Jump to ratings and reviews
Rate this book

ওঙ্কার

Rate this book
নিরুপায় হয়ে বোবা মেয়েকে বিয়ে করে, একরাতে স্ত্রীকে হারমোনিয়ামে গান গাওয়ার অক্লান্ত চেষ্টা করতে দেখে হঠাৎ করেই মমতা অনুভব করে সে স্ত্রীর প্রতি। হঠাৎ ভালবাসায় আপ্লুত স্ত্রীর কথা বলার চেষ্টা বেড়ে যায় আরো। ১৯৬৯ এর আসাদের মৃত্যুর পর বাড়ির সামন দিয়ে চলে যাওয়া মিছিলের সাথে গলা মিলাতে চাইলে তার গলায় রক্ত উঠে আসে।

38 pages, Hardcover

30 people are currently reading
1101 people want to read

About the author

Ahmed Sofa

71 books596 followers
Ahmed Sofa (Bangla: আহমদ ছফা) was a well-known Bangladeshi philosopher, poet, novelist, writer, critic, translator. Sofa was renowned for his intellectual righteousness as well as his holistic approach to the understanding of social dynamics and international politics. His career as a writer began in the 1960s. He never married. On 28 July 2001, Ahmed Sofa died in a hospital in Dhaka. He was buried in Martyred Intellectuals' Graveyard.

Sofa helped establishing Bangladesh Lekhak Shibir (Bangladesh Writers' Camp) in 1970 to organize liberal writers in order to further the cause of the progressive movement.

Ahmed Sofa's outspoken personality and bold self-expression brought him into the limelight. He was never seen hankering after fame in a trivial sense. His fictions were often based on his personal experience. He protested social injustice and tried to portray the hopes and dreams of common people through his writing. Sofa always handled his novels with meticulous thought and planning. The trend of telling mere stories in novels never attracted him; he was innovative in both form and content.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
705 (45%)
4 stars
624 (40%)
3 stars
192 (12%)
2 stars
27 (1%)
1 star
9 (<1%)
Displaying 1 - 30 of 213 reviews
Profile Image for Faisal Ether.
22 reviews14 followers
October 14, 2015
আহমেদ ছফার ওঙ্কার The Om পড়ার পর পর ই এর রিভিউ লেখা সম্ভব হয় নি। কারণ সম্মোহন তখনো কাটেনি। বই পড়ে পাওয়া অনুভুতি টা তখনও পিয়ানোর তার এর মত কাপছিল বুকের ভেতর। এই অনুভুতিকে সংজ্ঞায়িত করা আমার মত ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র নাচিজ এর পক্ষে অনেক কঠিন ব্যাপার। এটাকে ঠিক দুঃখ বলা যাবে না আবার খুশিও বলা যাবে না। অনেক টা প্রিয় গান টা শেষ হবার পর যেমন আবার বাজাবো কি বাজাবো না অনুভুতি টা হয়, এটা ঠিক সে রকম। ভাল লাগা টা ধরে রাখতে ইচ্ছা হয়।

ওঙ্কার এর পটভূমি ১৯৬৯ এর গনঅভ্যূত্থান এর পূর্ব্বর্তী এবং মধ্যবর্তি সময় টা। আইয়ুব খান এর শাসন কালে এই দেশ এর রাজনৈতিক অবস্থার যেমন সময় এর সাথে পরিবর্তন হচ্ছিল তেমনি পরিবর্তন আসছিল একটা খুব সাধারন সনাতন বাঙ্গালির জীবনেও। এই উপন্যাস এ তার চোখ দিয়েই আমরা দেখতে পাই তার বাবার উত্থান এবং পতন, তার বড় হয়ে ওঠা, বিয়ে করা, শশুরের অনুগ্রহে বেচে থাকা যেখানে সাচ্ছল্য হয়তো ছিল কিন্তু সস্তি ছিল না। পড়তে পড়তে এই কেন্দ্রিয় চরিত্র যার কোন নাম লেখক দেন নি, তার সাথে নিজের একটা মিল খুজে পাই। মনে হয়, আমিও তো এমন কাপুরুষ ই। ঝামেলা দেখলে মনে মনে দৌড়ে পালাই। এক্টা সফল উপন্যাস এর এইটাও একটা বৈশিষ্ট্য বলে মনে করি। নিজের সাথে একটা চরিত্র এর মিল খুজে পাওয়া। আর সেটা যদি হয় কেন্দ্রীয় চরিত্র, তাহলে সেই উপন্যাস হয় কালজয়ী।

আমি প্রান পণে চেষ্টা করছি, রিভিউ লিখতে গিয়া যেন , কাহিনীর সব কিছু বলেই না দেই। কিন্তু খুব বেশি সফল হতে পারছি না বোধহয়। উপন্যাস টা শেষ হয় একটা মৃত্যু দিয়ে আর যে মারা যায় তার উচ্চারিত প্রথম এবং শেষ শব্দ ছিল “বাঙলা”। জাতীয় এক টা আন্দোলন যে সাধারন মানুষের মনো জগতে কত টা প্রভাব ফেলতে পারে তা এই উপন্যাস পড়লে বোঝা যায়। এখানে মেরুদন্ডহীন বাঙালি ও মিছিল দেখে ভাবতে বাধ্য হয়, এই জনস্রোতে মিশে যাওয়া উচিত, মিশে যেতে হয়। বাকশক্তিহীন মেয়েটিরও মনে হয় তারো যে স্লোগান দেয়া বাকি।

