Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা করছে একটা মিসির আলি পড়তে। মনের শত বাহানা সত্যেও আবার হাতে নিলাম পুরোনো ভালো লাগার সেই বইটাকে। আর একটানা দেরটা ঘন্টা বুদ হয়ে পড়ে রইলাম বইটার সামনে। তিনটি রহস্যময় গল্পের এক অপূর্ব সংকলন এই বই খানা । এ বইয়ে চটুল কোনো গল্পই পাবেন না, বরং আপনাকে আটকে ফেলবে রহস্যের জালে।
০১.রাশেদুল করিম নামে একব্যক্তি হঠাৎ এক সকালে হাজির হন মিসির আলির বাসায়। তাকে খুলে বলেন নিজের সাথে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত কাহিনি। একটি বিদেশি মেয়েকে বিয়ে করার সাতদিনের মাথায় হানিমুনে যান তারা। দ্বিতীয় রাতে তার ঘুম ভাঙে স্ত্রীর কান্নায়। কারণ জানতে চাইলে বলে ভয় পেয়েছে। হঠাৎ একরাতে রাশেদুল করিমের স্ত্রী গেলে দিলেন তার স্বামীর চোখ! এর কিছুদিন পরে আত্মহত্যা করে তার স্ত্রী। কিন্তু কেন ঘটলো এতসব?
০২.বাল্যবন্ধুর সাথে লেখক একদিন জনৈক সাধুর সন্ধানে বের হন। সেখানে বিশেষ কারণবশত এক ইমামের কাছে আতিথেয়তা গ্রহণ করতে হয়। ইমাম সাহেব গল্প করতে করতে তাদের সাথে তার নিজের জীবনের কষ্টগুলো অকপটে বলে যান। তার স্ত্রীর সাথে রয়েছে কফিল নামক জ্বিন। যে কিনা তার দু’টি সন্তানকে মেরে ফেলে। তৃতীয় সন্তানটিকেও মারতে চায়, যা তার স্ত্রীর গর্ভে।তারপর?
০৩.সে সপ্নটা দেখে বুধবার রাতে। অসম্ভব ফর্সা, বয়েস আঠার-উনিশের একটা মেয়ে সপ্নে আসে, তাকে বলে “আপনি একটা ভয়ঙ্কর সপ্ন দেখছেন। সে স্বপ্নটা আগে আমি একা দেখতাম”। হঠাৎ মেয়েটি হাঁপাতে থাকে এবং দৌড়াতে আরম্ভ করে। শুধু বলল, “সময় শেষ, দৌড়াও, দৌড়াও ! তারা দু’ জনে দৌড়াতে থাকল সারি সারি ব্লেড বিছানো মাঠে। যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে ঘুমটা ভেঙ্গে যায় তার। কিন্তু কি হয় এরপর?– সঙ্গিনী কি কারনে ঘটতে থাকে এমন অদ্ভুত ঘটনাগুলো? মিসির আলি কি পারবেন এমন জটিল রহস্যের জট খুলতে?অবশ্যই।
হুমায়ূন আহমেদের গল্পরা অনেকটা স্বপ্নের মতো হয়। স্বপ্নে যেমন আমরা এমন অনেক কিছু দেখি যেগুলো সেই অবস্থায় খুবই যুক্তিগ্রাহ্য মনে হয়, কিন্তু পরে 'মনে' করতে গেলে বুঝি যে তেমনটা হওয়া নিতান্তই অসম্ভব, তেমনই, এই মানুষটির লেখা পড়ে মনে হয়, লেখার মাধ্যমে মানবচরিত্রের আলো-অন্ধকারকে ধরে ফেলা কত সহজ, অথচ নিজেরা লিখতে বস্লে টের পাই ব্যাপারটা শুধু 'মুশকিল হি নহিঁ, নামুমকিন হ্যায়'। এই নাতিদীর্ঘ সঙ্কলনে আছে মিসির আলি-কে কেন্দ্রে রেখে সাজানো তিনটি গল্প, যারা হল: ১) চোখ ২) জিন-কফিল ৩) সঙ্গিনী প্রথম দুটো গল্পই আপাত অলৌকিকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা বাস্তবকে খুঁজে বের করার আখ্যান। মিসির আলি-র ভক্ত হিসেবে গল্পদুটোতেই রহস্যটা