Jump to ratings and reviews
Rate this book

একেই কি বলে সভ্যতা ও বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ

Rate this book

Unknown Binding

First published January 1, 1860

40 people are currently reading
558 people want to read

About the author

Michael Madhusudan Dutt

31 books60 followers
Michael Madhusudan Dutt, or Michael Madhusudan Dutta (Bangla: মাইকেল মধুসূদন দত্ত) was a popular 19th-century Bengali poet and dramatist. He was a pioneer of Bengali drama. Madhusudan is widely considered to be one of the greatest poets in Bengali literature and the father of the Bengali sonnet. He pioneered what came to be called amitrakshar chhanda or blank verse (Bangla:অমিত্রাক্ষর ছন্দ). His famous work, মেঘনাদবধ কাব্য, is a tragic epic. It consists of nine cantos and is exceptional in Bengali literature both in terms of style and content. With its publication, the Indian poet distinguished himself as a serious composer of an entirely new genre of heroic poetry, that was Homeric and Dantesque in technique and style, and yet so fundamentally Indian in theme.

From an early age, Dutt aspired to be an Englishman in form and manner. Born to a Hindu landed-gentry family, he converted to Christianity as a young man, to the ire of his family, and adopted the first name Michael. He dreamt of achieving great fame if he went abroad. His adolescence, coupled with the spirit of intellectual inquiry, convinced him that he was born on the wrong side of the planet, and that conservative Hindu society in early nineteenth-century Bengal (and by extension Indian society) had not yet developed the spirit of rationalistic inquiry and appreciation of greater intellectualism to appreciate him. He believed that the "free thinking" and post-Enlightenment West would be more receptive to his creative genius. He composed his early works—poetry and drama—almost entirely in English. In later life he regretted his attraction to England and the Occident. He wrote ardently of his homeland in his poems and sonnets from this period.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
42 (26%)
4 stars
67 (41%)
3 stars
34 (21%)
2 stars
12 (7%)
1 star
6 (3%)
Displaying 1 - 15 of 15 reviews
100 reviews27 followers
July 2, 2015
তৎকালীন হিন্দু সমাজের প্রচলিত জঘন্য প্রথার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে রাজা রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠা করেন "ব্রাহ্ম সমাজ"। মূর্তিপুজা অস্বীকার করে এক ব্রহ্মের উপাসনার ডাক দেওয়া হয়। রোধ করা হয় সতীদাহ প্রথা। সমাজে তখন লাগল পরিবর্তনের হাওয়া। সেই হাওয়ায় যেন আরেকটু বেগ দিল ১৭ বছর বয়সী এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান যুবক হেনরী লুইস ভিভিয়ান ডিরোজিও। ১৮২৬ সালে সেই অল্প বয়সেই সে ইংরেজী ও ইতিহাসের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিল কলকাতা হিন্দু কলেজে। তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব দ্বারা আকর্ষণ করতে লাগল একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীদের। তাদের নিয়ে সে গঠন করল "অ্যাকাডেমিক এসোসিয়েশান"। এখানে ইতিহাস,সংস্কৃতি,দর্শন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করা হত। কোন কিছুর প্রতি অন্ধ বিশ্বাস না করে যুক্তিবিদ্যার সাহায্যে জীবন গড়ার আদর্শ তুলে ধরেছিলেন তাদের মাঝে। গড়ে উঠল তার একদল অনুসারী যারা নিজেদের অভিহিত করল "ডিরোজিয়ান" হিসেবে। "সত্যের জন্য বাঁচা, সত্যের জন্য মরা" - এ ছিল তাদের ব্রত।
তবে প্রাচ্যের সংস্কৃতির প্রতি অবহেলা ও পাশ্চাত্য সংষ্কৃতির অন্ধ অনুকরণের কারণে তারা এমন কিছু কুঅভ্যাসে লিপ্ত হয়েগিয়েছিল যে অনেকে তাদের ভাল চোখে দেখতে পারে নি। যেমন, গোমাংস ভক্ষণ, মদ্যপান, বারবণিতা গমণ ইত্যাদি। তারা হয়ে উঠল উচ্ছৃঙ্খল ও মা বাবার অবাধ্য সন্তান। যার ফলে তারা শিক্ষিত বাঙ্গালীর সমর্থন আদায় করতে পারেনি। যেভাবে হঠাৎ তাদের আগমন হয়েছিল, সেরকম সহসাই তাদের পরিসমাপ্তি ঘটে।

