Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
বই পড়তে পড়তে বড় হয়েছি। বাসাভরা বই ছিলো, আশেপাশ ভরা বইপোকা ছিলো, ছিলো ক্ষুদে বইপোকাটির প্রতি অগাধ প্রশ্রয় । রসদে টান পড়ে নি কখনো। আলটিমেটলি ভবিষৎ উচ্ছন্নে গেছে, কিন্তু শৈশবটা ছিলো স্বপ্নের মতো.. আহা! ^_^ বাল্যের বুকশেলফের অনেকখানি জুড়ে আছেন সেইসময়ের হুমায়ূন, স্বাভাবিকভাবেই। আর একেকটা বইয়ের সঙ্গে আছে অনেকখানি গল্প।
এই বইটা যখন পড়ি প্রথমবার, আমি বোধহয় টু'তে। বড়মামা, পেশায় ডাক্তার, সদ্য বেরিয়েছেন তখন ঢাকা মেডিকেল থেকে। তার জন্য পাত্রী দেখতে সদলবলে যাওয়া হয়েছে এক পারিবারিক বন্ধুর বাসায়। গমনের মূল উদ্দেশ্য প্রকাশ্য না অপ্রকাশ্য ছিলো সে বয়সে সেটা ধরতে পারিনি, কিন্তু ঘরভরা ভারিক্কি মানুষদের ভিড়ে একমাত্র শিশু হিসেবে মহা অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। ছটফট করছি দেখে জনৈকা জিজ্ঞেস করলেন- কী খাবে বাবু? : বাবু! বাবু কে? আমার নাম তিথী। >:( - আচ্ছা তিথীসোনা, কী খাবে তুমি, সন্দেশ দিই? রসমালাই খাবে? বিপন্ন কন্যাকে উদ্ধার করতে জননী এগিয়ে এলেন। ইয়ে, ** আপা, ও মিষ্টি ঠিক পছন্দ করে না। কোন একটা গল্পের বই থাকলে দিয়ে বসিয়ে দিন, আর কিচ্ছু লাগবে না। সুতরাং বই এলো। বৃহন্নলা। বুঁদ হয়ে এক কোণায় বসে গেলাম। হেহ, বাকি দুনিয়ার খবর আর কে নেয়!
বাসায় ফেরার সময় এলো একটু পরেই, কিন্তু আমার পড়া তো শেষ হয়নি। গ্যাঁট হয়ে বসে আছি, শেষ না করে যাবো না। শিগগিরই কিনে দেওয়া হবে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে একরকম টেনেহিঁচড়ে আমাকে ফেরত আনা হলো। দু'দিন পরের দুপুরেই নানাভাই নিউমার্কেটে গিয়ে বইটা এনে দিলেন। এরপর বহুবছর ধরে বিবিধ পারিবারিক সম্মেলনে আমাকে ক্ষেপানোর জন্য বলতে বলতে এ গল্পও একসময় জৌলুষ হারিয়েছে। তারপর কেটে গেছে কতো মাস, বয়স হয়েছে ঢের নরনারীদের, ঈষৎ ডুবেছে সূর্য-নক্ষত্রের আলো...
মিসির আলি খুব পছন্দের চরিত্র নন। বেশি চালাকচতুর কাউকেই বেসিক্যালি ঠিক হজম হয় না। বেকুব-ও অবশ্য হজম হয় না, সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। অ্যাবনরমাল সাইকোলজির এই অধ্যাপককে নিয়ে হু.আ'র এরচেয়ে ভালো লেখাও আছে। যেমন অন্যভুবন, মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য ইত্যাদি। কিন্তু যুক্তিতক্কো ছাপিয়ে বেশ খানিকটা গা ছমছমানো আর অনেকটা আজগুবি ৪৭ পাতার ছোট্ট বইটার একাংশে শৈশবের একটা অংশও আটকে আছে আমার। এখনো, একটা বাড়তি তারা সেজন্যই।
রিভিউ-টিভিউ পরে হবে, আগে স্পষ্ট স্বীকারোক্তি পেশ করি: গল্পটা পড়ার পর থেকেই সেই যে ঘাড়ের কাছটা থেকে পিঠের মাঝখান অবধি একটা ঠান্ডা স্রোত ওঠানামা করছে, তার ঠেলায় আজ ঘুমোতে চাপ আছে। বাস্ রে! কী ডেঞ্জারাস লেখা! বিরাট রাজ্যের রাজকন্যার নৃত্যগুরু তৃতীয় লিঙ্গের মানবটি যে আসলে প্রাণঘাতী অস্ত্রে বলীয়ান অর্জুন, তা টের পেয়েছিল কৌরব বাহিনী খুব চড়া দাম দিয়েই। আর এই গল্পেও একেবারে শেষে লেখক দেখিয়েছেন, আমরা অজ্ঞাতবাসে থাকা মানুষের সম্বন্ধে জানি কম, বরং মনে-মনে তার সম্বন্ধে ভেবে নিই অনেক বেশি।
হ্যাটস্ অফ! অ্যাবনর্ম্যাল সাইকলজির টেক্সট বই হিসেবে এই সিরিজটা পাঠ্য করার প্রস্তাব দিলে কি লেখকের ভক্তরা রাগ করবেন?