ভেদ করতে আমাদের খুব একটা সময় লাগার কথা নয়, কিন্তু তুলির হালকা আঁচড়ে দেশ-কাল আর বিভিন্ন চরিত্রের ইতিহাস-ভূগোল যেভাবে আমাদের সামনে ধরা পড়েছে, তার তুলনা হয় না। একটা আলগা মায়া আর কষ্ট এই গল্পগুলোকে হেমন্তের সন্ধ্যায় ধানখেতের ওপর কুয়াশার মতো করে জড়িয়ে থেকেছে, যাদের জন্যই গল্পগুলো ভিড়ের মধ্যেও হারিয়ে যাবে না। তৃতীয় গল্পটা নিয়ে আমি কিচ্ছু লিখব না, কারণ এটা আসলে এক অদ্ভুত প্রেমের গল্প, এক অসহ্য কষ্টের গল্প, এক হাহাকার-ভরা বিস্ময়ের গল্প। এই গল্প নিয়ে কিছু লেখার যোগ্যতা আমার নেই। সব মিলিয়ে শুধু এটাই বলতে পারি: যদি এখনও এই গল্পগুলো না পড়ে থাকেন, তাহলে দয়া করে এই ত্রুটি সংশোধনে তৎপর হোন।
ভয় মিসির আলি সিরিজের ৩ টা ছোট গল্পের সমন্বয়ে। সর্বপ্রথম আমি যখন " চোখ " গল্প টা পড়ি ওই তখন থেকে ছোট গল্পের উপর আমার মুগ্ধতা শুরু হয়। কেন জানি ছোট পরিসরের গল্প গুলা আমাকে টানতো না আগে একেবারেই। এখন যা টানে তাও কালেভদ্রে।
তবে " চোখ " আর " সঙ্গিনী " সত্যিই অসাধারণ। যদিও জিন-কাফিল ও যথেষ্ট দারুন তবে এই দুইটা প্রিয় গল্পের পাশে এসে তার উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে!
মিসির আলির সবচেয়ে বিখ্যাত বইগুলোর একটি হচ্ছে ভয়। এমন অনেককেই দেখেছি যারা মিসির আলির অন্যান্য গল্প হয়তো মনে রাখতে পারেননি, কিন্তু এই বইয়ের তিনটি গল্পই মনে রেখেছেন। বিশেষ করে জ্বিন কফিল এবং সঙ্গীনি ব্যক্তিগতভাবে আমার সবচেয়ে পছন্দের গল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। বইটা আবারো পড়া হলো মূলত আফসার ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত সচিত্র বিশেষ সংস্করণের কারণে। মাহাতাব রশিদের প্রচ্ছদ এবং ভেতরের ছবি, সবই ছিল দুর্দান্ত। গল্পগুলো এমন ইলাস্ট্রেশনেরই দাবিদার। আফসার ব্রাদার্সকে বাহবা দিতেই হয়- অপেক্ষা, বহুব্রীহি, ফেরার পর এবারে আরো একটি বইয়ের এমন ইলাস্ট্রেটেড এডিশন প্রকাশ করার জন্যে। অন্যান্য প্রকাশনীগুলোও এমন কিছু করতে পারে।
এ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখকদের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের অবস্থান একেবারে উপরের সারিতে।তার সৃষ্ট অন্যতম পাঠকপ্রিয় চরিত্র হচ্ছেন মিসির আলি।এই সিরিজের বইগুলোর মধ্যে প্যারাসাইকোলজি,সাইকোলজি,ভৌতিক সবই পাওয়া যায়।খুবই সাধারণ কাহিনীও হুমায়ূনের লেখার যাদুতে অসাধারণ হয়ে ওঠে।আর তার সাথে মিসির আলির বিশ্লেষণ ক্ষমতা ও চিন্তন দক্ষতা মিলে অনুভূতিও হয় চমৎকার।
কাহিনী সংক্ষেপ:
‘ভয়’ নামক বইটিতে হুমায়ূন আহমেদ মিসির আলিকে নিয়ে তিনটি গল্প লিখেছেন। ❝চোখ❞ ইদানীং মিসির আলির কাছে অস্বাভাবিক সমস্যা নিয়ে মানুষজনের আসা যাওয়া কমে গেছে।কিন্তু হঠাৎই আমেরিকা প্রবাসী এক লোক তার স্ত্রীর এক ভয়াবহ সমস্যা নিয়ে হাজির হলেন।ইতোমধ্যেই তার স্ত্রী মারা গিয়েছেন।রহস্যটা মিসির আলিকে সমাধান করার দুটো সূত্র আছে।লোকটার বলা কাহিনী,তার স্ত্রীর ডায়েরি।
❝জিন-কফিল❞ বন্ধু সফিককে নিয়ে ধুন্দুলনাড়া গ্রামে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদ সেখানকার মসজিদের ইমামের মুখে একটা কাহিনী শোনেন।নিঃসন্তান লোকটার সন্তানগুলোকে জন্মের পরপরই একটা জিন মেরে ফেলছে।ঘটনাটা মিসির আলির কানে যাওয়ার পরই বেরিয়ে আসে এক অন্ধকার অতীত।
❝সঙ্গিনী❞ ঘটনাটি মিসির আলি হুমায়ূন আহমেদকে শোনান।স্বপ্ন নিয়ে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে মিসির আলির জবানিতে বর্ণিত হয় এই গা শিউরানো কাহিনী।
পাঠ প্রতিক্রিয়া: মিসির আলি সিরিজের ষষ্ঠ বই ‘ভয়’। মিসির আলির তিনটি গল্প নিয়ে বইটি রচিত।যার মধ্যে দুটো গল্পেই হুমায়ূন আহমেদ গল্পকথকের ভূমিকায় ছিলেন।ইতোমধ্যে বৃহন্নলা গল্পে লেখকের এই সিরিজে আবির্ভাব হয়। তিনটি গল্পই খুব ভালো লেগেছে আমার।প্রথমত গল্পগুলো ছোট আর মেদহীন।মিসির আলির বিশ্লেষণ ক্ষমতা দেখিয়ে কাহিনী শুরু হয়।তার সহজ-সরল কথাবার্তা,তারপর ধৈর্য সমস্যা শোনা আর একটু কাঠখঠ পুড়িয়ে তিনি যে ব্যখ্যাটা দেন তা সত্যিই অচিন্তনীয়।প্রথম গল্পটা এমনই।সাইকোলজিক্যাল বলা যেতে পারে।একেবারে সহজ ভাষায় গা শিউরানো বর্ণনা। ❝জিন-কফিল❞ পড়ার সময়কাল রাত এগারোটা।লাইট অফ।ভয় কি ও কতোপ্রকার সব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি।বর্ণনা চমৎকার।এই গল্পটা খুবই ডার্ক মনে হয়েছে আমার কাছে।তবে সমস্যা একটাই।মানুষের কণ্ঠের সাথে মানসিক বিকারগ্রস্ততার সম্পর্কটা ঠিক বুঝতে পারিনি আমি।এই সমস্যাটা বাদে গল্পটা খুব ভালো লেগেছে আমার। ❝সঙ্গিনী❞ গল্পটা অনেকটা মিসির আলির সাধারণ ঘটনা।একটা অমিমাংসীত কাহিনী।যেখানে মূলত কাহিনীটাই একটা চমক।সমাধান করা যায়নি।আমার কাছে ভালোই লেগেছে।দিনের বেলা কেমন লাগতো জানি না,তবে রাতে পড়ায় ভয় পেয়েছি।
বইটা অনেক ছোটবেলায় একবার পড়েছিলাম। তখন কি বুঝেছিলাম জানিনা। আজকে আবার পড়ে দিনের বেলাতেই রীতিমত হিম ধরে গেছে! খুবই গোছানো ব্যখ্যা কিন্তু তার আগ পর্যন্ত প্রত্যেকটা গল্প পড়তে যেয়ে বেশ কয়েকবার চমকে চমকে উঠেছি। তিনটা গল্প নিয়ে এই বইটি। প্রতিটি গল্পই ভালো লেগেছে। স্পেশালি যদি নাম বলতে হয় বলবো জ্বীন কফিল গল্পটা আতঙ্কজনক ছিল বেশ! এই গল্প যদি গভীর রাতে একা একটা রুমে থেকে পড়া যায়, ঐ রাতের জন্য ঘুম কে আলবিদা বলে দিতে হবে।
অনেকদিন পর কোন একটা বই পড়ে খুব ভাল লাগা কাজ করেছে। যেমন লেখা পড়তে চাই এটা ঠিক তেমনি। গুডরিডস এ অনেকদিন পর ফিরলাম। নিয়মিত হবার চেষ্টা থাকবে এখন থেকে।
