Satyajit Ray (Bengali: সত্যজিৎ রায়) was an Indian filmmaker and author of Bengali fiction and regarded as one of the greatest auteurs of world cinema. Ray was born in the city of Calcutta into a Bengali family prominent in the world of arts and literature. Starting his career as a commercial artist, Ray was drawn into independent filmmaking after meeting French filmmaker Jean Renoir and watching Vittorio De Sica's Italian neorealist 1948 film, Bicycle Thieves.
Ray directed 36 films, including feature films, documentaries and shorts. He was also a fiction writer, publisher, illustrator, calligrapher, graphic designer and film critic. He authored several short stories and novels, primarily aimed at children and adolescents.
Ray's first film, Pather Panchali (1955), won eleven international prizes, including Best Human Documentary at the Cannes Film Festival. This film, Aparajito (1956) and Apur Sansar (1959) form The Apu Trilogy. Ray did the scripting, casting, scoring, and editing, and designed his own credit titles and publicity material. Ray received many major awards in his career, including 32 Indian National Film Awards, a number of awards at international film festivals and award ceremonies, and an Academy Award in 1992. The Government of India honoured him with the Bharat Ratna in 1992.
Early Life and Background: Ray's grandfather, Upendrakishore Ray Chowdhury was a writer, illustrator, philosopher, publisher, amateur astronomer and a leader of the Brahmo Samaj, a religious and social movement in nineteenth century Bengal. Sukumar Ray, Upendrakishore's son and father of Satyajit, was a pioneering Bengali author and poet of nonsense rhyme and children's literature, an illustrator and a critic. Ray was born to Sukumar and Suprabha Ray in Calcutta.
Ray completed his B.A. (Hons.) in Economics at Presidency College of the University of Calcutta, though his interest was always in Fine Arts. In 1940, he went to study in Santiniketan where Ray came to appreciate Oriental Art. In 1949, Ray married Bijoya Das and the couple had a son, Sandip ray, who is now a famous film director.
Literary Works: Ray created two of the most famous fictional characters ever in Bengali children's literature—Feluda, a sleuth in Holmesian tradition, and Professor Shonku, a genius scientist. Ray also wrote many short stories mostly centered on Macabre, Thriller and Paranormal which were published as collections of 12 stories. Ray wrote an autobiography about his childhood years, Jakhan Choto Chilam (1982). He also wrote essays on film, published as the collections: Our Films, Their Films (1976), Bishoy Chalachchitra (1976), and Ekei Bole Shooting (1979).
Awards, Honors and Recognitions: Ray received many awards, including 32 National Film Awards by the Government of India. At the Moscow Film Festival in 1979, he was awarded for the contribution to cinema. At the Berlin Film Festival, he was one of only three to win the Silver Bear for Best Director more than once and holds the record for the most Golden Bear nominations, with seven. At the Venice Film Festival, he won a Golden Lion for Aparajito(1956), and awarded the Golden Lion Honorary Award in 1982. In 1992 he was posthumously awarded the Akira Kurosawa Award for Lifetime Achievement in Directing at the San Francisco International Film Festival.
❝ছেলেবেলার কোন ঘটনা মনে থাকবে আর কোনটা যে চিরকালের মতো মন থেকে মুছে যাবে সেটা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। মনে থাকা আর না-থাকা জিনিসটা কোনো নিয়ম মেনে চলে না। স্মৃতির রহস্য এখানেই।❞
অতীত স্মৃতিচারণ করতে কমবেশি আমাদের সবারই ভালো লাগে তাও যদি হয় শৈশবের তাহলে তো কথাই নেই। "যখন ছোট ছিলাম" বইয়ে সত্যজিৎ রায় এমনই সব মজার স্মৃতির কথা বলেছেন। পড়ে কখনোসখনো অবাক হয়েছি। এতো আগের স্মৃতিও এতো ডিটেইলসে কীভাবে মনে রাখা সম্ভব? তবে আরও একটা বিষয়েও অবাক হয়েছি...! সত্যজিৎ রায়ের সম্পর্কে যখন প্রথম জেনেছিলাম তখন মনে প্রথম প্রশ্নই ছিল, একটা মানুষ এতো গুণী কীভাবে হয়? বইটা পড়ার পর প্রশ্নের জবাব পেয়ে গেছি। জেনেটিক্যালিই শুধু না বরং গুণীদের মধ্যেই বড় হয়েছেন তিনি। অতীতে কোলকাতা কেমন ছিল তা বিভিন্ন বই পড়ে ও মুভি দেখেই জেনেছি। কোলকাতা একবারই যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে তাই বলতে বাধ্য হচ্ছি বদলে গেছে অনেককিছুই। বইটা পড়ার সময় চলে গেছিলাম সেই হারিয়ে যাওয়া সময়ে যখন কোলকাতা অন্যরকম ছিল...!
