Buddhadeb Guha (Bengali: বুদ্ধদেব গুহ) is a popular Bengali fiction writer. He studied at the well-known St Xavier's College of the University of Calcutta.
His novels and short stories are characterized by their dreamy abstractness and romantic appeal. His essays reveal the soul of a true wanderer providing some of the most beautiful renditions of travel in Bengal. His love for forests and nature provide the background for many of his novels.
A highly successful chartered accountant by profession, and an accomplished musician, Guha is very urbane in his lifestyle. He was one of the first to create characters representing easy-going, upper middle-class modern Bengali families, whom readers could identify with, and that gave him instant popularity.
He is the recipient of many awards including Ananda Puraskar, 1976; Shiromani Puraskar; and Sharat Puraskar.
The Library of Congress has over fifty titles by him. His most famous novel, according to many, is Madhukori. It is considered a milestone in Bengali literature. He is also the creator of Rijuda, an imaginary character who moves about in jungles with his sidekick Rudra. The jungles that he wrote about were mainly in Eastern India.
বইটা একটানে পড়া শেষ করেছি। শুধুমাত্র কাহিনীর উপর নির্ভর করে রেটিং করলে হয়তো ৩ স্টার দিতাম.. আমার মতে, বইটার একটা জীবনদর্শন আছে!এই দর্শনটা যদি কেউ বুঝে নিজের জীবনে কাজে লাগাতে পারে, তবে অবশ্যই তার জীবন কিছুটা বেশি সুন্দর হবে! আমাদের জীবনটা ঠিক কেমন হবে সেটা অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের চিন্তাভাবনা কেমন তার উপর। যে কোন ঘটনা অনেকভাবেই চিন্তা করা যায়। আপনি আপনার মতো চিন্তা করবেন, অন্য কেউ হয়তো তার নিজের মতো চিন্তা করে অন্য আরেকটা ব্যাখা বের করবে- যেখানে আসল ঘটনা হয়তো সত্যিই অন্যকিছু! বইয়ের মধ্যে ঢুকে গেলে আপনাকে এই ব্যাপারগুলো ভাবাবে! বইটা পড়ার জন্য বলবো, আশা করি সময় নষ্ট হবে না আপনার
রাজ চক্রবর্তীর বাবলি ছবির টিজারটা দেখে ভাবলাম বাবলি পড়া হয়নি। পড়ে ফেলি। মাধুকরী পড়ে ভেবেছিলাম আর বুদ্ধদেব গুহ পড়ব না। আবার এটা পড়ে ফেললাম। আয়তনেও ছোট অবশ্য। বাবলি আপাদমস্তক একটা প্রেমের উপন্যাস। বাবলি,অভী আর ঝুমাই এই উপন্যাসের মূল চরিত্ররা। উপন্যাসের নাম বাবলি হলেও ঝুমার চরিত্রটা আরো অনেক বেশি সুন্দর আর সপ্রতিভ। বুদ্ধদেব গুহর একটা সমস্যা হচ্ছে তিনি মেয়েদেরকে যেভাবে দেখতে চান সেটাকেই লেখাতে আদর্শ বানিয়ে তোলেন। বাবলি যে কিনা মেধাবী, বুদ্ধিমতী মেয়ে, দেখতে মোটাসোটা, মোটামুটি সুন্দরী, যে দিল্লিতে সরকারি প্রথম শ্রেণীর চাকরি করতে যাচ্ছে সেই মেয়েও প্রেমে পড়ে তার মোটা শরীর কমানোর জন্য টেনিস খেলে। অবেসিটি ভালো না, তাকে প্রমোট করারও কিছু নেই। তবে মোটা মেয়েকে নায়িকা করার মাহাত্ম্য এতে ক্ষুণ্ণ হল না কি? বাবলির কাছে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক দোষের না, হৃদয়ঘটিত কোন বিষয়ে কোন বাধা থাকা উচিত না বলেই সে ভাবে, আবার সেই মেয়ের কাছেই স্বামীর আজ্ঞাবহ দাস হয়ে জীবন কাটানোই নাকি পরম আরাধ্য। স্বামী সন্তানের সেবা করার জন্য সে চাকরি এক কথায় ছেড়ে দিতে পারে! উপন্যাসের নায়ক অভি নানা দিকে স্মার্ট হলেও নিজের প্রেমিকা যে মদ খায় না, তাতে সে স্বস্তি পায়! নিজে কিন্তু হুইস্কি-বিয়ার চালাচ্ছে, প্রেমিকা মদ খেলে অসুবিধা আবার নিজের হাতে তাকে সিগারেট ও ধরিয়ে দিচ্ছে! মানে যেভাবে একটা পুরুষ একটা নারীকে চায় ঠিক সেইভাবেই তাকে ধরা দিতে হবে! আর লেখক বোধহয় এটাই বিশ্বাস করতেন। তাই তার সৃষ্ট কোন চরিত্র আজ পর্যন্ত আমার মনে দাগ কাটল না। বাবলির হীনম্মন্যতা, মেয়েলি ঈর্ষাকেও যে লেখক জাস্টিফাই করিয়েছেন করুণার প্রলেপ দিয়ে, শেষমেশ প্রেমটা শরীরসর্বস্বই হয়ে দাঁড়িয়ে উপন্যাসটা পরিণত হয়েছে একটা চেষ্টায় কেবল, এর দায়ভার তো সম্পূর্ণ লেখকেরই!