"অমিমাংসিত সমস্যার নাম দেয়া হয় রহস্য। সেই রহস্য একসময় পরিণত হয় ভয়ে।"
তিনটি গল্প নিয়ে সাজানো গ্রন্থ "ভয়"। মিসির আলির যুক্তিভিত্তিক সত্ত্বাকে যে রূপে দেখতে পছন্দ করি গল্পগুলোতে তাকে সেরকমই রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালোই বলা চলে।
হুমায়ূন আহমেদের ভুলভাল সাইকোলজি বলার প্রবণতা এই বইতেও লক্ষ করলাম। তবে একটা উক্তি পরীক্ষা করে দেখার ইচ্ছা আছে। উক্তিটা হচ্ছে: "একই গল্প দ্বিতীয় বার বলার সময় বর্ণনা বেশি থাকে। কারণ মূল কাহিনী বলা হয়ে যায়। কথক তখন না বলা অংশটা বলতে চেষ্টা করেন।"
অনেক বছর পরে বইটা আবার পড়লাম।ভালোই লাগছে।কৈশোরে প্রথম যখন এই বইটা পড়েছিলাম,তখন অনেক ভয় পাইছিলাম। এখন পড়ার সময়ে ভয় পাইনি,তবে ভালো লাগার অনুভূতি আগের মতই রয়েছে।
মিসির আলি সিরিজের ষষ্ঠ বই 'ভয়'। এই বইটি একটি গল্পগ্রন্থ। ভয়, জিন কফিল ও সঙ্গিনী এই তিনটি রহস্যময় গল্প সংকলিত করা হয়েছে বইটিতে।
ভয়
রাশেদুল করিমের বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক তিনি। একদিন পর উনি তার দ্বিতীয় বিয়ে করবেন। বিয়ের আগেরদিন তিনি এসেছেন মিসির আলির কাছে একটি সমস্যা নিয়ে। সমস্যাটি প্রথম স্ত্রী সম্পর্কিত। জুডি ছিল স্প্যানিশ আমেরিকান এবং ফাইন আর্টসের ছাত্রী। আমেরিকা প্রবাসকালেই তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। কিন্তু জুডি আবিষ্কার করে রাশেদুল করিম যখন রাতে ঘুমান তখন তাঁর দেহে প্রাণ থাকেনা। মৃত মানুষের মতো হিমশীতল হয়ে থাকে শরীর। রাতে এমন অবস্থা দেখে ভয় পায় জুডি। চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় রাশেদুল করিমের। তিনি ত ঘটনা শুনে অবাক হয়ে যান। তিনি ভাবেন জুডির মানসিক কোনো সমস্যা হয়েছে। অথচ জুডি তার নিজের সিদ্ধান্তে অনড়। মিসির আলি কি এই ঘটনার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?
জিন-কফিল
আবারও যুগলবন্দি লেখক ও মিসির আলি। লেখক একবার বন্ধু সফিকের সাথে ধুন্দুল নাড়া গ্রামে যান কালু খাঁ'র সাথে দেখা করতে। নগ্ন এক পাগলের কাছে অলৌকিক ক্ষমতা দেখার আশায় এখানে এসে বেশ আশাহত হন তারা। রাতে থাকার ব্যবস্থা হয় মসজিদে। সেই মসজিদের ইমাম মুনশি এরতাজ উদ্দিন। স্ত্রী লতিফাকে নিয়ে মসজিদের পাশেই থাকেন। ইমামের থেকে লেখক জানতে পারেন লতিফার সাথে জিন থাকে এবং সেই জিন তার দুই সন্তানকে মেরে ফেলেছে। লতিফা পুনরায় সন্তানসম্ভবা, তাই ইমাম সাহেবের চিন্তার অন্ত নেই। সেখান থেকে লেখকেরা পরদিন চলে আসেন এবং কিছুদিন পর এই ঘটনা মিসির আলিকে শোনান। মিসির আলি সমস্যার সমাধানের জন্য ধুন্দুলনাড়া যান লেখককে নিয়ে। মিসির আলি কি পারবেন এই জিনকে তাড়াতে?
