Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
অসম্ভব মুগ্ধতা নিয়ে পড়ছিলাম বইটি। শেষ পর্যন্ত এই মুগ্ধতা ধরেও রেখেছিল। কিন্তু শেষে মনজুর এর সাথে কার মিল হবে এটা নিয়ে দোটানায় পড়ে গেছিলাম। আমি চাচ্ছিলাম জাহানারা কে কিন্তু মনে হল মীরার সাথেই মিল হবে। একটু ক্লিয়ার করলে কী এমন দোষ হতো? তবুও সন্তুষ্ট (বেশ ভালোরকমই সন্তুষ্ট) ।
হুমায়ূন আহমেদের এক অদ্ভুত সৃষ্ট চরিত্র মনজুর। জীবনে কোনো কিছু না পেয়ে বড়ো হওয়া মনজুরের হারানোর কোনো কিছুই নেই, ছিলো না কখনো। এর মাঝেই তার যা আছে তার মূল্য সে দিতে জানে তার মত করে।
ভালোবাসার ধারণাকে বুকে ধারণ করা আর কাউকে ভালবাসা দুটো সম্পুর্ণ ভিন্ন ব্যপার। ভালোবাসার ধারণাটা একটা স্বার্থপর ব্যাপার, অন্যদিকে কাউকে ভালোবাসা একটা স্বার্থহীন ব্যপার। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল আমরা ভালোবাসার ধারণাকে বুকে ধারণ করলেও ভালবাসতে পারি খুব কম। মানুষ জন্মগত ভাবেই স্বার্থপর, আর তাই ভালবাসার ধারণাকে বুকে ধারণ করতে পারে সহজে কিন্তু কাউকে ভালবাসতে হলে সাহস লাগে, স্বার্থহীন হতে হয়।
আপনি যখন কারো প্রেমে পড়বেন, তখন তাকে নিয়ে ভাবতে আপনার ভালো লাগবে, তার সাথে ঘুরতে ভালো লাগবে, তার হাত ধরতে ভালো লাগবে, তার কথা শুনতে ভালো লাগবে, এইযে সব ভালো লাগা, এসবই আপনাকে কেন্দ্র করে। এখানে আপনি স্বার্থপর। এই অনুভূতিটা হলো ভালবাসার ধারনা। বেশিরভাগ মানুষ ভালবাসার ধারনার প্রেমে পড়ে। অন্যদিকে আপনি যখন আপনার প্রেমিক/প্রেমিকা/ স্বামী/স্ত্রীর জন্য নিজের Materialistic Comfort কে বিসর্জন দিয়ে তাকে কোন Materialistic Comfort অথবা Emotional Comfort দিতে পারেন, তখন আপনি তাকে ভালবাসতে পারছেন ধরে নিবেন। এখানে আপনি স্বার্থহীন, ঠিক যেভাবে বাবা-মা তার সন্তানকে ভালবাসে স্বার্থহীন ভাবে; ঠিক সেইভাবে।
সাধারণত যেসকল মানুষ ভালোবাসা পেয়ে বড় হয় তারা পেতে পেতে এত অভ্যস্ত হয়ে পরে যে, তারা শুধু ভালবাসার ধারণার প্রেমে পরে থাকে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা জানে না কীভাবে ভালবাসতে হয়, তারা ধরেই নেয় যে, ভালবাসার ধারণাটাই বুঝি ভালোবাসা।
আর যেসকল মানুষ ভালোবাসা না পেয়ে বড়ো হয়, তারা খুব গভীরভাবে ভালোবাসতে জানে, কিন্তু প্রকাশ করতে জানে না। অবশ্য সবাই এমন হয় না। বেশিরভাগই এমন হয়।
গল্পে মনজুর হলো এমন একজন মানুষ যার জীবন শুরু থেকে ভালোবাসাহীন ভাবে কেটে গেছে। চৈত্রের দুপুরে এক রাশ বৃষ্টির মত মীরা তার জীবনে আসলো এবং ভালোবাসায় ভিজিয়ে দিয়ে আবার হারিয়ে গেলো।
