই উপন্যাস বেশিক্ষণ পাঠককে মুগ্ধ করে রাখতে পারে না । এই উপন্যাসটিতে সেই অর্থে বাধাধরা কোনো কাহিনিই নেই । বরং লেখকের ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতাগুলোই ছন্নছাড়াভাবে ফুটে উঠেছে সমগ্র উপন্যাসজুড়ে । আরও এসেছে প্রধান চরিত্র সুনীলের নিজের জীবন নিয়ে ভেতরকার দ্বৈরথ ও দ্বন্দ্বের কথা । আর যুক্ত হয়েছে পূর্ববঙ্গের এক নায়িকার গল্প ।
উপন্যাসটার প্রায় পুরোটা জুড়েই প্রধান চরিত্র সুনীল ছাড়া ছাড়া ভাবে তার অতীত, বর্তমানের কথা বলে যায় । উপরিউক্ত ‘উপন্যাস নিয়ে লেখকের কিছু উক্তি’ পড়লেই বোঝা যায়, লেখক নিজেই এই উপন্যাস নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান ছিলেন । লেখক তার লেখা নিয়ে নিজেই সংশয়ে থাকলে সেই লেখা ভালো হবে না, এটা মোটামুটিভাবে প্রথাসিদ্ধ । এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি; উপন্যাসটা খুব একটা ভালো হয়নি । উপন্যাসের তিনটা প্রধান নারী চরিত্র যমুনা, সরস্বতী আর মনীষা । এই চরিত্রগুলোও সেই অর্থে কোনো পূর্ণতা পায়নি । বরং এসে এসেই কেমন চলে গেছে । উপন্যাসের ‘সুনীল’ এদের যতটুকু দেখেছে, ততটুকুই এসেছে । এই কারণে যমুনা হয়ে উঠেছে ‘দেবী’, মনীষা ‘ছলনাময়ী’, আর সরস্বতী চরিত্রটিকে যে লেখক ঠিক কি বিশেষণ দেবেন, তা তিনি নিজেই বুঝে উঠতে পারেননি । অনেকেই বলবেন, উত্তম পুরুষে লেখা উপন্যাসগুলো তো এমনই হয়; কথক যেভাবে চরিত্রকে দেখেন, যতটুকু দেখেন ততটুকুই ফুটে ওঠে । আমি বিনীতভাবে এই ধারণার সাথে দ্বিমত পোষণ করি । উত্তম পুরুষে লেখা উপন্যাসে অপ্রধান চরিত্রগুলোর ভেতরকার কথাও লেখক তার কলমের আঁচড়ে বের করে আনতে পারেন, যদি তার লেখনীতে যথেষ্ট মুনশিয়ানা থাকে । কিংবদন্তী লেখক হুমায়ূন আহমেদ এর প্রথম তিনটি উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’, ‘শঙ্খনীল কারাগার’, আর ‘অচিনপুর’ই এর প্রমাণ । কিন্তু আত্মপ্রকাশে লেখক এই জায়গাটিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, কিংবা তিনি সেই চেষ্টা করতেই চাননি ।
কাহিনিতে যুক্ত বীণার বোন নূরজাহান বেগম এর উপকাহিনিও আমি ঠিক বুঝলাম না । হুট করে তাকে আনাই বা হলো কেন, আবার হুট করে এই নূরজাহান বেগমের ছেলের জের ধরেই কাহিনি কেন শেষ করে দেওয়া হলো-পুরো বিষয়টাই আমার কাছে অস্পষ্ট এবং ধোঁয়াটে লেগেছে ।
সবমিলিয়ে বলতে হয়, লেখক এই উপন্যাসটি যেন লিখতে হবে বলেই লিখেছেন । প্রকাশকের অনুরোধে ঢেঁকি গেলায় এটা ‘কাহিনি’ হয়েছে বটে, তবে উপন্যাস কতটুকু হয়েছে, তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সংশয় রয়েছে । আর মূলত এই কারণেই, না এই উপন্যাস হয়েছে ‘জীবনধর্মী’, না হয়েছে ‘সমকালীন’ । আবার ‘আত্মজৈবনিক’ও ঠিক বলা যায় না । কারণ লেখক নিজেই লিখেছেন, ‘...কিন্তু সুনীল নাম নাম দিয়ে আমি বোঝাতে চেয়েছি যে এটা আমার জীবনের ঘটনা । কিন্তু আত্মজীবনী নয় ।’(তথ্যসূত্র: অ. জী. পৃঃ ২৯০ ।)
তাই বলব, কেউ এই উপন্যাসটি পড়া শুরু করলে, শুধু পড়ার জন্যই পড়বেন । কিছু আশা করে বা লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলে বিশাল প্রত্যাশা নিয়ে পড়তে বসা মনে হয় ঠিক হবে না ।
উপন্যাসটির শুরুর দিকে সুনীলের একগাদা বন্ধুর নামের মাঝে মূল গল্পটা হারিয়ে যাচ্ছিল। অবশ্য পরে তা ঠিক হয়। বইটি পড়তে পড়তে সুনীলের মাঝে যেন আমি আমাকেই খুঁজে পাচ্ছিলাম। এটি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রথম উপন্যাস, আমি ঠিক জানিনা যে এটি তার আত্মজীবনীও কি না? কিন্তু আত্মপ্রকাশ পড়ে বুঝতে পেরেছি বইটি জীবন থেকে নেয়া ঘটনাগুলো দিয়েই তৈরি, আর জীবন থেকে নেয়া গল্পই তো আমরা ভালবাসি।
ম্যাড়ম্যাড়ে জীবন চলছিলো। হঠাৎ উত্তেজনাকর কিছু এলো। তারপর বেশ কিছু ঘটনা ঘটলো। তারপর আবার ম্যাড়ম্যাড়ে জীবন চলতে লাগলো। এটাই উপন্যাস প্যাটার্ন। টিপিক্যাল সুনীলীয় উপন্যাস।
সুনীলের প্রথম লেখা উপন্যাস দিয়ে আমার সুনীল যাত্রা শুরু করলাম কিন্তু হায়! এত বাজে ছিল বইটা। সময় ট্রিলজি সংগ্রহে আছে, আশাকরি সেগুলো আমাকে নিরাশ করবে না। এখন শুধু পড়ার পালা!