আহমেদ ছফার উপন্যাস এ সবচেয়ে যে জিনিষ টা ভাল লাগে তা হলো সংলাপ এর প্রতি জোর না দিয়ে শুধু শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে যা ঘটছে তার সাথে পাঠক কে একাত্ব করে ফেলার ক্ষমতা। এই উপন্যাস এর অনেক জায়গা আছে যেখানে রসিকতা আছে কিন্তু সেটা সংলাপের বাহুল্যে জর্জরিত নয়। এই যুগের সাহিত্য হলে যা প্রায় অসম্ভব ছিল। পুরো উপন্যাস এর কোথাও নায়ক এবং নায়িকার কোন নাম নেই। তবু তাদের মধ্যে যে কেমিস্ট্রি তা অনুভব করতে এক্টুও কষ্ট হয় না। নায়ক যখন নায়িকা অবহেলা করে কিংবা কোন কোন রাতে লেখকের ভাষায় দুঃখী মেয়েটা “সারারাত একতাল কাদার মতো আমার শরীরের সঙ্গে লেগে রইল” হয়ে থাকে তখন বুকের ভেতর কেমন একটা হুহু শব্দ শুনতে পাই।

এই কাদা মাটির আস্তে আস্তে অর্থহীন বিপ্লবি স্থাপত্য হয়ে যাওয়া এবং তারপর নিজের অক্ষমতার আস্ফালনে গলে যেতে যেতে রক্ত হয়ে যাওয়া দেখতে দেখতে এই উপন্যাস শেষ হয়।

অনেক ছোট কলেবর এর একটা উপন্যাস। মাত্র ৫৯ পৃষ্ঠা। যারা আহমেদ ছফা পড়া শুরু করবেন ভাবছেন তাদের জন্য খুবি ভাল একটা স্টারটিং পয়েন্ট হতে পারে এই উপন্যাস।

আপাতত পড়ছি অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় এর “নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে”। এরপর আবার ফেরত আসব আহমেদ ছফা য়। “একজন আলি কেনানের উত্থান পতল” উপন্যাস এ।
Profile Image for NaYeeM.
229 reviews65 followers
November 4, 2024
"গোটা বাংলাদেশের এক প্রসব বেদনা ফড়িয়ে পড়েছে। মানুষের বুকফাটা চিৎকারে ধ্বনিত হচ্ছে নবজন্মের আকুতি"

আহা ছফা! লেখার কি ভাব-ভঙ্গি !
অবাক হয়ে এক লেখা বার-বার পড়তে হয়!
তার metaphorএর প্রয়োগ এমন ছিল যে,, যেমন কি আমি কোন এক জোছনা ভরা দ্বীপে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম, আবার এক পর্যায়ে মিছিলে গিয়ে সংগ্রামী হওয়ার মতন বুকের ভেতর এক বিদ্রোহ অনুভব করছিলাম।

এখানে হয়তো ছফা এক নারীকে symbolic হিসেবে ব্যবহার করে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, মানুষ সবসময় বোবার মতো চেয়ে চেয়ে দেখে না সবকিছু, এক পর্যায়ে মানুষ হয়ে যায় সংগ্রামী, তেজী।
সেই তেজ ক্ষয় না ধরা লোহার মতন শক্ত।
মানুষের বোবা থাকা/নিজ অধিকার আদায়ে কিছু না বলা সময়ের ব্যাপ্তি যত বেশি হয়, তার মধ্যে সংগ্রামের ঢেউ তত বেশি উত্তাল হতে থাকে।
Profile Image for Maliha Tabassum (back from hiatus) Tisha.
127 reviews405 followers
December 5, 2022
কি অপূর্ব লেখনী! ইচ্ছে করে কবিতার মতো আবৃত্তি করতে।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে লেখা অণু-উপন্যাসটি ছফা-রচিত আমার পড়া প্রথম উপন্যাস (অনতিদূর অতীতে একটি স্মৃতিকথা পড়েছিলাম কেবল), এবং এই এক উপন্যাসেই আমি ছফার ভক্ত হলাম। কথক যে নিজের ভীরুতা, "নিষ্ক্রিয়তা" নিয়ে সদাসর্বদা আক্ষেপ করে, ছিন্নমূল হয়ে যাবার ভয়ে সিটিয়ে থাকে, অথচ কখনও চেষ্টা কিংবা সংকল্পবদ্ধও হয় না নিজের এ মানসিক অক্ষমতাকে জয় করার উদ্দেশ্যে; এবং তার মূক স্ত্রী যে নিজের শারীরিক অক্ষমতাকে বুড়োআঙুল দেখিয়ে কথা বলার, গান গাওয়ার বিফল চেষ্টায় অহর্নিশ উদ্যত থাকে, মিছিলের সময় জানালা বন্ধ করে দিলে স্বামীর পা কামড়ে দেয়, বটি নিয়ে তাড়া করে, "বাংলাদেশ" শব্দটি উচ্চারণ করতে যে নিজের সর্বস্ব শক্তি প্রয়োগ করে অক্ষম কণ্ঠনালীটির সঙ্গে যুদ্ধ করে - এ দুটি অনামী প্রাণী শাশ্বত সমাজেরই দুটি পৃথক মানবদলের প্রতিনিধি। এর সঙ্গে ছফার লেখনীর মৃদুমন্দ ছন্দ, সুচারু বর্ণনা, সুনিপুণ শব্দশৈলী, উপমা, সব মিলেমিশে যে অদ্ভুত ঘোর-লাগানো ক্ষুদ্রকায় বইটি সৃষ্টি করেছে সেটি ভুলতে আমি কোনোদিন পারবো না।

