ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা কাল সারারাত ঘুম হয় নি। ঘুম না হবার কোনো কারণ ছিল না। কারণ ছাড়াই এই পৃথিবীতে অনেক কিছু ঘটে। দিনের আলো ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে ঘুমোতে গেলাম। সঙ্গে সঙ্গে চোখভর্তি ঘুম। কতক্ষণ ঘুমিয়েছি জানি না। ঘুম ভাঙল স্বপ্ন দেখে। আমার বাবাকে স্বপ্নে দেখলাম। তিনি আমার গা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলছেন, এই হিমু, হিমু, ওঠ। তাড়াতাড়ি ওঠ। ভুমিকম্প হচ্ছে। ধরণী কাঁপছে। আমি ঘুমের মধ্যেই বললাম, আহ, কেন বিরক্ত করছ? বাবা ভরাট গলায় বললেন, পাকৃতিক দুর্যোগের মতো মজার ব্যাপার আর হয় না। ভেরি ইন্টারেষ্টিং। এই সময় চোখকান খোলা রাখতে হয়। তুই বেকুবের মতো শুয়ে আছিস। ঘুমোতে দাও বাবা। তোর ঘুমোলে চলবে না। মহাপুরুষদের সবকিছু জয় করতে হয়। ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ঘুম। ঘুম হচ্ছে দ্বিতীয় মৃত্যু। সাধারণ মানুষ ঘুমায়-অসাধারণরা জেগে থাকে।......
Humayun Ahmed (Bengali: হুমায়ূন আহমেদ; 13 November 1948 – 19 July 2012) was a Bangladeshi author, dramatist, screenwriter, playwright and filmmaker. He was the most famous and popular author, dramatist and filmmaker ever to grace the cultural world of Bangladesh since its independence in 1971. Dawn referred to him as the cultural legend of Bangladesh. Humayun started his journey to reach fame with the publication of his novel Nondito Noroke (In Blissful Hell) in 1972, which remains one of his most famous works. He wrote over 250 fiction and non-fiction books, all of which were bestsellers in Bangladesh, most of them were number one bestsellers of their respective years by a wide margin. In recognition to the works of Humayun, Times of India wrote, "Humayun was a custodian of the Bangladeshi literary culture whose contribution single-handedly shifted the capital of Bengali literature from Kolkata to Dhaka without any war or revolution." Ahmed's writing style was characterized as "Magic Realism." Sunil Gangopadhyay described him as the most popular writer in the Bengali language for a century and according to him, Ahmed was even more popular than Sarat Chandra Chattopadhyay. Ahmed's books have been the top sellers at the Ekushey Book Fair during every years of the 1990s and 2000s.
Early life: Humayun Ahmed was born in Mohongonj, Netrokona, but his village home is Kutubpur, Mymensingh, Bangladesh (then East Pakistan). His father, Faizur Rahman Ahmed, a police officer and writer, was killed by Pakistani military during the liberation war of Bangladesh in 1971, and his mother is Ayesha Foyez. Humayun's younger brother, Muhammed Zafar Iqbal, a university professor, is also a very popular author of mostly science fiction genre and Children's Literature. Another brother, Ahsan Habib, the editor of Unmad, a cartoon magazine, and one of the most famous Cartoonist in the country.
Education and Early Career: Ahmed went to schools in Sylhet, Comilla, Chittagong, Dinajpur and Bogra as his father lived in different places upon official assignment. Ahmed passed SSC exam from Bogra Zilla School in 1965. He stood second in the merit list in Rajshahi Education Board. He passed HSC exam from Dhaka College in 1967. He studied Chemistry in Dhaka University and earned BSc (Honors) and MSc with First Class distinction.
Upon graduation Ahmed joined Bangladesh Agricultural University as a lecturer. After six months he joined Dhaka University as a faculty of the Department of Chemistry. Later he attended North Dakota State University for his PhD studies. He grew his interest in Polymer Chemistry and earned his PhD in that subject. He returned to Bangladesh and resumed his teaching career in Dhaka University. In mid 1990s he left the faculty job to devote all his time to writing, playwright and film production.