সঙ্গিনী
এই গল্পটিতেও মিসির আলি ও লেখককে দেখা যায়। লেখকের স্ত্রী ঝগড়া করে বাবার বাড়ি চলে গেছেন তাই তিনি মিসির আলির কাছে এসেছেন গল্প করতে। মিসির আলি তার জীবনে স্বপ্ন নিয়ে ঘটে যাওয়া রহস্যময় কিছু গল্প বলেন। কথাপ্রসঙ্গে তিনি লোকমান ফকিরের অদ্ভুত স্বপ্নের গল্প শোনান লেখককে। লোকমান ফকিরের বাড়ি কুমিল্লায়। ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ বছর বয়স। মামাতো বোনের সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছে। একদিন রাতে ঘুমানোর সাথে সাথেই তিনি একটি স্বপ্ন দেখেন এবং স্বপ্নে নারগিস নামে একটি মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। স্বপ্নের এক পর্যায়ে তারা কিছু একটা দেখে ভয় পেয়ে পালানো শুরু করে। একই স্বপ্ন বারবার দেখে লোকমান ফকির। মিসির আলি এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা কীভাবে দেবেন? খাবনামাতে ত এমন স্বপ্নের ব্যাখ্যা ছিল না।
যেহেতু গল্পের বই তাই রহস্যগুলো বেশি ডালপালা মেলতে পারেনি। 'ভয়' গল্পটা দারুণ লেগেছে। কিন্তু এই গল্পটাতে দশটাকে ভোর এবং গণিতে এম এ ডিগ্রি নেওয়ার মতো অসঙ্গতি ছিল। 'জিন-কফিল' গল্পটার সমাপ্তির ব্যাখ্যা যৌক্তিক মনে হয়নি। এতদিনের অসুস্থতা একদিনের ব্যাখ্যায় সেরে যেতে পারেনা। আর 'সঙ্গিনী' গল্পটা মোটামুটি মানের ছিল। হ্যাপি রিডিং।
মিসির আলির তিনটি ভিন্নরকম গল্পের সংকলন এই বইটি। গল্পগুলোকে আলাদাভাবে রেটিং দিতে পারলে ভালো হতো। প্রথম দুটা গল্প আমার তেমন ভালো লাগেনি, শেষ গল্পটা আবার বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে।
মিসির আলির তিনটি অনন্যসাধারণ গল্প নিয়ে সাজানো এই ভয় নামক বইটি। আফসার ব্রাদার্স থেকে আবার নতুনভাবে বের হয়েছে সচিত্র সংকলন হিসেবে। সেই সুবাদে আবার পড়া হয়ে গেল চোখ, জ্বীন কফিল ও সঙ্গী নামের গল্প তিনটি। তিনটি গল্পই সুন্দর। কনসেপ্ট তিনটারই ভিন্ন। যুক্তি দিয়ে মিসির আলি সমাধান করে তিনটি রহস্যময় ঘটনার। তবে জ্বীন কফিল গল্পটা বেশি ভালো লাগে আমার। পরবর্তীতে এটা নিয়ে আলাদাভাবে লিখবো
এই বইটা হুমায়ুন আহমেদের তিনটা গল্প নিয়ে। এগুলা আমি আগেই বিভিন্ন জায়গায় পড়েছি। এবার রিভিশন দিলাম বলা যায়। প্রথম গল্প হচ্ছে চোখ। এটা মিসির আলীকে নিয়ে গল্প। গল্পটা নিয়ে এদ্দুর বলি এমন টুইস্টসম্পন্ন গল্প লেখক খুব কমই লিখেছেন। মেদ বলতে কিছুই নাই গল্পটাতে। শুরুতেই গল্পের মধ্যে আপনাকে ঢুকায় ফেলবে এবং পিচিত করে গল্পের থেকে বের হয়ে ভোদাই হয়ে বসে থাকবেন। আর সারাটা দিন জাবর কাটবেন যে কি হইল বলে। যাহাই হোক, মোটকথা হল ব্যাপারটা ভাল্লাগসে। বাকি দুইটা গল্পও খুব একটা খারাপ নাহ, মিসির আলীকে নিয়েই লিখা। এগুলা নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু না বলি। মোদ্দাকথা হচ্ছে বইটা ভাল, পড়ে আরাম পাবেন আর মজাতো থাকবেই। আমি সবসময় যে একটা জিনিস বলে আসি তা হল হুমায়ুন আহমেদের লেখার ক্ষমতা। এ লোক এমন ক্ষমতা নিয়েই জন্ম নিয়েছেন। এমন সাবলীল লেখা খুব লেখকই লিখতে পারবেন। ক্যান যে উনি বড় লেখা লিখলেন না এই আফসোস করতে করতে টায়ার্ড হয়ে মেনে নিলাম।
A collection of three short horror stories. They will definitely give you a shiver, specially if you read them at night.