"মিছিলে ধ্বনিত হয় ভাঙ্গনের ধ্বংসনাদ, মিছিলে জাগে নবসৃষ্টির মহিয়ান সঙ্গীত।"
---------------------------------------
"গোটা বাংলাদেশের শিরা-উপশিরায় এক প্রসববেদনা ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের বুকফাটা চিৎকারে ধ্বনিত হচ্ছে নবজন্মের আকুতি।"
---------------------------------------
"কোন রক্ত বেশি লাল। শহীদ আসাদের -- না আমার বোবা বউয়ের?"
Profile Image for Sumaîya Afrôze Puspîta.
220 reviews288 followers
February 10, 2025
আহমদ ছফার শব্দচয়ন এত প্রাঞ্জল এবং ভাবে-পূর্ণ ঝংকার‌ দ্বারা সৃষ্ট যে, তাঁর লেখার সম্পর্কে কী বলব ভেবে মাথা গুলিয়ে যায়। অল্প কয়েকটি পৃষ্ঠার মধ্যে শৈশবের পারিবারিক ইতিহাস থেকে নিজের দাম্পত্যজীবনের শুরু-বিস্তার, বোবাসঙ্গিনীকে এত নিখুঁতভাবে পরিচয় করানো, রাজনৈতিক আভাস–তিনি বলেই হয়তো সম্ভব।

আমার মাথায় আবার আন্দোলন-মিছিল ঘুরছে, আর প্রশ্ন বাজছে, কোন রক্তটা বেশি লাল?
Profile Image for Amit Das.
179 reviews117 followers
June 30, 2021
...মন ফুঁড়েই একটা প্রশ্ন জাগে- কোন রক্ত বেশি লাল। শহীদ আসাদের- না আমার বোবা বউয়ের?
Profile Image for Injamamul  Haque  Joy.
100 reviews115 followers
June 30, 2021
আহমদ ছফার জন্মদিনে ভাবলাম ওনার এই পুঁচকে বইখানা পড়ে ফেলি। দেখি, মাত্র ৪৪ পৃষ্ঠার এই বইটায় কী এমন হান্দেশ খানা লিখেছেন। তবে বইটা পড়ার পর মনে হ��তেছিলো যে, ছফা সাহেব আমার ভেতরের কোনো সত্তাকে উগড়ে দিতেছেন। টের পাইতাছিলাম গল্পকথকের আর তাহার বোবা বউয়ের উচ্ছ্বাসের সাথে আন্দোলিত হইত���ছে আমারও শরীরের প্রতিটা লোমকূপ। এতটুকুর ভেতরে কী সুন্দর দর্শন, লিবারেলিজম তুলে ধরছেন। আর সাধারণ মাইনষের মনস্তত্ত্ব তুলে ধরা তো ওনার বিশেষ গুণ। গল্পকথকের সাথে আমারও মন ফুঁড়ে জাগে একটা প্রশ্ন— কোন রক্ত বেশী লাল— শহীদ আসাদের নাকি গল্পকথকের বোবা বউয়ের?

শুভ জন্মদিন লিবারেল সম্রাট❤️
Profile Image for Ishraque Aornob.
Author 29 books403 followers
February 1, 2021
অসাধারণ রকমের শক্তিশালী লেখনশৈলী, একেবারে মনে দাগ কেটে যাওয়ার মত। কাহিনীর ব্যাপ্তি ছোট হলেও এর ভার বিশাল।
Profile Image for Musharrat Zahin.
404 reviews490 followers
June 30, 2021
'ওঙ্কার' আহমদ ছফার একটি চিরায়ত উপন্যাস। মাত্র ৩৮ পৃষ্ঠার এই ছোট্ট উপন্যাসটি উঠে এসেছে '৬৯ এর পাকিস্তান আমলের সমাজচিত্রের ক্যানভাস ও সামাজিক অসংগতি এবং মনস্তাত্ত্বিক খেলা।
.
.
পেটের দায়ে আবু নাসের মোক্তারের বোবা মেয়েটির সাথে বিয়ে হয় লেখকের। তাহলেই লেখকের পরিবার নিজেদের ভিটেমাটি ফেরত পাবে। আর কোনো পথ বাকি না থাকায় লেখক সেই বিয়েতে রাজি হয়ে যান। এমন না যে বউয়ের প্রতি তার অনীহা ছিল, তবে বোবা তো, যার কারণে তাদের মধ্যে মনের ভাব ঠিক সেভাবে আদান-প্রদান হতো না। তারও ইচ্ছে হতো কিন্নরকণ্ঠের কোনো নারীর সঙ্গ লাভ, যার ভালোবাসা তাকে নিংড়ে দিবে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া জৌলুশ হারানোর ভয়ে তিনি অন্য কোনো নারীকে তার জীবনে আনার চেষ্টাই করেননি।

