এক রাজার দুই রানী। দুও আর সুও। রাজামশাই বাণিজ্যে গেলেন। সুওরানীর কথা মত নিয়ে এলেন দামী দামী গয়না আর শাড়ি। দুওরানী চেয়েছিলেন একটা বানর-ছানা। তাঁর জন্য এল তাই বানর। বানর হলে হবে কি, আসলে সে এক জাদুকরের দেশের মায়া-বানর। তাই সে মানুষের মত কথা বলে, ছেলের মত ভালবাসে বড় রানীমাকে, দুঃখিনী মায়ের চোখের জল মুছিয়ে দিতে চায়। তা, সেই মায়া-বানর দারুণ বুদ্ধি খাটিয়ে কী করে রাজার মন ফেরাল বড় রানীর দিকে, কী করে দুওরানীর কোলে এনে দিল সত্যিকারের রাজপুত্র, কী করেই বা হিংসুটে সুওরানীকে ভোগ করাল যাবতীয় পাপের শাস্তি— তাই নিয়েই এই অবাক-করা রূপকথা, ‘ক্ষীরের পুতুল’।আর, এ-গল্প যিনি শুনিয়েছেন, তিনিও এক অবাক-করা জাদুকর। ছবি তঁার হাতে কথা, কথা হয়ে উঠত ছবির মতন।আনন্দ সংস্করণ ‘ক্ষীরের পুতুল’-এ বার পৃষ্ঠা চোখ-জুড়োনো রঙীন ছবি।
Abanindranath Tagore (bn: অবণীন্দ্রনাথ ঠাকুর), was the principal artist of the Bengal school and the first major exponent of swadeshi values in Indian art. He was also a noted writer. He was popularly known as 'Aban Thakur'. Abanindranath Tagore was born in Jorasanko, Calcutta, to Gunendranath Tagore. His grandfather was Girindranath Tagore, the second son of Prince Dwarkanath Tagore. He is a member of the distinguished Tagore family, and a nephew of the poet Rabindranath Tagore. His grandfather and his elder brother Gaganendranath Tagore were also artists.
আহমাদ মাযহার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত 'বুড়ো আংলা'-র মুখবন্ধে অবনীন্দ্রনাথ ও তার লেখার সম্পর্কে বলতে গিয়ে লিখেছেন - "ক্ষীরের পুতুল রচিত হয়েছে বাংলার লোকায়ত রূপকথাকে অবলম্বন করে।"
'রূপকথা'-র ব্যাপারটা ছেলেমানুষদের জন্যে মনে করা হলেও আমার মনে হয় দেশে দেশে 'রূপ'কথা, রূপকভাবে জীবন, সমাজের কঠিন বাস্তবতাকে উপলব্ধি করানোরই নাম। রাক্ষস, দেও-দানো-ডাইনিবুড়ি শুধু না, সমাজের নৃশংসতা, কদর্যতার সাথে যেখানে গল্পেরচ্ছলে পরিচয় হয় ঝকমকে হীরা-মানিকের আড়ালে।
বাংলার রূপকথাগুলো আরও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় উপমহাদেশীয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতি-সমাজের বৈষম্যগুলোকে। সাধারণ কৃষকের ছেলে যেখানে কদাচিৎ নায়ক, সব অসুর বধেই যেখানে রাজপুত্রই ভরসা, মন্ত্রীপুত্র অনেক সময়েই কূটিল। সুয়ো-দুয়ো রানী আর তাদের মাঝে রাজপ্রাসাদেই নারী বৈষম্য। রাজকন্যে যেখানে কখনোই দেশের রানী হবার, রাজ্যপালনের বুদ্ধিমত্তা রাখে না, রাজকন্যের বিয়ে হলেই কেবল রাজার জামাই নতুন রাজা হয়, অর্ধেক বা পুরো রাজত্ব পায়।
ছোটবেলায় পড়ার সৌভাগ্য (?) না হওয়ায় বুড়ো বয়সে পড়লাম, এবং এর জনপ্রিয়তা অতিরঞ্জিত (overrated) মনে হলো। লেখনি ভালো লেগেছে, কাহিনি খাপছাড়া। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া, মেয়েদের কর্মহীনভাবে শুধু সাজপোশাক নিয়ে অন্দরমহলে পড়ে থাকা, ন্যায্য জিনিস আদায়ে ছলনার আশ্রয় নেয়াকে সঠিক বলে দেখানো গল্প ছোটদের কতটা উপযোগী আমি নিশ্চিত না। ছোটবেলায় পড়লেও এটা খুব উপভোগ করতাম মনে হলো না। Logical error আছে মনে হয়েছে, unless you treat the whole story as a nonsense, not as a usual fairy-tale. The whole story is a lot confusing as well.
