Jump to ratings and reviews
Rate this book

আমার অবিশ্বাস

Rate this book
এক বড়ো অশুভ সময় এসেছে পৃথিবীতে, যারা অন্ধ তারা চোখে সবচেয়ে বেশি দেখতে তো পাচ্ছেই, তারা অত্যন্ত বেশি বিশ্বাস করছে, এবং পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বাসের বিকট মহামারি। এখন সবাই বিশ্বাস করছে, সবাই বিশ্বাসী; কারো পক্ষে এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না– আমি বিশ্বাস করি না, আমি অবিশ্বাস করি। বিজ্ঞানের এই অসাধারণ যুগে যখন কিছু অবিশ্বাস সৌরলোক পেরিয়ে ঢুকতে চাচ্ছে মহাবিশ্বে, তখন পৃথিবী মেতে উঠেছে মধ্যযুগীয় বিশ্বাসে; শক্তিলোভী ভ্রষ্ট রাজনীতিকেরা মানুষকে আক্রান্ত ক’রে তুলছে বিশ্বাসের রোগে। এখন পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন বিধাতা পালন করছে অত্যন্ত সক্রিয় রাজনীতিক ভূমিকা, আর গণতন্ত্রমত্ত শক্তির উৎসরা নির্বাচিত ক’রে চলছে বিভিন্ন বিধাতাকে। তবে বিশ্বাস শুধু অতিমানবিক সত্তায়ই সীমাবদ্ধ নয়; হাজার হাজার শূন্য প্রথা বিশ্বাস ক’রে চলছে তারা, যা খুবই ক্ষতিকর। বাংলাদেশে আজ সবাই বিশ্বাসী; শক্তিমানতম থেকে দুর্বলতম বাঙালিটি প্রচণ্ডভাবে পালন ক’রে চলছে বিশ্বাস। এখানে একমাত্র হুমায়ুন আজাদই বলতে পারেন-আমি অবিশ্বাস করি। তাঁর অবিশ্বাস শুধু অতিমানবিক সত্তায় অবিশ্বাস নয়, তাঁর অবিশ্বাস এর থেকে অনেক গভীর; তিনি অবিশ্বাস করেন এ-সভ্যতার প্রায় সমস্ত প্রচারে। সবকিছুই তিনি বিচার ক’রে দেখতে চান; এবং এর ফলেই জন্মেছে এই অসামান্য দার্শনিক গ্রন্থটি। এ-বইয়ের পরিচ্ছদ পরস্পরায় তিনি খুলে খুলে দেখিয়েছেন বিশ্বাসের অন্তঃসারশূন্যতা। প্রথম প্রকাশের পর থেকে আমার অবিশ্বাস নন্দিত হয়ে এসেছে বাঙলা ভাষায় লেখা অনন্য বই হিসেবে। এবার প্রকাশিত হলো বইটির পরিশুদ্ধ সংস্করণ।

152 pages, Hardcover

First published February 1, 1997

22 people are currently reading
321 people want to read

About the author

Humayun Azad

85 books296 followers
Humayun Azad (Bangla: হুমায়ূন আজাদ) was a Bangladeshi author and scholar. He earned BA degree in Bengali language and literature from University of Dhaka. He obtained his PhD in linguistics from the University of Edinburgh in 1976. He later served as a faculty member of the department of Bengali language and literature at the University of Dhaka. His early career produced works on Bengali linguistics, notably syntax. He was regarded as a leading linguist of the Bangla language.

Towards the end of 1980s, he started to write newspaper column focusing on contemporary socio-political issues. Through his writings of 1990s, he established himself as a freethinker and appeared to be an agnostic. In his works, he openly criticized religious extremism, as well as Islam. In 1992 Professor Azad published the first comprehensive feminist book in Bangla titled Naari (Woman), largely akin to The Second Sex by Simone de Beauvoir in contents and ideas.

The literary career of Humayun Azad started with poetry. However, his poems did not show any notable poetic fervour. On the other hand his literary essays, particularly those based on original research, carried significant value.

He earned a formidable reputation as a newspaper columnist towards the end of 1980s. His articles were merciless attacks on social and political injustice, hypocrisy and corruption. He was uncowed in protesting military rule. He started to write novels in 1990s. His novel Chappanno Hazar Borgomile is a powerful novel written against military dictatorship. Azad's writings indicate his distaste for corrupt politicians, abusive military rulers and fundamentalist Islam. Nevertheless, his prose shows a well-knit and compact style of his own. His formation of a sentence, choice of words and syntax are very characteristic of him. Although he often fell victim to the temptation of using fiction as a vehicle of conspicuous political and philosophical message, he distinguished himself with his unique style and diction.

On August 11, 2004, Professor Azad was found dead in his apartment in Munich, Germany, where he had arrived a week earlier to conduct research on the nineteenth century German romantic poet Heinrich Heine. He was buried in Rarhikhal, his village home in Bangladesh.