কিন্তু একসময় তিনি তার এই বোবা বউয়েরই প্রেমে পড়ে যান। একজন বাক শক্তিহীন মানুষের যে কত কষ্ট, মনের ভাব প্রকাশ না করতে পারার যে কী যন্ত্রণা সেটার ভয়াবহতা তা সেই মানুষটা ছাড়া অন্য কেউ বুঝে না। অনামা নায়কের বউয়ের কত আকুতি একটু কথা বলার জন্য! আন্দোলনের সময় ছেলেরা চিৎকার করে বাসার সামনে দিয়ে যায়, সে তাদের সাথে গলা মিলিয়ে একবার 'বাংলাদেশ' বলারও চেষ্টা করে সে। সে কি পারে শেষ পর্যন্ত 'বাংলাদেশ' বলে চিৎকার করতে?
.
.
উপন্যাসের প্রথম অংশ ছিল মূল চরিত্রের ব্যক্তিগত জীবনের হাহাকারের কথা, কিন্তু দ্বিতীয় অংশে চলে আসে দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির কথা।
.
.
খুব ছোট পরিসরের অসাধারণ একটা উপন্যাস 'ওঙ্কার'। আহমদ ছফার লেখনশৈলী নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই। প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি কথাও বলেননি তিনি। তিনি আহমদ ছফা বলেই এতটুকু একটা উপন্যাসে একটা দেশের ইতিহাস তুলে ধরতে পারেন। উত্তম পুরুষে লেখা অনামা নায়কের জবানীতে উপন্যাসটা পড়ার সময় মনে হবে আপনি হয়তো নিজের কোনো ডায়েরির পাতা উল্টাচ্ছেন। ভাষাবিন্যাস, রূপক, শব্দচয়ন বেশ ভালো লেগেছে।

ছোট্ট একটা উপন্যাস, কিন্তু শেষ লাইনটা পড়ার পর আপনি নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করবেন যে আসলে আপনি কী পড়লেন। এইটা এমনই একটা উপন্যাস যা আপনাকে বারবার ভাবাবে, আপনার চিন্তাভাবনায় নাড়া দিবে। শব্দের ব্যবহার যে এমন চমৎকার উপায়ে করা যায় তা এই বইটা না পড়লে বোঝানো সম্ভব না। প্রতিটি শব্দই যেন পাঠকের ভাবনাকে দুমড়েমুচড়ে দেয়! এই প্রতীকী উপন্যাসের মাধ্যমে লেখক তুলে ধরেছেন তৎকালীন দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং ঐতিহাসিক পরিবর্তন।
Profile Image for Hasnat Sujon.
36 reviews16 followers
June 23, 2020
আমি এই বইটিকে ক্লাসিকের মর্যাদা দেই। এক বাক্যে বললে আমি বলি এর চেয়ে সেরা লেখা বাংলা সাহিত্যে খুব কম লেখা হয়েছে।

আমার ব্যক্তিগত মতামত এই বইটিতে উপন্যাসের ব্যাপ্তি আছে, পরিধি নেই। এটাকে বড়জোর নভেলা বলা যায় (বোদ্ধারা অবশ্য দ্বিমত পোষণ করতে পারেন) । মাত্র ৩৭ পৃষ্ঠায় পুরো বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা প্রায় অসম্ভব, সেটা করেছেন ছফা। এবং সম্ভবত ছফা বলেই তা সম্ভব হয়েছে।

বনফুলের নিমগাছের মতো। শেষ এক লাইনে বনফুল যেমন সবকিছু পরিবর্তন করে দিয়েছেন। ছোট্ট একটা গল্প, কিন্তু কী অসাধারণ তার ব্যাপ্তি। ওঙ্কারও ওরকম। ছোট্ট উপন্যাস। কিন্তু তার ক্যানভাস বিশাল।

জয় বাংলা।
Profile Image for Farzana Raisa.
530 reviews237 followers
May 25, 2020
টিভির চ্যানেল পাল্টাতে পাল্টাতে কাকতালীয় ভাবে এবং হয়তো কিছুটা সৌভাগ্যবশত সিনেমাটা দেখা হয়ে গিয়েছিল। তখনও জানতাম না, স্টোরি টেলার আহমদ ছফা। বলাই বাহুল্য, মুভির কাহিনি আর শাবনূর-মাহফুজের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

তার আরও আরও অনেক পড়ে জানতে পারি, এটা আহমদ ছফার উপন্যাস। পড়ে ফেলতে দেরী করিনি এক মুহূর্ত। খুব ছোট্ট একটা বই অথচ কী শক্তিশালী!

অসম্ভব সুন্দর! ❤
Profile Image for HR Habibur Rahman.
284 reviews54 followers
October 5, 2022
নতুন জীবনের, নতুন দিনের, নতুন দেশের সূচনাতে জানা অজানা কত জনের ত্যাগ জড়িত তা চিরদিন অজানাই থেকে যাবে। কেউ রাজপথে কেউবা নিভৃতে, প্রচেষ্টা সবারই প্রাণপণ ছিলো।