ঘটা করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্রুপ ফটো তোলা, হলে প্রথম সিনেমা দেখতে যাওয়া, মঞ্চ নাটক দেখার সময় কালুমামার আবেগে চীৎকার করে ওঠা, সার্কাস দেখা, জীবনে প্রথম ম্যাজিক দেখে শেখার চেষ্টা, ছোটকাকার সাথে জুডো শেখা, নতুন নতুন খেলা শেখা, সুন্দরবনের স্মৃতি, শিক্ষকদের অদ্ভুত সব নাম দেওয়া, বন্ধুদের সুখদুঃখের স্মৃতিসহ আরও অনেক দারুণ সব স্মৃতির কথা আছে বইয়ে। কষ্ট লেগেছে জেনে যে মাত্র আড়াই বছর বয়সে সুকুমার রায়কে (বাবা) হারান। তাই সবাইকে নিয়ে কমবেশি স্মৃতি থাকলেও বাবাকে নিয়ে বলার সময় তেমন কিছুই বলতে পারেননি।
স্কুলে থাকতে প্রথম প্রাইজে যেই বইটা পেয়েছিলাম তা ছিল উপেন্দ্রকিশোরের , তাঁরই নাতি যে সত্যজিৎ জেনেছিলাম বহু পরে । সত্যজিৎ মানুষ টাকে এত পারফেক্ট মনে হয় ! মানুষটার নিজের একটা মুগ্ধতা , সেই সাথে তাঁর কাজের এবং লেখার মুগ্ধতা তো আছেই । তাঁর ট্যাবলেট ভীতির কথা পড়ে আমার ছোটবেলার কথা মনে হল । ট্যাবলেট গিলতে পারতাম না। কোন বই পড়ে বাসায় ঠিক হল কালোজাম মিষ্টির ভেতর ঢুকিয়ে ট্যবলেট খাওয়ানো হবে । দুটো মিষ্টি নষ্ট করে ৩য়টা দিয়ে ট্যাবলেট গিলতে পারলাম :D তারপর দু আঙ্গুলে আলতো চাপ দিয়ে ট্যাবলেটের পাতা থেকে ট্যাবলেট বের করতে খুব ভাল্লাগত, এইভাবে ট্যাবলেট বের করার একটা নেশা হল । ছোটবেলার স্মৃতিগুলো পড়তে ভালই লাগে _ । সেই সহজ জীবনের কথা খুঁজে নিতে মাঝে মাঝে এমন সহজ একটা বই পড়ে ফেলতে হয় :)
সত্যজিৎ রায়ের গল্প ১০১ দিয়ে আমার ছোটগল্প পড়া শুরু। এরপর আর এতো ভালো ছোটগল্প আমি পড়ি নাই। স্মৃতিকথা পড়তেও আমার ভালো লাগে। সেটা যদি প্রিয় লেখকের হয় তাহলে আরও স্পেশাল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে আট লাইনের কবিতা সত্যজিৎ রায়কে লিখে দিয়েছিলেন সেটা অনুভব করলে বিশ্বভ্রমণের জন্য আফসোস হয় না। বরং ঘরের কাছে অনির্বচনীয় সৌন্দর্যটুকুর নির্যাস আস্বাদন করে ছোট্ট জীবন সার্থক করা যায় অনায়াসে।
"বহুদিন ধরে বহু ক্রোশ দূরে বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে, দেখিতে গিয়াছি পর্বতমালা দেখেতি গিয়াছি সিন্ধু। দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া, একটি ধানের শিষের উপর একটি শিশির বিন্দু।"
আমাদের জীবনে সুখের উপাদানগুলো সহজলভ্য যা সকলের সামর্থ্যের মধ্যে রয়েছে। যেমন আমার কাছে বই পড়া, বই কেনা, বইয়ের ছবি তোলা, বইয়ের রিভিউ লেখা, কবিতা আবৃত্তি করা, ভাল ভাল চলচ্চিত্র আর সিরিজ দেখা, গান শোনা, হাটাহাটি করা, চিন্তা করা, সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় দেখা, বৃষ্টিতে ভেজা, বই নিয়ে আড্ডা দেয়া সহ জীবনে সুখী থাকার হাজারও উপাদান বিদ্যমান আছে।
এত্ত সুখী জীবনে দুর্বল দুঃখ কী আঘাত করার সাহস পাবে!
