Sanchayita (literally meaning collection) is a collection of poems by the great Bengali poet Rabindranath Tagore. It was especially published by Visva-Bharati to mark the Tagore Septuagenary Celebrations in 1931. Sanchayita is set apart from numerous other collections due to the fact that the poet himself selected the poems for this collection.
Awarded the Nobel Prize in Literature in 1913 "because of his profoundly sensitive, fresh and beautiful verse, by which, with consummate skill, he has made his poetic thought, expressed in his own English words, a part of the literature of the West."
Tagore modernised Bengali art by spurning rigid classical forms and resisting linguistic strictures. His novels, stories, songs, dance-dramas, and essays spoke to topics political and personal. Gitanjali (Song Offerings), Gora (Fair-Faced), and Ghare-Baire (The Home and the World) are his best-known works, and his verse, short stories, and novels were acclaimed—or panned—for their lyricism, colloquialism, naturalism, and unnatural contemplation. His compositions were chosen by two nations as national anthems: India's Jana Gana Mana and Bangladesh's Amar Shonar Bangla.
অনেকদিন সময় লাগিয়ে শেষ করলুম অনেকগুলো কবিতার বইটা। কিছু কবিতা পরিচিত, কিছু অপরিচিত, কিছু গেঁথে গেলো মনে, কিছু মনে দাগ কাটতে পারলো না, কিছু কবিতার দুটো লাইন পড়ে আর এগোতে ইচ্ছা করেনি, পরের কবিতা শুরু করেছি।
এই তো! বাংলা সাহিত্যের সবচাইতে ডেকোরেটেড কবির কবিতার বই নিয়ে এইটুকুর মন্তব্য।
আমি ঠিক কবিতা পড়ার পাবলিক না। তারপর ও মাঝে মাঝে সঞ্চয়িতার একটা কবিতা নিজ মনেই আবৃতি করে ফেলি। এই রিভিউটা আসলে পুরো বইটাকে নিয়ে না শুধু মাত্র সেই বিশেষ কবিতাটা নিয়েই (দূর্লভ জন্ম) । যদিও এইখানে এত অসাধারন সব কবিতা আছে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত পছন্দের একটা কবিতার কথা বলা কিছুটা আদ্যিখেতা ।
হাহাকার জাগানোর এক কবিতা । প্রকৃতির কোন এক নিয়মে আমি এই পৃথিবীতে এসেছিলাম প্রকৃতির ততোধিক নিষ্ঠুর নিয়মে একদিনই ঠিকই চলে যাব। তাতে প্রকৃতির কিছুই আসবে যাবে না, সে নিজ নিয়মে তার বাগানে নতুন ফুল ঠিক ফুটিয়েই যাবে । মানুষ হিসাবে আমরা এতটাই অদ্ভুত যে পৃথিবীর এই নিষ্ঠুর নিয়ম জানার পর ও ঠিকই দিন শেষে অংককষি পাওয়া না পাওয়ার হিসাব নিকাশ করে কষ্ট পাই। জানি না ঠিক কোনটার চেয়ে কোনটা বেশি অদ্ভুত, আমাদের চাওয়া পাওয়ার হিসাব নিকাশ মিলানোর দূর্বোধ্য অংক নাকি জগতের নিষ্ঠুর নিয়মটা? কবিতাটা পড়ে প্রতিবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপরে অন্য রকমের ভাল লাগা একই সাথে খানিকটা অভিমান জন্মায় । ইস চুল দাড়িআলা এই বুড়ো লোকটা কিভাবে এত অসাধারন করে লিখেছেন,এত মায়া কিভাবে থাকে ?
মাঝে মাঝে চাওয়া পাওয়ার হিসাব মিলাতে না পারলে একরাশ অভিমান নিয়ে আমারো বলতে ইচ্ছে হয় -
"যা পাই নি তাও থাক,যা পেয়েছি তাও- তুচ্ছ বলে যা চাই নি তাই মোরে দাও"
ধন্যবাদ রবিঠাকুর এত অসাধারন হাহাকারের অনুভূতি, একগাদা আক্ষেপ আপনি ছাড়া কেউ সৃষ্টি করতে পারত না।
নতুন করে কিছু বলার নেই। এর কিছু কিছু কবিতা যদি পাঠকের চোখে জল না আনে তাহলে সেটা কবিতার দোষ নয়, পাঠকের দোষ! অবশ্যই সেই পাঠকের কবিতা পড়া বাদ দেয়া উচিৎ; কারণ কবিতা বোঝার মত হৃদয় তার নেই!
