Jump to ratings and reviews
Rate this book

মাতাল তরণী

Rate this book

120 pages, Hardcover

Published February 1, 1992

4 people are currently reading
103 people want to read

About the author

Humayun Azad

85 books296 followers
Humayun Azad (Bangla: হুমায়ূন আজাদ) was a Bangladeshi author and scholar. He earned BA degree in Bengali language and literature from University of Dhaka. He obtained his PhD in linguistics from the University of Edinburgh in 1976. He later served as a faculty member of the department of Bengali language and literature at the University of Dhaka. His early career produced works on Bengali linguistics, notably syntax. He was regarded as a leading linguist of the Bangla language.

Towards the end of 1980s, he started to write newspaper column focusing on contemporary socio-political issues. Through his writings of 1990s, he established himself as a freethinker and appeared to be an agnostic. In his works, he openly criticized religious extremism, as well as Islam. In 1992 Professor Azad published the first comprehensive feminist book in Bangla titled Naari (Woman), largely akin to The Second Sex by Simone de Beauvoir in contents and ideas.

The literary career of Humayun Azad started with poetry. However, his poems did not show any notable poetic fervour. On the other hand his literary essays, particularly those based on original research, carried significant value.

He earned a formidable reputation as a newspaper columnist towards the end of 1980s. His articles were merciless attacks on social and political injustice, hypocrisy and corruption. He was uncowed in protesting military rule. He started to write novels in 1990s. His novel Chappanno Hazar Borgomile is a powerful novel written against military dictatorship. Azad's writings indicate his distaste for corrupt politicians, abusive military rulers and fundamentalist Islam. Nevertheless, his prose shows a well-knit and compact style of his own. His formation of a sentence, choice of words and syntax are very characteristic of him. Although he often fell victim to the temptation of using fiction as a vehicle of conspicuous political and philosophical message, he distinguished himself with his unique style and diction.

On August 11, 2004, Professor Azad was found dead in his apartment in Munich, Germany, where he had arrived a week earlier to conduct research on the nineteenth century German romantic poet Heinrich Heine. He was buried in Rarhikhal, his village home in Bangladesh.

In 2012, the Government of Bangladesh honored him with Ekushey Padak posthumously. Besides this, he was honored with Bangla Academy Award in 1986.

Ratings & Reviews

What do you think?
Rate this book

Friends & Following

Create a free account to discover what your friends think of this book!

Community Reviews

5 stars
14 (22%)
4 stars
31 (49%)
3 stars
13 (20%)
2 stars
2 (3%)
1 star
3 (4%)
Displaying 1 - 9 of 9 reviews
Profile Image for Mosharaf Hossain.
128 reviews99 followers
March 20, 2017
মাতাল তরুণী, প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের প্রবন্ধগুচ্ছ নিয়ে বই। ১৯৯২ সালে প্রকাশিত বইটিতে লেখক নিজ ভাষায় কথা বলেছেন তৎকালীন ঘটনাগুলো নিয়ে।

হুমায়ুন আজাদের ধারালো লেখনি বারবার আঘাত করেছে তৎকালীন রাষ্ট্র, সমাজ, সরকার, গনতন্ত্রকে। লেখকের প্রবন্ধে প্রকাশ পেয়েছে জনগন আর দেশ নিয়ে লেখকের তীব্র হতাশা।

ডজনখানেক প্রবন্ধে, লেখক প্রথম আঘাত করেছেন দেশের সমাজব্যবস্থাকে। ব্যাঙ্গাত্নক সুরে লেখক বলেন, "আজকের বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষই বিশিষ্ট আর বিখ্যাত, পাড়ায় পাড়ায় এখন বাস করেন প্রসিদ্ধরা, গলিতে থাকেন অমরেরা।"

লেখক এরপর টানা সমালোচনা করেছেন আমলাদের, তুলোধুনো করেছেন আমাদের শাসকশ্রেনীদের। লেখক অপরাধীদের তালিকায় দাঁড় করিয়েছেন যারা জীবনভর শুধু দালালিই করে যায়। লেখক প্রশ্ন তুলেছেন, চাটুকারদের নিজস্বতা নিয়ে।

'সৎ মানুষদের জন্যে শোকগাথা' শীর্ষক প্রবন্ধে লেখক আফসোস করেছেন সৎ থাকতে গিয়ে যারা হারিয়েছেন সবকিছু তাদের জন্য। লেখক দুঃখ করে বলেন, "আপনাদের জন্যে দুঃখ হয়। আপনাদের সমাধিতে কেউ একটা কাগজের ফুলও দেবে না।"

এরপরের প্রবন্ধে লেখক ক্ষমা চেয়েছেন সকল শহীদ বুদ্ধীজীবীদের কাছে। লেখক এদেশের মানুষদের সমালোচনা করে বলেন, "লাশ আমরা খুবই পছন্দ করি; খুবই শ্রদ্ধা করি লাশকে। তাই আমরা জীবিতদের লাশে পরিনত করে লাশদের জীবিত করতে চাই।"

লেখক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আফসোস করে বলেন, এখানে তো রক্তচর্চা হওয়ার কথা ছিলা না, এখানেতো হওয়ার কথা ছিল জ্ঞানের চর্চা। বাঙলা একাডেমীকে তিনি তুলনা করেন গোয়াল ঘরের সাথে। কিশোরী ডেইজির হত্যাকান্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখক বলেন, "এখন আর কেউ প্রেমে পড়ে না, উত্তেজিত হয় মাংসের ক্ষুধায়, আর ওই ক্ষুধাকে মনে করে প্রেম।"

লেখক দেশের মানুষদের ধর্মান্ধতা নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, "আমরা ভন্ড বলে মৃত নজরুল-রোকেয়ার কবরে সৌধ তুলি, আর জীবিত নজরুল রোকেয়ার গলা কাটার জন্যে ধারালো ছুরিগুলো প্রতিদিন শানিয়ে রাখি।"

এরপরেই লেখক টানা স্রেফ ধুয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে। তিনি দুই নেত্রীর সমালোচনা করে বলেন, "বাংলাদেশে দুজন, হাসিনা ও খালেদা, অনেকদিন ধরে বয়ে বেড়াচ্ছে পিতা ও স্বামীর লাশ; এবার খালেদা পেয়েছে লাশ বয়ে বেড়ানোর পুরুষ্কার। ... এরা কেউ নারীদের প্রতিনিধি নয়। তারা সবাই পুরুষন্ত্রের প্রতিনিধি; তারা উঠে এসেছে শক্তিমান পুরুষের কবর থেকে।"

সবশেষে লেখক সতর্ক করেছেন শাসকদের, যারা ক্ষমতা পেয়ে অন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, "ক্ষমতা খুবই পিচ্ছিল প্রতারক বস্তু;- তা মহানায়কের মুঠোতেও চিরকাল থাকে না, একনায়কের মুঠোতেও চিরকাল থাকেনা।" বাঙ্গালীর নিষ্ক্রিয়তায় বিরক্ত হয়ে লেখক বলেন, "এ জাতি কোনো দশকের শুরুতে বা শেষপ্রান্তে বিকশিত হয় বিদ্রোহীরুপে; আবার অনেক দিনের জন্যে রূপান্তরিত হয়ে যায় একপাল নিরীহ মেষে।"

বইটি কত্ত আগে লেখা, অথচ এখনো কত্ত মিল। আজকের এইসব ঘটনায় হুমায়ুন আজাদের লেখনির খুব দরকার ছিল এই বাঙলায়। বইটি আপনার মগজে আগুন ধরাবেই।
Profile Image for Nakib Hasan.
53 reviews1 follower
June 22, 2020
"যারা পদামৃতপায়ী তারা রসালো পা চাটতেই পছন্দ করে, যে-পায়ে রস নেই বা রসের সম্ভাবনা নেই, সে-পায়ের সেবায় তারা জিভ বেশিদিন ক্ষয় করে না"

স্বৈরশাসক এরশাদের শেষ সময় থেকে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও তার পরের নির্বাচনকালীন সময়ে লেখা প্রবন্ধ নিয়েই বইটি।

পুরো বইয়ের কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা লোকজন নিয়ে হলেও কোথাও স্নেহ পদার্থের দেখা মিলবে না। নিজের বিশ্বাসের প্রতি আস্থা রেখে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসের সাথে লিখে গেছেন হুমায়ুন আজাদ।


স্বৈরাচারী শাসনের মধ্যে থেকেও এরকম চাচাছোলা ভাষায় ধারালো লেখা বর্তমান বাকস্বাধীনতার যুগেও পাওয়া বিরল। আর বর্তমান সময়ে এরকম দাঁত কড়মড়ে শক্ত লেখার দেখা পাওয়া তো শুধুমাত্র বিরলই নয় বরং খড়ের গাতায় সূচ খোঁজার মতোই কঠিন ব্যাপার!
Profile Image for Hanif.
154 reviews5 followers
June 3, 2021
বাঙলা নষ্ট হয়ে গেছে, তার সমস্ত সুন্দর আবেগও পরিণত হয়েছে পাশবিকতায়। এখন আর কেউ এখানে প্রেমে পড়ে না, উত্তেজিত হয় মাংসের ক্ষুধায়, আর ওই ক্ষুধাকেই মনে করে প্রেম।