মজার ছিলো ষষ্ঠীঠাকরুণের কাঠামো থেকে বের হয়ে আসার ছটটফটানি, ক্ষুধার্থ হয়ে থাকা, ক্ষীরের পুতুল খেয়ে ধরা পড়ে গিয়ে তা থেকে যে কোন মূল্য উদ্ধার পাওয়ার চেষ্টা - সারকাজম হিসেবে দেখলে দারুণ। :)
আমি অবশ্য জানি না, ষষ্ঠীঠাকরুণ বলতে কোন দেবীকে বোঝনো হয়েছে... তাই ছেলে দানের বিষয়টা আমার কাছে পরিষ্কার হয়নি। (আপডেট - শিখলাম, ষষ্ঠী ঠাকুর একজন লৌকিক দেবী। সন্তান কামনা করে তার পূজা হয়, আরো লোকাচার আছে। ষষ্ঠীপূজা করে অনেকে বাচ্চার নামকরণ এর সময় তারপর বাচ্চার কল্যাণে। ষষ্ঠীর বাহন বিড়াল। এটুকু জানার পরে শেষের অংশটুকু অনেকখানি পরিষ্কার হলো আমার বইটা শোভা প্রকাশের, সেখানে কোন ভূমিকা/মুখবন্ধ নেই এরকম বিষয়গুলো উল্লেখ করে। ছবিগুলো কে এঁকেছে তার উল্লেখও নেই।)
তবে বানর যখন দিব্য দৃষ্টিতে ছেলেদের খেলা আর কমলাপুলির দেশ দেখছিলো সেই বর্ণনাগুলো মজার, ভালো।লেগেছে পড়তে। এককথায় বলতে গেলে গল্পটা ফালতু, অবনীন্দ্রনাথের লেখনি সুন্দর।
প্রশ্ন: এই যে অন্যের ছেলে ছিনিয়ে আনলে, সেই মায়ের কী হবে? এটা কি অন্যায় হলো না? সেই মা কি দেবকূলের না সাধারণ কেউ তাও বুঝিনি। কিন্তু ছেলেটাই বা হুট করে জীবনের এই পরিবর্তন মেনে নিলো? ছেলেটা কি তবে ফ্যান্টাসি? ছোটরা এই ছেলে চুরির ঘটনাটা কীভাবে নেয়/নিয়েছে যুগে যুগে?
রূপকথা পড়ার সময় আমি একে জটিলভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি না। রূপকথা তো রূপকথাই... যখন সমাজ, রাজনীতি, প্রেম, বিরহ ইত্যাদির চাপগুলো আর ভালো লাগে না, তখন পড়ার জন্য রূপকথাই ভরসা। দৈত্য-দানো, দুয়োরানি-সুয়োরানি, ডাইনি-ডাকিনী অলীক গাঁথা পড়তে খারাপ লাগে না তখন খুব একটা...
'আজ রাতে কোনো রূপকথা নেই' গানটির লাইনগুলো মনে পড়ছে। 'চাঁদমামা আজ বড্ড একা বড় হয়েছি আমি...… কোথায় গেলো সে রূপকথার রাত হাজার গল্প শোনা। ' রাজা -রানীর রূপকথার সাধারণ গল্প ' ক্ষীরের পুতুল'। শেষের দিকে ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি,এক মেয়ে রাঁধেন,আরেক কন্যা খান,আরেক মেয়ে রাগ করে বাপের বাড়ি যান -নস্টালজিক করে তুলছিল প্রতিটি পাতা। রূপকথার গল্পগুলোর ম্যাজিকটা কি শেষ হয়ে গেলো যান্ত্রিক বর্জ্যের কাছে।
ছেলেবেলায় আমার একটা বিরাট রূপকথার বই ছিল। নাম ছিল, দেশ বিদেশের রূপকথা-বা এই গোত্রীয় কিছু। সেখানে আমি এই বইটা পড়েছিলাম। কিন্তু অবনীন্দ্রনাথ এর লেখা 'ক্ষীরের পুতুল' কখনো পড়েছি বলে স্মৃতি সায় দিচ্ছিলোনা। সামনে পেয়ে তাই পড়ে দেখি সেই প্রিয় গল্পটা! এত সুন্দর বর্ণণায়, এত আভিজাত্যপূর্ণ বাঙালি রূপকথা কমই আছে।
বইটা পড়ে একটা কথাই মাথায় আসছে। বাহ!!! অবনীন্দ্রনাথের লেখার হাত সেই রকমের তো! সুয়ো রানী দুয়ো রানীর গল্প গ্রাম বাংলার লোককথার অতি প্রচলিত এক গল্প কিন্তু এই অতিপ্রচলিত গল্পটাকেই লেখকের নিজের গুনে অসাধারণ বানিয়ে ফেলেছেন।
বইটা আরো দশ বছর আগে পড়লে বেশি উপভোগ্য হত বলা বাহুল্য। তবে এখনো বেশ রোমাঞ্চিত হয়েছি। বার বার ছোটোবেলার কথা, ছোটোবেলায় পড়া ঠাকুমারঝুলির কথা মাথায় এসেছে।