এক টুকরো ছেলেবেলা, কিছু কৈশোর, প্রেমের ছায়া—আর আমার রবীন্দ্রনাথ।
"সঞ্চয়িতা" আমার জীবনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ কবিতার পাঠভাণ্ডার। মা দিয়েছিলেন—একটা শুভ সকাল কিংবা নিঃশব্দ দুপুরে, জানি না ঠিক কোন মুহূর্তে, কিন্তু সেটা আজও আমার জীবনের একটা প্রধান সন্ধিক্ষণ।
বইটা শুধু পড়া হয়নি—প্রায় গোটাটাই মুখস্থ। আর তাতে যা হয়েছে, অনেক কবিতা বাংলা ভাষায় নতুন করে অনূদিত হয়ে গেছে আমার ভেতরেই। কিছু শব্দের মানে আমার বাল্যকল্পনায় বদলে গেছে, কিছু ছন্দে আমি আমার ছুটন্ত জীবনের পদচিহ্ন রেখে দিয়েছি।
এখানে আছে "দূরন্ত ছুটে চলা"র রোমাঞ্চ, আবার আছে "শেষ প্রশ্ন"র গহনতা। “আজি ঝরঝর মুখর বাদলদিনে”র ভিজে প্রেম যেমন আছে, তেমনি আছে “চাঁদ উঠেছে সন্ধ্যা এসেছে”র নরম কল্পনা।
"সঞ্চয়িতা" মানে শুধু একটা সংকলন নয়—এটা আমার প্রথম প্রেমপত্রের ছায়া, প্রথম কবিতা আবৃত্তির কাঁপা গলা, প্রথম নিজেকে চিনে নেওয়ার একটা আয়না।
আমার সারা জীবনের রবীন্দ্রনাথ এখানেই। একটানা, অবিরত, নির্ভার ভঙ্গিতে আমি আজও ওঁর পঙ্ক্তিগুলো মনে মনে আওড়ে চলি— "তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা..."
এ বই যেন আমার আত্মার এক কোণে লেখা অনন্ত স্মৃতিচিহ্ন। একটি বই, একটুখানি মা, আর চিরকালীন রবীন্দ্রনাথ। আমার সঞ্চয়িতা, আমার নিজস্ব অনুবাদে, আমার কণ্ঠে, আমার ভালোবাসায়।
Five stars is not enough. No number of stars can define this collection of poems and songs by Tagore. Life is incomplete if one hasn't read it. Just to open to a random page, any time of any day- and absorb. And marvel how he managed to feel, and then write and explain about every emotion one has ever felt. If you have had a moment, a sentiment- he has written about it. It is worth knowing Bengali if for nothing but to be able read and experience Tagore.
রবি ঠাকুরের কবিতা আমাকে সবসময়ই স্বর্গানুভূতি দেয় এবং অভিভূত করে।আমার এই আমিত্ব তখন সাধিনত্বের দিকে,মুক্তির দিকে অগ্রসর হতে থাকে,আর হঠাৎ নিজের অজান্তেই কপোল বেয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়ে।সৃষ্টি এবং অদৃশ্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি গুরদেবের যেইরুপ ভালোবাসা এবং শ্রুদ্ধা ছিল যা প্রত্যেক মুক্তমনা পাঠকের আত্মিক জীবন পরিবর্তন করতে পারে।সঞ্চয়িতার অন্তর্ভুক্ত একেকটি কবিতা যেনো একেকটি মানুষের জীবনের প্রকৃত অর্থবাণী বহন করে।রবি ঠাকুরকে আমি যতটুকু ভালোবাসি ততটুকু ভালোবাসা আমার চৈতন্য কখনো কোনো কিছকে বাসতে পারে নি,কিন্তু আমি যতবারই ওনার কবিতায় আপন অন্তর্যামীর চক্ষু নিবদ্ধ করি তখন বারংবার মনে হয়—ভালোবাসা কখনো কাউকে শনাক্ত করে বাসা যায়না,কোনো নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা সত্তাকে বাসা যায় না,যা কেবল প্রকৃতির হাতে মেশানে মায়া;ভালোবাসার অস্তিত্ব অনেকটা জ্বলন্ত প্রদীপের মতো, এর অবস্হান যেখানেই থাকুক না কেন,তার প্রবৃত্তি হচ্ছে সকলকিছুকে পবিত্র করা,আলোকিত করা।জীবনের এই চরম সত্য যখন রবি ঠাকুরের কবিতা অধ্যয়নের সময় আমার চৈতন্যে রুদ্ধ দ্বার খুলে প্রবেশ করে তখন পবিত্র হয় আমার চৈতন্য,পবিত্র হয় আমার চিন্তা-ভাবনা আর আলোকিত হয় আমাকে জড়িয়ে আষ্টেপৃষ্টে থাকা সকলকিছু। কবিগুরুর কোনো লেখাকে সমালোচনা করার মতো ব্যাক্তি এই ভুবনে কোনো ছিল না আর থাকবেও না,যদিও অগচরে দুই-একজন করেও থাকে তাদের সমালোচনার অন্তরালে প্রচ্ছন্ন থাকবে গভীর ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা।রবি ঠাকুরের চরণে আমার অনিঃশ্বেষিত প্রণাম এবং ভালোবাসা--