ভাগ্যিস Book Description টা পড়িনি। বইটা পড়া শেষ করে Rating দিতে এসে দেখি ওমা এত্ত বড় স্পয়লার।
Profile Image for Rifat.
501 reviews329 followers
January 1, 2021
ছোট একটা উপন্যাস, অথচ কী গাঢ়!
উপন্যাস কথকই নায়ক চরিত্র,অথচ লেখক একটিবারও কোনো নামে ডাকার প্রয়োজনবোধ করেন নি।
আইয়ুব খানের শাসনকালের সময়। মিটিং মিছিল,আন্দোলন চলে।এরই মাঝে একটি পরিবারের কাহিনী এগিয়েছে,সদস্য মাত্র তিনজন।
কারোর নাম উচ্চারিত হয়নি একটিবার। কাহিনীর বক্তা শুরুতেই ঠান্ডা মাথায় নিজের পূর্বপুরুষদের আর বাবার আমলের কিছু কথা বলেন,তাতে কিছুটা নিন্দা মিশেই ছিল।
বাড়ি বাঁচাতে কথক বিয়ে করেন মোক্তার সাহেবের বোবা মেয়েটিকে। কথা জানে না, আদর পায় নি কোনোদিন মেয়েটি। মাঝপথে কথক যদিও তার স্ত্রীভাগ্য নিয়ে কষ্টে ছিলেন কিন্তু হঠাৎ করেই বোবা মেয়েটির মায়ায় পড়ে যান। কথা বলার কতটা প্রবল ইচ্ছা তার। মেয়েটিও স্বামীর এরূপ মায়ায় অভিভূত হয়ে যায়।
মিছিল দেখে মেয়েটি কেমন যেন উত্তেজনা অনুভব করে, আওয়াজ যেন ঠিকরে বের হতে চায় গলা দিয়ে।
একদিন এক মিছিল নায়কের বাসার দিকে আসছে।শ্লোগানের শব্দ শুনেই তার বোবা বউটি গলা দিয়ে আওয়াজ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। শেষে নায়কের মনে হয় তার এই মায়াবী বোবা বউটি যেন "বাঙলা" শব্দ উচ্চারণ করেছে,তার গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে।নায়কের মনে একটাই প্রশ্ন তখন - 'কোন রক্ত বেশি লাল?শহীদ আসাদের না তার বৌয়ের?'
Profile Image for Adwitiya (অদ্বিতীয়া).
297 reviews41 followers
May 22, 2021
৫.০০ / ৫.০০

রচনাকালঃ ১৯৭২

৩৮ পাতায় এক মাস্টারপিস পড়লাম। যেভাবে মোহের ঘোরে একটানা পড়ে গেছি - সব প্রতীক, উপমা, অলঙ্কার তো ঠিকমতো বুঝেও উঠতে পারিনি। অবশ্য বারবার পড়ার মত জিনিস এটা, কাজেই সামনে আরো অনেক সুযোগ পাওয়া যাবে সেসব করার। এলেগরি উপন্যাস শুনলে মনে হয় বুঝি মূল কাহিনি অতো রসালো হবে না, শুধু পণ্ডিতদের পাঠ্��। ব্যাপারটা এখানে মোটেও সেরকম ছিলো না। আর আহমদ ছফার প্রাণবন্ত বেগমান ভাষা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ছফাকে কোন এক সাক্ষাৎকারে যখন জিগ্যেস করা হয় বাংলা ভাষায় কোন যথার্থ ক্লাসিক আছে কিনা তিনি নিজের 'ওঙ্কার' এর কথা বলেছিলেন। আমি আমার স্বল্প জ্ঞান আর ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা দিয়ে এই উক্তি কতটুকু ঠিক তা বিচার করতে পারব না। তবে এটা বলতে পারি যথেষ্ট উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়েই এই ক্ষুদ্র রচনাটি পড়া শুরু করেছিলাম এবং পড়া শেষে একটুও অসন্তুষ্ট মনে হয়নি নিজেকে।


~ ২২ মে, ২০২১
Profile Image for অনিরুদ্ধ.
143 reviews23 followers
July 25, 2020
"সমস্ত শক্তি জড়ো করে বাকযন্ত্রের ওপর হুকুম জারি করছে 'উচ্চারণ করো, উচ্চারণ করো'।"
"গোটা বাংলাদেশের শিরা-উপশিরায় এক প্রসববেদনা ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষের বুকফাটা চিৎকারে ধ্বনিত হচ্ছে নবজন্মের আকুতি।"

স্বীকারোক্তিঃ এখনো পর্যন্ত এমন শক্তিশালী লেখা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। মানছি যে, আমার পাঠক জীবনের সবে শুরু। তবুও, আহমদ ছফা বলেই সম্ভব কিনা জানিনা, কিন্তু সত্যি বলতে এটা প্রকাশ করার ক্ষমতা আমার নেই। কোন নির্দিষ্ট শব্দ বা শব্দগুচ্ছ দিয়েও এর বিশেষায়িত করতে পারব না।
Profile Image for Sneha.
56 reviews96 followers
October 8, 2022
আহা কি সুন্দর একখানা বই! যেন বুকের ভেতর একটা অচেনা দুঃখ জীবন্ত হয়ে উঠলো। ঝকঝকে দিনের মতন মন প্রাণ ভরে গেলো।
Profile Image for Titu Acharjee.
258 reviews34 followers
December 28, 2024
মাত্র ৪৩-৪৪ পৃষ্টায় যে গল্পটা বলেছেন ছফা, সেটা সম্ভবত তিনি ‘ছফা’ বলেই পেরেছেন। এবং তিনি ‘ছফা’ বলেই গল্পের কলেবর ছোট হলেও, তার রেশ দীর্ঘস্থায়ী।
Profile Image for Galib.
276 reviews69 followers
May 12, 2017
মাত্র ৩৮ পেইজ .....লোভে পরেই পড়া ।
এরপর ?

