Rajshekhar Basu (Bengali: রাজশেখর বসু), better known by the pen name Parashuram (পরশুরাম) (March 16, 1880 – April 27, 1960) was a Bengali writer, chemist and lexicographer. He was chiefly known for his comic and satirical short stories, and is considered the greatest Bengali humorist of the twentieth century. He was awarded the Padma Bhushan in 1956.Basu began his writing career in the 1920s. He adopted the pen name of Parashuram while writing humorous pieces for a monthly magazine. The name was not, apparently, an homage to the Parashurama of mythology. In fact, Basu simply borrowed the surname of someone at hand, the family goldsmith, Tarachand Parashuram. His first book of stories, Gaddalika, was published in 1924 and drew praise from such personalities as Rabindranath Tagore.
In 1937, when he published Chalantika, a monolingual Bengali dictionary, Rabindranath commented:
"At long last, we have a dictionary for Bengali. The concise grammar for Bengali that you have included in the appendix is also wonderful."
Chalantika also included Basu's first efforts to reform and rationalize Bengali orthography. A few years before its publication, in 1935, Calcutta University formed a committee, chaired by him, to formulate a set of guidelines governing the spelling of Bengali words. The recommendations of this committee were broadly accepted, and Chalantika is still in use today.
ভাষার ওপর লেখকের দখল অসাধারণ। যে চরিত্রগুলো সৃষ্টি করেছেন তা সঙ্গত কারণেই মানুষ যুগের পর যুগ মনে রেখেছে। এ বইয়ের প্রচ্ছদের পেছনে রবীন্দ্রনাথের কিছু কথা আছে। সেখানে কবিগুরুও জানিয়েছেন যে তিনি মুগ্ধ এই চরিত্রগুলোকে দেখে। তাদেরকে দেখে মনে পড়ে গেছে পরিচিত মানুষের কথা, তাদের জীবনের কথা। কিন্তু এসব কারণে আপনি পরশুরাম পড়বেন না। আপনি পরশুরাম পড়বেন কারণ পরশুরাম পড়লে হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়। বইটার ভাষা দেখতে প্রাচীন, কিন্তু ভাষার পেছনে যে ক্ষুরধার বুদ্ধি আর চমৎকার হাস্যরস তা পুরনো হবে না কোনোদিন। ডায়ালগের একেকটা লাইন যেন কেটে বসে চামড়ায়। দু’টো প্যারাগ্রাফ শেষ করলে দেখবেন নিজের অজান্তেই মুখে ফুটে উঠেছে বাঁকা হাসি। পরশুরাম যেসব বিষয়ে স্যাটায়ার করতেন (যেমন: সামাজিক অসঙ্গতি, অতি চালাকের পরিণতি, দাম্পত্য জীবন) সেগুলো আজো ততোটাই প্রাসঙ্গিক যতোটা ওনার সময়ে ছিলো। এর পাশাপাশি তার ছিলো মিথলজির ব্যাপারে প্রচুর জ্ঞান। মহাভারত আর রামায়ণের চরিত্রগুলোকে নতুন গল্পে এনেছেন তিনি, নতুন রূপে দেখিয়েছেন। তবে এসবের কোনোকিছুই ভালো লাগতো না যদি পরশুরাম ‘মানুষ’ ব্যাপারটা এতো ভালো না বুঝতেন। এ কথাই বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। পরশুরামের চরিত্রেরা জীবন্ত, আমাদের পরিচিত মানুষের আদলে তৈরি। তাই তাদের সাথে যখন মজার কিছু ঘটে, আমরা না হেসে পারি না। সব মিলিয়ে অসাধারণ বই। আরো বেশ কয়েকবার পড়ার ইচ্ছা আছে।
সবচেয়ে যেটা আশ্চর্যের বিষয় সেটা হলো, বাইরের দুনিয়ায় রাজশেখর বসুর ইমেজ ছিলো তাঁর লেখা গল্পের একদম উল্টো। তিনি নাকি ছিলেন ভয়ানক গম্ভীর প্রকৃতির মানুষ। তাঁর মুখে হাসি দেখতে পাওয়া ছিলো বেগতিক বিরল ঘটনা। তিনি কথা বলতেন কম। যেটুকু বলতেন তাতে রসিকতার বাষ্পটুকুও থাকতো না। এমন একজন গেরামভারি মানুষের কলম দিয়ে, রামায়ণ মহাভারতের অনুবাদ কিংবা বিখ্যাত বাংলা অভিধানের জন্ম হলো, আচ্ছা তা নাহয় বোঝা গ্যালো, কিন্তু এতগুলো উপভোগ্য সরস গল্প কিভাবে বেরোলো?
বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু ওরফে পরশুরামের আগেও সরস সাহিত্য রচিত হয়েছিলো অনেক। ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় কিংবা ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় কিংবা প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় কিংবা সুকুমার রায় ততদিনে রসসাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছেন। কিন্তু তবুও, ১৯২৪ সালে রাজশেখর বসুর প্রথম হাসির গল্পের বই "গড্ডলিকা" প্রকাশ হওয়ার ঘটনাটিকে গোটা বাংলা সাহিত্যের নিরিখে একটা 'ওয়াটারশেড মোমেন্ট' বলা যেতে পারে। কারণ, স্বয়ং চলন্তিকা অভিধানের স্রষ্টা যদি সবকিছু বাদ দিয়ে হাসির গল্প লেখেন, তাহলে রসসাহিত্য যে জাতে উঠে যাবে তা তো বলাই বাহুল্য।
জাতে উঠেও গ্যালো। রাজশেখরের কর্মস্থল বেঙ্গল কেমিক্যালের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বিমোহিত হয়ে লেখককে পত্র দিলেন : "তোমার বই খুলিয়া পড়িতে পড়িতে আমি এই বৃদ্ধ বয়সে হাসিতে হাসিতে choked হইতেছি"। রবীন্দ্রনাথ পত্র দিলেন : "লেখার দিক হইতে বইখানি আমার কাছে বিস্ময়কর"। এই বিস্ময়ের স্রোত কিন্তু থেমে যায়নি। একের পর এক অনবদ্য হাসির গল্প উপহার দিয়ে গেছেন গোমড়ামুখো রাজশেখর। একটা কথা আছে, যে হাসতে জানেনা সে বাঁচতেও জানেনা। তাহলে বলতে হয়, রাজশেখর বসুর হাসির গল্পের ভাণ্ডার বাঙালিকে বাঁচতে সাহায্য করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ।
রাজশেখর বসুর হাসির গল্পের বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলতে হলে প্রথমেই বলতে হয় এর ভাষার কথা। রাজশেখরের গল্পের ভাষা নির্মেদ, ভাবাবেগবিহীন। পাঠককে জোর করে হাসানোর জন্যে তাঁকে কাতুকুতু দিতে হয়নি। স্রেফ চরিত্রনির্মাণ এবং ঘটনাবর্ণনার সাহায্যেই তিনি হাসিয়ে গেছেন। হাসির গল্পের একটা অন্যতম উপাদান হলো, মানবজীবনের অসঙ্গতি কিংবা খাপছাড়া ঘটনাগুলো। কিন্তু খাপছাড়া বিষয় দেখানোর জন্য রাজশেখর কাউকে খোঁচা কিংবা গুঁতো দেননি। তাঁর হাস্যরসকে এই কারণেই প্রমথনাথ বিশী বলেছিলেন "ইন্টেলেকচুয়াল লাফটার"।
প্রায় শ-খানেক হাসির গল্প লিখেছিলেন পরশুরাম। বেশিরভাগ গল্পেই দেখা যায় শহুরে প্রেক্ষাপটে শহুরে মানুষদের কীর্তিকলাপ। কখনও মারোয়াড়ি ব্যবসায়ী রবীন্দ্রনাথের উক্তি আওড়ান : "বৈরাগ সাধন মুক্তি সো হমার নহি"। কখনও রোগীর জিজ্ঞাসায় বিরক্ত ডাক্তার জবাব দেন : "যদি বলি তোমার পেটে ডিফারেন্সিয়াল ক্যালকুলস হয়েছে, কিছু বুঝবে?" কখনও "এক্সকিউজ মি প্রভু, আপনি কি জিসস ক্রাইস্টকে জানতেন?" এই প্রশ্নের উত্তরে ত্রিকালদর্শী মহাত্মা সাধু বলেন : "হাঃ হাঃ যিশু তো সেদিনকার ছেলে!" আবার এই কথা শুনে আরেকজন অবাক হয়ে মন্তব্য করেন : "ইনি তাহলে গৌটামা বুডঢাকেও জানতেন?"
