যাদুকরের মৃত্যু

by Humayun Azad

গত দু' দশকেরও বেশি সময়ে হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন পাঁচটি বিস্ময়কর গল্পঃ 'অনবরত তুষারপাত', 'মহান শয়তান', 'জাদুকরের মৃত্যু', 'জঙ্গল অথবা লাখ লাখ ছুরিকা', এবং 'আমার কুকুরগুলো'। এ-গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে সে- গল্পগুলো। হুমায়ুন আজাদ স্থুল বাস্তবতা বা দুস্থ সুখদুঃখের গল্প বলেন নি; তিনি চেয়েছেন শিল্প সৃষ্টি করতে। তাঁর গল্প প্রতীকী, রূপক আর চিত্রকল্পখচিত, জীবনের গদ্য ও কবিতাই মিশ্রিত, যা এখানে আগে আর হয় নি। যেমন, 'জাদুকরের মৃত্যু' - এক অসামান্য গল্প, যাতে পাওয়া যাবে দুর্গত বাংলাদেশকে, কিন্তু এ-গল্প ক্ষোভের নয়, বিদ্রোহের নয়, এ-গল্প জীবনের থেকে যা মহৎ, সে শিল্পকলার। হুমায়ুন আজাদের গল্পের পেছনে রয়েছে বাস্তব, কিন্তু তিনি তাকে রূপান্তরিত ক'রে দিয়েছেন বাস্তবের থেকে মূল্যবান শিল্পকলায়।

Genres: Short Stories, Fiction

63 pages, Hardcover

First published May 1, 1992

About the author

Humayun Azad (Bangla: হুমায়ূন আজাদ) was a Bangladeshi author and scholar. He earned BA degree in Bengali language and literature from University of Dhaka. He obtained his PhD in linguistics from the University of Edinburgh in 1976. He later served as a faculty member of the department of Bengali language and literature at the University of Dhaka. His early career produced works on Bengali linguistics, notably syntax. He was regarded as a leading linguist of the Bangla language.

Towards the end of 1980s, he started to write newspaper column focusing on contemporary socio-political issues. Through his writings of 1990s, he established himself as a freethinker and appeared to be an agnostic. In his works, he openly criticized religious extremism, as well as Islam. In 1992 Professor Azad published the first comprehensive feminist book in Bangla titled Naari (Woman), largely akin to The Second Sex by Simone de Beauvoir in contents and ideas.

The literary career of Humayun Azad started with poetry. However, his poems did not show any notable poetic fervour. On the other hand his literary essays, particularly those based on original research, carried significant value.

He earned a formidable reputation as a newspaper columnist towards the end of 1980s. His articles were merciless attacks on social and political injustice, hypocrisy and corruption. He was uncowed in protesting military rule. He started to write novels in 1990s. His novel Chappanno Hazar Borgomile is a powerful novel written against military dictatorship. Azad's writings indicate his distaste for corrupt politicians, abusive military rulers and fundamentalist Islam. Nevertheless, his prose shows a well-knit and compact style of his own. His formation of a sentence, choice of words and syntax are very characteristic of him. Although he often fell victim to the temptation of using fiction as a vehicle of conspicuous political and philosophical message, he distinguished himself with his unique style and diction.

On August 11, 2004, Professor Azad was found dead in his apartment in Munich, Germany, where he had arrived a week earlier to conduct research on the nineteenth century German romantic poet Heinrich Heine. He was buried in Rarhikhal, his village home in Bangladesh.

In 2012, the Government of Bangladesh honored him with Ekushey Padak posthumously. Besides this, he was honored with Bangla Academy Award in 1986.

Reviews

[সন্ধ্যাশশী বন্ধু · Rating 5 out of 5]

বর্বররা আসার পর আমরা মরেও যাইনি,বেঁচে ও থাকিনি:বর্বররা আসার পর ও আমরা বেঁচে ও থাকিনি,আবার মরেও যাইনি।