যাঁরা এখনও এই লেখা পড়েননি, সর্বশক্তিমান যেন তাঁদের ক্ষমা করেন, কারণ তাঁরা জানেন না, তাঁরা কী হারিয়েছেন।
সকাল থেকে ড্যান ব্রাউন এর অনবদ্য সৃষ্টি নিয়ে বসে ছিলাম। সন্ধ্যার আগে হঠাৎ ফোকাস চলে গেল, আর সাথে সাথে বৃষ্টি। এই অবস্থায় মিসির আলির একটা মেটাফিকশন সাথে এক কাপ চা ( যদিও আমি কফি পিপল) ! বার বার পড়া সত্ত্বেও অমৃত্য!
মিসির আলীর কেস সলভ করার জন্য যেভাবে ধাপে ধাপে এগোন, তা যে অসাধারণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখানেও হয় নি তার ব্যতিক্রম। তারপরেও মিসির আলী এ রহস্য সমাধান করতে পেরেছিলেন কি না তা পাঠক পড়লেই জানবেন।
হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলির অন্যতম সেরা সংযোজন বৃহন্নলা। লেখকের মামাতো ভাইয়ের বিবাহ দিয়ে কাহিনী শুরু হয়, কিন্তু সে বিয়ে আর হয় না, পাত্রী পালিয়ে যাওয়ায় ভেস্তে থাকেন। গ্রামে অত্যধিক বরযাত্রীর জায়গা সংকুলান হওয়ায় বাধ্য হয়ে লেখক থাকেন এক সাধুসন্ত টাইপ মানুষ সুধাকান্তবাবুর সাথে। এই সুধাকান্তবাবু, লেখককে এক ভৌতিক গল্প শুনালো, গল্পটি ছিল মোপামুটিভাবে এরকম, সুধাকান্তবাবুর সাথে এক সময় একটি মেয়ের বিবাহ ঠিক হয়। কিন্তু সে সাপের কামড়ে মারা যায়। এতে সুধাকান্তবাবুকে তীব্র বৈরাগ্য এসে ভর করে। তিনি আর বিয়ে শাদী করেন না। তারপর একদিন হঠাৎ করেই সুধাকান্তবাবু একটা ডেডবডি পান, তার মনে হলো এর সাথে বিবাহ ঠিক হওয়া, মরে যাওয়া মেয়েটির সাথে মিল রয়েছে। তার মনে হল রাস্তায় পরে থাকলে শিয়াল কুকুরে এসে খেয়ে ফেলবে। তাই তিনি ডেডবডি কে তুলে তার ঘরে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে শবদাহ করবেন এই ভেবে।
এবং তারপরই ঘটে নানান ভৌতিত কর্মকাণ্ড। যা আজো সুধাকান্তবাবুকে তাড়া করে বেড়ায়। সুধাকান্তবাবুর সাথে থাকাকালীন লেখক নিজেও অনেক ধরনের আওয়াজ টের পান। লেখক এসে মিসির আলীকে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। মিসির আলী কী পারবেন, রহস্য মীমাংসা করতে? নাকি তার অমীমাংসিত রহস্যে যুক্ত হবে আরো একটি রহস্য।
এটা আমার পড়া মিসির আলীর প্রথম বই। ক্লাস নাইনে পড়া অবস্থায় এক দাওয়াতে যাই খানা খাইতে। ও বয়সে যেখানেই যাই খুব অদ্ভুত লাগে। সবাই বিভিন্ন আলাপে ব্যস্ত যার কোনাটাই আমারে টানে নাহ। এমতবস্থায় ড্রইংরুমের শোকেস থেকে লুকায়া একটা বই বের করি। উপরওয়ালার ইচ্ছায় হাতে আসল বৃহন্নলা। এ নামের অর্থও জানতাম না। কিন্তু পড়া শুরু করে দিলাম এবং আটকায়া গেলাম। কিন্তু দাওয়াতের সময় শেষ হয়ে যাওয়া সত্বেও বইতো শেষ হইল না। তখন চাতক পক্ষির মত বাসার এক বড়ভাইয়ের সামনে অপরাধী ভঙ্গিতে দাঁড়ায় গেলাম। কিন্তু পাইলাম মেঘ না চাইতেই বর্ষা। পুরো মিসির আলী সমগ্র ১ আমার হাতে তুলে দেওয়া হল। এ হইল বই পাওয়ার গল্প।