যাই হোক, পরশুরামের হাসির গল্পের বিশ্লেষণ এই সীমিত পরিসরে করা যাবে না, আমার দ্বারা সম্ভবও নয়। সবচেয়ে ভালো হয় তাঁর গল্পসমগ্র জোগাড় করে ফেলা। তারপর একটার পর একটা গল্প তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করা। তবে, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে একটা কথা বলি। আগাগোড়া সমস্ত গল্প পরপর পড়ে যাওয়া উচিত হবে না। যেহেতু পরশুরামের গল্পের প্রেক্ষাপট এবং চরিত্রদের মধ্যে খুব বেশি বৈচিত্র্য নেই, তাই একাদিক্রমে পড়তে গেলে একঘেঁয়ে লাগতে পারে। মাঝেমাঝে একটা-দুটো গল্প চেখে দেখাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
পড়তে কিনেছিলাম। সঙ্গে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। অনেক ট্রেনজার্নি প্লেনজার্নি বাসজার্নি করেছে বইটা - সেলোটেপ-দিয়ে আটকানো, সাইড-ছেঁড়া । ঢাউস ভারী বই তো, তাই রাসকিন বন্ড-এর 'Our Trees Still Grow in Dehra' এর পেপারব্যাক কপিটার মতো অতটা well-travelled নয়। তবে খুব কম-ও নয়। খুচখাচ ছোটোখাটো বিদেশ-টিদেশও ঘুরেছে । পড়ি। মাঝখান থেকে একটা পাতা খুলে পড়ি। একই গল্প আবার, বারবার পড়ি। যখন বেশ jumpy-jumpy খুশি থাকি তখন পড়ি .... আর যখন মনে দুঃখ, তখন পরশুরামের থেকে ভালো কিছু হয় না কি ?
Currently Reading এর ভার বাড়িয়েছে অনেকদিন। এবার থাক । তবে Currently Reading by default এ তো সারাজীবন থাকবে এ বইটা ।
One of the masterpieces of Bengali literature that stands out for its wit, black comedy and surrealism, all being interspersed with the everyday lives of the people of past & present. If you are yet to read this book, you don't know what you are missing!
বাংলা সাহিত্যে রাজশেখর বসু একমেবাদ্বিতীয়ম। মাতৃহত্যার পাপ মোচন করতে পুরাকালে পরশুরাম একুশবার পৃথিবীকে ক্ষত্রিয়শূন্য করেছিলেন। কলিকালের পরশুরাম ক্ষত্রিয় নিধন না করলেও গল্পকার হিসেবে শতবর্ষ রাজ করবেন এমনটি দুরাশা নয়। লেখকদের লেখক বলে একটা কথা শুনতে পাই। নয়া কালের গল্প লেখকদের জন্য পরশুরামকে লেখকদের লেখক বললে অত্যুক্তি হবে না। হাসির গল্প বলতে অনেকেই স্থূল ভাঁড়ামো বোঝেন। পরশুরামও হাসির গল্প লিখেছেন। কিন্তু সূক্ষ্মতম রসবোধ, সহজবোধ্য, ব্যঙ্গ করার অসাধারণ ক্ষমতা তাঁর রচনার বড় গুণ। ভীষণরকম সুখপাঠ্য। সৈয়দ মুজতবা আলীর মতো মানুষ পরশুরামের গল্পের ভক্ত ছিলেন।
এত ভালো লাগার পরেও কেন তিন তারকা দিলাম তা বলছি, শুধু আনন্দ লাভের জন্য পড়তে চাইলে যে-কেউ পাঁচ তারকা দেবেন। কিন্তু একটু বিশ্লেষণী মন নিয়ে পড়লে দেখবেন, পরশুরামের মতো মানুষও ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক নন। কারণ-অকারণে নাহক সমালোচনা চোখে পড়েছে৷ বিশেষত, তাঁর রাজনৈতিক মতাদর্শের একদেশদর্শী প্রচার লেখার পরোক্ষভাবে লক্ষণীয়।
৮শ' পাতার ঢাউস কেতাব। পিডিএফ পড়েছি। দুরন্ত গতি। কখন শেষ হয়ে গেছে বুঝিনি।
বি.দ্র. পুরোটাই গল্পসংকলন নয়। শেষে পরশুরাম রচিত কিছু কবিতা রয়েছে।
অ-সা-মা-ন্য স্যাটিরিক্যাল সেন্স অফ রাইটিং! শিগগির পড়ে ফেলুন!