অন্যদিকে মীরা ভালোবাসা পেতে পেতে বড়ো হওয়া মানুষ, যে ভালোবাসার বাহ্যিক রূপ দেখে অভ্যস্ত, অব্যাক্ত ও অপ্রকাশিত ভালোবাসার রূপ কেমন তা সে জানে না। যে ভালোবাসা দেখা যায় না, সে ভালোবাসা ছুঁতে পারার ক্ষমতা তার নেই। তাই মঞ্জুরের ভালোবাসা সে দেখতে পারেনি, ছুঁতে পারেনি।
অন্য এক চরিত্র জাহানারা, জীবনের নিষ্ঠুরতা তাকে মানুষ চিনতে শিখিয়েছে। সে জানে ভালোবাসার অনেক রূপ থাকে, সে জানে ভালোবাসার অনেক রঙ থাকে, সে জানে অনেক ভালোবাসা বাইরে থেকে দেখা যায় না, তাকে ছুঁয়ে দেখতে হয় মনের গভীরতা দিয়ে, সে জানে কিভাবে ভালোবাসতে হয় কিন্তু সে জানে না কিভাবে ভালোবাসার অধিকার নিয়ে নিতে হয় অথবা সে জানে কিন্তু পারে না।
তবুওতো আমাদের জীবন চলে যায়। কেউ কেউ ভালোবাসা পেয়েও হারায়, কেউ কেউ ভালোবাসার অপেক্ষায় নিজেকে হারায়, কেউ কেউ ভালোবাসতে বাসতে নিজেকে হারায়।
বইয়ের ভালো লাগা কিছু লাইন:
শিশুদের মধ্যে কিছু মজার ব্যাপার আছে। তারা প্রতিদান আশা করে কিছু করে না। কখনো না। বড়রাই সবসময় প্রতিদান চায়।
বোকারা নিজেদের চালাক মনে করলে দোষ। বুদ্ধিমানরা মনে করলে দোষ নেই।
মানুষের কোনো ইচ্ছাই দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
মানুষ হবার অনেক যন্ত্রণার একটি হচ্ছে- যা বলতে প্রাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না।
শুধু সদগুণ নিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ হয় না। যাদের ভেতর শুধুই সদগুণ, মানুষ হিসেবে অনেক নিচের দিকে তাদের অবস্থান।
একজন মানুষ যার ভেতরে মহৎ গুণাবলি ছাড়া আর কিছুই নেই, রাগ নেই, হিংসা নেই, ঘৃণা নেই সে কী করে জান? সে আশপাশের মানুষদের অসম্ভব কষ্ট দেয়। আমরা তাকে এড়িয়ে চলি। ক্ষেত্রবিশেষে পরিত্যাগ করি। কারণ আমরা তাকে সহ্য করতে পারি না।
যেসকল মানুষের মাঝে মানবিক ত্রুটিগুলো অনুপস্থিত তারা পরিপূর্ন মানুষ না। ভালবাসার বাস হচ্ছে হৃদয়ে। তাকে চোখে দেখা যায় না। আমরা করি কি, নানান কাণ্ডকারখানা করে তা দেখাতে চাই যেমন ফুল কিনে আনি, উপহার দেই। এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে এক ধরনের ভান আছে - ভানটা হচ্ছে আমাদের ত্রুটি। যে মানুষের মধ্যে এই ত্রুটি নেই সে ভালবাসা দেখানোর চেষ্টা করবে না।
হুমায়ুন আহমেদ এর উপর একটা বিষয় নিয়ে আমার বরাবর ই খুব রাগ। সেটা হচ্ছে ওনার গল্পগুলো অসমাপ্ত রেখে দেওয়া। এই প্রথম তার ব্যাতিক্রম ঘটল। এই কাহিনিটা তিনি সমাপ্ত না করাতেই আমি খুশি হয়েছি। সমাপ্ত করতে গেলেই বরং খুব খারাপ হত। সাধারণ একটা কাহিনি অথচ কি অদ্ভুত রকম বাস্তবতায় ঘেরা। পড়তে পড়তে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম এই মনজুর নামের লোকটার প্রতি। যেন