এবার আসি গল্পের গল্পে। এটাও শুরু হয়েছে এক দাওয়াতে যাওয়া নিয়ে। দাওয়াত খাইতে গিয়ে এক অদ্ভুত গল্প শুনে এসে সেটা বিভিন্নমানুষকে শুনান দাওয়াত খানেওয়ালা। সেই গল্প শুনে মিসির আলী দাওয়াত খানেওয়ালাকে নিয়ে আবার সেই বাড়ীতে রওনা হন। লোমহর্ষক সেই গল্পটা শুনে মিসির আলী কি করেন সেটা আসলে ব্যক্ত করার ক্ষমতা আমার নাই। তবে এমন তীক্ষ্ণ চিত্তাধারা আগে আসে নাই আমার কাছে। সে জন্য খুব শকড ছিলাম। খিচুরি খাওয়া নিয়ে মিসির আলীর নির্লিপ্ততাও আমার কাছে অসাধারণ লেগেছিল।
বৃহন্নলা শব্দটার মানে হইল হিজড়া। এটা আমি বইটা শ���ষে জেনে নিয়েছিলাম। যারা ভবিষ্যতে পড়বেন তাদের যাতে কষ্ট কম হয় তাই আগেই বলে দিলাম।
রাতে পুরো ঘর অন্ধকার করে পিডিএফ পরতে পরতে ঘুমানোর অভ্যাস। সেই অভ্যাসবসত আজকে শুয়েই এই বইয়ের পিডিএফ বের করে পড়া শুরু করে একটানে শেষ করলাম। আমি এমনিতেই ভীতু মানুষ, তার উপর হুমায়ূন স্যার লিখছেনও অসাধারণ। সেই লেভেল এর ভয় লাগতেছিলো। কিন্তু মিসির আলী আবার সেই ভয় কাটায়ও দিলেন। Fully enjoyed this book! :)
তৃতীয়বারের মত পড়লাম বইটা। প্রত্যেকবার-ই মুগ্ধতার মাত্রা একই। একাধিকবার পড়ার পরও ভয়ের আবহটা আগের মতোই লেগেছে। কাহিনী জানা সত্ত্বেও পানসে, একঘেয়ে বা একদমই পুরাতন লাগেনি। সুন্দর লেখনশৈলীর এই এক গুণ। হুমায়ূনকে তো সাধে আর জাদুকর ডাকা হয় না। আমার মতে মিসির আলি সিরিজের সেরা বই এটাই। আজকাল এই থিমে দেশে বিদেশে অনেকেই সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লিখছেন। যেমন: রাইলি স্যাগার, লিসা জুয়েল দেশে নসিব পঞ্চম জিহাদী। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ এই কাজটাই দুর্দান্ত সফলতার সাথে করেছেন দীর্ঘদিন আগে। কোনো স্কুলে যদি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লেখা শেখানো হয় তাহলে সেখানকার পাঠ্যক্রমে অবশ্যই ‘বৃহন্নলা’ উপন্যাসিকাটা পাঠ্যপুস্তক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। কিভাবে একটা দারুণ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার লেখা যায় তার যথাযত উদাহরণ বৃহন্নলা।
মফস্বলের এক স্কুলের অঙ্কের শিক্ষক সুধাকান্তবাবু।এক বিরাট বাড়িতে তিনি একা একা থাকেন।তিনি সবাইকে একটা ভূতের গল্প বলে বেড়ান।প্রশ্ন হলো,গল্পটি কি সত্যি নাকি এর ভেতরই লুকিয়ে আছে রহস্য?ডাক পড়লো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির পার্টটাইম টিচার মিসির আলির...
অবশেষে হুমায়ূন আহমেদ মিসির আলির গল্পের ফিনিশিং না দেয়া থেকে বেরিয়ে এসেছেন।যা বেশ ভালো একটা দিক।অতিপ্রাকৃত গল্পের ফিনিশিং না থাকলে ভালো লাগে না।
গল্পের কাহিনী বেশ ভালোই।যথারীতি নারীচরিত্রগুলো রূপবতী,পুরুষ চরিত্ররা একটু ভাবুক বা দার্শনিক টাইপের।সবমিলিয়ে একবসায় পড়ে ফেলার মতোই!
বি.দ্র - উপন্যাসের নাম 'বৃহন্নলা' কেন বুঝতে যাদের অসুবিধা হচ্ছে তাদের জ্ঞাতার্থে বলি,বৃহন্নলা শব্দের একটি অর্থ হলো নপুংসক!