“হে,গুরুদেব— তব চরণে মোর প্রণাম। শ্রদ্ধা করিয়াছি,ভালোবাসিয়াছি যাহার উৎস তব কবিতাতেই পাইয়াছি। হে,মহান কবি– আশির্বাদ করো সমুদ্র সম মোর কল্পনায় জাগে যেনো তব ছবি ”
How can I write a review of Sanchayita? Years ago, I read this book for the first time and, frankly, couldn't fathom much of his words. Today, as I read it again and again, I understand how we cannot think of a life without Tagore. His omnipresence is necessary to be alive, to feel alive.
Apart from what I was required to read as part of curriculum during my student days, I have not really been into reading prose and that too a complete book of prose. Tagore’s সন্চয়িতা (Sanchaita) is the first book of Bengali prose that I took up for reading (I had earlier read a relatively smaller collection of Hindi poems by the nonagenarian father of my ex-business associate and had enjoyed it) and the second book of prose ever that I took up to read. I must confess that, with my home schooling in Bengali during my childhood days and lack of creative literary imagination), I could comprehend only about 50% of the collection of poems. However, I enjoyed thoroughly the poems that I comprehended. It also enabled me to appreciate as to why Rabindranath Tagore is held in such high esteem for his literary accomplishments universally (and especially among Bengalis).
"সঞ্চয়িতা" - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী গ্ৰন্থন বিভাগ মুদ্রিত মূল্য ₹১৬২ (১৯৯৩)
আমি ঠাকুর বলতে একজনকে চিনি, তিনি রবি ঠাকুর। এই বইটি নিয়ে পাঠপ্রতিক্রিয়া লেখার মতো ধৃষ্টতা আমার নেই। কবিগুরুর সাথে পরিচয় আমার এই বইটি দিয়ে। প্রতিটি কবিতা এক একটি উপন্যাসের মতো। বিশ্বকবির কবিতাগুলি যেন বাঙালি সমাজের প্রতিটি মানুষের চলার পথে পাথেয়। তিনি আমাদের সব অনুভূতি লিপিবদ্ধ করে গেছেন তার কবিতাগুলিতে। কবিগুরুর কবিতা ও গান আমার দুঃসময়ের আশ্রয়।
✓হঠাৎ-দেখা রেলগাড়ির কামরায় হঠাৎ দেখা, ভাবি নি সম্ভব হবে কোনোদিন। আগে ওকে বারবার দেখেছি লাল রঙের শাড়িতে দালিম-ফুলের মতো রাঙা; আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়, আঁচল তুলেছে মাথায় দোলন-চাঁপার মতো চিকন-গৌর মুখখানি ঘিরে। মনে হল কালো রঙে একটা গভীর দূরত্ব ঘনিয়ে নিয়েছে নিজের চার দিকে, যে দূরত্ব শর্ষেখেতের শেষ সীমানায় শালবনের নীলাঞ্জনে। থম্কে গেল আমার সমস্ত মনটা, চেনা লোককে দেখলেম অচেনার গাম্ভীর্যে। হঠাৎ খবরের কাগজ ফেলে দিয়ে আমাকে করলে নমস্কার। সমাজবিধির পথ গেল খুলে; আলাপ করলেম শুরু— ‘কেমন আছি, কেমন চলছে সংসার’ ইত্যাদি সে রইল জানলার বাইরের দিকে চেয়ে যেন কাছের-দিনের-ছোঁয়াচ-পার-হওয়া চাহনিতে। দিলে অত্যন্ত