বর্তমান যখন অসহ্য, নিজের বড় হয়ে যাওয়া যখন ক্লান্তিকর,তখন একখান এমন ধারা বই যেন তপ্ত গ্রীষ্মের পরে শ্রাবণের বারিধারার মতো কাজ করে। রাজা, রাণী,রাজপুত্র, রাজকন্যা,রাক্ষসী, ডাইনী সব মিলিয়ে যেন পরম সুখের পরশ বুলিয়ে দেয় ঠিক বর্ষার নবজলের ধারার মতো। মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ব্যস্ততার জীবন থেকে বেরিয়ে এমন একখানা রূপকথা পড়া ভালো। মাঝে মাঝে না হয় ছোটোদের মতো রূপকথার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া গেলো।
রূপকথা আমার বরাবরই পছন্দ, না না ওই সিন্ডেরেলা, স্নো হোয়াইট, স্লিপিং বিউটি কিংবা বিউটি এন্ড দ্য বিস্টের গল্প নয়; রাজপুত্র ডালিমকুমার, সুয়োরানী, দুয়োরানী, ব্রক্ষ্মদৈত্য, রাক্ষস-খোক্ষস, দাকিনী এইসব গল্প আমার পছন্দ। ছোটবেলার ভালোবাসা বলে একটা কথা আছে কিনা! "ক্ষীরের পুতুল" যে এমনি এক রূপকথা তাও আবার গল্পের জাদুকর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনা, সেতো আমার জানাই ছিলো না। অনেকদিন পর, ঠিক কতো দিন পর জানিনা এতো সুন্দর একটা গল্প পড়লাম, এক নিশ্বাসে! সেই সুয়োরানী, দুয়োরানী, দুয়োরানীর বানর, কমলাপুলির টিয়ে, টাপুর টুপুর বৃষ্টির সাথে নদীতে বাণ, শিবঠাকুর আর সেই তিন কন্যা, ছেলে-মেয়েদের নাইতে নামা, দুই ধার থেকে রুই কাতলার ভেসে ওঠা, নায়ে ভরা দিয়ে আসা টিয়ে, ভোদর আর খোকার নাচন এককথায় আমার পুরো শৈশবটাই উপস্থিত এই এক গল্পে। ইস্, কেনো যে এই বইটা আরো আগে পড়লাম না!!
আমার এক ভাতিজী আছে। নাম তার "নাজিফা"। আমি ২ বছর আগে নাজিফাকে প্রাইভেট পড়াতে যেতাম। সাধারনত বেশি ছোট বাচ্চাদের পড়াই না কিন্তু নাজিফা ছিলো খালাতো ভাইয়ের মেয়ে। . পড়ানো শেষে প্রতিদিন নাজিফা কে আমার একটা করে গল্প শুনাতে হত। রূপকথার গল্প যখন শুনাতাম ও আশ্চর্যের সাথে শুনতো। আর পরের দিন আমার দেয়া সব পড়া প্রস্তুত করে আবার গল্প শুনার অধীর আগ্রহে বসে থাকতো। . এখন আর নাজিফাকে আমি পড়াই না। কিন্তু দেখা হলে ঠিকই গল্প শুনাই। "ক্ষীরের পুতুল" পড়ার সময় মনে হচ্ছিলো নাজিফাকে শুনানোর জন্য অনেক সুন্দর একটা রূপকথার গল্প পেলাম।
রূপকথার গল্পে এক রাজার এক সুয়োরানী আর এক দুয়োরাণী থাকবেই। সুয়োরাণীর সব থাকে সাতমহলা বাড়ি, সাত মালঞ্চ, সাত দাসী, আট গাছা চুড়ি, দশ গাছি সোনার মল। আর দুয়োরাণী মরে মাথা কুটে। রাজা বাণিজ্য করে এসে দুয়োরাণীকে এনে দেয় মায়া বানর। সেই বানর লেগে যায় তার মায়ের দুঃখ ঘোচাতে।
দুয়োরাণীর হাতে গড়া ক্ষীরের এক পুতুল ষষ্ঠী ঠাকরুন খেয়ে ফেলেন বাইরে এসে। বর দিলেন ছেলের।
তারপরে কি হলো? কি আর হবে সুয়োরাণী হিংসায় বুক ফেটে মরেই গেলো।
বইটি প্রথম যখন পড়তে চেয়েছিলাম, তখন আমার বয়স তেরো। (One of classmate, Hazera, almost spoiled the book for me) বিভিন্ন কারণে তখন আর পড়া হয়ে ওঠেনি। অবশেষে নয় বছর পর বইটি পড়ার সুযোগ পেলাম।