অনুভব করতে পারছিলাম জাহানারাকে। কি তিব্র অনুভুতি অথচ অসহায়! মনজুরকে বারবার গাধামানব বলে পরিচয় দিলেও আমার কাছে কিন্তু তাকে আদর্শমানব বলে মনে হয়েছে। একজন এই উপন্যাস টা পড়ে আমাকে বলছিল মীরার চরিত্রটা নাকি একদম আমার মত😑 সেজন্যেই আগ্রহ নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম। কিন্তু পড়ার পর বুঝলাম যে না, মোটেও না। মীরার মত এত বাস্তব বুদ্ধি আমার নেই। সামান্য দাবা খেলাও আমার মাথায় ঢোকে না আর বুদ্ধি। আমি নিতান্তই সহজ সরল ভাবে সবকিছু দেখি এবং তেমনি সহজ আমার চিন্তাধারা। যদি মীরার মত হতাম তাহলে খুশিই হতাম। মীরার মত ভুল গুলো করতে পারলেও শান্তি পেতাম। 😌
বিভিন্ন কারণে মন বিষন্ন, বই পড়ার মন মানসিকতা সে ভাবেই নাই বললেই চলে।কাছের এক বান্ধবী, একজন মায়াবতী বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করে।তার কথার প্রেক্ষিতে বইটি পড়া শুরু করি। এইবার বইটি নিয়ে কিছু বলা যাক-- হুমায়ুনের বইয়ের প্রতি অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে আমার।একজন মায়াবতী, পড়তে খারাপ লাগেনি। কিছু কিছু ঘটনার পুনরাবৃত্তি ছিল তারপরও মনে হয়েছে একজন লেখক হাজারটা বই লেখলে এইরকম পুনরাবৃত্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়--- "ইমরুল -ভেমরুল "এই ঘটনাটি হিমু সিরিজের কোন একটা বইয়ে ছিলো, এখানেও লেখক সেটি ব্যবহার করেছেন। এইবার আসি উপন্যাসের চরিত্র, মিরার কথায়... সুন্দরী -বুদ্ধিমতী নারী যে মনজুরের প্রাক্তন স্ত্রী। মনজুর আর মিরার বিবাহচ্ছেদ হয় কারণ মিরার মনে হয়েছে মনজুর রোবট টাইপ মানুষ, যার মাঝে ভালোবাসা জিনিসটাই নাই। এরপর অনেক ঘটনার অবতারণা এবং শেষে তৃতীয় ব্যক্তি জাহানারার অবদানে তাদের মিলন হবার আশা লক্ষ্য করা যায়। অসম্ভব সুন্দর একটা উপন্যাস। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ না করলেও যে ভালোবাসা যায় তা��� প্রমাণ মনজুর। আর অন্যদিকে কিছু কিছু মানুষের ভালোবাসা এত সুন্দর আর নিস্বার্থ হয় তার উদাহরণ হচ্ছে জাহানারা। আমার কাছে জাহানারা, সে একজন মায়াবতী মেয়ে। #ভালো লাগার মত উপন্যাস, যাদের অনেকদিন কোন বই পড়া হয়না-তারা চাইলে একজন মায়াবতী, দিয়ে শুরু করতে পারেন।👍👍
হুমায়ূন আহমেদের বেশিরভাগ বইগুলোর চরিত্রের নামগুলো কাছাকাছি বা প্রায় একই হয় দেখে ওনার এমন মাঝারি সাইজের উপন্যাসগুলোর প্রায়শই কাহিনীই আমার মনে থাকে না। এটাও ঠিক তেমন একটা বই। বইটার কাহিনী মূলত মনজুর নামের এক ব্যক্তি কে নিয়ে যার একটা কিডনী নষ্ট আর আরেকটার গেলো গেলো অবস্থা। পুরো বইয়ে মনজুরের অসুস্থতাই বর্ণনা করা হয়েছে। বইয়ের আরেক দুই চরিত্র