ছোটো দুটো-একটা জবাব, কোনোটা বা দিলেই না। বুঝিয়ে দিলে হাতের অস্থিরতায়— কেন এ-সব কথা, এর চেয়ে অনেক ভালো চুপ ক’রে থাকা। আমি ছিলেম অন্য বেঞ্চিতে ওর সাথিদের সঙ্গে। এক সময়ে আঙুল নেড়ে জানালে কাছে আসতে। মনে হল, কম সাহস নয়; বসলুম ওর এক-বেঞ্চিতে। গাড়ির আওয়াজের আড়ালে বললে মৃদুস্বরে, ‘কিছু মনে কোরো না, সময় কোথা সময় নষ্ট করবার? আমাকে নামতে হবে পরের স্টেশনেই; দূরে যাবে তুমি, দেখা হবে না আর কোনোদিনই। তাই, যে প্রশ্নটার জবাব এতকাল থেমে আছে, শুনব তোমার মুখে। সত্য করে বলবে তো?’ আমি বললেম, ‘বলব।’ বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়েই শুধোল, ‘আমাদের গেছে যে দিন একেবারেই কি গেছে, কিছুই কি নেই বাকি?’ একটুকু রইলেম চুপ করে; তার পর বললেম, ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে।’ খটকা লাগল, কী জানি বানিয়ে বললেম নাকি। ও বললে, ‘থাক্, এখন যাও ও দিকে।’ সবাই নেমে গেল পরের স্টেশনে। আমি চললেম একা।
✓পরশমণি আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে, এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে। আমার এই দেহখানি তুলে ধরো, তোমার ওই দেবালয়ের প্রদীপ করো— নিশিদিন আলোক-শিখা জ্বলুক গানে। আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে। আঁধারের গায়ে গায়ে পরশ তব সারা রাত ফোটাক তারা নব নব। নয়নের দৃষ্টি হতে ঘুচবে কালো, যেখানে পড়বে সেথায় দেখবে আলো— ব্যথা মোর উঠবে জ্বলে ঊর্ধ্ব-পানে। আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে।
আগেও একবার বইটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছি (তখন ৫/৫ দিয়েছিলাম) এবং মাঝে মাঝেই বইটা খুলো ২/১ টা কবিতা পড়ি। এখানে বেশ কিছু কবিতা আছে আমার খুব প্রিয়। কিন্তু অনেকগুলো কবিতাই বুঝতে পারি না। তার অন্যতম কারণ কবিতাগুলোকে যথেষ্ট সময় দেই না। একবার পড়েই চলে যাই। বইটা অনেক বড় এবং অনেক অনেক কবিতা থাকার কারণেই এমন হয়। শুধু এই বইটা না। আরো কিছু কাব্যসংকলন পড়ে একই অভিজ্ঞতা হয়েছে৷ তাই ভবিষ্যতে আর কখনো কবিতা সংকলন কিনবো না (ব্যতিক্রম হতে পারে)। আমার মনে হয় যদি বইটা ছোট হয় বা কবিতার সংখ্যা কম হয় তখন এক একটা কবিতায় বেশি সময় দিতে পারবো এবং একাধিকবার পড়তে পারবো। তাতে হয়তো আরো কিছু কবিতা বুঝতে পারবো। কবিতাগুলো আরো ভাল লাগবে৷ অর্থাৎ, কাব্যসংকলনের চেয়ে কাব্যগ্রন্থ পড়া আমার জন্য ভাল হবে। কিন্তু এখানে একটা সমস্যাও আছে। রবীন্দ্রনাথের এই কবিতাগুলো পড়তে হলে আমাকে কতগুলো কবিতার বই কিনতে হবে, পড়তে হবে! 🤔 বিশাল চিন্তার বিষয়! একটা সমাধান বের করতে হবে।
একেবারে ছেলেবেলা থেকেই বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বইটির সঙ্গে পরিচয় । এর প্রতিটি কবিতা এক একটি উপন্যাসের মত । এর মধ্যে আছে ছন্দ, আছে অমিত্রাক্ষর ছন্দ, আছে গল্প, উপদেশ, অনুভূতি, ভাব প্রকাশ । মাঝে মাঝে মনে হয় বিশ্বকবি যেন আমার মনের প্ররিটি অনুভূতি লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন । কোনটি আমার সব চাইতে প্রিয় ? না, এই রকম কোন প্রশ্ন হতে পারে না । সুখ, দুঃখ সব মিলেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । পূণশ্চের একটি কবিতা পড়তে/আবৃত্তি করতে আমার কেন যেন কান্না আসে । সেটি হল "শেষ চিঠি" ।