আমার এ লেখা কোন রিভিউ নয়, কারণ সত্যজিৎ রায়ের লেখা কেউ রিভিউ দেখে পড়ে না। মানুষটা দেখা ও দেখানোর ক্ষমতা ছিল ঈর্ষণীয়। সে পর্দায়ই হোক কিংবা লেখায়। এত সুন্দর করে তিনি ছোটবেলার গল্পগুলি বলে যাচ্ছেন যেন সিনেমার রিল ঘুরিয়ে দিচ্ছেন।
কিন্তু এই বইটা পড়লে বোঝা যায়, সত্যজিৎ কিভাবে সত্যজিৎ হয়ে উঠলেন। আর এখানেই কেন যেন আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি৷ দেখুন, আমরা যারা নাইন্টিজ কিড, তারা আসলে একটা অসাধারণ ছোটবেলা পেয়েছিলাম। ফোন, ল্যাপটপ, টিভি মানে প্রযুক্তির ধুম্রজাল এড়িয়ে হাটে, মাঠে, ঘাটে ঘুরে বেড়ানোর, একশরকম জিনিস দেখার ও পড়ার সুযোগ আমাদেরও হয়েছে। হ্যাঁ, তার অনেককিছুই এখন আর নেই, কিন্তু দেখেছি তো! সত্যজিৎও বারবার বলেছেন, ছোটবেলায় এটা ছিল, ওটা ছিল, এখন নেই। আজকালকার ছেলেমেয়েরা আর এত খেয়াল করে চারপাশটা দেখে না, এ প্লাস, ভর্তি পরীক্ষা, চাকরির ফাঁদে পড়ে দুনিয়ার একটা বিরাট অংশ থাকে অজানা।
তবে এই বইয়ের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে মানুষ। সে উপেন্দ্রকিশোরই হোক, তার সোনামামা, নোয়ামামাই হোক, আর রাস্তায় ম্যাজিক দেখানো সে অচেনা লোকটিই হোক। সত্যজিৎ সবাইকেই একটু একটু করে জায়গা করে দিয়েছেন এই ছোট্ট বইটিতে।
এই দেখার ক্ষমতা, একশরকম জিনিস দেখে দেখে জন্ম নেওয়া ভূয়োদর্শিতা, ভার্সেটাইলিটি, এইতো আমাদের সত্যজিৎ, আমাদের ছোটবেলাও যেন মিশে গেছে সেই গড়পাড় আর ভবানীপুরের বাড়িতে, রাস্তায় হেঁকে চলা ফেরিওয়ালায়, নানারকম উদ্ভট শিশুতোষ খেলনায়, আর কৌতুহলে! আজকাল আর এমন কৌতুহলী বাচ্চা দেখা যায় না, কি আফসোসের ব্যাপার!!!
" দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়, রইল না
..........
স্বপন দেখি, যেন তারা কার আশে,
ফেরে আমার ভাঙা খাঁঁচার চারপাশে,
সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি!"
এইযে সত্যজিৎ এর ছেলেবেলার গল্পে নিজের ছেলেবেলার সুর খুঁজে পাওয়া, এজন্যই সত্যজিৎ এত দামী, এত আদরের!
What a lovely memoir! Icing on the cake was the Movies section after about 50%. All those revelations about what all goes in a single shot was worth gold!
Loved: - The train sequences. Details on how and when the smoke should be visible! - Back stage stories of Apu trilogy. The casting of the kid. Replacement for the deceased shopkeeper. - Filming with animals - the "trained" dog scenes. The one with a tiger.