বহুদিন পর একটা বই পড়ে আমার মত বেকারেরও মনে হল নিজের "মূল্যবান" সময়টা নষ্ট করলাম। কয়েক পাতা পড়েই বিরক্তি এসে গেছিল। তবু বইটা যে আসলেই পছন্দ হয়নি এটা পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার জন্যই বোধহয় বসে বসে পুরো বই শেষ করে এখন আফসোস করছি।
এবং লেখক মহাশয় বেশ ভালো পরিহাস করেছেন বলতে হবে পাঠকের সাথে। কিছুদূর পড়ে বিরক্ত হবার পর যখন কোনো একটা অংশ ভালো লাগার ভাব আসছে, বইটা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত বদল করব কিনা ভাবছি; তখনই আবার উপন্যাসের চরিত্রগুলো এমন বিচ্ছিরিভাবে পালটি খেয়ে যাচ্ছিল যে বিরক্তি যতটুকু কমে আসার পথে ছিল, সেটা আরো কয়েকশোগুণ করে বেড়ে যাবার জোগাড়!
যাইহোক,বইয়ের কাহিনীও অতি নাটকীয়। ৮০/৯০ দশকের হিট বাংলা সিনেমা ধরনের অনেকটা। (বইটা সম্ভবত ওরকম সময়েরই। প্রকাশকালটা সঠিক জানা নেই।)
হালকা পাতলা আধুনিকা নায়িকা বাবলি(যতটা না মনে, সংস্কারে তার থেকে হাজারগুণ ভানে ; অন্তত বাবলি চরিত্রটাকে এরকমই মনে হয়েছে কাহিনীর প্রথম আর শেষ অংশ তুলনা করে), সাধারণের ছদ্মবেশে "অসাধারণ" রূপ গুণ শিক্ষার অধিকারী নায়ক অভী আর সাথে খানিকটা টুইস্ট বলতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নায়িকার সুন্দরী রূপসী স্মার্ট বিমানবালা বান্ধবী ঝুমা। প্রথমে খানিকক্ষণ এক নায়ক নিয়ে "এক ফুল দো মালি" ধরনের দড়ি টানাটানি খেলা চলতে থাকে নায়িকা আর তার বান্ধবীর মধ্যে,বান্ধবীর অজান্তেই।
এদিকে ফুল মহাশয় দড়ি টানাটানি খেলা উপভোগ করাকালীন তিনি ঠিক মালির খপ্পড়েই পড়েছেন কিনা ভাবতে ভাবতে খেলায় নায়িকাকে ভালোবাসার টানে কিছুটা ফাউল খেলার দায়ে মাঠে রেফারির ভূমিকায় অবতরণ করে হুইসেল দেওয়া শুরু করেন। নায়িকাও সে হুইসেল শুনে মাঠ ছেড়ে কেটে পড়বেন নাকি খেলা চালিয়ে যাবেন বুঝে উঠতে পারেন না।
এসব টানাপোড়েন চলতে চলতে একসময় বান্ধবী মহৎপ্রাণ হয়ে পুরো দড়িই (থুড়ি,নায়ককে) নিজ দায়িত্বে নায়িকার হাতে ধরিয়ে দেন। সেই দড়ির দান পেয়ে বান্ধবী না পারেন তা মাথায় তুলে রাখতে , না পারেন তা গলায় জড়িয়ে ঝুলে পড়তে।
আর হ্যাঁ! এত এত নিন্দেমন্দের ভিড়ে বইয়ের একটা ইতিবাচক দিক না বললেই নয়! সাধারণত বেশিরভাগ প্রেমের উপন্যাসে দেখা চায় সেখানকার প্রধান নারী চরিত্র হয় সর্ব গুণসম্পন্না। কী রূপে,কী গুণে— সবেতেই তাদের তুলনা একমাত্র তারা নিজেরাই! তারা হয় একদম নিখুঁত ! কদাচিৎ যাও দু-একটা বইয়ে রূপে সামান্য খুঁত রাখা হয়, সেটাও নায়িকার আচার-ব্যবহার, মনের সৌন্দর্য নিয়ে বিভিন্ন স্তুতি দিয়ে লেখক পুষিয়ে দেন। কিন্তু বাবলিতে সেসব চিরাচরিত নিয়মের উর্ধ্বে গিয়ে লেখক তাকে বানিয়েছেন দোষে-গুণে ভরা সাধারণ মানুষের মত করেই। রূপে-গুণে বাবলি মোটামুটি , আচার-ব্যবহার,ব্যক্তিত্বে ক্ষেত্রবিশেষে অতি নিম্নমানের। কিন্তু শেষে ব্যাপারটা এমনই বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে যে বাবলি আসলে নায়িকা নাকি ভিলেন সেটা নিয়েই পাঠককে দোটানায় পড়ে যেতে হয়।
আমার চোখে এই হল মোটামুটি "বাবলি" র সারমর্ম। আমি আজীবনই "লুতুপুতু প্রেমের" উপন্যাসের ভক্ত। তারপরও এ উপন্যাসটা কেন জানি হজম হল না সেভাবে। নামডাক শুনে যতটা আগ্রহ নিয়ে পড়তে বসেছিলাম, বইটা শেষ করে ততটাই হতাশ আর বিরক্ত হয়েছি।
তবে আমার মত মাথায় হাজারটা কাজের দুশ্চিন্তা নিয়েও বেকার বসে থেকে সে সময়টা কাটানোর জন্য, আর কিছু না হোক; বাংলা রিডিং পড়ার জন্য বইটা একেবারে মন্দ না। চলে যায়।
This entire review has been hidden because of spoilers.
বেশ কয়েকদিন ধরে রিডারস ব্লকে ভুগতে থাকা আমি গতরাত্রিরে ঘুমাতে যাওয়ার আগে বসে পুথিকাতে খোঁজ করছিলাম যে কোন নতুন অডিও বই এলো কিনা। এরপর হঠাৎ ই এই বইটা সামনে পড়লো। এটা যে লাইট রিড হবে নাম দেখেই বুঝেছিলাম কারন এটার genre ছিলো রোমান্স। ভাবলাম চেষ্টা করে দেখা যাক চলে কিনা। আসলে আমার মনে হচ্ছিলো একদম কিছু না পড়ে বসে থাকার চেয়ে অন্তত কিছু তো পড়া ভালো। সেই চিন্তা থেকেই পড়া শুরু করা।
এটা জীবনে দ্বিতীয়বার পড়ার মত বইনা কিন্তু প্রথবার ই আ��নি মোটামুটি একবসাতে পড়ে উঠবেন সেটার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় খানিকটা। অনেক কিছুইতেই আপনার মতের সাথে হয়তো মিলবে না, এমনকি আমারো মিলে নাই কিন্তু সবকিছু রিলেট না করে যদি ভালো লাগার জন্য পড়েন তাহলে হয়তো খুব একটা খারাপ লাগার ও কথা না।
আসলে আমার কথা হচ্ছে একটা বই ভালো কি খারাপ সেটা পুরাটা না পড়ে বলাটা বোকামি না? এই বইটা পড়তে যেয়ে আমার অনেকবার মেমসাহেব বইটার কথা মনে পড়েছে যেটা নিমাই ভট্টাচার্য এর লেখা। আমি ওই বইটা বহুকাল আগে একবার পড়েছিলাম। পুরোটাই পড়েছিলাম এবং যে সময় পড়েছিলাম সে সময় আমি জানতাম যে এই বই আমি আমার জীবনে আর দ্বিতীয়বার পড়বোনা এবং পড়িওনি। এটা জানা সত্ত্বেও আমি পুরোটা শেষ করেছিলাম। বাবলির বেলাতেও আমার একই ব্যাপার কাজ করেছে। কাল মাঝরাত্রিরে শুরু করে আজ সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করেছি। "I never want to regret not trying something. It's better to try and fail" লোকদের এই একটা অসুবিধা! :3
যাক আমি যে আবার আগের মত পড়তে পারবো সেটার জন্য এই বইটাকে ৩ টা তারকা দেওয়া ই যায় না হলে হয়তো আমি একটা তারকা ই দিতাম শুধুমাত্র এই কারনে যে এরকম চিরায়ত প্রেমের উপন্যাস কখনোই আমার জিনিস ছিলোনা যেখানে বাবলি নামের মেয়েটার এরকম খুব ভালো একটা চাকরি ছেড়ে দিয়ে অভি নামের এক ছেলের সাথে সংসার করাটাই জীবনের স্বাধীনতা বা সুখ বলে মনে হতে পারে। দ্বিতীয়ত অভি নামের ছেলেটা, যে কিনা লন্ডনের স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে পড়া, যাকে দিল্লির বড় একটা বিশ্ববিদ্যালয় লেকচার দেওয়ার জন্য নেমন্তন্ন করে নিয়ে যায়, সেই ছেলেটার অন্য আরেকটা মেয়ের গায়ের রঙ বা ফিগার দেখে ঈর্ষাকাতর হওয়া বা দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাজ করা দেখে আমার তার শিক্ষা নিয়ে ই মনের মধ্যে খুব বড় একটা প্রশ্ন উঠছিলো। সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সেরা চাকরি যে সবসময় মানুষকে মানুষ বানাতে পারে না সেটার আর একটা প্রমাণ পেলাম।
বইটি বুদ্ধদেব গুহ এর লেখা আমার পড়া প্রথম বই। বইটিকে বেছে নেওয়ার তিনটি কারণ— বইটি ছোট, বইটির মূল বিষয়বস্তু একটি ঘটনা কেন্দ্রিক এবং আমি কখনো বুদ্ধদেব গুহ এর লেখা পড়িনি। আমার মতে বইটি সকলের পড়া উচিত কারণ বইটির ঘটনা দুজন প্রেমিক প্রেমিকা কে নিয়ে হলেও বইটিতে দর্শন আছে। ভালো করে বলতে গেলে জীবনদর্শন আছে। একই বিষয়কে দুজন আলাদা ভাবে বিচার করতে পারে। দুজনের মতামতের পার্থক্য থাকতে পারে, একই বিষয়কে দুজন কিভাবে আলাদা ভাবে দেখতে পায় সেটি এই বইতে পরিষ্কার ফুটে উঠেছে। . গল্পে অভি এবং বাবলি দুজনই তথাকথিত বাংলার শিক্ষিত উচ্চ সমাজের দুই চরিত্র। দুজনেই প্রতিষ্ঠিত এবং যথেষ্ট সাবালক। দুজনের চিন্তা ধারাই একে অপরের থেকে স্বাধীন এবং দুজনেই জীবনকে নিজের চোখ দিয়ে দেখতে চায়। বুদ্ধদেব গুহ খুব সহজ ভাষায় বইটির মূল বক্তব্য পাঠকদের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। বইটির নাম 'বাবলি' দেওয়া যথাযথ হয়েছে কারণ, সময় এবং পরিস্থিতির সাথে কিভাবে বাবলির মানসিকতা এবং তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার পরিবর্তন এবং উন্নতি ঘটেছে তা এই বইটিতে স্পষ্ট। গল্পটিতে ইম্ফল, দিল্লি সহ আরো কয়েকটি অঞ্চলের প্রকৃতির উল্লেখ পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে বইটিতে আছে প্রেম, ভালোবাসা, হাস্যরস, দর্শন এবং প্রকৃতি।
চিরায়ত প্রেমের উপন্যাস যেমন হয় আরকি,এটাও তার ব্যতিক্রম নয়।স্মার্ট,ড্যাশিং নায়ক,সুন্দরী নায়িকা,দ্বিতীয় নারীর আবির্ভাব - ফর্মূলা অনুযায়ী সবই আছে।পড়তে বেশ ভালো লাগে বর্ণনার প্রাঞ্জলতার জন্যে।
কিন্তু দৃষ্টিকটু লাগে বেশ কয়েকটা বিষয়ে।
প্রথমত,নায়িকার চরিত্রের উপস্থাপন।যেখানে বইয়ের প্রথম দিকে শীতের রাত্রে নায়িকা তার একদিনের পরিচিত সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে ঘুমুতে পারে সেই নায়িকারই জীবনের স্বপ্ন মনের মতো স্বামী পেয়ে তার সেবা করা।অদ্ভুত না?
দ্বিতীয়ত,অতিরিক্ত ফিল্মি ভাব।একটা উদাহরণ দেই,"গল্পের নায়িকা বিকেলে একটা ফুল খোঁপায় দিয়েছিলো।সেই ফুল নিয়ে সে নায়কের সাথে জড়িয়ে ধরে সারারাত থাকলো কিন্তু তবুও পরদিন সকালে খোঁপার ফুল যেভাবে যেমনভাবে ছিলো ঠিক সেভাবেই খোঁপায়ই রইলো!"
তৃতীয়ত,নায়ক লন্ডনের স্কুল ইকোনমিকসের গ্রাজুয়েট,দিল্লীতে ইউনিভার্সিটিতে যাকে লেকচার দেয়ার জন্যে ইনভাইটেশন দেয়া হয়,সেই নায়ক একটা ছোটখাটো শহরে অন্যের অধীনে কেন চাকরি করে তা বোধগম্য নয় কোনভাবেই।
বাবলি পড়ার আগে বুদ্ধদেব গুহ'র আরো বেশ কয়েকটি বই পড়েছি। তাই বলতে পারি যে,বাবলি'র মতো এত চমৎকার প্রেম-গাথা একমাত্র বুদ্ধদেব গুহ ই লিখতে পারেন।
বুদ্ধবাবু লেখা পড়ার সময় আমাকে যে জিনিস টা মুগ্ধ করে রাখে,সেটা হচ্ছে উনার লেখার ভঙ্গিমা। এতো দারুণ শব্দচয়ন,বাক্যগঠন। আর দ্বিতীয় জিনিসটা হলো প্রকৃতির বর্ননা দেয়ার ধরন। সত্যিই দারুণ।
☁️🌻"....তখন সবে ভোর হচ্ছে । ঝরঝর করে বয়ে চলেছে বর্ষার ঘোলা জলে ভরা ডিফু নদী পাহাড়ের বুক কেটে । এপাশে রাস্তা, ওপাশে ঘন গভীর জঙ্গল । নানারকম বাঁশ ঝোপ, জংলী কলাগাছের ঝাড়, বেতবন, আরও কত কি গাছগাছালি । নদীটা এখানে খুব সামান্যই চওড়া হয়ে গেছে সমতলে পড়ে । নদীর দুপাশে কুমারী গাছ-গাছালি এমন চন্দ্রাতপের সৃষ্টি করেছে যে ভরদুপুরেও আলো পড়েনা নদীতে । নদীর গায়ে লাগা সবুজ লতাপাতায় তাই কেমন একটা হলুদ ছোপ লেগেছে । লাল জলের গর্জন, ফিকে হলুদ আর গাঢ় সবুজে ভরা বন, আর তার পাশে চড়াইয়ে ওঠা ডিমাপুর-কোহিমা রোড ..."🌻☁️
🔖এমন কিছু গল্প বা উপন্যাস থাকে,যেগুলো কোথাও যেন একেবারে সরাসরি অনুভূতির দরজায় কড়া নাড়ে, মণিপুরের পটভূমিকায় বুদ্ধদেব গুহ রচিত ''বাবলি'' উপন্যাসটি তারই দৃষ্টান্ত।এই কাহিনী অভি আর বাবলির,এই কাহিনী ভালোবাসার।আর ভালোবাসার প্রকৃত সংজ্ঞা সম্পর্কে এক গভীর প্রশ্ন করেছেন লেখক.....🌼
"ভালোবাসা আসলে কি? কারো জন্য মনখারাপ হওয়া? কাউকে বারবার মনে পড়া? কারো সাথে নিজের রুচির মিল হওয়া? ভালোবাসা কি স্বার্থপরতা? নাকি স্বার্থত্যাগের অপর নাম ভালোবাসা?"...🌻❤️🌿
🔖গল্পের অপর একটি চরিত্র হল ঝুমা, যার প্রবেশের ফলে সম্পূর্ণ কাহিনী তথা অভি ও বাবলির জীবন মোড় নেয় অন্য এক পথে, এক দ্বিধা-দ্বন্দ্বময় পরিবেশ সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে।তবে একটা কথা না বললেই নয়,যে এই গল্প অভি আর বাবলির,ঠিক তেমনি এই গল্প ঝুমারও,তার নিজের কাছে হেরে গিয়েও জেতার গল্প।এক গভীর জীবনদর্শন রয়েছে সমগ্র কাহিনী জুড়ে। আর সমগ্র উপন্যাস জুড়ে আছে অপরূপ প্রকৃতির বর্ণনা।লেখকের মুন্সিয়ানা ও তাঁর কলমের জাদুতে যেন রূপ পেয়েছে ইম্পল,কোহিমা,ডিমাপুর ডিফু নদী।🌻🌿🌊 যদিও বাবলি চরিত্রটার অতিরিক্ত পসেসিভনেস, একজন উচ্চশিক্ষিত IRS অফিসার হওয়া সত্ত্বেও বাহ্যিক চেহারা নিয়ে অস্তিত্ব সংকট এবং আরও বেশ কিছু মনোভাব বা ধ্যান-ধারণা একটু অস্বাভাবিক লাগে ঠিকই,তবুও ''বাবলি"খুব সুন্দর, সাবলীল এবং মিষ্টি একটি উপন্যাস,যেখানে রয়েছে ভালোবাসা,মান-অভিমান, জীবনবোধ,মিলন ও প্রকৃতির নিসর্গতার এক অদ্ভুত মিশেল।🌧️❤️
🌻"I shall be telling this with a sigh Somewhere ages and ages hence Two roads diverged in a wood, and I I took the one less travelled by, And that has made all the difference."🌻
কিছু বই থাকে না? পড়ার সময় বারবার ভয় হতে থাকে, এই বুঝি শেষ হয়ে গেল। "বাবলি" সেরকমই একটি বই। প্রিয় লেখক বুদ্ধদেব গুহের আরো একটি প্রেমের উপন্যাস।
উপন্যাস মূল চরিত্র বাবলি ও অভি। বাবলি মেয়েটাকে কীভাবে কল্পনা করা যায়? মেয়টাকে আমরা ম্যাগিজিনের কাভার পেজে থাকা কোণ মডেলের সাথে তুলনা করতে পারবো না অবশ্যই। লেখকের মতে, মাঝারি সুন্দর রকমের একটা মেয়ে, সাথে একটু মোটা। বুদ্ধিতে চরম তীক্ষ্ণ আর আত্নসম্মানে ভরপুর একটা চঞ্চল মেয়ে।
লন্ডন থেকে ডিগ্রি লাভ করা অভি, একটু গো বেচার ভান করা ছেলে। প্রচন্ড এই মেধাবী ছেলেটি নিজেকে লুকিয়ে রাখে সবসময় নিজের মধ্যে। ভদ্র ছেলে হিসেবে অভির খ্যাতি আশপাশে অনেক আগ থেকে ছড়িয়েছে। মোট কথা একজন সুপুরষ যাকে বলে।
খুব সাধারণ দুটা চরিত্র নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উপন্যাসটি পাঠককে খানিকবাদেই শিহরিত করা শুরু করে। দুটো চরিত্রই ঘটনাক্রমেই আকর্ষণ অনুভব করতে থাকে একে অন্যের প্রতি। কিন্তু কেউ নিশ্চিত হতে পারেনা এই অনুভূতির মানে কি?
নারী চরিত্রে বিভ্রান্তিকর নানা বৈশিষ্ট্য লেখক খুব সহজ ভাবে তুলে ধরেছেন। ভালোবাসার সংজ্ঞা খুঁজতে গিয়ে লেখক প্রশ্ন করেন, "ভালোবাসা মানে কি? কারো জন্য মন খারাপ হওয়া? কাউকে বারবার মনে পড়া? কারো সঙ্গে নিজের মতের মিল হওয়া, নিজের রুচির মিল হওয়া?"
বুদ্ধদেব গুহের অন্য বইয়ের থেকে এই বইতে মিষ্টতার পরিমান যথেষ্ট বেশি ছিল, যা আমার বিরক্ত লেগেছে। মানুষের ভালোবাসায় যদি না কাঁদে? তাহলে সে গল্প কেন জানি আমার মগজে ঝড় তোলে না। তবে একটা ভিন্ন স্বাদ পাওয়ার মত উপন্যাস, বিশেষ করে শেষটা।
বাবলি! নামের মতোই চটপটে একটা মেয়ে থেকে খুবই টিপিক্যাল হাউজ ওয়াইফ ম্যাটেরিয়াল হয়ে ওঠার গল্প এটি। সাথে একট্রা ঝাল সিজনিং "বডি শেইমিং" এর। "অন্যের বউকে মদ খেতে দেখলে শান্তি নিজের বউ সেটা ভাবে কি করে!" টাইপ গোড়ামোকে চমৎকার ভাবে রোমান্টিসাইজ করার গল্প বাবলি। "আমি সরকারি চাকরি করি কিন্তু সব ছেড়ে ছুড়ে স্বামীকে নিয়ে ঘর করবো পাহাড় জঙ্গলে" এই ধারার রোমান্টিক রসের প্রচার করা গল্প বাবলি।
আচ্ছা দেখুন একজন মেয়ের কি করা উচিত কি উচিত না তা নিয়ে কমেন্ট করা একজন আউটসাইডার হিসেবে নিদেনপক্ষেই অনুচিত তাতে বিশ্বাসী আমি। কিন্তু এই বইতে যেভাবে মেইল পার্সপেক্টিভ থেকে ফিমেইল ক্যারেক্টরকে লেখা হয়েছে তার পর তার ব্যঙ্গ না করে পারা যায় না। বইয়ের শুরুটা যতোটা প্রগ্রেসিভ শেষটা ততোটাই ব্যাকডেটেড, ঠুনকো। শেষের দিকে এসে খুব ইচ্ছে হয়েছিল বইটাকে ছুঁড়ে ফেলি।
বইয়ের একটা চরিত্রের নাম বাবলি। বাবলির চরিত্রের নামেই বইটার নামকরন। কিছু বই আছে কয়েক লাইন পড়লে মনে হয় অনেকক্ষন ধরেই পড়ছি আর মনে হয় যেন এই বইটা কখনও শেষ না হোক, বুদ্ধদেব গুহের লেখা বাবলি এমন একটা বই।
বই : বাবলি বুদ্ধদেব গুহ দেশ পাবলিসিং মূল্য :৫০ টাকা পৃষ্ঠা :১৪৬ ঘরানা : রোমান্টিক রেটিং : ৪ / ৫
বাবলি মেয়েটা স্বাভাবিক একটা বাঙালি মেয়ে। দেখতে সিনেমার নায়িকার মত না এবং গল্প বা উপন্যাসের নায়িকা হবার মত যোগ্যও না তবে এত কুৎসিতও না। মা-বাবা নেই তাই কাকার সংসারে বড় হয়েছে। ইস্ফলে বেড়াতে এসে অভীর সাথে পরিচয়।
অভী একটা সহজ সরল বাঙালী ছেলে। নিজেকে শামুকের মত গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করে। বাবলি আর অভী পরিচয়টা হয় খুব সুন্দরভাবে। পরিচয় হওয়ার পর একে অন্যর প্রতি খুব আকর্ষনবোধ করে!
একসময় বাবলি জানতে পারে ঝুমা নামের এক মেয়েকে অভীকে পছন্দ করে। যে মেয়েটা দেখতে বাবলির চেয়ে বহুগুনে সুশ্রী আর মেয়েটা হাজার গুনের আঁধার। কিন্তু বাবলী চায় না অভি অন্য কার হোক। শেষ পর্যন্ত অভি কার হবে এই নিয়ে গড়িয়ে যাবে কাহিনী।
আমার পড়া বুদ্ধদেবের প্রথম বই। বইটি পড়তে গিয়ে অন্যরকম এক ভাল লাগা কাজ করেছে। বইটি পড়ার সময় দৃশ্যপটে এতটাই ডুবে গিয়েছিলাম যে বইটির কোন ভুল আমার চোখে পড়েনি। একেবারে সুখপাঠ্য বইটা। চাইলে পড়তে পারেন।
এখানে হার-জিতের ব্যাপারটা বড়ই আপেক্ষিক লাগছে । মানুষ সহজাত ভাবেই হীনমন্যতায় ভুগতে পারে। এটাও ঠিক যে, কিছু মানুষ অন্যের সংসার ভাঙ্গার আপ্রাণ চেষ্টা করে । বাবলির তাই ভয় পাওয়ার ব্যাপারটা খুবই স্বাভাবিক বলে আমার মনে হয় । আর মানুষকে বিশ্বাস করা অবশ্যই সহজ নয়। ভালোবাসার দোহাই দিয়ে অনেকেই বিশ্বাসঘাতকতা করে ! কারো উপর পুরোপুরি বিশ্বাস আনতে অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে.. আর অভীর চরিত্রে অন্য মহিলার প্রতি দুর্বলতা আসায় বুঝাই যাচ্ছে, বাবলি সম্পূর্ণ ভুল ছিল না। অভীর চরিত্রের এই দিকটির জন্য নিঃসন্দেহে তাকে অপছন্দনীয় মনে হয়েছে, তবে তাই বলে আমরা সবাই যে পুরোপুরি ধোঁয়া তুলসিপাতা না তাও বলছিনা। সে তৃতীয় ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল তার রূপ দেখে.. পরে যদিও সেই মহিলাকে মহৎ নারী হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে, তবুও আমার প্রশ্ন, অভী কি আগে থেকেই জানতো সেই নারী কতো ভালো ! বাস্তব জীবনে এমন নজির খুব কমই পাওয়া যায় । তাই তার সেই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার ব্যাপারটি সমর্থনযোগ্য নয় । আর সেই নারীই বা কেন তার মহত্ত্ব দেখাতে গিয়ে বললো, তার প্রতিচ্ছবি যেন বাবলির মধ্যে দেখে জীবনটা বাবলির সাথে কাটিয়ে দেয় অভী? তার আসল উদ্দেশ্য কি? আবারো ভালোবাসা কি.. তা আমাকে ভাবতে বাধ্য করেছে এই বইটি । লোকে বলে, "Everything is fair in love and war" কিন্তু এর দ্বারা কি বুঝায়? কাউকে ভালোবাসলে সবই করা যায়? নিজেকে নিচে পর্যন্ত নামানো যায়? তাকে পেতেই হবে এই চেতনার নামই কি ভালোবাসা? নাকি তার সুখে নিজেকে সুখী রাখার নাম ভালোবাসা? একজনকে যদি ভালোবাসি তাহলে অন্য একজনের থেকে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে নিজের করে নেওয়া কি আদেও ভালোবাসা? বাবলির এই ধরণের মানসিকতা আমায়... ভালোবাসার সংজ্ঞা নিয়ে ভাবাচ্ছে । এখানে লেখকের দৃষ্টিকোণ থেকে যেই হার-জিতের কথা বলা হয়েছে তা ঠিক আমি মেনে নিতে পারিনি । তবে হ্যাঁ লেখনী সুন্দর ; আর মানুষের মননের অনেক গভীর কথাও চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। সবাই আলাদা আমরা তাই দাবী করি.. কিন্তু দিনশেষে সবার চরিত্রেই কি একই ধরণের দুর্বলতা দেখা দেয় ?
This entire review has been hidden because of spoilers.
পড়ার নিয়ত ছিলো 'দিবাকর দাস'এর মহাকাল, কিছু জটিলতায় পড়া শুরু করলাম বাবলী। কিছুদিন আগে এক গ্রুপে বুদ্ধদেব গুহর বই কেমন জানতে চেয়ে একটা পোস্ট দেখেছিলাম��� সেখান থেকে জানতে পারলাম বাবলী, একটু উষ্ণতার খোজে আর কোজাগর নাকি মাস্ট রিড। যেহেতু হাতের কাছে ইমিডিয়েটলি 'মহাকাল' ছিল না, তাই বাবলি সই। ফার্স্ট থিংস ফার্স্ট, দেশী বলুন আর বিদেশীই বলুন, গল্পের মধ্যে রোমান্স ভাল লাগলেও রোমান্সের গল্প আমার ঠিক জমে না। এই জনরার কোন বই জীবনে একবারের বেশি পড়া হয়না। মূল যে সমস্যা হয় তা হলো, এই ঘরানার বই পড়ার সময় খারাপ লাগে না, তবে পড়ার পর বইয়ের আমেজ মূহুর্তের মধ্যেই গায়েব। যাইহোক, নিছক মানব-মানবীর প্রেম নির্ভর এই বই নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। রোমান্সের বই ভাল লাগলে বই এইটা ভাল লাগবে। রোমান্সের বই ভাল না লাগলেও বই এইটা পড়তে খারাপ লাগবে না। 'মাধুকরী' পড়ার পর যেমন আনন্দ, খারাপ, ঘৃণা মিশিয়ে এক তীব্র অনুভূতি হয়েছিলো, বাবলি পড়ার পর তার ছিঁটেফোঁটাও হয়নি। তবে সেই 'উনিশশো' সালের দিকে দিল্লী-ভারতের সামাজিক প্রেক্ষাপটের যে 'আধুনিকতার' চিত্র দেখলাম, ব্যক্তিগতভাবে ২০২৫ এসেও যে এমন আধুনিক হতে পারলামনা/পারতেসিনা সেইজন্য খানিক চিন্তা হচ্ছে🫣
অনেকদিন ধরে বই পড়া হচ্ছিল না। শেষ কবে বই পড়েছি মনেও পড়ছে না সঠিক। অ্যাকাডেমিক একটা সাডেন ধাক্কা খেয়ে বই দেখতেও সত্যিই বলতে বিরক্ত লাগছিল! তবে এর মধ্যে একটা বই পড়ে ফেলতে পেরেছি দেখে ভালো লাগছে। এই বইটি আমি বেশ সময় নিয়ে পড়েছি। এই বইটি পড়ে খুশি কিনা বলতে পারছি না, তবে বই পড়তে পেরেছি কতগুলো দিন পর, এটা নিয়ে আমি নিশ্চিত খুশি!
বইটি অন্য যেকোনো আট দশটা প্রেমের উপন্যাসের মতোই! নায়ক আছে, নায়িকা আছে, আছে, আবেগ-অনুভূতি। তারপরেও বইটি আমার ভালো লাগেনি। লেখক নায়িকাটিকে একদম গার্বেজ মেন্টালিটির বানিয়ে রেখেছেন। নীচ, হীন, হিংসায় ভরা, সন্দেহপূর্ণ এবং ছোট মনের একটি মেয়ে এই বইয়ের নায়িকা, ভাবা যায়! বেশ বিরক্ত হয়েছি। শেষে বলতে গেলে শেষ করার জন্য পড়েছি। মেয়ে মানেই হিংসুটে, মেয়ে মানেই ঈর্ষাপরায়ণ, মেয়ে মানেই আরেক মেয়ের শত্রু এই বই পড়ে মাথায় গেঁথে যাবে যে কারো! তার চেয়ে ঝুমা চরিত্রকে তাও কিছুটা ভালো লেগেছে। নায়িকার চরিত্রের কারণে নারীকুল যে কুৎসিত কিছু ট্যাগ পেতে যাচ্ছিল, ঝুমাই বোধ হয় তা থেকে কিছুটা পরিমাণে হলেও নারীকুলকে বাঁচিয়ে দিলো। তবে বইয়ের কিছু লাইন আমার বেশ মনে ধরেছে, এটুকু বলতে পারি। হ্যাপী রিডিং! 🌻
অভির সাথে বাবলির পরিচয়টা বাবলিকে নাগাল্যান্ডে পৌঁছে দেয়া নিয়ে । বাবলি অভির সরলতা ও নির্বুদ্ধিতা দেখে মনে মনে কিছুটা আকর্ষন বিকর্ষনের দোটানায় গড়ালেও পরমুহূর্তে তা কাটাতে সক্ষম হয়।
অবলীলায় বর্জন করা অভি সম্পর্কে পরবর্তীতে অনেক কিছু জানতে পারে বাবলি। সহজ সরল পোশাকের আড়ালে অভির ছিল চমৎকার একটা পরিচয়। কে ছিল এই অভি? যাকে নিয়ে সবার মাঝেই এতো চাপা হুল্লোড়! জানতে চাইলে পড়তে হবে বুদ্ধদেব গুহ এর "বাবলি" বইটি। রোমান্টিক উপন্যাস। প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে ভেসে যাওয়ার মতো কিছু না। ঈর্ষা, দ্বিধা ও ভালোবাসা এসব কিছু নিয়েই এগিয়েছে গল্প।
আমি যে কতটা কাঠখোট্টা টাইপ মানুষ রিভিউটা লেখার আগে অব্দি জানতাম না। প্রেম ভালোবাসা নিয়ে খুব একটা বই পড়িনি আগে বা লিখিনি। তাই পুরো লেখাটাই এলোমেলো 😃
কাহিনি বলতে গেলে সেই পুরোনো বাংলা/হিন্দি সিনেমার প্লট। নাক উঁচু মেয়ের সাথে ক্যাবলাকান্ত এক ছেলের দেখা। ছেলের দায়িত্ব মেয়েকে ঠিকঠাকভাবে তার গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া। এই পুরো যাত্রাপথে মেয়েটা ছেলেটাকে ইচ্ছেমত নাকানিচুবানি খাওয়াবে, আর ছেলেটা তলে তলে মেয়েটার প্রতি একটু দুর্বল হবে। রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হওয়ার কারণে একটা সুনসান হোটেলে উঠবে, সেই সাথে জোর করে সিচুয়েশন রোমান্টিক করার জন্য বৃষ্টি। তারপর যখন ছেলেটা চলে যাবে, তখন মেয়েটা জানতে পারবে এই ছেলে তো পুরো বম্ব ছিল, লন্ডন থেকে ডিগ্রি লাভ করা, প্লেয়ার, হাংকি-পাংকি- এমনকি নিজের বান্ধবী এই ছেলের সুইমিং স্যুট পরা ছবি সাথে নিয়ে ঘুরে। এরপর কোনো না কোনোভাবে যখন নায়ক-নায়িকার প্রেম জমে ক্ষীর, তখনই এন্ট্রি হবে নায়িকার বান্ধবীর, বান্ধবীকে নিয়ে ইনসিকিউরিটি, বয়ফ্রেন্ডও 'বোনের মতো' দেখা সেই বান্ধবীর সাথে হাল্কা টাংকি মারতে চাইবে- এই তো। শেষটুকু বাদে সবই বলে দিলাম।
🌻 পাঠ-প্রতিক্রিয়া:
বইয়ের শুরুতেই বডি শেমিং। 'মেয়ে মোটা হলেও সুন্দর'- এই টাইপ কথাবার্তা। এই বই নিজে পড়ার আগে এক ফ্রেন্ডকে পড়তে দিয়ে যেই গালিটা খেলাম। তবে এই বইটার একটা ভালো দিক হলো এর জীবনদর্শন। বইটা পড়ার পর একেকজন একেকভাবে এটা বিশ্লেষণ করবে। বাবলিকে শুরুতে বেশ বুদ্ধিমতি মনে হলেও শেষে যে ওর ক্যারেক্টার ১৮০ ডিগ্রি কোণে পল্টি নিবে, সেইটা বুঝি নাই। বুদ্ধদেব গুহ এক জায়গায় বলেছিলেন যে এই বইয়ের মধ্যে উনি নারী চরিত্রের মনস্তাত্বিক ব্যাপারটা বিশ্লেষণ করেছেন, যেইটা আমার একদমই মনে হয় নাই। এখানে শুধুই ইনসিকিউরিটি, জেলাসি, পসিসিভনেস দেখানো হয়েছে। এগুলাকে কেন সেরা রোমান্টিক বইয়ের তালিকায় ফেলা হয় ভাই? ইয়ে মানে, প্রেম যদি এমন হয়, তাহলে আমার বোধহয় প্রেম না করাটাই ভালো :3 এত লুতুপুতু করা সইবে না আমার :3
কিছুটা হিন্দি সিরিয়ালের ধাঁচের গল্প। নায়ক নায়িকা একসাথে নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয় একই গাড়িতে করে, অনেকদূরের পথ, নায়ক নায়িকার কথাবার্তা চালু। নায়ক শান্ত শিষ্ট, নায়িকা দুরন্ত ছটপটে।পথে গাড়ি থামাতে হয়, রাতের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হয়।আর এই সময় বৃষ্টি হবেনা তা আবার হয় !?বৃষ্টিও নামে একসময় - তখন নায়ক(অভী) - নায়িকা(বাবলি) একে অপরের আরও কাছে চলে আসে এবং পরস্পরের সান্নিধ্যে তপ্ততা অনুভব করতে থাকে।ব্যাস তারপর থেকেই ভালোলাগা শুরু।তারপর ঘটনা এগোতে শুরু করে, এরপর প্রেম, রোমান্স, ঈর্ষার পাত্রীর আগমন (কাবাবমে হাড্ডি), ভুল বোঝাবুঝি। তারা নিজেরাও বুঝতে পারে না কিভাবে কখন ভালোবাসা ফিকে হয়ে দূরত্ব জায়গা করে নেয় তাদের মাঝে। অবশেষে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে ও প্রেম পরিণতি পায়।
গল্পটা খারাপ লাগবেনা, তবে খুউউউউব ভালো যে তাও বলবো না। তবে রোমান্সের বুদবুদে ভরপুর।
শুরুটা ভালভাবেই ছিল। অন্তত ইম্ফল থেকে নাগাল্যান্ড যাবার পথের সময়টুকু। এতই ভাল যে তক্ষুনি ইম্ফলের হাইওয়ে ধরে নাগাল্যান্ড চলে যেতে ইচ্ছে করছিল। এরপরেই কাহিনীকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হল যে না পারি ফেলতে না পারি খেতে টাইপ অবস্থা! শুরুই যখন করলাম তবে শেষটাও দেখি করে পড়ে তো ফেললাম। এখন বিরক্ত লাগছে সময়টা পুরোই নষ্ট হয়েছে ভেবে। এত বিচ্ছিরি প্রেম কাহিনী পড়তে চাইনি আর কখোনো চাইবোনা।
আমার প্রাক্তন প্রেমিকার এই বই পড়া থাকলে গেঞ্জাম একটু কম হইতো। মনিপুর, নাগাল্যান্ডের মতো সুন্দর জায়গায় জীবনের একটা ছোট্ট কিন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক ফোকাস করে সাজানো সাধারণ কিন্ত সাবলীল একটি গল্প। সকল নবাগত প্রেমিক প্রেমিকাদের অবশ্য পাঠ্য।
কিছুটা হিন্দি সিরিয়ালের ধাঁচের গল্প। নায়ক নায়িকা একসাথে নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয় একই গাড়িতে করে, অনেকদূরের পথ, নায়ক নায়িকার কথাবার্তা চালু। নায়ক শান্ত শিষ্ট, নায়িকা দুরন্ত ছটপটে।পথে গাড়ি থামাতে হয়, রাতের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হয়।আর এই সময় বৃষ্টি হবেনা তা আবার হয় !?বৃষ্টিও নামে একসময় - তখন নায়ক(অভী) - নায়িকা(বাবলি) একে অপরের আরও কাছে চলে আসে এবং পরস্পরের সান্নিধ্যে তপ্ততা অনুভব করতে থাকে।ব্যাস তারপর থেকেই ভালোলাগা শুরু।তারপর ঘটনা এগোতে শুরু করে, এরপর প্রেম, রোমান্স, ঈর্ষার পাত্রীর আগমন (কাবাবমে হাড্ডি), ভুল বোঝাবুঝি। তারা নিজেরাও বুঝতে পারে না কিভাবে কখন ভালোবাসা ফিকে হয়ে দূরত্ব জায়গা করে নেয় তাদের মাঝে। অবশেষে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে ও প্রেম পরিণতি পায়।
গল্পটা খারাপ লাগবেনা, তবে খুউউউউব ভালো যে তাও বলবো না। তবে রোমান্সের বুদবুদে ভরপুর।
বইটির মূল চরিত্রের নামই বাবলি।বইটা শুরুর দিকে একটু একঘেয়েমি লাগলেও পরে বাবলির সাথে নিজের কেমন যেন একটা মিল খুঁজে পাওয়ার পর থেকে বইটি বেশ সুখপাঠ্য লেগেছে।সব মিলিয়ে বেশ দারুণ একটি বই।