যতদূর মনে পড়ে,আজাদ পড়া শুরু করেছিলাম "ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না" দিয়ে। পড়ার সময় টের পেয়েছিলাম,তাঁর লেখার মাধুর্যতা। এত সুন্দর আর কোমল সব শব্দের প্রয়োগ এর আগে খুব একটা দেখিনি। এরপরে "পাক সার জমিন বাদ সাদ" পড়েছি। এটা পড়তে একটু কষ্ট হয়েছিল,কঠিন করে লেখা বলে। এই বইটা আমাকে নির্মম সত্যের মুখোমুখি করে ছিল। "আব্বুকে মনে পড়ে" পড়েছিলাম আরও কিছু দিন পর। বলা যায়, এর পর থেকে-ই "আজাদে" আমার মুগ্ধতা দ্বিগুণ হয়। এরপরে কিছু দিন সময় নিই,নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য, যাতে অবলীলায় আজাদ পড়ে যেতে পারি।

দীর্ঘ বিরত দিয়ে পড়লাম "যাদুকরের মৃত্যু "। অসাধারণ। আমাদের চারপাশের বিষ্ঠা'র মত নোংরামি গুলো একমাত্র আজাদ ই পারেন,সঠিক ভাবে তুলে ধরতে। বিশেষ করে শেষের দু'টি গল্প " জঙ্গল ও অথবা লাখ লাখ ছুড়িকা আর আমার কুকুরগুলো "। আমাদের যুদ্ধোত্তর প্রেক্ষাপটে লেখা " যাদুকরের মৃত্যু " অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটা ছোট গল্প। অসাধারণ।

বইয়ের পাঁচ টা গল্প ই অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার। অসম্ভব ভালো লেখা। আজাদ নিজের তুলনা নিজেই,আমি অন্তত এই লোকের যোগ্য উত্তরসূরি কাউকে দেখি না। আজাদ একজনই। Ever best...

[Harun Ahmed · Rating 4 out of 5]

৩.৫/৫
গল্পগুলো ঠিক গল্প নয়। জাদুবাস্তবতার আবরণে মোড়া পাঁচটা গল্পই বড় বেশি বাস্তব।গল্পে বর্ণিত হিমকুয়াশা, কুকুর,মহান শয়তানদের মাঝেই আমাদের বসবাস।সরাসরি লিখলে গল্পগুলো "গল্প" পদবাচ্য থাকতো না আর।আজাদের স্বভাবসুলভ বক্রোক্তি,শ্লেষ,দেশ ও সমকাল নিয়ে শংকা,সম্পর্কের অপমৃত্যু,নারীর চোখে দেখা বীভৎস পৃথিবীর গল্প নিয়েই "যাদুকরের মৃত্যু।"সংকলনে আমার প্রিয় গল্প "আমার কুকুরগুলো।"এ গল্প থেকে দীর্ঘ একটা উদ্ধৃতি দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না-

কুকুরের মহানগরে একবারই আমি একটি সিংহের দেখা পাই; পেয়ে বিস্মিত হই।... আমি অনেক দিন দূর থেকে তার কেশর দেখতে থাকি, তার কেশরের গৌরবে আমি মুগ্ধ হই; অনেক দিন ধ'রে আমি তার পদক্ষেপের দিকে ভীরু খরগোশের মতো তাকিয়ে থাকি, আমি নীলিমার ছোঁয়া বোধ করি।...খরগোশ হয়ে আমি সিংহের স্বপ্ন দেখতে থাকি । আমি বুঝি এটা আমার অপরাধ; কিন্তু ওই অপরাধকেই আমার মনে হয় আমার জীবনের পবিত্রতম কাজ; কারণ সিংহের স্বপ্ন আমাকে কুকুরের সীমার বাইরে নিয়ে যায়। আমাকে মেঘের স্পর্শ দেয়, সমুদ্রের স্পর্শ দেয়,মহান অরণ্যের অনুভূতি দেয়; আমাকে রূপান্তরিত করে দেয়, আমি এক পবিত্র সত্তায় পরিণত হই;—জন্মের আগে আমি যেমন ছিলাম। ওই স্বপ্ন আমাকে সুন্দর ক'রে তুলতে থাকে, শুচি ক'রে তুলতে থাকে; কুকুরের সংস্পর্শে এসে আমার মনে যতোটুকু ময়লা লেগেছিলো, তা শুভ্রতায় পরিণত হ’তে থাকে।
আমি সিংহের পদতলে নিজেকে সমর্পণ করি।
কিন্তু সমর্পণ করার পরই দেখতে পাই সিংহটি কুকুর হয়ে উঠছে। তার কেশর খ'সে পড়ে, পেশি শিথিল হয়ে পড়ে, মুখ থেকে লালা ঝরতে থাকে। একটি কুকুরের আলিঙ্গনে প'ড়ে আছি দেখে আমি চিৎকার ক'রে উঠি।
আমার কুকুরপালে কুকুরের সংখ্যা একটি বাড়ে।