সত্যজিতের দুটো ফিচার ফিল্ম এঁর দুটো গল্প থেকে নেওয়া। বিরিঞ্চিবাবা থেকে 'মহাপুরুষ'। আর 'পরশপাথর', ওই একই নামের গল্প থেকে।
পিএসঃ রাজশেখরের গল্প পড়ে প্রফুল্লচন্দ্র বলেছিলেন, “এই বুড়া বয়সে তোমার গল্প পড়িয়া হাসিতে হাসিতে choked হইয়াছি।”
পিপিএসঃ সৈয়দ মুজতবা আলী রাজশেখরকে লেখা এক চিঠিতে মন্তব্য করেছিলেন— “আপনার সমস্ত পাণ্ডুলিপি যদি হারিয়ে যায় আমাকে বলবেন, আমি স্মৃতি থেকে সমস্ত লিখে দোব।”
রাজশেখর বসু বা পরশুরাম, বিংশ শতকের সর্বাপেক্ষা সন্মানীয় ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অন্যতম স্থানের অধিকারী। বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য জলন্ত দৃষ্টান্ত পরশুরাম ছিলেন একাধারে কৌতুককাহিনীর রচয়িতা, রসায়নবিদ্, যন্ত্র বিজ্ঞানী, ভাষাতাত্ত্বিক, অভিধান-রচয়িতা, ধর্মগ্রন্থ রচয়িতা ও কুটির শিল্পের প্রতিভাসম্পন্ন এক সৃষ্টিশীল লেখক। পরশুরামের সমগ্র গল্পের সংকলন এই পুস্তকটি একটি মাস্টারপিস রচনা।
তবে বইটির বাঁধাই খুবই বাজে এবং ছাপাও অত্যন্ত দুর্বল। আরও পরিষ্কার ঝকঝকে প্রিন্ট দাবী রাখি।
এই বই পড়েছি বহু আগে, এখনো মনে রেশ রয়ে গেছে তার। কিছু লেখার তুলনা হয় না, কিছু লেখকের তুলনা হয় না। পরশুরাম আর তার গল্পগুলো বোধহয় তার প্রমাণ। হয়তো প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় বা প্রমথ চৌধুরী বা সৈয়দ মুজতবা আলীর সাথে কিছু ক্ষেত্রে তার তুলনা চলে তবু বলবো রম্য গল্পে পরশুরামই সেরা। এটা তার আসল নাম নয়। এই ছদ্মনামের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষটির নাম রাজশেখর বসু। রসায়নের মেধাবী ছাত্র রাজশেখর আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল ওয়ার্কস কোম্পানীতে ১৯০৩ সালে একজন রসায়নবিদ হিসেবে যোগদান করেছিলেন এবং দীর্ঘদিন এই প্রতিষ্ঠানে সম্মান ও যোগ্যতার সাথে কাজ করে গেছেন।
তবে তার সাহিত্যিক জীবনের শুরু গত শতকের বিশের দশকে। পরবর্তীতে স্বনামে বিভিন্ন ধর্মীয় বই যেমন গীতা, রামায়ণ, মহাভারত, কালিদাসের মেঘদূতের বাংলা অনুবাদ কিংবা বাংলা অভিধান চলন্তিকা রচনা ও প্রকাশ করলেও তার প্রথম প্রকাশিত গল্পটি ছিল একটি মাসিক পত্রিকায় 'শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড' নামে একটি রম্য রচনা। লিখেছিলেন