Marriages and Personal Life: In 1973, Humayun Ahmed married Gultekin. They had three daughters — Nova, Sheela, Bipasha and one son — Nuhash. In 2003 Humayun divorced Gultekin and married Meher Afroj Shaon in 2005. From the second marriage he had two sons — Nishad and Ninit.
Death: In 2011 Ahmed had been diagnosed with colorectal cancer. He died on 19 July 2012 at 11.20 PM BST at Bellevue Hospital in New York City. He was buried in Nuhash Palli, his farm house.
পারাপার হিমুর প্রকাশিত চতুর্থ বই৷ সিরিজের সবচেয়ে আইকনিক বইগুলোর একটা। আমার ধারণা এই বইটা লেখার সময়েই হুমায়ূন আহমেদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে হিমুর ঘটনাগুলো তিনি যেভাবে ইচ্ছে, সেভাবে লিখবেন। প্লটের প্রয়োজনে যে কোন ভাষা ব্যবহার করবেন। সামলে চলার প্রয়াস, ইমেজ নিয়ে ভাবনা- এসব ঝেরে ফেলে নিজেকে একাত্ম করে তোলেন হিমুর সাথে৷ তার দৃষ্টিতে দেখতে থাকেন, বলতে থাকেন সবকিছু৷ সেখানে এসে মেশে নগরের কোলাহল, গ্রামের ঘুঘুর ডাক, কিছুটা জাদুবাস্তবতা, কিছুটা রম্য আর হিমু।
হিমুর বইগুলোতে এমন কিছু কথা থাকে যেগুলো পড়ার পর মনে হয় কোন একদিন আমিও সারা শহর ঘুরবো, মধ্যদুপুরে গাছের নিচে বসে ঘুমুবো, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করবো।হিমুর আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আমাকে সবসময় অবাক করিয়ে দেয় তার প্রতি ভাললাগাটা বাড়িয়ে দেয়।
হিমুর ছেলে মানুষীর পিছনে যে একটা সুন্দর মনুষ্যত্ব লুকিয়ে আছে এটা যে বুঝতে পারে সেই শুধু হিমুকে ভালবাসতে পারে।একটি কুকুরছানার জীবন রক্ষার্থে তাকে কিনে নেওয়ার কথা কি কেউ ভাবে? সবাই সখ করেই কুকুর কিনে।হিমুরা সখ নয় তাদের বেঁচে থাকার আকুলতাকে অনুভব করে যেকোন মূল্য কিনে নিতে পারে।বইটির এই অংশটি পড়ে খুব ভাল লেগেছিল।এই বই এ রূপার কথাও উল্লেখ আছে।শেষে মনে হয়েছিল হিমু আর রূপা বাকিসময়টা যেন একসাথেই জোছনার আলোয় আলোকিত হয়। '
"তবে রূপবতীদের সব অভদ্রতা ক্ষমা করা যায়।এরা অভদ্র হবে এটাই স্বাভাবিক। এরা ভদ্র হলে অস্বস্তি লাগে।" (পারাপার) পারাপার,পড়েই ফেললাম ভালো লেগেছে। হিমুর নিষ্পাপ লোক খোঁজার মিশন ভালো ছিল। হিমু ইয়াকুব সাহেবের মেয়ে মিতুকে দেখে অভিভূত হয়েছে তার কাছে মিতুকে রূপার থেকে সুন্দরী মনে হয়ছে। একটা প্রশ্ন জাগে,হিমু খালি সুন্দরী ললনা দেখে অভিভূত হয় কেন!! ইয়াকুব সাহেবরা নিষ্পাপ মানুষের রক্ত নিতে ইচ্ছুক কিন্তু নিজেরা ভালো মানুষ হতে নারাজ।মৃত্যু দরজায় কড়া নাড়লেও ইয়াকুব সাহেবরা ধন সম্পত্তি কাউকে দান করতে নারাজ। হিমু-রূপা জ্যোৎস্না দেখার জন্য একসাথে জয়দেবপুর ছুটছে,কিন্তু চাঁদের আলোতে হিমু বিমোহিত হচ্ছে তার কাছে মনে হচ্ছে রূপা না মিতু পাশে বসে আছে।😔
হিমুর পাঞ্জাবির পকেট থাকে না। অথচ একজায়গায় পড়েছিলাম পাঞ্জাবির পকেট থেকে টাকা বের করার কথা। আর এখানে পড়লাম সিগারেট বের করার কথা। আর হিমুর খালাতো বোনের মেয়ে পলিনের ব্যাপারটা আমি ঠিক বুঝতে পারিনি। শেষদিকে এসে পলিনকে নিয়ে আরও কিছু লেখা যেতো। আর রইলো রূপার প্রতি অবিচার,,, থাক এটা নিয়ে কিছু বললাম না ; হিমুর স্বভাবই তো এরকম।