In 2012, the Government of Bangladesh honored him with Ekushey Padak posthumously. Besides this, he was honored with Bangla Academy Award in 1986.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
130 (42%)
4 stars
99 (32%)
3 stars
49 (15%)
2 stars
10 (3%)
1 star
19 (6%)
Displaying 1 - 30 of 32 reviews
Profile Image for Rafan Ahmed.
Author 11 books290 followers
March 14, 2019
গত বছরের শুরু দিকে এই বইটি হাতে আসে। পড়ার পর যুক্তির বেহাল দশা দেখে খুব বিরক্ত হই। সিদ্ধান্ত নেই এই বইয়ের অজস্র মিথ্যাগুলো নন-ফিকশন জনরায় উপস্থাপন করবো। তারই ফলশ্রুতিতে ২০১৯ এর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে আমার ২য় বই - ‘অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়’। বইটি লিখার কাজে পড়তে গিয়ে অনেক কিছু জেনেছি, নাস্তিকদের অনেক মিথ্যে বুলির স্বরূপ চিনেছি। আশা করি, মুক্তচিন্তার কেউ আমার লেখা ডিফিটার পড়ার পর এই বইকে চমৎকার/অসাধারণ না বলে লজ্জায় মাথা নামাবেন। খোলা মন নিয়ে পড়ার আহ্বান রইলো।


https://www.rokomari.com/book/180256
Profile Image for Muna.
35 reviews21 followers
September 27, 2015
“এক বড় অশুভ সময় এসেছে পৃথিবীতে,যারা অন্ধ তারা সবচেয়ে বেশি দেখতে তো পাচ্ছেই ,তারা অত্যন্ত বেশি বিশ্বাস করছে,এবং পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বাসের মহামারী।এখন সবাই বিশ্বাস করছে, সবাই বিশ্বাসী,কারো পক্ষে এখন বলা সম্ভব হচ্ছেনা আমি বিশ্বাস করিনা,আমি অবিশ্বাস করি।বিজ্ঞানের এই অসাধারণ যুগে যখন কিছু অবিশ্বাসী সৌরলোক পেরিয়ে ঢুকতে চাচ্ছে মহাবিশ্বে,তখন পৃথিবী মেতে উঠেছে মধ্যযুগীয় বিশ্বাসে।”

বিজ্ঞানের বিল্পবের ফল আজকের এই পৃথিবী।এই ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনে নেই কোন অন্ধবিশ্বাস,কোন প্রথার ঠাই।মুক্তচিন্তা এবং অনুসন্ধিৎসা মিথ্যা ও সঙ্কটপূর্ণ পথকে কে অতিক্রম করে সত্যের দ্বারকে যখন উন্মেষিত করতে চাইছে প্রতিনিয়ত,ঠিক তখনি তথাকথিত বিশ্বাসীর দল মধ্যযুগীয় বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে পৃথিবীতে নিয়মিত কলহ বাঁধিয়েই চলছে।তার ফলস্বরূপ চারিদিকে ঘটে চলছে হত্যা,অনাচার,অশান্তি,ধ্বংস।যেন তারা বিভিন্ন মিথ্যা,প্রথার জালে ফেলে পৃথিবীকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতেই সধা ব্যাস্ত।যত অন্যায়ের মূলে এইসব অন্ধবিশ্বাস,প্রথা, রীতি বর্জন করা এখন অতীব প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রিয় লেখক হুমায়ুন আজাদ “আমার অবিশ্বাস”, বইটির প্রতিটি পরিচ্ছেদে তিনি শুধু প্রথার বিরুদ্ধেই তার অবিশ্বাস দেখাননি,অনেক গভীরতম বিষয়েও তার অবিশ্বাসের কথা তিনি বলেছেন। যেন মনে হয় এই দেশে ওই সময়ে তিনিই বড় করে বলতে পারতেন ‘আমি অবিশ্বাসী’।

বইটির সাতটি পরিচ্ছেদের প্রতিটি পড়েই যেন নতুন চিন্তার জাগরণ হয়।তৃতীয় পরিচ্ছেদে তার অনুবাদ করা কীটসের কবিতা “ode to a nightingale” পড়ে মুগ্ধ হতে হয়।হুমায়ুন আজাদ তার এই দার্শনিক গ্রন্থটি উৎসর্গ করেন বারটান্ড রাসেলকে।
Profile Image for Shotabdi.
818 reviews194 followers
April 29, 2023
হুমায়ূন আজাদের ভাষা আর লেখনশৈলী আসলেই চমৎকার। কুৎসিততম বিষয়কেও তিনি সুন্দর শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারেন।
বইটি নানান দিকে আলো ফেলে যদিও সব বিষয়ে আমি একমত নই৷ বিশেষত নৈতিকতা-অনৈতিকতার প্রসঙ্গগুলো নিয়ে মনে হচ্ছে আরো অনেক ভাবার আছে। এত সরল নয় বিষয়গুলো।
আজাদের বই পড়লে এক ধরনের হতাশার সৃষ্টি হয়৷ ক্ষেত্রেবিশেষে এটা একটু বিপদজনকই বটে।
৩.৫/৫
Profile Image for Akash.
446 reviews149 followers
October 7, 2022
এসব বই পড়তে একটু সময় লাগে বেশি, যদিও দু'দিনে পড়ে শেষ করেছি। বইটাতে মোট ৭টি প্রবন্ধ আছে, যদিও এটা প্রবন্ধ গ্রন্থ নয়; পাঠকের সুবিধার জন্য লেখক ৭ পরিচ্ছেদে ভাগ করেছে।

