কবিতাসমুহঃ ছাড়পত্র আগামী রবীন্দ্রনাথের প্রতি চারাগাছ খবর ইউরোপের উদ্দেশে প্রস্তুত প্রার্থী একটি মোরগের কাহিনী সিঁড়ি কলম আগ্নেয়গিরি দুরাশার মৃত্যু ঠিকানা লেনিন অনুভবন কাশ্মীর সিগারেট দেশলাই কাঠি বিবৃতি চিল চট্টগ্রামঃ ১৯৪৩ মধ্যবিত্ত '৪২ সেপ্টেম্বর '৪৬ ঐতিহাসিক শত্রু এক মজুরদের ঝড় (ল্যাংস্টন হিউজ) ডাক বোধন রানার মৃত্যুজয়ী গান কনভয় ফসলের ডাকঃ ১৩৫১ কৃষকের গান এই নবান্নে আঠারো বছর বয়স হে মহাজীবন
Sukanta Bhattacharya (bn: সুকান্ত ভট্টাচার্য) was one of the most honored poets of Bangla literature. He was called 'Young Nazrul' and 'Kishore Bidrohi Kobi', a reference to the great rebel poet Kazi Nazrul Islam for Sukanto's similar rebellious stance against the tyranny of the British Raj and the oppression by the social elites through the work of his poetry. He died of tuberculosis at the Jadavpur T. B. Hospital (later, K. S. Roy T. B. Hospital) in Kolkata at a very young age of 20.
আমার কবিতা তেমন পড়া হয়না। কি মনে করে এটা খুলে প্রথম কবিতা "ছাড়পত্র" পড়া শুরু করলাম। এটা পড়ে আমি "এটা কি পড়লাম মাত্র! পুরাই আগুন"। একদম থ খেয়ে গেলাম প্রথম কবিতা পড়ে
প্রত্যেকটা কবিতা ছিল এক একটা আগুনের পিন্ডের মতন। একটা মানুষকে বিদ্রোহী/সংগ্রামী করে তুলার জন্যে এই ছোট্ট কবিতার বইটি যথেষ্ট..... আপনি কবিতাগুলোর গভীরতা বুঝতে না পারলেও নিজের মধ্যে একরকম সাহস অনুভব করবেন, একদম যাদুর মতন ব্যাপারটা
কি এক প্রতিভা ছিল এই সুকান্ত! এত কম বয়সে কবিতাতে এমন আগুন ফলানো আর এত গভীর!! কি অসাধারণ বাক্যগঠনগত আর সমৃদ্ধ শব্দ-ভান্ডার!! আসলে যা বলি তা কম উনার কবিতাগুলো নিয়ে। সব কবিদের আইডল হয়ে থাকবেন তিনি আজীবন ❤
ঠিক কবে যে এই বইটা প্রথম পড়েছিলাম, মনে করতে পারছি না। আটের দশকের মাঝামাঝিই হবে। সে-সময়েই বাংলার শহরে, মফস্বলে, ইনফ্যাক্ট পাড়ায়-পাড়ায় রসুন সন্ধ্যা আয়োজিত হত। না, মশারা সাক্ষাৎ ভ্যাম্পায়ার হলেও এবং তাদের উপদ্রবে অতীষ্ঠ হলেও দাদা-দের দাপটে আমাদের রসুন খেতে হত না। বরং র(বীন্দ্র)-সু(কান্ত)-ন(জরুল) সন্ধ্যাই সাড়ম্বরে পালিত হত সেই যুগে। তাতেই মাইকের সামনে গলা কাঁপিয়ে আবৃত্তি করার জন্য বইটা পড়তে হয়েছিল। কিন্তু... কিন্তু কবিতাগুলো যেন একটা ট্রিগারের মতো হয়ে উঠেছিল নিজের ভিতরে। ওগুলো আমাকে টানটান করিয়ে দিত। পরে রাজনীতি বা ওইরকম হাস্যকর কিছু করেছিলাম। বাম-ডান-মাঝখান— সব পেরিয়ে এলেও এখনও ওই নিতান্ত পাতলা বইয়ের প্রতিটি কবিতাকে আমার বিস্ফোরক বলে মনে হয়। আশঙ্কা হয়, যেদিন এই কবিতার আসল কথাগুলো আমাদের এই অভ্যস্ত, ঘুমন্ত মনে ঠিকমতো ঢুকে পড়বে, সেদিন বাংলা আর এমন থাকবে না। সত্যিকারের মুক্তির ছাড়পত্র সেইদিন পাবে বাংলার মানুষ! তেমন দিন কি কোনোদিন আসবে? নাকি রসুন সন্ধ্যায় গলা কাঁপিয়ে বলার জন্যই কাজে দেবে এই বইটা? জানি না। তবে... যদি কখনও অন্যায়ের বিরোধিতা করার কথা ভাবেন, কখনও ভাবেন শোষিতের কথা, তাহলে এই বইয়ের কবিতাগুলো আপনার মনে পড়বেই। ভরসা থাকুক।