সত্যজিৎ এর ছেলেবেলার গল্পগুলো প্রায় এক শতাব্দী আগের। অথচ সেসময়কার কলকাতাকেও যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। এতোই চমৎকার তার বর্ণনাকৌশল। লেখকের সঙ্গে আনমনেই নিজের ছেলেবেলার স্মৃতিও রোমন্থন করছিলাম।
স্বাভাবিক ভাবে বড় হওয়া প্রতিটি মানুষের কাছেই তার ছেলেবেলা জাদুকরি। ছেলেবেলার সব ঘটনাই পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে কারোই মনে থাকে না, থাকার কথাও না । লেখকের ভাষায়, “ছেলেবেলার কোন ঘটনা মনে থাকবে আর কোনটা যে চিরকালের মত মন থেকে মুছে যাবে সেটা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না।” এতে কিছু যায়ও আসে না । এই আধাআধি স্মৃতি হাতড়ে যা পাই তাই যেন খনি থেকে পাওয়া একেকটা হীরের টুকরা, এর বিচ্ছুরিত আলো ধূসর জীবনে যেন ক্যালাইডোস্কোপের রঙীন বর্ণচ্ছটা ।
সত্যজিৎ রায়ের “যখন ছোট ছিলাম” লেখকের ছোটবেলার স্মৃতিকথা । লম্বায় সাড়ে ছ ফুট আর কর্মে পর্বতসম উচ্চতার এই মানুষটিও যে এক সময় ছোট্টটি ছিলেন, তারও ছিল চমৎকার শৈশব বইটি না পড়লে যেন জানাই হত না। নাতিদীর্ঘ কিন্তু স্বভাবসুলভ আকর্ষণীয় বর্ণনায় তিনি লিখেছেন কীভাবে কেটেছে তার ছেলেবেলা আর স্কুল জীবন। সাথে বলেছেন সেই জীবনের সাথে জড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর কথা, তার আত্মীয়-পরিজন আর শিক্ষকদের কথা। একেবারে ঘরোয়া বর্ণনায় লেখা তার স্মৃতিকথা পাঠককে নিশ্চিতভাবেই করে তুলবে স্মৃতিকাতর, সাথে নিয়ে গিয়ে হাজির করবে সেই রঙীন সময়ে।
সত্যজিৎ রায়ের বেড়ে ওঠার গল্প শোনলাম তার নিজের বয়ানে। বড় সত্যজিৎকে তো সবাই জানি,এই বইয়ে তিনি মলাটবন্দী করেছেন ছোট সত্যজিৎকে,তার ছেলেবেলাকে। বেশ সুন্দর। তার ছেলেবেলার পাশাপাশি তখনকার সময়কার একটা চিত্র ও জানা যায়।
সত্যজিৎ রায়ের লেখা সবসময়ই ভাল লাগে। তাঁর ছেলেবেলার কথা তো তিনি বর্ণনা করেছেন আরো সাবলীল ভাষায়। অত্যন্ত বনেদী ও ঐতিহ্যবাহী এক পরিবারের ছেলে তিনি। অবশ্য তাঁর কিংবদন্তীতুল্য বাবা সুকুমার রায়ের কথা এতে নেই। তিনি অনেক ছোট থাকতেই যে হারিয়েছেন বাবাকে। তবে তাঁর স্কুলের কথা, বিভিন্ন বাসার কথা, সঙ্গীসাথীর কথা তিনি এত অসামান্য সুন্দর ভাষায় বর্ণনা করেছেন বইটা একটানে শেষ না করে ওঠার কথা ভাবাও যায় না।
কেমন ছিলো বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্রের প্রবাদপ্রতিম সত্যজিৎ রায়ের শৈশব?দুই বছর বয়সে পিতৃহারা হওয়ার পর থেকে তাদের গড়পাড়ের বাড়ি,ভবানীপুরের বাড়ি,বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাই স্কুল - সত্যজিৎ রায়ের শৈশব স্মৃতি আমাদের সামনে তুলে ধরে সেই প্রাচীন কলকাতাকে।মানিক থেকে সত্যজিৎ রায় হয়ে উঠা মানুষটার শৈশবের গল্প পড়তে বেশ লাগে!
"যে সব জায়গার সঙ্গে ছেলেবেলার স্মৃতি জড়িয়ে থাকে, সে সব জায়গায় নতুন করে গেলে পুরনো মজাগুলো আর ফিরে পাওয়া যায় না। আসল মজা হল স্মৃতির ভান্ডার হাতড়ে সেগুলোকে ফিরে পেতে।"
যে মানুষটা বড় বেলায় আমাদের "পথের পাঁচালি " দেখিয়েছিল টিভি পর্দায়,সে লোকটা "যখন ছোট ছিলাম" বইয়ে শুনিয়েছেন তার ছোট বেলার পাঁচালি। বইটিতে সত্যজিৎত কখনো বলছেন তার ছোট বেলায় পরিবারের সাথে কাটানো সময়গুলোর কথা, কখনো তার ছোট বেলার ভ্রমণ অভিজ্ঞতার কথা আবার কখনোবা তার ছোট বেলায় কাটানো স্কুলের দুরন্ত দিনগুলোর কথা। সত্যজিৎ খুব অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়ছেন,তাই বইয়ে বাবার সাথে অতিবাহিত করা তেমন কোন ঘটনার কথা নেই। তবে উনার পরিবারের ছাপা খানা থেকে শুরু করে দাদু উপেন্দ্রকিশোর রায়ের ছবির আকার সরঞ্জামের কথা খুব নিখুঁত ভাবে বর্ননা করেছেন। খুব বনেদি পরিবারের ছেলে ছিল সত্যজিৎ,সেই ধারা তিনিও অব্যাহত রেখেছেন চলচিত্র, সাহিত্য সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজের প্রতিভর স্বাক্ষর রেখে। আমার খুব বেশি ভালো লেগেছে, উনার স্কুলের দিনগুলোর কথা পড়ে।
সহজ ভাষায় সাবলীলভাবে সত্যজিৎ আমাদের তার ছোট বেলার কথা বলে গেছেন। প্রতিটি ঘটনা, বিশেষ করে ভ্রমণের ঘটনাগুলো এত চমৎকার বর্ননা করেছেন,পড়ার সময় কল্পনা করে নিতে সমস্যায় হচ্ছে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বইটা বড্ড ছোট,ভালো বইগুলো ছোট হওয়া মোটেই উচিত নয়। এই বইয়ের পিডিএফ পড়েছি আমি,হার্ড কপি নেই। হার্ড কপিটা খুব দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে,ভালো বই সংগ্রহে রাখার মধ্যে ও তৃপ্তি আছে।
After more than a decade : Bought the paper back and read it again, without realizing that I have read it before. Got a surprise when I encountered this review here...major update from last time is that ... Loved part 1 more than 2..