The most satisfying Himu read till now . . . . The ending really made my day! (y)
There are so many WoW! Whoa! LmaO! RofL! moments in these 99 pages . . . . . From classic one-liners to perfect comic-rappo between distinct serious people. From the perceptive intuition of Himu to his earnest feelings and emotions for the people he cares and love, to the amazing awe and astonishment e goes through and tags us along with, this story has all of them. The day-by-day deteriorating society, to the selfishness of man as well as his selflessness, to behaving with rudeness and arrogance to our dear ones to prove a point, to accepting them what they are and let them be!
Every character, from the small Moynar Maa to the plushy Yakub Ali, from the children playing with the miserable poodle to the driver Chamchu has their important part to play, with their similarities and their contrasts, they make this tale an ordinary one, yet it has the extraordinary zeal and magnanimous-ness that touches you and makes you feel for them.
Recommended to everyone for the sudden brilliant laughs and gags and the slow tear-jerkers and the deep and serious questions it raises so easily within you.
হিমুর প্রথম দিককার বইগুলো অন্যরকম অনুভূতি দেয়। সজ্ঞানে নয় কিন্তু কিভাবে যেন এটি পড়া হয়ে উঠেনি! এবার হিমুর দায়িত্ব ছিল নিষ্পাপ মানুষের রক্ত খোঁজা। গতানুগতিক হলেও বইয়ের কিছু অংশ দাগ কেটে দেয়!
'সততা একসময় রোগের মতো হয়ে দাঁড়ায়। সবসময় দেখা যায় সৎ মানুষরা ভয়ানক অহঙ্কারী হয়। এরা নিজেদেরকেই শুধু মানুষ মনে করে, অন্যদেরকে করে না।'
-আপনি বদলাননি তাহলে ওসি সাহেব? -বদলাব কেন? আমি কি গুঁইসাপ যে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলাব?
As far as Himu goes, this was one of the best. No, I didn't think so when I kept reading it. It was fun, made me laugh. But it was not until the end, I truly loved the book. Absolutely beautiful ending.
আহ!! হিমু! কি এক অদ্ভুত সুন্দর চরিত্র! এক সুবিশাল মনের মানুষ!
শেষ করে ফেললাম হিমু সিরিজের চতুর্থ বই "পারাপার"। কিছু বই থাকে যেগুলা পড়লে চট করে মনটা ভালো হয়ে যায়। এই বইটা ঠিক সেরকম একটা বই। মনটা একদম ভালো করে দেয়ার মতো বই। আমি তো ভাবছি, মাঝে মাঝেই চট করে একবার ঢুঁ দিবো এই বইয়ে। অপূর্ব!
বইটার কোনো স্পয়লার দিবো না। শুধু হালকা একটা হিন্ট দিই। এই বইটা হচ্ছে হিমুর পুণ্যবান মানুষ খুঁজে বের করার একটা মিশন। এখন মিশন সাক্সেস হয় কি না সেটা জানতে হলে তো পড়তে হবে গুরু!
এই বইয়ের এমন কোনো চরিত্র নাই, যেটা আমার ভালো লাগে নি। প্রত্যেকটা চরিত্র নিজ নিজ জায়গা থেকে সুন্দর। উমহুম! নাহ। শুধু সুন্দর বললে কম বলা হবে। অসাধারণ!