বাসযোগ্য এক ভবিষ্যৎ পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেছিলেন সুকান্ত, যেখানে সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু নতুন বিশ্বের কাছে তীব্র চিৎকারে জানিয়েছিল তার অধিকারের দাবি। লিখেছিলেন 'এই পৃথিবীকে আমি শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো'। সুকান্তের ছোট্ট এই বইটিতে উঠে এসেছে বাসযোগ্য বিশ্বের স্বপ্ন। যেখানে পৃথিবী হবে মানুষের। বোকাবাক্সের বন্দীত্ব থেকে পাবে মুক্তি। বোধোদয় হবে মানুষের, শোষিতের। শোষকেরা হবে পরাজিত। গড়ে উঠবে এক শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ। এই গ্রন্থের একেকটি কবিতা যেনো একেকটি বোমা। বিশেষ করে __ছাড়পত্র, আগামী, সিঁড়ি, কলম, একটি মোরগের কাহিনি, রানার, চারাগাছ, আঠারো বছর বয়স, হে মহাজীবন।" লেখক সিঁড়ি কবিতাটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন শোষণের চিরায়ত চিত্র: 'আমরা সিঁড়ি, /তোমরা আমাদের মাড়িয়ে/প্রতিদিন অনেক উঁচুতে উঠে যাও, /তারপর ফিরেও তাকাও না পিছনের দিকে; /তোমাদের পদধূলিধন্য আমাদের বুক/পদাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় প্রতিদিন।’
অনেক বছর আগে লিখে যাওয়া এই বন্দীত্ব ও অসহায়ত্ব এখনো সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। এখন আমরা মাথা তুলে দাঁড়ানো ভুলে গেসি। অধিকারের চেতনা নাই বললেই চলে। উটপাখির মতো মাথা ঢুকিয়ে রাখছি বালুর মধ্যে। শিখে গেছি মানিয়ে নিতে শোষিতদের সাথে। শোষকদের বিরুদ্ধে এখন আর বিপ্লবী কবিতা হয় না, মশাল হাতে স্লোগানে যায় না কেউ। এরমধ্যেই কেউ কেউ বলার চেষ্টা করে, টুঁটি চেপে ধরা হয় তাদের, ভয় পাই আমরা। পিঠ বাঁচাতে মাথা লুকাই। কারণ রাষ্ট্রের মতো আমাদের মেরুদণ্ডও ভঙ্গুর। উল্টো ভঙ্গুর এই সমাজ বা রাষ্ট্রের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শুধু বলি 'কায়দা করে বেঁচে থাকো কমরেড।'
একুশ বছর বয়সী এক তরুণের মনে এতটা ক্ষোভ আর বিদ্রোহ কেমন করে আসে নিয়মিত ভাবায়। ক্ষুধার রাজ্যে চাঁদ যেন এক জ্বলসানো রুটি* উক্তিটির ভাবসম্প্রসারণ পড়েই সুকান্তের ভক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। কলেজে উঠে আঠারো বছর বয়স পড়ে তো পুরাই ভক্ত হয়ে গেলাম। এরপর হতে সুকান্তের জীবনি পড়ার চেষ্টা করছি অনেকবার। ছাড়পত্র কাব্য গ্রন্থে সুকান্তের প্রতিটি কবিতায় মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের মধ্যে বিদ্রোহী করে তুলবে। এক কথায় অসাধারণ ছিল।