পরশুরাম ছদ্মনামে। জানিনা এই ছদ্মনাম তিনি কেন নিয়েছিলেন, হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে পরশুরাম দশ অবতারের একজন যিনি তার কুঠার দিয়ে নিক্ষত্রিয় করেছিলেন পৃথিবীকে। লেখক পরশুরামও কুঠার হাতে নামেন নি, তবে তার লেখায় ছিল বুদ্ধিদীপ্ত রসিকতা, রম্যের তীক্ষ্ণ কুঠার দিয়ে তিনি হয়তো মুছে দিতে চেয়েছিলেন মনের বিষাদকে। প্রথম লেখাতেই তিনি পাঠককে চমকে দিয়েছিলেন। তারপর সেই ধারা অব্যাহত থেকেছে তার সমগ্র লেখক জীবন জুড়ে। এমনকি তারে লেখা অলৌকিক গল্পগুলোতেও মিশে রয়েছে হাস্যরস। ভুশন্ডীর মাঠ বা মহেশের মহাযাত্রা গল্পের মতো হাসির এবং ভূতের গল্প এর আগে কেউ লিখেছিলেন কি? শুধু ভূত কেন অদ্ভুত গল্পও তো তিনি লিখেছেন - যদু ডাক্তারের পেশেন্ট, নিকষিত হেমের মতো। ব্যক্তিগত জীবনে গম্ভীর মানুষ ছিলেন, তার মধ্যে যে রসের এমন ফল্গুধারা বইছে তা তাকে দেখে মোটেই বোঝা যেত না। বিরিঞ্চীবাবার মতো বৈঠকী অনেক গল্প তিনি লিখেছেন শুরুর দিকে, লিখেছেন স্বয়ংবরা, চিকিৎসা সংকট, চিঠিবাজির মতো কিছু চিরকালীন ক্লাসিক গল্প। চলন্তিকা বা মহাভারতের অনুবাদের জন্য তিনি তো স্মরণীয় হয়ে থাকবেনই তবে এসব লেখার জন্য গল্প রচনায় মাঝে তার কিছুটা ছেদ পরেছিল বলেই মনে হয়। তার গল্প নিয়ে সত্যজিত রায় সিনেমা বানিয়েছিলেন এখন তো কমিক বুকেও তার গল্পের অনেকগুলোই রূপায়ন করা হয়েছে। সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা ও চিন্তা করা এই মানুষটির বারবার পড়ার মতো গল্পগুলোর জন্য বাংলা সাহিত্য তার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে।
Rajshekhar Basu in my view was probably the greatest humorist ever. His satire and his wit was subtle and had established the particular brand of humor. A humor is appreciated more when it is interpreted and rather not stated directly. Bengali literature is flowered by lot of talismanic humorist writers like Shivaram Chakraborty, Narayan Gangopadhay (Tenida ), Premendra Mitra (Ghanada), Srishendu Chattopadhhay just to mention a few. All of them had their own particular brand of humor and generations of readers have been getting enthralled because of them.