I relished this book. It was written by Satyajit Ray in Bengali and later translated by his wife into English. It is divided into two parts - the first one dealing with his childhood and the next portion devouted to his movies - anecdotes during movie shootings. I dont remember watching a Ray film. But now I am well versed with all his major films like Pather Panchali, Aparajito, byan something ( a big title), and Raja Diamond (some name in bengali whihc I dont remember) and how some tricky scenes were shot. The first part was engaging, but the second part much more so. This book would be a real treat to all Bengali and non Bengali fans alike.My only lament is that the book ended somewhat abruptly and the title is not very accurate as half the book describes his life as a director.
Childhood.. words can’t describe the beauty of it.. its like a personal treasure that everyone has.. Sometimes when you meet an old friend, or visit your home town or someone tells you about their own childhood... images start pouring in.. how things were then, what pranks, what carefree days, what games..
" I know how that if one has done memories of a place, going back there can seldom bring back old joys. It is far better to simply dip into one's fund of memories and relive precious moments"
This misleadingly titled Childhood days was a mixed bag for me. While the first part of actual childhood days seemed like random parts of a patchwork quilt, the latter part of his anecdotes from shooting spots was awe inspiring.
Satyajit Ray is one of those geniuses I haven't watched yet due to the reverse bandwagon effect. I even tried not to read feluda for a while. But, going by the book, the man surely deserves credit for the love for his art.
The anecdotes from pather Panchali and Feluda gave depth to this man's vision. Imagine waiting for 2 years to complete a scene with different actors just for a single shot or two days shoot for 3 minutes. Developed new respect for directors.
The first part - except for the tools and marvels which we no longer come across - was lost on me.
Nudged me enough to watch some scenes from his films on youtube
মানিকদার লেখা নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। একদম শৈশব সময় থেকে আশাপাশের মানুষজন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব থেকে স্কুল জীবনের কিছুটা স্মৃতিচারণ । মানষচরিত্র গঠনের প্রকৃয়াটা কিছুটা বোঝা যায় কিভাবে বড় হয়েছেন তা থেকে। ভালই
This book is actually a translation of not one but two of Satyajit Ray's Bangla compilations by the name of Jokhon Choto Chilam & ekei boley shooting satyajit ray. Both these original compilations were actually taken from different stories and article published in Bengali children's magazine Sandesh.
While in the first part Ray talked about his childhood, family, school days and his love for cinema and other art forms; in the second half of the book he described some interesting incidents that happened while filming some of his movies.
Both these original works were widely read and praised in Bengali community but since his fanbase was way beyond any region there was always a demand for English translations. But Mr. Ray never managed to translate these himself and being the perfectionist that he was, he was never satisfied with the translations of other people/publications.
After his passing, his wife Bijoya Ray who was also the editor of Sandesh magazine decided to translate both these works herself. They both knew each other from their early childhood and since she was also a part of this journey no one could have done it better. The introduction itself along with an interesting story of their childhood is a proof of that.
I think anyone who is a fan of Mr. Ray will definitely enjoy "Childhood Days" as it gives them a glimpse of his childhood and his perspective towards life and cinema in general. The second part "Making Movies" is equally enjoyable, especially if you have watched and liked these movies. Reading these anecdotes about them is like seeing them from the other side of the camera, truly blissful.