কিছুটা হতাসা, কিছুটা আশা,দীর্ঘশ্বাস, মুষ্টিবদ্ধ হাত , .......
Profile Image for Susmita Sarker (বাচ্চা ভূত).
193 reviews11 followers
May 11, 2022
আহমদ ছফার লেখা প্রথমবার পড়লাম। এতো সুন্দর ভাষার গাম্ভীর্য,লেখনী,শব্দচয়নের ঝংকার ,ছন্দ এককথায় অতুলনীয়। "ওঙ্কার" উপন্যাসটা মন ছুঁয়ে গেছে।
Profile Image for Shahab Mosharraf.
84 reviews5 followers
July 13, 2021
আহমেদ ছফার লেখার মধ্যে যে শান্তিময় অকৃত্রিমতা, তার ছোঁয়া ছিল প্রায় সারা ৪৮ পাতার উপন্যাস জুড়ে! কিন্তু শেষে এসে একটা হকচকানো ধাক্কা সামলানো গেল না। দুর্বলচিত্তরা শেষে এসে একটু সময় নিবেন। নতুবা আমার মত সারা বই উপভোগ করে শেষে এসে গোমড়ামুখে রিভিউ লিখতে হবে।
(প্রায় প্রতিবারই যখন কোন ছোট গল্প বা উপন্যাস বিশেষ খ্যাতি লাভ করে, প্রকাশকেরা লেখার আগে পরে কিছু পোস্টমর্টাম জাতীয় লেখনী সংযুক্ত করে গল্পের শ্রীহানি করে থাকেন। এই এডিশনটাও তেমনটা।)
Profile Image for Nabila Tabassum Chowdhury.
373 reviews274 followers
November 6, 2014
ভাল লেগেছে:
- বর্ণনা শৈলীর তীক্ষ্ণতা, তীব্রতা।
- গল্পের মুল সুর আর প্রোট্যাগোনিস্ট চিন্তা চেতনা দুটোকে দুই প্রান্তে রেখে লেখক একই বিন্দুতে এনে মিলিয়েছেন। একে কিছুটা জেলখানার ছোট্ট শিকের ভেতর থেকে আকাশে মুক্ত পাখির ওড়াওড়ি দেখার মত দুটি বৈপরীত্যের এক হয়ে যাওয়ার সাথে তুলনা করা যায়।
ভাল লাগেনি:
- এর ২২ পৃষ্ঠার ছোট্ট কলেবরের মাঝেও অপ্রয়োজনীয় কিছু উপাদানের। হয়তো ছোট গল্প হলেই অনেক বেশী স্ট্রং হত।
- বাস্তবতা বিবর্জিত নাটকীয়তা। বাস্তবে চেষ্টার জোড়ে বোবা বউটির গলা দিয়ে শুধু রক্তই বের হয়, কিন্তু "বাংলা" আর বের হয় না। এটা শুধু গল্প-উপন্যাসেই হয়।
Profile Image for তান জীম.
Author 4 books279 followers
February 12, 2021
৩৮ পৃষ্ঠার বইতে উনি ছোট্ট পরিসরে কিন্তু এত সুন্দর এবং সাবলীলভাবে অনুভূতিমালা প্রকাশ করেছেন যে পাঠকমাত্র অবাক না হয়ে পারে না। বইয়ের বেশিরভাগ শব্দই ইন্ট্রিগ্রেটেড অর্থ প্রকাশ করেছে।

বইতে একসাথে অনেক কিছু প্রাধান্য পেয়েছে। একজন বিবেকহীন কাপুরুষ, তার বোবা স্ত্রী, তার শ্বশুড়, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানসহ অনেক কিছুই। পড়তে খুব বেশী সময় লাগবে না। সো, কেউ মিস দিয়েন না। পড়লেই বুঝতে পারবেন, আহমেদ ছফা কি জিনিস ছিলেন। কত অল্প কথায় গভীর অনুভূতি, দর্শন লিখতে পারতেন।
Profile Image for Tanjina Faria.
9 reviews16 followers
October 17, 2020
মাত্র ৪৩ পৃষ্ঠার একটা বই,হাতে নিতে না নিতেই টুপ করে শেষ হয়ে যায়!অথচ আমাদের অনুভূতি,আবেগ,হৃদয় কিংবা সর্বস্ব স্পর্শ করার কি অপরিসীম ক্ষমতাই না এই পাতলা বইটার ভেতরে লেখক ঢেলে দিয়েছেন!এই বইয়ের ঘোর সম্ভবত অনেকদিন মনের এককোণে লেগে থাকবে!থাকুক না!ক্ষতি কি?
Profile Image for Shojib Saha.
18 reviews5 followers
June 5, 2024
ভাস্কর যেনো পাথর কুঁদে কুঁদে তার নিপুণ হাত দিয়ে উপমার কারুকার্য খোদাই করছেন। পাথরে খোদাই করেছেন বলছি কারন সেই উপমাগুলো এমনই যে "চিত্রায়িত করেছেন" এই শব্দগুলি ব্যবহার করে সেই উপমাকে সংজ্ঞায়িত করলে তা যথোপযুক্ত হবে না। কারণ উপমাগুলো তুলির আঁচড়ের মতো কোমল ব্যাপারের তুলনায় দৃঢ় শক্ত হাতে লোহার বাটালি দিয়ে পাথর খোদাই করার মতো বর্ণনার সাথেই অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ।
Profile Image for Ësrât .
515 reviews85 followers
February 2, 2020
"মন ফুড়েই একটা প্রশ্ন জাগে,কোন রক্ত বেশি লাল.শহীদ আসাদের -না আমার বোবা বউয়ের?"