[Csk Himalay · Rating 4 out of 5]

বিচিত্র ছয়টি ছোটগল্প। হুমায়ুন আজাদের উপমায় প্রতিটি গল্পই আমাদের আমাদের নাড়া দেয়। কখনো দেশের বাস্তবতা ,কখনো মানুষরুপী কুকুরের কথা অকপটে বলেন তিনি। এক যাদুকরের কথা বলেন যার স্পর্শ বড় বেশি প্রয়োজন এ দেশের প্রতিটি মানুষের। গল্পগুলো ঠিক গল্প না।

[Shotabdi · Rating 4 out of 5]

'অশেষ নরকও সহ্য করা যায়, কিন্তু তার মধ্যে ক্ষীণ স্বর্গের ঔদ্ধত্য সমস্ত স্নায়ু এবং কল্পনাকে এমন কড়াভাবে আগুনের চাবুক মারতে থাকে যে তাতে মানুষের মতো দানবেরাও মূর্ছিত হয়।'
রূপকের আড়ালে আজাদ বলে গেছেন এই আমাদের, সম্পূর্ণভাবে আমাদের হিংস্রতা এবং নৃশংসতার কথা। যে সমাজে আমরা বাস করি, তার কদর্যতা এভাবে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তাঁর মাধুর্যময় শব্দভাণ্ডার এর সাহায্যে একগাদা বাস্তবতার নোংরামি এইভাবে প্রকাশ করা একমাত্র তাঁর পক্ষেই সম্ভব ছিল।
বেশ আন্ডাররেটেড একটা ছোট গল্প সংকলন। আগে নাম শুনিনি। সম্ভবত আমারই অজ্ঞতা।

[StellaN · Rating 4 out of 5]

বাস্তবতার আঙ্গিকে গল্পগুলো।।

[Aman · Rating 4 out of 5]

রূপক অর্থে লেখা পাঁচটি গল্পের সংকলন এই বইটি।
প্রতিটা গল্পই হয়তো জাগতিক কোনো ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে।
কিন্তু আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক দুটো গল্পের সাথে বাস্তব জগতের কোনো ঘটনার মিল খুঁজতে ব্যর্থ হয়ে গল্প দুটিকে পরাবাস্তব কোনো জগতের ঘটনা বলে চালিয়ে নিয়েছে।বাকি গল্পগুলো বেশ ভালোই লেগেছে।
বিশেষ করে 'জঙ্গল অথবা লাখ লাখ ছুরিকা' আর 'আমার কুকুরগুলো' গল্পটা বেশ ভালো লেগেছে।

[Akash · Rating 4 out of 5]

'যাদুকরের মৃত্যু' হুমায়ুন আজাদ রচিত একমাত্র গল্পগ্রন্থ। গল্পগুলো : ‘অনবরত তুষারপাত’, 'মহান শয়তান’, ‘যাদুকরের মৃত্যু’, ‘জঙ্গল’ অথবা লাখ লাখ ছুরিকা’, এবং 'আমার কুকুরগুলাে'। এ-গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে সে- গল্পগুলাে।

[হাসান মাহবুব · Rating 5 out of 5]

এই হলো সেই গল্পগ্রন্থ, যা বাংলা গল্পের ভবিষ্যত কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গল্পগ্রন্থের একটি।

[Shahriar Kabir · Rating 4 out of 5]

