Jump to ratings and reviews
Rate this book

লোকরহস্য

Rate this book

Unknown Binding

First published January 1, 1874

1 person is currently reading
45 people want to read

About the author

Bankim Chandra Chattopadhyay

183 books308 followers
Bankim Chandra Chattopadhyay (Bengali: বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়) ('Chattopadhyay' in the original Bengali; 'Chatterjee' as spelt by the British) was a Bengali poet, novelist, essayist and journalist, most famous as the author of Vande Mataram or Bande Mataram, that inspired the freedom fighters of India, and was later declared the National Song of India.

Complete works of Bankim Chandra Chattopadhyay (বঙ্কিম রচনাবলী) is now available in this third party website (in Bengali):
https://bankim-rachanabali.nltr.org/

Chatterjee is considered as a key figure in literary renaissance of Bengal as well as India. Some of his writings, including novels, essays and commentaries, were a breakaway from traditional verse-oriented Indian writings, and provided an inspiration for authors across India.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
6 (31%)
4 stars
8 (42%)
3 stars
5 (26%)
2 stars
0 (0%)
1 star
0 (0%)
Displaying 1 of 1 review
Profile Image for প্রজাপতি মৌ.
15 reviews6 followers
November 8, 2017
বঙ্কিমের লেখা বেশি পড়ি নি, সেই ছোটবেলায় বোধহয় কপালকুন্ডলা পড়েছিলাম, কি পড়েছিলাম মনে নেই। এরপর বাসায় একটা উপহার হয়ে বঙ্কিম রচনা সমগ্র এলো, পড়বো পড়বো করে পড়া হয় নি। সেই বইগুলো এখন আর আমার হাতের কাছে নেই। কেবল কমলাকান্তের দপ্তর পড়েছিলাম এবং বঙ্কিমের বঙ্কিম রম্য হাস্য গুলো পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম এতোটুকুই বলতে পারি। লোকরহস্য যে অাদৌ রম্য রচনা সে ব্যাপারটাই জানতাম না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কটি লেখার সমষ্টি এটা, পড়ে বোঝা যায় বঙ্গদর্শনে বিভিন্ন সময়ে ছাপা হয়েছিলো, পরে বোধহয় বই হয়েছিলো। যারা হুতোম প্যাঁচার নক্‌শা পড়েছেন (কালীপ্রসন্ন সিংহ) তারা সে আমলের কলকাতার বাবু সমাজের একটা চিত্রের সন্ধান পেয়েছেন নিশ্চয়ই। লোকরহস্যের লেখাগুলোর মূল উপজীব্য ও উনবিংশ শতকের বাংলার সমাজের লোকজন। তবে শুধু যে বাবু বা ধনিক সমাজ নিয়েই তিনি বিদ্রুপ করেছেন তা না, তার বিদ্রৃপের খোচা লেগেছে সে আমালের নব্য শিক্ষিত ইংরেজী কেতার বাঙালি, সাদা চামড়ার সাহেব, পরান্ন ভোজী পুরোহিতসহ নানা সম্প্রদায়ের উপরই। তার কৌতুক এর স্টাইলটাও স্থানে স্থানে অভিনব। সুন্দরবনে বাঘেদের মিটিং হচ্ছে মানুষ নিয়ে, ভাবা যায় ! শহরের চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়ে আসা এক বাঘ এর জবানীতে আমরা জানতে পারি মানুষের প্রধান দেবতা টাকা, মানুষের বিবাহ দুই প্রকার ইত্যাদি। হনুমানের সাথে বাবুর কথোপকথন এর গল্পটাও এমনই। নব্য শিক্ষিত বাঙালি বাবু যিনি ইংরেজী ছাড়া বাংলা বলেন না, Independence আর স্বায়ত্ত্বশাসন নিয়ে যিনি গালভরা বক্তৃতা দেন, তাকেই হনুমান বুঝিয়ে দেয় স্বাধীনতা কাকে বলে। গাধা নিয়ে গল্পটিও কি তেমনি নয়? বাবু ও ভার্যার গল্পের বাবু ইংরেজী বই পড়েন, পত্নী বিষবৃক্ষ পড়লে তা নিয়ে তর্ক করেন, শেষে বাংলায় চটি অশ্লীল বই পড়ে তৃপ্তি মেটান, ইংরেজী জানা বা না জানার সাথে শিক্ষা বা রুচির যে কোন সম্পর্ক নেই তাই তো বোঝালেন বঙ্কিম। বাবুদের নিউ ইয়ার উদযাপন ও ইংরেজ তোষন নিয়ে গল্পটিও তো দারুণ। নতুন দাম্পত্য আইনে অবশ্য তিনি স্ত্রীদের যে চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তা কৌতুকের বিষয় হতে পারে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তবে সত্য অবশ্যই নয়। ইংরেজকৃত রামায়নী আলোচনা অথবা ভারত পরিদর্শনকারী যুবরাজের জনৈক সঙ্গীর কাল্পনিক ভারতীয় সংস্কৃতির বিবরনটি উইটের চমৎকার নিদর্শন। পাশ্চাত্য দেশীয় সাদা চামড়াধারীদের তুচ্ছ গবেষণা বা পর্যবেক্ষনও যে আমরা মাথায় তুলে নাচি অবলীলায় বিশ্বাস করি, তা যতই ডাহা মিথ্যা বা ভুল হোক তারই প্রতিক্রিয়া এই দুটি লেখা। অবশ্য বঙ্কিমের স্বভাবসুলভ রক্ষনশীল মনোভাব তার লেখাগুলোয় ছিলো, ছিলো হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসের প্রতিফলনও। বিধবা বিবাহের যে তিনি বিরোধী ছিলেন তা তার লেখায় অাঁচ করা যায়। জনৈক বাঙালি ডেপুটি কর্তৃক এক কালো দেশীয় সাহেবের বিচারের গল্পটিও চমৎকার। সংবাদপত্র যে তিল কে তাল করতে পারে, বাঙালি যে চতুরতায় আর তোষামদে রীতিমতো এক্সপার্ট তার চিত্রই তো তিনি তুলে ধরলেন এই লেখায়। সবশেষে বলবো ভালো লেখকের জাত চেনা যায় তার লেখায়। বঙ্কিম যে কি বড় মানের লেখক ছিলেন, তার পর্যবেক্ষন শক্তি, বিদ্রুপ করার ক্ষমতা যে কি অসাধারণ ছিলো তার নিদর্শন এই লেখাগুলো। দেড়শ বছর পড়েও তার লেখা যে মানুষ এখনও মনোযোগ দিয়ে পড়ে তাই প্রমাণ করে তার লেখা কালোত্তীর্ণ। পাঁচতারার কম কোনোভাবেই দেয়া যায় না। পারলে সাত তারা দিতাম।
Displaying 1 of 1 review

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.