ছফা সাহেব;আপনাকে কুর্নিশ জানানো ছাড়া অন্য কোন ভাষা আমার জানা নেই ☺
Profile Image for Wasim Mahmud.
357 reviews29 followers
October 31, 2022
ওঙ্কার। বৈদিক পূরাণ মতে 'ওঙ্কার' মানে সকল ধ্বনির মূল, সেই আদি ও অকৃত্রিম ধ্বনি।

আহমদ ছফা রচিত দ্বিতীয় উপন্যাস এটি। অবশ্য এটি কি উপন্যাস না গল্পগ্রন্থ তা নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে, রয়ে যাবে। মেথডিক্যাল কলেবরের আকার-আকৃতি সূচক যে পশ্চিমা ধারণা আছে সেটির সাথে এই আখ্যানটি যায় না।

টাইমলাইন ১৯৬৮ থেকে ১৯৬৯ এর অগ্নিঝড়া সময়। উত্তম পুরুষে রচিত এমন একধরণের গদ্যকাব্য ধরণে গল্প এগিয়ে যায়। যে গল্পে বিভিন্ন চরিত্রের কোন নাম নেই। দু'একটি চরিত্র ছাড়া নামহীন কেন এই উপন্যাস?

'পবিত্র পশু' পিতার সয়সম্পত্তি হারিয়ে কপর্দকহীন হয়ে পড়ায় এবং মা-বাবাকে হারিয়ে দু'চোখে অন্ধকার দেখা আমাদের মূল চরিত্র বিয়ে করতে বাধ্য হন এক বোবা মেয়েকে। আবু নসর মোক্তারের মেয়ে। সেই মোক্তার যার ষড়যন্ত্রে সর্বস্বহারা হ‌য়েছিলেন নামহীন মূল চরিত্র।

ধূর্ত, ভিতু এবং সুবিধাবাদি উত্তম পুরুষে বয়ানকারী গল্পের মেইন ক্যারেক্টার বাকশক্তিহীন মেয়েটিকে বিয়ে করে অর্থনৈতিক ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা পেলেও মনের সংশয় এবং হীনম্মন্যতায় ভুগতে থাকে। অন্যান্য নারীদের কথাবার্তা শুনার আগ্রহে সে অস্���ির হয়ে পড়ে।

ছোটবোনকে গানের শিক্ষক ঠিক করে দেয়ার পর বাকশক্তিহীন স্ত্রীর মাঝেও "গোঁ, গোঁ" করে গান গাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা ফুটে উঠতে দেখা যায়। সমান্তরালে যেভাবে বাংলা ভাষার স্ফূরণের দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে।

আমাদের গল্পের বয়াতী দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকে অবিরত। একদিকে তাঁর কাপুরুষতা আবার অন্যদিকে প্রগতির দিকে একধরণের মোহগ্রস্থতা গল্পের পরতে পরতে ছিটিয়ে আছে।

ফিল্ড মার্শাল আইউব খান, তাঁর সাঙ্গপাঙ্গ শ্বশুড় মোক্তার এবং তাদের ক্ষমতার সুবিধাভোগি বোবা মেয়েটির স্বামী প্রবল আন্দোলনে নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে করে। তাঁর মধ্যে কাজ করে বিপন্নতা। এদিকে সঙ্গিতের স্বরতরঙ্গের পাশাপাশি শহিদ আসাদের মিছিলের উন্মাদনার যে ধ্বনি তা পুরো চেতনাজুড়ে স্পর্শ করে বোবা মেয়েটিকে।

হারমোনিয়াম নিয়ে বাকশক্তিহীন স্ত্রীর গান গাওয়ার প্রচেষ্টা থেকে শুরু করে স্বাধীনতাকামী মিছিল ঘরের আশপাশ দিয়ে গেলে সকল দরজা-জানালা খোলা রেখে অব্যক্তকে ব্যক্ত করার প্রায় অসম্ভব ইচ্ছের প্রকাশ দেখে আমাদের বাঙালি মুসলমান চরিত্রটি স্ববিরোধী চিন্তাচেতনায় ভুগতে বাধ্য হয়।

আহমদ ছফা সাহিত্যের প্রায় সকল অঙ্গনে কুশলী একজন শিল্পী। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাসে গল্পের প্লট অথবা চরিত্রের চেয়ে তিনি ধ্যান দিয়েছিলেন গদ্যকাব্যের ভঙ্গিমায় গল্পের প্রবাহমনতায়। ‌দ্রুতগতিময়তা এবং স্বল্প কলেবরে ৬৯ এর গণ‌অভ্যুত্থান এবং বোবা স্ত্রীটির গাওয়ার বা বলার আকাঙ্ক্ষার যে পরিবর্তিত ব্যক্তিসত্ত্বা তা সমান্তরালে বলে গেছেন একজন দক্ষ গল্পকার হিসেবে আহমদ ছফা।

ভূমিকা লিখেছেন সুদিপ্ত হান্নান। পরিশিষ্ট - ১ এ আছে রশীদ করীম, মোহাম্মদ মাহ্ফুজ‌উল্লাহ এবং সলিমুল্লাহ খানের পাঠ আলোচনা। পরিশিষ্ট - ২ এ আছে আহমদ ছফার সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি এবং একনজরে আহমদ ছফা গ্রন্থপঞ্জি।

'ওঙ্কার' মূলত এক প্রতিকী উপাখ্যান। তথ্যগত কিছু ভ্রান্তি ছাড়া ছফার অনিন্দ্য সুন্দর বর্ণনায় যেখানে বাস্তব এবং কল্পনা একসাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।

পাঠ প্রতিক্রিয়া

ওঙ্কার

লেখক : আহমদ ছফা

( প্রথম প্রকাশ : ১৯৭৫ )