আমি নিশ্চিত এবং অতি নিশ্চিত এই লোকটা অমানুষ ছিলেন। এত অল্প বয়সে এতটা গভীরতা এবং তীক্ষ্ণতা মানুষের হয় না। শোষণ-নিপীড়ন তাঁকে আহত করতো, বিপ্লবের নেশায় তাঁকে পেয়ে বসেছিল। এ দুটো দুঃস্বপ্ন এবং স্বপ্নের মত তাঁর পিছু ছাড়তো না। সব কিছু মাঝে তিনি এ দুটোর চিহ্ন-ই তিনি দেখতে পেতেন। আর প্রকাশ করতেন ধারালো অসির চেয়েও ধারালো ভঙ্গিতে...
"মজুর দেখ নি তুমি? হে কলম,দেখ নি বেকার? বিদ্রোহ দেখনি তুমি? রক্তে কিছু পাও নি শেখার? কত না শতাব্দী, যুগ থেকে তুমি আজো আছ দাস, প্রত্যেক লেখায় শুনি কেবল তোমার দীর্ঘশ্বাস!"
"তারপর বহুশত যুগ পরে ভবিষ্যতের কোনো যাদুঘরে নৃতন্তবিদ্ হয়রান হয়ে মুছবে কপাল তার, মজুতদার ও মানুষের হাড়ে মিল খুঁজে পাওয়া ভার। তেরোশো সালের মধ্যবর্তী মালিক,মজুমদার মানুষ ছিল কি? জবাব মেলে না তার।"
"এমনি ক'রেই জীবনের বহু বছরকে পিছু ফেলে, পৃথিবীর বোঝা ক্ষুধিত রানার পৌছে দিয়েছি 'মেলে
ক্লান্তশ্বাস ছুঁয়েছে আকাশ, মাটি ভিজে গেছে ঘামে জীবনের সব রাত্রিকে ওরা কিনেছে অল্প দামে। অনেক দুঃখে, বহু বেদনায়, অভিমানে, অনুরাগে, ঘরে তার প্রিয়া একা শয্যায় বিনিদ্র রাত জাগে।"
দ্বেষ, আক্রোশ, অত্যাচার,অনিয়মে যখন চারপাশ ভারি হয়ে ওঠে তখনই গর্জে ওঠে বিদ্রোহ। আর এই বিদ্রোহ করার অব্যর্থ অস্ত্র হচ্ছে কলম আর কবিতা।নিঃসন্দেহে কবিতার আকাশে সুকান্ত এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম🖤 যুবক সুকান্ত এই অনাচারের বিপরীতে কলম চালিয়েছিলেন,জন্ম দিয়েছিলেন তীব্র কথার!
আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।
ছাড়পত্রে অনেকগুলো কবিতাই আছে ভালো লাগার মতো। কিন্তু আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতাটা ১৮ বছর বয়স। কলেজের বাংলা বইয়ে এই কবিতাটির সংযোজন অবশ্যই প্রশংসারযোগ্য। এই কবিতা পড়ে অন্যরকম অনুভূতি হয়🖤
কবিতা আমার পছন্দের বিষয় না। ছোটবেলায় প্রথম আট লাইন দাড়ি-কমাসহ মুখস্থ করতে হতো। এটা একটা কারণ হতে পারে। এছাড়া কঠিন সব শব্দ দিয়ে ছোট ছোট একেকটা লাইন লেখা হয়...বেশিরভাগ সময় মূল বক্তব্য মাথার উপর দিয়ে যায়। এটাও আরেকটা কারণ হতে পারে। আমি খুব বেশি কবিতা পড়িও নাই। খুব সম্ভবত এটাই আমার পড়া প্রথম কবিতার বই। অনেক আগের এই বইটা সেলফে বহুদিন ধরে ছিল। কখনো পড়ার আগ্রহ দেখাইনি। এখন মনে হচ্ছে, কাজটা বড্ড ভুল ছিল।
Some of the poems here are mind blowing in their beauty and wits. I loved how the poet personified everyday objects and told stories of real human sufferings. I loved how they spoke against oppression and hoped for a free society.