Highly recommended for all and a must read for Satyajit Ray's fans.
মানুষের জীবনে সবচে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো শৈশব। এই শৈশবের স্মৃতি যখন বড় বয়সে মানুষ স্বরণে আনে,তখন সেটা অদ্ভুত সুন্দর হয়।
সত্যজিৎ রায় "যখন ছোট ছিলাম" বইয়ে তাঁর শৈশব আর স্কুল জীবনের গল্প আমাদের শুনিয়েছেন। এতে যেমন পুরনো কলকাতাকে পাওয়া যায়, তেমনি ফুড়িয়ে যাওয়া সময়ের স্বাদ পাওয়া যায়।
সময় মানুষ কে কত বদলে দেয়। ছোট্ট রায় বাবু বড় হলেন,কিন্তু তাঁর স্কুল একই থেকে গেছিলো। তেমনি শৈশবের প্রত্যকটা স্মৃতি যদি মনে এঁটে থাকতো...
ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু, গল্প ১০১ এর দুর্দান্ত কিছু চরিত্রের গল্প আর পরিচালক সত্যজিতের সাথে পরিচয়ের পর এখন পরিচয় হল ছোট্ট সত্যজিতের সাথে। লেখকের ছোটবেলার মজার মজার কিছু স্মৃতি আর পুরোনো ছবি রয়েছে এই বইটিতে। রয়েছে পরিবারের সদস্যদের কথা।
"আইসক্রিমটা অনেক ঠান্ডা।একটু গরম করে দিলেই তো পারতে।" দুই বছর বয়সী ছোট্ট সত্যজিতের এই কথাটা পড়ে অনেক হেসেছি।
স্মৃতির আলোকচিত্র: সত্যজিৎ রায়ের 'যখন ছোট ছিলাম' — একটি গ্রন্থসমালোচনা :
সত্যজিৎ রায় নামটি আমাদের কাছে কেবল একজন চলচ্চিত্রকারের নয়, বরং এক বহুমাত্রিক সৃষ্টিশীলতার প্রতীক। তাঁর সিনেমা, চিত্রনাট্য, চিঠিপত্র কিংবা শিশুসাহিত্য—সবই বাঙালির চেতনাজগতে এক অনন্য প্রভাব বিস্তার করেছে। এই বিস্ময়কর শিল্পী যখন নিজের শৈশব নিয়ে কলম ধরেন, তখন তা হয়ে ওঠে ইতিহাসের, সংস্কৃতির এবং ব্যক্তিসত্তার এক অসামান্য দলিল। এই রচনাটির নাম—‘যখন ছোট ছিলাম’।
প্রথম প্রকাশ ১৯৮২ সালে। প্রকাশক আনন্দ। পৃষ্ঠা সংখ্যা কম, কিন্তু তার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এক বিস্তৃত কালের চিত্রপট।
এই বইটি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ নয়, বরং এক বিশেষ পরিবারের সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারের বিবরণ। রায় পরিবার—উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার রায়, এবং তাঁদের উত্তরসূরি সত্যজিৎ—বাংলা সাহিত্যের, মুদ্রণ প্রযুক্তির, এবং শিশুসাহিত্যের ইতিহাসে যে অবদান রেখেছেন, তা তুলনাহীন।
এই বইতে সত্যজিৎ নিজেকে যত না উপস্থাপন করেছেন, তার চেয়েও বেশি করে তুলে ধরেছেন সেই ঘরোয়া পরিবেশ, যে পরিবেশে শিল্পচর্চা ছিল নিত্যদিনের বিষয়। ছোটবেলার চোখ দিয়ে দেখা দাদু উপেন্দ্রকিশোরের মুদ্রণপ্রযুক্তি-সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ড কিংবা বাবার ছন্দপতনের খেলা—সবই যেন ভবিষ্যতের চলচ্চিত্রকারের মনে স্থায়ী ছাপ ফেলে।