একেই কি বলে সভ্যতা প্রহসনে মাইকেল মধুসূদন দত্ত সেই ইয়ং বেঙ্গল সমাজের ছবি তুলে ধরেছেন। মধুসূদন নিজেও যদিও বেশ মদ্যপ ছিলেন তবুও তিনি সেটাকে সভ্য হিসেবে গণ্য করেননি। তাই তিনি ধীক্কার জানিয়েছেন - একেই কি বলে সভ্যতা?

মধুসূদন সেই রক্ষণশীল সমাজকেও ছাড় দেননি যারা বাহিরে সাধুর বেশ ধরে থাকেন কিন্তু অন্তরে লুকায়িত থাকে কপটতা,ভন্ডামী। তাদের মুখোশও উন্মোচন করে দিয়েছেন পরবর্তি প্রহসন - বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ তে। একদম শেষের কবিতাটিতে সেটাই যেন ফুঁটে উঠেছে -

বাইরে ছিল সাধুর আকার,
মনটা কিন্তু ধর্ম্ম ধোয়া।
পুণ্য খাতায় জমা শূন্য,
ভন্ডামিতে চারটি পোয়া।।
শিক্ষা দিলে কিলের চোটে,
হাড় গুঁড়িয়ে খোয়ের মোয়া।
যেমন কর্ম্ম ফললো ধর্ম্ম,
বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁয়া।।
Profile Image for Hanif.
154 reviews5 followers
October 25, 2023
একেই কি বলে সভ্যতা
আধুনিক শিক্ষায়, শিক্ষিত নবকুমার যখন নব্যশিক্ষিত যুবকদের নিয়ে 'জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা'র মধ্যে 'মদ্যপান এবং বারবিলাসীনির সাথে মত্ত থাকেন' তখন প্রহসন অর্থেই কর্ত্তা মহাশয় উক্তিটি বলেন, "হা আমার পোড়া কপাল! মদ্ মাস খ্যেয়ে ঢলাঢলি কল্লেই কি সভ্য হয়?-একেই কি বলে সভ্যতা?"

বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ
সমাজের বকধার্মিকদের মুখোশ উন্মোচনই ছিল, নাটকের সারসংক্ষেপ। 
বুড়ো ভক্ত বাবু, নামের এক জমিদার গ্রামে জোর করে খাজনা আদায় করতো, আর নারীর প্রতি অসাধু লোভ ছিল। 
ভক্তবাবু, নাটকে মুসলিম ধর্মলম্বীদের, নেড়ে জাতি বলে গালি দিলেও, চরিত্র হানিফ গাজীর পত্নী ফাতেমার সঙ্গ লাভের ইচ্ছার মাধ্যমে, সমাজে মুখোশ পরিহিত বকধার্মিকদের এবং অর্থের লোভে এসব কাজে সঙ্গ দেওয়া মানুষের বিষয়বস্তু  ফুটিয়ে তোলা হয়ছে।
Profile Image for Denim Datta.
371 reviews21 followers
July 30, 2014
‘একেই কি বলে সভ্যতা’র প্রধান চরিত্র নবকুমার। কলকাতার আধুনিকাতার আলোকে নবকুমার শিক্ষিত হচ্ছে। তার পিতা একজন পরম বৈষ্ণব এবং তিনি বৃন্দাবনেই থাকেন। একসময় তিনি কলকাতায় এসে বসত গড়েন। এই সুযোগে নবকুমার কলকাতার নব্যশিক্ষিতযুবকদের নিয়ে ‘জ্ঞানতরঙ্গিনী সভা’ নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে- উদ্দেশ্য মদ্যপা্ন ও বারবণিতা সঙ্গলাভ।

‘বড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ প্রহসনের আবহ পুরোপুরি দেশজ। যশোর -খুলনা-চব্বিশ পরগনা অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহারের ফলে তা যথেষ্ট অর্থপূর্ণ হয়েছে।