আমার ইন্দ্রিয়গুলো ও নাইটিংগেলের প্রতি অনুচ্ছেদ দুইটা ভালো ছিল। বাকি অনুচ্ছেদগুলো হল বিশ্বাসের জগত, মহাসমুদ্রের ছোট্ট চরঃ আমাদের গ্রাম, আরণ্যিক নির্বোধের ভ্রান্ত দুঃস্বপন এবং আমার অবিশ্বাস।

নিচে বই থেকে শেষের কিছু লাইন তুলে দিলামঃ

কিছুই অপবিত্র নয়, যেমন কিছুই পবিত্র নয়, কিন্তু সব কিছুই সুন্দর, সবচেয়ে সুন্দর এই তাৎপর্যহীন জীবন। অমরতা চাইনা আমি, বেঁচে থাকতে চাই না একশো বছর; আমি প্রস্তুত, তবে আজ নয়। চলে যাওয়ার পর আর কিছু চাইনা আমি; দেহ বা দ্রাক্ষা, ওষ্ঠ বা অমৃত, বা অমরতা; তবে এখনি যেতে চাই না; তাৎপর্যহীন জীবনকে আমার ইন্দ্রিয় গুলো দিয়ে আমি আরো কিছুকাল তাৎপর্যপূর্ণ করে যেতে চাই, নক্ষত্র দেখতে চাই, নারী দেখতে চাই, শিশির ছুতেঁ চাই, ঘাসের গন্ধ পেতে চাই, পানিয়র স্বাদ পেতে চাই, বর্ণমালা আর ধ্বনিপুঞ্জের সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই, মগজে আলোড়ন বোধ করতে চাই।

আরো কিছুদিন আমি হেসে যেতে চাই। একদিন নামবে অন্ধকার-মহাজগতের থেকে বিপুল, মহাকালের থেকে অনন্ত; কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার আগে আমি আরো কিছু দূর যেতে চাই।
Profile Image for MD HASAN-UR RAHMAN.
8 reviews11 followers
May 15, 2020
One of the finest art by Dr. Azad. He touches some deep questions and explore elegantly. I cannot find my own words to sum up this beautiful book. The key takeaway from this masterful art in Author's own words:

অমরতা চাইনা আমি, বেঁচে থাকতে চাইনা একশো বছর; আমি প্রস্তুত, তবে আজ নয়। চলে যাওয়ার পর কিছু চাই না আমি; দেহ বা দ্রাক্ষা, ওষ্ঠ বা অমৃত; তবে এখনি যেতে চাইনা; তাৎপর্যহীন জীবনকে আমার ইন্দ্রিয়গুলো দিয়ে আমি আরো কিছুকাল তাৎপর্যপূর্ণ করে যেতে চাই। আরো কিছুকাল আমি নক্ষত্র দেখতে চাই, নারী দেখতে চাই, শিশির ছুঁতে চাই, ঘাসের গন্ধ পেতে চাই, পানীয়র স্বাদ পেতে চাই, বর্ণমালা আর ধ্বণিপুঞ্জের সাথে জড়িয়ে থাকতে চাই। আরো কিছুদিন আমি হেসে যেতে চাই। একদিন নামবে অন্ধকার- মহাজগতের থেকে বিপুল, মহাকালের থেকে অনন্ত; কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার আগে আমি আরো কিছুদূর যেতে চাই।
Profile Image for Yeasin Reza.
508 reviews85 followers
Read
December 17, 2022
একই বইয়ের পাঠ পাঁচ বছর আগে ও পরে অনেক ভিন্নতা রাখতে পারে।

উক্ত বইয়ের কয়েকটি প্যারা কাব্যিকগুণে ভীষণতর সুন্দর।
Profile Image for Forhad Juwain Sumon.
75 reviews3 followers
June 21, 2021
হুমায়ুন আজাদের কথা প্রথম কানে বাজে তার “নারী” বইয়ের মাধ্যমে; অবশ্যই তা 'নিষিদ্ধ' ছিলো বলেই। নিষিদ্ধ জিনিস নিয়ে বাকবিতন্ডা হইতো বেশি আমাদের সার্কেলে। ধর্ম-কর্ম করতাম, আমাকে কুরআন পড়ানো হুজুর আজাদ স্যারকে প্রচুর গালাগাল করতেন। তাই, আজাদ স্যারের বিষয়ে জানতে শুরু করেছিলাম বিরুপ মনোভাব নিয়ে। আমার সচেতনতা এবং ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা এ ক্ষেত্রে খানিকটা দায়ী। কিন্তু আস্তে আস্তে তার লেখাগুলা পড়ার মাধ্যমে তার প্রতি ছোটবেলা তৈরি হওয়া বিরুপ মনোভাব ভাঙ্গতে থাকে। এখনো অনেক বই পড়া বাকি। বাংলায় এমন সব্যসাচী দুর্লভ অবশ্য পড়া হয়নি ততো। পড়ার সময় বা ছিল কই! ফুটবল, স্কুলের পড়া আর আড্ডা নিয়ে দিন কাটছিল তখন। এক বন্ধুর পিড়াপিড়িতে অনেকটা বিগলিত হয়ে পড়তে বাধ্য হই “পাক সার জমিন সাদ বাদ” আজাদের প্রথম বই পড়া আমার। মুগ্ধ হই তাঁর লেখনি শক্তিতে। আগ্রহ জন্মে তাঁর প্রতি। একদিন বইয়ের দোকানে বই ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় সুন্দর মলাটে বাধাই করা “আমার অবিশ্বাস” বইটিতে। সদ্য যৌবনে পা রাখা আমি বইয়ের নামটিতে বিদ্রোহের গন্ধ খুঁজে পেয়েছিলাম। দশম ক্লাসে বহু কষ্টের জমানো টাকা দোকানিকে গছিয়ে বইটি বগল দাবা করে বাড়ি ফিরে এসে শুরু করি পড়া। বইটি শেষ করে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন ছিলাম অনেকদিন, ভাবনা জগতে কি যেনো একটা করে গেছিলো ছিন্নভিন্ন। আমার ধর্মের ভিত নড়া শুরু করে তখন থেকেই। পরে আরো কিছু বন্ধুকে বইটি পড়তে দেই। এর হাত থেকে ওর হাত ঘুরতে ঘুরতে আমার বইটি শেষ পর্যন্ত হাওয়া! আর খুঁজে পাই নি।