I didn't find poet's Maxist revolutionary stance too comfy though. I know capitalism is imperfect and the colonial government in his time was really mean. But the poet seems to think that those who want to compromise or bring about chance through peaceful means are a bunch of sissies. He seems to think only violent revolutions can make some real difference. As a staunch pacifist, some of that felt insulting to me. Still this doesn't change the fact that I loved the poems in which he didn't hurt the feelings of poor pacifists like me
কবিতার বই পড়ি। কবিতার পাঠোদ্ধার বরাবরই বেশ মুশকিল আমার কাছে।
সুকান্ত ভট্টাচার্যকে প্রথম শুরু করলাম ছাড়পত্র দিয়ে।
আমি পড়ছিলাম কত আগের লেখা৷ তবু মিলাচ্ছিলাম খুব করে। এতো আগে লেখা কবিতা এখনও প্রাসঙ্গিক। চিলের কবিতাটা পড়ে বঙ্গবন্ধুর সময়কাল মনে পড়েছিলো খুব। লোকমুখে বর্ণনার সাথে হুবহু যেনো মিলে যাচ্ছে কবিতাটি।
অনুরূপভাবে কলকাতার জুলাইকে খুব চেয়েছেন কবি। অক্টোবরকে জুলাই হিসেবে চেয়েছেন।
এ জুলাই তো আমাদেরও আছে। এক গৌরবময় জুলাই। যেখানে রক্তের মাধ্যমে আমরাও পবিত্র করেছি স্বদেশের মাটি।
যুদ্ধের কবিতা পড়ে জুলাইয়ের শক্তি যেনো ফিরে আসছিলো রক্তে, সেটাই টের পাচ্ছিলাম।
যেসব ক্লাসিকাল উক্তি দেয়ালে বইয়ের পাতায় বা শুনে বড় হয়েছি এরকম দুইটা ক্লাসিক উক্তির সাথে দেখা হয়েছে।
১/ এ বিশ্বকে এ শিশুর বাস যোগ্য করে যাব আমি-নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গিকার।
আমাদের বাসায় একটা পুরনো বই ছিল, ছেঁড়া হার্ড কাভার বই, হলদে টাইপ রাইটার ফন্টের লেখা । পাতলা একটা বই । বাবা গভীর রাতে আবৃত্তি করত আর আমাকে আর ভাইয়াকে মুখস্থ করানোর ব্যর্থ চেষ্টা করত। কিচ্ছু বুঝতাম না। প্রিয় কবিতা ছিল একটি মোরগের কাহিনী :p
শুধু অল্প বয়সের কবিটা মারা গেছে শুনে মায়া লাগত।!
গতকাল ট্রেনে চেপে আসতে আসতে পড়ে শেষ করলাম। কবি খুব অকালে চলে গেলেন। খুব ছোট্ট ছোট্ট জিনিসপত্র তিনি অদ্ভুত চোখে দেখছেন এখানে সেই চোখ দিয়েই আমাদের দেখিয়েছেন!
আমার অন্যতম পছন্দের একটি বই। কোনো-কোনো দিন আমি বইটি একাধিকবার পাঠ করি। এর প্রায় সকল কবিতাই আমার প্রিয় এবং স্মৃতিতে ধারণকৃত ; বলা যায় মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। ☺️