Awesome Book. Really liked.
Profile Image for Hibatun Nur.
159 reviews
June 11, 2022
একেই কি বলে সভ্যতা? আর বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ এই দুইটা প্রহসন পড়ার ইচ্ছা ছিল সেই বাচ্চাকাল থেকে যখন প্রথম বাংলা বইয়ের লেখক পরিচিতিতে নাম দুইটা পড়েছিলাম। ইন্ট্রিগিং লেগেছিল নামগুলো।
বর্তমান সময়ে এত বছর পর এসেও প্রসহন দুটোর প্রাসঙ্গিকতা দেখে আমি অবাক না হয়ে পারলাম না।

একেই কি বলে সভ্যতা?

শিক্ষা, উন্নতি, সমাজের অগ্রগতির নামে নিজেকে সমসাময়িকদের মাঝে মডার্ন দাবি করে অসভ্যতাকে সভ্যতার মোড়ক পরিয়ে আজও ইয়ং বেঙ্গলের মত কতিপয় ব্যক্তি টিকে আছেন। যারা আধুনিকতার নামে অসভ্যতামি বা উগ্র আচরণ করে খোদ আধুনিকতার যথোপযোগিতাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে।
এরা সমাজ এবং অগগ্রতির কাজে না আসে না বরং কনজারভেটিভ মনষ্কদের আধুনিকতাকে ছুরিকাঘাত করবার সুযোগ করে দেয়।

এছাড়া সে সময়েও এই বাঙালি জাতে ঘুষের প্রচলন দেখে শখ খেয়েছি।

বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ

ধর্মের কাণ্ডারী বেশে প্রকাশ্যে ধর্ম ধর্ম করে, আড়ালে নিম্নমানের পশুর চেয়েও নিম্নগামী হয়ে নোংরামোর মচ্ছব করা মানুষ কেবল যেমন একটি ধর্মে সীমাবদ্ধ নেই, তেমনি তারা সীমাবদ্ধ নেই কোন কালে। ভক্তপ্রসাদ বাবুর মত লোক আজও আছে, সকল ধর্মে আছে। শোষণ করে চলেছে দূর্বলদের।
Profile Image for Mohammad Sadiqur Rahman.
4 reviews
April 25, 2021
"ময়ূর চকোর শুক চাতকে না পায়।
হায় বিধি পাকা আম দাঁড়কাকে খায়||"
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Tanzima Rahman.
94 reviews2 followers
August 12, 2023
বাঙালি যেই রেনেসাঁস এর কল্পনায় বিভোর, সেই প্রদীপের নিচের অন্ধকারটুকু দত্তবাবু চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন।
Profile Image for Kabir Hossain.
69 reviews2 followers
June 21, 2024
তৎকালীন হিন্দু সমাজে ধর্মীয় গোড়ামি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে এর বিকল্প হিসেবে বা এর প্রতিরোধ হিসেবে ডিরোজিও তার অনুসারীদের নিয়ে আধুনিক ভাবধারার একটি গোষ্ঠী গড়ে তোলেন। নব্য প্রতিষ্ঠিত এই গোষ্ঠীটি ধর্মান্ধতা,ধর্মীয়, গুড়ামি, কুসংস্কার বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কাজের বিরোধিতা করত। সমাজের মধ্যে আধুনিক চেতনা ও ভাবধারা নিয়ে আসার চেষ্টা চালাতো। কিন্তু একটা সময় তাদের মধ্যেই এই আধুনিকতাটা একটি অসুখে পরিণত হয়। আধুনিকতার নামে তারা এমন কিছু করতে থাকে যা অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। মাইকেল মধুসূদন দত্ত আধুনিক সভ্যতার বা ডিরোজিও প্রবর্তিত সভ্যদের এসব কর্মকাণ্ড নিয়ে মূলত একেই কি বলে সভ্যতা লিখেছিলেন।

আর মানুষ মাত্রই ভন্ড।প্রত্যেকটা মানুষের ভিন্ন ভিন্ন রূপ থাকে। বুড়ো শালিকের ঘাড়ের রো'তে তাই তুলে ধরা হয়েছে।