এই বই আত্মজৈবনিক কিন্তু আত্মপ্রচারের বাইরে!! সত্যজিৎ রায়ের এই রচনার সবচেয়ে বড় গুণ হলো তাঁর নির্লিপ্ত দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি কোথাও নিজেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ করে তোলেন না। বরং সহজ-সরলভাবে বলে যান তাঁর ছোটবেলার অভিজ্ঞতা—পড়াশোনা, খেলা, বইপড়া, স্কুলজীবন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক—সবকিছু। তাঁর কথার মধ্যে নেই কোনো অতিনাটকীয়তা বা আবেগবহুলতা। বরং রয়েছে এক নির্মোহ পর্যবেক্ষণ, যেটা একজন ভবিষ্যৎ চলচ্চিত্রকারের বৈশিষ্ট্য।
বইটি পড়ে বোঝা যায়, এটি শুধুমাত্র সত্যজিতের শৈশব নয়, বরং কলকাতারও এক ঐতিহাসিক বিবরণ। বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের ব্রাহ্ম পরিবার, দক্ষিণ কলকাতার জীবনযাত্রা, সাউথ সুবার্বান স্কুল, হেয়ার স্কুল, ব্রিটিশ রাজের ছায়া, দেশীয় সংস্কৃতির ভিতর থেকে গড়ে ওঠা আত্মপরিচয়ের খোঁজ—সবকিছুই ধরা পড়ে এই পাতাগুলোর মধ্যে।
বিশেষ করে সত্যজিৎ যেভাবে তাঁর স্কুলজীবনের খুঁটিনাটি বলেন—সহপাঠীদের বর্ণনা, শিক্ষকদের ধরণ, পরীক্ষার ভয়, খেলাধুলার সময়—তাতে আমরা শুধু একজন ব্যক্তির ছোটবেলাই দেখি না, বরং একটি সময়ের সামাজিক রূপও চিনে নিতে পারি।
এই রচনায় বারবার বোঝা যায়, সত্যজিৎ রায়ের দৃষ্টিভঙ্গি কতটা পর্যবেক্ষণনির্ভর। তাঁর ছোটবেলার বর্ণনায় কোনো ঘটনা কেবল ঘটেই যায় না, বরং তার ভিজ্যুয়াল উপস্থাপন যেন চোখের সামনে ফুটে ওঠে। যেমন, তিনি যখন প্রথমবার সিনেমা দেখতে যান, কিংবা কোনো বই পড়তে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে যান—তখন তাঁর বর্ণনা একেবারে চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নের মতো নির্ভুল।
এই লেখার মধ্যে নিহিত রয়েছে এক ‘visual intelligence’—যা খুব স্বাভাবিকভাবেই ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র নির্মাণে পরিণত হয়। এই বই পাঠ করলে পাঠকের কাছে যেন এক অমূল্য সূচনা ধরা পড়ে—একজন শিল্পীর বেড়ে ওঠার নেপথ্য কাহিনি।
‘যখন ছোট ছিলাম’ মূলত স্মৃতিচারণা হলেও এটি শুধুমাত্র আত্মস্মৃতি নয়। এটি এক অর্থে ব্যক্তিগত ইতিহাস, আবার এক অর্থে সময়ের সাহিত্য। ভাষা ব্যবহারে কোনো বাহুল্য নেই। প্রত্যেক বাক্য সংযত, বুদ্ধিদীপ্ত এবং প্রাঞ্জল। সত্যজিৎ নিজের ভাষায় যতটা আত্মবিশ্বাসী, ততটাই আত্মনিরপেক্ষ।
তিনি পাঠককে টেনে আনেন না, বরং পাঠক নিজেই বইয়ের ভিতরে ঢুকে পড়ে—একজন শিল্পীর ছোটবেলা আবিষ্কারে মগ্ন হয়।
এই বই কেন গুরুত্বপূর্ণ?