ক্ষীরের পুতুল গল্পটার মধ্যে অনেক সমস্যা আছে। এত বেশি খারাপ জিনিস কে সেলিব্রেট করা হচ্ছে যে পড়তে পড়তে বিবমিষা হচ্ছিলো। প্রথমত সুয়োরানি দুয়োরানি কনসেপ্ট, যেখানে নারীকে মাল হিসেবে দেখিয়ে বাতিল মালকে যাচ্ছেতাই ভাবে ট্রিট করা স্বাভাবিক দেখানো হচ্ছে। তারপরে আছে বানরের একের পর এক মিথ্যা বলে বলে সুবিধা আদায় করা দেখানো। আবার যেই না ছেলে সন্তান এর উল্লেখ মঞ্চে আসলো সাথে সাথে বাতিল মাল আবার পরম আদরণীয় হয়ে গেলো, আর সেই ছেলের উপলক্ষ্যে সবরকম অন্যায় অপরাধ সবই হালাল ধরা হলো। এই যদি হয় লোক কাহিনীর উপজীব্য তাহলে আমাদের সমাজ যে এমন হবে তা আর অবাক কি? অন্যায় , মিথ্যা এগুলাই তাই এখানে সমাদৃত আর সততা, প্রতিজ্ঞা রক্ষা এগুলো বোকামির নিদর্শন বলে মনে করা হবে।
নালক কাহিনীর কারণ বা উপসংহার বুঝিনি। এখানে নালক এর চরিত্রের কি প্রয়োজন ছিল বুঝলাম না। মূলত গৌতম বুদ্ধ কিভাবে বুদ্ধত্ব লাভ করেন সেই কাহিনী। ভাষার বর্ণনা সুন্দর, সেটা পড়তে ভালো লেগেছে। তাই দুই তারা দিলাম।
খুবই সুন্দর ইমেজারি এবং একইসাথে খুবই দুঃখজনক প্লট। আমার ফেমিনিস্ট মাইন্ড এটা মেনে নিতে পারলো না কেন দুয়োরানী একজন নির্বিকার স্বামীর, তা সে রাজাই হোক না কেন, জন্য তার সারাটা জীবন কাটিয়ে দিবে। চোখের জল ফেলতে ফেলতে, ছেঁড়া শাড়ি আর ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে, ভাঙ্গা ঘরে থেকে কোন মোহে সংসার করতে হবে সে আমার বুঝে আসেনা বাপু! এ বই পরিণত মস্তিষ্কে পড়লে তাও ভাষা ব্যবহারে নাহয় কিছুটা চমৎকৃত হওয়ার সুযোগ থাকে, কিন্তু শিশুদের সরল ও অপরিণত মস্তিষ্কে পড়তে দিলে ঘোর বিপদ!!
আগেও একবার পড়েছিলাম, আবার পড়লাম। ছোট্ট গল্প কিন্তু দারুণ। যদিও শেষের দিকে গিয়ে বেশকিছু ব্যাকগ্রাউণ্ড রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে, যেগুলো আগে থেকে না জানলে মজা কিছুটা কম হয়। ছোটবেলায় যখন পড়েছিলাম তখন অবশ্য সেগুলো নিয়ে অতো ভাবিনি, কেবল পড়েছি এবং মজা পেয়েছি।
ক্ষীরের পুতুল (১৮৯৬) গল্পটি অবনীন্দ্রনাথ পেয়েছিলেন পিতৃব্য রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর কাছ থেকে। সুন্দর রূপকথা, বিশেষ করে শেষের দিকের ষষ্ঠীতলার অংশটা ও কমলাপুলির দেশ খুবই সুন্দর ভাবে লেখা, লেখা না বলে আঁকা বললেও ভুল হবে না!
আর ষষ্ঠী পূজার ষষ্ঠীদেবী ও তার বাহন বিড়াল এই বিষয়গুলো পরে জেনে মজা লেগেছে।
ভেবেছিলাম হবে কোনো নিছক শিশুমনের রূপকথা, তা না হয়ে হলো বরং এক দর্পণ যেখানে ধরা পড়ল মানবমনের আকাঙ্ক্ষা, বঞ্চনা আর শেষাবধি এক অন্তর্নিহিত সাহসের প্রতিচ্ছবি।
Its basically a Bengali folk lore written beautifully by Abanindra Nath Thakur. A king with two queens "Suo Rani" and "Duo Rani". Suo Rani is the lucky one. King loves her. "Duo Rani" is deserted. The King sets out for a voyage and comes back with a lot of precious presents for his dearie but for Duo Rani he brings a mystic Monkey. How this monkey helps Duo Rani to get back not only her lost love but also her fortune. When I was a kid it was a coveted book for me.I read it to daughter and she simply loved it.