ছিল মীরা(মনজুরের প্রাক্তন স্ত্রী) আর জাহানারা ( মনজুরের অফিসের কলিগ) লেখক একজন মায়াবতী বলতে ঠিক কাকে বুঝিয়েছেন এটা লেখকই ভালো জানে। হুমায়ূন আহমেদের বইয়ে এমন একজন থাকেই যার দুনিয়া নিয়ে কোনো আগ্রহ থাকে না,সবকিছুতেই নির্বিকার, যাকে লেখকই বলে থাকেন "অনেক টা মহাপুরুষ ধরনের"। এই বইয়ে এমন একটা চরিত্র ছিল মনজুর নিজেই। আমি জানি না কেনো তবে আমার সবসময় লাগে এমন একটা চরিত্রের মাধ্যমে হুমায়ূন আহমেদ নিজেকেই খানিকটা তুলে ধরেন তার বইয়ে। ক্লাসিক হুমায়ূন আহমেদের বই, কাহিনীর কোনো শেষ নেই । পড়ে মনে হবে না পড়লেও মন্দ হতো না।
আশাহত করেনি, কয়েকটা উক্তি খুব লেগেছে, ❝ভালবাসার বাস হচ্ছে হৃদয়ে। তাকে চোখে দেখা যায় না। আমরা করি কি, নানান কাণ্ডকারখানা করে তা দেখাতে চাই।যেমন ফুল কিনে আনি, উপহার দেই। এসব কর্মকাণ্ডের পেছনে একধরনের ভান আছে – ভানটা হচ্ছে আমাদের ত্রুটি।যে মানুষের মধ্যে এই ত্রুটি নেই সে ভালোবাসা দেখানোর চেষ্টা করবে না।❞
বইটি পড়ার সময় আমার কাছে সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগছিল মীরাকে। এত ওভার কনফিডেন্স মানুষ আমার মোটেই পছন্দ না। তাছাড়া সে নিজেকে খুব বুদ্ধিমতী ভাবে। এটাও ভালো লাগেনি। মীরাকে যেমন ভালো লাগেনি তেমনি তার পুরোনো প্রেমিক মইন সাহেবকেও ভালো লাগেনি। মনজুরকে অনেক ভালো লেগেছে। সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে এজন্য যে তার মধ্যে কোনো ভান নেই। সবাই ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারেনা। প্রত্যেকে নিজের মত করে ভালোবাসে। মনজুরও মীরাকে অনেক ভালোবাসে কিন্তু মীরা তা কখনো বুঝতে পারেনি। মীরা তো বুদ্ধির জাহাজ নিয়ে ঘুরাফেরা করে তাই বলে যে মনজুরের ভেতরে ভালোবাসা নেই। ওর সাথে মীরাকে একদমই মানায় না। মানায় জাহানারার মত মেয়েকে। যে মনজুরকে নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবাসে। আমি শেষে চাচ্ছিলাম জাহানারার সাথেই মনজুরের বাকি জীবনটা কাটুক। মীরার মত এমন মেয়ের সাথে না যার মন এখনো মইনের মত একটা ফালতু লোকের কাছে ছুটে যেতে চায়। কিন্তু শেষে যা পড়লাম তাতে মনে হল মনজুরের ভাগ্যে বোধহয় মীরাই আছে!!
এই প্রথম উপন্যাস অসমাপ্ত রেখে দেয়াতে আমি লেখকের উপর রাগ করিনি। কারণ আমার মনে হয় উনি নির্ঘাত মীরাকে মনজুরের কাছে ফিরে যেতে দিতেন না। যেহেতু কাহিনি অসমাপ্ত তাই আমি ধরেই নিলাম মীরা মনজুরের কাছে ফিরে গিয়েছিল আর মনজুরও অপারেশন থিয়েটার থেকে বেঁচে ফিরেছিল। 'অতঃপর তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল।"
This entire review has been hidden because of spoilers.
আচ্ছা, মনজুর যখন আমানউল্লাহকে তাঁর কিডনির জন্য এক লাখ টাকা দিল তখন আপনি কি মনে মনে চান নাই মনজুর কোনো এক যুক্তি দেখিয়ে আমানউল্লাহর কিডনি নিতে অস্বীকৃতি জানাক? আমি চাইছি এরকমটা। আমার মনে হয় অধিকাংশ পাঠকই এমনটাই চাইসে। কিন্তু এর কারণ কী? এটা মনজুরের স্বভাববিরুদ্ধ? নাকি মনজুরের নিস্পৃহতা, সবকিছু মানিয়ে নেয়া স্বভাবে আমরা আমাদের প্রতিফলন দেখতে পাই যা আমাদের ক্ষুব্ধ করে? আবার অন্য একটা অর্থ ও থাকতে পারে, মনজুরের নির্লোভ স্বভাব। মনজুর যদি এভাবে সার্ভাইব করতে পারে তাহলে আমরা কেন সিস্টেমের দোহাই দিয়ে এমনভাবে নষ্ট হলাম! আমাদের ভেতরের সেই ভন্ড মানুষটাকে উন্মোচনের জন্যই কি আমরা মনজুরের মৃত্যু কামনা করি না!?
এই যে, হুমায়ূন আমাদের একটা নৈতিক দ্বন্ধে ফেলে দিল—সহজাত ও আরোপিত কোন ভাব ছাড়াই—ব্যাপারটা আপনি খুব কম লেখকের লেখায় পাবেন। বিশ্বাস করেন!
This entire review has been hidden because of spoilers.
প্রতিটা মানুষ যেমন আলাদা তাদের চিন্তাধারাও তেমনি আলাদা। কারোর কাছে এটা একটা স্টেরিওটাইপ রোমান্টিক উপন্যাস আবার কারোর কাছে অব্যাখ্যাত আখ্যান। সত্যিই কি তাই ঘটে বা ঘটেছিল আপনার সাথে যা আপনি ভাবছেন বা ভেবেছিলেন?
শুয়ে শুয়ে অশোক পাতায় মুমূর্ষ শিশির বলে, 'হায়, কোনো সুখ ফুরায় নি যার তার কেন জীবন ফুরায়? '
কিছু উপন্যাস নিজের শেষ করে নিতে হয়,এটাও ঠিক তেমনই। অবশ্য লেখক যেভাবে শেষ করেছে, তাতে যেনো মনে হচ্ছিলো মনজুর তার পুরোনোকে পেয়ে যাবে। কিন্তু আমি যে নতুন কিছু নিয়ে মনে মনে শেষ করে দিলাম!
The way I absolutely saw no chemistry between Monjur and Meera at first, then I was slowly feeling something but thought it was nothing. Then was just in denial because I was sure they would not end up but ended up rooting for them anyway😭
সুন্দরী, বুদ্ধিমতী নায়িকা। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত নায়ক, নিখুঁত ভালোমানুষ। যার সমস্যা একটাই, সে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না। এই নিয়ে নায়ক-নায়িকার সম্পর্কে জটিলতা, অতঃপর দূরত্ব। শেষমেষ তৃতীয় ব্যক্তির হস্তক্ষেপে জটিলতার অবসান।
A stereotypical representation of Bangali romance. শেষ করার কয়েক মাসের মাথায় আপনি এই গল্প ভুলে যাবেন, সফটকপি পড়ে থাকলে গল্প-চরিত্রের নাম-ধাম সহ। তবে, যেহেতু লেখাটা হুমায়ূন স্যারের, এক বসায় পড়ে ফেলতে কোনো সমস্যাই হবে না।
এ বছরের ১০০ তম পড়া বই হিসাবে যুক্ত হল এই বইটা। আমি মনে মনে চাচ্ছিলাম সেঞ্চুরি এমন একটা বই দিয়ে করতে যেটা একবার পড়া শেষে, মস্তিস্কে দীর্ঘ সময়ের জন্য থেকে যাবে। কিন্তু আফসোস, এই বই পড়া শেষে মনে হচ্ছে যত দ্রুত ভুলব ততই বরং ভাল।