গতানুগতিক না হওয়ায় যে গুটিকয় লেখা ভাবনায় ফেলেছিল যে লেখাটি সত্যিই হুমায়ূন আহমেদের কি না, সেগুলোর একটি ‘বৃহন্নলা’। বেশ কয়েক বছর আগে, কোনো এক কালবৈশাখী ঝড়ের বিদ্যুৎহীন মধ্যরাতে বইটা পড়ার সময়ের গা ছমছমে অনুভূতি শরীর-মনে দোলা দেয় আজও।
এই বইয়ের মাধ্যমে পরিচয় ঘটেছিল মিসির আলির সঙ্গে। এরপর মিসির আলিকে চরিত্র করে লেখা সবকিছুই পড়া হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর কোনোটাই ৪৮ পৃষ্ঠার ছোট্ট ‘বৃহন্নলা’র প্রতি ভালোলাগার মাত্রা ডিঙিয়ে যেতে পারেনি।
বৃহন্নলা,উপন্যাসটি মিসির আলি সিরিজের অন্যতম সেরা উপন্যাস। এই উপন্যাসে পাঠকগণ মিসির আলি এবং লেখক হুমায়ূন আহমেদের যুগলবন্দী দেখতে পাবেন,যা মূলত উপন্যাসটিকে আরো অনবদ্য করে তুলেছে। একটি সাধারণ ভৌতিক গল্পের মধ্যে যে কী অদ্ভুত রহস্য লুকিয়ে আছে,তা এই উপন্যাস না পড়লে বুজতে পারবেন না।বইটির পরতে পরতে টুইস্ট। বিশ্বাস -অবিশ্বাসের সংমিশ্রণের এক সুন্দর সৃষ্টি, বৃহন্নলা।মিথ্যা কখনোই সত্য হয় না যতই রঙ ঢালা হোক মিথ্যা কিন্তু মিথ্যাই থাকে।সুধাকান্তবাবু যতই ইনিয়ে বিনিয়ে মিথ্যে বলুক,মিসির আলি ঠিকই সেটা বুজতে পেরেছিলেন(যদিও সময় সাপেক্ষ ব্যপার ছিল)। এই বইয়ের সবচাইতে ভালো দিক হলো,সুন্দর একটা এন্ডিং আছে। #পরিশেষে বলবো,ভালো লাগার মত উপন্যাস, যারা পড়তে ইচ্ছুক পড়েই ফেলেন।#
'মিসির আলি' সিরিজের আমার পড়া অন্যতম সেরা বই। 'বৃহন্নলা' গভীর রাতে একা পড়লে অন্যরকম অনুভূতি হয়। যাকে বলে, খাঁটি হরর পড়ার অনুভূতি। এই ছোট লেখাটি আমি অনেকবার পড়েছি। কখনোই রোমাঞ্চ অনুভব না করে পারিনি। সত্যি বলতে কী, 'বৃহন্নলা'র সাথে তুলনা করার মতো কাহিনি হুমায়ূন আহমেদ খুব কম লিখেছেন।
মিসির আলী সিরিজের সর্বপ্রথম বই যাতে একটা পরিপূর্ণ সমাপ্তি আছে। সে জন্যই হয়ত এটি অনেকের কাছে মিসির আলী সিরিজের প্রিয় বই। মিসির আলী অত্যন্ত যুক্তিবাদী মানুষ। যুক্তি ব্যাতিত আর কোন কিছুই তার কাছে গ্রহনযোগ্য নয়। কিন্তু বারবার তিনি এমন এমন পরিস্থিতিতে পরেন যাকে ঠিক যুক্তি দিয়ে বিচার করা যায় না। আর হুমায়ূন আহমেদের এমনই মতিগতি যে মিসির আলীর মতো একজন যুক্তিবাদী মানুষকে প্রথম তিনটি গল্পে যুক্তির ধারেকাছে পৌঁছতে দেননি। অবশেষে পঞ্চম গল্প লেখার সময় হুমায়ূন সাহেবের একটু দয়া হয়েছে মিসির আলীর ওপর। মজার ব্যাপার হলো এখানে লেখক নিজেকে গল্পের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। সেজন্যই গল্পটিকে একটু বাড়তি মর্যাদা দেওয়া হয়েছে কীনা তা আমার জানা নেই। হুমায়ূন আহমেদ স্বয়ং তার এক মামাতো ভাইয়ের বিয়েতে বরপক্ষ হয়ে যান প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে। সেখানে ঘটনাক্রমে তাকে আশ্রয় নিতে হয় এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে।স্কুন শিক্ষকের নাম সুধাকান্ত। বাড়িটি ছিল জনমানবহীন জায়গায়। সেই শীতের রাত্রে সুধাকান্তবাবু হুমায়ুন আহমেদকে শোনান বিচিত্র এক গল্প।
সুধাকান্তবাবু একদিন রাত্রে বাড়ি ফেরার সময় এক মৃত বালিকাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি সেই মৃতদেহ নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখনই ঘটে এক আশ্চর্য ঘটনা। শবদেহটি যেন জীবন্ত হয়ে উঠছে। তখন সুধাকান্তবাবুর মনে হয় তার পূর্বপুরুষেরা যেন একত্রিত হয়ে তাকে বাইরে বের হয়ে আসতে বলছে। কিন্তু তার পা যেন আর মাটি থেকে ওঠে না। শেষে যখন ঘর থেকে বের হতে যাবেন তখন মৃত বালিকাটি তার গোড়ালি কামড়ে ধরল। সেই কামড়ের সাক্ষী বহন করছে পায়ের কামড়ের দাগ। ঘটনাক্রমে এই গল্প শুনতে পান মিসির আলী সাহেব। এবং আমরা সবাই জানি, এই গল্প শুনে বসে থাকার মতো মানুষ মিসির আলী নন। আগেই বলেছি এই গল্পের একটা সমাপ্তি আছে। সমাপ্তিটা প্রচন্ড আনএক্সেপক্টেড। আমি অবশ্যই শেষটা বলব না। তাহলে পড়ার মজা এক্টুখানি হলেও কমে যাবে। অনেক ছোট্ট একটা বই। এক-দেড় ঘন্টা সময় থাকলে পড়ে ফেলুন এখনই।
