What do you think?
Rate this book


130 pages, Hardcover
First published April 1, 1992
“সকলের ভেতরেই বোধহয় এইরকম আরো একটা আলাদা সংসার পাতা থাকে, সেখানে সে তার খেলার পুতুলের জন্য নিজের যথাসর্বস্ব দ্যায়, এক টুকরো ভাঙা কাচের জন্য বুক ভরে কাঁদে, নিছক কাগজের নৌকা ডুবে গেলে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যায়...”
“এইভাবে সবকিছু একদিন গল্প হয়ে যায়। জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা...”
ছবিদি পড়ার ঘরে একা বসেছিল একটা বই নিয়ে। বললাম, মনি ভাই তোমাকে ডাকে ছবিদি, পেছনের বাগানে দাঁড়িয়ে। ছবিদি চোরের মতো পা টিপে টিপে মনি ভাইজানের সামনে এসে দাঁড়ালো। মনি ভাইজান, পুকুরে ডুবে যাওয়ার মতো হাঁসফাস করে বললে, ছবি, আমরা চলে যাচ্ছি। ছবি, আমরা আর এখানে আসবো না, আমাকে মাফ করে দাও। কোনো কথা না বলে মাটির ওপরে বসে পড়লো ছবিদি, ফুপিয়ে উঠলো। মনি ভাইজান আবার বললে, আমরা চলে যাচ্ছি ছবি। ছবিদি বললে, মনিদা কোনোদিন মন থেকে তোমাকে গাল দিই নি–। মনি ভাইজান বললে, আমাকে কিছু দাও ছবি, আমাকে কিছু দাও। উঠে দাঁড়িয়ে ছবিদি বললে, কি নেবে মনিদা, কি নেবে তুমি? মনি ভাইজান বললে, তোমার যা খুশি, যা দিতে পারো, হাতে সময় নেই, দেরি হয়ে যাচ্ছে, দাও। ফস করে মাথা থেকে ফিতে খুলে দিল ছবিদি। বললে, এটা নেবে? মনি ভাইজান ভিক্ষা নেওয়ার মতো দুহাত পেতে বললে, তোমার মাথার কাটা, ক্লিপ, যা পারো,সব দাও। ছবিদি দিলো। দিয়ে হু-হু করে কেঁদে উঠলো। বললে, মনিদা, আমি মরে যাবো, আমি মরে যাবো।
পাশে দাঁড়িয়ে মনি ভাইজান, মনি ভাইজানের জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালোবাসা, যে ভালোবাসায় অনেক ছেলেবেলা…
এখন তো শীত চলে এসেছে। কিন্তু গরমের দিনে বাজারে পানীয় বিক্রির হার বেড়ে যায়। কত রকমের ফ্লেভারের পানীয়! কোকাকোলা, সেভেন-আপ, মাউন্টেন ডিও, পেপসি, মিরিন্ডা আরও কত কি। আর তার পাশে রাস্তার ধারের বরফ দেয়া লেবুর শরবত! রৌদ্র তপ্ত দিনে ক্লাস কিংবা প্রয়োজনীয় কাজ শেষে ফেরার সময় বরফ দেয়া লেবুর শরবত প্রায়ই আমার কাছে শ্রেষ্ঠ পানীয়ের একটা বলে মনে হয়! আর এই বই সেই রাস্তার ধারের পিপাসার্তের লেবুর শরবত কিংবা পথচলা তৃষিতের আজলা ভরে পান করা অতি স্বচ্ছ নির্মল পানি!
"মনি ভাইজান বললে, তোমার যা খুশি, যা দিতে পারো, হাতে সময় নেই, দেরি হয়ে যাচ্ছে, দাও। ফস করে মাথা থেকে ফিতে খুলে দিল ছবিদি। বললে, এটা নেবে? মনি ভাইজান ভিক্ষা নেওয়ার মতো দুহাত পেতে বললে, তোমার মাথার কাটা, ক্লিপ, যা পারো,সব দাও। ছবিদি দিলো। দিয়ে হু-হু করে কেঁদে উঠলো। বললে, মনিদা, আমি মরে যাবো, আমি মরে যাবো। "
“এইভাবে সবকিছু একদিন গল্প হয়ে যায়।
জামার পকেটে একটা ফিতে, ফিতেয় চুলের গন্ধ, যে গন্ধে অনেক দুঃখ, যে দুঃখে অনেক ভালবাসা, যে ভালবাসায় অনেক ছেলেবেলা..........”
"ওরে আমার দুনিয়া
ওরেহ আমার দুনিয়া
তোর সাথে কিসের মায়া মমতা??
তুমি এতো ভেল্কি জানো,
আগে যদি জানিতাম!!
তাহলে কি মানুষ হয়ে এই
দুনিয়ায় আসিতাম?
তোর সাথে কিসের মায়া মমতা..."