হুমায়ূন আহমেদ বিখ্যাত তার সামাজিক উপন্যাসের জন্য। সমাজের বিভিন্ন মানুষের জীবনের গল্পকে সে আশ্রয় দিয়েছে কাগজের পাতায়। কিছু কিছু গল্প তিনি লিখেছেন যা পড়া শেষে মনে হয়েছে, এমন একটা বই আমি আর দ্বিতীয়টা কখনো পাব না, এত সুন্দর, এত দারুণ। আবার কিছু বই লিখেছেন যা শেষে মনে হয়েছে, সময় নষ্ট করলাম, ধৈর্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিলাম। হুমায়ুন আহমেদ কোয়ালিটি এবং কুয়ান্টিটির মাঝে ভারসাম্য করতে পারেন নাই। অনেক বই লিখেছেন যা আমার মনে হয়েছে শুধু লেখার জন্যই লেখা, বইয়ের গল্পের প্রতি কোন অনুভূতি লেখকের মনে জাগে নাই।
"একজন মায়াবতী" নামটা দেখে মনে হতে পারে খুব স্নিগ্ধ কোন প্রেমের গল্প এটা। অনেকে হয়ত এই নামটা দেখে তার প্রিয়তম মানুষকে উপহার দিয়ে দিয়েছে, আফসোস যদি তারা একবার পড়ে নিতো :"(
হুমায়ূন আহমেদ এত এত বই লিখেছেন যে একসময় গিয়ে উনি তালগোল পাকায় ফেলেন। কাহিনির রিপিটেশন মারাত্মক আকারে লক্ষণীয় হয়ে উঠে। এই বইটাও সেই দলের। তার উপর বইটার বিশেষত্ব বলতে, ত্রিমুখী এক প্রেমের গল্প। গল্পের প্রোটাগনিস্টের কিডনী নষ্ট, কিডনী লাগবে। তার স্ত্রীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে কারণ তাদের মাঝে বনিবনা হয় নাই। স্ত্রীর পূর্বে একজনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল যাকে স্ত্রী নিজের জীবনের সবচেয়ে তাৎপর্য পূর্ণ ঘটনা বলে মনে করে। কিন্তু সেই মানুষটা তাকে যখন গ্রহণ করে নাই তখন, পরবর্তীতে সে বিয়ে করে আমাদের গল্পের প্রোটাগনিস্ট মনজুরকে। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে মনজুরের মাঝে তার প্রাক্তন সঙ্গীর কোন ছায়া সে দেখতে পায় নাই, সে চেয়েছিল একটা মানুষকে দিয়ে আরেকটা মানুষের স্মৃতি ধরে রাখতে কিন্তু যখন সেটা আর হল না তখন বাধ্য হয়ে মনজুরের অনেক অনেক দোষ ত্রুটি তার চোখে বাঁধা শুরু করল। আর চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে তাদের ছাড়াছাড়ি। আমি পড়তে পড়তে এতত মেজাজ খারাপ হচ্ছিল। এরপর আসে আরেক নেকি জাহানারা, উফফ এতত বিরক্তিকর সব কাজ কারবার। আল্লাহ মাফ করুক।
উপন্যাসে একটা জিনিসই ভাল লাগছে তা হচ্ছে মনজুর আর তার বড় ভাইয়ের মাঝের সম্পর্কটা, এবং তার বন্ধুর সাথে সম্পর্কটা। মূলত এই দুইটা মানুষের উপস্থিতির জন্য দুইটা স্টার দিলাম।
মানুষ বলে ডোন্ট জাজ আ বুক বাই ইটস কভার, আজ থেকে আমি বলব ডোন্ট জাজ আ বুক বাই ইটস নেম। অসহ্য, সারি মুড খারাব কার দিয়া। 😪
আমরা জীবন শুরু করি,তারপর হঠাৎ একদিন দেখি-সময় শেষ-দুয়ারে পালকি এসে দাঁড়িয়ে!
