ঘনাদা বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র। ১৯৪৫ সালে প্রেমেন্দ্র মিত্র এই চরিত্রটি সৃষ্টি করেন। ঘনাদার প্রকৃত নাম ঘনশ্যাম দাস। ঘনাদা তাঁর মেসের প্রতিবেশী চার যুবককে নিজের জীবনের নানা অভিযান সম্পর্কে অবিশ্বাস্য ও আজগুবি গল্প মুখে মুখে বানিয়ে শোনান। ঘনাদার গল্পগুলি বানানো হলেও, এর অধিকাংশ তথ্যই বাস্তব ভিত্তিতে গৃহীত।
Premendra Mitra (Bangla: প্রেমেন্দ্র মিত্র) was a renowned Bengali poet, novelist, short story writer and film director. He was also an author of Bengali science fiction and thrillers.
His short stories were well-structured and innovative, and encompassed the diverse to the divergent in urban Indian society. The themes of poverty, degradation, caste, the intermittent conflict between religion and rationality and themes of the rural-urban divide are a thematically occurring refrain in much of his work. He experimented with the stylistic nuances of Bengali prose and tried to offer alternative linguistic parameters to the high-class elite prosaic Bengali language. It was basically an effort to make the Bengali literature free from softness, excessive romance and use of old style of writing which were prevalent in older writings.
যতবার পড়ি, ততবারই নতুন করে মুগ্ধ হই। ঘনাদার "গুল" নিয়ে সিরিয়াস অ্যাকাডেমিক কাজকর্ম হওয়া উচিত, যেখানে গুলের ব্যাপ্তি, ঘনাদার রাজনৈতিক মতাদর্শ (চল্লিশের দশকে ফ্যাসিস্ট বিরোধী থেকে ক্রমশ উপনিবেশবাদ বিরোধী, পরের দিকে সামান্য বোধহয় সোভিয়েতপন্থী), সমকালীন কলকাতার সমাজচিত্র (মূল্যবৃদ্ধি, কলকাতা ডার্বি, উত্তাল ষাটের দশক) ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা থাকবে।
এডিট: তিন বছর আগের রিভিউতে যে কথা লিখেছিলাম সে কাজটা এবছর (২০২৪) ছোট করে হলেও নিজে খানিকটা করতে পেরে ভালো লাগছে।
বাংলা সাহিত্যের সব দাদাদের যে বড় দাদা হলেন গিয়ে ঘনাদা, তাতে সন্দেহ নেই। গল্পগুলোর পুরো রস আস্বাদন করতে হলে "বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর", এমন ধারণা নিয়ে হৃদয়ঙ্গম করতে হবে। গল্পগুলোতে বিজ্ঞান আর ভূগোলের যেমন বিস্তৃত ব্যবহার, সাথে ইতিহাসেরও; সেইটা এই ইন্টারনেটের যুগে এসে ম্যাড়ম্যাড়ে লাগলেও, ৫০-৬০ বছর আগে যখন রচিত হয়েছিল তখনকার প্রেক্ষাপটে যে খুবই তাৎপর্যপূর্ন ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আমি ঘনাদা সমগ্র ১ শুরু না করে প্রথমেই ২ নিলাম। পড়ব যখন আগে ৬৪০ পৃষ্ঠার মোটা বইটাই নিই। দীর্ঘ সময় লাগিয়ে শেষ করলে কি হবে, গুলের রাজা ঘনাদা যে একাই একশো সেটা তিনি আমাকে বুঝিয়ে দিলেন। ইদের ছুটিতে সমগ্র ১ আর ৩ শেষ করে ফেলব। ঘনাদার গল্প শুনতে চলে আসুন বাহাত্তর নাম্বার বনমালি নস্কর সেন।
ঘনাদার শেষদিকের কাহিনীগুলিতে ৫০% থাকে কবিরাজি কাটলেট, হিঙের কচুরি, রসমালাই, কাবাব, কাশ্মিরী কোপ্তা ইত্যাদি ভেট দিয়ে কিভাবে ঘনাদার মন গলানো হয় তার বিবরণ আর বাকি ৫০% থাকে মূল গল্প। মোটকথা, শুরুর গল্পগুলো যেমন বহুমাত্রিক ছিলো শেষদিকের গুলো তেমনই একঘেয়ে। প্রেমেন্দ্র মিত্র মূল কাহিনীর চেয়ে গৌরচন্দ্রিকা নিয়েই টেনেছেন বেশি। প্রতিটি গল্পের শুরুটা সেম। ঘনাদা রাগ করেন, মনোমালিন্য হয় - তারপর তাঁর সেই রাগ ভাঙাতে বিভিন্ন টেকনিক খাঁটানো, খাবারের ঘুষ দেয়া, এবং সর্বশেষ ঘনাদা সন্তুষ্ট হয়ে এক দুটা গল্প শুনিয়ে দেন।
মহাভারত নিয়ে কয়েকটা গল্প আছে। সেগুলাও তেমন আহামরি লাগেনি। উপন্যাসের মাঝে 'আগ্রা যখন টলমল' ভালো লেগেছে।
প্রেমেন্দ্র মিত্র এখানেও তাঁর প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। ইতিহাস, ভূগোল, রাজনীতি ও জীববিজ্ঞান - এই চার কোর সাবজেক্ট নিয়ে ভালোই পড়াশোনা ছিলো তাঁর, প্রমাণ লেখার পরতে পরতে।
ঘনাদা বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র। ১৯৪৫ সালে প্রেমেন্দ্র মিত্র এই চরিত্রটি সৃষ্টি করেন। ঘনাদার প্রকৃত নাম ঘনশ্যাম দাস। ঘনাদার বক্তব্য অনুযায়ী ইউরোপিয়ান লোকেরা তাকে 'ডস' নামে চেনে। ঘনাদা তার মেসের প্রতিবেশী চার যুবককে নিজের জীবনের নানা অভিযান সম্পর্কে গল্প মুখে মুখে শোনান। গল্পগুলো মোটামুটি ভালোই লাগলো অর্থাৎ চলনসই।
Ahaa E Tumi Kemon kore Kalom Dharo hey guni...Chhotobelay Ghanada Comics porechilam prothom, recently ei tinte samagro kine porchi.. ki opurbo ki osadharon protita galpo.. Ki sanghatik jinistai na miss korechilam... etodin...
অসাধারণ একটি হাস্যকৌতুকপূর্ণ অ্যাডভেঞ্চারস মজার গল্প বই।আপনি যদি অ্যাডভেঞ্চার পূর্ণ গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাহলে নিশ্চয়ই ঘনাদা চরিত্রটির সঙ্গে আপনার পরিচিত হওয়া দরকার।