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই গল্পের একটা চরিত্র হুমায়ূন আহমেদ নিজে। এক ভৌতিক গল্পের সূত্র ধরে তাকে খুঁজে বের করেন মিসির আলি। আমি আগেকার দিনের পাঠক হলে ধরেই নিতাম যে এই উপন্যাসটা লেখকের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা এবং মিসির আলি বলে সত্যিই কেউ একজন আছেন! 😄 তবে পুরো গল্পটাই বেশ উপভোগ করেছি ; বিশেষ করে ভৌতিক অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেয়ার অংশটুকু। এখন পর্যন্ত মিসির আলির হাতে গোনা যে কয়টা উপন্যাস আমি পড়েছি তার মধ্যে এটাই একমাত্র উপন্যাস যেখানে তাকে অতিপ্রাকৃত একটা ঘটনার কুল-কিনারা করতে দেখেছি। একটা ব্যাপার শুধু বুঝলাম না এরকম একটা উপন্যাসের সাথে বৃহন্নলা-নামটার সম্পর্কটা কি?
৮০র দশকের কাহিনী, এ গল্পের গল্পকথক হুমায়ুন আহমেদ তার মামাতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে হাজির হয় এক মফস্বল শহরে। দূর্ঘটনাবশত সে রাতে বরপক্ষকে সেখানেই থেকে যেতে হয় এবং হুমায়ুন আহমেদের আশ্রয় মেলে নিঃসঙ্গ, চিরকুমার, কিছুটা সাধু স্বভাবের মানুষ সুধাকান্তবাবুর কাছে, যার বাড়িও কিনা তার স্বভাবের মতোই একটা জনবিরল এলাকায়। সেই জায়গার রাতের গা ছমছমে পরিবেশে সুধাকান্তবাবু হুমায়ুন আহমেদকে শোনায় তার জীবনে ঘটে যাওয়া এক ভৌতিক ঘটনার কথা।
এরপর হুমায়ুন আহমেদ ফিরে আসে তার দৈনন্দিন জীবনে। এই গল্প বলে আরও অনেককে, যা একান ওকান ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত পৌছায় মিসির আলির কাছে। প্যারানর্মাল ঘটনা সম্পর্কে আগ্রহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির অধ্যাপক মিসির আলি আসেন হুমায়ুন আহমেদের কাছে। যুক্তি দিয়ে চিন্তা করা মিসির আলির কিছু প্রশ্ন আছে সুধাকান্তবাবুর এই গল্প নিয়ে, যা কিনা এই প্যাঁচানো রহস্যের মোড়ই ঘুরিয়ে দেয়।
বছরের শেষের দিকে অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার চাপে যখন বই পড়ার প্রতি মারাত্মক অনীহা জন্মাই, তখন হুমায়ুন আহমেদের বইগুলোই সেটার নিখুঁত প্রতিষেধক। যদিও এখন তাঁর শেষদিকের হিমু, মায়াকান্না জড়ানো মধ্যবিত্ত পরিবার সাথে রোমান্টিক কমেডি গল্প (লেখকের বেস্টগুলো না আবার)গুলো ভালো লাগে না। সেই হিসেবে তাঁর লেখা সায়েন্স ফিকশন আর মিসির আলি সিরিজের গল্পগুলোই প্রেফার করব। আর এ শীতের রাতে কম্বলের তলায় অতিপ্রাকৃত কাহিনী আর মিসির আলির রহস্য যুক্তির খেলা ভালোই জমবে ভেবে গুডরিডসে মিসির আলি সিরিজের বেশ প্রশংসিত এই বইটা ধরা।
মিসির আলি সিরিজটা পুরো বাংলা সাহিত্যেই এক অনবদ্য সৃষ্টি। প্রকাশকাল বিবেচনায় গতানুগতিক ভূতের গপ্পোকে পাশ কাটিয়ে প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটি, হিউম্যান সাইকোলজি, যুক্তিতর্কের খেলা দিয়ে সাজানো এই গল্পগুলো অবশ্যই ইউনিক। এমনকি বর্তমান সময়ের প্রচুর সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, সাইফাই কিংবা হরর বইয়ের আনরিয়েলেবল ন্যারেটর, মাল্টিপল রিয়েলিটি, বডি হরর এমনকি ল্যাভক্রাফটিয়ান হররের উপাদানগুলো দেখেও মনে পরে যায় মিসির আলি সিরিজের গল্পগুলোর কথা। সেইসাথে হুমায়ুন আহমেদের স্বতন্ত্র চরিত্রায়ন যাতে চরিত্রগুলোর মানবিক অনুভূতি অল্পেও ফুটে ওঠে ভালোভাবে।