Story#1 It's a story of a one eyed man, who claims his wife believes he dies whenever he sleeps.
Story#2 Story of a Muslim priest, who's wife is possessed by a jinn, a jinn who murders the couple's children within a week of their birth.
Story#3 It's a story of dreams, a dream that inflicts physical injuries in the real world. Our world.
All these stories will give an initial feeling of a good horror story, but as Misir Ali is the central character, he solves them using his logic and knowledge of human psychology.
This entire review has been hidden because of spoilers.
বইটা সুন্দর, ছোট ছোট তিনটা গল্প নিয়ে ভয়। মিসির আলির উপস্থিতির চেয়ে বেশি টের পাওয়া যায় মানুষের ভাবনাগুলো, কোন মানুষ যখন তীব্র ভাবে ভালবাসে তখন মানুষ কি কি করতে পারে। তিনটা গল্পই তাই মনে রাখার মত।
১। চোখঃ গল্পটা তীব্র ভালবাসার, অজানা এক রহস্যের, মানবদেহের অদ্ভুত কিছু ঘটনার। মানুষ যখন কোন কিছু নিয়ে প্রচণ্ড মগ্ন থাকে, বা যখন কোন কিছুকে/ কাউকে খুব বেশি ভালবাসে তখন অদ্ভুত এই প্রজাতি কিছু অদ্ভুত কাজ করে। গল্পটা একদম ছোট, তবু হ্রদয়স্পর্শী।
২। জিন কফিলঃ ২য় গল্পটাও তীব্র ভালবাসা থেকে মানুষের মনের যে চাপ সৃষ্টি হয়, তারই ভয়ানক এক বহিঃপ্রকাশ। একাকী গ্রামের দূরপ্রান্তে এক মসজিদের ইমাম ও তাঁর পারিবারিক অশান্তি ও ভয়ঙ্কর কিছু ঘটনা নিয়ে গল্প। কিন্তু এই সকল ঘটনার পিছনে আসলেই জিন কফিল কিনা তা জানা যায় গল্পের শেষে, যখন মিসির আলির যুক্তি গুলো বের করে আনে আরো ভয়ানক এক সত্য।
৩। সঙ্গিনীঃ স্বপ্ন নিয়ে এক গল্প... দুঃস্বপ্ন। মিসির আলির কাছে তার এক দুঃস্বপ্নের ব্যাখ্যা শুনতে আসে এক যুবক, তবে এমনি এক স্বপ্ন যার রেশ এবং প্রমাণ পাওয়া যায় ঘুম কেটে গেলেও। যখন মিসির আলি লোকমান ফকিরকে তার এই দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তির একটা পথ বের করে দিলেন, তখনই আবার এক অজানা অনুভব কাজ করল লোকমানের ভিতর। স্বপ্নের এক সঙ্গিনীর জন্য তখন সেই দুঃস্বপ্নে ভ্রমণের পথটাই আবার বেছে নিল সে।
১. চোখঃ রাশেদুল করিম নামক একজনের গল্প। ভদ্রলোকের গণিতশাস্ত্রের একটা বিষয় গ্রুপ থিওরি নিয়ে গবেষণা করতেন আমেরিকা তে, অধ্যাপনাও শুরু করেন। বিয়েও করেন সেখানকার এক মেয়েকে। এই লোকের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। এবং পরবর্তী তে তার স্ত্রী মারা যান। পরে তিনি মিসির আলির সরনাপন্ন হন। শেষমেশ মিসির আলি এই অস্বাভাবিকতার এক যুক্তিযুক্ত সমাধান দেন।
২. জিন-কফিলঃ ময়মনসিংহের একজন ইমামের স্ত্রী, নাম লতিফা। লতিফার জ্বিনে ধরার গল্প। জ্বীনের নাম কফিল। লতিফার, পর পর দুটি সন্তান নষ্ট করে দেন এই জ্বীন। এর পর তৃতীয় সন্তান আসার পালা। এবার বোধহয় মারা যাবে বাচ্চাটা। এই গল্প যায় মিসির আলির কানে। তিনি ছুটে যান ময়মনসিংহ। এরপর সহজ যুক্তিযুক্ত সমাধান দিয়ে আসেন
৩. সঙ্গিনীঃ কুমিল্লার লোকমান ফকিরের গল্প। এই লোক দুঃস্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নে তিনি একটা মেয়েকে নিয়ে ছুটে চলেন খালি পায়ে। ঘুম ভেংগে দেখেন তার পায়ের নিচে কাটার দাগ। মিসির আলি তাকে একটা সমাধান দেন, কিন্তু লোকমান কোনো সমাধান নিতে রাজি হন নাই শেষ পর্যন্ত, কারন সে ঐ মেয়েটাকে স্বপ্নে দেখতে চাই . আজব গল্প!