পাঁচটি এনক্রিপ্টেড গল্প! যেগুলোর এনক্রিপশন ভেঙে দিলে আর গল্প থাকবে না। ধরতে পারা, দেখতে পাওয়া, চোখ গলে দেয়া বাস্তব হয়ে লজ্জা দিবে। সব মানুষ যদি পশু হত তবে কি পুরুষ কুকুর থাকত?
এক ধরনের ক্ষুধা আছে- সে ক্ষুধা মাংসের- সেও আবার কেবল 'এক' ধরনের প্রাণির- পুরুষের। পুরো বইয়ে অনেক মানুষের গল্প কিন্তু কোথাও মানুষ নেই। নারী যেন মাংসেগড়া পৃথিবী। তবু কোথাও ক্ষুধার শেষ নেই।
সত্যনিষ্ঠা শব্দটা এক হলে ঠিক আছে কিন্তু নিষ্ঠা নিয়ে ছল থেকে বের করা সত্য হল বর্বর। এ বর্বর আমাদের পড়া ব্যাকরণের শব্দ নয়। এই বর্বরতা আমাদের আড়ালকে বেঁধে রাখা শেকল। অদৃশ্য শেকল।

[Pathok Bolchi · Rating 4 out of 5]

যাদুকরের মৃত্যু বইটা পড়তে গিয়ে খেয়াল করলাম ,আমি অনেকদিন যাবত স্বপ্ন দেখি না, কবিতা লিখি না , গল্প লিখি না, উপন্যাস লেখার জন্য মস্তিষ্ককে আর চাপ দেই না। মস্তিষ্কের মধ্যে এখন আর স্বপ্নের ক্ষুধা টের পাই না। দুঃখ পাই না, সুখ পাই না। অনুভূতির সাথে এখন আমি আর রঙ তামাশা করি না । গাছের সাথে,পথের সাথে, দিনের সাথে, রাতের সাথে, সূর্যের সাথে ,চাঁদের সাথে, মানুষের সাথে, বিড়ালের সাথে, কুকুরের সাথে ,বইয়ের সাথে, বন্ধুর সাথে, ক্রাশের সাথে কথা বলা হয় না।

আচ্ছা আমি কী বেঁচে আছি? হতে পারি আমি বেঁচে নেই কিংবা বেঁচে আছি।
যদি বেঁচে থাকি তাহলে স্বপ্ন কেনো দেখি না, মুগ্ধ কেনো হই না, আশ্চর্য কেনো হই না, শান্তি কেনো পাই না ,বিষাদ কেনো পাই না, কবিতা কেনো লিখি না। হয়ত আমার এখনের জীবন পর্যন্ত কিছু ছোটগল্প রয়েছে অবচেতন মনে সেগুলো আমার স্বপ্ন না দেখতে পারার জন্য দায়ী।

তবে যাদুকরের মৃত্যু বইটা পড়তে গিয়ে আমি আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম। সমুদ্রের স্পর্শ পেলাম,মেঘের স্পর্শ পেলাম,অরণ্যের স্পর্শ পেলাম।হুমায়ুন আজাদ বলেই পেলাম।মাত্র পাঁচটি ছোটগল্পের বইয়ে হুমায়ুন আজাদ গল্প প্রতীকী,রূপকের মাধ্যমে যে মানুষের চোখের পেছনে চিন্তার চিত্র পোর্ট্রেট করেছেন তা দুর্দান্ত বিস্ময়কর। মাস্টরিড বুক।

[Kripasindhu Joy · Rating 4 out of 5]

হুমায়ুন আজাদের উপন্যাসের চাইতে তার গল্পের ভাষা সুন্দর।
এর আগে কখনো উনার গল্প পড়া হয়নি।তবে কিছু উপন্যাস ও উপন্যাসিকা পড়া ছিল।
প্রথম দুইটি গল্পে জাদুবস্তবতার ব্যবহার আছে।লেখক যে নিজের লেখায় এই অদৃশ্য বস্তুটার ব্যবহার করেছেন তা আমার জানা ছিল না।তবে গল্পগুলো খুব ভালো কিছু মনে হয়নি।
বইয়ের তৃতীয় গল্প যার নাম যাদুকরের মৃত্যু,এটি ভালো লেগেছে।কোনো চিরাচরিত কাহিনি নেই তবে বর্ণনা সুন্দর।কাব্যিক।পড়ে মনে হয় কবিতা লিখতে গিয়ে ভুলবশত এটা লেখা হয়ে গেছে।
চতুর্থ গল্পে লেখক লিখেছেন ভালো।সুন্দর ভাষা।পড়তে গেলে আরাম পাওয়া যায়।মানুষের এসব রূপের কথা যদিও আমাদের জানা আছে সকলেরই কিন্তু পড়তে গিয়ে মনে হয় এই গল্প লেখার বাকি ছিল।
পঞ্চম তথা সর্বশেষ গল্পের নাম আমার কুকুরগুলো।আমার কাছে যেটাকে এই গল্পের বইয়ের সবচাইতে শক্তিশালী গল্প মনে হয়েছে।এখানে লেখক একজন নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে পুরুষরা কীরকম ব্যবহার করে সেইটারে লিখসেন।এই বিষয়ে এটা ভালো একটা গল্প মনে হইসে।যদিও লেখক নিজেও ঐ পুরুষদেরই শ্রেণিতে আছেন।

