Jump to ratings and reviews
Rate this book
Rate this book
ফ্ল্যাপে লিখা কথা
একটি পুরুষের মধ্যস্থলে একটি জলপদ্ম ফুটিয়াছে। জলপদ্মটি পানির পৃষ্ঠদেশ হইতে এক ফুট উপরে।এমন সময় দমকা বাতাস আসিল, ফুলটি তিনফুট দূরে সরিয়া জল স্পর্শ করিল। পুকুরের গভীরতা নির্ণয় করো।
-লীলাবতী
এই ধরনের প্রচুর অংক আমি আমার শৈশবে পাটিগণিতের বইয়ে দেখেছি। অংকের শেষে লীলাবতী নামটি লেখা। ব্যাপারটা কী? লীলাবতী মেয়েটি কে? তার সঙ্গে জটিল এসব অংকের সম্পর্ক কী?
যা জানলাম তা হচ্ছে- সপ্তম শতকের বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ভাস্করাচার্যের একমাত্র কন্যার নাম ‘লীলাবতী’। মেযেটির কপালে বৈধব্যযোগ -এই অজুহাতে কন্যাসম্প্রদানের আগে আগে বরপক্ষ মেয়েটির বিয়ে ভেঙে দেয়। লীলাবতী যখন গভীর দুঃখে কাঁদছিল তখন ভাস্করাচার্য বললেন, ‘মা গো , তোমার জন্য কিছু করার সামর্থ্য আমার নেই, তবে পৃথিবীর মানুষ যেন বহু যুগ তোমাকে মনে রাখে আমি সেই ব্যবস্থা করছি। ‘তিনি তাঁর বিখ্যাত গণিতের বইটির নাম দেন ‘লীলাবতী’।
গল্পটি আমাকে এতই অভিভূত করে যে ,একরাতে লীলাবতীকে স্বপ্নেও দেখি।এই নামটা মাথার ভেতর ঢুকে যায় । অনেক দিন ইচ্ছা ছিল স্বপ্নে দেখা মেয়েটিকে নিয়ে একটি উপন্যাস লিখব। নাম দেব ‘লীলাবতী’ । ভালো কথা, আমার লীলাবতী গল্প কিন্তু ভিন্ন। আমর উপন্যাসের লীলাবতীর বাবা নাম ভাস্করাচার্য না ,সিদ্দিকুর রহমান। তিনি সাধারণ একজন মানুষ। অংকবিদ না।

240 pages, Paperback

First published February 1, 2005

58 people are currently reading
1360 people want to read

About the author

Humayun Ahmed

450 books2,906 followers
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.

Early life:
Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.

Education and Early Career:
Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.

Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.

Marriages and Personal Life:
In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.

Death:
In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
620 (29%)
4 stars
801 (37%)
3 stars
508 (23%)
2 stars
148 (6%)
1 star
40 (1%)
Displaying 1 - 30 of 98 reviews
Profile Image for শাহ্‌ পরাণ.
259 reviews74 followers
December 1, 2022
প্রথমবার লীলাবতী পড়েছিলাম অনেক আগে। কলেজে থাকতে মনে হয়। তখন গ্রাম্য একটা গল্প মনে হয়েছিলো শুধু। এখন আবার পড়ে, বইটাকে বিশেষকরে সিদ্দিকুর রহমানকে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম।

বইটার নাম লীলাবতী হলেও গল্পটা মনে হয়েছে সিদ্দিকুর রহমানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। অহংকার আর কাঠিন্যের চাঁদরে আবৃত একজন গ্রাম্য বিচক্ষন এবং বুদ্ধিমান মানুষ সিদ্দিকুর রহমান। তার বিচক্ষনতা, অর্থ এবং প্রতিপত্তি দিয়ে সে তার চারপাশের সবকিছুকে নিয়ন্ত্রন করে, অবলীলায়। সিদ্দিকুর রহমানের মধ্যে দিয়ে লেখক জীবনের নানাবিধি জটিল প্রশ্নের সহজ সরল ব্যাখ্যা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছেন। জীবন সম্পর্কে এই মানুষটার ধারণা স্বচ্ছ, স্পষ্ট, তাই সে মৃত্যুকে ভয় পায় না মোটেও। সে যা করে সব কিছু চিন্তাভাবনা করে করে। প্রতিটা ভালো বা খারাপ কাজ যখন সে করে, সে জেনে বুঝে করে। খারাপ কাজ করার পেছনে তার নিজস্ব যুক্তি থাকে, তাৎপর্য থাকে।

সিদ্দিকুর রহমানের মতে সে একজন চিন্তাশীল মানুষ এবং সমাজের বেশিরভাগ মানুষের এই চিন্তা করার ক্ষমতা থাকে না। যা সত্য। আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ যদি সিদ্দিকুর রহমানের মতো চিন্তাশীল মানুষ হতো তাহলে হয়তো সমাজটা আরেকটু বেশি সুন্দর হতো।

তাছাড়াও উপন্যাসের অন্যান্য সকল চরিত্র লেখক অনেক সুন্দরভাবে ডেভেলপ করেছেন। কেন যেন মনে হচ্ছে বইটা আমি আবারো পড়বো। হয়তো ৫/১০ বছর পর(বেচে থাকলে)। তখন হয়তো আবারও ভালো লাগবে।

অনেকগুলো ভালো লাগা লাইনের মাঝে কয়েকটি ভালো লাগা লাইনঃ

মানুষ সব জানতে চায়, কিন্তু জানতে পারে না। আমরা অল্পই জানি কিন্তু ভাব করি অনেক জানি।

মানুষ অন্য মানুষের মন কিছুটা বুঝতে পারে নিজের মন কিছুই বুঝতে পারে না।

মানুষ আলাদা আলাদা ভাগ্য নিয়ে আসে না, একজনের ভাগ্যের সাথে আরেকজনের ভাগ্য জড়ানো থাকে। একজনের ভাগ্যে ধ্বস নামলে পাশের জনের ভাগ্যেও নামে।

অতি বড়লোকদের অর্থ আছে রুচি নেই, তারা নিজের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন কিন্তু যাকে কাজ দেন তার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না।

বিত্তমান মানুষেরা কল্পনা করতে পারেন না, তারা বাস্তব নিয়ে এতটা ব্যস্ত থাকেন যে কল্পনা করার সময় পান না। কল্পনা না করতে করতে কল্পনা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।

সখের কাছে কখনো বাজেট সমস্যা হয়না। সখের বাজেট সবসময় থাকে।
Profile Image for আকাশ আব্দুল্লাহ.
92 reviews29 followers
November 11, 2020
হুমায়ুন আহমেদ বড়ো পরিসরের পেট মোটা বই লিখতে সবসময়েই সিদ্ধহস্ত। তার প্রত্যেকটা বড়ো সাইজের বই ই পাঠক প্রিয় হয়েছে। আফসোস! তিনি ৮০% ই যা লিখেছেন সব ৮০-৯০ পৃষ্ঠার ফরমায়েশী উপন্যাস।

লীলাবতী কেমন বই? হুমায়ুনের আর দশটা টিপিকাল বইয়ের মতোই চরিত্রদের উদ্ভট উদ্ভট কাজকারবার। উলটাপালটা কাজ করাই হু আ এর বেশিরভাগ বইয়ের ট্রেডমার্ক চরিত্র। এই বইয়ের মূল চরিত্র সিদ্দিকুর রহমানও (লীলাবতীর থেকে একেই আমার মূল চরিত্র মনে হয়েছে) এরকমই চরিত্র। কিন্তু তারপরও চরিত্রটা আমাকে এতোটাই মুগ্ধ করেছে,এতোটাই মুগ্ধ করেছে যে এই চরিত্রটাকে হু আ এর সেরা পাচটা চরিত্রের একটা চরিত্র বলে ঘোষনা দিতে ইচ্ছে হচ্ছে।

যদিও সন্ধ্যা- হু আ এর আরেক বই। সেখানে ডিভোর্সি বাবার সাথে ছেলের কাছে আসার অসাধারণ সুন্দর এক গল্প ছিলো। খু ভালো লেগেছিলো বইটা। লীলাবতী অনেকটা ওরকমই, বাবার কাছে কন্যার ফিরে আসার এক আশ্চর্য সুন্দর গল্প। আর বেশ বড় পরিসরে লিখা বইটা, পড়ে অসাধারণ লেগেছে। বইয়ের প্রত্যেকটা চরিত্রই দারুন লেগেছে। এরকম বই খুব কমই আছে যেখানে প্রতিটা চরিত্র দাগ কেটেছে মনে। যখন যে চরিত্রের পারসপেক্টিভ থেকে বর্ননা করা হয়েছে তখন সেটা পড়তেই ভালো লেগেছে। খুব সাধারন কাহিনী কিন্তু উপস্থাপনার কারনে এতো দুর্দান্ত লাগলো বলে বোঝানো যাবে না। কিছু জায়গায় বাবা মেয়ের ইমোশন ছিলো,সেটা ভালো লেগেছে। প্রেম ভালোবাসার বাহুল্য ছিলো না। যান্ত্রিকতার বাইরে গ্রামের পটভূমি এবং ষাটের দশকের কাহিনী। এতে ভাল লাগা আরো বেড়ে গেছে।

সমাপ্তিটা অসাধারণ হয়েছে। সুখী পরিসমাপ্তি নেই। বই শেষ করার পর কেমন শূন্য শূন্য লেগেছে বুকের ভেতর।


হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের রিভিউ দেয়ার কিছু নেই। কখনো দেই-ও না। এতো ভালো লাগলো বলেই দু লাইন প্রতিক্রিয়া লিখলাম।
Profile Image for Anika Tabassum .
88 reviews17 followers
April 18, 2022
হুমায়ূন আহমেদের অন্য সব বইগুলোর মতই কাহিনী। গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি সিদ্দিকুর রহমানের প্রথম কন্যা 'লীলাবতী' আসে তাঁর বাবার কাছে। তাকে ঘিরেই কাহিনী। প্লট আহমরি নাহলেও হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলার ধরণের জন্য বইটা ভালো লেগেছে। যারা হুমায়ূন আহমেদের বই প্রথম প্রথম পড়ছেন, তাদের কাছে বইটি বিশেষ ভালো লাগবে।
বইয়ের শুরুতে আনন্দে ভরপুর ভাব থাকলেও বই শেষ করার পর প্রচন্ড শূণ্যতা অনুভব করেছি।
বিশেষ করে আনিসের কাছে লেখা লীলাবতীর চিঠিটা! একটা হাসি-খুশী সমাপ্তি ভীষণ রকম আশা করেছিলাম:)
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Ayesha Siddiqua.
87 reviews44 followers
September 24, 2021
আনিস সাহেব,
চার নম্বর খাতার শেষ তিন পৃষ্ঠা খালি।আপনি কি লেখার সময় পাননি?না-কি ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছিলেন?শেষের তিনটা সাদা পাতা দেখে মন খারাপ হয়।মনে হয় বিরাট একটা কাজ (!) অসম্পূর্ণ থেকে গেল।
সবচে ভালো হয় কি জানেন?সবচে ভালো হয় আপনি যদি কোনো একদিন চলে আসেন।জেলখানা থেকে একসময় না একসময় ছাড়া পাবেনই।চলে আসবেন আমাদের এখানে। শেষ তিন পৃষ্ঠা লিখে আপনার চার খন্ডের বড় একটি কাজের সমাপ্তি টানবেন।
আমি অপেক্ষা করে থাকবো।
বিনীতা
লীলাবতী
Profile Image for Shafi Abdullah .
24 reviews
December 2, 2024
অনেকে এই বইটাকে লেখকের সেরা দশটা বইয়ের মধ্যে জায়গা করে দেয়, অত্যন্ত সাধু পছন্দ ! সহমত হওয়া না হওয়া ফ্যাক্টর না । তবে, কাহিনীটা সত্যি ভালো। হুমায়ূন আহমেদ অ্যাস আলয়েজ জোশ । প্রথম দিকে বইটা মধ্যাহ্নর মতো লাগছিল। শেষ দিকে জেল টেল মিলায় "কোথাও কেউ নেই"। কিন্তু অনেকেই ব্যাপারটা এভাবে হয়তো নেবেন না। আমার তাও মনে হচ্ছিলো।

ফ্লপে যা লেখা তাঁর ধারে কাছ দিয়েও ঘটনাক্রম যায় না । পাকিস্তান আমলের গ্রামীণ এক প্রতাপশালী পিতা ও কন্যাকে ঘিরে কাহিনী আগায়। যেহেতু, স্বাস্থ্যবান বই তাই অনেক কাহিনী - পার্শকাহিনী নিয়ে এর পথ চলতে থাকে। লেখক সাহেবের শ খানা বই পরেও আমি যেমন একটিতেও সঠিক প্রেডিকট করতে পারি নি, এটাতেও পারলাম না । মিলনাত্তক এন্ডিং হলে হইতো একটা তাঁরা কম দিতাম। শেষটায়ে পাঠক কে চাপা নিঃশ্বাস ফেলিয়ে লেখক খুব খুশি পেতেন বোধয়। এর চেয়ে বেশি বললে স্পয়লার চলে আসবে। তার দরকার নাই। ৮০ Bদায় ':)
Profile Image for Ashkin Ayub.
464 reviews228 followers
November 8, 2022



শীতের কোন এক (অদ্)ভূতুড়ে সন্ধ্যায় অপেক্ষা করতে থাকি। প্রকৃতি ত��ঁর মানব সন্তানকে তৈরি করেছে অপেক্ষা করার জন্য। যেখানে শেষ হয় পাতার ভাঁজ কিংবা কল্পনায় আঁকা থাকে অসংখ্য নাম। আমরা কি আসলে দস্তয়েভস্কির কোন ক্যারেক্টার?

লীলাবতী কে? যার সখ্যতার আশায় আমরা আগুনে পুড়িয়েছি অজস্র সাহিত্য। রাত কেটেছে নির্জীব নির্মমতায়। গভীর রাতে নাকি প্রকৃতি চিৎকার করে কাঁদে। লীলাবতীর জন্য আমরা শব্দ খুঁজে বেড়াই অলীক সখ্যতার আশায়।

সিদ্দিকুর রহমান, মাসুদ, পরীবানু, লীলার মামা বা জায়গীর মাস্টার আনিস; যাপিত জীবনের রোজনামচায় যাদের সাথে আমাদের সব সময় দেখা কিন্তু লীলাবতী’কে পাই না আমরা। শীতের সকালের উম দেওয়া রোদে বুড়ো বটের নিচে গোলটেবিল বৈঠক হবে, দেখা যাবে এক দিগন্ত আহাকার কি করে উপচে পড়ে পুকুরের পাড় ঘেঁসে। হয়ত, কোন এক মফস্বলের শেষ প্রান্তে গিয়ে জানা যাবে, লীলাবতী কে ছিলো। আমাদের মোহ? প্রেম? নাকি অপেক্ষার আরেক নাম?

খুব অদ্ভুত ভাবে এই বইটা নিজের কাছে রাখতে পারিনা। হয়ত আমার জীবনের খাতার শেষ তিন পৃষ্ঠা এখনো খালি তাই এই বই হারিয়ে ফেলি। যারা আমার বই, বলে-না বলে নিয়েছিলেন, তাদের উপর আক্ষেপ নেই। ক্ষণিকের জীবনে একটা বই চলে গেলে খুব একটা আক্ষেপ নেই।

সবার জীবনে অপেক্ষার পালা কমে আসুক, এই প্রত্যাশ্যায়।


Profile Image for Trinitri.
12 reviews7 followers
February 6, 2017
Such an amazing piece of work. Lilaboti, daughter of a landlord had never seen her father as her mother left him before her birth. She planned to see her dad only once, but somehow due to various circumstances she couldn't have the heart to leave. At the end of the day, she remained alone waiting for someone to come... this leaves us the readers wondering the cruelty of life. If I could have given 10 starts to this book, I would.
Profile Image for Akhi Asma.
230 reviews464 followers
December 7, 2022
কেন জানি বইটা আমার ভালো লাগেনি। খুবই খাপছাড়া লাগছে।
Profile Image for Samsudduha Rifath.
425 reviews22 followers
October 28, 2023
উনার বইগুলা আমি অনেক গ্যাপ দিয়ে দিয়ে পড়ি কারণ পাঠক জীবন যাতে দীর্ঘ হয় উনার বই পড়ে পড়ে । এই বইটা আমার প্রিয় বই হয়ে থাকবে। প্রতিটা চরিত্র মনে দাগ কেটে গিয়েছে। এরকম খুব কম হয়েছে আমার ক্ষেত্রে। অনেক ভালো লেগেছে বইটা।
Profile Image for Sharmin Sultana  Shamoly.
89 reviews23 followers
March 23, 2025
লীলাবতী নামটার জন্যই বইটা বারবার পড়তে ইচ্ছে করে। নতুন করে হুমায়ূন পড়ার সময় খেয়াল করি তাঁর মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্রকে দেখার চোখ।
Profile Image for Kona Reads.
107 reviews39 followers
April 22, 2024
লীলাবতী প্রথম পড়েছি সেই কোন ছোটবেলায়। তখন আর এখন এর মধ্যে তফাৎ বিস্তর। আমার চিন্তাধারার সাথে প্রতিটি চরিত্র যেন বদলে গেছে। কিন্তু প্রথম বারে যে চিন্তাগুলো মাথায় এসেছিল সেগুলো ঠিক ঠিক মনে পড়েছে।
Profile Image for নূর মমতাজ.
69 reviews10 followers
August 7, 2019
রেটিং :- ৩.২/৫

খুব ভালোও লাগেনি আবার খুব খারাপও লাগে নাই।

মাঝ পথে এতো বোর লাগছিলো একবার ভাবলাম থাক বাদ্দেই এটা।
কিন্তু goodreads reading challenge টা শুধু মাত্র শেষ করার জন্য বইটা অনেক কষ্টেসৃষ্টে শেষ করেছি।

সবচেয়ে যে চরিত্রটা ভালো লাগলো সেটা ছিলো লীলার বাবা "সিদ্দিকুর রহমান"।
বইটা শেষ করে কেন যেন একটা কথাই মাথায় ঘুরঘুর করছে আমরা সবাই লীলাবতী হতে চাই কিন্তু আসলে ভিতরে ভিতরে আমরা এক একটা 'কূঁজা' মাস্টার আনিস। আমি কিন্তু আনিসকে খারাপ বলছিনা। সে খুবই সাদামাটা কিন্তু জটিল আবার অনেক প্রেডিক্টেবল একটা ক্যারেক্টার।
Profile Image for Chinmoy Biswas.
175 reviews65 followers
September 25, 2021
ভালো বই। পড়ে শান্তি পেয়েছি। 💘
Profile Image for Maria Alam.
23 reviews88 followers
May 24, 2021
'লীলাবতী'। খুব সুন্দর ও রহস্যময় নাম বলেই বইটা পড়া। যারা হুমায়ুন আহমেদের লেখার সাথে পরিচিত তারা নিশ্চয়ই অসম্ভব মজা বা চমক খোঁজে পাবেন না । যারা নতুন পড়ছেন তাদের প্লটের মধ্যে পড়বেন আর বলবেন পরের পৃষ্ঠায় আনিস হয়ত জ্বরে মারা যাবে বা লীলার সাথে নিশ্চয়ই ওর বিয়ে হবে বা জইতরী কইতরীর কী হবে এমন কিছু!!

উপন্যাসটির লীলার বাবা সিদ্দিকুর রহমান দুই বিয়ে করেছিলেন । লীলা ১ম পক্ষের একমাত্র মেয়ে, যার জন্মের সময় তার মার মৃত্যু ঘটে। তিনি ২য় বার বিয়ে করেন রুগ্ন দাদি কে সেবার মানুষ প্রয়োজন ছিল বলে এবং ওনার মৃত্যুরপর তার দ্বিতীয় স্ত্রী পাগল হয়ে যান। লীলাবতীর বাবা বিশাল সম্পত্তির মালিক ছিলেন যার দ্বিতীয় পক্ষের এক ছেলে ও দুই মেয়ে থাকে । লীলাবতীর মায়ের মৃত্যুর পর তার বেড়ে ওঠা মামার বাড়িতে এবং গল্পের এক পর্যায়ে ট্রেনে করে বাবার বাড়িতে ফিরে আসে এবং সেই বাড়িতে গিয়েই অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু কাণ্ডের সাক্ষী হয়। যেমন মাসুদের সাথে পরীবানুর বিয়ে তারপর মাসুদের আত্মহত্যা; কাহিনীর শেষ টানে পরী ও লীলার মামার বিয়ে। জায়গীর মাস্টার আনিসের খোঁজ নিতে লীলার মামাকে সন্দেহবশত পুলিশ তুলে নিতে চায়। তখন সিদ্দিকুর রহমান ভীষণ অপমান বোধ করলেন এই ভেবে যে তার বাড়ির মেহমান কে পুলিশ তার সামনে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন আর তিনি কিছুই করতে পারলেন না এবং ঠিক তখনই তিনি গুলি করে হত্যা করেন পুলিশ কে। আর এসব কাহিনীর শেষ অংশে সিদ্দিকুর রহমান ও আনিস দুজনেই জেলে বন্দি থাকেন।


গল্পের শেষটা যে বেশ সুন্দর সেটা বলতে হয়। একদম শেষ লাইনটা এমন
-"আমরা সবাই অপেক্ষা করি। প্রকৃতি তার মানব সন্তানকে তৈরি করেছে অপেক্ষা করার জন্য ।"

বস্তু, স্থান, কাল যাই হোক না কেন আমরা অপেক্ষা করি তো, করি না?
Profile Image for Adwitiya (অদ্বিতীয়া).
297 reviews42 followers
March 8, 2023
4.00 / 5.00

এক বসায় শেষ করে উঠতে বাধ্য হলাম। তথাকথিত হুমায়ূন আহমেদ মনে হয়নি। কাহিনি যথেষ্ট চমকপ্রদ এবং নানা ইন্টারেস্টিং মোড় নিলো। আমি নিশ্চিত এই বইয়ে পড়া কিছু দৃশ্যপট বহুদিন মাথায় গেঁথে থাকবে।

~ 8 March 2023
Profile Image for Mohammed Minhazz.
279 reviews13 followers
August 19, 2024
লীলাবতী
হুমায়ূন আহমেদ



হুমায়ূন বাজারী লেখক, নাকি তার লেখার সাহিত্য মান নিম্ন তা নিয়ে আমি ভাবি না এবং ভাবতেও চাই না। আমার সারাদিন কাটে অলসতায়, এর থেকে সামান্য সয়য় বের করে ব‌ই পড়ার চেষ্টা করি। সেই ব‌ই পড়ার পর যদি আমার মধ্যে কোনো অনুভূতির সৃষ্টি না হয় তাহলে সেটা যত‌ই উচ্চ সাহিত্যমান য��ক্ত হোক না কেন সেটা আমার কাছে পানসে মনে হবে।

হঠাৎ কোনো উপন্যাসের পাতা উল্টাতে উল্টাতে যখন চোখের জলে পাতা ভিজে যায়_ তখন আমি লজ্জিতবোধ করি না, কারণ এটাই আমার কাছে স্বর্গানুভূতি মনে হয়। এর থেকে বেশি কিছু উপন্যাস থেকে আমি আশা করি না। কারণ শিক্ষা নিতে হলে আমি একাডেমিক ব‌ই থেকে‌ই নেবো। গল্প উপন্যাস হলো আবেগ এবং অনুভূতির খোরাক। যে যে শুভাকাক্ষিরা জানতে চান এতো গল্প উপন্যাস পড়ে লাভ ক��? এর উত্তর একটা‌ই “নিজে পড়ে দেখো”।

এখন পর্যন্ত শতাধিক হুমায়ূন সাহিত্য গোগ্রাসে গিলেছি, তবুও বার বার ফিরে আসি । একবার উনার কোনো লেখা পড়তে শুরু করলে আক্ষরিক অর্থে‌ই নাওয়া -খাওয়ার কথা মন থেকে কর্পূরের মতন উবে যায়।

এবার আসি লীলাবতী প্রসংঙ্গে। লীলাবতী উপন্যাসের শুরুটা হয় একটি মেছো বকের রেললাইনের উপর এক ঠ্যাং এ ভর করে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্যের মাধ্যমে। যিনি চিন্তিত ভঙ্গিতে বকটিকে দেখছেন তার নাম সিদ্দিকুর রাহমান। বিশাল জমিদারী তার, সারাদিন ভাবের জগতেই থাকেন তিনি এবং ভালোবাসেন খেলতে। এটি যেনতেন খেলা না, তিনি যেনো একটি অদৃশ্য দাবার বোর্ড সাজিয়ে দুপক্ষের হয়েই চাল দিচ্ছেন। ঘুঁটি হিসাবে তিনি ব্যবহার করেন তার আশেপাশের মানুষদের। ভালোবাসা, রাগ, ঘৃনা, অভিমান এবং দয়া একেক জনকে একেক পদ্ধিতে পরিচালনা করেন। উপন্যাসেটির মূল বক্তব্য হলো “বিধাতার লিখন, না যায় খন্ডন”। মানুষ তার ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রন করে না-কি আমরাই সেই ভাগ্য নামের মাকড়সার জালে কীটপতঙ্গের ন্যায় আটকা পড়ি। সেটাই উনার দক্ষ বর্ণনাভাঙ্গির মাধ্যেমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আমার মতে এটি হুমায়ূন আহমেদের পাঁচটা শ্রেষ্ঠ উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম। তার একটা দোষ হলো উনার গল্পের শেষটা হয় দীর্ঘশ্বাস, অপেক্ষা অথবা রহস্যের মধ্যামে । পাঠকরা নিশ্বাস বন্ধ করে শেষ পাতা উল্টায় অথচ মনের ভিতর শ'খানেক প্রশ্ন; তার কোনো উত্তর নেই। আমি বড়'ই চিন্তিত, কারণ বুঝতে পারছি না লীলাবতীর সমাপ্তিটা ট্যাজেডি ছিল নাকি হ্যাপি এন্ডিং। আচ্ছা দাঁড়ান আমি এক কাপ চা খেয়ে আসি।

৩১/১২/২০২২

মিনহাজ উদ্দীন
Profile Image for Meherin ST.
15 reviews31 followers
February 8, 2021
It's so boring. I kept reading, hoping there will be some story at least. But I read 70% and still nothing was happening.
Profile Image for Rehnuma.
444 reviews21 followers
Read
August 3, 2022
পিতা কন্যার সম্পর্ক হয়তো পৃথিবীর অন্য যেকোনো সম্পর্কের থেকে অনেক বেশি স্নিগ্ধ। পিতা কন্যার ভালোবাসাকে পরিমাপ করা যায় না। কোন ক্ষেত্রে সে ভালোবাসা হয় অদৃশ্য, আবার কোন ক্ষেত্রে তা দিনের আলোর মতো দৃশ্যমান।
সিদ্দিকুর রহমান ছোট্ট এক গ্রামের সবচেয়ে ক্ষমতাধর এক ব্যক্তি। পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির দেখভাল করে যাচ্ছেন। তার সাথে ছায়ার মতো থাকে লোকমান-সুলেমান নামের দুই ভাই। প্রথম স্ত্রী ইহলোক ত্যাগ করার বহু বছর পর তিনি বিবাহ করেন রমিলাকে। যে দাদি-শাশুড়ির জন্য প্রথম স্ত্রী আয়না সংসার ত্যাগ করেছিল, সেই দাদি-শাশুড়ির শেষ সময়ের সেবা শস্রুশা করতে গিয়ে নিজেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যায় দ্বিতীয় স্ত্রী রমিলা। দুই কন্যা এবং এক পুত্রের জননী সে।
প্রথম স্ত্রী আয়নার এক মেয়ে আছে। কিন্তু সিদ্দিকুর রহমান কখনো তাকে দেখেননি। সে মেয়েও মায়ের বাড়িতেই বড়ো হয়। এক সময় পিতাকে দেখতে কন্যা আসে ধর্মপাশার ধারে সেই ছোট্ট গ্রামের বাড়ি। পিতা কন্যার প্রথম সাক্ষাৎ হয় অতি সাধারণ। কিন্তু এই সাধারণের মাঝেও কন্যা লীলাবতীর জন্য সিদ্দিকুর সাহেবের মনে তৈরি হয় গভীর মমত্ববোধ। কঠিন এবং রহস্যময় স্বভাবের সিদ্দিকুর কন্যা লীলাবতীর প্রতি গভীর ভালোবাসা আড়াল করে রাখেন। লীলাবতী ছোটো থেকেই পিতাকে ভিলেন হিসেবে দেখে এসেছে। কিন্তু সচক্ষে দেখা এই লোকটি খুবই রহস্যময়। পিতার প্রতি ভালোলাগা দিনকে দিন বৃদ্ধিই পেতে থাকে।
সিদ্দিকুর সাহেবের বাড়িতে আনিস ওরফে ❛কুঁজো মাস্টার❜ নামে খ্যাত এক লোক জায়গির থাকে। উদ্ভট ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই আনিস লীলাবতীর প্রতি ক্রমে আসক্ত হয়ে পড়ে।
দু'দিন থাকার উদ্দেশ্যে আসা লীলাবতী যেন এ বাড়ি থেকে যেতেই পারছে না। সামনে পরে আছে তার ভবিষ্যত। নানান কাণ্ডে এ বাড়ির সুতো সে কাটতে পারছে না। থাকার দিন দীর্ঘ হচ্ছে। বাড়ির সকল দায়িত্ব ক্রমেই তার কাঁধে এসে পড়ছে।
ঘটনা ক্রমে আনিস এবং সিদ্দিকুর সাহেব কারাগারে দিন কাটাচ্ছেন। আর বিশাল বাড়িতে একা দিন কাটাচ্ছে লীলাবতী। অপেক্ষা করছে। কীসের?
পাঠ প্রতিক্রিয়া:
হুমায়ূন আহমেদের অন্য সব বইয়ের মতোই এ বইতেও রহস্যময় চরিত্র ছিল এবং তাদের স্বাভাবিক অস্বাভাবিক কান্ডও ছিল।
উপন্যাসের প্রধান দুই চরিত্র সিদ্দিকুর রহমান এবং লীলাবতী। সিদ্দিকুর রহমানের প্রবল ব্যক্তিত্ব এবং রহস্যময়তা আমার খুবই ভালো লেগেছে। ক্ষমতার অধিকারী এক মানুষ যে কিনা মুখের কথাতেই বিরাট কিছু করে ফেলতে পারেন, সেই আবার কন্যার ব্যাপারে কেমন কোমল হয়ে যান। তার যুক্তিনির্ভর এবং মনস্তাত্ত্বিক কথাগুলো বেশ ভালো লেগেছে।
লীলাবতীর বর্ণনা খুব ভালো লেগেছে। একুশ বছর বয়েসী তরুণী সে। পিতার সাথে দেখা করত এসে ভাগ্যক্রমে সেখানেই স্থায়ী হয়ে যাওয়া এবং এক পর্যায়ে বিশাল বাড়ির একক কর্ত্রী হয়ে যাওয়া প্রতিটা পর্যন্ত প্রতিটা ধাপের বর্ণনাই ছিল দারুণ।
আনিসের উদ্ভট ব্যক্তিত্বের আড়ালে এক প্রেমিক সত্তা এবং একই সাথে দেশের স্বার্থে অটুট ব্যক্তিত্ব ধরে রাখা খুব ভালো লেগেছে।
উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র গুলোও বেশ ভালো লেগেছে। খুবই স্বল্প সময় উপস্থিত থাকা ❛আয়না❜ চরিত্রের দৃঢ়তা অসাধারণ ছিল।
উপন্যাসের প্লট একদম সাধারণ। লেখকের গল্প বলার ধরন আর আবহ সৃষ্টির গুনে এই সাধারণ জিনিসও ম্যালা ভালো লাগে। উপন্যাসের শেষ বিষাদময় না হলে আরও বেশি ভালো লাগতো। আনিসের কাছে লেখা লীলাবতীর চিঠিটা খুবই দারুণ ছিল। পিতা কন্যার অদৃশ্য ভালোবাসা যেটা পিতা গোপন করতে চেয়েও ধরা পড়ে যায় আবার কন্যার দিনকে দিন পিতার প্রতি তৈরি হওয়া ভালোবাসা এই উপন্যাসকে অনন্য এক রূপ দিয়েছে।
মোটের উপর বেশ উপভোগ্য একটা উপন্যাস ❝লীলাবতী❞।
Profile Image for Imtiaj Ahmed.
49 reviews1 follower
April 8, 2025
লীলাবতী – হুমায়ূন আহমেদের লেখা একটি মননশীল ও গভীর জীবনবোধে পরিপূর্ণ উপন্যাস। এই বইটি মূলত মানুষের মনস্তত্ত্ব, সম্পর্কের জটিলতা ও অস্তিত্বের প্রশ্নকে ঘিরে নির্মিত। তবে হুমায়ূন আহমেদ যেভাবে সহজ ভাষায় জটিল সব গভীর কথা বলেন, বইটি তার এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
উপন্যাসটির প্রতিটি চরিত্র জীবন্ত, বাস্তব এবং পাঠকের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি করে। প্রধান চরিত্র লীলাবতী হলেও এই চরিত্রকে ছাপিয়ে গেছে তার বাবা চরিত্রটি অর্থাৎ সিদ্দিকুর রহমান। দুটি চরিত্রই অনন্য— দুজনই রহস্যময়, কিন্তু অস্পষ্ট নয়। হুমায়ূন আহমেদের লেখনীতে এই চরিত্রগুলোর সংলাপ জীবন্ত এবং জীবনের ভাঙা-গড়ার গল্প পাঠককে টেনে রাখে। একই সাথে কিছুটা ভ্রম, অতিলৌকিক কিছু চিন্তা ও কথা পাওয়া যায় চরিত্রগুলোতে বিশেষ করে লীলাবতীর সৎ মায়ের কথায়।

এই উপন্যাসে হুমায়ূন আহমেদ তার পরিচিত ধারার বাইরে গিয়ে কিছু দার্শনিক এবং মানসিক ঘাত-প্রতিঘাতের বিষয় আনার চেষ্টা করেছেন হয়তো কিন্তু তা তিনি নিজের গতানুগতিক ধারাকে ছাপিয়ে যেতে পারেননি। তবে লেখা একেবারেই ভারী হয়ে ওঠে না। বরং সহজেই প্রবাহিত হয়, পাঠকের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়। আকারে একটু বড় হলেও একঘেয়েমি লাগে না।

হুমায়ূন আহমেদের ভুল?
উপন্যাসটিতে একটি চরিত্র হলো মাসুদ। তার বউ পরীবানু। মাসুদ যখন মারা যায় তখন তার বউ তিন মাসের গর্ভবতী। মাসুদ মারা যাবার পরে এক রাতে জোছনায় লীলাবতী ও পরীবানু মাসুদের কবরে ভুত দেখে, ���া ভূতের মতো কিছু দেখে ভয় পায়। এর পর সিদ্দিকুর রহমান এই ঘটনার একটা ব্যাখ্যা দেন এমন— আশ্বিন মাসে কুয়াশা থাকে। কুয়াশা সহ জোছনা গাছের ওপরে পড়লে তার ছায়া ভূতের বলে ভ্রম হয়। লীলাবতী এ ব্যাখ্যা মেনে নেয়। অর্থাৎ আশ্বিন মাসে পরীবানুর গর্ভের বয়স ৩ মাস বা এর আশেপাশে।
এরপর শ্রাবণ মাসে পরীবানুর জমজ সন্তান হয়। এখানেই আসলে ভুলটা। আশ্বিন থেকে শ্রাবণ এর মাঝে পার্থক্য হলো ১০-১১ মাস। যদি আশ্বিন মাসে ৩ মাস হয় তাহলে পরীবানুর সন্তান হবার কথা বৈশাখ মাসে। কিন্তু তা না হয়ে সন্তান হয় শ্রাবণ মাসের বর্ষায়। হুমায়ূন আহমেদ দীর্ঘ সময় নিয়ে লিখতেন। এজন্য কি এ ভুল?
[হঠাৎ উপরের ব্যাপারটা খেয়াল করেছি। খাদ বিহীন স্বর্ণের গয়না হয় না। এই খাদ গুলো হুমায়ূন আহমেদের লেখায় সৌন্দর্য বাড়িয়েছে। নয়তো পরীবানুর সন্তান নৌকায় হতো? চিরচেনা টেনশন, টানটান উত্তেজনা পাঠক অনুভব করতো?]

পাঠ প্রতিক্রিয়া:
বইটি ধীর লয়ে এগোয়, কিন্তু এক মুহূর্তও একঘেয়ে লাগে না। কয়েকজন মানুষের কাজ, চিন্তার মধ্যেই পুরো বইটি সীমাবদ্ধ। ঘটনার তেমন ঘনঘটা নেই বললেই চলে।

হুমায়ূন আহমেদের ভাষা, সংলাপ আর চরিত্র চিত্রণে তার মুন্সিয়ানা আবারও প্রমাণিত হয়। গতানুগতিক ধারাকে ছাপিয়ে যেতে চাইলেও পারেননি। হাওর, ভাটি অঞ্চলের ভাষা, জোছনা, প্রকৃতির মাঝে নগ্ন হয়ে রইবার বাসনা(প্রকৃতির নিয়মে[?]) সবই আগের মতোই আছে। ভবিষ্যৎ বলা কিংবা চরিত্রের বাচ্চামি ও জেদ এই বইয়ের চরিত্র গুলোতেও বিদ্যমান। ব্যাপারগুলো নতুন নয়। একইসাথে নির্লিপ্ত চরিত্রও আছে ।
যারা আত্মা, মনন এবং সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে ভাবতে ভালোবাসেন, দ্বান্দ্বিকতা পছন্দ তাদের জন্য বইটি অনন্য এক অভিজ্ঞতা হতে পারে।
Profile Image for Saif Sheikh.
35 reviews
December 6, 2021
কিছু গল্প সম্পূর্ণ হয়না... চরিত্রদের জীবনের একটা অংশ আর অনুভুতি ফুটে উঠে শুধু বইতে... লেখক তেমনি কিছু করেছেন এখানে...তবে এই গল্পগুলো অসম্পূর্ণ হলেও বই শেষ করার পর একটা পুর্নতার অনুভুতি আসে... আসার কথা অন্তত, যদি লেখক নিজের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেন... এই বইয়ের ক্ষেত্রে সেটা অনেকটাই* সফলভাবে হয়েছে বলা যায়...

গল্পের বুনন আর গভীরতা ভালো ছিলো... কিন্তু হুমায়ুন আহমেদের টিপিক্যাল আঙ্গা-বাঙ্গা ফিলোসোফি ভরা ছিলো... আর সেই উল্টা-পাল্টা উদাসি চরিত্র সব... তবে হিউমর কম ছিলো একবারে, যেটা উনার লেখায় আনইউজুয়াল... এই কারনে হয়তো পড়ার সময় একটু কম হুকিং মনে হইসে... ওভারআল ভালোই লেগেছে...
Profile Image for সন্ধ্যাশশী বন্ধু .
368 reviews12 followers
January 29, 2024
জগৎ সত্যি রহস্যময়। হাজারো রহস্যে ঘেরা মায়াময় পৃথিবীতে আমরা বেঁচে থাকি "অপেক্ষা" করতে করতে যে জগতের কর্তা একদিন সব অসুন্দর বদলে সুন্দর নন্দনকাননে বাঁচার সুযোগ করে দেবেন। 


"লীলাবতী" আহামরি কিছু না,হুমায়ূনের চিরচেনা ভঙ্গিতেই লেখা। তাও বইটা আমার খুবব প্রিয় বই হয়ে থাকবে। খুব।
1 review
May 31, 2024
আমার সব থেকে পছন্দের বই...
বইটা মূলত লীলা ও তার আশেপাশের বিচিত্র সব চরিত্রকে ঘিরে যাদের কারো কারো পরিণতি সুখের ছিল আবার কারো ঠিক বিপরীত..
গল্পের শেষটা যে বেশ সুন্দর সেটা বলতে হয়। একদম শেষ লাইনটা এমন

-"আমরা সবাই অপেক্ষা করি। প্রকৃতি তার মানব সন্তানকে তৈরি করেছে অপেক্ষা করার জন্য ।"

বস্তু, স্থান, কাল ,মানুষ যাই হোক না কেন আমরা অপেক্ষা করি তো, করি না?

Personal rating : 5/5
Profile Image for তন্দ্রা বতী.
7 reviews
February 1, 2025
আনিস চরিত্রটা ইন্টারেস্টিং ছিল, যদিও তার নাস্তিক মনোভাবটা মোটেই পছন্দ হয়নি।
Profile Image for Tasmin Nisha.
163 reviews9 followers
May 19, 2023
সিদ্দিকুর রহমান সাহেবের প্রথম স্ত্রী আয়না প্রায় দুই যুগ আগে অভিমান করে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে এসেছিল। কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। সেই থেকে লীলাবতী অর্থাৎ সিদ্দিকুর রহমান ও আয়নার প্রথম সন্তান মামার বাড়িতেই বড় হতে থাকে। সিদ্দিকুর রহমান এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করে এবং তাদের ঘরে তিন সন্তানের জন্ম হয়। দ্বিতীয় স্ত্রী রমিলার হঠাৎ করে মাথায় সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাকে বন্দী করে রাখা হয়। এভাবেই দিন কাটছিল সিদ্দিকুর রহমান ও তার বাড়ির লোকদের। হঠাৎ একদিন আগমন ঘটে লীলাবতীর। একুশ বছর বয়সী এই যুবতীর হঠাৎ মনে হয় বাবার সাথে দেখা করতে যাওয়া উচিত তাই মামা মঞ্জুর সাথে সে রওনা দেয় বাবার বাড়ি।

কোনো এক বিচিত্র কারণে রমিলার ভবিষ্যতবাণী সত্য প্রমাণিত হয়। সে লীলাবতীকে জানায় এই বাড়িতেই লীলা থেকে যাবে , তার আর মামার বাড়ি যাওয়া হবে না। এতে লীলা কিছুটা বিচলিত হলেও তার মামার এখানে থাকতে বেশ ভালোই লাগছিল। লীলার দুই সৎ বোন জইতরী ও কইতরীর সাথে তার খুব খাতির। চেষ্টা করেও লীলা দেখলো প্রতিবার যাওয়ার বেলায় সে কোনো না কোনো কারণে এ বাড়িতে আটকা পড়ে যাচ্ছে। অবশ্য লীলা যেন থেকে যায় তা বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষই চাইত। বইটা মূলত লীলা ও তার আশপাশের বিচিত্র সব চরিত্রকে ঘিরে যাদের কারো কারো পরিণতি সুখের ছিল আবার কারো ঠিক বিপরীত।‌

হুমায়ূন আহমেদের এর আগের কোনো বইতে বিরক্তি চলে আসলেও অন্তত শেষ করতে পেরেছি কিন্তু এই বই কেন যেন আমাকে একটুও টানছিল না। বইয়ে শুধু মঞ্জু মামা ও দুই যমজ বোনের অংশটুকু পড়েই যা একটু মজা পাচ্ছিলাম। অনেকগুলো চরিত্র কিন্তু কোনো মেল নেই , কেউ অহেতুক কারণে মারা যাচ্ছে, কেউ অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে।
Profile Image for Mehedi  Hasan Mahfuz.
171 reviews27 followers
April 16, 2022
❝আমরা সবাই অপেক্ষা করি। প্রকৃতি আমাদের তৈরিই করেছে অপেক্ষার জন্য। ❞
এবং অতঃপর এক নির্লিপ্ত দুঃখবোধ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে পাঠক। 💙
Profile Image for Ariyan Shuvo.
77 reviews1 follower
April 22, 2021
বই : লীলাবতী
লেখক : হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনী : অন্যপ্রকাশ
প্রচ্ছদ : মাসুম রহমান
পৃষ্ঠা : ২৩৯
মুদ্রিত মূল্য : ৫০০ টাকা
ব্যক্তিগত রেটিং : ৪/৫

"সপ্তম শতকের বিখ্যাত গণিতজ্ঞ ভাস্করাচর্যের মেয়ের কপালে বৈধব্যযোগ থাকায় বরপক্ষ একদা তার বিয়ে ভেঙে দেয়। পিতা কন্যাকে বললেন, 'মা গো, তোমার জন্য কিছু করার সামর্থ্য আমার নেই, তবে পৃথিবীর মানুষ যেন বহুযুগ তোমাকে মনে রাখে সেই ব্যবস্থা আমি করছি।'
পাতা নিজের বিখ্যাত গণিত বইটির নাম রাখেন নিজের মেয়ের নামে - লীলাবতী । "

গল্পবা��ক
------------------
সিদ্দিক সাহেব বড্ড অদ্ভুত মানুষ । কখনও রেললাইন ধরে একা একা হাঁটেন, কখনোবা নির্জন মাঠে শুয়ে থাকেন । তার দাদা হামিদুর রহমান ছিলেন ব্রিটেশ আমলে খান বাহাদুর উপাধি পাওয়া ব্যক্তি । এলাকার সবথেকে বিত্তবান ও প্রভাবশালী মানুষ এখন তিনি। তার প্রথম স্ত্রীর নাম আয়না । আয়না সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় । সিদ্দিক সাহেব দ্বিতীয় স্ত্রী রমিলা বর্তমানে পাগল তাকে ঘরে তালা দিয়ে রাখতে হয় । প্রথমবারের মত বাবার শহরে মেয়ের আবির্ভাব নিয়ে গল্প এগিয়েছে । গল্পের জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ এখানে দেখিয়েছেন কাছে থেকেও মানুষ কতটা দূরে, দূরে থেকেও কতটা নিকটে! 

পাঠ প্রতিক্রিয়া
----------------------------

প্লট একদমই সাদামাটা । নিতান্তই লেখকের ভলো স্টোরিটেলিং এর কারণে উপভোগ্য হয়ে উঠেছে । তবে সাদামাটা প্লটের আড়ালে বেশ সুন্দরভাবেই  মনস্তাত্ত্বিক দিকটা দেখিয়েছেন । বিশেষত সিদ��দিকুর রহমানের সাইকোলজিটা দারুণ উপভোগ্য ছিল । খুবই ঠাণ্ডা মস্তিষ্কে মানুষ কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা বুঝিয়েছেন লেখক ।

চরিত্রায়ন নিয়ে বলতে হলে বলব মূল চরিত্র লীলাবতী ও সিদ্দিকুর রহমান উভয়ই অনেক বেশি স্ক্রিনটাইম পেয়েছে ; বিশেষত সিদ্দিকুর রহমান চরিত্রটি একদম গল্পের প্রথম পৃষ্ঠা থেকে ছিল । তাই এদের চরিত্রায়ন ছিল খুব বেশি ডেভেলপড্ । সবথেকে ভালো লেগেছে সিদ্দিকুর রহমান চরিত্রটি । এছাড়া আনিস চরিত্রটিও বেশ উপভোগ্য । তার প্যারাডক্সিকাল সাইকোলজি বেশ ভালো লেগেছে ।
অন্যান্য পার্শ্বচরিত্রগুলোও উপভোগ্য ছিল ।

ভাষাশৈলী ও স্টোরিটেলিং আমার কাছে আহামরি রকমের ভালো লাগেনি । নিতান্ত সাদামাটা ভাবেই গল্প এগিয়েছেন লেখক । স্টোরিটেলিং এ অভিযোগ না থাকলেও ভাষাশৈলী তে কেন যেন মনে হল সত্যিকারের হুমায়ূন আহমেদ পুরোপুরি এই বইতে নেই । তবু লেখকের বর্ণনাভঙ্গি এবং গল্পের আবহ মোটামোটি ভালোভাবেই  ধরে রাখতে পেরেছেন । তবে কখনও কখনও গল্পের ছন্দপতন ঘটেছে । আর যেটা ভালো লেগেছে তা হল লেখক তার অন্য বইগুলোর মত গতবাঁধা প্রেমের গল্প ফাঁদেননি এখানে । যতটুকু হলে ফ্যান্টাসি লেভেলটা ডঠিক থাকে ঠিক ততটুকুই এগিয়েছেন । নয়তো আমি আরও কম রেটিং দিতাম ।

বইটি এসেছে অন্যপ্রকাশের ব্যানারে । প্রচ্ছদটা বেশ সুন্দর । বাঁধাই কোয়ালিট ও খুব বেশি ভালো । পৃষ্ঠা কোয়ালিটি ভালো ; তবে অফ হোয়াইট হলে আরো বেশি দৃষ্টিনন্দন হত বইটা । 

সব মিলিয়ে এই ছিল 'লীলাবতী' আখ্যান ।
Profile Image for Shreya.
60 reviews
July 13, 2022
অনেকদিন পর একটা মন ভালো করে দেওয়া দমকা হাওয়ার মতো একটা বই পড়লাম .

যতই আমরা উড়ে বেড়াই না কেন , আমাদের লাটাই সেই একই জায়গায় বাঁধা পড়ে , লাটাই নাকি মাকড়সার জালে আটকা পড়ে আছি আমরা ! একেই  বোধহয় ভবিতব্য বলে তাই না ? উপরে যিনি আছেন তিনি মনে হয় surprise দিতে বড্ড ভালোবাসেন. আমরা ভাবি এক হয় আরেক কান্ড , খারাপ লাগেনা তবে. জীবন predictable হয়ে গেলে তার আর মানে কি রইলো! 

সবটুকুই সুন্দর লাগলো গল্পটার; খারাপ লাগা, ভালো লাগা সবটা মিলিয়েই তো এই journey. শেষটায় তাই লীলাবতী কে একেবারে একা হয়ে যেতে দেখেও একটা অদ্ভুত শান্তি আসে কোথা হতে ...এই তো জীবন!
Displaying 1 - 30 of 98 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.