বইটি সম্বন্ধে বলতে গেলে বইটি অবধারিত ভাবে মোড় নেয় প্রচলিত বিশ্বাসের বিপক্ষে। প্রকাশ্যে ধর্ম বিরুদ্ধাচারণের এমন দূর্জয় সাহস আর যৌক্তিক বাক্যগুলা করেছিল শিহরিত। বন্ধুরা বইটাকে অবমাননা করেছিলো যার যার বিশ্বাস বাঁচাতে। আমি করতে পারি নি আরকি। পড়া যায়। পড়তে পারেন।
1 review
July 12, 2019
বিশৃঙ্খল চিন্তাধারার সুশৃঙ্খল লেখা। তথ্যের ব্যবহার ভাল লেগেছে। সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীতে প্রাচীন আধুনিক প্রধান অপ্রধান বিবেচিত ধর্মগুলোর সৃষ্টিতত্ত্বের সংক্ষিপ্তসার উপস্থাপন ভাল লেগেছে।
লেখকের লেখনী শক্তি শক্তিশালী ছিল।

তবে এনালিটিকাল জায়গাটা এবং তার প্রেক্ষিতে তার মতামত প্রচন্ড দুর্বল ও একপেশে। মনে হয়েছে, লেখকের ধারণা তার পছন্দের কবি, দার্শনিক ছাড়া সবাই নির্বোধ আর অসৎ।
মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি, দর্শন সহ জ্ঞান, নৈতিকতা, আদর্শের বিবর্তনের ধারা নিয়ে কিছু ব্যাখ্যামূলক বক্তব্য থাকলেও লেখকের চিন্তা খুব অস্বচ্ছ ও প্রবলভাবে ঘৃণাপূর্ণ। যদিও লেখকের নিজের ভাষায়, "ঘৃণা আপত্তিকর কাজ, ঘৃণাকারী অসুস্থ মানুষ। সময়ের সীমাবদ্ধতাকে তিনি কোনভাবেই মেনে নিতে চাননি।

শেষের দিকে চিন্তার বেশ সুশৃঙ্খল ভাব আছে মনে হয়েছে। তবে অতীত বর্তমানের নানা মতের প্রতি তার মূল্যায়ন যতো টা না ব্যাখ্যামূলক তার অধিক তাচ্ছিল্যমূলক। তিনি সব কিছুতেই নাক সিঁটকানো মনোভাব দেখিয়েছেন। তার মূল্যায়নে মানুষ, সমাজের গতি কিসের ভিত্তিতে হবে তার কোন সুস্পষ্ট অভিমত নেই।

যদিও বইয়ের কোথাও কোথাও চমৎকার চিন্তাভঙ্গি মুগ্ধ করেছে। তবে পাঠকের মনের অগভীরতার কারণেই হয়তো বইটাকে; হাজার বছরের জ্ঞানের নানা শাখার তথ্য ব্যবহার করে শিশুর প্রলাপ মনে হয়েছে।
Profile Image for Mekail Rex.
5 reviews24 followers
October 12, 2016
যে কথা কেউ বলে নি। কিন্তু অনেকেই এমনে ভেবেছিলো। সত্য মিথ্যা জানিনা এটা নির্মহ এক আত্মকথন।
Profile Image for Opu Hossain.
158 reviews28 followers
April 29, 2023
অজানাকে জানতে মানুষ স্বভাবতই অনেক আগ্রহী। সেই আগ্রহ মেটাতে গিয়ে মানুষ কখনও দ্বিধায় পরে যায় আবার কখনও সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরে আসে। এই দ্বিধা আর সন্তুষ্টি নির্ভর করে তার জানার পরিধির উপর। একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের মাপকাঠিতে একজন বিশ্বনন্দিত হতে পারে আবার ঐ একই ব্যাক্তি আরেকটি বিষয়ে জ্ঞানের মাপকাঠিতে প্রাথমিক স্তরের নিচে নেমে যেতে পারে। আমাদের সাধারন পাঠকদের সমস্যা হল আমরা অনেকেই স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে পড়ার সময় এ বিষয়টি মনে রাখিনা। ফলে লেখা যেদিকে আমাদের নিতে চায় আমরা সেদিকেই চলে যাই। মাত্র দু একটি বই পড়েই দেখা যায় অনেকের বিশ্বাসে চীর ধরে গেছে, বিশেষত কোন লেখক আমাদের প্রিয় হয়ে উঠলে তখন তার অনেক ভুলই আমাদের চোখে পরেনা কারন তখন আমরা লেখার স্রোতে ডুবে যাই। অন্যদিকে বিশেষ করে আজকের জুগে যে বিষয় নিয়ে আমরা সাধারণত সবচেয়ে কম জ্ঞান রাখি তার একটি হল ধর্ম। তাই দেখাযায় একদিকে পরিস্কার জ্ঞান না থাকা আরেক দিকে লেখকের প্রশ্নবানে ডুবে যাওয়া একজনের বিশ্বাস নড়বরে করে দেয়। কিন্তু যারা এ বিষয়ে একটু সচেতন তারা ভুল গুলো চট করে ধরে ফেলতে পারে।