Rajsekhar Basu aka Parshuram's works can not be translated to any other language as they would loose the charm and essence of it. For me his stories are stress-buster everytime i feel frazzled. I pay tribute to this great humorist today as his 147th birthday approaches (16th March)
বাংলা সাহিত্য কেন, গোটা বিশ্ব সাহিত্যেই এমন অতুলনীয় রম্য, উইট, হিউমার আর স্যাটায়ারের ব্যবহারের দ্বিতীয় কোন উদাহরণ নাই। ত্রৈলোক্যনাথ, পরশুরাম, মুজতবা আলী রম্যের গ্র্যান্ড মাস্টার, একমেবাদ্বিতীয়ম।
ভূমিকাতেই প্রমথনাথ বিশী লিখেছেন, পরাকালে পরশুরাম এসেছিলেন আঘাত করার জন্য, আর এ কালে তাঁর আগমন আমাদের আনন্দ দ��নের জন্য। বাঙলা সাহিত্যে রম্য বিচারে আমার প্রথম পছন্দ পরশুরাম। তাঁর গল্পসমগ্র তাই আমার পরম আরাধ্য পাঠ। যে চরিত্রগুলো উনি তৈরি করেছেন, তার স্থায়িত্ব চিরকালীন সন্দেহ নেই, কিন্তু রসের যে আবহ তিনি নির্মাণ করে গেছেন তা শাশ্বত হলেও পাচনের যোগ্যতা থাকা চাই। বাঙলা সাহিত্যে ভাষার যে স্বচ্ছন্দ চলন তিনি দেখিয়ে গেছেন, এমনকি সংস্কৃতজাত শব্দমালার প্রয়োগেও, তা পাঠকের জন্য যেমন চিত্তাকর্ষক; লেখকের জন্যও অবশ্যপাঠ্য।
তিনি আমাদের হাতে মহাভারত ও রামায়ণ তুলে দিয়েছেন অতুলনীয় অনুবাদে। পুরাণের কী অসামান্য প্রয়োগ তাঁর গল্পে এসেছে, তা পাঠান্তেই পাঠক বুঝতে পারবেন। বর্তমানে পুরাণের প্রয়োগে আমাদের সাহিত্যে কমে এসেছে, কিন্তু এর মধ্য দিয়ে কতো রকমের ব্যঞ্জনা যে তৈরি করা সম্ভব, তা পরশুরাম আমাদের শিখিয়ে গেছেন।
আর চরিত্র! তার ঠিকুজিকোষ্ঠী তো একেবারে নোটখাতায় টুকে রাখার মতো। কেদার চাটুজ্যে বা জটাধর বকশী তো রীতিমতো রেফারেন্স। গল্পের শরীরে চিন্তার সুরসুতার সাথে হাস্যরসের যে মণিকাঞ্চন তিনি তৈরি করেছেন, তা গল্পলিখিয়েদের জন্যে ক্লাশরুম আর পাঠকের জন্যে আনন্দরসের সিংহদ্বার।
পাঠ প্রতিক্রিয়া কি যে লিখবো। যেখানে স্বয়ং কবিগুরু তার লেখা পড়ে অভিভূত। আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছোট গল্পের সঙ্গে তুলনায় যাচ্ছি না। সমসাময়িক লেখকদের মধ্যে বুদ্ধদেব গুহ, হুমায়ুন আহমেদ ছোট গল্প আমার কাছে সেরা। পরশুরাম গল্পসমগ্র কোনো কিছুর আওতায় আসে না। মানে, বুঝতে পারছি না একে কি বলবো, কোন আসনে রাখবো, পুরো ব্যতিক্রম। আমরা যারা ফ্রেন্ডস এর Chandler আর সারাভাই ভার্সস সারাভাই এর Indravardhan Sarabhai দেখে বড়ো হয়েছি, তাদের কাছে এই বই বেদ-পুরানের সমান। পরবর্তী কালে এতো কমেডি শো, এখন ওয়েব পোর্টালেও এতো কমেডি শো চলছে যে আমাদের হাসাতে গেলে আর ওই পুরোনো জোকস বা কমেডি চলে না, তাদেরকেও এই বই নিঃসন্দেহে হাসিয়ে দেবে। হাসানো মানেই যে অট্টহাস্য, তা নয়। রম্য, sattire, wit এর মধ্যেও যে কত হাসির উপাদান আছে তা এই বইটা পড়ে বোঝা যায়। যার দুটো ছোট্ট গল্প নিয়ে সত্যজিৎ রায় দুটো সিনেমা বানিয়ে ফেললেন, তার লেখার মাহাত্ম নিয়ে কোনো কথা চলে না। এই বই এর কোনো তুলনা নেই, কোনো বিকল্প নেই। যে এই বই পড়বেন না, সে ভুল করবেন না... অনুতাপ করবেন।
এই বই সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যা বলে গেছেন তার উপর আর কিছু বলার স্পর্ধা আমার নেই... সত্যি চরিত্র সংগ্রহশালা যারা পড়েন নি খুব ভুল করেছেন... অবিলম্বে ভুল সংশোধন করুন
An absolute master class of biting satire , acerbic humour. Razor sharp observation laced with high flowing language make these stories some of the most enjoyable in bengali literature.