The famous adventures of Ghanada created by Premendra Mitra. Ghanada the big mouth is always inventing new fictional adventures to startle his disciples.
Premendra Mitra (Bangla: প্রেমেন্দ্র মিত্র) was a renowned Bengali poet, novelist, short story writer and film director. He was also an author of Bengali science fiction and thrillers.
His short stories were well-structured and innovative, and encompassed the diverse to the divergent in urban Indian society. The themes of poverty, degradation, caste, the intermittent conflict between religion and rationality and themes of the rural-urban divide are a thematically occurring refrain in much of his work. He experimented with the stylistic nuances of Bengali prose and tried to offer alternative linguistic parameters to the high-class elite prosaic Bengali language. It was basically an effort to make the Bengali literature free from softness, excessive romance and use of old style of writing which were prevalent in older writings.
ঘনাদাকে মাঝেমধ্যে বাংলা সাহিত্যের সবচে কমকদর চরিত্র বলে মনে হয়। শুধু ঘনাদাই নয়, তার স্রষ্টা প্রেমেন্দ্র মিত্রকেও মনে হয় কোনো বিটকেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। নইলে এমন জমজমাট রোমাঞ্চাভিলাষে ভরা, অতিসূক্ষ্ম হাস্যরসে সিক্ত, বিজ্ঞান-সমকাল-কল্পনা-অ্যাকশনে ভরপুর এক একটা গল্পের নায়ক কী করে পাঠকের আলোচনা থেকে হারিয়ে যান? ব্যোমকেশকে নিয়ে পর্যন্ত টেলিফিল্ম-সিরিয়াল-সিনেমা হচ্ছে, অথচ ঘনাদাকে নিয়ে আজ পর্যন্ত রূপালি পর্দায় কোনো কিছু হয়েছে বলে শুনিনি। এখানেও পাঠকের জন্যে ছোট্টো একটা ইঙ্গিত আছে, ঘনাদার গল্পগুলোর চলচ্চিত্রায়নও দুরূহ।
ভিনভাষার গল্প থেকে খানিকটা ঘাপিয়ে লেখা হলেও "কুয়াশা" আর "মাসুদ রানা"র সূত্রে বাংলাদেশি পাঠক দু'টি ধারাবাহিক-গল্পে-নির্মিত নির্ভীক বীরোচিত চরিত্র পেয়েছিলো। ঘনাদার গল্পে ঘনাদা তাদের চেয়ে কম কিছু নন। হয়তো কালদোষেই সত্যজিতের মতো প্রেমেন্দ্রও নারীচরিত্রাঙ্কনকুণ্ঠ ছিলেন, ঘনাদা তাই জেমস বন্ড বা মাসুদ রানার মতো শয্যানিপুণ নন, গল্পগুলো তাই কিশোরতোষ বলে ভ্রম হতে পারে। কিন্তু ঘনাদার গল্পগুলো প্রতিটিই টানটান রোমাঞ্চের খনি, কয়েকটি তো রীতিমতো সায়েন্স ফিকশন (as opposed to science fantasy, quite unlike Shonku)। চুয়াল্লিশ বছর ধরে প্রতি ছুটির সংখ্যায় পত্রিকায় একটি করে ঘনাদার মৌলিক গল্প লিখে গেছেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, ছন্দপতন ছাড়া। বাংলা সাহিত্যের জগতে এ এক বিশাল কীর্তি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর "কাকাবাবু" চরিত্রটি (কে জানে, হয়তো প্রেমেন্দ্রেরই আরেক অ্যাডভেঞ্চারার চরিত্র "মামাবাবু" থেকে "অনুপ্রাণিত" হয়ে) নিয়ে এ ঘরানায় কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ঘনাদার তুলনায় কাকাবাবুকে খুবই ঠুনকো মনে হয়েছে। ঘনাদার তুল্য চরিত্র বাংলায় পেয়েছি কেবল শঙ্কুকে।
আমি নিশ্চিত, ভাষান্তর করে যদি ঘনাদার গল্পগুলো স্টিফেন মোফাটের হাতে দেওয়া হতো, টিভির জগৎ কাঁপিয়ে দেওয়া এক টিভি সিরিজ সামনে আসতো। প্রেমেন্দ্রের ক্যালিবারের লেখক কেন এতো অনুচ্চারিত এখন? এক "সূর্য কাঁদলে সোনা"র মতো দুর্দান্ত ইতিহাসভিত্তিক রোমাঞ্চোপন্যাসের জন্যেই তো তাঁকে মাথায় করে রাখা উচিত। ষোড়শ শতকের পেরুতে ইনকা রাজা আর পিজারোর কনকিস্তাদোর বাহিনীর মাঝে এক বাঙালি একদা-অপহৃত দাস এখানে-ওখানে দুর্ধর্ষ সব কেলোর কীর্তি করে বেড়াচ্ছে, এমন কল্পনার সাক্ষাৎ কি সহজে মেলে?