দুটো বই অনেক আগে পড়েছি আমি কিন্তু এখনো অনেক ভালো লাগে। মাইকেল কেন,একেই কি বলে সভ্যতার লিখলেন,এটা নিয়ে আমি প্রায়ই ভাবি। তিনি নিজেও তো আধুনিক ভাবধারা সম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। তবে কি তিনি এই আধুনিক ভাবধারার উপরে বিতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন?
Profile Image for Md Azmir Fakir.
188 reviews17 followers
July 3, 2024
বাংলা সাহিত্যে সর্বৃপ্রথম সফল প্রহসন রচয়িতা মাইকেল মধূসূধন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩) । তিনি যখন গম্ভীর রসের নাটক লিখছিলেন তখনই আবার ফাঁকে ফাঁকে দুখানি’ প্রহসন লিখে প্রতিভার পরিচয় দেন।একখানি হলো ‘ একেই কি বলে সভ্যতা’ (১৮৬০) আর অন্যখানি হলো ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ (১৮৬০)। ডক্টর অসিত কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় ‘ প্রথমখানিতে ইংরেজী শিক্ষিত ভ্রষ্টচার তরুণ যুবকদের কদাচারকে শানিত রঙ্গব্যঙ্গ এর ভাষায় দারুণ কশাঘাত করা হয়েছে, দ্বিতীয়খানিতে তথাকথিত প্রাচীন ব্রাহ্মণ-সমাজপতিদেরক চরিত্র ও লাম্পট্য খুব রসালভাবে বর্ণিত হয়েছে। ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ পুরোপুরি রঙ্গরসের প্রহসন , কাহিনী নামমাত্র। কিন্তু ‘বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ’ তে ক্ষীণভাবে কাহিনীও অনুসৃত হয়েছে। প্রথমটিতে নাগরিক কলকাতার তরুন সমাজ ও দ্বিতীয়টিতে গ্রাম্য বাংলার ধর্মধব্জী বৃদ্ধ এর আক্রমণ স্থল। তৎকালীন সমাজ, ব্যাক্তি, তাদের কদর্য চরিত্র ও নীতিভ্রষ্টতা কবি এমন কৌতুক ও ব্যঙ্গের মধ্যদিয়ে বর্ণনা করেছেন যে, বহুদিন কেউ তাঁকে এ বিষয়ে অতিক্রম করতে পারেন নি।”
Profile Image for Pritom Kumar.
22 reviews2 followers
January 8, 2020
মাইকেল মধুসূদন দত্ত যে এ রকম প্রহসন নাটক লিখতে পারেন ধারণাই ছিল না। কিন্তু প্রহসনের মধ্য দিয়ে হলেও সেই সময় সমাজের চিত্র , হিন্দু সমাজের জাত প্রভেদ, সভ্যতার নামে অসভ্যতা এবং উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন তিনি এই দুইটি নাটকে খুব অসাধারণভাবে তুলে ধরেছেন। যৌবনে প্রবলভাবে ইংরেজি সাহিত্যের এবং বিলেতি জীবনের মোহাচ্ছন্ন নাট্যকার তাঁর জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং ভুলকে নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরতে চেয়েছেন। সেই সময়ে বহু যুবক মাইকেলের মত বিলেতি জীবনাদর্শে যেমন আদর্শান্বিত হয়েছে, তেমনি পথভ্রষ্ট হয়ে বিপদ্গামীও হয়েছে। সেই সময়, সেই সকল ঘটনার পরিপেক্ষিতে 'একেই কি বলে সভ্যতা' এক অসাধারণ নাটক ।' বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ ' মাধ্যমে তিনি হিন্দু সমাজের নানা অসংগতি এবং স্বার্থবাদী দিক তুলে ধরেছেন। পরিশেষে , অধিকাংশ মানুষই যে সুবিধাবাদী এবং ভণ্ড , এই নাটকের মাধ্যমে এই বিষয়টিই প্রমাণ হয়েছে।
1 review
June 29, 2017
Good
This entire review has been hidden because of spoilers.
Profile Image for Wêîrd Shuvø.
1 review
Want to read
November 1, 2017
read now
This entire review has been hidden because of spoilers.
Displaying 1 - 15 of 15 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.