ইসলাম নিয়ে প্রথম শ্রেণীর স্ক্লাররা যে ব্যাখ্যা দিয়ে গেছে এবং দিচ্ছে জানার আগ্রহের অভাবে সে তথ্য গুলো গুটিকয়েক মানুষের হাতে পৌঁছে অন্যদিকে পাশ্চাত্য নির্ভর চিন্তাভাবনা আমাদেরকে এমন করে দিচ্ছে যেন ধর্ম বিশেষ করে ইসলাম সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ব ধর্ম নয়। এসকল কারনে আমার অবিশ্বাস টাইপের বই গুলো সাধারন পাঠকদের ভালই দ্বিধায় ফেলে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে এসকল পাঠক পরবর্তী জীবনে তার দ্বিধাকে সত্য দিয়ে বিচার করতে খুব কমই চেষ্টা করে ফলে এই ছিটকে যাওয়া অবিশ্বাসই তাদের জীবনে ধ্রব সত্য দাড়িয়ে থাকে। তবে সেখান থেকেও কেউ কেউ ফিরে আসে যাদের মনে অবিশ্বাসের পর যাচাই নির্ভর স্থায়ী বিশ্বাস জন্ম নেয়। দুঃখের বিষয় বইয়ের লেখক ইসলাম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখেনি বরং বিখ্যাতদের দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়েছেন যেমন হকিং, রাসেল, ডারউয়িন ইত্যাদি আর বাস্তব জীবনে তিনি যা ধর্ম সম্পর্কে দেখেছেন তাই ধর্মের অংশ বলে বিশ্বাস করেছেন যার অনেকটাই আদৌ ধর্মের অংশ নয় বরং মানুষের বানানো তাই সঠিক ধারনা না থাকার দরুন এ থেকে ক্ষোভ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তবে উনি অনেক সত্যি কথাও বলেছেন যেমন ধনী দরিদ্রের প্রভেদ, সামাজিক কুসংস্কার, রাজনৈতিক ব্যাপার ইত্যাদি। অন্যদিকে এটাও ঠিক যে, ধর্মের নামে তথাকথিত জ্ঞানীরা ধর্মের অপব্যবহার করেছে এবং করছে আর আমরা অনেকেই ধর্ম সম্পর্কে পরিস্কার জ্ঞান রাখিনা বলে যে দিকের কথাগুলো যুক্তিসংগত মনে হয় আমরা সেদিকেই ঝুকে যাই এবং ধর্মকে ঘৃণা করতে শিখি। হয়তো একদিন আমাদের ধর্ম সম্পর্কে পরিস্কার জ্ঞান হবে এবং আমরা সবাই ধর্মকে নিয়ে দ্বিধা আর অপব্যাবহারের খেলা থেকে বের হয়ে আসতে পারব।

পরিশেষে বলা যায় লেখক হুমায়ুন আজাদের লেখনী অনেকের নিকট আকর্ষণীয় হতে পারে কিন্তু স্পর্শকাতর স্থানে অসত্য /বিভ্রান্তিকর অপবাদ দেয়া চমৎকার লেখনীও উচ্চ স্থান পাওয়ার অধিকার রাখে কি? লেখকের প্রকৃত ধর্মীয় জ্ঞান কতটা বিভ্রান্তিকর ছিল বিশেষত ইসলাম তার চমৎকার উধাহরন রাফান আহমেদের "অবিশ্বাসী কাঠগড়ায়" বইটি, বিশেষ করে যারা "আমার অবিশ্বাস" বইটি পড়েছেন তাদের জন্যতো বটেই।
https://www.goodreads.com/book/show/4...
Profile Image for Arfaz Uddin.
91 reviews7 followers
October 29, 2025
Fear is the parent of cruelty, and therefore it is no wonder if cruelty and religion have gone hand in hand, Why I Am Not a Christian, Bertrand Russell