সবমিলিয়ে, এইটাকে বই কম। আমার সুখপাঠ্য বেশি মনে হয়েছে। খুব উপভোগ করেছি। মন দিয়ে পড়লে উপভোগ করার পাশাপাশি অনেক কিছু শিখতেও পারবেন বলে আশা করছি।
হিমুর প্রতিটি গল্পই একটি সাইকোলজিক্যাল গল্প। এক এক সময় মনে হয় মানুষের মনস্তত্ত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে হুমায়ুন সায়েব রীতিমতো গবেষনা করে লেখাগুলো লিখেছেন। মৃত্যপথযাত্রী এক বৃদ্ধের স্থাবর সম্পদের প্রতি আকাঙ্ক্ষা,অন্যদিকে সৎ মানুষের অর্থের অভাব এসব নিয়েই পারাপার গল্প। শেষটাও খুব সুন্দরভাবে হয়েছে।
রুপার জোছনা দেখার সাধ পূরণ করার জন্য হিমুকে ধন্যবাদ। কিন্তু রূপার সাথে মিতুর তুলনা দেওয়াটা মানতে পারছি না। রূপা হচ্ছে রূপা! রূপার আকর্ষণের চেয়ে আর কারো আকর্ষণ হিমুর কাছে তীব্র হতে পারে না। মাঝখানে আলেয়া খালার মেয়ে নাতনিকে কেন আনা হলো বুঝতে পারি নি। মনে হচ্ছে লেখক আলেয়া খালাকে নিয়ে লিখবেন ভেবে শুরু করে ভুলে গিয়েছিলেন।
যে বই সম্পর্কে কোনো ধারণা ছাড়া শুধু মাত্র প্রিয় মানুষ দের কথা এর ভরসায় কিনে ফেলা হয় এবং সেই বই পড়ে যখন এক অতুলনীয় অনুভূতি হয় তখন সেই অনুভূতি,সেই মানুষ এবং সেই বই এর উপর যে ভালবাসা জন্মায় তা সব ভালবাসা কেই হার মানায়।
কি আশ্চর্য রকমের লেখনী! বাঁধ ভাঙা উল্লাস,ভাষার খেলা এক অপূর্ব বই। হিমু চরিত্রের নাম শুনেছি কিন্তু এটা সেই হিমুর গল্প তা জানতাম না, এবং এক চরিত্র সেটা শুধু এক আশ্চর্য রকমের মানুষের চরিত্র , তার কোনো রকমের তথাকথিত কোন শক্তি নেই এবং সেই চরিত্রকে নিয়ে যে এক আদ্যপান্ত সিরিজ তৈরি করা যায় এটাও জানলাম।
পাগল আসলে কাকে বলে? যেই সমাজের তথাকথিত নিয়ম মেনে চলে না তখন ই কি তাঁকে পাগল বলতে হবে এবং নিয়ম বানানোর অধিকার আমাদের কে দিয়েছে এই প্রশ্ন ই লেখক বার বার করেছেন। এবং নিজস্বতা বজায় রেখেই করেছেন। হিমু কি পাগল না আপনি আমি আমরা পাগল? এই প্রশ্ন ই বারবার আসবে এবং বারবার আসা একটু হলেও দরকার আছে।
জানিনা এই review মানুষ কে কতটা সাহায্য করবে যা মনে এলো তাই লিখলাম হিমুর মতো। বইটা পড়ুন এটাই বলব।
p.s যেহেতু আমি সিনেমাপ্রেমী মানুষ বই টা বারবার আমাকে godard এর film making এর কথা মনে করিয়েছে। নিয়ম না মেনে শুধু নিজস্বতার মাধ্যমে নিজের art কে তৈরি সব রকম সাহস দিয়ে , পারিনা আমি করতে পারতে হবে
ইয়াকুব আলি, বড় একজন ব্যবসায়ী। এমন কোন ব্যবসা নেই যা তিনি করেননি। তিনি অসুস্থতায় ভুগছেন, তাকে প্রতি সপ্তাহে রক্ত নিতে হয়। সপ্নে তার প্রথম স্ত্রী জয়নাব তাকে বলেছেন, এই অসুস্থতা সারাতে হলে একজন নিষ্পাপ মানুষের রক্ত নিতে হবে। নিষ্পাপ মানুষের রক্ত সংগ্রহ করার এই দায়িত্ব ইয়াকুব আলি দিলেন হিমুর কাছে। হিমু শুরু করল নিষ্পাপ মানুষের খোঁজ।
পাঠপ্রতিক্রিয়া সিরিজের আগেরগুলোর মতো এটারও শেষের দিক বেশি ভালো লেগেছে। কিছু প্রশ্নকে প্রশ্ন হিসেবে রেখে উপন্যাসটা শেষ হয়েছে উত্তর না দিয়ে।
কত বই, কত না পড়া বই; তবুও বারবার ফিরে আসি হিমু-মিসির আলির কাছে। আমার মতে এই বইটা হিমু সিরিজের বেস্ট বই। এমনিতে হিমু সিরিজের বই গুলোতে তেমন কোনো মেসেজ থাকেনা, ডিপ কোনো মিনিং থাকেনা। যেই কয়েকটা বই ভিন্ন তাদের মধ্যে এই বইটা একটা। মাত্র সত্তর পৃষ্টাতে লেখক কত হাসি, ভালবাসা, মায়া-মমতা আটকে ফেললেন লেখক। হিমুর পবিত্র মানুষ খোঁজার যাত্রা থেকে শুরু করে আশে পাশের মানুষদের ভাল রাখার যে একটা ইচ্ছা হিমুর এবং তাদের জন্যে ওর নি:স্বার্থ কাজগুলো...বড্ড ভাল লাগে। সেই নয়/দশ বছর আগে এই বইটা প্রথম পড়ার পরেই প্রথম বুঝেছিলাম কেন সবাই হিমু হতে চায়।
হিমুর সেরা তিনটি বইয়ের মাঝে পারাপারও থাকবে। শেষটা খুব রোমান্টিক। পড়ার সময় আমার চোখে পুরো দৃশ্যটা ভাসছিল। হলুদ পাঞ্জাবি পরা এক উশকো খুশকো যুকব, নীল শাড়ি পরা প্রচন্ড রূপবতী এক যুবতী... তারা পরষ্পরের হাত ধরে আছে, যাচ্ছে জোৎস্ন্যা দেখতে...
এমন একটি রাত পাওয়ার জন্য আরো একশ বছর বাঁচতে ইচ্ছা করে।
আমাদের সবার মাঝেই হিমু আছে, আমাদের সবার মাঝেই রুপা আছে! আমরা আমাদের মাঝের হিমুকে লুকিয়ে রাখি আর রুপাদের খুঁজে পাই না!! সবার মাঝেই ভালো আছে, সবার মাঝেই খারাপ আছে! সবখানেই খারাপ আছে আবার তার মাঝেই ভালো আছে। শুধু সেই ভালোটাকে খুঁজে বের করাটা কঠিন। হিমুর এই কঠিন বাস্তবে 'নিষ্পাপ মানুষ' খোজার কঠিন(!!) অভিযানকে মন্দ লাগলো না :) :)
যাক, অবশেষে হিমু-রূপার দেখা হল। দুজনে একসাথে জয়দেবপুরে জোছনা দেখতে যাচ্ছে।
আমার ক্ষীণ সন্দেহ হলো—সে বোধহয় কাঁদছে। আমি বললাম, রূপা তুমি কাঁদছ নাকি? রূপা বলল, হ্যাঁ। কাঁদছ কেন? রূপা ফোঁপাতে ফুঁপাতে বলল, জানি না কেন কাঁদছি। গাড়ির জানালার ফাক দিয়ে এক টুকরো জোছনা এসে পড়েছে রূপার কোলে। মনে হচ্ছে শাড়ির আঁচলে জোছনা বেঁধে যেন অনেক দূরের কোনো দেশে যাচ্ছে।"