১. এটি একটি বিরল আত্মজৈবনিক রচনা, যেখানে আত্মপ্রচারের বদলে রয়েছে আত্মপ্রত্যয়ের খোঁজ।
২. বাংলা সাহিত্যে শিশুতোষ লেখার ইতিহাসের সঙ্গে এই বইটি একটি মানসম্পন্ন সংযোজন।
৩. ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং পারিবারিক উত্তরাধিকারের সূক্ষ্ম সংমিশ্রণ ঘটেছে এখানে।
৪. চলচ্চিত্রকার সত্যজিতের সূচনা-পথ চিনতে বইটি এক অমূল্য সূত্র।
পরিশেষে এটুকুই বলবো , ‘যখন ছোট ছিলাম’ একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু গভীর আত্মজৈবনিক রচনা। এটি যেমন একজন শিশুর বেড়ে ওঠার গল্প, তেমনই একজন ভবিষ্যৎ কিংবদন্তির মানসিক গঠনের প্রক্রিয়ার একটি আন্তরিক রূপরেখা। সত্যজিৎ রায়ের গদ্য নিরাসক্ত, কিন্তু আবেগবর্জিত নয়। এই বই পড়তে পড়তে পাঠক যেন ফিরে যান নিজের ছোটবেলায়—তফাৎ শুধু এই যে, সেখানে ছিল না উপেন্দ্রকিশোর-সুকুমারের ছায়া। সত্যজিৎ রায় আমাদের সেই ছায়ার নিচে বসে স্মৃতির গল্প শোনান—একেবারে নির্মল অথচ দীপ্তিময় ভাষায়।
এই বই শুধু পড়া যায় না, এটি বারবার ফিরে পড়ার মতো। তাই তো এই নিয়ে অন্তত বার আষ্টেক পড়লাম।
অপরূপ সুন্দর প্রকৃতির মাঝখানে ট্রেনের জানালার ধারের সিটে বসে ভ্রমণবিলসী যাত্রীর সৌন্দর্য পিপাসু ক্লান্তিহীন চোখের অগোচরে কখন যে গন্তব্যে পৌঁছে যায় সেই খেয়ালই থাকে না মাঝে মাঝে। এই হালকা পাতলা গড়নের বইটা পড়ার অনুভূতিটা কিছুটা এমনই। সবচেয়ে সরল ঝরঝরে ভাষায় সত্যজিৎ রায় লিখেছেন নিজের সবচেয়ে সহজ শৈশবের স্মৃতিচারণ।
হয়তো ছবির মানুষ বলেই বর্ণমালার গাঁথুনি দিয়েও এঁকেছেন নিজের শৈশবের ছবি। পড়তে পড়তে চোখের সামনে ভেসে উঠে এইতো ছোট্ট পাঁচ বছরের মানিক একশো নম্বর রোডের গড়পারার বাড়ির চাদে হুডহুডি করে ঘুড়ি উড়াচ্ছে কিংবা ঘুরে বেড়াচ্ছে বাড়ির ভেতরে ছাপাখানায় কিংবা পিসির বাড়ির জানালার ধারে মায়ের পাশে দাড়িয়ে মুগ্ধ নয়নে দেখছে কাঞ্চনজঙ্ঘা পরবর্তীতে আর কখনো ভুলতে পারেনি সেই অপূর্ব দৃশ্য।
যেকোনো মানুষের স্মৃতিচারণমূলক লেখা পড়তে আমার আগ্রহ সবসময় তুঙ্গে। সেটা যদি হয় সত্যজিৎ রায়ের তাহলেতো আর কোন কথাই থাকে না।
সত্যজিৎ রায়ের নিজের আকা আর সেই সময়ে ক্যামেরার তোলা কিছু ছবি সংযোজিত আছে এই বইয়ে যা অন্যমাত্রা দিয়েছে বইটাকে।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির বিত্ত বৈভবের কথা বাংলা সাহিত্যে খুব প্রচলিত এবং অনেক সাহিত্য প্রেমীদের মত আমারও আগ্রহেরও কমতি নেই এই ঠাকুর বাড়ির অন্দরমহল নিয়ে । কিন্তু সেই জায়গা থেকে রায় পরিবারও কম যায়না কোনো অংশে। 'ইউ রায় অ্যান্ড সন্স' - একশো নম্বর রোডের গড়পারার বাড়ি। কৌতুহলের কেন্দ্র যুক্ত হলো আরেক নাম।
This book contains snapshots of childhood-memories of the late great Ray. Not just refreshingly lucid, the narrative is warm & rich with the intimacy that the rarest authors can induce. It also has many illustrations by Ray that make this slim but beautiful volume acquire extra value. Highly Recommended.
প্রিয় লেখকের পরিবার পরিজনের সঙ্গে পরিচিত হলাম। জানলাম কেমন ছিল তাঁর শৈশবের স্মৃতি। এত এত প্রতিভাবান মানুষের চারপাশে থেকে বড় হয়েছেন যার তুলনা অন্য কোথাও পাওয়া মুশকিল। আগে একটা ইচ্ছা ছিল কখনো কলকাতা গেলে কলেজ স্ট্রীট এ ঘুরতেই হবে। এখন মনে হচ্ছে U. Ray & Sons ও দেখতে পাওয়াটা চরম সৌভাগ্যের হত। এত ইতিহাস যেই বিল্ডিংটার মধ্যে তৈরি হয়েছে সেটা না দেখলে হয় না ।
বইটা পড়ে খুব ভালো লেগেছে। বইয়ে সত্যজিৎ রায় নিজেই স্কেচ করেছেন নিজের স্কুলসহ আরও অনেক ছোটবেলার ঘটনা। এত বড় একজন মানুষের ছোটবেলাও যে বর্ণাঢ্য ছিলো পড়লে বোঝা যায়। আসলে সবকিছুর শুরু সেই গোরা থেকেই।