বিশ্বাস মনুষত্যকে এক নতুন অর্থ দান করেছে, এবং সেই অর্থ দিয়ে তার জীবিত কালের সময়কালকে যাপন করবার এক পন্থা তৈরি করে দিয়েছে। কিন্তু যৈক্তিকতার দাড়িপাল্লায় সেই অর্থ বা পারপাস এর অনেক রকমের বিভ্রান্তি রয়েছে যাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আসছেন অনেকেই। অনেকেই ধর্মের শাস্ত্রকে মেনে নিয়ে সেটি দিয়ে জীবনকে গড়ে তুলেন, আরেকজন সেই শাস্ত্রকে অগ্রাহ্য করে জীবনকে এগিয়ে নেন এক বিধাতাশূন্য এবং অর্থহীন এক যাত্রায় এবং সেটি দিয়েই যাপিত হয়ে যায় তার সেই ক্ষুদ্র সময়ের যাত্রা। এখন ধর্মহীন মানুষকে ধর্মীয় মানুষ গালিগালাজ করে, এবং ধর্মীয় মানুষকে ধর্মহীন বা নাস্তিক মানুষ,নিজ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সমইয়ের আদি থেকেই চলে আসছে, এবং এটিকে নিয়ে প্রচুর লেখালেখিও হয়ে এসেছে। নিটশে বলেছেন ঈশ্বর মারা গেছেন, এটি তোলপাড় ফেলে দেয় সারা বিশ্বে, এভাবেই ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে চলছে তর্ক বিতর্ক।

হুমায়ুন আজাদের আমার অবিশ্বাস বইটির নাম বইটি সম্বন্ধে একশব্দে সবটা বলে দেয়, বইটি হুমায়ুন আজাদের অবিশ্বাসের স্থান নিয়ে। এই অবিশ্বাস লেখককে চালিত করে গেছে পুরো জীবন, এবং তিনি ঘৃনা করেছেন অন্ধবিশ্বাসকে, ধর্মকে এবং ধর্মের বিশ্বাসের জাতাকলে ঘটে যাওয়া সেইসব অন্ধরাজনীতিকে। লেখক মনে করেছেন, জীবন হচ্ছে অস্তিত্বহীনতার মাঝে একটি সজাগ্রত যাত্রা, অনেকটা একটি অন্ধ গুহার মাঝে এক চিলতে আলোর মত। আমাদের অস্তিত্বের আগে আমরা যেমন আমাদের অস্তিত্ব সম্বন্ধে অবগত ছিলাম না, তেমনই মৃত্যুর পরবর্তী সময়েও আমরা আবার ভুলে যাবো আমরা কোনো এক সময়ে অস্তিত্ব ধারণ করেছিলাম এবং ডুবে যাবো এক অন্ধকার অস্তিত্বহীনতায়। তার কাছে জীবন অর্থহীন, আমাদের এই অর্থহীনতার জীবনকে স্বার্থান্বেষী মানুষ নিজ স্বার্থকে সিদ্ধি করবার জন্যই ধর্মের অবতার করেন। তিনি কামুর এবসার্ডিজমকে বিশ্বাস করেন, কোনো কিছুর অর্থ নেই, এবং অর্থহীনতার কোনো অর্থ নেই। তিনি রবীন্দ্রনাথকে তীব্র সমালোচোনা করেন কারন বিধাতাকে সত্য হিসেবে প্রকাশ করার জন্য, কেননা তার কাছে বিধাতার অস্তিত্ব প্রশ্নবিদ্ধ।

লেখক শুধু ধর্মকেই প্রশ্ন করেননি, তিনি সকল ধর্মের জ্ঞানকে একত্র করে সেগুলোকে নিয়ে বিশ্লেষন করেন এবং সবগুলোর মধ্যকার মিলকে নিয়ে সমালোচোনা করে ধর্মের মধ্যকার যৌক্তিকতাকে উড়িয়ে দেন। বার্ট্রান্ড রাসেলের আমি কেন খ্রিষ্টান নই বইয়ে তিনি বলেন, তিনি যিশুর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না কারন যিশু বিশ্বাস করতেন নরকে। দান্তের দ্যা ডিভাইন কমেডী তার কাছে হাস্যকর কেননা সেটি দেখায় নরক এবং স্বর্গ। তার চোখে স্বর্গ নরক অর্থহীন, কেননা যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছে, তিনি কিভাবে আমাদের শাস্তি দিতে পারেন? ফলে মানুষের সৃষ্ট বিধাতা মানুষের মতই মর্ষকামী (!!)। র্মের যৌনতার বিধিনিষেদ তার কাছে হাস্যকর, কেননা মানুষও পশুর নেয় অবাধ যৌনাচারের অধিকার রাখে। যে প্রক্রিয়া মানুষ জন্মানোর, সেক্ষেত্রে কিসের অস্পৃশ্যতা! তিনি অকপটে সকল ধর্মকে নাকচ করেছেন, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবগুলোকেই।