কত্তদিন পর একটা বই পড়া হলো! হুমায়ুন এর বাকি সব বই এর মতই,খুব অসাধারণ কিছু লাগল না। মঞ্জুর,যার দরকার একটি কিডনির, বিয়ের ৩বছর পর ডিভোর্স চাওয়া ধনীর মেয়ে মীরা,একসময় মঞ্জুর কাছ থেকে চাকরি পাওয়া জাহানারা..এই ত,এদের নিয়ে খুব সাদামাটা একটা গল্প।
মন খুব বেশি বিক্ষিপ্ত,জীবন টা কে মনে হচ্ছে একটা বাচ্চাদের স্লাইড এর মত।কস্ট করে চূড়ায় উঠা হয়েছিল,কিছুদিন থাকাও হয়েছিল,এখন সময় ফুস করে নিচে নেমে যাওয়ার! It's a long way down....
This entire review has been hidden because of spoilers.
মনজুর থ্রি-পি কন্সট্রাকশনে এর কর্মকর্তা। এই অফিসের জন্মলগ্ন থেকে সে আছে, কারণ এই অফিসটির মালিক তার বন্ধু নুরুল আফসার। নরুল সাহেব তার বউ এর সাথে বিদেশে চলে যাবেন, যাবার আগে কোম্পানীর ৫১% শেয়ার লিখে দিয়েছে মনজুর এর নামে। কিন্তু মনজুর এর কোনো উল্লাস নেই। সে মানুষের ত্রুটিগুলো থেকে মুক্ত। তার মধ্যে আবেগ, হিংসা, লোভ কিছুই নেই। মনজুর এর শরীর খুব খারাপ। তার একটি কিডনি নেই, অন্য কিডনী অকেজো হচ্ছে দিনকে দিন। মনজুর কিডনির জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছে। কিডনি কেনার জন্য মনজুর এর দরকার ১ লাখ। সেই টাকা নেয়ার জন্য সে তার মামা বদরুল আলম, উড কিংস কাঠের দোকানের মালিক এর কাছে গিয়েছিলো। মনজুর এর বিয়ে হয়েছিলো মীরার সাথে। পছন্দটা জাহানাররই ছিলো। কিন্তু ৩ বছর এর পর মীরার মনে হয়েছে সে মনজুর এর সাথে থাকতে পারবে না। তাই সে তাকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে এসেছে। এই পরিবারে তার বাবা আর বড় ভাই ভাবী আছে। তারা আগে থেকেই চাইতো না মনজুর এর সাথে জাহানারর বিয়ে হোক। জাহানারর চাকরি দরকার। সে মইন এর সাথে দেখা করছে চাকরির জন্য। মইনের জন্য এক কালে মীরার গভীর আবেগ ছিলো। সেই আবেগ হয়তো অবশিষ্ট আছে এখনো। মনজুর তার কিডনীর ডোনার পেয়ছে। নাম আমানুল্লাহ। তাকে ১ লাখ টাকাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মনজুর এর মনে হয়েছে এই কিডনী যদি সে নিয়ে নেয়, তাহলে আমানুল্লাহ ছেলেটিরও একসময় তার মতো সমস্যা হবে। তাই মনজুর ঠিক করেছে সে কিডনী নিবে না আমানুল্লাহর। এই ডিসিশান সবচেয়ে বেশি এফেক্ট করেছে মনজুরের অফিসের টাইপিস্ট জাহানারাকে। জাহানারার একসময় চাকরির খুব দরকার ছিলো, সেই সময় মনজুর তার এই চাকরির ব্যবস্থা করে দেয়। মনজুর এর জন্য জাহানারার পরিবার রাস্তায় নামেনি। জাহানারার একটি সফট কর্ণার আছে মনজুর এর জন্য। মনজুরের সাথে মীরার ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু মনজুর এর মন মীরার কাছেই থাকে। ভালোবাসা প্রকাশ করার ব্যাপারটি মনজুর এর মধ্যে নেই। তার সব ভালোবাসা তার অন্তরে। মীরা তা জানেও না। মীরার কাছে মনজুর রোবট। জাহানারা ব্যাকুল হয়ে মীরার কাছে গিয়েছে যাতে মীরা মনজুরকে মানায় কিডনি নেয়ার জন্য। জাহানারার ব্যাকুলতা দেখে মীরা বুঝতে পারে, এই মেয়েটির মন ভর্তি রয়েছে তার স্যার মনজুর এর জন্য ভালোবা���া।
This entire review has been hidden because of spoilers.