ঘনাদার প্রথম গল্প পড়েছিলাম ক্লাস সেভেনে, "মশা", এক বৃটিশআমলি জেলা পাঠাগারের প্রায়ান্ধকার ঘরের কেঠো চেয়ারে বসে। যখন বইটা খুঁজে বের করেছিলাম, তখন বিকেল শেষ, সন্ধ্যের সঙ্কেতবাহী টিমটিমে চল্লিশ ওয়াটের আলো আর পাঠাগারিকের ভর্ৎসনা সয়ে পুরো বই শেষ করেছিলাম সেদিন। তারপর আর ঘনাদার সাক্ষাৎ পাইনি। বহু বছর পর মুখেমারির মতো পাহাড় ঠেলে, ম্যালেরিয়া নিয়ে ফিরে এসে দুরন্ত জ্বরে বিছানায় শুয়ে যখন কাঁপছি, বড় ভাই পরম যত্নে ঘনাদার তিনটি খণ্ড বিছানার পাশে রেখে গিয়েছিলেন। ম্যালেরিয়া, রোগজ অনাহার আর ঘনাদা, এ তিনের খিচুড়ির কোনো তুলনা নেই।
পাঠক তো বটেই, আজ যে লেখক ঝরঝরে বাংলায়, নির্বিকল্প ইংরেজিশব্দমালার কাছে নতি স্বীকার না করে, বরং ভিনভাষার পিঠে চাবুক মেরে, দুর্দান্ত সব পৃথিবীচষা রোমাঞ্চকর গল্প লিখতে চান, তাঁর জন্যে ঘনাদার চেয়ে বড় অনুপ্রেরণাদায়ী উদাহরণ কিছু হতে পারে কি?
Ghanadar Dh Rakam Adda ekta Mess Bari arekta Senior Citizen er sathe Park e Sandhokalin adda..
ei Samagro te sei Galpo gulo.dea.. Ekhane Ekmatro Robinson Crusoe meye chilen Bad dile proti ta galpo e Ghanada nijer purbo purush der kahini suniechhen..
Robinson Crusoe meye chilen Galpo ti Robinson Crusoe er moto na lege abikol legeche Henry Rider Haggard er She galper Anukarone lekha..
অসাধারণ একটি হাস্যকৌতুকপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারস মজার গল্প বই।আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাহলে নিশ্চয়ই ঘনাদা চরিত্রটির সঙ্গে আপনার পরিচিত হওয়া দরকার।
ঘনাদাকে বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেনেই বেশি মানায়।নিজের আজগুবি সব কাহিনি শুনতেই আমি বরং বেশি ভালোবাসি। কিন্তু এখানে আমরা আমাদের চিরচেনা ঘনাদাকে দেখতে পাই না,দেখি ঘনশ্যাম দাস নামের এমন একজন মানুষকে যিনি কয়েকজন মাঝবয়েসী লোককে তাঁর পূর্বপুরুষ ঘনরাম দাসের জীবনের কাহিনি শোনান। সূর্য কাঁদলে সোনা উপন্যাসটা ঘনাদার সবচেয়ে বিরক্তিকর রচনা মনে হয়েছে তবে শুরুর গল্প কটি বেশ ভালোই ছিল