'বৃহন্নলা' বইটার মধ্যেও এইসব উপাদানই বিদ্যমান এবং তা খুব গোছানোও। গল্পটা ছোট পরিসরের, তবুও তার মাঝে মূল রহস্য, সেটার জটিলতা এবং মিসির আলি সিরিজের খুব অল্প কিছু বইয়ের মতো শেষমেশ একটা পূর্ণ যুক্তিসঙ্গত সমাধান আর সমাপ্তি সবই খুব গুছিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। চরিত্রায়নও ভালো, সুধাকান্তবাবুর জটিল মনস্তত্ত্ব, মিসির আলির ভিন্নধর্মী আচরণ, চিন্তার ধরণ সেই সাথে কোমল হৃদয়ের বহিঃপ্রকাশ, এমনকি লেখকের নিজের ফিকশনাল রুপ সবই ভালো হয়েছে।
তবুও কিছুটা আক্ষেপ রয়ে গেল। প্রথম কারণ এই বইটা আমার আগে পড়া ছিল, কাহিনী প্রায় সব ভুলে গেলেও গল্পের মাঝামাঝি এসে মূল টুইস্টটা মনে পরে যাওয়ায় মজাটা একটু কমে যায়। আর গল্পটা প্রকাশকাল বিবেচনায় কিছুটা ইউনিক হলেও, আজকের দিনে বেশ সাদামাটা। আমি মিসির আলির গল্পে আরও বেশী জটিলতা আশা করি, যা এই বইয়ে একটু কম, আর মূল টুইস্টটা জানা থাকায় তা আরও কমে যায়।
📚 বইয়ের নাম : বৃহন্নলা
📚 লেখক : হুমায়ুন আহমেদ
📚 বইয়ের ধরণ : সাইকোলজিক্যাল হরর, মিস্ট্রি থ্রিলার
মিসির আলি সিরিজের পাঁচটা শেষ করলাম। এর মধ্যে এটা তুলনামূলক ভালো লেগেছে। আগের গল্পগুলোর সুন্দর প্লট থাকার পরেও উপসংহারে কেমন জানি তাড়াহুড়ো দেখতাম। এই গল্প খুব সুন্দর করে পরিণতির দিকে এগিয়েছে।
This is one of those books where you think you know what's going on and you’ve figured out the twists and everything and now you're kinda feeling super smart. But then after a few pages you discover what a braindead fool you were because...duh. It's Misir Ali. He will make you feel like a lame brainless zombie and we are NOT complaining. I'd make all my friends read this book if I could. And that should say something.
কৌরবদের সাথে পান্ডবরা যখন পাশা খেলায় হেরে যায়, তখন তাদের বারো বছর বনবাস এবং এক বছর অজ্ঞাতবাস দেওয়া হয়। শেষ বছরে তাদের এমনভাবে লুকিয়ে থাকতে হয় যেন কেউ খোঁজ না পায়। দ্বিতীয় পান্ডব অর্থাৎ অর্জুন অজ্ঞাতবাসের সময় তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়ার ছদ্মবেশ ধারণ করেন, যাকে বৃহন্নলা বলা হয়। মিসির আলি সিরিজের পঞ্চম বই 'বৃহন্নলা'। এই বইটিতে হুমায়ূন আহমেদ ও মিসির আলি যুগলবন্দি হয়েছেন। অধিকাংশ ঘটনাই লেখকের জবানিতে তুলে ধরেছেন।
হুমায়ূন আহমেদের মামাতো ভাইয়ের বিয়ে। একমাত্র ছেলে হওয়াতে অনেক মেয়ে দেখার পরে একটি মেয়েকে পছন্দ হয়। কিন্তু মেয়ের বাবা নেই এবং মায়ের অন্যত্র বিবাহ হওয়ায় লেখকের মামা রাজি হন না। এদিকে মামাতো ভাইয়ের মেয়েটিকে খুব পছন্দ হয়ে গেছে এবং সে অন্য কোনো মেয়েকে বিয়ে করতেও রাজি না। অগত্যা এই মেয়েটির সাথেই বিয়ে ঠিক হয়। ঢাকা থেকে বেশ দূরেই এক মফস্বল শহরে মেয়ের বাড়ি। বিয়ের দিন বরযাত্রীর গাড়ি রাস্তাতেই বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হয় এবং লেখকের মামা এই বিয়েকে অলক্ষুণে ভাবতে শুরু করেন। বিয়ে বাড়িতে গিয়ে তেমন কোনো আয়োজন না দেখে বেশ আশ্চর্য হয় সবাই। তাহলে কি কোনো সমস্যা হয়েছে যার জন্য বিয়েবাড়ির আনন্দে ভাটা পড়েছে?