[Mahrin Ferdous · Rating 4 out of 5]

সলিড চারটি তারা।

হুমায়ূন আজাদের এ বইয়ের গল্পগুলো জীবন্ত, উসকানিমূলক, কখনো স্বপ্নের মতো অস্পষ্ট। একইসাথে আধুনিক, রূপক, কাব্যিক, সমাজ ও রাজনীতি সচেতন। যে ভাষার গল্প পড়ে বাংলা সমকালীন কিংবা আধুনিক গল্পের দৃঢ় স্বাদ পাওয়া যায়।

বিশেষভাবে ভালো লেগেছে অনবরত তুষারপাত, যাদুকরের মৃত্যু এবং আমার কুকুরগুলো। বিষয়বস্তুর কারণেই পরের দুটো গল্পকে আরও এগিয়ে রাখব—কারণ দুটোই পড়তে পড়তে চমকে উঠেছি।

[Klinton Saha · Rating 4 out of 5]

বইটিতে পাঁচটি ছোটগল্প রয়েছে। প্রতিটি গল্পেই কথাসাহিত্যের চমৎকার ব্যবহার করছেন লেখক।
ভালো লেগেছে - "যাদুকরের মৃত্যু, জঙ্গল অথবা লাখ লাখ ছুরিকা ও আমার কুকুরগুলো " গল্পগুলো।

[Rizwanur Rahman · Rating 5 out of 5]

আফসোস যে উনার থেকে এরকম গল্প আর পাওয়া হবে না! এমনভাবে বাংলাদেশে আর কি কেউ লিখতে পারবেন??

[Sharjamin Hasan · Rating 4 out of 5]

যথারীতি হুমায়ুন আজাদের নিজস্ব একটা স্টাইলে লেখা যা কিনা ওনার অনেক লেখাতেই দেখা যায়। রূপকার্থে পাঁচটি গল্প নিয়ে বইটি। চমৎকার বর্ননা, ভাষার বিচিত্রতা এবং শব্দের শক্তিশালী গাঁথুনি দিয়ে এক একটি গল্প লিখেছেন। তবে গল্প গুলো বেশি ছোটো মনে হয়েছে।

এই বছরে এখনো পর্যন্ত আমার পড়া বই গুলোর মাঝে ভালোলাগার একটি বই। শেষের লাইনটি মনে গেঁথে থাকবে।

[Pankaj Bose · Rating 4 out of 5]

এই গ্রন্থে গ্রন্থিত ৫ টি গল্পের মধ্যে বলা চলে, সবগুলোই রূপক। বিশেষ করে, যাদুকরের মৃত্যু এবং আমার কুকুরগুলো-এই দু'টি গল্প এক কথায় অসাধারণ। প্রাবন্ধিক, কবি, ভাষাবিদ, ঔপন্যাসিক এর পর গল্পকার হিসেবেও হুমায়ূন আজাদ সফল।

[Shadin Pranto · Rating 4 out of 5]

প্রতিটা গল্পই অসাধারণ। চিরায়ত আজাদ সম্পূর্ণ উপস্থিত। তবে গল্পগুলো হয়তো আরো বড় হতে পারতো।

[Abu khan · Rating 4 out of 5]

ছোট পাঁচটি গল্প মিলে এই গল্পের বই। পাঁচটি গল্পই পাঁচ ধরনের অর্থ প্রকাশ করে। প্রতিটি গল্পই মানুষকে নতুন করে ভাবতে এবং ভাবাতে শেখায় বলে মনে করছি।

[Afra Anan Anan Saba · Rating 3 out of 5]

হুমায়ুন আজাদের বই পড়লেই বাস্তবতাটা আরেকবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে।