নয়নচারা

by Syed Waliullah

নয়নচারা
জাহাজী
পরাজয়
মৃত্যু-যাত্রা
খুনী
রক্ত
খন্ড চাঁদের বক্রতায়
সেই পৃথিবী

Genres: Fiction, Short Stories

76 pages, Hardcover

First published December 1, 1945

About the author

Syed Waliullah was born on 15 August 1922 at Sholashahar in Chittagong. After completing his Bachelor’s from Ananda Mohan College in Mymensingh, he enrolled at Calcutta University but did not complete his Master’s. Proficient in both Bangla and English, he worked for the Statesman during 1945-1947. After the Partition, he moved to Dhaka and joined Radio Pakistan as assistant news editor. In 1950 he was posted to Radio Pakistan, Karachi. From 1951 to 1960 he served as press attache at Pakistan missions in New Delhi, Sydney, Jakarta and London. It was in Sydney that Waliullah met Anne-Marie Thibaud, whom he later married and who translated Lal Shalu into French. In 1960 Waliullah moved to Paris where he served as first secretary at the Pakistan Embassy till 1967 when he joined UNESCO. Syed Waliullah did not live to see the liberation of his motherland, passing away in Paris on 10 October 1971.

Syed Waliullah (Bengali: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ) is often considered the pioneer of existential analysis of the characters psyche and root cause analysis of social-psychic conflicts in the literature of Bangladesh. The last two of his three novels, specially Kando Nadi Kando, show his mastery in revealing the inner depths of his characters. Contemporary writer Shahidul Jahir was influenced by him.


Novels:
লালসালু(Tree without roots), ১৯৪৮
চাঁদের অমাবস্যা (Dark moon), ১৯৬৪
কাঁদো নদী কাঁদো (Cry, o river), ১৯৬৮
The Ugly Asian, 1959

Play:
বহিপীর (১৯৬০)
তরঙ্গভঙ্গ (The Breakers), ১৯৬৫
সুড়ঙ্গ (১৯৬৪)
উজানে মৃত্যু

Short story collection:
নয়নচারা (১৯৫১)
দুই তীর ও অনান্য গল্প (Akte Tulse Gaser Khine), ১৯৬৫

Reviews

[Kripasindhu Joy · Rating 4 out of 5]

৩.৫/৫

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর গল্প আর উপন্যাসের রচনার শৈলীতে বেশ পার্থক্য আছে। গল্পের ভাষা জমাটবাধা। কাহিনি শোনানোতে লেখক অধিক প্রাধান্য দেননি। বরং, মানব মন নিয়ে কাজ করতে চেয়েছেন। সব জায়গাতে যে গল্প জমেছে, এই দাবি করা যাবে না। কিন্তু, সামগ্রিকভাবে দেখলে, ওয়ালীর যে লেখক চরিত্র আমাদের মনে ভাসে তার উপন্যাস ও নাটক পাঠের উপর নির্ভর করে, সেই ধারণা বদলে যায়।

[Ahmed Atif Abrar · Rating 5 out of 5]

যেকোনো ধ্রুপদী বা বিগত দিনের সাহিত্যকর্মে কোনো বিদুষ্মতী কি কৃতবিদ্য কারো ভূমিকা-সম্পাদনা-আলোচনা দেখলে তা সমাহরণের চেষ্টা করি। কারণ তাতে করে বইটা তলিয়ে পড়া যায়। বিপাশা মন্ডল এ কাজে ব্যর্থ হয়েছেন। এ বইয়ের বহিস্থিত কিছু গল্পের আলোচনা যেমন ঢুকিয়েছেন (কোথাও থেকে এনে লেপ্টে দিলেন নাকি!), তার পর্যালোচন সেরকমই প্রথানুবর্তী-ক্লিশে! এক তারা কম দিতাম, তবে তাতে মনে হলো পুরো বইটাকেই খাটো করা হবে না তো!
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ হলেন আজকের নট মোশাররফ করিমের মতন—পূর্ববঙ্গের নানান অঞ্চলের ভাষা জানেন, উর্দু তো বটেই–যদিও তা এ বঙ্গের না। মোহাম্মদ আজম বা রাজু আলাউদ্দিনরা বলেন, চিন্তার চেয়ে ভাষা নিয়ে প্যাঁকপ্যাঁক করা ‘অধঃপতনের লক্ষণ’; হতে পারে। কিন্তু ভাষার খেলাও চিন্তার খেলার চেয়ে কম কিছু না আমার নিকট, এই আম-পাঠকের নিকট।
ওয়ালীউল্লাহর গল্প সরস না। তাতে ভাব থাকে, ভাবন থাকে। গমগমে পার্টির মধ্যেও ভাবনে-আন্দেশায় নিমজ্জিত লেখকের কথা আগেই তাঁর বিবি আন-মারি ওয়ালীউল্লাহর অনুধ্যানকথায় পড়েছি বিধায় স্বচ্ছভাবে ধরা পড়েছে তাঁর গল্পেও। শেষের দিকের ‘রক্ত’, ‘খণ্ড চাঁদের বক্রতা’ বা ‘সেই পৃথিবী’ গল্পে লেখকের আন্দেশে পৌঁছতে পারি নি। কী বললেন তিনি? যখন—
…কিন্তু সেখানে সে বিবিকে পেলে না। না পেয়ে এবার সে মৃতের মতো চোখ বুজলে, আর একটা দীর্ঘশ্বাসের সাথে যেন প্রাণের মতো কেঁপে-কেঁপে বেরিয়ে গেল জীবনের শেষ আশা: শুধু জমাট হতাশায় সে স্তব্ধ হয়ে রইল। কিন্তু তীক্ষ্ণতম ব্যর্থতায় এবার তার হৃদয়ে যে-ক্ষত হল, সে ক্ষত দিয়ে ঝরতে লাগল রক্ত, ঝরতে লাগল গলগলিয়ে, এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন অন্তর তার চেয়ে আরো অন্ধকার ভবিষ্যৎকে প্রদীপের শেষে কম্পনের মতো শুধাল: এমন দিন কি কখনো আসবে যখন নিবিড় ও স্নেহভালোবাসাশূন্য শুষ্ক প্রান্তরে তার নিঃস্ব-রিক্ত হৃদয় দিয়ে গলগলিয়ে রক্ত ঝরেছিল, রক্ত? (রক্ত, পৃ. ৮৪)
সঙ্গীহীন আক্কাছের স্নেহের কি আকুতি, না? এই রক্ত তো ভয় ধরায় না, এই রক্তই তো আমরা চাই—প্রাণে সিঞ্চন করি ঝরিয়ে আর ইতঃপর ঝরিয়ে ফেলি।
তারপর 'খণ্ড চাঁদের বক্রতা'য় গনি মিঞার ঘোর এখনও ধরতে পারি নি:

আকাশে হয়তো গুচ্ছ-গুচ্ছ আঙ্গুর ফল ঝুলছে, তার প্রত্যেকটি মহব্বতের রসে ভরা। কেন অত আঙ্গুর, কেন-ই বা ঝুলছে?–ঝুলছে শুধু নারীর দেহে ঝরঝর করে ঝরে পড়ার জন্য। জয় হোক নারীর দেহের আর গুচ্ছ-গুচ্ছ আঙ্গুর ফলের, গনি মিঞাকে তোমরা সবাই বাহবা দাও, হাততালি দাও।
আকাশের অন্ধকার, বস্তিতে পৃথিবীর মানুষের প্রাণের কোলাহল: মানুষের প্রাণ যেন বেলে মাছের মতো কালো ধরণীর বুকে কিলবিল করছে। কোলাহলের মাঝে আবার একটা কণ্ঠ আর্তনাদ করে উঠল: শমশীর, নাঙ্গা শমশীর লেকে খাড়া হোল যাও!
কিন্তু আকাশের খণ্ড চাঁদ এরা দেখেছে, তলোয়ার দেখেনি। ওপরে আকাশময় গুচ্ছ-গুচ্ছ আঙ্গুর ঝুলবে, ঝুলবে চিরকাল, ঝুলবে এ খণ্ড চাঁদের বক্রতায়। (পৃ. ৯০)

গল্পটা ফের একবার পড়তে হবে!

[Sajib · Rating 4 out of 5]

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ এর শব্দ প্রয়োগ এবং গল্পের বর্ণনা আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে। পাঠ্য বইয়ে উনার লালসালু এবং বহিপীর পড়েছিলাম। গত বছর উনার গল্প সমগ্রের দুটো গল্প পড়া হয়েছিল। পরে আর পড়তে পারিনি। তাই নতুন করে পড়তে আরম্ভ করেছিলাম বইটা। গল্পগুলোর বর্ণণা শৈলী এবং শব্দের মুগ্ধময় প্রয়োগ আমাকে যারপরনাই চমকপ্রদ এবং বিস্ময় বিমোহিত করেছে।

[Raihan · Rating 3 out of 5]

I will review this later!
#1st review

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্’র ( ছোটগল্প )'নয়নচারা' গল্পের কিছু লাইন -

এই সন্ধ্যা না হয় অচেনা সন্ধ্যা হলঃ রুপকথার সন্ধাও তো সন্ধ্যা, কিন্তু তবু সন্ধ্যা, আর এ-সন্ধায় তুমি আমাকে নির্মমভাবেকণ্টকাকীর্ণ প্রান্তরে দাঁড় করিয়ে রেখেছ?
কে তুমি, তুমি কে? জানো, সারা আকাশ আমি বিষাক্ত রুক্ষ জিহ্বা দিয়ে চাটব, চেটে-চেটে তেমনি নির্মমভাবে রক্ত ঝরাব সে-আকাশ দিয়ে

-কে তুমি, তুমি কে?
এই গল্পে কবি দুর্ভিক্ষের করুণ চিত্র তুলে ধরেছেন, সাথে সাথে ধসে পরা মানুষের অমানবিকতার চিত্রও উন্মোচন করেছেন।

[Forkan Elahi Anupam · Rating 4 out of 5]

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র স্ব‌তন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ণ‌ লেখনীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ "নয়নচারা" ।

বইটা সত্যিই অসাধারণ ।