বিয়ে উপলক্ষে সেই শহরে যাওয়ার পর লেখকের সাথে পরিচয় হয় সুধাকান্ত ভৌমিক নামে এক স্কুল শিক্ষকের সাথে। তিনি একটি বাড়িতে একা বসবাস করেন। পরিবারের বাকিরা হয় মারা গেছে অথবা ভারত চলে গিয়েছে। সুধাকান্ত বাবুর কাছে তার জীবনে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত একটি ঘটনা শোনেন লেখক। সুধাকান্ত বাবুর বাড়িতে বসে ভৌতিক আবহের মধ্যে ঘটনাটিকে বেশ বিশ্বাসযোগ্যই মনে হয় তাঁর।
বেশ কিছুদিন পরের কথা। লেখকের সাথে মিসির আলি দেখা করতে আসেন। তিনি নাকি একজন ছাত্রের কাছে সুধাকান্ত বাবুর গল্পটি শুনেছেন এবং গল্পটি আবার শুনতে চান। লেখক মিসির আলিকে গল্পট�� শোনান কিন্তু মিসির আলির কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়না। তাই তিনি রহস্য সমাধানে নামেন নিজের যুক্তিবুদ্ধি ব্যবহার করে। কী এমন ঘটনা ঘটেছিল সুধাকান্ত বাবুর সাথে এবং মিসির আলি কি পারবে ঘটনার অবিশ্বাসযোগ্যতার প্রমাণ দিতে?
বইটি অনেক ভালো লেগেছে। লেখকের ভাষ্যমতে পাঠক-পাঠিকাদের অভিযোগ হতে নিস্তার পেতেই বইটির সমাপ্তি খোলাসা করে দিয়েছেন তিনি। তবুও বলা যায়, লেখক 'বৃহন্নলা' নামের মধ্যে��� কিছু রহস্য বাকি রয়েছে। হ্যাপি রিডিং।
This is my first time reading Humayun Ahmed’s work. The greatest writer of Bangladesh. My grandmother is a huge fan of him saying his works are the best. When I asked my mother about him she said read the “Misir Ali” series. I came across “Brihonnola” due to how short it is, it intrigued me to finish it so i did. Honestly, this is such an amazing book so short yet soo well written and thought provoking. Even people who don’t enjoy reading books can read it cuz it’s really short and good!
বৃহন্নলা হুমায়ুন আহমেদের মিসর আলি সিরিজের একটি উপন্যাস। কাহিনীটা শুরু হয় লেখকের এক অত্মীয়র বিয়ে বাড়িতে যাওয়া নিয়ে। যদিও বিয়েটা শেষ পর্যন্ত আর হয়নি কিন্তু সেখানে রাতে থাকতে গিয়ে পরিচয় হয় সুধাকান্তবাবুর সাথে। সুধাকান্তুবাবু তাকে তার জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ভৌতিক গল্প শুনায়, যা লেখকের মনে স্মরণীয় হয়ে থাকে। লেখক মাঝে মাঝে আড্ডায় তার শুণা এই গল্প বলত। একদিন মিসির আলি নামক একজন ভদ্রলোক তার বাসায় আসে। মিসির আলি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পার্ট টাইম অধ্যাপক। মিসির আলি জানায়, সে তার এক ছাত্র থেকে এই গল্প শুনেছে এবং সে এই গল্পের রহস্য বের করতে উৎসাহি। সেখান থেকে শুরু হয় তাদের রহস্য সমাধানের যাত্রা। তারা কি গল্পের রহস্যটা সমাধান করতে পেরেছিল? সেটা যদি জানতে হয় তাহলে আপনাকে উপন্যাসটা পড়তে হবে।
উপন্যাসটা আমি অডিও আকারে শুনেছি। এটা আমার প্রথম শুনা অডিওবুক। অডিওর কয়ালিটিটাও ভালো ছিল।
3.5~ Well I accidentally read the last page before I started reading so I kinda knew what was gonna happen but yes- this one gave me chills too. Cause everything was pretty much straightforward. And a classic horror story. But I liked this one. Again- not used to the horror yet. I think I won't be as scared by the time I finish reading the whole series. Maybe that's why I'm not stopping. And I really like Misir Ali now ngl.
"প্রকৃতি রহস্য পছন্দ করে না, সে নিজে কিন্তু খুব রহস্যময়"
বৃহন্নলা হুমায়ুন আহমেদ
অবশেষে, মিসির আলি সিরিজের একটি বইয়ের যার সমাপ্তি আছে! সত্যি কথা বলতে কি, আমি ভাবিনি যে এটির একটি এন্ডিং থাকবে, পূর্ববর্তী বইগুলো বিবেচনা করলে তাই মনে হবে যে কারোর। তবে, আমি ভুল ছিলাম, এই বইয়ের আসলেই এন্ডিং আছে। তাছাড়া উপন্যাসটিও বেশ ভালো।
শুরুটা ভালো ছিল, আর প্রস্তাবনাটাও দারুণ ছিল। বিকালের বৃষ্টির সময় এটি পড়ে বেশ মনরঞ্চকর অনুভূতি বোধ হয়েছে। যেহেতু বইটি মাত্র ৫০ পৃষ্ঠার ছিল তাই পড়তে বেশি সময় লাগেনি।
"লজিক বা 'যুক্তি' নামক ব্যাপারটা যে কত শক্তিশালী হতে পারে, মিসির আলি তা আমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন"
মিসির আলি সত্যিকার অর্থেই একজন যুক্তিবাদী চিন্তাবিদ। গ্রামবাসী সুধাকর বাবু হুমায়ূন আহমেদকে যে ভূতের গল্প বলেছে এবং তারপর মিসির আলী তদন্ত করতে এসে যা যা করলেন, তা সবই দারুন ভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে গল্পে। শেষটি দুর্দান্ত ছিল, সত্যই কিছুটা অপ্রত্যাশিত ( এমন ভাবে শেষ হবে ভাবতেই পারি নেই) । গল্পের ইরি এবং ডিটেকটিভ জনরার মিশ্রণ ভালো লেগেছে।
এই উপন্যাসটি ছিলো মেটা টাইপ। বইটিতে লেখক নিজেই মিসির আলিকে সম্বোধন করতে দেখে ভালোই লাগলো, ভালো মেটা রাইটিং কার ভালো লাগে না। গল্পের শেষটা দুর্দান্ত ছিল। খুব সন্তোষজনক ছিল। আশা করি সিরিজে এরকম আরও গল্প থাকবে।
৮/১০
"Nature does not like mysteries, but she herself is very mysterious.'"
Brihonnola By humayun ahmed
Finally, a Misir Ali story that has a proper ending! Honestly, I didn't think this one would have one, considering the previous ones didn't. gladly, I was wrong. This novel is quite good, too.
The starting was good, and the prologue was great. Reading this in a rainy after noon did have a different feeling. Since the book was only 50 pages, it didn't take much time to read.
"Misir Ali showed me how powerful logic can be."
Misir Ali is truly a rational thinker. The ghost story told by the villager to Humayun and then Misir Ali coming to investigate was good writing. I liked how it played out. The ending was great, honestly a bit unexpected. Liked the bit of eerie and detective mix of the story.
This novel was meta. I enjoyed seeing the writer addressing Misir Ali in the book. Talk about using meta writing. That being said, I say the ending was fabulous. It was very satisfactory. I really hope that there's more stories like this one in the series.
ফিফথ টাইম রিড। ব্যাপার টা হলো, প্রতি ডিসেম্বরে একবার করে মিসির আলি সমগ্রটা নাড়াচাড়া না করলে আমার শীতকালটা পরিপূর্ণতা পায়না। আজকে সমগ্রটা নামিয়ে বইটা খুলতেই বৃহন্নলা চলে এলো, অতএব এটা দিয়েই রিভিশন শুরু। মাত্র ৩৫ পৃষ্ঠার এই গল্পটা ওয়ান অফ দ্যা বেস্ট ফ্রম মিসির আলি।
রিফাত বদ্দার কৃতিত্বে বইটা পড়া। আসলে মিসির আলী নিয়ে আগে কখনোই ধারণা ছিলো না আমার। আজ যখন শেষ করলাম তখনই মাথা নষ্ট ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এখন শুধু সমগ্র দুটো ঘরে তোলার প্রহর গুনতেছি।
excuse me this was such a rollercoaster of emotions?? I was so scared for the most part reading alone at night then suddenly misir ali comes and calms my soul 🫶 i love that man