হাওলাদার প্রকাশনী প্রথম প্রকাশ : অক্টোবর ২০১৮

সম্পাদনা : মানজুর ছফা

প্রকাশনী : হাওলাদার প্রকাশনী

প্রচ্ছদ : মোবারক হোসেন লিটন

জনরা : উপন্যাস, গদ্যকাব্য।

রিভিউয়ার : ওয়াসিম হাসান মাহমুদ
Profile Image for Fatema-tuz    Shammi.
126 reviews21 followers
April 2, 2021
শুরুতেই লেখকের লেখনশৈলী নিয়ে একরাশ মুগ্ধতা। সহজ অথচ গভীর ভাবে লিখেন; অবাক হতে হয় বারবার -

বইয়ের শুরু হয় কথকের বাবা কে নিয়ে। কথকের বাবার তালুকদারি নিলামে উঠায় উপায় না পেয়ে বিয়ে করতে হয় বোবা মেয়ে কে। প্রথম নিজের বোবা বউ নিয়ে অসম্ভব হীনমন্যতায় ভোগতেন। কিন্তু এই বোবা বউ এরও ছিল অনেক ইচ্ছা আকাঙ্খা। কথা বলার তীব্র বাসনা। যদিও তা উপলব্ধি করতে পারতো কেউ ই। হঠাৎ সেটাই আবিষ্কার করে ফেলেন লেখক। গানে,মিছিলে বোবা বউ আর সাধারনের মতো ই সমানভাবে আকর্ষণ অনুভব করতো। আমাদের মতো তার শিরায় ও সেসব প্রবল ঢেউ তুলতো। তাই তো অক্ষম অবাধ্য কন্ঠনালি কে সমস্ত শক্তি দিয়ে বাধ্য করেন শব্দ উচ্চারণ করতে। যার জন্য চরম মূল্য ও দিতে হয়৷
Profile Image for Pranjal Kumar Nandi.
57 reviews43 followers
March 31, 2020
ওঙ্কার নিয়ে আর কি বলব? আমার মত অধমের সে যোগ্যতা এখনো নেই । একবার পড়া শেষ হলে আবার পড়বেন; কয়েকবার পড়বেন। দেখবেন প্রতিবার পড়ার পরে নতুন কিছু মনে হবে। আশ্চর্যের ব্যাপার হল অনেকবার পড়লেও কোনোভাবেই বিরক্তি লাগবে না। এই ছোট মরিচটির ঝাল অনেক বেশি।
Profile Image for Humaira Tihi.
79 reviews28 followers
April 2, 2023
কিছু বই দেরীতে পড়ার আক্ষেপ আমার কোনদিন ঘুচাবে না। 'ওঙ্কার' সে তালিকায় প্রথম সাড়ির একটি বই। আহমদ ছফা'র যেকোন বই প্রায় অন্ধবিশ্বাসে পড়ে ফেলা যায়৷ ছুড়ির মত ধারালো একেকটা লাইন বুকে দাগ কেঁটে বসে থাকে বহুদিন ধরে!

উত্তম পুরুষে লেখা ছা-পোষা মানুষটার অভিব্যক্তি নিছক একটা গল্প বলে না। বরাবরই দেখেছি, তার লেখায় একটা লাইনের ভেতরে কয়েক রকম অর্থ থাকে, তার ভেতরে অন্যতম প্রধাণ স্থান পায় স্যাটায়ার। না বুঝলে ক্ষতি নেই, বুঝলে মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাকে বলল?

'প্রকাশ, হায় রে প্রকাশের ব্যাথা।' গল্পকথকের বোবা স্ত্রী'র কন্ঠ থেকে উচ্চারিত একটা মাত্র শব্দের আবেগ- গোটা একটা উপন্যাস। কয়েকশ' পাতার মহাকাব্যেও থাকে না কত সময়। একটা হল বলের ঘাত, অন্যটি ঘাতবল।

আধ ঘন্টায় পড়ে আধা বেলা হা করে বসে থাকার মত অবস্থা!
Profile Image for Ahona.
2 reviews1 follower
September 7, 2024
রিডিং ব্লক থেকে বের করা একমাত্র বই, বেশ ছোট এবং আকর্ষিক কিনা! আহমদ ছফা যেভাবে উপমার সদ্বব্যবহার করেন, এমন কারো লেখা আজ পর্যন্ত পড়া হয়ে উঠেনি। ইচ্ছা করছে উনার সব সমগ্র কিনে ফেলি, কিন্তু বাকি টু-বি-রেড বইগুলো আমাকে গালি দেয়া শুরু করবে।

বইটা থেকে আমার পছন্দের কয়েকটা লাইন-
- “অনিবার্যের সঙ্গে বিবাদ করব। তেমন হিম্মত আমার কোথায়! আমি তো আর ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান নই।”
- “মায়ের উৎসাহ, আগ্রহ এবং চোখের জলই আমার তাবৎ কর্ম-প্রেরণার উৎস।”
- “মন ফুঁড়েই একটা প্রশ্ন জাগে—কোন রক্ত বেশি লাল। শহীদ আসাদের—না আমার বোবা বউয়ের?”

২৪ এর গণঅভ্যুত্থান যে ৬৯ এর প্রতিবিম্ব, তা এই বই পড়ে ঠাওর করতে পারলে একটু হকচকিয়ে যাবেন, তাই এই ছোট্ট ২৭ পৃষ্ঠার বইটি পড়ে ফেলুন। কারণ ইতিহাস যত দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আমরা পড়া শুরু করব, ততো ইতিহাস নতুন মোড়কে পুনরাবৃত্তি ঘটাবে।

Displaying 1 - 30 of 213 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.