একেকটা মিসির আলি পড়ি আর খালি অবাক হই। 'ভয়' এ তিনটা গল্প এর মধ্যে 'চোখ' আর 'জ্বিন কাফিল' এই গল্পদুটো একদম পিক মিসির আলি। এমন মিসির আলি গল্প পড়তেই তো ভালো লাগে যেখানে শেষমেষ সমস্যার সমাধানটা তিনি বের করতে পারেন। জ্বিন কাফিল পড়ার পর মনে হইলো যে এইগল্পটা নিয়ে নুহাশ হুমায়ুনের কাজ করার দরকার। তিনি 'পেট কাটা ষ' টাইপ একটা আন্থোলজি সিরিজ ও বানাতে পারেন এই বইয়ের তিনটা গল্প নিয়েই। দারুণ কাজ হবে।
লাস্ট ছয় বছর আগে মিসির আলী সিরিজের বইগুলো পড়েছিলাম। শুধুমাত্র একটি বই পড়া বাকি ছিল। বাকি থাকা সর্বশেষ বইটা ও পড়ে শেষ করলাম। বইয়ে ‘জিন কফিল’ গল্পটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। এছাড়া বাকিগুলো মোটামোটি।
তিনটি ছোট গল্পের সংকলন। এর মধ্যে চোখ গল্পটি বেশ ভালো লেগেছে।
চোখঃ এ গল্পে মিসির আলির কাছে রাশেদুল করিম নামের এক লোক আসেন যার বা চোখ পাথরের।তার প্রথম স্ত্রী জুডি। তারা আমেরিকায় থাকতেন।রাশেদুল করিমের ধারণা তার বা চোখ নষ্ট করে দিয়েছেন মানসিকভাবে অসুস্থ স্ত্রী জুডি!এর পর অবশ্য সে আত্নহত্যা করে।জুডি প্রায় রাতেই তার স্বামীকে দেখত - কোনো নড়াচড়া করত না,মরা মানুষের মতো ঘুমাত আর অদ্ভুত ভাবে বা চোখ খুলে তার দিকে তাকাত। মিসির আলি এই রহস্য উদঘাটন করেন আর বলেন রাশেদুল করিম নিজেই নিজের চোখ নষ্টের জন্য দায়ী!
জ্বীন-কফিলঃ একটি গ্রামের জ্বীনের কাহিনী।মসজিদের ইমাম সাহেবের স্ত্রীর লতিফার সাথে থাকে কফিল নামের জ্বীন যে কিনা এই দম্পত্তির দুটি সন্তান হত্যা করেছে। তৃতীয় সন্তানের বেলায় মিসির আলির কারণে তা আর ঘটতে পারে নি।হুমায়ুন আহমেদকে সাথে নিয়ে মিসির আলি যান এই দম্পতির কাছে। আর কফিল জ্বীন রহস্যের সমাধান করেন। মূলত জ্বীনের কোনো ব্যাপার ছিল না,লতিফা মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় নিজেই নিজের সন্তানদের হত্যা করে।
সঙ্গিনীঃ মিসির আলির বাড়িতে আড্ডা দিচ্ছেন লেখক।থিম স্বপ্ন।মিসির আলি লেখককে ৩০/৩৫ বছর বয়সরি এক ব্যাক্তির স্বপ্নের কথা বলছেন। সে প্রতি মাসে একবার স্বপ্ন দেখে ১৮/১৯ বছর বয়সী নারগিস নামের এক মেয়ের সাথে মাঠে ছুটছেন, মাঠে মাটির বদলে শুধু ব্লেড আর ব্লেড আর পেছনে হিংস্র জন্তুর মতো কিছু আসছে।আর ঘুম ভাঙলেই সে দেখে পা ফালা ফালা করে কাটা। মিসির আলিকে তাকে বলেন জুতো পায়ে ঘুমাতে। ফলে ছেলেটির স্বপ্ন দেখাই বন্ধ হয়ে গেল। সে আবার এল মিসির আলির কাছে।বললো সে স্বপ্ন দেখে না, তার দেখা দরকার। কারণ মেয়েটির জন্য তার মায়া হয়,সে না থাকলে মেয়েটির একাই থাকতে হবে। এই বলেই সে কান্না করে দেয়।
This entire review has been hidden because of spoilers.
'ভয়' একটি গল্পগ্রন্থ।মোট তিনটি গল্প আছে এতে।গল্প বলেই হয়তো কাহিনীর গভীরতা বেশ কম।প্রতিটি গল্প নিয়ে নীচে অল্পকথায় আমার অনুভূতি ব্যক্ত করলাম -
প্রথম গল্প - গনিতের অধ্যাপক রাশেদুল করিমের জীবনে ঘটে যাওয়া ট্র্যাজেডি নিয়েই এই ছোটগল্পটি।বেশ ছিমছাম গল্পের সুন্দর লজিক্যাল এক্সপ্লানেশন।মানুষের সাব-কনশাস মাইন্ড কতটা শক্তিশালী তার উদাহরণ এই গল্পটি! রেটিং - ⭐⭐⭐⭐
দ্বিতীয় গল্প - এই গল্পের একটা নাম দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।নাম 'জিন কফিল'।এক ইমাম এবং তার স্ত্রীকে নিয়ে গল্প।অতিপ্রাকৃত গল্পের আড়ালে বেশ ভালো একটা থ্রিলার।টুকটাক দুই একটা খটকা আছে তাও চালিয়ে নেয়া যায়। রেটিং - ⭐⭐⭐
তৃতীয় গল্প - একজন যুবক,নাম লোকমান ফকির যে স্বপ্নে একজন মেয়েকে দেখে,তার সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় এবং অসংখ্য ব্লেডের মাঠে তার হাত ধরে দৌড়ায়।তারপর ঘুম থেকে উঠে দেখে তার পায়ে অসংখ্য ব্লেডের কাটা দাগ।মিসির আলি তার এই সমস্যার সমাধান করে দেয় কিন্তু লোকমান কি পারবে তার স্বপ্ন থেকে বের হয়ে আসতে? গল্পটা চলে আরকি টাইপের।একজন একাকী মানুষের গল্প।গল্পের একটা নামও আছে - 'সঙ্গিনী'! হুমায়ূন আহমেদ ব্যক্তিগত জীবনে রহস্য পছন্দ করতেন।তার সেই আদর্শ দেখা যায় মিসির আলির মধ্যেও।জোর করে তাকে আস্তিক না নাস্তিক এর ব্যাখ্যা দেয়ানো একদমই ভালো লাগেনি। রেটিং - ⭐⭐
Really enjoyed it! I think Bangla has the unfair advantage of affecting me more because I grew up in it. Words make my skin crawl. No English book has ever been able to do that.
'Bhoi' is another of Misir Ali's cases. I enjoyed all of them! Have a few unanswered questions for the first one. Which is why it gets one star less. And I think the theme of this book is sacrifices for love/ unconditional love.
অনেক আগে পড়েছিলাম একবার। আবার পড়তে গিয়ে মনে পড়ল। প্রথম গল্প 'চোখ'। নির্দিষ্ট কোন কারণ নেই, কিন্তু গল্পটা আমার প্রিয় গল্পগুলোর একটি। 'জিন কফিল' গল্পটা কিঞ্চিত অযৌক্তিক মনে হয়েছে।
'সঙ্গিনী' - এক এক গল্প এক এক সময় এক এক কারণে ভাল লাগে। এই মুহূর্তে গল্পটা অন্যরকম ভাল লাগা যুগিয়েছে মনে। লেখককে ধন্যবাদ।