নব্বই দশকের রাজনীতি, বাংলাদেশের বর্তমান-ভবিষ্যত, ধর্মান্ধতা, স্বৈরাচার ইত্যাদি নিয়ে হুমায়ুন আজাদ এর ব্যাক্তিগত কলাম কিংবা গল্প নিয়ে সাজানো একটি বই।
বইটি পড়লে অবশ্যই নব্বই দশকের বাংলাদেশকে চিনতে একটুও কষ্ট হবে না।
⇨ বাঙ্গালিকে একটা একাডেমি দাও, বাঙ্গালি সেটাকে গোয়ালে পরিণত করবে..
Profile Image for Soumik.
83 reviews17 followers
September 3, 2017
মাতাল তরণী বইটা যদি তখনকার সময়ে অর্থাৎ নব্বই এর দশকে পড়তে পারতাম তাহলে সেই সময়ের তেজটা বুঝতে পারতাম, ঘ্রানটা পেতাম।

প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ূন আজাদ স্যার একজন দুর্দান্ত মনীষীও বটে। যা লিখেছেন কিংবা বলে গিয়েছেন তা বর্তমানে ফুটে উঠছে সমাজ ব্যবস্থায়।

মাতাল তরণী দুর্দান্ত একটি বই। বইটা পড়লে যে কেউ তখনকার সময়ের রাষ্ট্র, সামাজিক অবস্থা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিক্ষা ব্যবস্থার তলানি, মানুষের মানবিক মূল্যবোধহীনতা ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারণা পাবে।
Profile Image for Shotabdi.
818 reviews193 followers
June 10, 2025
বাংলাদেশ আসলে একই বৃত্তে ঘুরছে। ১৯৯২ এর দিকে লেখা কলামগুলো পড়লে বোঝা যাবেনা কথাগুলো ওই সময়ের নাকি এই সময়ের। অদ্ভুত মিল। আর রাজনৈতিক স্বচ্ছ দৃষ্টি বজায় রাখার জন্য পুরনো কিন্তু প্রাসঙ্গিক বইগুলোর পাতা বারবার পাল্টানো দরকার। কে কেমন রাজনীতি করে বর্তমান পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে, এটা মাথায় রাখা নিশ্চয়ই দরকার।
Profile Image for Imran Ruhul.
43 reviews14 followers
July 10, 2019
হুমায়ুন আজাদ তাঁর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে দারুণ কিছু কলাম লিখেছেন। 'মাতাল তরণী' বইটি এসব কলামেরই সংগ্রহ। প্রধানত এরশাদের স্বৈরাচারী আমল থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের অপসারণ পর্যন্ত সময়কালের উপর লিখা এই কলামগুলো। সংকলিত প্রবন্ধগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল প্রবন্ধগুলো হল- বাঙলাস্তান, পাকিস্তান-ব্যাধি, একনায়কগণ, গোলামেরা, সৎ মানুষদের জন্য শোকগাথা, সিংহ ও গর্দভগণ, কতো রক্ত বৃথা গেলো হিশেব রাখি নি, আলবদরেরা, স্বৈরপর্বে জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা, ব্যঙ্গচিত্রের স্বাধীনতা, মুসলমান কে ও কী, তোমার মিনারে চড়িয়া ভণ্ড, ক্যাঙ্গারু নয় বাদুড় বুদ্ধিজীবী, দাঁতের বদলে দাঁত চোখের বদলে চোখ, নারীরাই কি স্বৈরাচারের শেষ প্রধান প্রতিপক্ষ?, নেকড়েদের বিদায়- গণঅভ্যুত্থানেই মুক্তি এবং মিছিলের মানুষ।
Profile Image for Rakibul Islam.
20 reviews4 followers
February 25, 2016
বইটি ছোট ছোট প্রবন্ধের সংকলন। বাসে যাওয়া আসার পথে একটা দুটো করে পড়ে শেষ করলাম। বেশ ভালো লেগেছে সে সময়ের চলমান বিষয় নিয়ে কিছু সাহসী, কিছু তীর্যক, কিছু আবেগি লেখা গুলো।
Profile Image for Jubaead Dweep.
6 reviews10 followers
March 2, 2016
সত্য এত সরল করে বলার অভ্যেসটা মানুষের আয়ত্ত্ব করা উচিত।
Profile Image for Md Ahmad.
1 review17 followers
March 13, 2017
বইটা সেই সময়ে(নব্বই এর দশক) পড়তে পারলে দারুণ হতো,ঘ্রাণ পাওয়া যেতো পরিস্থিতি,ঘটনার,শুয়োরের বাচ্চাদের নষ্টামির।
তবে বইটা এখনো অসাধারণ।
Displaying 1 - 9 of 9 reviews

Can't find what you're looking for?

Get help and learn more about the design.