হুমায়ুন আজাদ নাস্তিক ছিলেন, এবং এই বইটি বেশ বিতর্কিত, আমাদের বিশ্বাসকে নানাভাবে প্রশ্ন করেছেন নিজের অবিশ্বাসকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে প্রমান করবার জন্য। তবে সবশেষে তিনি বলেছেন সেই সব মানুষের কথা, যাদের কথা কোনো ধর্ম বলেনি। যে সকল মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়েছে ধর্মের কাছে, যে সকল মানুষ নিজের জীবন হারিয়েছে ধর্মের অযৌক্তিকতায়। তিনি আরো বলেছেন সেইসব স্বার্থান্বেষীদের কথা যাদের কাছে ধর্ম শুধুমাত্রই এমন এক বস্তু যেটি দিয়ে নিজের স্বার্থ নামক উদরকে পুর্তি করায় ব্যস্ত। তাহলে দিনশেষে আমরা কি এটা বলতে পারি যে আসলে হুমায়ুন আজাদের আক্রশ ধর্ম, ঈশ্বরের চেয়ে বরং সেই সকল মানুষ্যসকলের উপর ছিল যাদের কারনে সাধারন মানুষ নিজ অধিকার থেকে, সমাজ থেকে বিচ্ছিন হয়েছে? চাইলেও আমরা এর উত্তর জানতে পারবো না।

বইটি পড়তে পারেন, কিন্তু পড়ার সময় মাথায় রাখবেন, আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন বা না করুন, মুদ্রার অপর পিঠের গল্প না জেনে কোনো উপসংহার টানবেন না, এর থেকে বড় মূর্খতা আর নেই।
Profile Image for Ivey Rashid.
42 reviews29 followers
June 14, 2020
হুমায়ুন আজাদের বাংলা ভাষার উপর দক্ষতা অসাধারণ। কিন্তু খুবই অগোছালো চিন্তা ভাবনা, এই বইয়ের লেখায় সেটা খুব বেশি চোখে পড়ে।
Profile Image for Esha.
176 reviews51 followers
September 18, 2020
He has serious and interesting logics, but I could refute them. Confused people will surely loose faith in religion after this
Profile Image for অনিরুদ্ধ.
143 reviews23 followers
December 24, 2020
অসম্ভব প্রিয় একজন লেখকের সাথে পরিচয় (যদিওবা এর আগে তাঁর একটি বই পড়া শুরু করেছিলাম, কিন্তু শেষ করতে পারিনি) এবং সেই সাথে (নিঃসন্দেহে) এই বছরে পড়া অন্যতম সেরা একটি বই শেষ করলাম। হুমায়ুন আজাদের লেখা আপনাকে ভাবতে শেখাবে, চিন্তা করতে শেখাবে, নির্মম সত্য উন্মোচন করে মাথার চুল ছেঁড়ার পরিস্থিতি তৈরি করবে। তাঁর অবিশ্বাসের ব্যবচ্ছেদ মুগ্ধ বিস্ময়ে পড়ার মতো!

'মোহগ্রস্ত নই আমি, আমি সৎ থাকতে চাই, সিসিফাসের মতো মেনে নিতে চাই জীবনের নিরর্থকতা, এবং অস্বীকারও করতে চাই নিরর্থকতাকে।'
Profile Image for Rukaiya.
19 reviews3 followers
September 3, 2022
এই বইয়ের "নাইটিংগেলের প্রতি" নামক অংশটুকু মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়েছি।
Profile Image for Md. Tahseen Quayum.
16 reviews17 followers
March 23, 2023
যুক্তি বা দর্শনের আশায় বইটা ধরি নাই। ভালো করেছিলাম, কারণ তার অভাব বেশ প্রকট। ষাট পৃষ্ঠার পর অধিকাংশই নিঃসার আস্ফালনই লেগেছে। কিন্তু। কিন্তু, বাংলা চমৎকার। তার জন্যই পড়া। অধুনাকালে বাংলা বইগুলো, সাহিত্য হোক বা সন্দর্ভ, আমার পড়তে বিরক্ত লাগে। ভাষা, শব্দচয়ন, বাক্যসঞ্চরণ; কোনোটিতেই গতি পাই না। বাক্যের উপর চোখ চালাতে চালাতে হোঁচট খাই বারবার। হুমায়ূন আজাদ নিয়ে আর যাই বলি, এবং অনেক কিছুই বলতে পারি, তাঁর বাংলার প্রশংসা করতেই হয়। প্রথম থেকেই বেশ সুন্দর, যদিও শেষের দিকে কিছুটা ভাটা পড়ে। তবে একদম শেষ অক্ষর পর্যন্ত যেটার সম্মুখীন হয় নি চোখ, সেটা হোঁচট। এইটুকুর জন্য হলেও তাঁকে ধন্যবাদ।

অ বা বিশ্বাস, ধর্ম বা জীবনের তাৎপর্য নিয়ে তাঁর বক্তব্য এখনই ভুলতে শুরু করেছি। তবে সাহিত্য নিয়ে তাঁর বক্তব্যগুলো রেখাপাত করেছে অনেক। জীবনানন্দ আর রবীন্দ্রনাথকে টেনেছেন বারবার। জীবনানন্দের কবিতার কিছু টেক্স্ট আরেকটু ভালো করে বুঝতে পেরেছি। ম্যাথিউ আর্নল্ডের 'ডোভার বিচ' পড়লাম, এবং বুঝলাম অবশেষে। একধরনের তৃপ্তি দেয় এই কুড়ানো জ্ঞানগুলো।

একটা বাক্য পড়ে মনে হল হিউমের উপরে নীটশেকে বিচার করছেন তিনি। এটা আমার কাছে নিতান্তই হাস্যকর। নীটশের আবেগী উদ্গীরণ কবিতা হিসেবে খুব উঁচু দরের হলেও, যুক্তি হিসেবে খুবই পানসে।

প্রতিটি প্রধান ধর্ম নিয়ে কমবেশি কিছু তথ্য পেলাম তাঁর কাছে। পড়তে হবে। তবে তাঁর বিজ্ঞানের বুঝ আলোড়নের থেকে boredom-এর উদ্রেকই বেশি করেছে।

রাজনীতির জায়গায় তাঁর বাক্যপ্রক্ষেপণ ভালো লেগেছে। এখানে আপত্তি করব না তেমন কিছুর সাথে।
Profile Image for Toufiq.
23 reviews32 followers
August 25, 2019
This book is mostly a compilation of other writers/philosophers' thoughts. The chapter 'Religion/Dhormo' was alright. Apart from it, the author has failed to sequentially and/or logically present his arguments throughout the book and borrowed others' ideas. His lack of originality and respect for others was of obvious nature.
Want to read
May 4, 2016
জন্মের আগে যেমন শূন্য ছিলাম, ম'রে যাবার পর আমার কাছে আমি সম্পূর্ণ শূন্য হয়ে যাব।
Profile Image for Raju Rastogi.
3 reviews1 follower
July 26, 2018
আমার পড়া বইগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী বই। আপনার ধর্ম বিশ্বাসকে মুক্তি বেগে ৩৫০০০ কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দিবে। সেখান থেকেই আপনি হুমায়ুন আজাদ কে বারবার কুপাতে চাইবেন যদি মৌলবাদী হন।
Profile Image for Imtiaz Rifat.
13 reviews2 followers
July 7, 2020
তথ্যের ব্যবহার ও বর্ণনাশৈলি বেশ ভাল।কিন্তু যুক্তির অসাড়তা ও পরস্পরবিরোধী অনেক ধারণা বিদ্যমান।
Profile Image for Jesan.
141 reviews5 followers
September 23, 2020
শুন্য হয়ে এসেছি,শুন্য হাতেই ফিরে যাব।ধর্ম নামক মিথ্যা আশ্বাসের কট্টর সমালোচনা হয়েছে।
Profile Image for Argho Adhikary.
15 reviews1 follower
February 20, 2022
Sorry old fart, but you can't make me think our lives are insignificant and meaningless.
Profile Image for Sarina.
424 reviews121 followers
June 24, 2019
Very well-written. The author's enthusiasm about disbelief or the demerits of believing bring certain points up for discussion. But is it a good book from the perspective of a believer?

Liked how many issues were brought up for clarification. Didn't like the adamant refusal or disinterest in exploring the controversies further at some points.

Found it meaningful in terms of historical events and names and beliefs of different groups or professions or just people. Found it lacking in terms of the rigidness of disbelief and lack of research work needed on the Quran and the life of Prophet (SAW). But it's understandable since the author claims to be a disbeliever.

N.B: The last chapter was highly entertaining but quite offensive in many respects. Gave lots of food for thought & topics to ponder over with people.

Overall, a book that makes you think, doubt, question things but does not give or claim to have all the correct answers. I kind of like that aspect but I dislike how most criticisms point mostly towards religion.

Rating for now: 3.45 stars.
Profile Image for Mehadi ßhuiyan.
46 reviews1 follower
June 8, 2024
খুবই তথ্যবহুল ও অসাধারণ লেখনি। তবে ধর্মের পুরোটাই খারাপ এটা আমি মানতে রাজি নই। আমি নিজেও ধর্মে বিশ্বাস করি না, তবে ধর্মের অনেক ভালো গুণ রয়েছে এটাও মানতে হবে। এছাড়াও জন্ম মৃত্যু কিংবা সামাজিক যোগাযোগ রক্ষায় যেসব আচার অনুষ্ঠান হয় সেগুলোর ও প্রয়োজনীয়তা আছে। তাছাড়া কিছু সংস্কার মানুষের মধ্যে থাকা আমার মোটেও খারাপ মনে হয় না, অল্পস্বল্প সংস্কার থাকার দরকার আছে।
Profile Image for Tushar.
9 reviews6 followers
December 26, 2018
জীবন অর্থহীণ, তাৎপর্যহীন এবং ইহাই জীবনের সৌন্দর্য্য। জীবন সম্পর্কে এই সহজ সত্যিটাকে স্বীকার না করার প্রবনতাই মানুষের যত যুক্তিহীণ অন্ধ বিশ্বাসের প্রধাণ কারণ।
Profile Image for Mamunur Ponel.
13 reviews1 follower
July 3, 2021
একদিন নামবে অন্ধকার-মহাজগতের থেকে বিপুল, মহাকালের থেকে অনন্ত ;কিন্তু ঘুমিয়ে পড়ার আগে আমি আরো কিছু দূর যেতে চাই।
Profile Image for Mukid.
149 reviews4 followers
October 29, 2024
প্রতিটি chapter অসাধারণ ।
Profile Image for Arnab Paul.
62 reviews119 followers
Read
July 17, 2014
নতুন চিন্তার জাগরণের সূচনা এবইটি পড়ে
Displaying 1 - 30 of 32 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.