লেখকের লেখার ভেতর যে কতটা মায়া থাকে তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ একজন মায়াবতী। এ যেন লেখকের লেখার মায়া!
বইটি মানব প্রকৃতি এবং সম্পর্কের বেড়াজাল নিয়ে শব্দের রং তুলিতে আঁকা জীবনের গল্প। জটিল মানব মনের জটিল ভাবাবেগ তুলে ধরা হয়েছে গল্পটিতে। আধুনিক ধারার লোক দেখানো আর চাটুকারিতা ছাপিয়ে ভালোবাসাকে একটা নতুন মাত্রা দেওয়া হয়েছে। যে ভালোবাসা ধরা যায় না,ছোঁয়া যায় না। শুধু অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হয়।
কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত মনজুর। তার চিকিৎসার জন্য তোড়জোড় চলছে........
বাবার ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। বাবার ধারনা বিদেশে চিকিৎসা হলে তিনি ঠিক হয়ে যাবেন। আমাকে সবসময় বলতেন টাকার কথা।কিন্তু কাছে কোন টাকা ছিলো না। আমি আমার একটি কিডনি বিক্রি করে বাবার হাতে টাকা দিলাম। টাকা হাতে পাওয়ার দু দিনের মাথায় বাবা মারা যায়।
মা-বাবা-ভাই-বোন কেও নেই মনজুরের।ভালোবাসা হীন পৃথিবীতে মানুষ হয়েছে সে।এই প্রথম ভালোবাসা পাবে সে।সে জানে না ভালোবাসার মানে কি।কি করে ভালোবাসবতে হয় ! এই ভালোবাসাহীন পৃথিবীতে মীরাই তাকে শেখাবে ভালোবাসার মানে! ভালো কি করে ভাসতে হয়! অতি বুদ্ধিমতী মেয়ে মীরা কি তা পেরেছিলো?
গল্পের প্রয়োজনে, কাহিনী - সংলাপে আরো অনেক চরিত্র স্থান পেয়েছে উপন্যাসে। জীবন্ত সেই সব চরিত্র যেন আমাদের ভেতর খেলা করে সবসময়। আমাদের চারপাশে ঘুরে বেড়ায় চরিত্র গুলো। আমাদের জীবনের গল্পগুলো কেমন হয়? চারপাশের মানব প্রকৃতির উৎকৃষ্ট উদাহরণ জানতে হলে পড়তে হবে হুমায়ূন আহমেদের একজন মায়াবতী।
বইটার নাম দেখে মনে এত আবেগের উদ্ভব হওয়ার কিছু নাই। সম্ভব হলে বইটার নাম বদলে "একজন সাইডচিক" করে দিতাম। কারণ বইয়ের প্রধান চরিত্র মনজুর সেই মায়াবতীকে তার প্রাপ্যটুকু দেয়নি। হুমায়ুন আহমেদের গল্পের নির্দিষ্ট কিছু উপাদান থাকে। বদরাগী বাবা, অসম্ভব ধনী কেউ, অপরূপ সুন্দরী নারী, অদ্ভুত ব্যাক্তিগত আদর্শে চলা প্রধান চরিত্র আর দুটো-একটা পাগল। এই গল্পে এসবের সবকটাই আছে।
সাধারন এক মানুষের গল্প রয়েছে বইটিতে। খুবই সাধারন। কিন্তু এই অতিসাধারন মনজুরের চরিত্রেই যেন রয়েছে অসাধারন কিছু। মনজুর এবং তার আসেপাশের মানুষগুলোকে নিয়ে লেখা বইটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলো মুগ্ধতা।